‘মেহেরজান’: পাকিসঙ্গমের ফোকফ্যান্টাসি

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি
লিখেছেন অনিন্দ্য রহমান (তারিখ: শনি, ২২/০১/২০১১ - ২:৪৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সিনামাঠাকুর

লালনরে নিয়া গৌতম ঘোষ সিনামা করল। সেইটার নাম রাখল ‘মনের মানুষ’। সেই সিনামায় জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর বলে - যেহেতু সে জানতই না দেশে লালনের মত রত্ন আছে সেহেতু লালনকে এই প্রশ্ন - আপনার জন্য কী করতে পারি বলুন? লালনের উত্তর সিনামাখান দেখলেই জানবেন। যা জানবেন না সেইটা হইল লালন আসলে কী বলছে।

বাঞ্ছা করি লালন এই কথা বলছিল: কিছুই করার দরকার নাই গো ঠাকুর, খালি পারলে আমারে নিয়া আর সিনামাটিনামা বানায়েন না।

ঠাকুর কথা রাখে নাই।

তারা কথা রাখে না। বড়লোকের নাতিরা আমাদের উপর সিনামা কইরা দেয়। কেউ কেউ নিশ্চয়ই চায়, তারা এইসব আর না করুক। কিন্তু তারা আমাদের রেয়াত দিবে ক্যান? তাই একদিন আমাদের উপর ‘মেহেরজান’ নামের সিনামা কইরা দিল বড়লোকের নাতিরা।

কারা এই বড়লোকের নাতি

বড়লোকের নাতি কি কোনো গালি? যেকোনো কিছুর নাতি হওয়া কি দোষের? জন্মে তো কারো হাত নাই। তাইলে আসো, এই বিষয়টা নিয়া একটু ভাবি। বড়লোক বড় কারণ সে পূঁজির মালিক। যার কাছে যত পূঁজি সে তত বড়লোক। বড়লোকের নাতি জন্ম থাইকা পূঁজি হাতে পায়। দিনকাল ভাল থাকলে সে ঐ পূঁজির উপব্যবস্থাপক হয়া উঠে। বড়লোকের নাতি অর্থ পুঁজির উপব্যবস্থাপক। পুঁজি হারাম হইলে সে হারামিপনা করে। হালাল হইলে হালালিপনা। আর হারাম না হালাল বুঝা না গেলে, স্রেফ উপব্যবস্থাপনা।

‘মেহেরজান’ নাম রাখা সিনামার রুবাইয়াত নামের ডাইরেক্টর আপাতত পুঁজির উপব্যবস্থাপনা করছে। সিনামা করতে এইটা করতেই হয়।

ছোটলোকের কথাকিরিঞ্চি

কিরিঞ্চি শব্দের মানে আমি জানি না। আপাতত এইটা ইংলিশ প্রবলেমেটাইজেশনের বাংলা। গায়ত্রী চক্রবর্তীর ইংলিশ লেখায় দেখছি সে এই শব্দ ভালো পায়। গায়ত্রী ছোটলোকের কথাকিরিঞ্চি নিয়া উনিশশো অষ্টআশি সনে একটা কাহিলকরা লেখা লিখছে। নাম ‘ক্যান দ্য সাবঅল্টার্ন স্পিক’। ছোটলোকেরা কি কথা কইতে পারে?

আঁকায়া বাঁকায়া সে অনেক কথা বলছে সেইখানে। কিন্তু সোজা উত্তর হইল, পারে না।

উত্তরঔপনিবেশিককালে, সাদা চামড়া ও মন-সাদারা ছোটলোকের না বলা কথা নিয়া ব্যপক উত্তেজিত হয়া পড়ে। তারা ছোটলোককে শিল্পসাহিত্যসিনামায় কথা বলতে দিতে চায়। কেউ কেউ ‘বাকি ইতিহাস’ লিখতে উদ্যোগী হয়। এতকাল ছোটলোকেরা নির্বাক আছিল। তারা এই না-ইনসাফি মানে না। দারুণ।

কিন্তু গায়ত্রী বলে, থামো, পারবা না। কারণ, এক, তোমরা ছোটলোকদের ছোটলোক ছাড়া আর কিছু ভাব না। তাদের ছাতুর গোলার মতো কিছু একটা ভাব। আর দুই, তাদেরকে কথা বলতে না দিয়া তুমি নিজেই মাইক্রোফোন অ্যাবিউজ কইরা যাইতাছ।

ছোটলোকের শিল্পসাহিত্যসিনামা ফালানির সময় নাই। আর সে যখন সত্যিই কথা বলবে, তখন ‘বাকি ইতিহাস’ কপচানোর সুযোগ তুমি পাইবা না।

তারপরও ‘মেহেরজান’ বাকি ইতিহাস লিখতে চায়।

উফ! যুদ্ধটুদ্ধ

যুদ্ধের সময় বড়লোক মেহেরজান তার নানা খাজাসাবের এলাকায় যায়। খাজাসাব, যে নাকি ছোটখাট জমিদার, চায় না এইসব ব্লাডশেড হোক। তাই সেই এলাকায় যুদ্ধটুদ্ধ হয় না। খালি একদিন মিলিটারি আইসা পড়লে, এক বালুচিসেনা মেহেরজানেরে সম্ভাব্য ধর্ষণের হাত থাইকা বাঁচায়। মেহেরজান বালুচির প্রেমে পড়ে। মেহেরজানের আঠারো, তার এইসব যুদ্ধটুদ্ধ ভাল্লাগেনা। আর বালুচি ওয়াসিম খান, যেহেতু মুসলমান মারতে অপারগ, তাই পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর চোখে গাদ্দার। এহেন ভাল বালুচিরে খারাপ মুক্তিযোদ্ধা, মেহেরজানের খালত ভাই, মারতে চায়। কারণ, মেহেরজানের খালত ভাই মেহেরজানকে বিয়া করতে চায়। সুতরাং, ওয়াসিম খানরে একদিন পালায়া যাইতেই হয়। সে আর ফিরে নাই।

এইটাই মেহেরজানের ট্র্যাজিডি।

উফ! এইসব যুদ্ধটুদ্ধ না হইলে চলত না?

বীরাঙ্গনার নাবলা কথা

মেহেরজান সিনামার ইউএসপি হইতেছে বীরাঙ্গনা। সিনামাওয়ালারা বাণিজ্যিক প্রচারমাধ্যমগুলায় বীরাঙ্গনা বীরাঙ্গনা বইলা ফেনা তুলে ফেলছিল। এই ছবিতে বীরাঙ্গনা আছেও একজন, তার নাম নীলা। নীলা, মুক্তিযুদ্ধের শুরুর দিকে, পাকিস্তানী মিলিটারি ক্যাম্প থাইকা ছাড়া পায়া খাজাসাবের বাড়িতে আসে। খাজাসাব, যে নাকি ছোটখাট জমিদার, তারও নানা লাগে। মেহেরজান খালত বোন। নীলা প্রতিশোধ নিতে চায়। পাকিস্তানী মারতে চায়। কিন্তু মাঝখান দিয়া তার সাথে প্রেম হয় চিনপন্থী বামনেতার সাথে। সে যুদ্ধ শেষ না হইতেই জানে, এই যুদ্ধ ‘বেহাত’ হবে। মুসলিম লিগার খাজা সাবের সাথে সে একমত। এইভাবে চিনপন্থী আর মুসলিম লিগারদের তালমিলের অনিচ্ছাকৃত আলামত পাওয়া যায় এই সিনামায়। তো, এই চিনাবামও নীলাকে শারীরিকভাবে পাইতে চায়। নীলা ডায়লগ দেয়, সব পুরুষ এক। পাকিস্তানি মিলিটারির আগেও সে যৌন নিপীড়নের শিকার হইছে।

তোমরা খামাখা খালি পাকিস্তানিদের এক তরফা দোষ দাও।

‘যুদ্ধে যুদ্ধে আমি ক্লান্ত’

মেহেরজান সিনামায় তিন মুক্তিযোদ্ধার দেখা পাই।

একজন মেহেরজানের খালত ভাই, তার বিশেষ ডায়লগ হচ্ছে, মা আমি মরতে চাই না। আমি বিয়া করতে চাই। মানে তার যুদ্ধ ভাল্লাগেনা। মেহেরজানকে পাইলে, সে এইসব আকাজে আর কালক্ষয় করত না। কিন্তু আফসোস মেহেরজানের মনে বালুচি সেনা।

দ্বিতীয়জন, মুক্তিবাহিনীর কমান্ডার। সে খাজাসাবের এলাকায় ঘাঁটি গাড়ছে। খালি ঘুইরা ঘুইরা খাজাসাবের কাছে আসে। ‘খাজা সাহেব অনুমতি দেন, আমরা অ্যাকশনে যাই’। খাজাসাব বলে নো। আমি এলাকায় মারামারি চাই না। তাই মুক্তিবাহিনী মুক্তিযুদ্ধ নামের মারামারিতে ফাইনালি যাইতে পারে না।

তৃতীয়জন, ছোট মুক্তিযোদ্ধা। সে খাজাসাবের মেয়েরে বিয়া করতে চায়। তারও মুক্তিযুদ্ধ ভাল্লাগেনা। সে খাজাসাবের বিয়া-পাগল মেয়েরে চায়। খাজাসাবকে বলে, যুদ্ধে যুদ্ধে আমি ক্লান্ত।

বাংলাদেশে এই তিন প্রকারেরই মুক্তিযোদ্ধা আছিল বইলা প্রত্যয় হয়।

খাজা

- যে নাকি ছোটখাট জমিদার, তার পরিচয় দেই। খাজা পুরান মুসলিম লিগ নেতা। আলিগড়ের পড়াশুনা। কলকাতায় থাকত। সাতচল্লিশে পূর্বপাকিস্তানে দেশের বাড়িতে চইলা আসে। সেইখানে অনেক জমিজমা। সবাই তাকে পীরের মতন মানে। সে বড়লোক। চিনাবামরা তাকে গরিবের রক্তচোষা জোতাদর বইলা চিনে। যদিও লতায়পাতায় আত্মীয়।

খাজার মনে ছিচল্লিশের দাঙ্গার ঘা। সে পাকিস্তানের অখণ্ডতা নিয়া ঘোলা ঘোলা কথা বলে। কিন্তু শান্তি কমিটির মেম্বার হয় না। সে শান্তিকামী। কিন্তু একাত্তরের মানুষ মারা নিয়া একবারও মুখ খুলে না।

খাজা এই সিনামায় ভালো মানুষ। একাত্তরে মুসলিম লিগ হইলেই কেউ খারাপ মানুষ এমন ভাবা ভুল। সে কেমন মুসলিম লিগ একটু দেখা যাক।

খাজাসাব বলে সে লাহোর প্রস্তাবে বিশ্বাস করে না। লাহোর প্রস্তাবে নাকি বাংলার কথাই নাই। লাহোর প্রস্তাব উনিশশো চল্লিশ সনে আনা হইলে, একত্রিশ বৎসর ধইরা সে কেন মুসলিম লিগ এই প্রশ্নের জবাব ডাইরেক্টর দেয় না। এবং ডাইরেক্টর জানাইতেও চায় না, লাহোর প্রস্তাবে ভারতে পশ্চিম আর পূর্বাঞ্চলে মুসলমান প্রধান স্বাধীন ‘রাষ্ট্রসমূহে’র কথা পষ্ট লিখা আছে। তাইলে, খাজাসাব ক্যান মুসলিম লিগ? উপরন্তু খাজাসাব এও দাবী করছে ‘জিন্নাহর দ্বিজাতিত্ত্বে’ তার ঈমান নাই।

বড়লোকের ইতিহাস

খাজাসাব ক্যান মুসলিম লিগ, এই হিসাব দিতে গেলে বলতে হয়, পুরানা সামন্তছক থাইকা সে সরতে পারে নাই। তার মুসলিম লিগ করার কারণ তার শ্রেণীপরিচয়। সংক্ষেপে, এ-ই বাংলাদেশের বড়লোকের বেসিক। তারা, ছোটলোকের কারিগরিতে গণপ্রজাতন্ত্রের উত্থান আজও মানতে পারেন নাই।

তাই এই বড়লোকের নাতিরা মুক্তিযুদ্ধ শব্দটা নিয়া অস্বস্তিতে থাকে। তারা বলে যুদ্ধ। আর যেকোনো যুদ্ধই তো খারাপ।

‘মেহেরজান’ ছবিতে খারাপ শব্দ যুদ্ধ প্রতি তিন মিনিটে একবার হইলেও আসছে।

আজকে বড়লোকের নাতিরা আমাদের উপর ‘মেহেরজান’ সিনামা কইরা দেয়ার পর মনে হইতে পারে, ১৯৭১ এ যুদ্ধ নামের খারাপ কাজটা আমাদের করা উচিৎ হয় নাই।

নাকি অতটা অনুচিতও হয় নাই? দেশ স্বাধীন তো সেন্সর বোর্ডও স্বাধীন ...

পাকিসঙ্গম

১৯৭১ সনে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বাংলাদেশের অগুনতি নারী ও পুরুষকে হত্যা ও অগুনতি নারীকে ধর্ষণ করে। তারা বাংলাদেশরে মারতে পারে নাই। বাংলাদেশ হত্যা-ধর্ষণের চিহ্ন মুছে, উঠে দাঁড়াইছে। খুব দ্রুত, বাঘের ক্ষীপ্রতা নিয়া, উল্টা পাকিস্তানকে হত্যা করছে। পৃথিবীতে ১৯৭১ সনের পর পাকিস্তান বইলা আর কিছু জীবিত নাই। পাকিস্তানের ধারণাকে আমরা মাটিপোঁতা দিছি ঐ বৎসর শীতকালে।

তারপরও, পাকিস্তানের প্রেতাত্মার সাথে সঙ্গমসুখ অনুভব করে, এমন লোক দেখতে পাই। ‘মেহেরজান’ সিনামা ঐ কল্পসঙ্গমের ফোকফ্যান্টাসি।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

সমাজে অনেকেই মুখে সোনার চামচ নিয়ে জন্মায়। আর কেউ কেউ জন্মানোর অনেক পরে চামচে করে পাকিসোনা মুখে ভরে বসে থাকে। সেইটা আর কেন যেন নামাতে পারে না। ফাঁকফোকর দিয়ে গোঁ গোঁ করে কী কী যেন বলতে থাকে সারাজীবন। এই মেহেরজানঅলারাও কি সেইরাম কিছু?

হাসিব এর ছবি

কয়েক জারজ এখনও অবশিষ্ট আছে দেশে। পাকিসঙ্গমের স্বপ্নদোষে এইরকম জিনিস তাদের মাথা দিয়ে বের হয়।

অপছন্দনীয় এর ছবি

এই জিনিস কই খুঁজে পেলেন? কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার, পরিচালক আর অভিনেতা অভিনেত্রীদের পরিচয় কি?

হিমু এর ছবি

কে যেন বললো পরিচালিকা রুবাইয়াত যোগাযোগমন্ত্রী আবুলের মেয়ে।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

রুবাইয়াত যদি আবুলের মেয়ে হন, তবে তিনি আটরশির পীরছাহেব কেবলাজান মরহুম হাসমতউল্লাহ ছাহেবের নাতনী এবং লেজেহোমো এর্শাদাদুর ধর্মভাগ্নী। কিন্তু শিওর না।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ডেইলি স্টারে ভিক্টর ব্যানার্জির সাক্ষাৎকারের অংশবিশেষ:

How did "Meherjaan" happen?
Banerjee: "Rubaiyat approached me in person in Kolkata. Through our conversation I realised she's an academic. I found her fascinating and liked the script. She based the character on her great grandfather (who was a Pir). I did some research on Sufism which he adhered to. He studied at Aligarh and was a liberal Muslim. He envisioned not just a new country but also the right to exercise a cultural identity that's unique to Bengali Muslims."


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

এখানে মনে হয় সামান্য মিসটেক হইছে। গ্রেট গ্র্যান্ডফাদারের জায়গায় গ্র্যান্ডফাদার হবে। আবুল হোসেন সাহেব পীরসাহেবের জামাতা। তার মেয়ে হলো গ্র্যান্ডডটারই হওয়ার কথা।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

অপছন্দনীয় এর ছবি

দুঃখিত, পূর্বপুরুষের নয়, ওনাদের নিজেদের পরিচয় জানতে চাচ্ছিলাম...

