এখন এখানে বাতাস স্থির, রোদ্দুরের মধ্য দিয়ে ধোঁয়ার মতন কীযেন আকাশের দিকে উঠে যাচ্ছে। এই শুকনো গরমে সব কিছু কেমন পুড়ে পুড়ে ওঠে। অথবা আমার চোখেই সব দগ্ধ লাগে? লালচে বাদামী পর্দা দোলে চোখের সামনে?
[justify]
[justify]ছেলেটির নাম সান্তিয়াগো। ভেড়ার পাল নিয়ে যখন সে পরিত্যক্ত গীর্জার কাছে পৌঁছালো তখন গোধূলীর আবছায়া নেমে এসেছে চরাচরে। কালের আঁচড়ে জীর্ণ গীর্জার ছাদ ধ্বসে পড়েছে অনেক আগেই। এককালে যেখানে তোষাখানা ছিল, এখন সেখানে সগর্বে মাথা ঊঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে একটি সুবিশাল সাইক্যামোর গাছ।
বইটা যে ঠিক কীভাবে হাতে এসেছিল, আজ আর মনে নেই। বন্ধুর বড় বোনের বিয়েতে উপহার দেবার জন্য বোধহয় ‘তক্ষশিলা’ থেকে কিনেছিলাম বইটা, থার্ড ইয়ারে থাকতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী থেকে লেখকের “দিশি গান-বিলিতি খেলা” পড়ে বিষয়গুণে ও বিদগ্ধ বিটলেমিতে মুগ্ধ হয়েছিলাম। এবার বইয়ের নামটা আমার খামখেয়ালী মনে বেশ ভালো লাগায় কিনে ফেললাম। রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম বাসে কৌতুহলের বশে আর সময় কাটানোর জন্য বইটা খুল
জ্যোৎস্নারাতের ড্রইং খাতায় ফেলে আসি আমার নীল পালকের পাখিদের। আরো ফেলে আসি লালচে-বাদামী ভুলভ্রান্তির বিষাদ-দাগ, সাদা হয়ে নামা তুমুল বৃষ্টির ঝরোখার ওপারে হারিয়ে যাক ওরা। অবিশ্রান্ত বর্ষণে ধুয়ে যাক, ধুয়ে যাক ওদের সবকটি আঁচড়।
চৈত্ররাত্রির তারা-ছলছল অন্ধকারের ভিতর দিয়ে তোর পায়ের চিহ্ন খুঁজে খুঁজে হাঁটতে থাকি, হাঁটতে থাকি, হাঁটতে থাকি। এ অন্বেষণের কথা কেউ জানে না, কেউ জানবেও না কোনোদিন। শুধু আকাশ ধরে রাখবে স্মৃতি, দ্যুতিময় মেঘের ডানার ভিতরে, সঙ্গোপণে। ভোরে এসে তুই দেখবি পড়ে আছে নীলকন্ঠের পরিত্যক্ত পালক আর ম্লান রক্তকরবীর কঙ্কণ।
রাত্রির অন্বেষণকথা জানে না দিনের আলো
অবাক বাতাস তার কানে কানে বলে ইতিহাস,
তোমায় ক্ষমা করলাম।
যতটা দুঃখ দিয়ে তুমি
আমার বেঁচে থাকা কেড়ে নিলে
তার জন্য কিছুই বললাম না !
তুমি তোমার সোনার হরিণ নিয়ে
বেঁচে থাক চিরকাল
নিত্য নতুন গান নিয়ে
আর ছুটে আসব না !
[justify]
রেজওয়ান বলল, ‘ফারুকের বাসায় যাবি নাকি?’
আমি জবাব দিলাম না। আগের মতই সিগারেট টানতে টানতে নদীর দিকে তাকিয়ে রইলাম। স্রোত আসছে-যাচ্ছে। ব্রীজের উপর থেকে নদীটা অবশ্য পুরোপুরি দেখা যাচ্ছে না, অন্ধকারের সাথে কিছুটা অনুভব করে নিতে হয়। আমার বেশ লাগে। কতদিন এই নদী থেকে দূরে ছিলাম। এই নদীর দিকে চেয়ে থাকলে কেমন একটা হাহাকার ধ্বনি শুনতে পাওয়া যায়।