Archive - এপ্র 5, 2011 - ব্লগ

ইস্কুলবেলার গল্প(৮)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: মঙ্গল, ০৫/০৪/২০১১ - ১১:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আপাদমস্তক উত্তেজিত অবস্থায় ফোনে অন্বেষাকে কনট্যাক্ট করি। কথা বলতে বলতে হাঁপাই, "টেঁপি রে, মারাত্মক কান্ড হয়েছে।"

অন্বেষা কিন্তু ধীরস্থিরই থাকে। ভারিক্কী গলায় বলে, "হয়েছে টা কী? আর, কী কুক্ষণেই যে আমার ডাকনামটা বলেছিলাম তোকে। "


কোরানমানা নাস্তিকের দেশে

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি
লিখেছেন ধ্রুব বর্ণন (তারিখ: মঙ্গল, ০৫/০৪/২০১১ - ১১:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এদেশের নাস্তিকেরা, আল্লাহ মানে না, কোরান মানে। আল্লাহমানা মুসলমানের মতই - সে মদ খায়, জুয়া খেলে, জেনা করে। কিন্তু কোরানমানা মুসলমানের মত দিন শেষে তওবা করে। বলে, "সব দোষ শালা উদারপন্থী মাদারচোদদের"!


জীবন থেকে নেয়া

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০৫/০৪/২০১১ - ৮:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.

জহির সাহেব এর মেজেজ খারাপ। তার টেবিলের ওপাশে বসে থাকা খোঁচা খোঁচা দাড়ির ছোটোখাটো শুকনো গড়নের মানুষটির দিকে তাকিয়ে অনর্থক কয়েকবার গলা খাঁকড়ি দিলেন। তাতেও কোনো কাজ হবে বলে মনে হচ্ছে না। মনে মনে বললেন ‘বেকুব কোথাকার’। নিজের উপর ও এখন তার রাগ হচ্ছে। এতদিনেও তিনি ঘুষ খাওয়াটা ভালমত রপ্ত করতে পারেন নাই। অথচ তার টেবিলের উত্তর দিকের টেবিলটায় বসা রহমত সাহেব কি অবলিলায় পান চিঁবুতে চিঁবুতে চোখের পলকে বাম হাতের কাজ সেরে ফেলেন।


শুধুই ছবির গপ্পো (আপডেটেড)

ফাহিম হাসান এর ছবি
লিখেছেন ফাহিম হাসান (তারিখ: মঙ্গল, ০৫/০৪/২০১১ - ৮:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গত দুই দিনে দেশের হরতাল ও হরতাল পরবর্তী সংবাদে আমি কিছুটা হতাশ। নারীনীতি ও শিক্ষানীতির বিরোধীতা করে আমিনীর ডাকা এই হরতালে বেশ কিছু মানুষের সরব ও নীরব সমর্থন আশংকাজনক। পত্রিকায় ছবিগুলো দেখে আমি খুব অস্থিরতায় ভুগছি। কোরান শরীফ হাতে হরতালে অংশগ্রহণকারী এক মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর ছবি দেখলাম। কষ্ট পেলাম। পত্রিকা খুললেই হরতালের মুহূর্তকালীন ছবি। এই আলোকচিত্রগুলো রূঢ় বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। ছবিগুলো এতই বাঙ্


এক শচীনভক্তের খোলা চিঠি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০৫/০৪/২০১১ - ৮:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রিয় শচীন,

আমাদের ড্রইংরুমের শোকেসের কাঁচটায় আপনার একটা স্টীকার লাগিয়েছিলাম ক্লাস থ্রি-ফোরে পড়ার সময়। ১৬-১৭ বছর পরে স্টীকারটা এখন পুরনো হয়ে গেছে, কিন্তু পুরনো হয়ে যাননি আপনি। ছোটবেলা থেকে পেপার কাটিং জমানো শখ আমার- পুরনো কাগজগুলোর বেশিরভাগ জুড়েই আপনার ছবি আর খবর। আমার কাছে পৃথিবীতে দুই ধরণের ব্যাটসম্যান আছে — এক, পৃথিবীর শুদ্ধতম ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার; দুই, বাকি সবাই।


তাপস নিঃশ্বাস বায়ে..

