রবীন্দ্রনাথের প্রতি আমার একরকম চাপা ক্ষোভ আছে। কোন বিষয় নিয়ে ভাবলেই দেখা যায়, তিনি আগেই সবচে সুন্দর কথাটিই লিখে ফেলেছেন তা নিয়ে। প্রত্যহের যেকোন আবেগে, যেকোন মুহুর্তে তিনি এসে হাজির হন; অন্য যে কারো আগেই। তাঁর জন্যই হয়তো আমার কখনো লেখক হওয়া হবেনা।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৬ অনুচ্ছেদ বলছে, “জনস্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে বাংলাদেশের সর্বত্র অবাধ চলাফেরা, ইহার যে কোন স্থানে বসবাস ও বসতি স্থাপন এবং বাংলাদেশ ত্যাগ ও বাংলাদেশে পুনঃপ্রবেশ করিবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে।”
ছোটখাটো শ্যামলা চেহারার নাজমা বেগম থাকেন ছোট্ট এক উপজেলা শহরে। পরিবার পরিকল্পনা অফিসে হেলথ ভিজিটর পদে কাজ করেন, স্বামী সেই অফিসেই আরও নিচু এক ধাপের কর্মচারী। এঁদের ছেলেমেয়েরা মাঝে সাঝে শহরে বেড়াতে এলে আমাদের পাড়াসুদ্ধু বাচ্চাদের বড় দুঃখ হত। দুঃখটা বৈষয়িক। ওরা ওই বয়েসেই ব্যাটারিওলা গাড়ি, আলোজ্বলা কেডস এইসব দুর্লভ সম্পদের অধিকারি ছিল। একবার মেয়েকে সোনার ঘড়ি কিনে দিয়ে আমাদের সবাইকে তাক লাগি
ডিস্ক্লেইমারঃ দেশের বিদ্যুৎব্যবস্থার অতুলনীয় উন্নতির ঘর্মাক্ত সাক্ষী আর সেইসাথে মশককুলের মনোহারিণী সঙ্গীতসহকার ভালোবাসায় বিদ্ধ হতে হতে মনে মনে রচিত নিম্নোক্ত অতি আজাইরা পঙক্তিমালা। সুতরাং নিজের মূল্যবান সময় অপচয়ের ইচ্ছা না থাকলে এখানেই ক্ষ্যামা দ্যান।
ঘোরলাগা সন্ধ্যায়
একা বসে বারান্দায়
ঘরে ফেরে পাখি উড়ে, মানুষ রাস্তায়
এলোমেলো সোনারঙা মেঘেদের আনাগোনায়
শেষবারের মত ঘুরে আসা যাক ধূলিময় প্রিয় প্রান্তর
যেখানে আমার গতিময় পদচ্ছাপ
চাপা পড়েছে বিকট কংক্রিটের নিচে
সেই এক জলমগ্ন নৌকার খোলে আমার সর্পভীতি
রূপান্তরিত হয় জলাবদ্ধতায় অদৃশ্য ম্যানহোলের অন্ধকারে
শেষবারের মত আমি সেই গা-ছমছম দৃশ্যটি ছুঁতে চাই।
এখনো আমি খুব বিমর্ষতায় ভোরের ঘুম-ভাঙা মাঠের
শিশির জড়ানো আলোতে
আঁকড়ে ধরি গোলপোস্ট, কর্নার কিক, রেফারির বাঁশি
কবিতা পড়তে তেমন ইচ্ছে করত না সেসময় । একদিন এক সিনিয়র বললেন, “আবুল হাসান” পড়ে দেখ। কবির নামটা অতি সাধারণ মনে হল-এরকম কত নাম ঘুরে আমাদের চারপাশে। তাই পড়া হয়ে উঠলনা তখন।
১৯৯৭ সালের মার্চ বা এপ্রিল মাস। তারিখটা আজ এতদিন পরে মনে নেই। ঢাকায় আসার উত্তেজনায় তখন আমি বিভোর। আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছি নটরডেম নয়তো ঢাকা কলেজে পড়ব। কলেজ দুটোর ব্যাপারে ছোটবেলাতেই বাবার কাছে গল্প শুনেছি। শুনেছি এখানে যারা পড়ে তারা নাকি অনেক বড় বড় জ্ঞানী। আর সেই কলেজে আমি ভর্তি হতে পারবো ভাবতেই যেন আমার ঘুম আসছিলো না।
”সাগর নেয়না শুধু, ফিরিয়েও দেয়
শূণ্যতা প্রতিসথাপিত হয় প্রশান্ত আবেশে!”
আবারো খানিকটা পেমে পড়েছি বলে মালুম হয়। খানিকটা পেম হলে অনেকটা বেঁচে থাকা যায়। হারাবার ভয় আর পাবার আশা, এই দুইয়ের এক আশ্চর্য জিলিপিই বোধকরি ভালোবাসা।যা বলছিলাম, খানিকটা পেম হলে খানিকটা পদ্য লেখা যায়। তাতে ছন্দ এই মেলে তো সেই মেলে না, তবু আবেগের নিখাদ ঝলকানি থাকে তার পরতে পরতে। পেমের এ নৈবেদ্য তাই সকল পচন্ড পেমিকের চরণে।