এক সময় খুব বালখিল্য কিছু করে ফেললে বা করতে চাইলে বলা হতো; বাংলা সিনেমার মতো । এখন বলা হতে পারে বাংলা নাটকের মতো। বাংলা নাটকের এই বেহাল অবস্থায় যাওয়ার আগে নাটক/ সিনেমা সম্পর্কে আমার অবস্থানটা পরিস্কার করার জন্য আমার দেখা একটা সিনেমার একমিনিটের আলোচনা করে নেই এখানে।
হাফসা বেগম একবার প্রায় চলেই যাচ্ছিল। কি একটা যেন তারে হঠাৎ আটকে দিল। এই জান’টা আসলে কে নিয়ে যায়, কই যায়, আসমানে না অন্য কোনখানে, আজরাইল আইস্যা নিয়া যায় নাকি অন্য কেউ, নাকি এমনিতেই হাওয়া হয়ে উবে যায় কোন একখানে... কতইনা ভেবেছে সে একলা একা। হয়ত খাঁচাটার যখন আর কোন কদর থাকেনা, পৃথিবীর কাছে সে খাঁচা তার, যখন এক নিষ্প্রাণ জড় কাঠ তখন কি বা মুল্য তার, জানটাকে তখনই হয়ত চলে যেতে হয়।
নজমুল আলবাব শুকনো মুখে বেরিয়ে আসে জঙ্গল ছেড়ে। তারপর হাঁটু পর্যন্ত কাদা ঠেলে এসে নৌকায় ওঠে হাঁচড়ে পাঁচড়ে।
বলি, "ছবি তুলতে পাল্লেন কিছু?"
নজমুল আলবাব বিড়বিড় করে কী যেন বলে। সম্ভবত গালি দেয় আমাকে।
বনরক্ষী ফজলু শেখ চুপচাপ বসে ছিলো নৌকার পাটাতনে, আলবাব তাকে বলে, "ভাই পা ধুইতে হবে।"
ফজলু শেখ সংক্ষেপে বলে, "ধুয়ে ফেলেন।"
আজকের দিনটা অনেক বড়, শেষ হচ্ছে না। সন্ধ্যার পর কোথাও দাওয়াত থাকলে ওর দিনটাকে আরও বড় মনে হয়। আজ ওর সবচেয়ে প্রিয় কলিগ লোরা আপুর মেয়ের জন্মদিন। না এসেও উপায় ছিল না। ঘরভর্তি মানুষ, সবাই কথা বলছে কেউ কারোটা শুনছে বলে মনে হচ্ছে না। ভিড়, হইচই ওর কোনকালেই পছন্দ না, ইদানীং তো একেবারেই সহ্য করতে পারে না। কথা যা বলে মনে মনে, নিজের সাথে।
ছড়া কাটাকাটি না করে দিয়েই দিলাম একেবারে।
কৈঞ্ছেন্দেহি এইডা কে?