Archive - মার্চ 18, 2014

সচলায়তনের প্রেমে!!

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/০৩/২০১৪ - ৮:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সচলায়তনের প্রেমে পড়ার ইতিহাস আমার আজকের নয়। বলতে গেলে অনেকদিন আগেই এই ব্লগের প্রেমে পড়েছি। তবে বুঝে উঠতে যেহেতু সে সময় পারিনি তাই আমার প্রেমপত্রগুলো সচলায়তনের আর্কাইভের কোন এক চিপায় এখনও হয়ত লুকিয়ে আছে। এবারের যাত্রায় সচলায়তনের দৃষ্টি আকর্ষণে সমর্থ হলাম। তবে আমি যতটুকু বুঝেছি সচলায়তনে লেখতে চান অনেকেই কিন্তু সহসাই বুঝে উঠতে পারেন না কিভাবে আপনার লেখাটি সচলায়তনে আসবে?


শেষ দানেও আছি....

সাফিনাজ আরজু এর ছবি
লিখেছেন সাফিনাজ আরজু [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/০৩/২০১৪ - ৫:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]ঘড়িতে প্রায় সন্ধ্যা ছয়টা। বিয়ারে চুমুক দিতে দিতে সুইমিং পুলের ধারে আয়েস করে বসে সন্ধ্যা নামা দেখার আদর্শ সময়।
সারাদিন হোটেল রুমে বসে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে গেছিলাম, বার থেকে এক ক্যান বিয়ার হাতে নিয়ে বাগানে প্রবেশ করতেই সন্ধ্যার গোধুলি আলোতে পাম গাছের সারি এলোমেলো করে বয়ে যাওয়া মিষ্টি বাতাসে মনটা জুড়িয়ে গেল।

বাগানটা দারুন, দুই ধারের লন জুড়ে সার বেধে ফুলের বাগান আর মাঝ দিয়ে দিয়ে বড় বড় নারিকেল গাছ আর পাম গাছের সারি, পিছনে আকাশ তখন শেষ সূর্যের আলোতে রক্তিম বর্ণ ধারন করেছে, সমুদ্রের তীর থেকে ধেয়ে আসা বাতাসে এমনভাবে নারিকেল আর পামের সারি দুলছে মনে হচ্ছে যেন আকাশে আগুন দেখে গাছগুলো পালানোর চেষ্টায় হুটোপুটি লাগিয়েছে।


মিঠাপানির জলদস্যু

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/০৩/২০১৪ - ১১:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নোনাসমুদ্রে এতকাল কাটাবার পর মিঠাপানির প্রথম স্পর্শটা সুখের ছিল তা বলতে পারি না। তবে বলতে পারি স্পর্শটা বড় বিচিত্র ছিল। মুখে নিয়ে কুলি করে ফেলে দেবার পর শান্তি।

আবহাওয়া ঠিক আছে। জলের কোলাহলও তেমনি। ঘনত্বে একটু পার্থক্য, আর রঙে। এখানকার রঙটা যেন ফ্যাকাসে। তবু কেউ কেউ বলছিল যে যাই বলুক, যত সুখ শান্তি সব মিষ্টি জলের নদীতে। অগাধ ঝড়ঝঞ্ছাবিক্ষুব্ধ সমুদ্রে অনিশ্চিত জীবনযাপন করার চেয়ে এখানে অনেকটা নিশ্চিন্ত জীবন। চাইলে যখন তখন কূলের কাছাকাছি যাওয়া যায়, গাছ লতাপাতা ফুল পাখিদের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। সমুদ্রে কি তা সম্ভব? তবু এতকালের অভ্যেস সমুদ্র। এই নেশা কাটানো মুশকিল। আমি ওদের পিছু পিছু নদীতে আসার পর সেই কথাই ভাবছিলাম।


বিশ্ব পানি দিবস ২০১৪: পানি ও শক্তি

সচল জাহিদ এর ছবি
লিখেছেন সচল জাহিদ (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/০৩/২০১৪ - ৮:১২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভূমিকাঃ

