Warning: Creating default object from empty value in theme_img_assist_inline() (line 1488 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/img_assist/img_assist.module).

যত্রতত্র কয়েকছত্র ০২ > একুশে ফেব্রুয়ারি সকালে বাংলা একাডেমীর কবিতা পাঠের আসরে

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি
লিখেছেন লুৎফর রহমান রিটন (তারিখ: শনি, ০৬/০৬/২০০৯ - ১:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঘটনা ১৯৭৯ সালের।তার মানে আজ থেকে তিরিশ বছর আগে। তখনও বাংলা একাডেমীর মূল মঞ্চে একুশে ফেব্রুয়ারি ভোরে কবিতা পাঠের আসর বসতো।দেশের খ্যাতিমান কবিদের পাশাপাশি অনেক তরুণ এবং নবীন কবিও কবিতা পড়তেন সেই আসরে।তো সদ্যতরুণ আমারও ইচ্ছে হলো—যাই,একটা ছড়া পড়ে আসি।একুশে ফেব্রুয়ারি আসতে তখন আর মাত্র দুইদিন বাকি।খবর নিয়ে জানলাম আগে থেকেই নাকি নাম নিবন্ধন করতে হয়।অনেক স্বপ্ন নিয়ে বাংলা একাডে...
ঘটনা ১৯৭৯ সালের।তার মানে আজ থেকে তিরিশ বছর আগে। তখনও বাংলা একাডেমীর মূল মঞ্চে একুশে ফেব্রুয়ারি ভোরে কবিতা পাঠের আসর বসতো।দেশের খ্যাতিমান কবিদের পাশাপাশি অনেক তরুণ এবং নবীন কবিও কবিতা পড়তেন সেই আসরে।তো সদ্যতরুণ আমারও ইচ্ছে হলো—যাই,একটা ছড়া পড়ে আসি।একুশে ফেব্রুয়ারি আসতে তখন আর মাত্র দুইদিন বাকি।খবর নিয়ে জানলাম আগে থেকেই নাকি নাম নিবন্ধন করতে হয়।অনেক স্বপ্ন নিয়ে বাংলা একাডেমী ভবনে হাজির হলাম নিজের নামটা তালিকাবদ্ধ করতে।এই কাজটির দায়িত্বে তখন মুহম্মদ নূরুল হুদা।কবি তিনি।তাঁর কক্ষটি খুঁজে পাওয়া গেলেও তাঁকে পাওয়া গেলো না।খুঁজে খুঁজে খুঁজে খুঁজে অবশেষে তাঁর এক সহকর্মীর কক্ষে তাঁকে আবিস্কার করা গেলো।আমি আমার আগমনের হেতু বয়ান করার পর আমাকে হতাশ করে দিয়ে তিনি বললেন—নাম নিবন্ধনের সময় পার হয়ে গেছে। গতকাল পর্যন্ত ছিলো।আপনি দেরী করে ফেলেছেন।ওকে নেক্সট টাইম। আগামী বছর সময় মতো আসবেন।বলতে বলতে তিনি খোশগল্পে ফিরে গেলেন সহকর্মীর সঙ্গে।আমি তারপরেও খুব বিনীত ভংগিতে অনুরোধ করলাম—আসলে আমি ঠিক জানতাম না গতকাল লাস্ট ডেট ছিলো।হুদা ভাই কাইন্ডলি যদি আমার নামটা......।
হুদা ভাই বিরক্ত হলেন—যান তো ভাই, ব্যস্ত আছি।
খুব মন খারাপ করে বাংলা একাডেমী থেকে বেরিয়ে এলাম।আহারে মাত্র পনেরো ষোলো ঘন্টার জন্য মিস করলাম।বাংলা একাডেমী থেকে বেরিয়ে শিশু একাডেমীর পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি।নিজেকে খুব বঞ্চিত মনে হচ্ছিলো।তো বঞ্চিতদের চেহারায় একটা বঞ্চিত বঞ্চিত ভাব থাকে।আমার অজান্তেই সদা হাস্যোজ্জল আমার চেহারাতেও ভর করে আছে সেই বঞ্চিত বঞ্চিত ভাবটা।এমন সময় সেই পথে উদয় হলেন আবু সালেহ।আমাদের ছড়াকারদের অলিখিত লিডার তখন তিনি।কথায় কথাই সালেহ ভাই জানতে চাইলেন—ঘটনা কি?তুমি কি বিমর্ষ?
আমি আমার সাম্প্রতিক বঞ্চনার ইতিহাস সালেহ ভাইকে বলবার সময় চেহারায় সেই বঞ্চিত বঞ্চিত ভাবটা যথাসম্ভব ধরে রাখতে সচেষ্ট হলাম।এবং সফলকামও হলাম।সালেহ ভাই বললেন—আরে এইটা কোনো ব্যাপার হলো?তালিকায় তোমার নাম নেই তো কি হয়েছে?আমার নাম তো আছে।আমাকে যখন পড়তে দেবে তখন আমি মাইকে তোমার নামটা নিজেই ঘোষণা করে দেবো।হুদার বাবার সাধ্য নাই আমাকে ঠেকায়।
--তাহলে সালেহ ভাই আমি একা কেনো আরো কয়েকজন ছড়াকারও ছড়া পড়ুক না এই সুযোগে!
--ভালো বলেছো তো। কিন্তু এইগুলারে পাবা কোথায় এই অল্প সময়ে?
--আমি এইগুলারে যোগাড় করে ফেলবো সালেহ ভাই।আপনে চিন্তা করবেন না।