অতিথি লেখক এর ছবি

"উফ! যুদ্ধটুদ্ধ" অংশটুকু ঠিক বুঝলাম না। মুসলমান মারতে না পারলে যুদ্ধে আসছে কেন? আর আর্মিতে কী ট্রেনিং পেয়েছে সে? যাই হোক, এ পর্যন্ত আমার দেখা দুইটা পাকিস্তানী ছেলে সরাসরি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বলেছে এবং তাদের মতে সরকার ক্ষমা না চাইলেও পাকিস্থানের সাধারন জনগন সমব্যথী এবং আপলজেটিক। কাকতাল কিনা জানিনা দুইজনই ছিল বেলুচের। অন্য পাকিস্তানীদের (ক্লাসমেটদের মধ্যে) এই বিষয়টা একটু এড়িয়ে যাওয়ার প্রবনতা দেখেছি বলে মনে হয়, আমার মনের ভুল হতে পারে। -রু

হিমু এর ছবি

বালুচিস্তানে বালুচ আর পাঠান, দুই জাতিই বাস করে। বালুচরা একটু বিচ্ছিন্নতাবাদী কিসিমের বলে বাংলাদেশকে সরাসরি সমর্থন করে, আর বালুচি পাঠানরা বালুচদের অপছন্দ করলেও প্রাদেশিক শোষণের শিকার বলে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে একটু নমনীয়। ফ্রন্টিয়ারের কোনো পাঠানের সাথে কথা বলে দেখেন, দেখবেন পাকিস্তানীরা এই চল্লিশ বছরে একটুও পাল্টায় নাই।

একটা মিথ প্রচলিত আছে, ১৯৭১ সালে নাকি বেলুচি সেনারা এক পর্যায়ে হত্যা-ধর্ষণযজ্ঞ চালিয়ে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। এর ভিত্তি কী, আমি জানি না। বরং যুদ্ধ শুরুর আগে চট্টগ্রামে বেলুচ রেজিমেন্টের সৈন্যরা অবাঙালিদের এলাকা থেকে বেসামরিক পোশাকে মিছিলের ওপর গুলি চালানোর দায়িত্ব পেয়েছিলো [লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে, মেজর (অব:) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম], এবং প্রচুর মানুষ তখন আহত নিহত হয়েছে। ইবিআরসিতে যে সহস্রাধিক বাঙালি অফিসার ও সৈন্য নিরস্ত্র অবস্থায় ২৫শে মার্চ রাতে নিহত হয়, সেটাও ২০ বালুচের সেনাদের হাতে।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

বালুচরা স্বাধীনতাকামী। তাদের ভাষা মূলত বালুচ। পশতুতেও অনেক লোক কথা বলে। এই সিনামায় ক্যারেকটার খালিস উর্দু জবানে বাতচিত করে। বুঝতে হবে।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

আকাশসাব্বির এর ছবি

মিথ কিনা জানিনা। তবে আমার বাবা র কাছে শোনা তথ্য মতে এর কিছুটা সঠিক হলেও হতে পারে। জ়ুন ৭১ এ ঊনাকে ঢাকা থেকে পাক আর্মি ধরে নিএ জ়গন্নাথ হলে আটক রেখে জ়িজ্ঞাসাবাদ করে, সে সময় এক বেলুচি সেনা তাকে লুকিয়ে পানি ও খাবার দিয়েছিল বলে উনি গল্প করেন।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

হিমুর মন্তব্যের সাথে কিঞ্চিৎ সংযুক্তি। খাঁটি বালুচরা পাকিস্তান আর্মিতে চিরঅবহেলিত এক সম্প্রদায়। কোনও বালুচ হয়তো টেনেটুনে ব্রিগেডিয়ার পর্যন্ত হতে পারলেও সেখানেই শেষ। আর টেকনিক্যালি বালুচ রেজিমেন্টের কমান্ড অধিকাংশ সময়েই ন্যাস্ত থাকে নন-বালুচ অফিসারদের উপর, বিশেষ করে পাঞ্জাবী। এটা জেনেছিলাম আমার বড়মামার কাছ থেকে (উনি পাকিস্তান আর্মিতে ছিলেন এবং ৭১এর শুরুতে ছুটিতে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলেন) বাকী অনেক কিছুই শুনেছি পাকিস্তানীদের কাছ থেকে। পাকিস্তান আর্মির মূল নেতৃত্ব সবসময়েই রয়ে গেছে হয় পাঞ্জাবী নয়তো ফ্রন্টিয়ার্সের অফিসারদের হাতে। আর সিন্ধিরা মূলতঃ ব্যবসায়ী। আর্মিতে তাদের অংশগ্রহন এবং এ্যাম্বিশান খুবই কম।

প্রাদেশিক শোষণ-পীড়ন জনিত কারণে পাকিস্তান আর্মির নেতৃত্ব কখোনোই প্রকৃত বালুচদের উপর একচ্ছত্র নেতৃত্ব অর্পণ আস্থাশীল ছিলোনা রিভোল্টের আশংকায়।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

দুর্দান্ত এর ছবি

১৯৭১ সালে বালোচ রেজিমেন্টের শতকরা কতজন বালুচি ছিল, এই তথ্য কারো জানা আছে কি?

adnan এর ছবি

পাকিস্তান শুধু বেলুচ, পাঠান না, পাঞ্জাবীরাও বাস করে। উচ্চ শিক্ষায় কানাডা এসে সহপাঠীদের থেকে জানতে পারলাম, এদের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী হচ্ছে পাঞ্জাবীরা। পাঠানরা বাস করে উত্তরে, এরা আর আফগানরা একই জাতি। পাঞ্জাবিরাই পাকিস্তানের আর্মি, রাজনীতি, প্রশাসন সব নিয়ন্ত্রন করে। বাকিরা মনে হয় বেশ অবহেলিত।

হিমু এর ছবি

প্রথম আলোতে এক চৌধুরী সাহেব আর্টিকেল ফেঁদেছেন মেহেরজান নিয়ে। এই আর্টিকেল পড়ে জানা যায়, পরিচালিকা রুবাইয়াত বীরাঙ্গনাদের নিয়ে রীতিমতো দেশের বাইরে লেখাশোনা করেছেন। নীলিমা ইব্রাহিমের বই পড়েছেন। ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণীর সাথে কথা বলেছেন। সবকিছু করে তিনি সিনেমার স্ক্রিপ্ট বেছে নিয়েছেন এমন, যেখানে যুদ্ধ গৌণ, ধর্ষণ গৌণ, শুধু প্রেম মহান। এর কারণটা কী? চার লাখ ধর্ষিতা নারীর লাঞ্ছনা চাপা পড়ে গেলো এক তরুণীর বালুচপ্রেমে?

এই সিনেমাকে বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য এক পাকিস্তানী অভিনেতাকে ব্যবহার করা হয়েছে, কিন্তু সে পাকিস্তানী হানাদার নয়, পাকিস্তানী রেপিস্ট নয়, পাকিস্তানী আর্সনিস্ট নয়, পাকিস্তানী শিশুহত্যাকারী নয়, সে পাকিস্তানী প্রেমিক। একই সাথে কাহিনীর আঁশটে গন্ধ ঢাকার জন্যই কি বলিউডের জয়া বচ্চন আর টালিগঞ্জের ভিক্টর ব্যানার্জিকে আনা হলো? নাকি এটা সিনেমাকে "জাতে" তোলার সস্তা স্টান্ট? আমাদের সিনেমাগুলিকে কি এখন থেকে ভারত-পাকিস্তানের অভিনেতাদের গুঁজে দিয়ে এক পরোক্ষ ছাড়পত্র নিতে হবে?

সবশেষে জানলাম, ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক দূরত্ব নাকি খুব বেশি নয়। অথচ চিত্রনাট্যকার এবাদুড় পূর্ববাঙ্গালার ভাষা নিয়ে ফড়ফড় করতে করতে এককালে গলায় রক্ত তুলে ফেলতো, আমাদের বাংলা ভাষা নাকি রাবীন্দ্রিক হেজিমনিতে আক্রান্ত, একে মুক্ত করে সক্কলকে ঢ়ৈষূর বাংলায় কথা বলতে হবে। আর সাংস্কৃতিক দূরত্ব বেশি নয় বলেই বোধহয় কুত্তার বাচ্চা আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে নেমে রাস্তায় মরতে হতো আমাদের। সাংস্কৃতিক দূরত্ব বেশি নয় বলেই বোধহয় ঢাকা থেকে ৫০০ কিলোমিটার পশ্চিমে গিয়ে কোনো বাংলাদেশী টিভি চ্যানেল দেখার সুযোগ মেলে না। সাংস্কৃতিক দূরত্ব বেশি নয় বলেই শাহরুখের প্রোগ্রামে শেখ হাসিনার নাতনি হিন্দি বলতে বলতে ঢলে পড়ে। সাংস্কৃতিক দূরত্ব মাপার একক কী? কোন সংস্কৃতির সাথে দূরত্বকে বেঞ্চমার্ক ধরে ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশের মানুষের সাংস্কৃতিক ত্রিকোণমিতি চলবে?

ম্যারি মি আফ্রিদির ভূত পাছায় আইকা লাগিয়ে বসে পড়েছে বাংলাদেশে। আর রামছাগলরা ডিরেক্টরের চেয়ারে বসে দর্শকের মুণ্ডু নির্বোধ বিনোদনের গিলোটিনে ঢুকিয়ে চিগলাচ্ছে, কাট!

হাসিব এর ছবি

মযহার গ্রুপের কানকেশনে বিষয়টা আস্তে আস্তে পরিস্কার হচ্ছে।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

এই তো বুঝতেসেন।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

আলুপেপারের লিঙ্কে কাহিনী সংক্ষেপ খেয়াল করেন:

কিশোরী মেহের ১৯৭১ সালে যুদ্ধের কবল থেকে রেহাই পেতে শহর থেকে পালিয়ে নানাবাড়িতে আশ্রয় নেয়। নানাজান খাজা সাহেব সাতচল্লিশের দেশভাগের সময় কলকাতা থেকে চলে আসা একজন বনেদি মুসলিম। যেকোনো মূল্যে গ্রামে রক্তপাত ঠেকাতে চান তিনি। এদিকে খাজা পরিবারের অন্দরমহলে ঢুকেছে যুদ্ধের প্রভাব। খাজা সাহেবের বড় নাতনি নীলা আর্মি ক্যাম্পে ধর্ষণের শিকার হয়ে যুদ্ধে যায়। এদিকে কিশোরী মেহের সবকিছু ছাপিয়ে প্রেমে পড়ে দলত্যাগী বেলুচ সেনা ওয়াসিমের।

ডেইলি স্টারের লিঙ্ক

Does she think portrayal of historic events on screen differ from generation to generation?

Rubaiyat: "It can. I guess I look at 1971 more analytically, but when my parents talk about the war, I don't think they can detach themselves and attempt to look at it analytically, as they had lived the war. Their wounds still haven't healed.

এইখানে ডাইরেক্টর অ্যানালিটিকাল হইসে।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

অবাঞ্ছিত এর ছবি

এনারা ফাকিস্তান না গিয়া আম্রিকা আসেন কেন বুঝিনা...

এই ছবির চিত্রনাট্য যে লিখসে তার বংশপরিচয় জানতে মন চায়

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

হিমু এর ছবি

উনার নাম এবাদুড়, উনি বঙ্গেত জন্মি বঙ্গবাণীর উপর বিয়াপক হিংসিত ছিলেন এককালে। আমাদের মান বাংলাভাষা যে রবীন্দ্রনাথের পাপিষ্ঠপনার উপজাত, সে বিষয়ে মহামহিম দ্দীণূর সাথে গলা মিলাইয়া প্রচুর ম্যাৎকার এরশাদ করতেন একদা। উনাদের সলিউশন ছিলো, আমাদের ঢ়ৈষূর ভাষায় সাহিত্য করতে হবে, সমোসকৃতি করতে হবে। দেখা যাক মেহেরজান সিনামায় জয়া বচ্চন কোন বাঙ্গালা ভাষায় কথা কন।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

উনি বঙ্গেত জন্মে নাই... জন্ম সম্ভবত পাকিস্তানে

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

পৃথিবীতে ১৯৭১ সনের পর পাকিস্তান বইলা আর কিছু জীবিত নাই। পাকিস্তানের ধারণাকে আমরা মাটিপোঁতা দিছি ঐ বৎসর শীতকালে।

আপনার সাথে পুরোপুরি একমত না, হতে পারে আমি মন্তব্যটা বুঝি নাই। কিন্তু আমার মতে পাকিস্তান জীবিত আছে এবং যতদিন না সরকারীভাবে আমাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছে, আমি চাই ততদিন যেন ওরা জীবিত থাকে (আর আমিও যেন বেঁচে থাকি)। -রু

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

পাকিস্তান আর পাকিস্তানের ধারণা এক জিনিস না। এইটাই বুঝাইসি।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

দুর্দান্ত এর ছবি

ঠিক আছে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

সারছে! এডো কি বাংলা ছিনামা নাকি? চিন্তিত
শালার, এক জমিদারের পারিবারিক বৃক্ষের ঠেলায়ই বাঁচি না আজকাল। আরেক জমিদারের কাহিনি আইতাছে ছিনামা হলে? জমিদারগো ডরে তো দেখি বেহেশতে ভাগা দেওন লাগবো!

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

হাহাহা


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

দ্রোহী এর ছবি

দিনে দিনে আমাদের যা অবস্থা দাঁড়াচ্ছে। ভবিষ্যতে সঙ্গম করতে গেলে পুরুষাঙ্গের সাথে ভারতীয় ও পাকি পুরুষাঙ্গ বেঁধে নিতে হবে মনে হয়।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

উঁহু হবে না। আপনি কি মিলিটারি? সিনামার একটা ডায়লগ শুনেন - মেয়ে বলতেছে খাজাসাবেরে ... দেশে যুদ্ধ চলতেছে। আব্বা আমাকে সৈন্য এনে দেন।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

জাহামজেদ এর ছবি

দেশে যুদ্ধ চলতেছে। আব্বা আমাকে সৈন্য এনে দেন।

এটা কি শুনালেন ?

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

হিমু এর ছবি

খান্দানি শব্দটাকে এভাবেও পড়া যায়, খানদানি চোখ টিপি । মোমদানির মতো আর কি।

দ্রোহী এর ছবি

খানদানি!

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সেন্সর বোর্ড কি ঘাস খায়?

আজকে লোকে যেটারে ফারুকীর ভাষা বলে জানে, সেটার মূল প্রবর্তক আসলে এই সিনেমার চিত্রনাট্যকার এবাদুর রহমান। বহুবছরের সাধনা তার এই বিষয়ে। শুনলাম মেহেরজানেও নাকি 'করসি' 'খাইসি' ভাষায় ডায়লগ মারছে চরিত্ররা?

মুক্তিযুদ্ধ নিয়া সিনেমা বা নাটক বানানোর জন্য কোনো গল্প লেখার প্রয়োজন তো নাই... লাখ লাখ সত্য ঘটনা আছে যেগুলার প্রত্যেকটারে নিয়াই অসাধারণ সব সিনেমা বানানো সম্ভব। তবু যারাই মুক্তিযুদ্ধ নিয়া সিনেমা বানায় তারা কেন কষ্ট করে রূপকথা লেখে বুঝি না...

এইসব ইতিহাস বিকৃত সিনেমার বিরুদ্ধে জোড়ালো অবস্থান নিতে হবে। নাইলে তারা ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে এক করে ফেলবে অচিরেই...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ডায়লগ ইনকন্সিস্টেন্ট। একটা ডায়লগ এইরকম 'আমি তোমাকে জেনুইনলি ভালোবাসি'।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

স্পর্শ এর ছবি

কী ভয়ানক বিষিয়ে গেল মনটা বলে বোঝানো যাবে না। এই সিনেমা কি এখন হলে চলতেসে?
মুক্তিযুদ্ধের সত্যি কাহিনি সংগ্রহ করার একটা প্রোজেক্ট ছিলো শুনেছিলাম। সেই গল্পগুলো চলচ্চিত্র আকারে কেন আসে না! বড়লোকের এইসব কুলাঙ্গার নাতি ছাড়া আর কেউ কি সিনেমা বানাতে পারে না? নাটক বনাতে পারে না?

লেখা সম্পর্কে:
বুঝতে পেরেছি কী ভয়ানক বিরক্তি থেকে লেখা। তারপরও লেখার শুরুর অংশটা (প্রথমার্ধ) আরেকটু 'সাধারণপাঠকবান্ধব' করতে পারতেন। শেষার্ধ ঠিক আছে। মানে আরেকটু সহজ করে বললে অনেকের কাছে সহজে পৌছায়। এই লেখাটা পৌছানো দরকার।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ছয়কোটি টাকার সিনামা .... হাউসফুল শো। বসুন্ধরায় টিকিট পাইনাই, তাই বলাকায় দেখসি। পাব্লিক রিজেক্ট না করলে লিখা কী হবে? তারপরো চেষ্টা করব।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

লেখার শুরুটা আমার বেশ পছন্দ হয়েছে কিন্তু!

সংসপ্তক এর ছবি

এটা এইবার বাংলাদেশ থেকে অস্কারে যাবে, শিওর আমি। নব্য-জামাতি প্রোপাগান্ডার সাথে খুব ভালো যাবে স্ক্রীপ্ট।

.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হিমু এর ছবি

খোঁজ দ্য সার্চও এইটার চেয়ে ভালো ক্যাণ্ডিডেট।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

হুম!

