০,২ সবার জন্য । ১ সবাই নাও বুঝতে পারেন, সমস্যা হলে নিরাপদে বাদ দিয়ে ০ এর পর ২ তে চলে যান ।
০
আমি একসময় অরকুট, ফেসবুক সবখানে নিজের পরিচয় লিখতাম বাতিকগ্রস্থ মানুষ হিসেবে । সেই সময় মাথায় অনেক মজার মজার বাতিক চাপত । বাতিক চাপলে লাভ যা হয়, যেভাবেই হোক কাজটা করা হয়ে যায় । এই ব্লগে বহুদিন কোন বাতিকের কথা বলিনা, তাই আজকে পুরাতন একটা বাতিকের কথা লিখলাম ।
গতবার বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় বুয়েটে একট...
মা-বাবার প্রবল ইচ্ছের কারণেই তীব্র প্রতিবাদ করেও দেশের বাইরে পড়তে যাওয়াটা আমি প্রতিহত করতে পারিনি। কিন্তু সে পর্ব শেষে ফিরে আসার সময় শেষ মূহুর্তে আমার যে অভিজ্ঞতা হল তাই এখন আমিরাতের উড়োজাহাজে বসে আমি লিখছি।
আমাকে পড়তে পাঠানো হয় ভার্জিনিয়া টেক নামক এক বিশ্ববিদ্যালয়ে। এটি আমেরিকার ভার্জিনিয়ার ব্ল্যাক্সবার্গ নামক ছোট্ট গ্রামে অবস্থিত। এখানে আমার পাঁচ বছরের যাত্রা শেষে আম...
২
পাড়াটা মস্ত মাঠের মধ্যে। এ ধারে ওধারে ছড়ানো ছোটো ছোটো গোটা কয় বাড়ীঘর, বাড়ীগুলো ঘিরে ছোটো ছোটো ফল বা সব্জির বাগান, তাকে ঘিরে সীমানাবেড়া। পথঘাট কাঁচা, মাটির। অনেক পরে সেগুলোতে ইঁট ফেলা হয়। বাড়ী কম, মাঠই বেশী। এদিকে ওদিকে অনেক খেজুর গাছ, দু'খানা বটগাছ আর গোটা কয়েক পুকুর।
এত কম সংখ্যক বাড়ী থাকার জন্য সবাই সবাইকে চেনে, যাতায়াতও আছে সবার সব ...
পাশের বাড়ীর পক্ককেশ মুরুব্বী উৎসুক নয়নে অচেনা এক বিদেশীনির আগা-পাশ-তলা পর্যবেক্ষণ করে বললেন, “ তুই তো দেখা যায় একেবারে গোল্ডেন টিকেট হাত কইরা ফালাইলি”। তার পর পরদেশী এক ‘মেয়েলোক’কে গোল্ডেন টিকেট বলে ফেলার বালখিল্যতা ঢেকে দিতে আবাল বৃদ্ধ ভণিতা না করে যোগ করলেন, “ তোর বউ কলেমা কইতে জানে? নামাজ পড়ে ঠিক মতো?”
অযৌক্তিক, অপ্রাসঙ্গিক এবং একান্ত ব্যক্তিগত বোধ-বিশ্বাসের সাথে সম্পর্কি...
১
গড়ানে জমির উপর ঘাসফুলেদের লাল-নীল-বেগুনী-হলদে নকশা যতদূর চোখ যায় ছড়িয়ে আছে, কখন কোন্টা জ্বলজ্বল করে ওঠে, গল্পের সুতো খুঁজে পাওয়া যায়। আবার কখন হারিয়ে যায়, তখন আর নেই। কেমন অদ্ভুত মজার যাদু! ছড়ানো ঘাসজমিতে আগে পরে বলেও কি কিছু হয়? কোন্ ঘটনা আগে ঘটেছিলো, কোন্ টা পরে, পক্ষীদৃষ্টিতে দেখলে এই প্রশ্নের কোনো মানেই হয় কি?
ঐ তো দেখা যাচ্ছে এক গ্রীষ্মবিকেল। দেখা যাচ্ছে ফ্রকপরা পুতুলকে...