আমি আর সালেহ ভাই যৌথভাবে দশজন তরুণ ছড়াকারের নাম প্রাথমিক ভাবে নির্বাচন করলাম। সিদ্ধান্ত হলো একুশে ফেব্রুয়ারি সকাল আটটার ভেতরে এই দশজন ছড়াকারসহ আমাকে উপস্থিত থাকতে হবে বাংলা একাডেমীর মূল ফটকের আশেপাশে।দুইদিন ধরে এইখানে ওইখানে হানা দিয়ে দিয়ে দশজন ছড়াপাঠাগ্রহীকে যোগাড় করা হলো।এবং একুশে ফেব্রুয়ারি আমরা হারাধনের দশটি ছেলে সকাল আটটার ভেতরেই উপস্থিত হলাম বাংলা একাডেমীতে।কিন্তু সালেহ ভাইয়ের দেখা নেই। মঞ্চ আলো করে বসে থাকা বিখ্যাত কবিদের পাশে নেই,মূল ফটকের আশপাশে নেই, এমনকি মিছিল করে যে মানুষ আসতে আছে যমুনার বানের লাহান—সেখানেও নেই।এখন হারাধনের নয়টি ছেলের হাত থেকে আমাকে উদ্ধার করবে কে? ওদিকে মঞ্চের কবিরা একে একে পাঠ করে যাচ্ছেন কবিতার পর কবিতা।অনুষ্ঠান পরিচালনা করছেন কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।তাঁর পাশে কবি রফিক আজাদ,আসাদ চৌধুরী এবং আরো অনেক বিখ্যাত সব কবির সঙ্গে অল্পখ্যাত নবীন কবির বিরাট এক বাহিনী।ঘড়িতে সাড়ে আটটা।সালেহ ভাইয়ের দেখা নেই।ঘড়িতে পৌণে ন’টা। সালেহ ভাই নেই।ঘড়িতে ন’টা বাজতে পাঁচ মিনিট বাকি—অবশেষে খুব আয়েসী ভংগিতে হেলতেদুলতে সালেহ ভাইয়ের ‘অনুপ্রবেশ’ ঘটলো বাংলা একাডেমীতে।
--এতো দেরী করলেন সালেহ ভাই?
দেরীতে আসার জন্যে একটুও বিচলিত না হয়ে সালেহ ভাই বললেন—তুমি কোনো চিন্তা করো না তো।কবিরা সকাল সকাল উঠে বসে থাকে।ছড়াকাররা একটু দেরীতেই ওঠে।আমাদের সবার সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পর সালেহ ভাই বললেন—দ্যাও তোমাদের দশজনের নাম একটা কাগজে লিখে আমাকে দ্যাও।
দিলাম।
সালেহ ভাই বললেন—এইবার এই তালিকাটার আরেকটা কপি করো।
করলাম।
--এইবার এই দ্বিতীয় কপিটা তুমি হুদারে দ্যাও।দিয়ে বলো যে তোমরা এই দশজন ছড়া পড়তে চাও আজকে।
আমিও সালেহ ভাইয়ের নির্দেশ শিরোধার্য মেনে মঞ্চ লাগোয়া গ্রীণ রুমে গিয়ে হাজির।উঁচু মঞ্চের সিঁড়ির পাশে একাডেমীর কয়েকজন কর্মচারী-কর্মকর্তা কঠিন স্বেচ্ছাসেবকের সুকঠিন ভূমিকা পালনে ব্যস্ত।তাদের চোখ এড়িয়ে মানুষ তো মানুষ একটা মাছিও মঞ্চে উঠে যেতে পারবে না।কবি ঠেকানোর এরকম ভয়াবহ ব্যাবস্থাপনার ভেতরেও আমি নিচে দাঁড়িয়েই এক পর্যায়ে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হলাম।মহা বিরক্তির সঙ্গে তিনি এগিয়ে এলেন মঞ্চের কোণায়—দেখুন আমি তো আপনাকে আগেই বলেছিলাম এইবার হবেনা।তাও আপনি এসেছেন?প্লিজ আমাকে কাজ করতে দিন।
আমি লিডার আবু সালেহর শিখিয়ে দেয়া বুলি ডেলিভারি দিলাম—আমরা এই দশজন আজকে ছড়া পড়তে চাই।এই যে এখানে দশজনের নাম লেখা আছে।
আমার সরবরাহকৃত তালিকাটা হাতে নিতে নিতে মহা বিস্ময়ের সংগে উচ্চারণ করলেন তিনি—নিজেরই হয়না আবার দশজন!যান তো ভাই, যান যান......বলতে বলতে তিনি মঞ্চে নিজের আসনে গিয়ে বসলেন।
পূর্বনির্দেশ মোতাবেক আমি ফিরে এলাম দর্শক সারিতে।দর্শক সারির প্রথম কাতারেই বসে ছিলেন সালেহ ভাই।আমাকে অদূরে দেখতে পেয়ে ইশারায় ডাকলেন।গেলাম।আমার চেহারায় সেই বঞ্চিত বঞ্চিত ভাবটা আবারো ফিরে এসেছে।সালেহ ভাই তাঁর পাশেই আমাকে বসালেন।ঘটনা শুনলেন।তারপর তাঁর অন্যপাশে বসে থাকা প্রবীন এক ভদ্রলোকের সংগে অতি হাস্যমুখে আলাপ শুরু করলেন।এতোক্ষণ খেয়াল করিনি সালেহ ভাইয়ের পাশে বসা ভদ্রলোকটি আশরাফ সিদ্দিকী।ডক্টর আশরাফ সিদ্দিকী।বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক।ডক্টর আশরাফ সিদ্দিকীকে সালেহ ভাই বললেন—আপনাদের এই কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান তো খুবই সুন্দর হচ্ছে!
--সালেহ তুমি ঠিকই বলেছো।এতো মানুষ কবিতা শুনছে!ভাবা যায়?
--কিন্তু এই সুন্দর অনুষ্ঠান আর সুন্দর থাকছে না......সালেহ ভাইয়ের কণ্ঠে দৃঢ় প্রত্যয়দৃপ্ত উচ্চারণ।শুনে যেনো নিজের কানকেই বিশ্বাস হচ্ছে না এমন ভঙ্গিতে মহাপরিচালক বললেন—কি বললে তুমি?
আগের চাইতে আরো গভীর নির্লিপ্ততায় রিপিট করলেন সালেহ ভাই--এই সুন্দর অনুষ্ঠান আর সুন্দর থাকছে না।
--কেনো, কি হয়েছে? সমস্যা কি?
আমাকে দেখিয়ে এইবার সমস্যাটা বয়ান করলেন সালেহ ভাই—এই যে আমাদের খুব প্রমিজিং ছড়াকার রিটন। ও এখানে ছড়া পড়তে চায়। দুইদিন আগে হুদার কাছে নাম নিবন্ধন করতে এসেছিলো। হুদার বাচ্চা ন্যায় নাই।বলেছে দেরী হয়ে গেছে।
--হ্যাঁ, হুদা তো ঠিকই বলেছে।আঠারো তারিখ পর্যন্ত সময় ছিলো।
--কিন্তু এদের ছড়া পড়তে দিতে হবে।
--এদের মানে? একটু আগে না বললা শুধু ওর কথা!
--হ্যাঁ, প্রথমে তো ও একাই ছিলো। এখন দশজন হয়ে গেছে।
--কিন্তু এটা কি করে সম্ভব সালেহ?কি করে সম্ভব?