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নৈষাদ এর ছবি

গত কয়দিন প্রথম আলোর শেষ পৃষ্ঠাতে ‘সম্পুর্ন-রঙ্গিন’ বিজ্ঞাপন দেখে কৌতুহলী হয়েছিলাম।

তা এই হল ঘটনা। আপনার বিশ্লেষণে চমৎকৃত হলাম।

ধিক্কার।

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

ধিক্কার

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আজকাল কেউ কেউ জাতীয় ঐক্যের(রাজাকার-মুক্তিযোদ্ধার ঘুটা!) স্বার্থে ইতিহাসের চেতনাকে ব্যাংকের লকারে রেখে দিতে ইচ্ছুক। সেই মহান(!) কাজ করতে গিয়ে নতুন প্রজন্মের চেতনায় ভেজাল ঢোকানোর প্রয়োজন হয়ে পড়েছে, যাতে ইতিহাসের ভেজাল কারবারীদের সমর্থক সংখ্যার বরকত হয়। আর চেতনায় ভেজাল দেয়ার কাজে এরকম সিনেমার বিকল্প নেই।

যুদ্ধবাজ বা বিবাদমান দুটি পক্ষের চেতনার মধ্যে ঐক্য সৃষ্টিকারী সিনেমাগুলি সাধারণত অস্কার জাতীয় নমিনেশান পেয়ে থাকে। রিভিউ পড়ে মনে হচ্ছে এই সিনেমাটি ভালো রাজাকার বনাম খারাপ মুক্তিযোদ্ধার একটি আন্তঃসাম্পর্কিক ভালোবাসা ঘুটা। সেই বিচারে এটারও পুরস্কারের নমিনেশান পাবার সম্ভাবনা আছে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

পাকমন পেয়ারুরা গর্তে ঢুকেছে বলে যারা বগল বাজাচ্ছিলেন তাদের বোঝা উচিত যে পাকিরা এখন সব সেক্টরেই যুদ্ধে নেমেছে। "হৃদয়ে বাংলাদেশ" শ্লোগান নিয়ে নামা পার্টিরা এখন "মেহেরজান" বানাচ্ছে। আসল শত্রু-মিত্র চিনে নেবার এটা প্রকৃষ্ট সময়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এই তাহলে কাহিনী?
জমিদারের কবলে মুক্তিযুদ্ধ?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সিনেমাটা নিয়ে কল্লোল মোস্তফার একটা ফেসবুক নোট পড়লাম...
http://www.facebook.com/notes/kallol-mustafa/meherajana-muktiyuddha-niye-golapi-phyantasira-chabi/147531228634605?notif_t=note_reply

আর ব্লগার একরামুল হক শামীমের প্রতিক্রিয়া: http://www.samowiki.com/details.php?id=334

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সবজান্তা এর ছবি

ছবিটার কাহিনী শুনে মনে পড়লো বেশ কিছু বছর আগে শাহরুখ খানের একটা সিনেমা বের হয়েছিলো, ভীর-জারা নামে। ভারতীয় সৈনিক আর পাকিস্তানী মেয়ের প্রেম। কাহিনীতে কতোটুকু মিল আছে জানি না, যেহেতু দুইটা সিনেমার একটাও দেখি নাই- তবে বেসিকের এই মিলটুকু কি ওইখান থেকে টুকলি করা? জানি না।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

প্রচারণায় তো দেখলাম বেশ গালভরা কথা! সব পত্রিকাতেই। এখন একটু অপেক্ষা করি, আমাদের সিনে সাংবাদিক ভাইয়েরা এইসব কথা তোলে কি না! তারপরে একটু কথা পাড়তে হবে!

অতিথি লেখক এর ছবি

না দেখে আপাতত কোন মন্তব্য করতে পারছি না।
তবে এই ছবিতে মুক্তিযুদ্ধকে যদি শুধু দায়সারাভাবে যুদ্ধ বলে তাইলে হালা যুদ্ধেই যামু না=বিশাল আপত্তি আছে। (কাজল আব্দুল্লাহ)

ধুসর গোধূলি এর ছবি

এই মেহেরজান এর ব্যাপারে যেটা বুঝলাম, আমাদের মতো ভুদাই পাবলিকের জন্য আরেকটা "থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার" তৈরী হয়েছে। আগে থেকে "ভালো কিছু, নতুন কিছু" দেখার প্রত্যাশার পারদ আকাশে তুলে শেষে "ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি" অবস্থায় তুলে ছেড়ে দিবে পাবলিককে।

পরিচালকের ব্যাপারে শুনলাম (বলা ভালো পড়লাম) তিনি বিলাত দেশে বীরাঙ্গনা নিয়ে 'গবেষণা' করেছেন। তো বাংলাদেশের একটা গৌরবময় অধ্যায়ের একটি উল্লেখযোগ্য শাখার ওপর গবেষণা করেও যিনি এমন একটা ফাউল সিনেমা বানাতে পারেন, তাঁর গবেষণাকর্ম ছেড়ে দিয়ে বোরো ক্ষেতে নিড়ানি দিতে চলে যাওয়া ভালো। সবকিছু নিয়ে মশকরা চলে না, এটা বোধ'য় গবেষণা করাকালীন তাঁর বিষয়টি নিয়ে উপলব্ধি করা আবশ্যক ছিলো।

প্রধান সহকারী পরিচালক হিসেবে ইশতিয়াক জিকো'র নাম দেখতে পাচ্ছি। ভাবতে খুব কষ্ট হচ্ছে ইশতিয়াক জিকোর মতো একজন ক্রিয়েটিভ মানুষের সামনে দিয়ে কী করে এমন 'ফ্যান্টাসি' বের হয়ে গেলো তাও ইতিহাসের আলখাল্লা গায়ে চড়িয়ে!

'ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ অন্তত সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে তো খুব দূরের নয়।’

এই বক্তব্য দিয়ে আসলে কী বুঝাতে চাইলেন, তা পরিচালক সাহেবাই ভালো বলতে পারবেন। পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক মিল কেবল দূরেরই না, বরং প্রায় প্রতিপাদ বিন্দুর কাছাকাছি। আর এইটা বুঝার জন্য কোনো বিষয়ে গবেষণা না করলেও চলে। আর ভারতের সাথে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক মিল কতোটা সেটা বুঝার জন্য কোটি টাকা খরচ করে বহুদূরের দিল্লি কিংবা মুম্বাই যাওয়ার দরকার নেই। বরং পায়ে হেঁটে বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগণা জেলায় গেলেই বিভেদটা ভালো করে চোখে পড়বে।

অতিথি লেখক এর ছবি

হায়রে সেন্সরবোর্ড!! মুক্তিযুদ্ধকে বলা হচ্ছে এমন একটি "যুদ্ধ" যা কিনা খাঁটি(জেনুইনলি!!!) প্রেমকে পরিপূর্নতা পেতে দিলনা? সেন্সরবোর্ডের কর্তারা কি শুধু মেয়েদের বিকিনি পড়া দৃশ্যকেই আপত্তিকর মনে করেন?
প্রেম সত্য, প্রেম মহান।প্রেমের কাছে কিসের মুক্তিযুদ্ধ কিসের কি?সঙ্গমসুখ বিশেষত পাকিসঙ্গমসুখের সাথে বোধ হয় আর কোনকিছুই তুলনীয় নয়।

পলাশ মোস্তাফিজ

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ঘৃণা!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

হিমু এর ছবি

একটা ব্যাপার লক্ষ্য করা দরকার। এর প্রচারণায় বারবার ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণীর নাম আসছে। সিনেমাতেও দেখা যাচ্ছে মেহেরজান ভাস্কর্য গড়ায় মন দিয়েছে। এই বালুচপ্রেমের দায়টা কি সূক্ষ্মভাবে ফেরদৌসির কাঁধেও ফেলা হচ্ছে না? এটা কতটুকু বস্তুনিষ্ঠ? ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণীর জীবনে কি এই কিসিমের কিছু ঘটেছিলো আদৌ?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

না... এই জীবনের সঙ্গে ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণী খালার কোনো সম্পর্ক নাই বলেই জানি।
ফেরদৌসি খালার জীবনসঙ্গী যাকে আমরা ভালুক ভাই ডাকি... উনি একজন চমৎকার মানুষ এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা...

খালার কাছে এই সিনেমার বার্তা কতটুকু পৌঁছেছে জানি না, কালকে দেখি যোগাযোগ করবো

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুরঞ্জনা এর ছবি

যে ভাস্কর্য দেখলাম প্রপ হিসেবে ব্যবহার করেছে, সেটাতো ওনার গড়া ভাস্কর্যের আদলে তৈরী।
ওনার পারমিশন নেয়া হয়েছে?

আজকে মা আমাকে নিয়ে গেলো দেখতে।
যা বলার অনিন্দ্যদা বলে দিয়েছে।

এত বিরক্ত, আর এত হতাশ খুব কম হয়েছি।
আজব এক ধরণের মাথা ব্যথা নিয়ে বাড়ি ফিরলাম।
ভাষার ব্যাপারে কিছু বলার নেই। রাবিন্দ্রিক ভূত তাড়াতে যে ওষুধের প্রয়োগ দেখলাম, তার কোনো কনসিস্টেন্সি পর্যন্ত ধরে রাখার চেষ্টা নেই। কেউ প্রমিত বাংলা, কেউ ফারুকি বাংলা, কেউ দুটোই বলে যাচ্ছে।

আর কাহিনী প্রসংগে কিছু বলার নেই।
কিচ্ছু বলার নেই
অবাক হবো না। কারণ এরপর এই ছবির দারুণ দারুণ রিভিউ আসবে পত্রিকায়।
তকমা লাগবে লোকজনের নামের সাথে। বড় বড় নামের অভিনেতা অভিনেত্রীরা তো আছেনই।
কার বাপের সাধ্য এই ছবির অ্যাপিল নষ্ট করে পাবলিকের কাছে।

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

সুরঞ্জনা এর ছবি

নজু ভাইয়ের লিঙ্ক ধরে কল্লোল মুস্তাফিজের ফেইসবুক নোট দেখলাম।

ছবির সংলাপ ভীষণ দুর্বল- বক্তব্য ও পক্ষেপণ উভয় বিচারেই। ৩৮ বছর আগের ঘটনা-পরিস্থিতি নিয়ে নির্মিত ছবিতে ডিজুস উচ্চারণ বেশ কানে লাগে। একই সাথে সেসময়ের মেহেরের গায়ে বলিউড ধাচের পোশাক চড়িয়ে দেয়াটাকে বেশ “সাহসী” ফ্যান্টাসী বলা যেতে পারে। অবশ্য পরিচালক রুবাইয়াত হোসেন মেহেরজান ছবির উপর নির্মিত একটি ডকুমেন্টারি তে বলেছেনই যে ছবিটা রিয়েলিটি আর ফ্যান্টাসির সমন্বয়। আমরা মনে করি, মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্ভরকরে নির্মিত এই কথিত “যুদ্ধ ও ভালবাসার ছবি”তে এই রিয়েলিটি আর ফ্যান্টাসির মাখামাখি করতে গিয়ে তিনি শেষ পর্যন্ত একটা “ফ্যান্টাসাইজড রিয়েলিটি” বা কল্পিত বাস্তবতা তৈরী করে বসেছেন যেখানে মুক্তিযুদ্ধ খুব বেশি হলে বিকৃত/খন্ডিত/আরোপিত এক ব্যাকগ্রাউন্ড।

মোক্ষম।

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ঢ়ৈষূ গংদের গিলিট্‌জে আসছে-

প্রিয়ভাষিণী তার বক্তব্যে বলেছেন, ‘রুবাইয়াত তার বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি এসাইনমেন্টের কাজে আমার বাসায় এসেছিলেন। কিন্তু তখন ভাবতেও পারিনি যে এই এতোটুকু একটি মেয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এমন স্বপ্ন দেখেছিলেন। আমার বিশ্বাস, এই প্রজন্মই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে দেশকে সামনে এগিয়ে নেবে।’

...... খোঁজ নিতে পারবেন আদৌ এসব বলছেন কিনা। নাকি উনার মুখে কথা বসিয়ে ছাপিয়ে দিয়েছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

এই ছবির চিত্রনাট্যকার ও পরিচালকের নাম, ফেসবুক আইডি, ইমেল এড্রেস এবং অতি অবশ্যই বংশপরিচয় জানতে মন চায়

---আশফাক আহমেদ

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এইসব পাকমন পেয়ারুর কোত্থেকে আসে সব?

অতিথি লেখক এর ছবি

পেনসিলভেনিয়া থেকে হাসি
-রু

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

সুনীল তার উপন্যাসের নারীচরিত্রকে এক বাংলাদেশী মুক্তিযোদ্ধা তরুনের যৌনআকাঙ্খা থেকে কৌশলে বাঁচিয়ে দেন এই বলে যে, "শুধু জড়াজড়ি হয়েছে"; সেখানে আমরা অবলীলাক্রমে আমাদের নারীকে পাকিস্তানী সৈনিকের আকাঙ্খারা কাছে সোপর্দ করে দেই। আমি ছবিটা যদিও দেখিনি তবুও অনিন্দ্যর রিভিউ থেকে যা বুঝলাম তা হলো এই ছবিটাতে আমাদের মেয়েদের পাকিস্তানীদের ভোগ্যপণ্যে উপস্থাপিত করা হয়েছে। পাকিস্তানী সৈনিকের ইশ্‌কে মাতওয়ারা তরুনী মেহেরজান অথবা হাই ড্রাইভে থাকা খাজা সাহেবের মেয়ে, "আব্বা, আমাকে সৈনিক এনে দেন"। একটু ঠাট্টা করেই বলি, এই ছবিতে বাংলার নারীজাতির চরম অবমাননার সাথে সাথে বাংলার পুরুষদের রোমান্টিকতার অযোগ্যতা, পুরুষত্বের ঘাটতি, এগুলোর ইঙ্গিতও কি একটুখানি পাওয়া যায়নি?

যেহেতু আমি একজন পুরুষ, তাই একজন নারীর কাছে পাকিসঙ্গমের কি মজা তা আমি জানিনা। যে পাকিসঙ্গম করেছে সে'ই ভালো বলতে পারবে। তবে পাকিসঙ্গম করতে চাইলে আমাদের তো আপত্তি থাকা উচিত না যদি যার খাউজ সে নিজেই নিরবে নিভৃতে নিবারণ করতে পারে। আমাদের আপত্তির জায়গাটা এইখানে যখন গোষ্ঠিবিশেষ তাদের পাকিসঙ্গমের অর্গাজম বাংলার মায়েদের-মেয়েদের উপর ফিসাবিলিল্লাহ্‌ বিতরন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়।

ধিক্কার!

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

অতিথি লেখক এর ছবি

মুক্তিযুদ্ধেরে একটা ছোট্ট না-বলা অধ্যায় আছে। বাবার মুখে শোনা। কুমিল্লায় একবার পাঞ্জাবি আর বেলুচ সৈন্যদের মধ্যে যুদ্ধ বেঁধে যায়। গুজব ছিল, বেলুচরা 'মুসলমান-হত্যাকারী' পাঞ্জাবদের থামানোর জন্য এ যুদ্ধের অবতারণা করে। সে যাই হোক... আমরা ব্লগে জা-শি নিয়া ফেনা তুইলা ফালাইলেও, এদের উত্তরসূরীরা কিন্তু প্রত্যেকদিন এক ধাপ উপরে উঠতেসে। আমাদের গলা টিপে ধরার জন্য হাত আস্তে আস্তে কাছে আনতেসে। আর আমরা ব্লগে ফেনা তুলা ছাড়া আর কিসুই করতেসিনা। ব্যপারটা দুঃখজনক। স্বাধীন বাংলার মাটিতে ৮০-র দশকে যদি এইরকম সিনেমা না হয়ে থাকে, এখন হয় কিভাবে? একটাই উত্তর- ওই গুষ্ঠি এখন আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী আর এখন তারা পুরা জাতির মগজ-ধর্ষণ করার জন্য কোমড় বাইন্ধা মাঠে নামসে। সিনেমা দেখেন আর না দেখেন; চোখ বন্ধ কইরা ঘরে বইয়া ঘুম যাইয়েননা। ৪০ বছর ঘুমাইসি। আর কত?

অনীক_ইকবাল

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি একটু যোগ করি।

এই ধরনের ঘটনা যে একদম ঘটে নাই, তা না। ঘটেছে। একই সাথে বেশ কিছু মানুষ মুক্তিযুদ্ধের পাশাপাশি এখানে সেখানে চুরি, ডাকাতি এমনকি ধর্ষণের মত অপরাধও করেছে। সেই হিসেবে পরিচালিকা রুবাইয়াত হোসেন (এ কি যোগাযোগ মন্ত্রি আবুল হোসেনের মেয়ে?) কাউন্টার লজিক দিতে পারেন যে, তার ছবির ফ্যান্টাসি গুলা ফ্যাক্ট দিয়ে তৈরি। সুতরাং ছবির উপাদান নিয়ে আমার তেমন কোনো মাথাব্যাথা নাই। আমার চিন্তা এর মেসেজটা নিয়ে।

আমি একটু ভিন্ন ভাবে দেখার চেষ্টা করেছি। যুদ্ধের সময়ে ঘটা এই ধরনের ঘটনা যা পুরা যুদ্ধের ০.০০১% অংশকে রেপ্রিজেন্ট করে তা নিয়ে আমাদের ভাবিত হওয়ার কি কোনো কারণ আছে? বা আরো স্পষ্ট ভাবে বললে এই সব পরমাণু কাহিনিগুলাকে হঠাৎ করে হাতির আকারে তুলে ধরার কারণ কি?

এই ধরনের কাহিনি ছড়ানো ছিটানো ভাবে নানাধরণের মাধ্যমে এসেছে কিন্তু বড় পর্দায় কখনো আসেনি। বড় পর্দা সমাজ পরিবর্তন করতে পারে না ঠিকই কিন্তু এটি যেকোনো মেসেজ ঠিক মত পৌছে দিতে পারে। আমাদের দেশে এখন একটা প্রভাবশালি ভোগবাদি ভোক্তাশ্রেণি গড়ে উঠেছে বা স্বযত্নে গড়ে তোলা হয়েছে। এরা প্রশ্ন করে না। এদেরকে যা দেয়া হয় তাই খায়। এরা ডিজুসের রসে বেহুশ থাকতে পছন্দ করে। এরা বিনা প্রশ্নে ভারতিয় সামাজিক আগ্রাসন মেনে নিয়ে নিয়েছে। এদের কাছে এখন আরেকটি মেসেজ গেল বলিয়ুড স্টাইলে যাতে তারা সহজে হজম করতে পারে। মেসেজটা কি?

