[justify]যারা জগা খিচুড়ির প্রথম দুই পর্ব পড়েছেন, তারা ইতোমধ্যেই জেনে গেছেন এই খিচুড়ি কোমল পেটে হজম হবার নয়। এ খিচুড়িতে বিভিন্ন ধরনের মসলা আছে, তাঁর মধ্যে কিঞ্চিৎ (!) অশ্লীলতার গন্ধ পেতে পারেন কেউ কেউ। সুতরাং সামনে এগুনোর আগে সাবধান! তবে কিনা অশ্লীলতার সংজ্ঞা একেকজনের কাছে একেক রকম। আমার নিজের কাছে যে কোন ধরনের ফ্লপ রসিকতাকে অশ্লীল মনে হয়। যেটা শুনে হাসি আসবে সেটা আবার অশ্লীল হবে কেন?
বিশ্বকাপ ক্রিকেট শুরুর সময় একটা ভিডিও দেখে মন জুড়িয়ে গিয়েছিলো। বিউটিফুল বাংলাদেশঃ দি স্কুল অব লাইফ।
টিপিক্যাল প্রবাসী বাংলাদেশিদের মত আমিও নিয়ম করে ক’দিন পর পর ছিচকাঁদুনে গীত গাই, দেশের জন্যে আহা উহু করি। সেই আহা উহুর মাত্রা বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছিল সেই ভিডিওটা। ভিডিওটির পরিবেশনা, বলাই বাহুল্য চমৎকার ছিলো, আমাদের দেশের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। দেশের মানুষদের সরলতা দেখে মনে হয়েছিলো, আহা, সত্যিই তো, এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে না কো তুমি। ফেইসবুক আর ইউটিউবে ভেসে বেড়িয়েছে বেশ কিছুদিন এই ভিডিওটা।
দুদিন হলো আরেকটা ভিডিও ভাসছে এখন ফেইসবুকে, এবং ইউটিউবে। ভুল ব্যাকরণে এই ভিডিওটির টাইটেল দেয়া- মিলন কিলিং। গতকাল সকালে উঠে পত্রিকা পড়ে ইতিমধ্যেই মিলনের ঘটনাটা জেনে গেছি, জেনে হতভম্ব হয়ে গেছি। মানুষের নিষ্ঠুরতায় বিহবল হয়ে পড়েছি। ফেইসবুকে অনেকের প্রোফাইলে শেয়ার দেয়া আছে মিলন হত্যার ভিডিওটা, কিন্তু এখনও সাহস করে একবারও দেখে উঠতে পারিনি সেটা, হয়তো পারবোও না।
স্টারবাক্স-এ কফি খেতে গিয়ে আগে একবার খুবই বেকুব হয়েছিলাম। অনার্য সঙ্গীতের ভাষায় বললে 'কুত্তামারা' কফি। ওদিকে অনেকগুলো টাকা বেরিয়ে গেছে সেই কফি কিনতে। এত বড় এক মগে দিয়েছে যে খাবো না গোসল করব সেটাই বুঝতে পারছি না। অর্ডারের সময় সাইজের অপশন ছিলো তিনটা। সবচেয়ে বাম দিকে লেখা 'tall' মানে লম্বা। তাই সেদিকে না গিয়ে, আমি সবচেয়ে ডান দিকের অপশনটা অর্ডার দিলাম। ভাবলাম ওদিকে নিশ্চই 'শর্ট' বা ছোটোখাটো টাইপ কিছু
পুলিশ তাদের গাড়ি থেকে একটা কিশোর অথবা তরুণকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো, চিৎকার করে বল্ল এরে মেরে পিটাও, এ হলো ডাকাত। বীর বাংগালের সকল বীরত্ব জেগে উঠলো, সে পিটাতে শুরু করলো, যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাপিয়ে পড়লো, পেটাতে পেটাতে যখন বুঝলো কাজ শেষ, তখন ক্ষান্ত দিলো। পুলিশ সেই লাশ উঠিয়ে নিয়ে চলে গেলো। কি অসাধারণ দৃশ্য। টিভিতে এটি দেখানো হয়েছে, পত্রিকার অনলাই এডিশনে ভিডিও ক্লিপটি জুড়ে দেয়া হয়েছে। এবং এজন্য দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে এক দারোগা আর দুই সিপাহীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মাশাল্লাহ।
আজকাল বিভিন্ন ব্লগে আস্তিকতা বা নাস্তিকতা নিয়ে ভয়ানক আলোচনা হচ্ছে। স্পস্ট দুইটা পক্ষ দেখা যাচ্ছে। পক্ষ দুইটা যুক্তি, পাল্টা-যুক্তি, কু-যুক্তি দিয়ে সমানে লড়ে যাচ্ছে। প্রতটি ক্ষেত্রে এমন একটা সুর “আমি যেভাবে ব্যখ্যা করছি সেটাই সঠিক, আর সবাই ভুল”। পুরো ব্যাপারটা কি হাস্যকর হয়ে যাচ্ছে না?