সালেহ ভাই বললেন,--সম্ভব।আমার নাম তো হুদাকে ঘোষণা করতেই হবে, কারণ আমার নামের নিবন্ধন করা আছে। হুদা আমার নাম ডাকার পর আমি ছড়া পড়তে উঠে মাইকে এই যে এই তালিকাটা,(হাতের মুঠোয় ধরে রাখা কাগজের টুকরোটি দেখিয়ে) এই তালিকাটা পড়ে এদের সবাইকে একসঙ্গে মঞ্চে ডাকবো। আমার পরে এরা একে একে ছড়া পড়তে থাকবে।আমাকে বাঁধা দিতে গেলেই তো হুলুসস্থুল কাণ্ড বেঁধে যাবে।কারণ মাইক্রোফোন তো তখন আমার হাতে!এখন একবার দৃশ্যটা ভাবেন তো আশরাফ সিদ্দিকী সাহেব,মঞ্চে আমরা এগারোজন আর হুদার বাচ্চা হুদা......
হতভম্ব ডক্টর আশরাফ সিদ্দিকী ছড়াকার আবু সালেহর হাত থেকে তালিকাটা নিয়ে—কী যে ঝামেলা করো না তোমরা বলতে বলতে একটু ল্যাংচানো ভংগিতে হাঁটতে হাঁটতে মঞ্চের সামনে গেলেন। মহাপরিচালককে তাঁর আসন থেকে মঞ্চের দিকে এগিয়ে যেতে দেখে মুহম্মদ নূরুল হুদা মঞ্চের শেষ সীমানার কাছে ঝুঁকে পড়লেন।মহাপরিচালক হাত নেড়ে নেড়ে কি সব বললেন। তারপর টুকরো কাগজে লেখা তালিকাটি তাঁর হাতে সমর্পন করলেন।এবং আধাবিষণ্ন আধা প্রসন্ন মুখে ফিরে এসে সালেহ ভাইকে বললেন—হুদা এখনি ডাকবে।যাও ছড়া পড়ো। কিন্তু একটার বেশি পড়বা না।কবিদের বিশাল লিস্টি নিয়া বসছে হুদা,হুদার মাথার ঠিক নাই এখন।
কিন্তু হুদার মাথা ঠিকই ছিলো।কারণ কিছুক্ষণ পরেই তিনি মাইকে ঘোষণা করলেন—এখন আমি কয়েকজনের নাম ঘোষণা করবো যাঁরা নিজেদের কবি নয়,ছড়াকার বলে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। এঁরা হচ্ছেন অমুক অমুক অমুক এবং লুতফর রহমান রিটন।প্রথমেই ছড়া পড়বেন......বলে তিনি তালিকার সবচে নিচে থাকা আমার নামটাই ঘোষণা করে বসলেন।
হারাধনের দশটি ছেলের কয়েকটা ইতোমধ্যে পরিস্থিতি অনুকুলে নয় বিবেচনা করে এদিক-ওদিক সটকে পড়েছিলো। আমি সবাইকে জড়ো করার সুযোগই পেলেম না,মাইকে আমার নাম ঘোষিত হয়ে গেছে।এক দৌঁড়ে মঞ্চে উঠে গেলাম।বাংলা একাডেমী লোকে লোকারণ্য।শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে পুলিশের নির্দেশিত পথ ধরে এগিয়ে এলে এমনিতেই বাংলা একাডেমীর সামনে দিয়েই যেতে হয়।আর যাবার সময় ভেতরে কি হচ্ছে তা দেখার কৌতূহলজনিত কারণে খামোখাই লোকজন হুড়মুড় করে ঢুকে পড়ে বাংলা একাডেমীতে।বই কিনতে কিংবা কবিতা শুনতে আসেনা প্রায় কেউই।কিন্তু মঞ্চের সামনে সামিয়ানা আছে এবং ওখানে সারি সারি চেয়ার পাতা আছে সুতরাং হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত বাঙালি একটু জিড়িয়ে নিতে, পদযুগলকে একটু প্রশান্তি দেবার মানসে টপাটপ বসে পড়ে চেয়ারগুলিতে।আর সে কারণেই হাউজফুল পরিস্থিতি বাংলা একাডেমীর কবিতা পাঠের আসরটিতে।
মঞ্চে দাঁড়িয়ে পকেট হাতড়ে দেখি গত ঘন্টা দেড়েকের উত্তেজনা আর টেনশনে আমার ছড়াটাই ফেলেছি হারিয়ে! কী আর করা। সম্প্রতি লেখা একটা ছড়া মুখস্ত ঝেড়ে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়ে সমবেত জনতার উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলাম—কনতো দেহি আইজকা দ্যাশে/সবচে শরীল তাজা কার?জনগণ জবাব দেবে কি আমিই জবাব দিলাম—যেই শালারা রাজাকার!
আর যায় কোথায়, লাইনটা বলার সঙ্গে সঙ্গে মানুষজন ফেটে পড়লো উল্লাসে।ওদের সমবেত উল্লাসধ্বনি আমার ভেতরের চেতনাগত স্পিরিটটাকে মুহূর্তেই গুণ গুণ বহুগুণ বাড়িয়ে দিলো।অতঃপর আমি স্মৃতি হাতড়ে পরের পংক্তিটি আওড়ালাম—পাল্টে লেবাস কোন ব্যাটারা/আজ সমাজে পায় কদর?/যেই শালারা আলবদর!
বলবার সঙ্গে সঙ্গেই অভাবনীয় কাণ্ড!সমবেত জনতার উল্লাসধ্বনির ভেতরে দর্শক সারিতে সামনের আসনে বসে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক উঠে দাঁড়িয়ে করতালিতে ফেটে পড়লেন।আর তাঁর দেখাদেখি অন্যান্য আসনে উপবিষ্ট লোকজনও উঠে দাঁড়ালেন করতালি দিতে দিতে।সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য।সামিয়ানার শেষ দিকটায় চলমান জনতার ভিড়টা দুধের সরের মতো ঘন হয়ে কেমন যেন থমকে গেছে।কেউ নড়ছে না,হাঁটছে না।