১/ মেসেজটা হল, মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ পছন্দ করত না। তারা বিয়ে করে শান্তিতে থাকতে চায়। দেশ কোন মা***ফা** চালায় তা নিয়ে তাদের মাথাব্যাথা নাই।

২/ কোনো মেয়ে বিয়ে করতে না চাইলে মুক্তিযোদ্ধারা তাকে নিয়ে জোর করে কিছু একটা করত।

৩/ মুক্তিযোদ্ধারা খারাপ টাইপের মানুষ।

৪/ পাক আর্মির দ্বারা ধর্ষিত মেয়েরা আবার নানাভাবেই মুক্তিযোদ্ধাদের দ্বারাই লাঞ্ছিত হত।

৫/ মুসলিমে লীগের মানুষরা রক্ত পছন্দ করে না। হত্যাতো আরো দূরে। শান্তিই ছিল তাদের মুল লক্ষ।

৬/ ওহ্হ, আসল কথা বলা হয় নাই। পাকি সেনারা মানুষ হিসেবে অসম্ভব ভাল ছিল। নারীর মর্যাদা তারা হাড়ে হাড়ে রক্ষা করত। বরং মুক্তিযোদ্ধারা অযথাই তাদের মারতে চাইত। শী*, এতদিন আমাদেরকে ফা**** ইনফরমেইশন দেয়া হইছে। ফ্রম নাউ অন, আওয়ার গার্লজ ডু অরগাজম ড্রিমিং দিজ গাইজ...

আমাদের কনসুমার ক্যাপিটালিস্টিক ক্লাস এই বলিয়ুডি ভার্সন ভাল মত খাবে। তারা প্রশ্ন করতে জানে না। তারা এইটা বিশ্বাস করবে। এমন না যে, তারা এখনি বিশ্বাস করে ফেলসে। পুরানো ধারণা গুলা সরতে সময় লাগে। কিন্তু কে আর সময় নষ্ট করে ভাববে যে দে আর ইন দ্যা মিডল অব স্লো পয়জনিং। এই রকম আরো আসবে। তারা বাধ্য হবে বিশ্বাস করতে যে, যুদ্ধ আমাদের করা উচিত হয় নাই। শান্তির উপরে জিনিস নাই। এখন আর বৈরিতা রাইখা লাভ নাই। সো বিচার-টিচার ক্ষমা-টমা এইগুলা আজাইরা জিনিস বাদ দাও। এর চেয়ে এক লগে হাতে হাত রাইখা হাটি। আমরা ভাই-ভাই। পারলে আমগো মেয়েগুলারে ওই পাঠানগো লগে করবার সুযোগ দেয়া যাইতে। এই রকমি আরো হাউ কাউ। আমি ফ্যান্টাসির মত করে বললাম, কিন্তু চোঁখ কান খোলা রাখলে যে কেউ বুঝবে এই গুলা এখন আমাদের সামনে ঘটছে।

এবার আসি আসল কথায়। এই ঘটনায় লাভের গুড় কে খাবে? উত্তর খুবই সহজ। যারা ধরতে পারার, আগেই ধরে ফেলেছেন। জামায়াত। খুবই সুক্ষ্ণ ভাবে পরিকল্পনা গুলো করা। তাদের টার্গেট ২০৩০। এটা যথেষ্ঠ সময় পুরা জাতির ব্রেইন ওয়াশ করে ফেলার জন্য। আর তাদের এই পরিকল্পনা এখন বাস্তবায়ন করে দিচ্ছে আওয়ামি লীগের ভিতরে থাকা জামায়াত মনোভাবাপন্ন মানুষগুলা। এই মানুষগুলো হয় হিডেন জামাতি অথবা ইতিমধ্যে পয়জন্ড। আর বাকিরা এখন টেন্ডার বাক্স নিয়ে ব্যস্ত। যেকোনো সাম্রাজ্যবাদি গোষ্ঠির প্রথম পছন্দ জামাতের মত দল গুলা যাদের প্রচুর রিসোর্স আছে। ৭১ এ পাকিস্তানের হয়ে কাজ করেছে তারা। আর এখন ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদি গোষ্ঠির কাছ থেকে তারা কিছু পাচ্ছে না তা বলা যায় না। অপ্রাসংগিক হলেও বলছি কদিন আগে সীমান্তে বিসিএফের গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে ব্লগারদের ডাকা মানবন্ধন সফলভাবে ব্যর্থ হয়েছে জামাত-শিবিরের কল্যাণে।

সুতরাং খুউব খেয়াল কৈরা......

অনন্ত

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

দাদার জন্যে একটা গোটা ছবি বানানো হইসে। যাদের দাদা প্রাকৃতজন ছিল না, তাদের মধ্যে এইসব জিনিসের প্রাদু‌র্ভাব দেখা যায়। দাদ ঠিক আছিল, সেখান থেকে চিন্তার শুরু। ফোকফ্যান্টাসি, মুসলিম লিগ, এগুলা তো কেবল চিন্তার উপজাত। সকল দাদাপ্রেম বর্জন করা উচিত। দাদাপ্রেমীরাই গণমানুষের মাইক কাইড়া নিয়া তাদের বাকি ইতিহাস লেখতে চায়।

তবে একটা জাতির কখনোই সেন্সরবোর্ড নির্ভর হয়ে ওঠা উচিত না। সেন্সর জিনিসটা বাচ্চাপোলাপাইনের দরকার, প্রাপ্তবয়স্কের না। সেন্সরে খারাপ কথা আটকাইয়া দিলে সাময়িক জয়লাভ আর শক্তিপ্রয়োগের সুখ পাওয়া যায়। কিন্তু প্রতিটা সেন্সরশিপ প্রতিপক্ষকে প্রত্যয় আর সংগঠনে শক্তিশালী করে। খারাপ জিনিসকে যুক্তি দিয়ে মোকাবিলা করার যে চর্চা, সেন্সরশিপ সেটাকে ব্যাহত করে। আপনার এই লেখাটা একটা সেন্সরবোর্ডের চেয়ে শতগুণ ক্ষমতাশালী আর কার্যকর, এই আস্হা রাখেন। শক্তি নয়, যুক্তিকে সহায় করে যারা চলতে শেখে, তাদের বিনাশ নাই।

হিমু এর ছবি

"খারাপ জিনিসের" আওতা কেন যেন সব সময়ই যুক্তির আওতার চেয়ে বেশি হয়। একটা "খারাপ সিনেমা" বিনা সেন্সরে লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছে যায়, সেই তুলনায় যুক্তি সীমিত থাকে ছোটো পরিসরে। তাই কিছু লোক সব সময় মেঝে নোংরা করবে আর কিছু লোক সেগুলো পিছে পিছে মুছতে মুছতে যাবে, এই মডেলটা বেশিদিন কার্যকর হবে না, যদি যুক্তিচর্চাকারী বিনা লাভে সময় আর শ্রম দিয়ে যায়। কারণ "খারাপ জিনিস" উৎপাদনকারী লাভের গুড় পকেটে গোঁজে, তাকে প্রতিরোধকারী পকেট থেকে গুড় বের করে খরচ করে যুক্তি দিয়ে যায়। সেন্সর তুলে দেয়ার আগে যুক্তিচর্চাকারীকে তার সময়ের মূল্য পরিশোধ করে দিন।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

আপনার অর্থনৈতিক বিশ্লেষণটা চমত্কার। তাহলে দেখা যাচ্ছে, কেবল-যুক্তি-নির্ভর পন্থা দুর্বলই থেকে যাবে লাভজনক খারাপ জিনিসের সামনে। এটুকু বিশ্লেষণ, অন্তত সুনিশ্চিত না হলেও গ্রহণযোগ্য। তবে আমি মনে করি, যুক্তিচর্চার মূল্য যে সমাজ উপলব্ধি করবে, সে সমাজ যুক্তি চর্চার মূল্য পরিশোধের ব্যবস্থাও তৈরি করতে পারবে।

কিন্তু আপনার বিশ্লেষণ থেকে 'অতএব শক্তি-প্রয়োগ কার্যকর পন্থা', এই মতে সহজে আসা যাচ্ছে না। সেন্সর করলে অবশ্যই তাত্ক্ষণিক একটা ফল পাওয়া যাবে। তবে সেন্সরকৃত জিনিসগুলোর 'বিপ্লবী' মূল্য মানুষের কাছে মারাত্মক। আর শক্তি প্রয়োগে মানুষের মূল্যবোধের পরিবর্তন একধরনের বিফল প্রজেক্ট। এই ব্যাপারগুলোও বিশ্লেষণে আনা দরকার। নিরাবেগ বিশ্লেষণে আমার কাছে বরাবরের মতই মনে হয় শক্তি প্রয়োগের প্রভাব ক্ষণস্থায়ী, ক্ষতি দীর্ঘস্থায়ী। ফলে যেসব সংগ্রাম সুদূর-ভবিষ্যতব্যাপী প্রসারিত, সেখানে সুপরিকল্পিত পন্থার বিকল্প নেই। এবং এসব পন্থা সাধারণত অল্পই শক্তি নির্ভর হবে।

এখানে অামার ফোকাস সেন্সর তুলে দেয়া না। আমি সরকারে থাকলে হয় তো সেন্সরবোর্ডে খরচ করা টাকাটা যুক্তি-নির্ভর লেখকদের পেছনে ব্যয় করতাম। কিন্তু এখানে আমার বক্তব্য একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে অন্য সকল সাধারণ মানুষের প্রতি। সরকারের প্রতি নয়। আর আমার বক্তব্য আমরা নিজেরা অামাদের চিন্তা চেতনায় যাতে সেন্সর-নির্ভর না হয়ে উঠি সেই আহ্বানমূলক। অারো বেশি যুক্তিনির্ভর হয়ে ওঠার পেছনে অর্থনৈতিক কারেন্সির অবর্তমানে চিন্তাগত কারেন্সি প্রদানের একটা প্রচেষ্টা করলাম মাত্র। সেটা না করে লবি করে সিনেমাটাকে সেন্সর করে দিয়ে জাতে তোলার চেষ্টাও করা চলে। আমার বিশ্লেষণে ভবিষ্যতের বিচারে সেটা একটা আবেগী ভুল।

হিমু এর ছবি

আপনার প্রস্তাবনা মতে, আমাদের যুক্তির চর্চা করতে হবে। আবার আপনিই বলছেন, মানুষের কাছে সেন্সরড জিনিসের বিপ্লবী মূল্য চড়া। যুক্তিবাদীর কাছে সেন্সর করা "খারাপ জিনিস" এর আবার মূল্য কী? সে তো যুক্তি দিয়েই একে পরাভূত করতে প্রস্তুত ছিলো। অর্থাৎ, আপনি পরোক্ষে স্বীকার করে নিচ্ছেন, যাদের কাছে এই সেন্সর করা "খারাপ জিনিসের" মূল্য একসময় চড়ে যায়, তারা ঠিক যুক্তি অনুসরণ করছে না। সেখানে আবেগের মূল্যই বেশি। তার মানে, আমরা একটা আবেগনিষ্ঠ সমাজ নিয়ে কথা বলছি। আবেগনিষ্ঠ সমাজের কাছে আবেগের অ্যাপিল বেশি, নাকি যুক্তির? উত্তর সহজ, আবেগের অ্যাপিল বেশি। তাহলে যুক্তির আহ্বানটাই তো মাঠে মারা যাচ্ছে।

আমি এই সিনেমা সেন্সর করে বাতিল করার প্রস্তাব করছি না। আমি "খারাপ জিনিস" এর বিপক্ষে যুক্তির কার্যকারিতার প্রায়োগিক সমস্যাটার কথা তুলে ধরলাম শুধু। আপনি যেহেতু মানুষের আবেগের দিকটাকে যুক্তির ছাঁচে আনতে চাইলেন, স্মরণ করিয়ে দিই, আমাদের সমাজে [পৃথিবীর অন্য সমাজের মতোই] মানুষ নিরাবেগ যুক্তিবাদী বিশ্লেষণে সামষ্টিকভাবে সক্ষম নয়। এই সক্ষমতা আনতে যে সময় লাগবে, সেই সময়টুকুতে খারাপ জিনিস তার উদ্দেশ্যপূরণ করে লাভের গুড় পকেটস্থ করে ফেলতে পারবে। জাহাজ ভাঙা শিল্প আর শেয়ারবাজারের দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন ব্যাপারটা। যুক্তিবাদীরা ক্রিটিক্যাল ম্যাসে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত কেবল যুক্তি দিয়ে "খারাপ জিনিস"কে মোকাবেলা করা যাবে না।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

সেক্ষেত্রে আপনার সাথে আমার বক্তব্যের পার্থক্য থাকছে না। সমসাময়িককালে কেবল সত্যনিষ্ঠ যুক্তি-নির্ভর পন্থার কার্যকর না হবার সম্ভাবনাকে আগের কমেন্টের শুরুতেই 'গ্রহণযোগ্য' বিশ্লেষণ বলে উল্লেখ করেছি।

অর্থাত্ আমি আমার বিশ্লেষণে শক্তিপ্রয়োগের দুর্বলতা তুলে ধরেছি, আপনি আপনি আপনার বিশ্লেষণে 'কেবল যুক্তিনির্ভরতার' দুর্বলতা তুলে ধরেছেন।

হিমু এর ছবি

পরিচালিকা রুবাইয়াত এর আগে ষোলো মিলিমিটারে চারটা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বানিয়েছে বলে জানা গেলো আলুপেপার থেকে। এরপর তিনি পূর্ণদৈর্ঘ্যে হাত দিয়েছেন। ওনার বানানো ঐ চারখান স্বল্পদৈর্ঘ্য দেখার ব্যবস্থা করতে পারেন কেউ? একটু দেখা দরকার, এই মহিলা দ্বিতীয় শর্মিলা বসু হিসেবে মাঠে নেমেছে কি না। প্রযোজক আশিক মোস্তফার ব্যাকগ্রাউণ্ডই বা কী? তারেক মাসুদকে রানওয়ে বানাতে গিয়ে জমি বিক্রি করে দিতে হয়, আর এইসব সলিড বালছালের পিছনে কোটি কোটি টাকা খরচ করার লোকের অভাব হয় না।

মগবাজার থেকে এইসব ছদ্মমুক্তিযুদ্ধের কাহিনীকে কিছু চ্যাংড়াকে [তাদের মধ্যে দুয়েকটা পেঙ্গুইন ছানা থাকবে] সামনে ঠেলে সিনেমার চেহারা দেয়ার জন্য অর্থনৈতিক ব্যাকিং দেয়া হচ্ছে কি না, সেটাও দেখা দরকার। পত্রিকাগুলি পাছায় বিজ্ঞাপন গুঁজে মুখ বন্ধ করে রাখবে, ওখানে কিছু আসবে না।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

মেহেরজান নিয়ে একটা লেখা লিখলে যথেষ্ঠ না। সচলদের কাছ থেকে এই সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা পোস্ট আকারে দেখতে চাই।

এবাদুর রহমানেরা আগেভাগেই পাকিপ্রেমের সমীকরণ ঠিক করে তারপরে কাজ, পড়াশুনা বা লেখালেখি করে। গুলমোহর রিপাবলিক নামের বইকে উনি দাবি করেন টেগোরের (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখলে তো দাড়িবাবুকে সাইজ করা যায় না, তাই টেগোর) শেষের কবিতার পুনর্লিখন বলে। তারপর ভরে ফেলেন আবাল হাইপোথিসিসে। এদের উত্তরাধুনিকতার ঠিকানা পাকিসঙ্গমের ফ্যালাসিওতে।

হিমু এর ছবি

সুকঠিন বলদামি

তৈয়ার থাকেন। শিক্ষাগুরু দ্দীণূ এই সিনামার পক্ষে কলম শানাবে অচিরাৎ। জ্যাঁ বদ্রিয়া, ৎসিগমুন্ট বোমান, নিম্নবর্গীয়পনা, এইসব কিছু মুখস্থ নাম আর শব্দ ঢুকিয়ে যাবতীয় আকামকুকাম হালালীকরণের খ্যাপ মারার জন্য তারে সবসময়ই গদিঘরের আশেপাশে পাওয়া যাবে।

রানা মেহের এর ছবি

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে।
এরকম ছবি বানিয়ে হিট করানোর এর থেকে ভালো সময় আর কী হতে পারে?
আরো বিরক্ত লাগছে এই ছবি কিছু মানুষ পছন্দ করছে দেখে

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

হিমু এর ছবি

রানা মেহেরজান দেঁতো হাসি

রানা মেহের এর ছবি

হো হো হো

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

জি.এম.তানিম এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

দ্রোহী এর ছবি

এক্কেরে খাপে খাপ, মইজুদ্দির বাপ।

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

নাশতারান এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

দুর্দান্ত এর ছবি

অপ্রাসংগিক কথা, আট রশির পির সাহেবের আয়রোজগারের উতস কি ছিল? তার মেয়ের জামাইয়ের পেশা কি? পির সাহেবের নাতনি এই সাইজের ফিল্ম বানানোর পয়সা কোথায় পেলেন? তিনি এই বছর কতটাকা ট্যাক্স দিবেন? কোন দেশে ট্যাক্স দিবেন?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এই সিনেমার প্রডিউসার তো আশিক মোস্তফা... যিনি আবার চিত্রনাট্যকার এবাদুর রহমানের প্রিয়বন্ধু হাসি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হিমু এর ছবি

এবং ডিরেক্টরের জামাইও বটেন হাসি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

তাই নাকি? এইটা তো জানতাম না... হা হা হা হা... ভালু হাসি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

উজানগাঁ এর ছবি

এই আশিক মোস্তফা কি নব্বইয়ের লিটলম্যাগে কবিতা লিখিয়ে আশিক মোস্তফা ?