সুপার কাপঃ আবারো সুপার ফাইনাল
বিপুল পরিমাণ অর্থ ঢেলে রাতারাতি গজিয়ে ওঠা দলগুলোর প্রতি আমার খানিকটা এলার্জি আছে। যে কারণে চেলসি বা রিয়েলের প্রতি আমার বিন্দুমাত্র সহানুভূতি নেই, যে কারণে ইদানীং শেখা জামাল দলটার উপর খানিকটা আক্রোশই তৈরি হয়েছে বলা চলে। মোফাজ্জল মায়া ও মঞ্জুর কাদের সাহেবরা যখন অর্থের জোরে আফ্রো-বঙ্গ তন্ন তন্ন করে দু রাজ্যের সমস্ত ভালো খেলোয়াড় জড়ো করেন এক সামিয়ানার নিচে, এদিকে দেশীয় খেলোয়াড়দের গোটা মৌসুম সাইডবেঞ্চে বসিয়ে রেখে ফুটবলকে পঙ্গু করার পাকা বন্দোবস্ত সম্পন্ন করেন, তখন আপনা থেকেই দলটির প্রতি এক ধরণের বৈরীভাব তৈরি হয়। সুপার কাপের সেমিতে তাই যখন দলটি মোহামেডানের কাছে নির্মমভাবে পরাজিত হয়, আমি তখন মোহামেডানের ঘোর বিরোধী হয়েও উল্লাস করি। উল্লাসটা দ্বিগুণ হয় যখন ফাইনালটা আবাহনী-মোহামেডানের ফাইনালে রূপ নেয়।
ডিসক্লেইমার: অনেকদিন পর লিখছি.. লিখতে ঠিক কখনোই পারতাম না... কাজেই এমনিতেই ভাঙা যন্ত্রে আরো জং ধরলে খুব একটা উচ্চমানের কিছু তৈরি হবার কথা না... এই লেখাও নিশ্চিতভাবেই খুব একটা উচ্চমানের কিছু হবে না
তারউপরে খুবই নিম্নমানের দার্শণিক কচকচানি থাকবে.. পড়ে সময় নষ্ট করলে নিজ দায়িত্বে..
মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে করে একলা হই। মানুষ হয়ে জন্মাবার একটা বড় সুবিধা বা অসুবিধা যেটাই বলি না কেন, তা হল, প্রচন্ড ভীড়ের মাঝেও একাকিত্বের স্বাদ নিতে পারা। চারিদিকে হই-হুল্লোড়, চিৎকারের মাঝে হুট করে নিজের মনে হারিয়ে যাওয়ার একটা সুযোগ যেমন থাকে, তেমনি আবার অনেক সময় একলা হতে চাওয়াটার পূর্ণতা প্রাপ্তি হয় না এই কোলাহলের কারণেই..
২০১০ এর শুরুতে আমাদের একটা একটা রিসার্চ-পেপার প্রেজেন্টেশন এর জন্য একটি কনফারেন্সে নির্বাচিত হল। কনফারেন্সটি ছিল মালোশিয়ার লাংকাভিতে। অনেক খুশি ছিলাম আমরা। পেপার একসেপ্ট হয়েছে এইজন্য না আমরা খুশি ছিলাম দেশের বাইরে ঘুরতে যাব বলে । অন্য সবাই হয়ত পরিকল্পনা করতো কনফারেন্সে কি কি করা যায় সেটা নিয়ে আর আমরা করেছিলাম কোথায় কোথায় ঘোরা যায়, কিভাবে সারারাত আড্ডা মারা যায় ইত্যাদি ইত্যাদি। অনেক অন