এরপর আমার ছড়ার পরের পংক্তি—গদির পাশে বইছে ক্যাডা?/পান খাওয়া মুখ যা লাল রে!—একাত্তুরের দাদাল রে।
পড়া মাত্রই হাজার হাজার মানুষের উল্লাস যেনো আর থামতেই চায়না।আমাকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো।
অতঃপর পাঠ করলাম আমার ছড়ার শেষ স্তবক— আপনেরা কন ঊনাশিতে/আমরা অগো কি করুম?/--ভাইজা তেলে ঘি করুম!
মানুষের সে কী প্রতিক্রিয়া!মানুষের ভেতরের জমাট বাঁধা ক্ষোভ-ঘৃণা আর প্রতিরোধের চেতনাকে ছড়াটার ছন্দ আর বক্তব্য মিলে প্রবল এক ঝাঁকুনি দিয়েছে।দীর্ঘ দিনের পাথরচাপা সময় তাদের ভেতরে সৃষ্টি করেছিলো নৈরাশ্যের দমবন্ধ এক গুমোট পরিস্থিতির।সেই পাথরচাপা সময়ের আগল যেনো ভেঙ্গে গেলো।ওয়ান মোর ওয়ান মোর বলে ফেলেছিলো কয়েকজন কিন্তু একুশে ফেব্রুয়ারির কথা চিন্তা করেই বোধ হয় বাক্যটার বাংলা অনুবাদ হয়ে গেলো দ্রুত—আবার পড়েন আবার পড়েন ধ্বনিতে।
এবং আমাকে পুনরায় পড়তে হলো ছড়াটা!
আমার পরে একে একে ছড়া পড়লেন আবু সালেহ,আমীরুল ইসলাম,আসলাম সানী,সৈয়দ আল ফারুক,সরকার জসীম,আবু হাসান শাহরিয়ার,আবদুর রহমান,আনওয়ারুল কবীর বুলু, সৈয়দ নাজাত হোসেন, খালেক বিন জয়েনউদ্দীন।প্রত্যেকেই মাতিয়ে রাখলেন সময়টা বিচিত্র সব বিষয়ের ওপর বৈচিত্র্যময় ছড়া পাঠ করে।আমাদের ছড়াকারদের পড়া শেষ হলে আবারো শুরু হলো কবিদের কবিতা পাঠ।প্রথমেই নাম ঘোষিত হলো জাহিদ হায়দারের।জাহিদ হায়দার তাঁর কবিতার কয়েকটি চরণ পড়ার পর দর্শকদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়লেন---ছড়া শুনতে চাই, ছড়া শুনতে চাই, আরো ছড়া......।
পরিস্থিতি সামাল দিতে মুহম্মদ নূরুল হুদা ঘোষণা করলেন কবি আসাদ চৌধুরীর নাম।চমৎকার চেহারা অপরুপ কণ্ঠস্বর আর অসাধারণ বাচনভঙ্গির সমন্বয়ে আসাদ ভাই পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে ছোটোখাটো একটা বকৃতাও দিয়ে ফেললেন।আমাদের প্রতি বিপুল প্রশংসাবাণী উচ্চারণ করে আসাদ ভাই বললেন—রিটনদের পরে কবিতা পড়তে যাওয়াটা খুবই বিপজ্জনক।বলেই আসাদ ভাই তাঁর অনন্যসাধারণ কণ্ঠ ও ভঙ্গিমায় ‘সত্য ফেরারী’ পাঠ করে দর্শক শ্রোতার মন জয় করে ফেললেন।পরিস্থিতি কবিদের আরো বেশি অনুকূলে নেবার দায়িত্ব এবং তাগিদে আসাদ ভাই পড়লেন আরেকটি কবিতা—ওদের হাতে ঘড়ি তো নেই সূর্য হলেন ঘড়ি/কয়েক ছটাক চালের ডালের/....মরিচ লবণ আনাজপাতির/ যোগাড়যন্ত্র করতে করতে করতে......(স্মৃতি থেকে লিখছি)।
এই কবিতার শেষ শব্দ—করতে করতেটা আসাদ ভাই আপন কণ্ঠস্বরেই ইকো ইফেক্ট ইম্পোজ করলেন অপরূপ ক্যারিশম্যাটিক দক্ষতায়।এবং করতে করতে করতে করতে উচ্চারণ করতে করতে আসাদ ভাই মাইক্রোফোন থেকে মুখটা একটা নির্দিষ্ট রিদমে আস্তে আস্তে সরিয়ে নিলেন।আর তাতে করে মনে হলো লোকটা মানে কবিতার সেই চরিত্রটা ক্রমশঃ অনেক দূরবর্তী কোনো পাহাড়ের গুহায় মিলিয়ে গেলো! আমি আমার পরবর্তী জীবনে আর কোনোদিন আসাদ ভাইয়ের এইরকম অলৌকিক জাদুকরী পারফরম্যান্স দেখিনি।কবিদের মর্যাদা রক্ষায় আসাদ ভাই সেদিন তাঁর সমস্ত মেধা এবং সর্বোচ্চ শক্তির প্রয়োগ করেছিলেন।সেই থেকে আসাদ ভাইয়ের সঙ্গে আমার চিরকালের খাতিরের একটা চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হয়ে গেলো।কিন্তু মুহম্মদ নূরুল হুদার সঙ্গে সম্পর্কটা আর ব্যাটে-বলে হয়নি, হলো না।যদিও একটা মর্যাদাপূর্ণ হাই-হ্যালোর দূরত্ব আমরা মেইনটেইন করে যাচ্ছি আজও।
ছড়া প্রসঙ্গে ফিরে যাই।আমরা ছড়াকাররা ছড়া পাঠ শেষে মঞ্চ থেকে বিজয়ীর বেশে নেমে এলাম।মুহম্মদ নূরুল হুদা আমার দিকে ভালো করে তাকালেন না পর্যন্ত।আর পাবলিক যে কতোরকম ভাবে তাদের ভালোলাগা আর ভালোবাসা প্রকাশ করলো! সে আরেক কাহিনী।
সালেহ ভাই মহা খুশি।বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক ডক্টর আশরাফ সিদ্দিকী আমাকে লোক মারফত ডেকে নিয়ে বললেন—তুমি তোমার বন্ধুদের নিয়ে কয়েকদিন পরে এসে একটা চেক নিয়ে যেও।
আমি তো অবাক,--কিসে চেক স্যার?
তিনি বললন—এইটা লেখক সম্মানী।
সপ্তাহ খানেক পর নূরুল হুদার নাকের ডগা দিয়ে একশো (নাকি পঁচাত্তর!) টাকার একটা চেক নিয়ে এলাম।