প্রতিবারের মত এবছর ২২ মার্চ সারা বিশ্বে পালিত হবে বিশ্ব পানি দিবস। বিশ্ব পানি দিবসের সূচনা ১৯৯২ সালে। ঐ বছর ব্রাজিলের রাজধানী রিও ডি জেনে-রিওতে জাতিসংঘের পরিবেশ ও উন্নয়ন বিষয়ক অধিবেশনে একটি বিশেষ দিনকে স্বাদু পানি দিবস হিসেবে পালন করার কথা সুপারিশ করা হয়। পরের বছর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে ১৯৯৩ সালের ২২ শে মার্চকে প্রথম আন্তর্জাতিক পানি দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় প্রতি বছর স্বাদু পানির উপর এক একটি বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ২২ শে মার্চ বিশ্ব পানি দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ইতিমধ্যে পালিত পানি দিবসগুলিতে স্থান পেয়েছে নারী ও পানি, তৃষ্ণার জন্য পানি, পানির প্রতুলতা, ভূগর্ভস্থ পানি, ভাটির অধিবাসীর জীবন, একুশ শতকের পানি, পানি ও স্বাস্থ্য, উন্নয়নের জন্য পানি, ভবিষ্যতের জন্য পানি, জীবনের জন্য পানি, পানি ও সংস্কৃতি, পানির অপ্রতুলতা, পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা, আন্ত-সীমান্ত পানি, পানির মান, শহরের জন্য পানি, পানি ও খাদ্যের নিশ্চয়তা, ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর মধ্যে ‘পানি ও জীবন’ শিরোনামে একটি পানি দশক (১৯৯৫-২০০৫) পালিত হয়েছে এবং ২০১৩ সাল ‘ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অফ ওয়াটার কোঅপারেশন’ বা পানি নিয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার বছর হিসেবে পালিত হয়েছে সারা বিশ্ব জুড়ে। পানি ও শক্তির একে অপরের উপর নির্ভরশীলতার (পানি-শক্তি যোগসূত্র) উপর গুরুত্ব আরোপ করে এবারের (২০১৪) বিশ্ব পানি দিবসের স্লোগান “ পানি ও শক্তি”। এই প্রবন্ধে বৈশ্বিক ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পানি ও শক্তির মধ্যকার নির্ভরশীলতাকে ব্যাখ্যা করার প্রয়াস থাকবে।


আপোষ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/০৩/২০১৪ - ৫:২২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রকমারীর সোহাগ/লিটন ভাইয়া,

আপনাদের সাথে পরিচয় অনেকদিনের । আমার মত অনেকের কাছেই আপনাদের প্রাথমিক পরিচয় অবশ্যই রকমারীর কর্ণধার হিসেবে নয় । আমাদের একটা বড় অংশের পড়ালেখার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দেবার পেছনে আছেন আপনারা । দেশের সেরা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও আপনারাই এপর্যন্ত আমার দেখা সবসময়ের সেরা শিক্ষক । আপনারা প্রথম শিক্ষাগুরু যারা শিখিয়েছেন সবকিছুকে প্রশ্ন করতে । "মুখস্ত বিদ্যা প্রতিভাকে ধ্বংস করে" - এই বুলি এখন সবার মুখে, কিন্তু একমাত্র আপনাদেরই একে সত্যিকার অর্থে একটি সংস্কৃতি হিসেবে লালন করতে দেখেছি ।


সময় গিয়েছে চলে

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/০৩/২০১৪ - ৫:২২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইচ্ছের গভীরে ডুবি
কত কিছু পেতে চায় মন!
কত সুর, এলোমেলো কত আলাপন…


গৃহশিক্ষক (৩)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/০৩/২০১৪ - ৫:২১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রাত সাড়ে নয়টা বাজে। আমি খালিশপুরের কোন এক কানাগলিতে চায়ের দোকানের চিপায় লুকিয়ে আছি। এই জায়গাটা রাতের বেলা এমনিতেই খুব নির্জন এবং বিপজ্জনক। আমি লুকিয়ে আছি রাফসানের আব্বাকে ধরতে। মাসের ২০ তারিখ; বেতন পাইনি। খুব খারাপ অবস্থা। চায়ের দোকানী লিটন ভাই খুব কাছের মানুষ। কাছের মানুষ গুরুত্বপুর্ণ কথা সবার সামনে বলেন না। উনিও বাঁকির খাতায় অংক বেড়ে যাবার কথা সবার সামনে বলেন না। তবে যেহেতু সবার সামনে বলেন না তা