দুই সুখী প্রেমিক মিলে তৈরী হয় অখন্ড রুটি
ঘাসের ওপর এক ফোঁটা টলমলে চাঁদের শিশির।
হেঁটে যেতে দুই ছায়া ঢেউ খেয়ে মেশে। বিছানায়
তারা হয়ত এক চিলতে সূর্য ফেলে যায়।
সত্য থেকে ছেনে আনে তারা একটি দিবস;
তাকে বাঁধে দড়ি নয়, সৌরভের টানে; শান্তির পাঁপড়ি ধরে রেখে
তাদের শব্দ কাঁচের মত হয় না চুরমার
তাদের সুখ, উঁচুতে বাঁধা কোনো স্বচ্ছ মিনার।
বাতাস আর সুগন্ধী মদ বন্ধু হয়ে তাদের সাথে যেতে চায়,
নদীর একেবারে ধারেই গাছটা। পাড় থেকে জলের উপরে ঝুলে থাকা শিকড় কাঁপে ঢেউ লেগে লেগে। মাঝে মাঝে জলের জোর ঝাপটা এসে ভিজিয়ে দেয় ওদের। ঝাপটা শেষ হলে ফোঁটা ফোঁটা মুক্তোর মতন জলবিন্দু ঝরতে থাকে। স্নান-অবশেষ জলকণা। অনেক উপরে রোদ্দুরে কাঁপে ওর নতুন পাতারা। নরম সবুজ রঙ তাদের। ওরা জন্মেছে এই বসন্তদিনে।
যেখানে ক্লান্ত, আহত ঈশ্বর বসে আছে নতমুখে-
সাদা পাখি হয়ে উড়ে এসে ঈশ্বরী
ডানার হাওয়ায় জুড়িয়ে দেয় সব তাপ-
সেইবার শরৎকালে অসংখ্য নীলপদ্ম ফুটেছিল দহে। পদ্মের সবুজ পাতাগুলো গোল গোল রুমালের মতন বিছিয়ে ছিল দহের জলতলের উপরে মিশে, সূর্যের নরম আলো খেলা করছিল পদ্মের পাপড়িতে, পাতায়, রেণুতে। অসংখ্য মৌমাছি ও ভোমরা ব্যস্ত ছিল ফুলে ফুলে। মাঝে মাঝে কোথা থেকে অশান্ত হাওয়া ছুটে আসতো, পদ্মের পাতাগুলো উলটে উলটে যেত, সঞ্চিতার মনে হতো ওরা হাত নেড়ে নেড়ে ওকে বলছে, যেও না যেও না, যেও না।
রূপকথার নক্ষত্রের আলো পড়েছে
সূর্য আকাশের বিষুববৃত্ত পার হয়ে একটু উত্তরে সরতেই ম্যাজিক হলো আবার। খড়-খড় রঙের শীতার্ত মাঠখানা ভরে গেল তরুণ নরম সবুজে। এখানে সেখানে মাথা তুললো ছোটো ছোটো সূর্যরঙের ফুল, ড্যান্ডেলিয়ন। আরো ফুটলো ছোট্টো ছোট্টো নীল তারার মতন দুপূরনীলা (আসল নাম না এটা) ফুলের রাশি, ওরা বেলা বাড়লে তবে ফোটে আবার সূর্য একটু ঢলে পড়লেই বুজে যায়। আরো ফুটলো বেগুনী, গোলাপী, বাসন্তী, লাল ঘাসফুল, নাম জানিনা ওদের কারুরই। নামে কীই ব
ঈশপের গল্পগুলি একই সাথে সমকালীন এবং চিরকালের। বারে বারে পড়ার মত গল্পগুলিকে একালের বাংলা ভাষায় আমার নিজের মত করে ধরে রাখার ইচ্ছের ফসল এই লেখা।
অনুবাদ ইংরেজী পাঠের অনুসারী, আক্ষরিক নয়। সাথে আমার দু-এক কথা।
গল্পসূত্রঃ R. Worthington (DUKE Classics)-এর বই এবং আন্তর্জাল-এ লভ্য http://www.aesop-fable.com -এ ইংরেজী অনুবাদের ঈশপের গল্পগুলি।
গল্পক্রমঃ R. Worthington-এর বইয়ে যেমন আছে।
"ভুলে যা" "ভুলে যা" "ভুলে যা" বললেই কি কিছু ভোলা যায়? কোন্ বহুদূরের পাহাড়ের চূড়ার উৎস থেকে উৎপন্ন হয়ে, কত মাঠবন পার হয়ে, কোন্ সুখ-উঠানের পাশ দিয়ে কলকলিয়ে, কোন্ দুখ-পাথরের গায়ে হাত বুলিয়ে বুলিয়ে বয়ে যেতে থাকা ছলাৎছল নদীকে কি উৎসে ফিরে যা বললেই সে ফিরতে পারে?
শীতপাহাড়ী কুয়াশার ভিতরে একলা চুপচাপ
দাঁড়িয়ে থাকা এক দৃষ্টিহীন সরলগাছ
আমাকে বলেছিল, "জানো, দক্ষিণে বসন্ত এসে গিয়েছে?"
আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম, সে জানলো কেমন করে?
এখনও তো যাযাবর পাখিরা ফিরে আসে নি!
বাতাসের ভিতর অস্ফুট গানের মতন ফিসফিস করে
সে বললো,"ভাবছো আমি জানলাম কেমন করে?"
আমি ওর খসখসে বাদামী কান্ডের উপরে হাত রাখলাম,
[justify]
বইমেলায় এবার যেতে পেরেছি মাত্র একদিন। সেই অবসরেই যা পেরেছি, কিনেছি। তাড়াহুড়োয় আর প্রকাশনীর নাম মনে না থাকায় ইচ্ছে থাকলেও কিছু বই বাদ পড়ে গেছে কিনতে। হঠাৎ করেই সদ্য পড়া বইগুলোর রিভিউ করে ফেললাম। বই নিয়ে আলোচনা করতে ভালো লাগে। হয়তো বইমেলা থেকে কেনা অন্যান্য বইগুলো নিয়েও আলোচনা করবো সামনে।
নেমেসিস – মোঃ নাজিম উদ্দিন
কয়েকদিন আগে চরম উদাস লিখলেন বই চুরি নিয়ে। বইয়ের পিডিএফ আপলোড করে বিক্রি করা, এমনকি সেগুলো বিক্রি করা নিয়ে বেশ অসাধারণ একটা লেখা! তাই মনে হলো, মৌলিক বই চুরি করে নিজের নামে ছাপিয়ে দেয়ার ইস্যুটা নিয়েও লেখা দরকার।
শাং গ্রি লা কথাটা প্রথম উঠে আসে জেমস হিলটনের উপন্যাস লস্ট হরাইজন এ। তিবেতান হিমালয়ের এর দুর্গম অংশ, যেখানে আধুনিক মানুষের পা এখনো পড়ে নাই, সেইখানে আছে এক রহস্যময় উপত্যকা। ওইখানে মানুষের বয়স বাড়ে না, কোন অসুখবিসুখ হয় না। লোকজন আক্ষরিক অর্থেই অমর।