ঠিক জন্মের মুহূর্তে, আমাদের স্মৃতিতে সম্ভবত কোন তথ্য জমা পড়েনি। পড়লেও, সেই তথ্য, ছবি বা শব্দ উদ্ধারের ক্ষমতা আপাত-সাধারণ মানুষের নাই বললেই চলে। আমার কেন জানি মনে হয় স্মৃতিধর মানুষের জীবনের এটা একটা করুণ পরিহাস, সে নিজের সৃষ্টির মুহূর্তের কোন স্মৃতির সাক্ষী হতে পারে না। সেইসময়টিকে মনে করে কী অপার্থিব অনুভব হতে পারে, সেটা আমাদের কারোই জা...
৭৯ সালের প্রসন্ন এক সকালে নন্দিত শিশুসাহিত্যিক আলী ইমামের ঠাটারি বাজার বিসিসি রোডের বাড়িতে আড্ডা দিচ্ছি।আমাদের ওয়ারী হেয়ার স্ট্রিটের বাড়ি থেকে বিসিসি রোডের দূরত্ব হাঁটার মাপে পনেরো কুড়ি মিনিট।আলী ইমাম তখন আমার চোখে এক বিস্ময়।দ্বীপের নাম মধুবুনিয়া, অপারেশন কাঁকনপুর, তিতিরমুখীর চৈতা,শাদা পরি এইরকম কিছু বই লিখে পাগল করে রেখেছেন আমাদের।অসম্ভব জাদুকরী মায়াময় একটা ভাষা ভঙ্গি ...
কিছু কিছু জায়গা অকারনেই মনে গেথে যায়। নেপালের ভ্রমন কেমন যেনো মনে একটা রেশ রেখে গেছে। পোখরার সেই হোটেলের ঝলসানো তান্দুরীর ঠ্যাং, বাইরে লনে নেপালী মেয়েদের নাচ সাথে না বোঝা ভাষার পাহাড়ী গান, খোলা আকাশ, থালার মতো চাঁদ আর হিমালয়ের কোলে ঠেস দিয়ে বসে থাকা সদ্য তরুনী আমি।
এখন আবার পাহাড়ী শহর দিনান্তটা বেশ ভালো লাগছে। বেলজিয়াম আর ফ্রান্সের বর্ডারে। দুবার যাওয়া হলো। বাড়ির কাছে বলেই হয়...
ঘটনা ১৯৭৯ সালের।তার মানে আজ থেকে তিরিশ বছর আগে। তখনও বাংলা একাডেমীর মূল মঞ্চে একুশে ফেব্রুয়ারি ভোরে কবিতা পাঠের আসর বসতো।দেশের খ্যাতিমান কবিদের পাশাপাশি অনেক তরুণ এবং নবীন কবিও কবিতা পড়তেন সেই আসরে।তো সদ্যতরুণ আমারও ইচ্ছে হলো—যাই,একটা ছড়া পড়ে আসি।একুশে ফেব্রুয়ারি আসতে তখন আর মাত্র দুইদিন বাকি।খবর নিয়ে জানলাম আগে থেকেই নাকি নাম নিবন্ধন করতে হয়।অনেক স্বপ্ন নিয়ে বাংলা একাডে...
ভর চৈত্র মাস। সেই যে ফাল্গুনের পনের তারিখে সূর্যদেব মাথার ওপর উঠে বসে আছেন, আর নামার নাম নেই। ন্যাড়া চক-পাথার, ফসলহীন। চৈতালী উঠে গেছে। শুধু গম পড়ে আছে, পড়ে থেকে পেকে ঝনঝন করার পর তাদের কেটে আনা হবে। সকালে উঠে আমাদের বাড়ির সামনের বড় উঠোনে দাঁড়িয়ে সামনে তাকালে মাইল দেড়েক দূরের ত্রিভাগদি গ্রাম কেমন আবছা দেখা যায়, অথচ এই মাত্র কিছুদিন আগেই শীতের সকালে এই উঠোনে দাঁড়িয়ে চোখ মেললে একধ...