হিমু এর ছবি

উনি যোগাযোগমন্ত্রী আবুলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সাঁকো ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার। পদ্মাসেতু আর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কল্যাণে ওনাদের আয়রোজগার মন্দ হবার কথা না। ট্যাক্সের ব্যাপারটা আরেক আবুল, আবুল মালকে জিজ্ঞেস করাই ভালো।

_নুভান_ এর ছবি

নামঃ এবাদুর রহমান
জন্ম: করাচী পাকিস্তান; ২৫ মে ১৯৭৩

প্রকাশিত বই
পূর্ববাঙলার ভাষা (সম্পাদনা)
দাস ক্যাপিটাল (উপন্যাস)
গুলমোহর রিপাবলিক (উপন্যাস)

প্রকাশিতব্য বই
ডুবসাঁতার ও সিনেমাতন্ত্র (সম্পাদনা)

আর্টস-এ প্রকাশিত লেখা
এবাদুর-ইনারিতু সংলাপিকা

জন্ম - পাকিস্তানে, বাকিটা বুইঝ্যা লন। সূত্রঃ http://arts.bdnews24.com/?page_id=2489

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

'ডুবসাঁতার ও সিনেমাতন্ত্র' প্রকাশিতব্য না... ইতোমধ্যে প্রকাশিত, আমার কাছেই আছে বহিখানা...

দাস ক্যাপিটাল উপন্যাসের ভূমিকা এবাদুর নিজেই লিখছেন-

একজন লেখক বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কেন কথা বলবে
দাস ক্যাপিটাল "উপন্যাসের ভূমিকা" নামধেয়
চায়না শপে...

বলে শুরু ৯-২৬ পৃষ্ঠাব্যাপী সেই ভূমিকার প্রায় পুরোটাই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ইতিহাসের নিজস্ব বয়ান। এর ১৪ নম্বর পৃষ্ঠার একটা চিত্র দিলাম... পাঠক নিজ দায়িত্বে বুঝে নেন

উল্লেখ্য ভূমিকাতে এবাদুর রহমান বোল্ডাক্ষরে দাবী করছেন দাস ক্যাপিটাল বাংলা ভাষার প্রথম আধুনিক উপন্যাস

তো, দাস ক্যাপিটাল যে একটা ম্যানিফোস্টো ও বাংলা ভাষায় লেখা প্রথম আধুনিক উপন্যাস, লাল কালিতে আমি লিখেছি সেই কথা, কিন্তু, গোরিলার মতো বুক চাপড়ে এই 'মূর্খ ঘোষণা' আমি কেন দিচ্ছি? শখসে?

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হিমু এর ছবি

হেহে, বিহারি রাসেলের মতো কেস মনে হইতেসে।

হাসিব এর ছবি

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়াটাই এদের জ্বলুনীর কারণ। কী সুন্দর নিজের অজানাটারে বাকি সবার ঘাড়ে চাপায় দিলো।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার মনে হয় মেহেরজানের ব্যপারে আমরা অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে কথা বলছি। আজকে মুক্তিযুদ্ধের স্পক্ষে এবং বিপক্ষে এক ধরণের মিথ কাজ করে যার ফসল এই চেতনা। চেতনার নামে কিছু লোককে ও এস ডি বানানো বা অন্য ভাবে ভিক্টিমাইজ ছাড়া আর কিছুই হয়নি। ঘরের বধূ মেহেরজান যুদ্ধে নিজের সম্ভ্রম খুইয়ে "বীরাঙ্গনা" লকেট পেলেও অত শিগ্‌গিরই "বারাঙ্গনা" হয়ে গেলেন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী (স্বপক্ষের বা বিপক্ষের) কোনো রাজনীতিক কিন্তু নিঃস্ব হননি। দাড়ি রেখে ছিন্‌তাইয়ের সময় কেটে যাওয়া গাল ঢেকে ঘুড়ে বেড়ালেও তাদের অকস্মাৎ ভাগ্যস্ফীতি কিন্তু প্রতিবেশীদের কাছ থেকে লুকোতে পারেননি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে এখন বাস্তবতার চেতনার ফলা দিয়ে ডিসেক্‌শন করার সময় এসেছে। ভাববেন না, এতে স্বাধিনতা বিরোধীরা ফায়দা লুটে গণেশ উল্টিয়ে দেবে। বরং স্বাধিনতার আগের ও পরের গলাবাজি/তোলাবাজি আমরা জেনে নিতে পারব। তার কিছু ফায়দা আলোচিত মেহেরজানরাও পেতে পারে বৈ কি। শুভ্রপ্রকাশ

দ্রোহী এর ছবি

আপনার মন্তব্যটা দু'ধারী তলোয়ারের মত ফেড়ে দিল। কোনদিকে কাটলো কিছুই বুঝতে পারলাম না।

অ্যাঁ

একটু খোলাসা করে বললে বুঝতে পারতাম। আপনি কি বলতে চাইছেন যে একাত্তর সালে গন্ডগোলটা না হলে বাংলাদেশী প্রেমিকারা তাদের পাকিস্তানী প্রেমিকদের রোমশ বুকে জায়গা করে নিতে পারত খুব সহজেই নাকি বলতে চাইছেন যে "মেহেরজান" একটা স্বাধীনতা বিরোধী চেতনা?

একটু খোলাসা করে বুঝিয়ে বলতে পারলে আমার মত বিভ্রান্ত, ও আবেগপ্রবণ জনতার জন্য ভাল হত।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

খালি কইলেই পারতেন 'পজিটিভ' হো হো হো

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

হাসিব এর ছবি
দ্রোহী এর ছবি

দেঁতো হাসি

হিমু এর ছবি

ভালো দেখে একটা স্পোর্টস আন্ডারওয়্যার কিনেন। সস্তা আন্ডারওয়্যার ঠেলে লেজ বাইরে বেরিয়ে পড়ে। উন্নত মানের স্পোর্টস আন্ডারওয়্যার পরলে লেজ পাৎলুনের ভেতরেই থাকবে।

উভচর এর ছবি

অসন্তোষ নিমিষেই ছড়িয়ে পড়ে, সংক্রামক এর মতো। যার কোন রাগ নেই সে-ও দেখা ও জানা ছাড়াই চ্যাঁচামেচি করতে থাকে। আপনাদের বোধহয় তাই হয়েছে। সিনেমা একটা বড় সময়ের কথা বলে, তারপরও তা কয়েকজন মানুষের জবান এবং আচরণেই সীমাবদ্ধ। আর ১৮ বছরের মেহেরজান! ১৯৭১-এর ভিত্তিতে বাংলাদেশের মানুষ দুই রকমঃ পাকিস্তানের পক্ষে এবং পাকিস্তান বিরোধী। ১৮ বছরের মেয়ের মন দুটোর একটাতেও পড়েনা। সে তার রক্ষাকারী কে ভালবাসবে নাকি পাকসেনা বলে ঘৃণা করবে, তার তো অন্তর্দন্দ্ব হওয়ার কথা। পরিচালক সহজ করে প্রেম দেখালেন। সমস্যা কথায়? এটাই হওয়ার কথা।

হেয় করে বা মজা করে কিন্তু অনেক কিছুই বলা যায়, শুধু একটু খেয়াল রাখতে হয় বেশি হেয় হয়ে যাচ্ছে কিনা।

তা লেখক ভাই, বলিউড অভিনেত্রী তথা বাঙালী নারী ও পাকসেনার প্রেম নিয়ে লিখলেন যে? আপনার রিচিত কেউ ছিল/আছে এমন?

পাক/পাঠান/বালুচ ইতিহাস না ঘেঁটে চলুন নিজেদের ইতিহাস ঠিকমতো জানি। সিনেমায় ছোটখাটো ভুল থাকেই। পরিচালকরা মহামানব/মানবী না। তাই বালুচসেনা খাস উর্দু বলতে পারে।

সবশেষে সবাইকে, ভুলত্রুটি মাফ করবেন। ধন্যবাদ।

দ্রোহী এর ছবি

জন্মের পর থেকেই দেখছি চারিদিকে খালি যুদ্ধ আর যুদ্ধ!

আর ভাল লাগে না। বরং একটা পাকিসোনা থুক্কু সেনা এনে দেন। প্রাণভরে ভালবাসি।

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

হি হি হি হি... হাসতে হাসতে মরি গেলাম...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

হাসিব এর ছবি

হেয় করে বা মজা করে কিন্তু অনেক কিছুই বলা যায়, শুধু একটু খেয়াল রাখতে হয় বেশি হেয় হয়ে যাচ্ছে কিনা।

কথা তো সেইখানেই। সিনেমায় বহুত কিছু দেখানো যায়, শুধু খিয়াল রাখতে হবে একটু বেশী বোটকাগন্ধি হয়ে যাচ্ছে কিনা।

হিমু এর ছবি

এখানে যারা মন্তব্য করছে, তারা তো কেউ রাগের মাথায় করছে না। আর অসন্তোষ তো ছড়িয়ে পড়বেই, অসন্তুষ্ট হবার মতো কিছু করলে। আর এই ১৮ বছরের মেহেরজান ব্যাপারটা কী? বাংলাদেশে লাখের ঘরে ১৮ বছরের মেহেরজানেরা ধর্ষিত হয়েছে, মাসের পর মাস, দিনে ১০-১২ বার করে। তাদের সবার গল্প কার্পেটের নিচে ঢুকিয়ে এই পেলাসটিকের মেহেরজান নিয়ে সিনেমা বানানোর আঁশটে ঘটনারই ব‌্যবচ্ছেদ চলছে। "১৮ বছরের মেয়ের মন"কে সম্বল করে সিনেমা বানাতে চাইলে আরেকটু সতর্কভাবে কাহিনীপট বেছে নিলেই তো হতো।

পরিচালক সহজ করে ছাগলামি করলে সমস্যা কোথায়? আসলেই তো। কোনো সমস্যা নেই। তাই সেটার সমালোচনাতেও কোনো সমস্যা নেই। একটু বেশি হেয় হয়ে গেলেও সমস্যা নেই, ছাগলামি তো ছাগলামিই।

সিনেমায় ছোটোখাটো ভুল থাকেই, বড়খাটো ভুলও থাকে। আসেন ঠিকমতো চিনে নিই ভুলগুলিকে।

আপনার নিকটা খুব মানানসই হয়েছে মন্তব্যের সাথে। কাঠবিড়ালি নিকটা কনসিডার করবেন? ঐ যে গাছেরও খায় তলারও কুড়ায়?

মণিকা রশিদ এর ছবি

পৃথিবীতে ১৯৭১ সনের পর পাকিস্তান বইলা আর কিছু জীবিত নাই। পাকিস্তানের ধারণাকে আমরা মাটিপোঁতা দিছি ঐ বৎসর শীতকালে।

তারপরও, পাকিস্তানের প্রেতাত্মার সাথে সঙ্গমসুখ অনুভব করে, এমন লোক দেখতে পাই। ‘মেহেরজান’ সিনামা ঐ কল্পসঙ্গমের ফোকফ্যান্টাসি।

বাংলাদেশে এই ফ্যান্টাসী লালনকারীর সংখ্যা কিন্তু অনেক। আগে ক্রোধ হতো, ঝগড়াঝাটিও অনেক করেছি; এখন এদেরকেই বেশী শক্তিশালী মনে হয়...।চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করতে পারিনা।

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

প্রায় দুই ঘন্টা সময় ব্যায় করে অনলাইনে এই সিনেমার পুরানো নিউজপেপার ও মিডিয়া রিভিউ পড়লাম, অন্যান্য ব্লগ পড়লাম, ফেসবুক নোট পড়লাম, সিনেমার ট্রেইলারো দেখে আসলাম। থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার বা খোঁজ দ্যা সার্চ-এর মতো সিনেমা, যা ব্যবসাসফল আবার বিতর্কিতও, দেখি নাই। এইটাও দেখতাম না। কিন্তু এখন আমি এই সিনেমাটা দেখবো, দেখে নিয়ে তারপর সিনেমাটা নিয়ে মন্তব্য করবো, সময়ে কুলালে একটা রিভিউ লেখবো।

তবে, এই সব আনুষঙ্গিক জিনিস ঘাঁটতে গিয়ে ডেইলি স্টারে ডিরেক্টরের ইন্টারভিউয়ের একটা অংশ ইন্টারেস্টিং লাগলো, কোট করি -

I primarily looked at the nationalist representation and marginalisation of female narratives of the war.
..........
I felt as a Bangladeshi woman, who has been given a chance to raise her voice, I needed to work more on bringing out women's experiences in 1971, the inception point of this nation.
..........................
when I was contemplating my first feature film, I immediately decided on a story that would examine 1971 not only through women's eyes, but would also be a feminine narrative of love and spirituality.

আচ্ছা, জাহানারা ইমামের লেখায় বুঝি একজন নারীর দৃষ্টিতে, একজন মায়ের দৃষ্টিতে এইভাবে মুক্তিযুদ্ধ ছিল না?!

আরো একটা লাইন-

I wanted my film to heal the wounds of 1971

উমম... একাত্তরে ক্ষতগুলো শুকায়ে যাওয়া জরুরি? ওহ!! আচ্ছা, কেন?? মুক্তিযুদ্ধ দেখা আমাদের বাবা-মাদের প্রজন্মের পরের প্রজন্ম, তাদের আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হবার প্রয়োজন নাই বলে?! চিন্তিত

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

হিমু এর ছবি

পাকিস্তানের পশ্চাদ্দেশের ক্ষততে অ্যান্টিসেপটিক চুমু দেয়া ছাড়া আর কিসু হয়েছে কি না, সিনেমা দেখে এসে জানায়েন।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

এখানে আমার প্রচণ্ড রকমের দ্বিমত আছে।
এই সিনেমা নিয়ে কেবল মন্তব্য করার জন্য বা রিভিউ লেখার জন্য সিনেমাটা দেখার দরকার নেই। এতে করে কিছু পাকিপন্থী ছাগুকে উৎসাহিতই করা হবে পরোক্ষভাবে। দিন শেষে এবাদুর কিংবা রুবাইয়াত পরিচিত হবে একটি "হিট" সিনেমা বানানেওয়ালা হিসেবে। তারাও চায় এইটাই।

এটা হতে না দিলেই কি নয়?

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

বই আর সিনেমা নিয়ে আমার একটা অবস্থান আছে রঙীন ভাই, আপনি জানেন সেটা, আমি নিজে সিনেমা না দেখে তার সম্পর্কে মন্তব্য করি না। এটা দেখা আরো জরুরি কেন তা বলি - দেখবো কারণ এই ধরণের চিন্তাভাবনা ঠিক কোন কোন পয়েন্ট থেকে পেড়ে ধরে, পিষে ফেলার মতো তা জোর গলায় ডিফেন্ড করতে গেলে, এটা দেখা অবশ্য কর্তব্য। যাতে আমি যখন প্রতিবাদ করবো, গলার জোর শুধু না, যুক্তির জোরও আমার বেশি থাকে, যাতে কেউ আঙুল উঁচিয়ে না বলতে পারে, যে তুমি না দেখে মন্তব্য করতে পারোনা!

