গত প্রায় তিনটা বছর মিটফোর্ডে পড়াশুনা করতে গিয়ে প্রতিদিনই যে অভিজ্ঞতাটা পেতে হচ্ছে, তা হল পুরনো ঢাকার 'খুবই বিখ্যাত' জ্যাম পার হওয়া। ঢাকা শহর যেমন দিন দিন লোহালক্কড়ের অচল নগরীতে পরিণত হচ্ছে তাতে করে শুধুমাত্র পুরান ঢাকার জ্যামটাকে এভাবে উল্লেখ করাটায় আপত্তি হতে পারে। কিন্তু দিন কয়েক যদি কারো ওদিকে যাওয়ার সৌভাগ্য(!) হয়ে থাকে তাহলেই বুঝতে পারবেন আমি কেন এমনটা বলছি। তবে সত্যি বলতে বছর খানেক আগের থেকে
ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে আমার একটি বিশাল দূর্বলতা আছে আর সেটি হলো আমি লাইফস্টাইল একদমই পারি না। কিন্তু এবার যখন কিশোরগঞ্জ যাচ্ছিলাম তখন মাথায় একটা জিনিশই ঘুরপাক খাচ্ছিলো যে আমাকে এইবার লাইফস্টাইল ছবির এক বিরাট চ্যালেঞ্জ নিয়েই মাঠে নামতে হবে। কেননা এই সময়ে লেন্ডস্ক্যাপ একটা দুইটা তোলার পর একদম মনোটোনিক হয়ে যাবে। আর মাঠে মাঠে মানুষের ব্যাস্ততার ছবি তো আর লেন্ডস্ক্যাপ নয়!
বড় হয়ে যাওয়ার একটা মস্ত অসুবিধে হল ইচ্ছেমত ছোটবড় হওয়া আর চলেনা, সারক্ষন বড় সেজেই থাকতে হয়। অথচ ছোটরা কি মজা করে চাইলেই বড় হতে পারে, আবার ছোটও। এই যে ভাইয়ার ছেলেটাকে দেখি বাবার শার্ট টাই গায়ে জড়িয়ে, রঙের বাক্স হাতে ঝুলিয়ে গম্ভীর গলায় বলে, 'অফিসিস যাই'। এদিকে টলমল পায়ে দুপা যেতে না যেতেই লম্বা কাপড়টায় পা বেঁধে দড়াম করে পড়ে গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে চিৎকার করে 'মাটিকে মারো, মাটিকে মারো!
ঠিক কবে আপনার নাম কোনো লিস্টে উঠেছিল বলতে পারেন? খুব সম্ভবত আপনার কোনো নাম হওয়ার আগেই। মানে আপনার জন্মের আগেই। আপনার মা-বাবা থেকে শুরু করে আপনার আত্নীয়-স্বজন হয়ত আপনার নামের লিস্ট করে রেখেছিলেন। হোক না সবগুলো নাম আপনার জোটেনি। তাও আপনার সম্ভাব্য নামের লিস্টতো! গতকাল থেকেই এই ব্যাপারটা আমার মাথার মধ্যে এমনভাবে কাজ করছে যে না লিখেও স্বস্তি পাচ্ছিনা।
[justify]
১৯৭২ সালের অক্টোবর মাসে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান গৃহীত হয় যে সংসদে, তার একজন সদস্য ছিলেন মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা।১৯৭০ এর বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদী গনজোয়ারের নির্বাচনে ও লারমা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই নির্বাচিত হয়েছিলেন পার্বত্য অঞ্চল থেকে।
নতুন সংবিধানের সংবিধানের ৩ নম্বর ধারায় বলা হয়:
(হাবিজাবি ধরনের লেখা। কাল একবার পোস্ট করে স্পিডের কারনে আটকায় গেল, বুঝতে পারিনি পোস্ট হল কিনা। তাই আবার পোস্ট করলাম আজকে। যদি মডারেশন প্যানেলে গতকালই আটকে থাকে তবে আবারো পোস্ট করার জন্য দুঃখিত। মুছে দেয়ার অনুরোধ থাকলো।)
***************
ব্লগে সাধারণত ধর্ম আর অধর্ম নিয়ে তর্ক করি না। আমি একটা জিনিস মানি তা হলো প্রাপ্ত বয়ষ্ক একজন ব্যক্তিকে কোন কিছু বুঝানো সম্ভব নয় যদি না তিনি সেটা নিজে থেকে বুঝেন। তাই আমি যেটার চেষ্টা করি তা হলো নিজের জাজমেন্ট অন্যের কাছে চাপিয়ে না দিয়ে বরং তথ্য এবং যুক্তি গুলো তুলে ধরি, তারপরে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পালা অন্যের।
অন্যের বিশ্বাসে আমার আপত্তি নেই ততক্ষন, যতক্ষন তার বিশ্বাস আমার জন্যে অস্বস্থিকর না হয়। সমস্যা হলো যে যেকোন বিশ্বাস/ধারণাই হোক (সেটা ধর্ম হোক, গনতন্ত্র হোক, জাতিয়তাবাদী হোক, মানবতাবাদী হোক, বা নাস্তিকতাই হোক) সেটার কাজই হচ্ছে ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে যাওয়া। কিন্তু যে বিশ্বাস ন্যাচারাল সিলেকশনে উন্নতর সুবিধে প্রদান করবে মানুষকে, সে বিশ্বাসই পরবর্তী প্রজন্মে বেশি করে ছড়িয়ে যাবে এবং টিকে থাকবে। যে বিশ্বাসগুলো টিকে থাকায় বাড়তি সুবিধে প্রদান করবে না তারাই ধীরে ধীরে হারিয়ে যাবে। যেমন হারিয়ে গিয়েছে বহু ভাষা, বহু সংস্কৃতি, বহু জাতি। ধর্ম গুলো এর বাহিরে নয়।
(ডিসক্লেইমারঃ প্রবলভাবে জেনারেলাইজ করা পোস্ট! মুড়ি-মুড়কি-চিনি-সয়াবিন তেল-ছোলা সবই একদর। বেশি দামী জিনিসের প্রবেশ নিষেধ!)
অনেকদিন পর সাইকেল নিয়ে বের হলাম। সাইকেলের অবস্থা যদিও খারাপ। মাসখানেকের উপরে চালানো হয় না। হাওয়া বের হয়ে গেছে।
গরমে জীবন হাঁপিয়ে উঠেছে, আমিও জীবনের বাইরের কেউ নই। এর মধ্যে সাইকেল চালানো নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দেওয়ার নামান্তর মাত্র। কিন্তু ক্যাড়া উঠলে কে আর বসে থাকে বলুন। আমিও বসে থাকলাম না।
ছোটবেলার একটা কথা মনে পড়ছে। ছোটভাইয়ার টাইফয়েড হয়েছিলো। ঢাকার হাসপাতাল থেকে আমরা যখন বাসায় ফিরে যাই বাহন ছিলো ট্রেন। বাবা আমাদের জন্য যাত্রাপথের খাবার কিনতে ট্রেন ছাড়বার ঠিক আগে আগে স্টেশনে নেমেছেন। ট্রেন ছাড়ার প্রায় সময় হয়ে গিয়েছে, ট্রেনের গেইট লক করে দেয়া হয়েছে, গার্ড এসে একবার পাশ দিয়ে ঘুরে গেছে। আমি ঠাঁয় তাকিয়ে আছি গেটের দিকে। টেনশনে আমার ঘাড় ব্যাথা শুরু হয়ে গেছে। বুক ধড়ফড় ক