জীবনের স্বাদ নোনতা বুঝতে পারলে যখন
বুঝতে পারলে তখন এই কবির কলমে ঝরানো
বৃষ্টিও সৃষ্টির রোদন মাত্র।
আমি বৃষ্টিকে বুঝি, নদীকে বুঝি
তবু কখনও কি বলেছি এই অপার্থিব পাওয়া
তাদের জলে ভাসিয়ে দাও!
সেই ইতিহাসের সময় থেকে বের হয়ে
কতো শব্দের পথ মাড়িয়ে, কতো কথার নদী পেরিয়ে
তোমার নিঃশ্বাসের সংগীতে এসে থেমেছি...
তার সুরে ডুব দিয়ে রুহিতেরা তুলে আনছে পাঁজরের মাটি।
কিন্তু এ মাটি আর কোনোদিন মিশব...
তখন আমার স্বপ্নে বাস, তখন আমি জোনাকির চোখ দিয়ে দেখি, নদীর আয়নাজলে খুঁজে নেই একটি সরল মুখ, তখন আমি কৈশোরে, আমি এক দূর্দান্ত কিশোর। কিন্তু যে আমি স্বপ্নে বাস করছি, ধীরে ধীরে সেই স্বপ্নগুলোই আমার পর হয়ে যাচ্ছে। আমি দেখতে পেলাম পাল্টে যাচ্ছে দৃশ্যপট, পাল্টে যাচ্ছে সবুজ চোখে দেখা অপরূপ দৃশ্যাবলি। এতাদিন আমার একটি ডানা ছিলো, সেখানে আমি মায়ের কোলে শুয়ে আকাশে ঘুড়ি হয়ে মেঘ হয়ে পাখি হয়ে উড়ত...
ডমিনো জিনিষটা সবসময়ই আমার সেইরকম জটিল লাগতো। আজকে ইউটিউবে কিছু ভিডিও দেখতে দেখতে ভাবলাম শেয়ার করি। লেখা শুরুর আগে নিচের ভিডিওগুলো লোড হতে দিয়ে দিন।
আগের কথা আগে, ডমিনো কি? ডমিনো হলো চারকোনা ছোট ছোট টাইল। এই টাইলগুলো ব্যবহার করে হাবিজাবি নানা রকম গেম খেলা যায়, কিন্তু সেসম্বন্ধে আমার জ্ঞান কম, কাজেই ডমিনোর অন্য (এবং অনেক বেশি মজার) দিকটাই ব...
গরম পড়ে গেছে কিছুদিন হলো। তখন শরতের শেষ প্রায়, বাতাসের হুটোপুটি চলে। আমাদের রুমের দরজা জানালা খুলে দিলে প্রচুর বেদুইন বাতাস ট্রেসপাসিং করে। আমরা অবশ্য নিজেদের সম্পত্তি বিষয়ে উদাসীন। পৃথিবীতে আরো প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে খেয়াল রাখার। বাতাসে ভিজতে ভিজতেই আমার কম্পিউটারে 'গীটারিক' একটা গান ছাড়ে। প্রথম কয়েক মুহূর্ত কিছুই শোনা যায় না। তার পরে খুব মৃদু একটা কর্ড। আমি কান খাড়া...
বৃষ্টির শব্দে ঘুম ভাঙল আজ খুব ভোরবেলায়৷ আধোঘুমে ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না, শব্দটা বৃষ্টির নাকি জানলার ওপাশের আধখানা শেষ হওয়া বাড়িটির ছাদের জমানো জল গড়ানোর৷ খানিক এপাশ-ওপাশ করে আরো একটু ঘুমিয়ে নেওয়ার ইচ্ছে থাকলেও ঘুম আর এলো না৷ কানে ততক্ষণে পরিষ্কার রিমঝিম বৃষ্টি৷ যাহ৷৷ আজকেও বাজার যাওয়া হল না৷ তার মানে আজকেও ডিম আর ডাল?! আর যা বৃষ্টি পড়ছে, বুয়ার তো আজকেও নিশ্চিত ছুটি! ...
