Archive - এপ্র 29, 2011 - ব্লগ

পরীক্ষামূলক গল্পপ্রচেষ্টা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২৯/০৪/২০১১ - ১০:০১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সমীকরণ

ভূমিকা :
শ'র যখন মন খারাপ থাকে,স তখন মনমরা থাকে।স বলে এটা নাকি ভীষণ সংক্রামক।শ থেকে স-এ নাকি এটা মারীর মত ছড়ায়।
স'র মন খারাপ হলে শ'র তোড়জোড়টা হয় দেখার মত।মনমরা তো নয়ই,বরং উচ্ছাসটা ফুলেফেপে ওঠে শ'র। "ভালো থাকা" টা ভাগাভাগিও করতে শ'র ভারি উৎসাহ।

উপসংহার :


এম জির সাথে জীবন যুদ্ধ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২৯/০৪/২০১১ - ৮:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মায়েস্থেনিয়া গ্রাভিচ (এম জি) অতি বিরল আমরন এক অসুখ, যার পরীক্ষিত কোন চিকিৎসা বা ঔষধ নেই; আছে কিছু পরীক্ষনীয় ঔষধ। ভয়াবহ সেই অসুখের সাথে যুদ্ধ এবং তা জয় করার সত্য গল্প।

চার


পারুলবালার সন্তান

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: শুক্র, ২৯/০৪/২০১১ - ৬:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পারুলবালা আমার কাছে সন্তান চায়নি। আমিই তাকে একটি শিশুর লোভ দেখিয়ে লোভী করে তুলেছিলাম।

প্রথম সন্ধ্যাটির কথা মনে আছে স্পষ্ট। খালের দুই পাশে খাড়া পারে সটান ভুরু কুঁচকে দাঁড়িয়ে প্রকাণ্ড সব ঋজু নাম না জানা বৃক্ষ, তাদের পাতার আড়ালে লুকানোর নিরর্থক চেষ্টা করছিলো আমার পিছু নেয়া চেরা চাঁদ, তাই আমার ছোট্টো ডিঙিযাত্রার পুরোটাই ছিলো গাছের পাতার বীভৎস সব ছায়ায় রঞ্জিত। সরু খালে নিরুদ্বিগ্ন কুমীরের মতো লগির ঠেলায় ভেসে চলছিলো আমার ডিঙি, যতক্ষণ পর্যন্ত পারুলবালার ঘর বরাবর খালের পাশে একটা হিজল গাছের গোড়ায় লাল কাগজে মোড়ানো হারিকেনটা এসে না দাঁড়ালো। পারুলবালা রেখে গিয়েছিলো সেই লণ্ঠন, হয়তো সূর্য ডোবার পরপরই।


ধস

মনামী এর ছবি
লিখেছেন মনামী (তারিখ: শুক্র, ২৯/০৪/২০১১ - ৫:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নিয়মিত, ছন্দময় পতন। শাড়ি উঠে গিয়ে কালো উরু ঝিক ঝিক। রোদটা চড়া খুব, চামড়ার উপর মোমের মত গলে গলে পড়ে। প্রতিপতনে ভেঙ্গেচুড়ে আসে নিঃসংকোচ সুঠাম দেহ। চাপড়া চাপড়া কালো মাটির সঙ্গে মিশে যায় গুড়ো গুড়ো হয়ে, মুহূর্তেই আবার ঝিকিয়ে ওঠে কালো উরু।

পাহাড়ি, স্যার!কয়লা তুলে

হুম? রূপক চমকে তাকায় , তোতা মিয়া অবশ্য বাঙালি, এ যাত্রায় তাদের গাইড।

এইখানে নদীতে কয়লা পাওয়া যায় স্যার, আর চিনামাটি।


এক বিষাদ সন্ধ্যা নেমে আসুক বিষাদে

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি
লিখেছেন মৃত্যুময় ঈষৎ [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২৯/০৪/২০১১ - ৩:৫৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শিরোনাম:: 'এক বিষাদ সন্ধ্যা নেমে আসুক বিষাদে'
মনন:: নাগরিক সন্ধ্যা যদি তার রূপ বদলায়।

এক বিষাদ সন্ধ্যা নেমে আসুক বিষাদে
ধূসর হবে না, হবে না ধূলিনির্ঝর;
অথচ পাতার মর্মর শব্দ থাকবে, শুকনো হলুদ
আভা বুনে গেঁথে যাবে শহর সরু পথ
ক্রিং ক্রিং আড়ষ্টে কুপোকাত হবে না বার্ধক্য
সোনালি মুখের শৈশব হাতে হেঁটে যাবে দিগন্তাবির ছুঁয়ে।
পাশে নদী থাকতে পারে, থাকতে পারে শীতল হাওয়াও!


মধ্যশ্রেণীর হুমায়ূনত্ব

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি
লিখেছেন অনিন্দ্য রহমান (তারিখ: শুক্র, ২৯/০৪/২০১১ - ৩:১০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify][১]

সপ্তসপ্ততিতমে বর্ষে সপ্তমে মাসে সপ্তমী/ রাত্রিভীমরথী নাম নরাণাংদুরতিক্রমা ... সপ্তসপ্ততিতম বৎসরের সপ্তম মাসের সপ্তম দিবসের রাত্রি ভীষণ, কারণ, ইহা দুরতিক্রম, অর্থাৎ সাধারণে এরূপ দীর্ঘজীবী হয় না। ভীমরথী থেকে ভীমরতি।

বৃদ্ধ পুরুষের চিত্তবৈকল্যের একটা কারণ এই বাংলা বাগধারায় আছে - তিনি সাতাত্তর বছর সাত মাস সাত দিনের তক্তা ডিঙিয়েছেন। বাগধারা যদি ঢালাওভাবে নির্দিষ্ট বয়সের লোকের প্রতি নিষ্ঠুর হয়ে থাকে সে দায় বর্তমান লেখকের না। কিন্তু আনন্দেই হোক, বা বার্ধক্যের দানে, এরূপ লোক আচরণ ও ভাষার উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। লোকমানসে এই নিয়ন্ত্রণহীনতা পরিহাস্যকর যৌন ব্যর্থতা দ্বারা সংজ্ঞায়িত।

আমাদের জাতীয় সাহিত্যের লোকপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ ভীমরতিপ্রাপ্ত হয়েছেন।


বিহবল গল্পের পর...

অদ্রোহ এর ছবি
লিখেছেন অদ্রোহ [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২৯/০৪/২০১১ - ১:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]শাহাদুজ্জামানের সাথে পয়লা মোলাকাত হয়েছিল কয়েকটি বিহবল গল্প বইটিতে। আক্ষরিক অর্থেই গল্পগুলো পড়ে বিহবল হয়েছিলাম, বাঁধাগতের বাইরে একেবারেই আলাদা ঢঙ্গে লেখা, তারিয়ে তারিয়েই পড়েছিলাম। এরপর প্রথম মওকাতেই পড়ে ফেললাম তাঁর দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ, পশ্চিমের মেঘে সোনার সিংহ। এই বইটিতেও নিরীক্ষা নিয়ে লেখকের প্রয়াস লক্ষণীয়, প্রথাগত ধারার বাইরে গিয়ে এই বইতে আমি আবিষ্কার করি নতুন একজন শাহাদুজ্জামানকে।