মন্তব্য

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

স্যালুট বস...

যত্রতত্র কয়েকছত্র
পড়িতে চাই দিবারাত্র দেঁতো হাসি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

অলাইকুম স্যালুট।

পড়িতে চাই দিবারাত্র

আমি কি আর থামিবার পাত্র?

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

স্পর্শ এর ছবি

পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিলো আমি নিজেও সেই মঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে দেখছি আপনাদের!!
সেইসব উত্তেজনা যেন গ্রাস করেছে আমাকেও! মন্তব্যের ঘরে কিছুতেই লিখে প্রকাশ করতে পারছিনা সে অনুভুতি।
শুধু আপনাকে হাজার সালাম।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

আপনার সহমর্মিতার স্পর্শে আমিও প্রাণিত হলাম স্পর্শ।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

রেনেট এর ছবি

ধুরো! পড়া শেষ করে লগইন করে দেখি স্পর্শ ব্যাটা অক্ষরে অক্ষরে সব বলে দিয়েছে হুবহু।
চমৎকার অভিজ্ঞতা।
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

ধন্যবাদ।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

আরিফ জেবতিক এর ছবি

এসব গল্পের কিছু কিছু আমীরুল ভাইয়ের মুখে শুনেছি মাঝে মাঝে। অনেকবার বলেছিলাম এগুলো কোথাও লিখে রাখতে।

আপনার মুখে শুনতে পেয়ে চমৎকার লাগছে।
আরেকটা কথা বলাটা বেয়াদবী হয়ে যায় কি না বুঝতেছি না তবু বলার লোভ সামলাতে পারছি না।
রিটন ভাই যদি গদ্যে নিয়মিত হতেন তাহলেও চমৎকার একটা ব্যাপার হতো। পুরো বর্ণনা চোখের সামনে ভাসে।
--

আপনার আর আমীরুল ভাইয়ের একটা যৌথ ছড়ার বই ছিল"রাজাকারের ছড়া।" ৮৯ সালে কিনেছিলাম।
এখনও বাসায় আছে....কুড়ি বছর পরে সেই ছড়াকারের মুখে ছড়ার গল্প শুনতে পাব, কে ভেবেছিল!

জীবন আসলেই বড্ড মজার।

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

হ্যাঁ, আমীরুল আর আমি একসঙ্গে অনেক কিছু(কাজ)করেছি।
......
গদ্য তো লিখতে চাই কিন্তু গদ্য লেখাটা আমার কাছে কোদাল দিয়ে মাটি কাটার মতো শ্রমসাধ্য মনে হয়। কি করে যে পারো তোমরা! এতো গদ্য লেখো ক্যামনে মিয়া?

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

সিরিজ চলুক , সাথে আছি ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

ধন্যবাদ।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

বাউলিয়ানা এর ছবি

জটিলস্য জটিল
হাসি

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

কোনো জটিলতা নাই। সব ফকফকা।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

নিবিড় এর ছবি

দারুন লাগল, দারুন


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

থ্যাংক্স।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

হঠাৎ কি হইলো বস?

একেকটা অগ্নিবাণ মেরে যাচ্ছেন! কাহিনীগুলা রোমান্চকর সন্দেহ নাই। সিনেমার মতোন! তবে একটু ঝাঁঝালো, মানে ব্যক্তিগত ঝাঁঝে পুড়ছে। মনটা কি বিলা হইয়া আছে?

লেখার কথা কি আর কমু
তাঁরা দিয়াই ক্ষান্ত হমু।
কইতে গিয়া ভ্রান্তি হলে
পাশ কাটামু কোন্ সে ছলে?
তার চে ভালো ৫ তাঁরা দেই
তার বেশি তো উপায়-ই নেই!

দেঁতো হাসি

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

সিনেমার মতোন! তবে একটু ঝাঁঝালো, মানে ব্যক্তিগত ঝাঁঝে পুড়ছে। মনটা কি বিলা হইয়া আছে

আমি কিন্তু জন্মের বিলা আরেফীন। বিলা পার্টি হিশেবেই পরিচিত ছিলাম।এই কারণে জীবনে কাফফারাও কম দিই নাই। আর ব্যক্তিগত ঝাঁজের কথা বললা?আসল ঝাঁজ তো এখনো প্রকাশই করি নাই!

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

ব্যাপার নাহ্ .... .... চালায়া যান। পড়তে আরাম হচ্ছে। ঝাঁঝের পুরোটাই দেখতে চাই হাসি

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

ব্যাপার নাহ্ ....