আশা করি বুঝতে পারছেন কেন আমি দেখতে চাচ্ছি।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

বুঝতে পারছি, কিন্তু সেটা করতে গিয়ে রুবাইয়াত কিংবা এবাদুরকে অথবা তাদের "মেহেরজান"কে পরোক্ষভাবে প্যাট্রোনাইজ করার সমর্থন দিতে পারছি না। দুঃখিত।

এদের জন্য সমুচিৎ জবাব একটাই, "বর্জন"।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

পরোক্ষ প্যাট্রোনাইজেশনের কথাটাও মাথায় এসেছে গো ভাই, আপনি বলার আগেই, যদিও ওতে দেরি হয়ে যাবার সম্ভাবনা, তবুও খাড়ান দেখি পাইরেটেড জিনিস পাওয়া যায় নাকি! দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

আপনার স্পিরিটের প্রতি পূর্ণ সমর্থন। এটা ঠিক যে অনেক সময়েই আমাদের মনে হয় বেদের ভুল ধরতে গিয়ে বেদ পড়া মানে সেটার কাটতিই বাড়িয়ে দেয়া। কিন্তু যুক্তিতর্কের মঞ্চে বিপক্ষের সাহিত্য পাঠ না করাটা অপ্রস্তুতিজনিত সমস্যায় ফেলে দেয়। আজকের হাজার হাজার ডিজুস জেনারেশান অনেকটা হার্ডকোর-জামাতি-সাহিত্যের সাথে অপরিচয়ের কারণেই জামাতিদের সদ্যরপ্ত করা 'উদার'কন্ঠের সুরে মজতে শুরু করেছে। সত্যিকার জামাতের রূপ আমরা যতটা জানি, তারা কিন্তু তার কিছুই জানে না। আমরা জানি কি করে? আমরা আমাদের চোখকান খোলা রেখেছিলাম বলেই তো! সেই ভরসাটা তাদের উপর করি না কেন? তাদের চোখকানের দায়িত্ব আমরা না নিয়ে আমরা বরং তাদেরকে আরো আরো উত্সাহিত করি, জামাতিদের মূল পরিচয়গুলো তাদের সামনে তুলে ধরতে থাকি। তারা দেখুক। আমরা যেমন নিজে দেখে বুঝে জামাত কিংবা ছাগু চিনেছি, তারাও সেটা চেনার কায়দাগুলো রপ্ত করুক। আমরা ছাগুবিজ্ঞ হয়ে পরের প্রজন্মকে ফার্মের মুরগি বানিয়ে রাখলে ক্যামনে হবে? আমি আগেও বলেছি, এখনো বলছি, সোনারবাংলার প্রপিতাছাগুচিফদের কলামে আমাদের কমেন্ট ফেলে আসা উচিত। বুয়েটের বহু শিক্ষক পর্যন্ত ওখানে গিয়ে গিয়ে কলাম পড়ে। জনে জনে মানুষকে বাতিলের খাতে ফেলে না দিয়ে দায়িত্ব নিয়ে ফেরানোর পদক্ষেপ নিতে হবে। শক্তির পথ বাদ দিয়ে যুক্তির পথে কাজ করার জন্যে যদি আর্থিক প্রণোদনা ছাড়া উত্সাহ না আসে, প্রয়োজনে সে ব্যবস্থাও নেয়া যেতে পারে। কিন্তু আমার যথেষ্ট আস্থা যে আমাদের উত্সাহের অভাব হবে না। দরকার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা। ডাণ্ডা মারা আর পট্টি বাঁধার চেয়ে নক্সাকশা চালের কার্যকারিতা এখানে অনেক বেশি।

আর 'উদার'ভাষাটার দখল আমাদের কন্ঠে ফিরিয়ে আনতে হবে। উদারতার প্রকৃত ধারকবাহক হওয়া যে ওই গজিয়ে ওঠা ছদ্ম-উদারদের পক্ষে সম্ভব না, বরং সেটার প্রকৃত লালনপালনকারী যে আমরাই ছিলাম এবং আছি, সেটা মানুষকে পরিষ্কার করে মনে করিয়ে দিতে হবে। আজকে আমি ছাগু পেটাচ্ছি আমার পেশি বেঁচে আছে দেখে। কালকে আমি, হিমু ভাই না থাকলে ছাগু পেটানোর লোক থাকবে সেটা আমরা নিশ্চিত করে যেতে পারি না। কিন্তু শাণিত, যুক্তিপূর্ণ চেতনা রেখে গেলে তার বিনাশ আমি কোন কালে দেখি না। আমি বলছি না ছাগুদমন বন্ধ করতে, আমি বলছি না আমাদের চেতনা বা যুক্তিচর্চারও ঘাটতি পড়েছে, এই লেখাটাই তার উত্কৃষ্ট প্রমাণ, কিংবা শুভাষীশ ভাইয়ের লেখাগুলো। আমি আমার চোখে দেখা ভবিষ্যতকে শেয়ার করছি। পঞ্চাশ বা একশ বছর পরের ভবিষ্যত।

দ্রোহী এর ছবি

সোনার বাংলাদেশ ব্লগে গিয়া কমেন্ট করতে বললে কষ্ট পামু খুব। এর চাইতে সিডনী গিয়া আস্তর বাড়িতে দাওয়াত খেয়ে আসতে রাজি আছি।

ওঁয়া ওঁয়া

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

দেঁতো হাসি

আমাদের সংগ্রাম চলবে!

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ধ্রুব বর্ণন ভাই, আপনার যুক্তি-সম্পর্কীয় মতবাদে একটা অতি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস বিবেচনা করেন নাই, তা হলো কনটেক্সট। সব রোগের জন্য যেমন এক ঔষধ না, সবক্ষেত্রে তেমনি 'যুক্তি'র স্বরূপ এক না। যুক্তি অত্যন্ত শক্তিশালী কনসেপ্ট এবং একই সাথে শক্তি প্রয়োগও হতে পারে যৌক্তিক কাজের উদাহরণ। যেমন ধরেন, কেউ আমাকে ধরে ইয়ে করা শুরু করলো, আমি যদি তখন শক্তিপ্রয়োগ করে না থামাই; বরং রেফারেন্স খুঁজে মানবাধিকারের কোন ধারায় তার কাজ অযৌক্তিক সেটা বলার চেষ্টা করতে থাকি, তাহলে মিনিট দশেকের মধ্যেই তার কাজ সে করে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে আর আমাকে যুক্তি আর রেফারেন্স বগোলে করে ডাক্তারের চেম্বারে দৌঁড়াতে হবে।

যুক্তি-তর্ক-আলোচনার অবকাশ আছে যেসব কনটেক্সটে, সেখানে যুক্তি চলবে; কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকি সৈন্যরা যে মহব্বত করে আমাদের মাবোনকে ধর্ষণ করে নাই - এটা জলজ্যান্ত সত্য। এক্ষেত্রে মহব্বত কা পেয়ালা উজাড় করে দিয়ে যেটা করা যায়, তাকে ত্যানা প্যাচানি বলে, তাকে যুক্তি বলে না।

এরপরে আসে যুক্তির সাথে ব্যক্তির সম্পর্ক। যে যুক্তি দেয়, তার সাথে যুক্তি চলে। যার কাজই হলো ইচ্ছাকৃতভাবে ত্যানা প্যাচানো, তার সাথে যুক্তি দিতে গেলে গন্তব্য ডাক্তারের চেম্বার। কেউ না জানলে তাকে জানানো যায়, কিন্তু কেউ জেনেবুঝে আকাম করলে গদামের বিকল্প নাই। বীরাঙ্গনাদের সম্পর্কে পড়াশোনা করা কোনো বারাঙ্গনা যদি বীরাঙ্গনা ধর্ষণে পেয়ার মহব্বত খুঁজে পায়, তখন সেন্সরের দরকার হয়। তখন 'বাবুসোনা ভুল করো না'নীতি চলে না।

নেটে জামায়াত শিবিরের জন্যপ্রসারের জন্য আপনার দেয়া যুক্তির চিন্তা খুবই কাজের। তারা চায়ই ত্যানা প্যাচাতে। তারা চানপুরের চান মিয়ার রেফারেন্স দিয়ে বলবে মুক্তিযুদ্ধে নিহত ২৬ হাজার, অন্যদিকে আপনি বলবেন ৩০ লাখ। এরপর তাদের পোষা বুদ্ধিজীবী এসে বলবে, "আমিও মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম, বাবারা। আসল সংখ্যা হলো ৩০ হাজার। শেখ মুজিব উত্তেজিত অবস্থায় হাজারের স্থানে লাখ বলে ফেলেছে।" এরপর আপনি নিজেই হয়তো কনফিউজড হয়ে যাবেন মুক্তিযোদ্ধা আঙ্কেলের কথা, অথবা বিভিন্ন গবেষণা ঘেঁটে ৩ পৃষ্ঠার একটা মন্তব্য করবেন। কোনো ছাগুব্লগে সেটা প্রকাশ করবে না, অন্য ছাগুব্লগে আপনি জেনারেল হবেন, কোথাও আপনার কাছে ওই ৩০ লাখ নিহতের নামের লিস্ট চাওয়া হবে। জানি না, আপনি এরপরে কি করবেন। তবে যুক্তির সংজ্ঞা যদি এরপরেও আপনার না পালটে, তাহলে অবশ্যই মহাপুরুষ হবেন। হাসি

বিঃ দ্রঃ ছাগুদের হিট বাড়াইয়া আপনার আমার কোনো লাভ হয় না, পুরোটাই তাদের লাভ।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

গদামের সম্পর্ক তাত্ক্ষণিক অ্যাকশনের সাথে। আমি যে ৫০ ১০০ বছর পরের কথা চিন্তা করছি, সেটার জন্যে ইতিহাস মারফত গদাম কিভাবে সাপ্লাই দেয়া যায়? আজকে মেহেরজানরে সেন্সরগদাম দিলে সেই গদাম একশ বছর পরের মেহেরজান-উত্সাহীদের পিঠে পড়বে? না। তার মানে যে আমি আজকের ইমেডিয়েট অ্যাকশানের গদাম দেয়ার বিরোধিতা করছি, তা ভাবলে কিন্তু ভুল হবে। স্ট্র্যাটেজির বহু মাত্রিকতা থাকতেই পারে। কিন্তু চিন্তা করে দেখুন, আজকের এই যুক্তিপূর্ণ লেখাটাই ১০০ বছর পরের মেহেরজান উত্সাহীদের চিন্তার তরঙ্গে কিন্তু গদাম হিসেবে কাজ করবে। বাহুবল আজকের প্রয়োজনে ব্যবহার করার দরকার পড়লে যেমন করা উচিত, তেমনি এটা ভাবাটাও কাজের হতে পারে যে বাহুবল নয়, কেবল চিন্তা আর যুক্তিই ১০০ বছর পর পর্যন্ত বহমান থাকতে পারে। এ ব্যাপারে আমি বেট ধরতে রাজি আছি! হাসি

মহাপুরুষ হয়ে আমার লাভ নাই, যদি আমি আমার পরিকল্পনাটা সফল করতে না পারি।

আর আমার ধারণা এসব যা কিছু বললাম, তার সকলই আপনারা জানেন। অসির চেয়ে মসি শক্তিশালী (বিশেষ করে আমি যে সময়ের ব্যাপ্তিতে চিন্তা করছি), ব্লা ব্লা ব্লা। অত্যন্ত ক্লিশে কথাবার্তা। কন্টেক্সটটা হয়তো পরিষ্কার করতে পারছি না দেখে প্যাঁচ লেগে যাচ্ছে।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

বিদ্র: ব্যাপারটা আর্গুয়েবল। মেহেরজান নিয়ে এই লেখাটা মেহেরজানের হিট বাড়ালো নাকি কমালো? বা শুভাশীষ ভাই মগবাজারের যেসব লেখাগুলো লিংক দিয়ে দিয়ে সমালোচনা করেন সেগুলোর? ট্রেডঅফ এখানে আছে একটা। সদালাপে যেমন সপ্তাহে সাতজন লোক যায়, তার মধ্যে চারজনই বিভিন্ন ব্লগে এর সমালোচনা পড়ে ভিজিট করতে যায়। এক্ষেত্রে সমালোচনাগুলো সদালাপের ভিজিটই বরং বাড়িয়ে দিয়েছে বলা যায়। কিন্তু বহুল পঠিত একটা ছাগু ব্লগ, যেখানে একশটা ছাগু কমেন্ট পড়ে লেখা প্রতি, সেখানে দশজন যুক্তিপূর্ণ মানুষ কমেন্ট করলে ১০% কমেন্ট বাড়িয়ে দেয়ার অনুপাতে লাভের পরিমাণটা আমার মতে বেশিই থাকবে। ব্যাপারগুলো আর্গুয়েবলই বটে। আপনি বা আমি নিশ্চিত করে একটা ফলাফল দেখিয়ে দিতে পারবো না। ত্রিশ লক্ষ শহীদ নিয়ে যে ডিনায়ালকারীদের প্যাঁচে পড়ার সিনারিওটা দিলেন, মোটা দাগে এমনটা ভাবা যায়। কিন্তু আমি মোটা দাগের কোন সূত্র দিতে চাচ্ছি না। কোথায় তর্ক করে লাভ হবে, সেগুলো বিবেচনা করা তো আবশ্যক। আমি কেবল স্বল্প চর্চিত স্ট্র্যাটেজিগুলো অপশন হিসেবে তুলে ধরছি। একজন দায়িত্বশীল মানুষ অপশনগুলো বিচার বিবেচনা করেই ব্যবহার করবেন লক্ষ্যে পৌঁছানোর নিমিত্তে।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

মেহেরজান সেন্সরবোর্ডে আটকালেই ভালো হতো। এই আবাল জিনিস পাবলিকের কাছে যেতো না। ছাগু পোন্দানোর কষ্ট কমতো।

গুগল স্কলারে রুবাইয়াৎ হোসেনের একটা পেপার পেলাম। ইনি বীরাঙ্গনাদের বিবেচনা করেন পরিসংখ্যান দিয়ে। ‘মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে কথাটা ধর্ষনকে ধামাচাপা দেয়’ নামক কথাবার্তা সাজিয়ে কাঁঠালপাতা লুকানোর চেষ্টা করে শেষে প্রশ্ন করেন ধর্ষিতদের ঠিকঠাক সংখ্যা জানা নাই কেনু কেনু কেনু? বীরাঙ্গনাদের লিস্টি মুছে ফেলা হইছে কেনু কেনু কেনু? ইত্যাদি হেনতেন। সিনেমাতে ধর্ষিতাকে সংগ্রামী দেখানো হয়। তার মধ্যে আবার পাঞ্চ করা হয়- মুক্তিযোদ্ধা কি বামপন্থীরা আরো বেশি কামুক। ধর্ষন তারাও করতে চায়। বীরাঙ্গনাকে সংগ্রামী দেখানোর মধ্যে হালকা নারীবাদ পুশ করানো হয়েছে বলে মনে হয়। তবে বোঁটকাগন্ধ তার লেখালেখি আর সিনেমায় ভরে আছে।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

সরকার কর্তৃক সেন্সরকৃত সাহিত্য বা চলচ্চিত্রের ইতিহাসের দিকে যদি তাকানো যায়, তাহলে দেখা যায় যে সেন্সরের একমাত্র অবদান হল একটা কাজকে ইতিহাসে প্রতিষ্ঠিত করে দেয়া।

ক্ষণিকের সুখের লাইগা এই কাম করনের দরকার আছে? হাজার হাজার ছবি হবে। আসবে যাবে। কালকে মানুষ প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত মেহেরজানের কথা ভুলে যাবে। কিন্তু হাজারটা ছবির ভিড়ে মানুষের মাথায় যে একটা ছবির কথা ঘুরঘুর করবে, সেটা হল ব্যান খাওয়া মেহেরজান। ব্যান খাওয়া জিনিসের ব্যাপারে মানুষের ভেতরে যে নিষিদ্ধ বিপ্লবী আকাঙ্ক্ষা, যে সফট কর্নার তৈরি হয়, সেটার বিপরীতে গিয়ে যুক্তি দিয়ে কাজ করা তখন আরো কঠিন হয়ে পড়বে। এই সবই ইতিহাসের পাঠ।

আনরেজিস্টার্ড পাঠক এর ছবি

কেউ কেউ সেন্সর বোর্ডের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। আনহার্ড ভয়েসে রুমি বলছেন

Suppose this movie comes under government censorship or be punished in some other covert-overt way.
What message does it give for a future moviemaker? “Before you make a movie, please make sure to get a ’seal of approval’ of the script from an authentic evaluating body”. ?
Question arises, who is that person or organization whose answer will be the ultimate answer viz a viz correct representation of 1971 and a young filmmaker can invest all his/her savings depending on that assurance?

http://unheardvoice.net/blog/2011/01/23/meherjaan/comment-page-1/
আনরেজিস্টার্ড

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

পৃথিবীতে বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নেই, সব ঘটনাই পূর্বাপর সম্পর্কিত।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি লেখক এর ছবি

মেহেরজান সেন্সরবোর্ডে আটকালেই ভালো হতো।

আটকাবে না। মেহেরজান বানানো সম্ভব হয়েছে কানেকশনের জোরে। আরও মেহেরজান মোকাবেলা করার জন্য আমাদেরকে প্রস্তুত হতে হবে।

পেপারের লিঙ্কটার জন্য ধন্যবাদ। অনেকক্ষন ধরে পড়লাম, কী বলা যায় ঠিক বুঝে পাচ্ছি না।
-রু

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আপনার ইতিহাস বিবেচনার এখানেও একটা বিরাট ফাঁক আছে। ৫০/১০০ বা হাজার বছর পরে পুনর্জীবন পায় সেই জিনিসগুলোই, যা 'ভালো' এবং অন্যায়ভাবে সেন্সর করা হয়েছিলো। মেহেরজানকে যদি আপনার ভালো মনে হয়, তার সেন্সর করাটা তখন অন্যায় হবে এবং একমাত্র তখনই মেহেরজান হাজার বছর পরে ফিনিক্স পাখির মতো নবজীবন লাভ করবে। অন্যদিকে মেহেরজান যদি আমাদের গৌরবময় ইতিহাসকে বিকৃত করে এবং আমরা সেটার ছাড়পত্র দেই, তাহলে ১০০ বছর পরের প্রজন্ম আমাদেরকে থুথু দিবে, বলবে এই আহাম্মকগুলোর কারণেই ৩০ লাখ মানুষের আত্মত্যাগের ইতিহাসে মলমূত্র যোগ করতে পেরেছে।

ব্যান খাওয়া জিনিসের ব্যাপারে মানুষের ভেতরে যে নিষিদ্ধ বিপ্লবী আকাঙ্ক্ষা, যে সফট কর্নার তৈরি হয়, সেটার বিপরীতে গিয়ে যুক্তি দিয়ে কাজ করা তখন আরো কঠিন হয়ে পড়বে।

আপনার এই 'লজিক'টা ছাগুপ্রেমীরা যুদ্ধাপরাধীর বিচারের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করে। যেমন, জামায়াত বা ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকে নিষিদ্ধ করলে (যেটা ৭২এর সংবিধানে ছিলো) তাদের জন্য বাংলার জনগণ কেঁদে জারে জার হয়ে যাবে, তারা বোমাটোমা মেরে বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিবে, দেশে ব্যাপক অস্থিরতা সৃষ্টি হবে, বাংলাদেশ শ্যাষ হয়ে যাবে ইত্যাদি ইত্যাদি। তাদের 'যুক্তি'মতে জেএমবিকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দিতে হবে, ছাগুদেরকেও ম্যাৎকার করার সুযোগ দিতে হবে এবং অতি অবশ্যই আল-বাইয়্যিন্যাতকে বলাকার ঠ্যাংয়ে দড়ি বেঁধে টানাটানি করতে দিতে হবে। নাহলে আবার কিসবের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হবে। সর্বোপরি এত বছর পরে যুদ্ধাপরাধী নিয়ে টানাটানি একটা জাতিকে হাত থেকে পড়ে যাওয়া ফুলদানির মতো ভেঙ্গে খান খান করে ফেলবে।