হন্তদন্ত হয়ে অফিসে ঢুকে মোখলেস। আজও ১ ঘন্টা লেট। রিসিপশন থেকে ৯ টা ১৫ মিনিটে খাতা চলে যায় বসের রুমে। দেরী করলে ওখানে গিয়েই সই করে আসতে হয়।
টেবিলের উপর রাখা বিলের কপিটা নিয়ে বসের রুমের দিকে এগোয় সে। এই ফাঁকে মনে মনে জপে নেয় উত্তরা থেকে ধানমন্ডির দুরত্ব। বাস সার্ভিসগুলোর সেবার মান নিয়েও ভেবে নেয় ১ বার। ডে-লাইট সেভিংয়ের নামে ঘড়ির কাটা ১ ঘন্টা এগিয়ে দিয়ে কার কী লাভ হলো সেই হিসেবটাও ...
মাহমুদুল হকের "কালো বরফ" পড়তে পড়তে, সম্ভবত, বার তিনেক আমাকে পাতা উল্টে প্রথম প্রকাশের তারিখটা দেখে নিতে হয়েছে। ১৯৯২ সালে বেরিয়েছিলো এই বই। ঠিক সতের বছর আগে। কিন্তু তারচেয়েও বড় ব্যাপার হলো, এটির রচনাকাল আরও পেছনে, অগাস্ট ১৯৭৭! তিরিশ কিংবা তারও বেশি বছর বাদে, আমার নিজের চেয়েও বেশি বয়েসী এই বইটা হাতে নিয়ে আমি অবাক হয়ে ভাবছি, মাহমুদুল হক কেমন করে এত বছর আগেই এরকম একটা চির-আধুনিক উপন্যা...
সোভিয়েত পতনের মাধ্যমে বামবিশ্বের পতন ঘটেছে এমন একটা বদ্ধমূল ধারণা নিয়ে আমরা বসে আছি। সোভিয়েত পতন, পূর্ব ইউরোপে বামবিশ্বের ভাঙ্গন বার্লিন প্রাচীরের ভেঙ্গে পড়া,এইসব চিত্রকলা বামপন্থার কফিনে কতিপয় শেষ পেরেক হিসেবে উদযাপিত। তার মানে কী এই যে পুঁজিবাদ ই সর্বশ্রেষ্ঠ মতবাদ হিসেবে তার চরম উৎকর্ষের ঠিকানা খুঁজে পেয়েছে। এর উত্তর সম্ভবত চিরন্তন; রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই।
আমর...
তবে তো রবীন্দ্রনাথ আশা আছে,তুমি আছ কলকাতা থেকে দূরে গ্রামে
যেখানে সমস্যা আর সমাধান পাশাপাশি শুয়ে থাকে প্রকৃতি রয়েছে।
ব্যর্থকাম চিমনির গ্লানি রোজ আকাশের রাঙা গালে কালিমা লেপন
সেখানে করেনা; তুমি শিখেছ কেমন ভাবে কথা বলে বিবাহিতা নদী।
এত জল নিয়ে ও সে অতি অকপটে চায় কার্তিকের কিছুটা শিশির
তুমি সেইখানে থাক নদীর ভিতরে, তীরে কাশবনে হাত বোলাতেই
দেখা গেল তুমি এক বিরাট পুরুষ আহা হাজার ম...
কত রাত্রিইতো বিফলে গেলো একটা রাত অন্তত তাকে দিও
তৃষিত হরিণ হয়ে নামবে সে তোমার রোমাঞ্চিত যমুনায়
নারীদেহ নয় শুধু দেহ- সভ্যতার কারাগার
কবিতো সভ্যতার জেলখানায় জন্মনেয়া, অনাথ-
তার কলমের ডগায় দুনিয়ার ভবিষ্যত
তোমার দেহে যত গান আছে সে তার স্বরলিপি জানে
খুঁজে নেবে নিয়ন জ্বলা সুরঙ্গ, ঘাষে ঢাকা পথ-
সেই সুর, যা পায়নি খুঁজে বেথোভেন, মোজার্ট, বাখ
পিয়ানোতে সুর তোলা তার সবকটি আঙুল জানে
দেহের ...