অবশ্যই ব্যাপার।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

অনার্য্য সঙ্গীত [অতিথি] এর ছবি

২০০১ সালে কন্ট্রিবিউটিং করতাম আজকের কাগজে। তার কিছুদিন আগে নাইমুল ভাই (নাইমুল ইসলাম খান) আবার জয়েন করেছেন। রোজ রোজ বিজ্ঞাপন যায়, 'সেই নাইমুল ইসলাম খান আর একঝাঁক তরুন সাংবাদিক বদলে দিয়েছেন আজকের কাগজ'। সঞ্জীব দা তখন ফিচার বিভাগের দ্বায়িত্বে। সেই সময়ের ফান ম্যাগাজিন 'ফাটাফাটি'তে দু'একটা ছড়া লেখার চেষ্টা করতাম ! গ্রাম থেকে এসে ঢাকার পরিবেশ তখন আমি 'আন্ডা বাচ্চা'। দু'একটি ছড়া যে ছাপা হত, সেও সম্ভবত ছড়া না ছাপলে আমি চিৎকার করে কাঁদি কিনা সেই ভয়ে। যে মানুষটি 'ক্যাসেটে' গান গায় তাকে দেখছি সামনা সামনি (সঞ্জীব চৌধুরি), বেঁচে আছি না মারা গেছি সন্দেহ হয়! মাঝে একদিন দেখলাম তারিন আর সোহেল আরমান ও অফিসে আসলো! গ্রামে গিয়ে 'অকাট মূর্খ' বন্ধু বান্ধবদের এই গল্প বলে কিভাবে বীরত্ব জাহির করব সেই ভাবনায় বুক ফুলে ওঠে...

রিটন ভাই, সেই সময়ে আপনার ছড়া ছাপা হত। সিনিয়রদের কাছে গল্প শুনে শুনে আপনাকে পৃথিবীর কেউ মনে হত না! মনে হত বুঝি আপনি হেঁটে গেলেও ছিটকে ছুটকে ছড়া পড়তে থাকে আপনার গা বেয়ে...!

পত্রিকায় কাজ করা থামেনি। পত্রিকার নামে-ভারি পদেও বসেছি কিভাবে জানি! কতো স্টার/ইসটার দেখলাম। সদ্য ম্যট্রিক পাশ করা অনুভুতিগুলোও বদলেছে অনেক। আপনার প্রতি অনুভূতিগুলো এখনো বদলায়নি রিটন ভাই। এখনো আপনাকে দেখলে 'হা' করে তাকিয়ে থাকি...

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

ওরে ভাই আমার প্রতি আপনার অনুভূতিগুলো এখনো বদলায়নি জেনে খুশি হলাম।
ভালো থাকবেন

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

মুস্তাফিজ এর ছবি

আমার ভাগ্য, আমি তখন সেখানে ছিলাম। তারও কয়েক বছর পরে (সালটা মনে নেই) সেসময় শহীদ মিনারে ছবিটানানোর যুদ্ধ চলতো, আগেরদিন আসলাম সানী ঐ যুদ্ধ্বে পেটে চাকুর খোঁচা খেয়ে সকালে ব্যান্ডেজ বেঁধে বাংলা একাডেমীতে ছড়া শুনিয়েছিলো।

...........................
Every Picture Tells a Story

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

আপনি সেদিন ওখানে ছিলেন মুস্তাফিজ ভাই!
সানী চাকুর আঘাতে আহত হয়ে পেটে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় ছড়া পড়তে এসেছিলো। সেদিনও আমরা একসঙ্গে ছড়া পাঠ করেছিলাম।
আপনি কি তখনো ছবি তুলতেন?

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

মুস্তাফিজ এর ছবি

না ভাই, তখন ফটো তোলার কথা মাথাতেই ছিলো না। তবে শহীদ মিনারে যেতাম ছবি তুলতে। দুই সৈনিকের ছবি নামিয়ে নেতার ছবি তুলতাম।

...........................
Every Picture Tells a Story

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

খুবই জঘণ্য প্রবণতা এবং কুৎসিত প্রতিযোগিতা ছিলো ওটা।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

সবজান্তা এর ছবি

দুর্ধষ রিটন ভাই...

সাসপেন্সটা যেন একদম প্রতিটা লাইনের সাথে সাথে নিজেই অনুভব করছিলাম... আপনার গদ্য এর আগে তেমন পড়া হয়নি, শুধু ছড়াই পড়েছি। কিন্তু আজকাল সচলে আপনার অসাধারণ গদ্য পড়ে মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি !


অলমিতি বিস্তারেণ

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

ধন্যবাদ, সবজান্তা।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

হাসান মোরশেদ এর ছবি

দুর্ধর্ষ হাসি
রিটন ভাই'র এই সিরিজটা সচলায়তনের মনি-মুক্তোর ভান্ডারের অন্যতম সংগ্রহ হয়ে থাকবে।

আবু হাসান শাহরিয়ার তাহলে '৭৯ তে ছড়াকার হিসেবেই পরিচিত ছিলেন?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

ধন্যাবাদ তোমাকে হাসান মোরশেদ।
......
হ্যাঁ, ও তখন ছড়াকারই হতে চেয়েছিলো।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

সুমন চৌধুরী এর ছবি

'৭৯ তে আমি শিশু। একুশের কবিতা পাঠের আসরের প্রথম ঝাপসা স্মৃতি ১৯৮৩ সালের। ১৯৯৩ থেকে আর শোনা হয় নি। কবিতা পাঠের সেই আসরগুলির আসল উত্তেজনা টের পেয়েছিলাম লেজেহোমো'র আমলে। আর সেই উত্তেজনার আসল আকর্ষন ছিলেন আপনি।

এই রকম বোমবাস্টিং পোস্টের জন্য আপাতত ফাইভ স্টার ছাড়া কিছু দিতে পারলাম না।



অজ্ঞাতবাস

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

আরে সুমন চৌধুরী আপনি আমাকে লেজেহোমোর আমলের সেই ভয়াবাহ দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দিলেন। এই বদমাশটার পেছনে আমার কতো শ্রম আর মেধার যে অপচয় হয়েছে তখন!
......

এই রকম বোমবাস্টিং পোস্টের জন্য আপাতত ফাইভ স্টার ছাড়া কিছু দিতে পারলাম না।

ফাইভ স্টার ছাড়া অন্য কোনো হোটেলে খামু না সুমন। পাওনা থাকলো।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

লেজেহোমোর আমলের সেই ভয়াবাহ দিনগুলোর কথা

ঐ আমলের কথা তো মনে নাই। মনে আছে লেজেহোমোর পতনের সময়কার কথা। পত্রিকায় কবিতা ছাপা হইছিলো,

" ... ... কাট কাট কাট
এরশাদের .... কাট.."