ওগুলো কুযুক্তি ভাই। ওই কুযুক্তিতে দুনিয়া চললে পৃথিবীর কোনো অপরাধীর শাস্তি হতো না। যুক্তির সোজাসাপটা কথা যা ন্যায় তাকে প্রতিষ্ঠা, যা অন্যায় তাকে প্রতিরোধ। প্রতিরোধের জন্য যখন যে পন্থা কার্যকরী, সেন্সর দরকার হলে সেন্সর, বুলি দরকার হলে বুলি আর গুলি দরকার হলে গুলি।

এখন কথা হলো, আপনি মেহেরজানকে কি মনে করেন? ন্যায়, নাকি অন্যায়? এটার ব্যাপারে সিদ্ধান্তে আসেন।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

দ্রোহী এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

চলুক

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

চলুক চলুক চলুক

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

আমি মেহেরজানকে কি মনে করি, সেটা আমার প্রথম কমেন্ট থেকেই যদি পরিষ্কার না হয়, তাহলে আমার কোন কথাই যে আপনি বোঝেননি, সেটা টের পাচ্ছি। আপনার জন্যে আরও সহজ ভাষায় কথা বলতে হবে।

যুক্তির সোজাসাপটা কথা যা ন্যায় তাকে প্রতিষ্ঠা, যা অন্যায় তাকে প্রতিরোধ। প্রতিরোধের জন্য যখন যে পন্থা কার্যকরী, সেন্সর দরকার হলে সেন্সর, বুলি দরকার হলে বুলি আর গুলি দরকার হলে গুলি।

আপনার বাইনারি লজিকের সাথে সামাঞ্জস্য রেখে কথা বলা দরকার। এই নিন আমার বাইনারি, স্ট্রেটকাট উত্তর - মেহেরজানকে আমি ছাগলামি মনে করি এবং এর প্রতিরোধের জন্যে সেন্সরের চেয়ে বুলি বেশি কার্যকর বলে মনে করি। সেটা আপনার পছন্দ না হলে কনটেক্সটে থেকে ব্যাখ্যা দিন। সেটার জন্যে খুনের অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধের উদাহরণ টেনে আনবেন না। সেগুলোর প্রতিরোধ বা বিচার পন্থা নিয়ে আমি নিশ্চিত আছি। সেগুলোর ব্যাপারে আমাদের নেয়া পন্থা নিয়েও আমি কোন প্রশ্ন তুলি নি।

গুছিয়ে যুক্তি দেবার চেষ্টা করছি, আর আপনি বারবার আমার যুক্তিকে যুক্তি দিয়ে মোকাবিলা করার চেয়ে আমার যুক্তির সাথে ছাগুদের মিল, ইত্যাদি ভাষা ব্যবহারে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করছেন। যে বিষয় নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলি নি, বারবার সেই বিষয় তুলে এনে ঘায়েল করাটা যুক্তিতর্কের একটা বহুল প্রচলিত ফ্যালাসি। মিন্ মিন্ করে বলছি দেখেই কি মনে হল এসব কথা শুনিয়ে দেয়া যায়? তাহলে এবার আপনি শুনুন। আমিও বলতে পারি, মেহেরজানকে সেন্সর করার পক্ষে আপনার এই মতটা যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে চলমান সংগ্রামকে দুর্বল করার জন্যে ছাগুপ্রেমীরা ব্যবহার করে, যাতে করে সেন্সর করবার ফসল তারা যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিপক্ষে ব্যবহার করতে পারে। নেহায়েত কুযুক্তির উপর ভর করে চলছেন ভাই।

সত্যিকার অর্থে আমি এটাই মনে করি। কিন্তু আমি যখন যুক্তিতর্ক করবো, তখন এই ভাষা ব্যবহার করলে যুক্তিতর্কের পথ সেখানেই বন্ধ হয়। যুদ্ধাপরাধের মোকাবিলায় বা ছাগু ডিটেকশানে এখানে আপনে আমার পির না, বা আমি আপনার, যে একজন আরেকজন রে মনে চাইল শোনায়ে দিলাম ছাগুদের কথা। আলোচনা আর যুক্তিতর্কের মধ্যে রাখলেন না দেখে এই কথাটা বললাম। দুর্বল চিন্তা নিয়ে তর্ক করতে আসি নাই যে কথা শোনায়া দেবার পরেও মিন মিন করেই যাবো। আমার যুক্তিতে ছাগুপ্রেমীর মিল খোঁজার আগে কিন্তু কইলাম খুউব, খু-উ-উ-উ-ব খিয়াল কইরা!

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

মেহেরজানকে আমি ছাগলামি মনে করি এবং এর প্রতিরোধের জন্যে সেন্সরের চেয়ে বুলি বেশি কার্যকর বলে মনে করি।

যাক, আপনি মেহেরজান প্রতিরোধ করতে চান জেনে ভালো লাগলো। এখন আপনার আর আমার প্রতিরোধ পন্থা এক না হলেও কোনো প্রবলেম নেই। আপনি রুবাইয়্যাতের মাথায় হাত বুলিয়ে বলতে থাকেন যে কাজটা খারাপ, সে যেন তার ফিলমটা বাজার থেকে উঠিয়ে নেয়, আর আমি সেন্সর বোর্ডকে সাজেস্ট করি আকাইমা ফিলম প্রতিরোধের ব্যাপারে তাদের দায়িত্বটা তারা যথাযথভাবে পালন করুক। এ পর্যন্ত সমস্যা নাই; কিন্তু আপনি যখন যুক্তির নামে আমার প্রতিরোধের পন্থাকে প্রতিরোধ করতে আসবেন, তখন প্রবলেম।

বুঝাতে পারলাম?

------------------------------
এই অংশ আলোচ্য বিষয়ে অপ্রয়োজনীয়:

আমিও বলতে পারি, মেহেরজানকে সেন্সর করার পক্ষে আপনার এই মতটা যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে চলমান সংগ্রামকে দুর্বল করার জন্যে ছাগুপ্রেমীরা ব্যবহার করে, যাতে করে সেন্সর করবার ফসল তারা যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিপক্ষে ব্যবহার করতে পারে। নেহায়েত কুযুক্তির উপর ভর করে চলছেন ভাই।

এটাতো আগের মন্তব্যেই বললাম। ন্যায়কে সেন্সর করলে সেটার পরিণাম ভালো হয় না; কিন্তু অন্যায়কে প্রথম থেকেই প্রতিরোধ করতে হয় এবং সেটা প্রতিরোধের জন্যই সেন্সর বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। আপনি মেহেরজানকে অন্যায় মনে করেন আবার সেটা সেন্সর করতে চান না, তাইলে সেন্সর বোর্ডের কাজ কি? সবাই ইচ্ছামতো হাগুমুতু করুক, আমরা গিয়ে টিকেট কেটে দেখে আসি। মেহেরজানকে সেন্সর করলে ছাগুরা যেটা করতে পারবে, সেটার নাম প্রোপাগান্ডা (এবং মেহেরজানকে আমরা জান বলে বুকে আগলে ধরলেও তাদের প্রোপাগান্ডা মেশিন থেমে থাকবে না), মেহেরজান যেহেতু ন্যায় নয়, সেহেতু ফিনিক্স পাখির সৃষ্টি হবে না। এ ব্যাপারে আপনি ইতিহাস থেকে কিছু উদাহরণ দেন, যেখানে অন্যায়কে নিষিদ্ধ করার ফলে অন্যায় ফিনিক্স পাখি হয়ে গেছে।

যুদ্ধাপরাধী প্রসঙ্গ এই ব্যাপারে অতি অবশ্যই একটি প্রাসঙ্গিক বিষয়। মেহেরজান যুদ্ধাপরাধীর পক্ষে সফট কর্নার সৃষ্টির উদ্যোগ। এজন্যই ছাগুপ্রেমীদের উদাহরণও অতি প্রাসঙ্গিক বিষয়। দুটো জিনিসই পূর্বাপর সম্পর্কিত বলেই টানা হয়েছে, আপনাকে ছাগু ট্যাগিং করতে টানা হয় নাই। (সচলে অন্যকে ছাগু ট্যাগিং করার বিপদ আমি খুব ভালোভাবেই জানি। কারণ, এরপরে 'ট্যাগিং' নিয়েই কান্নাকাটি হবে, যুক্তিমান তখন আর অন্যকিছুতে যুক্তি খুঁজে পাবেন না।)

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

প্রাসঙ্গিক অংশের উত্তর: আলোচনা আর প্রতিরোধের পার্থক্যও আশা করি বুঝবেন।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আলোচনা আর প্রতিরোধের পার্থক্যও আছে, মিলও আছে। শক্তিপ্রয়োগও যুক্তির অংশ হতে পারে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

দ্রোহী এর ছবি

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

দ্রোহী এর ছবি

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

"ছাগুদের নসিহত করে তাদের সুপথে ফিরিয়ে নিয়ে আসার দর্শন সফল হোক এই কামনা করি"

আমিন । সুম্মা আমিন ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

শুভকামনার জন্যে আপনাদের দুজনকে ধন্যবাদ।

হিমু এর ছবি

আপনি তাহলে এই কাজে লোকজনকে ডাকাডাকি করছেন কেন? জানেনই তো দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা কষ্টসাধ্য দেখে সচলে আমরা হ্রস্বমেয়াদি সহজসাধ্য বাল ছেঁড়া চর্চা করি।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

এখানে সচল এলো কোথা থেকে? দ্রোহী ভাই একটা কালচারের কথা বলেছেন, সেটার উত্তর করেছি। উনি সচলের কথা আনেন নি। আমিও সচলের কথা আনি নি। আমি যে বিষয় উত্থাপন করেছি, সেটার জন্যে সচলের চর্চা জানাটা জরুরি না। সচল কোন একক ব্যক্তিও না যে এখানে কেবল একমুখী চর্চা হয়, এমনটা আমাকে জানতে হবে। বিষয়টা স্বল্প চর্চিত দেখে আর এখানে আমার কথা বলার প্ল্যাটফর্ম আছে দেখে বিষয়টা তুলেছি।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

ঐ সময় সামুতে আপনি কী নামে ছিলেন?

প্রশ্নটা জিজ্ঞেস করছি এইজন্য যে ঐ সময়ে সামুতে থাকা এমনকি ঘোর ছাগুও তাদেরকে যুক্তি দিয়ে মোকাবিলা করার কথা চিন্তায় আনতে পারে না। যুক্তির চোটে স্বয়ং সূর্যও দক্ষিণ দিকে উঠতে শুরু করে দেবে হয়তো, কিন্তু ছাগুদেরকে যুক্তি দিয়ে মানানো?

আপনার জন্য শুভকামনা থাকলো।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

নিকগুলো এখনো সচল আছে।

মানানো আর ঘায়েল করা এক জিনিস না।

শুভকামনার জন্যে ধন্যবাদ।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ধুসর গোধূলি এর ছবি

নিকগুলো এখনো সচল আছে।

কথাটার মানে কী ধরে নেবো বুঝতে পারছি না। আপনি সামুতে যে যে নিকে সেসময়ে ছিলেন, সেই নিকগুলো এখনো সচলে আছে (সেই নিক/নিকগুলো কী কী)? নাকি সামুতে সেসময়ে ছাগুপোন্দানি নিকগুলো (যা'র একটাও আপনার নয়) সচলে আছে!

আপনার বলা কূটকৌশল আর নতুন ধারণা নিয়ে পরে কথা বলছি, আগে উপরের ব্যাপারটা নিয়ে খোলাসা হয়ে নেই।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আসলেই আলাপের আর উপায় নাই। কারণ, আলাপের এখন শাখা-প্রশাখা গজাচ্ছে। মেহেরজান এখন ইতিহাসবিকৃত করলেও সেটা ধর্ষণের মতো ক্ষতিকারক নয়, আমরা আরো বছর দশেক সেটা নিয়ে যুক্তি-দর্শন-মানবতারালাপ চালিয়ে যেতে পারি এবং অতি অবশ্যই আমার কথা সব অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাচ্ছে!

যাহোক, আলাপ বাদ। আপনার সামুর নিক কি কি ছিলো, তা দাবি নয়, কৌতুহল থেকে জানার জন্য আপনার কাছে অনুরোধ করছি। জানাতে সমস্যা না থাকলে জানাবেন। ধন্যবাদ।

একটু সেমি-অফটপিক: এত অল্পতেই আমার সাথে যৌক্তিক আলাপে অসমর্থ হলে আপনি ছাগুদের সাথে যুক্তি দিয়ে যান কিভাবে? তারা কি অনেক নম্রভদ্র আর যুক্তির ব্যাপারে অনেক শ্রদ্ধাশীল? (এটাও জানার ইচ্ছা থেকে জিজ্ঞেস করলাম।)

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

আমি তাদের সাথে তর্ক করি না।

যুক্তি ও তথ্য নির্ভর কমেন্ট করি। ওটা করার পর আর বাদানুবাদে জড়ানোর প্রয়োজন পড়ে না। ছাগু ১০০টা হলে পাঠক ১০০০ জন। ছাগুর হেদায়েতের চেয়ে তাদের পাঠকদের হেদায়েতের প্রয়োজন বেশি। কিন্তু সেটা নিশ্চয়ই অবধারিতভাবেই আপনার বিচারে যুদ্ধাপরাধের বিচার, খুন বা ধর্ষণের শাস্তির পথে অন্তরায়।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আমার মন্তব্যও সাধারণত পাঠকদের জন্য। ছাগু বুঝাইয়া মানুষ করার মহান দায়িত্বে বিশ্বাস নাই।

নিচের প্রশ্নগুলো মাথায় এলো (আপনি উত্তর না দিলে ক্ষতি নাই, উত্তর দিলে বাইনারীতে হলে ভালো হয়):

ছাগুব্লগে কি ১০০ জন ছাগু থাকলে ১০০০ জন ননছাগু পাঠক থাকে?

ছাগুদেরকে যদি কথা বলার সুযোগ না দেয়া হয়, তাহলে পাঠকদের পিছনে দেয়া শ্রম বাঁচিয়ে অন্য কোনো কাজ করা যেত না?

ছাগুরা খোঁয়াড়ে বসে ম্যাৎকার করতে থাকলে আমরা যদি খোঁয়াড়ের ভিতরে ঢুকে তাদের ম্যাৎকার না শুনতে যাই, তাহলে তাদের ম্যাৎকার কতোটা কার্যকরী হবে?

(মেহেরজান = ছাগু ম্যাৎকার) হলে সেটাকে খোঁয়াড়ে না ঢুকিয়ে ল্যাদাতে দেয়াটা কতোটা সুবিবেচনার বিষয়?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

আসন্ন ছাগুদের ব্যাপারে কিরকম বিশ্বাস? ওদেরকেও গদাম দিলেই কাজ হয়ে যায়?

প্রশ্নগুলো সুন্দর। আমি যে আলোচনা করতে চাচ্ছিলাম, সেটা করার সুযোগ হল এই প্রশ্নগুলোতে।

ছাগুব্লগে কি ১০০ জন ছাগু থাকলে ১০০০ জন ননছাগু পাঠক থাকে?

পাঠক আছে জানি। ছাগু কি ননছাগু সেটা যেহেতু জানি না, সেখানে আমার আগ্রহ আছেই।

ছাগুদেরকে যদি কথা বলার সুযোগ না দেয়া হয়, তাহলে পাঠকদের পিছনে দেয়া শ্রম বাঁচিয়ে অন্য কোনো কাজ করা যেত না?

অবশ্যই। ছাগুদের কথা বলার সকল সুযোগ বন্ধ করে দেন। ছাগু না দেখতে হলে তো আর আমার এতো প্যাঁচালও পাঁড়া লাগে না।

ছাগুরা খোঁয়াড়ে বসে ম্যাৎকার করতে থাকলে আমরা যদি খোঁয়াড়ের ভিতরে ঢুকে তাদের ম্যাৎকার না শুনতে যাই, তাহলে তাদের ম্যাৎকার কতোটা কার্যকরী হবে?

খোঁয়াড়গুলোতে মানুষের যাওয়া নিরুত্সাহিত করুন। আমি করি। কিন্তু যারা নাগালের বাইরে, তারা তো অনেক। তাদের জন্যে তথ্য রেখে আশা দরকার মনে করি।

(মেহেরজান = ছাগু ম্যাৎকার) হলে সেটাকে খোঁয়াড়ে না ঢুকিয়ে ল্যাদাতে দেয়াটা কতোটা সুবিবেচনার বিষয়?