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০৫/০৪/২০১১ - ৮:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিদেশে আসার পর কিছু কিছু দিন আসে যখন কোন কিছুতে মন বসাতে পারি না। চোখের সামনে উজ্জ্বল মনিটরে খুলে রাখা গবেষনা নিবন্ধ মস্তিষ্কে কোন আলোড়ন সৃষ্টি করে না। শরীর জুড়ে একটু পর পর একটা অস্বস্তিকর অনুভূতি। ফেসবুক খুলে পুরনো ছবিগুলো দেখতে থাকি বারবার। মনের পর্দায় হাজার মাইল দূরের প্রিয় ঢাকা শহর। পহেলা বৈশাখ সেরকমই একটা দিন।


বাইসাইকেল

পাগল মন এর ছবি
লিখেছেন পাগল মন [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ০৫/০৪/২০১১ - ৭:৫৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনুগল্পের সংজ্ঞা কী আমি জানি না, এজন্য এগুলোকে অনুগল্প বলতে সাহস পেলাম না। পরমানু গল্প, হলেও হতে পারে।


সাধারণের দিনরাত্রি

নীলকান্ত এর ছবি
লিখেছেন নীলকান্ত (তারিখ: মঙ্গল, ০৫/০৪/২০১১ - ৭:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আচ্ছা, সাধারণ একজন মানুষ যখন বোঝে সে খুবই সাধারণ তখন তার মানসিকতা কেমন হয়?
অসহায়ত্বের??তুচ্ছত্বের?নাকি অসন্তুষ্টির?কিংবা সুখের?
অনেককিছুই হতে পারে।
আমি প্রায়ই এ অনুভূতিগুলোর শিকার হই।
প্রথম প্রথম নিজেকে প্রবোধ দিতাম, “আরে ও কিছু না। সবার মাঝেই কিছু না কিছু লুকানো থাকে।তোরও আছে। অপেক্ষায় থাক।”
কিন্তু নিজের দীনতাকে ঢাকবার চেষ্টা স্ববিরোধী তো বটেই কেমন যেন একটু কষ্টের। পীড়া শুরু হল।


Death toll of Genocide in 1971

মাহবুবুল হক এর ছবি
লিখেছেন মাহবুবুল হক (তারিখ: মঙ্গল, ০৫/০৪/২০১১ - ৯:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গণহত্যা সংখ্যা দিয়ে বিচার হয় না, বিচার হয় হত্যার প্রকৃতি দিয়ে। বাংলাদেশের গণহত্যা, সেই ২৬ মার্চেই ইয়াহিয়াও অস্বীকার করে বলেছিলেন, জনা পঞ্চাশেক মানুষ মারা পড়তে পারে; তার উত্তরসুরী শর্মিলা বসু তো এভাবেই ভাববেন। কিংবা রুবাইয়াতের মাথায় তো পাকিস্তানী হত্যাযজ্ঞের চেয়ে ভালবাসাবাসিটাই মুখ্য হয়ে যাবে।অনেকদিন ধরেই দেখছি ৩০ লক্ষ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বাংলাদেশের কয়েকটি রাজনৈতিক দল বা কিছু সংখ্যক ল


নিওলিবারেল গণিত

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: মঙ্গল, ০৫/০৪/২০১১ - ৫:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
গ্রীড ইজ গুড। ওয়ালস্ট্রিট সিনেমায় গেকোর এই কথাটার পরে আমাদের সমাজটা পালটে যায়। রাজনীতি, ধর্ম, খেলা, কুচকাওয়াজ সবকিছু অর্থনীতির ওপর নির্ভর করে নিজের নিজের মুখোশ বদলাতে থাকে। মুনাফাকে কেন্দ্র ধরে শুরু হয় রিগ্যানোমিকস্‌, থ্যাচারিজম প্রভৃতি। গরিব কর্মহীন মানুষকে অনুৎপাদিত ক্ষেত্র না ধরে সেখানে চালু হয় এনজিওমিকস্‌। গরিব দীর্ঘমেয়াদে গরিবিহালে বাঁচে আর মুনাফার শ্রমযন্ত্র হয়ে কাজ করতে থাকে।