খাইছে

ভুতুম এর ছবি

দুর্ধর্ষই একমাত্র উপযুক্ত শব্দ। উন্মুখ বসে রইলাম পরের পর্বের জন্য।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

ধন্যবাদ।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

হিমু এর ছবি

ফুল মেটাল জ্যাকেট পোস্ট!



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

কঙ্কী মিয়া! বুঝাইয়া কন।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

অসামান্য, স্রেফ অসামান্য। যেন ওখানেই ছিলাম... সব্যসাচী লেখক বোধহয় একেই বলে। জাত চেনানো লেখা, রিটন ভাই!

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

ধন্যবাদ ভ্রাত।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আজই এক বাসায় শফিকুল ইসলাম স্বপনের (নাম ভুল লিখলাম না তো?) বইয়ের প্রারম্ভে আপনার লেখা পড়লাম। দাওয়াতের সময়টুকু বইটা উল্টে-পাল্টেই গেল। অসামান্য সব ছবি। কী সব সময় ছিল, কী ব্যাপকবিস্তারী আবেগ ছিল দেশ নিয়ে, মানুষ কত উন্মুখ ছিল দেশের জন্য সব দিয়ে দিতে! সে-রকম একীভূত আবেগ যে আবার কবে পাবো আমরা... কষ্টের কাজ খুব, তবে লেগে থাকার বিকল্প নেই।

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

নাম ঠিকই লিখেছো। শফিকুল ইসলাম স্বপন একজন প্রায় কিশোর মুক্তিযোদ্ধা। নাসির উদ্দীন ইউসুফদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। দেশের একজন খ্যাতিমান চিত্রগ্রাহক।বাংলাদেশ টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান ছিলেন।চলচ্চিত্রে জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন। তাঁর লেখা স্মৃতিকথা এবং আলোকচিত্রের বই ছিলো ওটা।আমি লিখে দিয়েছিলাম বইটির ভূমিকা,যার কথা তুমি বললে ইশতিয়াক।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

জি.এম.তানিম এর ছবি

অসাধারণ! জীবন্ত!! রোমাঞ্ছকর!!!

স্যালুট!!!!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

খাইছে, এতো প্রশংসা!

অলাইকুম স্যালুট।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

মূলত পাঠক এর ছবি

দুর্ধর্ষ!!!!!!!

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

ধন্যবাদ মূলত পাঠক সাহেব।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

সুজন চৌধুরী এর ছবি

অসাধারণ....
আসলে কথা খুজে পাচ্ছিনা.... এইরকম প্রতিশোধের আনন্দই আলাদা... অনুভব করতে পারতেছি।


লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

আরে মিয়া কই থাকো তুমি?
হুদা ভাইয়ের উপ্রে প্রতিশোধ তো নেই নাই সুজন। প্রতিশোধের কথা যদি বলো তো সেইটা নিছি গত পর্বে। সময় পাইলে দেইক্ষো।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

উজানগাঁ এর ছবি

আমি সবেমাত্র মেট্রিক পাশ করেছি তখন। বন্ধু মারফত খবর পেলাম যে আপিনি সিলেটে এসেছেন এবং সুফিয়ান ভাইয়ের বাসায় ঐদিন বিকেলে সিলেটের ছড়াকারদের সাথে আড্ডা দিবেন।

আমি জীবনে কোনোদিন ছড়া লেখার চেষ্টা করিনি এর আগে (পরেও না!)। আমি ছড়াকার না হওয়া সত্ত্বেও শুধু আপনাকে দেখার লোভে ধুরু-ধুরু বক্কে ঐদিনের আড্ডাতে আমি হাজির হয়েছিলাম।

আপনার লেখা নিয়ে কিছু বলার নেই। শুধু বলবো এই সিরিজটা আপনি চালিয়ে যান। হাসি

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

সুফিয়ানের বাড়িতে তাহলে আপনার সঙ্গে দেখা হয়েছিলো আমার।
আবারো দেখা হবে বন্ধু।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

সুমন সুপান্থ এর ছবি

রিটন ভাই ৫টা তারা আর একটা প্রণতি জানিয়ে গেলাম।

ছড়া আর ছড়াকারের প্রতি কবি,অ-কবি,না-কবি,প্রায়-কবি'র সহজাত উন্নাসিকতা রক্তে মাখা, কবি নয় তবু;- আমারো !!!
আপনার এই গদ্য পড়ে তার প্রায়শ্চিত্ত করছি ।

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

ঠিকই সুপান্থ। হুমায়ুন আজাদ থেকে আনিসুজ্জামানইত্যাদি কে নয়!
সবার কথা লিখতে গেলে এই সিরিজ তো শেষ হবে না।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

এরেই বোধয় বলে- এক মাঘে শীত যায়না।

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

যায় না।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

রিটন ভাই তো ফাটাফাটি সিরিজ চালু করসেন!! আমি তো পুরা পাঙ্খা হয়ে গেলাম। হাসি

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই একাউন্টটি কোন মডারেটরের নয়। এই একাউন্ট থেকে মডারেশন করা হয়না, কিংবা এই একাউন্টের কর্মকান্ডের দায়ভার সচলায়তন নেবে না।

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

তাই নাকি?