মেহেরজানকে মানুষের বর্জন করা উচিত। কিন্তু সেন্সরে আমার বিশ্বাস নাই। সেন্সরের সাথে সরকার জড়িত। আমি শক্তিশালী সরকারে বিশ্বাস করি না। সেটা একটা আলাদা টপিক হলেও, সংক্ষেপে, আমি মনে করি সরকারের শক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্র সীমিত থাকা উচিত। মানুষের বদ্ধ সংগঠন, যেমন সচলায়তন, সমিতি, সংস্থা, এগুলো শক্তিশালী হওয়া উচিত। সচলায়তনের বর্জন বা সিলেক্টিভ নীতির ব্যাপারে আমার পূর্ণ সমর্থন।

হোয়াট এবাউট মেহেরজান? মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে মেহেরজান বর্জন করুক। দায়িত্বশীল পত্রিকাগুলো মেহেরজানের অ্যাড পরিহার করুক। প্রেক্ষাগৃহের মালিক সমিতি এই ছবি দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করুক। তাদের প্রতি আর্জি জানাতে রাজি আছি। ইন্টেলেকচুয়্যাল ম্যাটারে সরকারের হাত শক্তিশালী করবার বিপক্ষে আমি। তাই বলে আবার ভেবে বসবেন না যে ফৌজদারী অপরাধে অভিযুক্তদের ব্যাপারে সরকারের পদক্ষেপ নেবার বিরোধী আমি।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

মানুষ সমাজবদ্ধ জীব এবং এজন্যই ব্যক্তিগত পছন্দসমূহের যোগফলে যে নীতি দাঁড়ায় তা ব্যক্তির সামষ্টিক স্বার্থকে রক্ষা করে। আমরা যখন রাষ্ট্র বানাই, তখন আমাদের সামষ্টিক স্বার্থ রক্ষার জন্যই বানানো হয়, আমরা যখন সরকার বানাই, তখন তা আমাদের সামষ্টিক স্বার্থেই বানানো হয়। সরকার বানালাম, কিন্তু তাকে লুলা করে রাখলাম; রাষ্ট্র বানালাম, কিন্তু তাকে কথায় কথায় মানিনা মানবো না শ্লোগানে ব্যতিব্যস্ত করে রাখলাম; সেন্সর বোর্ড বানালাম, কিন্তু তাকে ন্যায়-অন্যায় নির্বিশেষে সেন্সর করতে দিমু না বলে গোঁ ধরলাম, তাইলে আর এগুলা বানানোর দরকার কি? আমরা এরচেয়ে আফ্রিকার জঙ্গলে গিয়ে একা একা সিংহের সাথে কুস্তি করতে থাকি।

যদি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের কনসেপ্টকে গ্রহণ করি, তাহলে তার জন্মকথায় ভেজাল ঢুকানো বন্ধ করার অধিকার রাষ্ট্রেরই থাকে, রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট সংস্থার থাকে, ইনডিভিজুয়াল মানুষের হাত পর্যন্ত আসার আগেই সেই আকামকে প্রতিরোধের জন্য তাই সেন্সর বোর্ডকেই এগিয়ে আসতে হবে সর্বপ্রথমে, এটা তাদের অনধিকার চর্চা নয়, এটা তাদের দায়িত্ব।

ইচ্ছাকৃত আকাম != ইনটেলেকটুয়াল ম্যাটার।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

ক্লাসিক্যাল লিবারেলিজম, লিবার্টারিয়ানিজম, ইন্ডিভিজুয়্যাল অ্যানার্কিজম, এগুলো সম্পর্কে আপনার মীমাংসা কি? এগুলোও আপনার কাছে মীমাংসিতভাবে আকাম মনে হতে পারে, তবে এগুলো এখনো পৃথিবীতে নিকাশ না হয়ে যাওয়া আদর্শ। কিভাবে সরকারকে সীমিত করে আপনি যে সমাজ চান সেটার আরও উন্নতরূপ পাওয়া সম্ভব, সেটা নিয়ে অর্থনীতিতে যথেষ্ট গবেষণাও আছে। কোনভাবে এগুলো মীমাংসিত আকাম হয়ে যায় নি এখনো সেই পর্যায়ের আলোচনায়। জানার আগ্রহ থাকলে সময় নিয়ে সে নিয়ে লিখা যাবে। তবে বেশ সময় লাগবে।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

(অন্তত আপনার এবং আমার মতে) মেহেরজান তো মীমাংসিত আকাম। তাকে সেজন্যই সেন্সর করা দরকার।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

পাঠক আছে জানি। ছাগু কি ননছাগু সেটা যেহেতু জানি না, সেখানে আমার আগ্রহ আছেই।

হ, এটা প্রশান্ত মহাসাগরের ৩০০ মিটার পানির নিচে রয়াল বেঙ্গল টাইগার আছে কিনা, সে রকমই একটি ওপেনএন্ড গবেষণার বিষয়! ছাগুর খোঁয়াড়ে ছাগু আছে , না ননছাগু আছে সে গবেষণা শেষ হলে ফলাফল জানাইয়েন।

খোঁয়াড়গুলোতে মানুষের যাওয়া নিরুত্সাহিত করুন। আমি করি। কিন্তু যারা নাগালের বাইরে, তারা তো অনেক। তাদের জন্যে তথ্য রেখে আশা দরকার মনে করি।

আপনি আচরি ধর্ম! অন্যকে ছাগুর খোঁয়াড়ে যাওয়ায় নিরুৎসাহিত করবেন, আবার নিজে যাবেন - হুমম!

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

ছাগুদের ব্লগে না জেনে যে ননছাগু পাঠক যায়, এটা বুঝতে কি রকেট সাইন্স লাগে? আমি নিজে এমন অনেককে দেখেছি। আপনি না দেখে থাকলে আপনাকে ভাগ্যবান বলতে হবে।

হ্যাঁ, আপনি আচরি ধর্ম। অন্যকে ছাগুব্লগ বিশ্বাস করে পড়তে নিষেধ করি। আর যুক্তি তথ্য দিয়ে কমেন্ট দিয়ে আসার আহ্বান তো আগেই জানালাম। সেই ধর্ম নিজেও পালন করি। এই ব্যাপারগুলোর পার্থক্য আশা করি এতোটা সূক্ষ্ম নয় যে বুঝতে খুব কষ্ট হবে।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ননছাগু পাঠক ভুলক্রমে বা গুগোল মামার কল্যাণে ছাগুব্লগে যেতেই পারে। কিন্তু সেখানে যখনই ছাগুদের লাদি দেখবে, তখন যদি লাদির গন্ধ বুঝতে না পারে, আপনাকে আমাকে গিয়ে গন্ধ বুঝিয়ে দিয়ে আসতে হয়, তাইলে সেই পাঠকের সম্পর্কে আমাদের শ্রদ্ধাবোধ কোন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়ায়?

এই পাঠকরা ইন্টারনেট ব্যবহারকারী অপেক্ষাকৃত'ইনফর্মড' (অন্তত ইনফর্মড হওয়াই স্বাভাবিক) পাঠক। অনদিকে মেহেরজানকে ছেড়ে দিতে হবে আরো গ্রোস অপেক্ষাকৃত কম ইনফর্মড পাবলিকের হাতে, তারপর তারা পকেটের টাকা খরচ করে মেহেরজান দেখবে এবং বর্জন করবে - অনেক বেশি আশা!

অবশ্য এই ফাঁকে মেহেরজান থেকে আকামী পার্টি ব্যবসায়ে লালে লাল হবে। আপনি সেন্সর বোর্ড মানি না বলে 'যুক্তি' ও দর্শনের চর্চা চালিয়ে যাবেন আর ছাগুরা সেন্সর বোর্ডের বৈধতার সনদ দেখিয়ে মেহেরজানকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করে আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস লিখবে!

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

দ্রোহী এর ছবি

বঙ্গে জন্মে যে ছাগলে মানুষে পার্থক্য বুঝে না তারে হেদায়েত করার কাম নাই। সুতারাং, ছাগুব্লগে গিয়া হেদায়েত করা আর পাহাড় ঠেলে এক ফুট সরানো একই কথা।

অবশ্য চাক নরিস হইলে ভিন্ন কথা। শুনেছি তাকে দেখলে নাকি পাহাড়ও ফুটখানেক পিছিয়ে যায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

I felt as a Bangladeshi woman, who has been given a chance to raise her voice, I needed to work more on bringing out women's experiences in 1971, the inception point of this nation.

বাহ্‌ ! অতি মহান উদ্দেশ্য পরিচালকের। কিন্তু হিন্দী সিনেমা স্টাইলে উদ্ধারকারী নায়কের প্রেমে পড়ার মেলোড্রামাটিক প্রেম-কাহিণী লেখার জন্য তো আমাদের হুমায়ুন আহমেদ বা ঢাকাই ছবির স্কৃপ্ট রাইটাররাই আছেন। এজন্যে তো কোন মুক্তিযুদ্ধ-গবেষক বা বীরাঙ্গনা-গবেষকের প্রয়োজন নেই। আর যদি কোন মুক্তিযুদ্ধ-গবেষক বা বীরাঙ্গনা-গবেষককে সাহিত্যরচনা করতে বা ছবি বানাতেই হয়, সর্বোপরি তার যদি উদ্দেশ্য হয় ঐ বিশেষ সময়ে নারীর বিশেষ অভিজ্ঞতাকে ভাষা দেয়া তবে তার পক্ষে তো সবচেয়ে স্বাভাবিক হতো সে সময় লক্ষ-লক্ষ ধর্ষিত, নিহত, নিপীড়িত নারী যারা মারা গেছে বলে বা বেঁচে থাকলেও সমাজের ভয়ে পরে মুখ খুলতে পারেনি - সেইসব নারীর অন্তরাত্নার আর্তচিৎকারকে ভাষা দেয়া। তা না করে তিনি নির্মান করলেন কিনা এই পোস্ট-লেখকের ভাষায় এক "কল্পসঙ্গমের ফোকফ্যান্টাসি"র কদর্য অশ্লীল রসিকতা। আমার শুধু এই পরিচালকের কাছে জানতে ইচ্ছা করে, পাকসেনাদের পরিত্যাক্ত ট্রেঞ্চে বা বিভিন্ন বন্দীশালায় যে অজস্র ধর্ষিত নিহত নারীদেহ পাওয়া গিয়েছিল - তারা কি এই পরিচালকের মতে পাকিসঙ্গমের ফোকফ্যান্টাসি-বশতঃই ঐসব জায়গায় নাচতে নাচতে চলে গিয়েছিল ? আর যারা মারা পড়েছে, তারা নেহাৎ অতি-উত্তেজনাতেই বোধহয় মারা পড়েছে ? এই তাহলে আমাদের মহাবিজ্ঞাপিত voice raise করা আধুনিকা বীরাঙ্গনা-গবেষক পরিচালিকার ভাষ্যমতে ঐসব নারীর প্রকৃত "female narratives of the war", তাদের অভিজ্ঞতার প্রকৃত বয়ান ? এই পরিচালকের দৃষ্টিভঙ্গি চিন্তা করতেই আমার - রাগ নয় - প্রচন্ড বমি পাচ্ছে !

আমি নিজে '৭১-এ ধর্ষিতা নারীদের দেখিনি বা তাদের স্বমুখে সেই অভিজ্ঞতার বয়ানও শুনিনি (শুনলেও সেই ভয়াবহতা কতটা উপলব্ধি করতে পারতাম সন্দেহ আছে), কিন্তু কিছু বীভৎস পরোক্ষ নমুনা দেখেছি অনেক পরে। অন্য আরেক পোস্টের এক মন্তব্যে (৩৯নং মন্তব্য) লিখেছিলাম সেই কথা। আমার ভাবতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে ঐ সব চরম দূর্ভাগা নারীদের নামে আজ এইরকম নির্মম, বীভৎস রসিকতাকে আমরা অনেকে মহানন্দে বিজ্ঞাপিত করছি। নিজেদের আধুনিকতায় গদগদ হচ্ছি।

উপরে দেখলাম কোন এক মন্তব্যকারীর ভাষায় (৮৭নং) মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হচ্ছে 'মিথ' - যার একমাত্র কাজ হচ্ছে মানুষকে 'ভিক্টিমাইজ' করা। এই কথা পড়ে আমার শুধু মধ্যযুগীয় কবি আব্দুল হাকিমের সেই বিখ্যাত কবিতার লাইনদু'টি মনে পড়ছে। যেখানে উনি বঙ্গে জন্মে বঙ্গবাণী হিংসাকারীদের সম্পর্কে কিছু মধুর মন্তব্য করেছিলেন। আমারও বাংলাদেশে জন্মে নিজের জন্মকে ও জন্মদাতার সে সংক্রান্ত চেতনাকে 'মিথ' আখ্যাদানকারীদের প্রতি ঐ একই বিশেষণ প্রয়োগ করতে ইচ্ছা করে। অবশ্য জন্ম বাংলাদেশে হলেও, জন্মদাতা যদি কারো বিদেশী হয় - তাহলে অবশ্য অন্য কথা। সেটা দোষনীয় কিছু নয়। তবে, সেক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হবে এই দেশে পড়ে থেকে খামাখা 'ভিক্টিমাইজ' না হয়ে, জন্মদাতার দেশে চলে যাওয়া উচিত।

মনমাঝি

জি.এম.তানিম এর ছবি

স্টকহোম সিন্ড্রোম?
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

সত্যের সাহসী উপস্থাপনের জন্য অভিনন্দন জানাই।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

পল্লব এর ছবি

রিভিউটা বিভিন্ন জায়গায় শেয়ার দিলাম।

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

অতিথি লেখক এর ছবি

রোবায়েত ফেরদৌস, মাহমুদুজ্জামান বাবু, কাবেরী গায়েন এবং ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী যৌথ রচনা

ধৈবত

অতিথি লেখক এর ছবি

ফেইসবুকে একটি কমিউনিটি পেইজ তৈরি করা হল।
আসুন আমরা মেহেরজান বর্জন করি

গুরু ভাই

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ঘ্যাচাং

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি লেখক এর ছবি

কমেন্ট পড়তে পড়তে দেখি রাত হইয়া গেল... হাসি

"মেহেরজান" এখনকার সবচেয়ে আলোচিত নাম... পরিচালক যদি আলোচনায় অথবা স্পটলাইটে আসার উদ্দেশ্যে ফিলিম বানাইয়া থাকেন তাইলে উনি মেগা সার্থক(পজিটিভ নেগেটিভ যেই দিক দিয়াই হোক)... উনার মনোবাসনা পূর্ণ হইয়া উপচাইয়া পড়তাছে... হাজার হাজার বার উনার এবং উনার বানানো "চীজ" এর নাম উচ্চারিত ও লেখা হইতাছে... উনারে তো টক অফ দ্যা কান্ট্রি নামে একটা প্রাইজ বানাইয়া দেয়া উচিত... কেননা উনি মহান নায়ক 'অনন্ত'("পপেশনালদের পেচন তেকে গুলি করতে হয় না মাষ্‌ষ্‌ষ্টার...") রে পিছে ফালাইয়া আগাইয়া গেলেন...

আর উনি যদি সত্য ঘটনার প্রেক্ষিতে কারো দৃষ্টিকোণ থেকে একটা সময়কে(তাও আবার মুক্তিযুদ্ধের মত সময়) কেন্দ্র করে প্রেমকে উপজীব্য করে ফিলিম বানাইয়া থাকেন, তাইলে তারে সকাল বিকাল থাবড়ানো উচিত... কারণ তিনি যেই জিনিস বানাইছেন তার অধিকাংশই ভুল... তারে থাবড়ানোর কারণগুলা পরীক্ষার খাতার মত পয়েন্ট আকারে দেয়া হইল...

১. উনি মুক্তিযুদ্ধের সময়কে কেন্দ্র করে যেহেতু ফিলিম বানাইছেন, তাইলে অবশ্যই তারে যুদ্ধের প্রকৃত চিত্র তুইলা ধরতে হবে... কিন্তু তিনি তা করেন নাই... এইটা যদি উনার ছোটবেলার যুদ্ধ যুদ্ধ খেলার সময়কে কেন্দ্র করে লেখা হইত তাইলে আলাদা কথা। মুক্তিযুদ্ধ কি তিনটা নাদুসমুদুস মুক্তিযোদ্ধা দিয়া একটা ঘরের মধ্যে হইছিল??? যত্তসব আবাল*ট...

২. উনি দেখাইছেন মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত... ডাহার উপ্রে মহা মিথ্যা... মুক্তিযোদ্ধারা যদি ক্লান্তই হইয়া পড়ত, তাইলে আপাজান আপনার আর বাংলা ভাষায় এই ফিলিম বানানো লাগত না... আমগোরে পাকিগো লগে সোহবত্‌ করতে হইত...

উনি দেখাইছেন মুক্তিযোদ্ধারা খালি বিয়া করতে চায়... তার মানে কি '৭১ এর ছেলেরা বিয়াপাগল ছিল??? তাদের শয়নে ,স্বপনে,নিদ্রা,জাগরণে খালি বিয়াই ছিল??? এইটা কি কোন দলিল,কারো বক্তব্য বা কোন গবেষণাপত্র থেইকা পাইছেন??? যদি তাইই হইত তাইলে তো যুদ্ধের দুই মাসের মধ্যে সব তরুণগো ফেরত আসার কথা বাসর রাত উপভোগ করার জন্য... এরকম কি হইছিল??? উনি কি জানেন না???

৩. উনি '৭১ এর সময়ের নারীদের এখনকার বুক,বগল দেখানো জামা পড়াইয়া তাদের রিপ্রেজেন্ট করছেন... আমার নানি দাদির এবং ঐ সময়ে আঠারো বছর বয়সী(তার থেকে কিছু কম বেশি) মহিলাদের কাছ থেইকা জানলাম তারা ঘুণাক্ষরেও এমনে বুক,বগল দেখাইতেন না...
উনি ঐ সময়ের নারীর মর্যাদা দিতে গিয়া তাগোর মর্যাদা টাইনা টাইনা নিচে নামাইয়া মাটিতে পুইতা দিছেন... তারে প্রত্যেক ওয়াক্তে নামাজের পর থাবড়ানো উচিত...

এই গুরুতর তিনটা কারণে তারে থাবড়ানো জায়েয হইয়া যায়, বাকি কারণগুলা আর ব্যক্ত করা লাগে না...
উনি নাকি আবার এগুলা নিয়া গবেষণা করছেন... এই যদি হয় গবেষণাপ্রসূত ফল, তাইলে তার গবেষণাপত্রে মুইতা দেয়া উচিত...
ফাউল কোথাকার...

হিমাগ্নি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।