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

বিপ্রতীপ এর ছবি

না লগিয়ে আর পারা গেলো না... চলুক
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

লগেই থাকেন(মানে সঙ্গে আর কি!)।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

রিটন ভাই, আপনার সিরিজটাতে পাঠকদের লাভের হিসেব অনেক দিক থেকে। আমি একটা হিসেবের কথা বলতে পারি। আপনার প্রতিটা সিরিজে এক/একাধিক জনের নাম/কথা চলে আসে যাদের আমরা ভুলতে বসেছি। যেমন এই এপিসোডটা পড়ে আমার "আনওয়ারুল কবীর বুলু"র কথা মনে পড়ল। গত বিশ বৎসরে উনার নতুন কোন লেখা আমার চোখে পড়েনি। উনার কথা কি আমাদের আরো জানাতে পারেন?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

আনওয়ারুল কবীর বুলু আমাদের সমসাময়িক ছড়াকারদের সেই গ্রুপের সবচে ভালো মানুষটি ছিলেন।সরল আর শাদাসিধে।সাতে পাঁচে থাকতেন না।কোনো প্যাঁচ ছিলোনা তার ভেতরে।জসীম উদীনের খুদে সংস্করণ ছিলেন।প্রথম বইটির নাম রেখেছিলেন ঘাসের নোলক।চাকরি পেয়েছিলেন দৈনিক দিনকালে।কিন্তু কোনো রাজনৈতিক বিশ্বাস ছিলো না তার।সম্ভবত চাকরি রক্ষার সুবাদেই জাসাস করতে বাধ্য হয়েছিলেন যে কারণে পরবর্তীতে আমার সঙ্গে যোগাযোগটা গিয়েছিলো কমে।জাসাস সুবাদে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্যও হয়েছিলেন।লোক মারফত আমাকে জানিয়েছিলেন এক একটি ছবি দেখলে কয়েকশো টাকা পেতেন সন্মানী বাবাদ।আর তাতেই খুশি ছিলেন তিনি।তার চাহিদাও ছিলো নিতান্তই অল্প।বিয়ের পর কেনো জেনো লেখালেখিটা কমিয়ে দিয়েছিলেন।

দুবার দেশে গেলাম।একবারো দেখা হয়নি তার সঙ্গে।বিএন পি -জাসাস-জামাত আমাকে অমানবিক নির্যাতন করেছে এই কারণেও হয়তো বা তিনি আমাকে এড়িয়ে গেছেন।খুব ভালোমানুষ তো গ্লানিবোধ থাকাটা স্বাভাবিক।
ধন্যবাদ পাণ্ডব।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

আকতার আহমেদ এর ছবি

গুল্লি

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

এটার জবাবে কি দিতে হয় কিভাবে দিতে হয় কিছুই তো জানি না!

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

দ্রোহী এর ছবি

গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

সারছে...সব মিলিয়ে ব্রাশ ফায়ার......

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

১৯৭৯ সালে আমার জন্মই হয়নি। এমনকি মায়ের গর্ভেও আসিনি। কিন্তু লেখার বর্ণনায় মুগ্ধ হয়ে ঘটনার ঘনঘটায় ঘুরে এলাম যেন!

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

আমাদের সবচে খুদে সদস্য কি তাহলে তুমি?

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

হাসিব এর ছবি
লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

ক খ গ

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

কীর্তিনাশা এর ছবি

যা বলার সবাই বলে দিয়েছে গুরু গুরু গুরু

আমি শুধু আপনার উপরে বলা ছড়াটা এইখানে কম্পাইল করি -

কনতো দেহি আইজকা দ্যাশে
সবচে শরীল তাজা কার?
যেই শালারা রাজাকার!

পাল্টে লেবাস কোন ব্যাটারা
আজ সমাজে পায় কদর?
যেই শালারা আলবদর!

গদির পাশে বইছে ক্যাডা?
পান খাওয়া মুখ যা লাল রে!
—একাত্তুরের দাদাল রে।

আপনেরা কন ঊনাশিতে
আমরা অগো কি করুম?
--ভাইজা তেলে ঘি করুম!

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

ধন্যবাদ কম্পাইল করার জন্য।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

বিপ্লব রহমান এর ছবি

অসাধারণ! সেল্যুট!! চলুক


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

কি বিপ্লব আর্মিতে যোগ দিচ্ছো নাকি, খালি সেল্যুট করছো!

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

অনুভূতিটা টের পেলাম। দুর্দান্ত লাগলো।

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

ধন্যবাদ।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

অনিকেত এর ছবি

অনেক অনেক দিন ধরে সচলায়তনে লেখা পড়া হচ্ছে না। নানান ব্যস্ততার মাঝে প্রায় নাভিশ্বাস উঠছে। আজকে দেশে ফোন দিয়েছি---বোন বলল এই লেখার কথা! ফোন রেখেই পড়তে এলাম।

আপনার ছড়ার ভক্ত আমি ছোটবেলা থেকেই।কোন এক কারনে কবিতার চেয়ে ছড়ার প্রতি আমার পক্ষপাতিত্ব রয়েছে। সুকুমার রায় আর আপনি---এই দুইজনেই সেই জন্যে দায়ী।

অসামান্য এই লেখা,সত্যিই অসামান্য!
আমার প্রণতি রইল---

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

ভাগ্যিস বোনটা ছিলো। নইলে তো আমার এই লেখা আপনার পড়াই হতো না।আমার হয়ে তাকে একটা ধন্যবাদ।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

স্বপ্নাহত এর ছবি

এইটা আমার জন্মের সাত বছর আগের কাহিনী। আগে কখনো শোনা হয়নি, শোনার কথাও না। আজও না শুনলে জানাও হতোনা কি একটা ঘটনা মিস করলাম।

ছড়া বরাবরই আমাকে টানে। ছোট বেলা থেকেই আপনার ছড়া অসম্ভব পছন্দের। কখনো বলা হয়নি। আজ বলে গেলাম। আপনার ছড়া ছাড়া বাকি সবারটাই কেমন ছাড়া ছাড়া লাগে। ছড়ার মধ্যেই ছড়িয়ে থাকুন সারা জীবন। আমাদের জন্য যতছত্র কয়েক ছত্রর পাশাপাশি ছড়াও ছাড়বেন নিয়মিত আশা করি। হাসি

---------------------------------

তাও তো ভারী লেজ উঁচিয়ে পুটুশ পাটুশ চাও!

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

সাইফ এর ছবি

উপযুক্ত প্রশংসার ভাষা জানি না, তাই চুপ থাকলাম, তবে প্রতিজ্ঞা করলাম, কখনও সদস্য হইলে আপনাকে ৫ কোটি তারা দিয়া যাবো

তুলিরেখা এর ছবি

আত্মজীবনীমূলক সিরিজটি অতি চমৎকার লাগছে।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

হাসান মোরশেদ এর ছবি

সম্ভবতঃ সচলায়তনের সর্বাধিক তারামণ্ডিত পোষ্ট এটি হাসি
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

গুল্লি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।