লিখতে আমার কখনোই তেমন ভাল্লাগে না। কিছু পড়া এর চেয়ে অনেক বেশি আরামদায়ক। এ ব্যাপারে আমি পাক্কা ভোক্তা। অর্থাৎ কিছু উৎপাদন করি না, কেবল গিলি। তবে প্রিয় ঢাকা শহরকে নিয়ে লিখতে বসে বেশ অনেক কথা মনে চলে আসছে। লিখতেও খারাপ লাগছে না। ঢাকা ছেড়ে আছি প্রায় দুই বছর হতে চললো। পরিবারের লোকজন, আব্বু, আম্মু, বোন, বিচ্ছু ভাগ্নেটা, বন্ধু-বান্ধব; এদের চেয়েও ইট-কাঠ-ধূলা-বালির ঢাকাকে দেখতে ইচ্ছা হয় বেশি। নিউ মার্কেটের বইয়ের দোকানের চিপায় লেবু চা, সন্ধ্যাবেলায় ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে হাটাহাটি, শাহবাগের মোগলাই, ফুলার রোডের ফুটপাথ, বুয়েট ক্যাম্পাস, ইএমই ভবনের ছয়তলার বারান্দা – এইসব ‘তুচ্ছ’ জিনিষের স্বপ্ন দেখে প্রতিদিন ভোরবেলায় ঘুম ভাঙ্গে, আর দিন গুনতে থাকি। শালার পড়াশোনা, রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্পের থেকেও ভয়ংকর জিনিষ – শ্যাষ হয় না!
০১.
গতকাল অনলাইন ম্যাগাজিন প্রিয় ডট কমের প্রযুক্তি বিভাগ টেক.প্রিয়.কম এ প্রকাশিত একটি সংবাদে সচলায়তনের নাম উল্লেখ করে বলা হয়, ১ ফেব্রুয়ারি বাংলা ব্লগ দিবস উপলক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠান পালিত হবে, যেখানে সচলায়তনও অংশগ্রহণ করবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ব্রিটিশ কাউন্সিল সংলগ্ন সড়কটির নাম আমরা সবাই জানি ফুলার রোড। নাম শুনেই আন্দাজ করা যায় এটি ব্রিটিশ কোনো নাম। কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন কি, কে ছিলো এই ফুলার?
দ্বিতীয় পর্ব : বিষণ্ণ গোধূলি
নিরবচ্ছিন্ন দর্শনপাঠে নিমগ্ন হয়ে হঠাৎ খেয়াল হলো- হাবিজাবি লেখালেখি প্রায় থেমেই গেছে ! অন্তত আজকের দিনটাকে পুরনো বর্জ্য দিয়েই না হয় ভরে রাখি ! কারণ, জীবনে এমন সময়ও বুঝি এসে যায় যখন নিজের জন্মদিনটাকেও সন্ত্রাসীর মতো মনে হয় !!
আর তাই পোস্টে ঢোকার শুরুতে সেই পুরনো সতর্কবাণীটাই ফের অর্থহীন গেঁথে রাখি-
ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কার বা মুক্তচিন্তায় যাঁদের সংবেদনশীলতা রয়েছে
তাঁদের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে !
…
অর্ক সেবার খুলনা থেকে মা বাবার সাথে দাদু বাড়ি যাচ্ছে। পাকশি ঘাট ,ফেরি পার হয়ে আরো দেড় ঘণ্টার রাস্তা। ছোট্ট অর্ককে বাবা দেখায়
নদীর ওপর ঐ যে লাল ব্রিজটা দেখছো, ওটা হার্ডিঞ্জ ব্রিজ।
বাবা আমাদের বাস ঐ ব্রিজ এর ওপর দিয়ে যাচ্ছে না কেন?
ওর ওপর দিয়ে শুধু ট্রেন যায়। বাস এর জন্য ঐ ব্রিজটা না।
বাবা বাসের জন্য কোনো হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নেই কেন?
কেউ বানায়নি তাই।
ব্রিজ কারা বানায় বাবা ?
তুমি ভেবে দেখো, অযাচিত কৌতূহলের ছন্নছাড়া আক্রমণে আমাদের কতখানি নিজস্ব ভূমি দখল হয়ে গেছে, কতটা দখল হয়ে গেছে আমাদের নির্জনতা, আমাদের পরিসর; আমাদের নামে’র আড়ালে মরে গেছে বিভিন্ন আমাদের মানুষ আমাদের অভিন্ন অবয়ব নিয়ে —প্রতিটি মানুষের চোখে স্বপ্ন ছিলো, ছিলো বিশ্বাস, গর্ব আর সুন্দর পৃথিবী গড়ার অঙ্গীকার — সাম্য, সংহতি। এইসব মৃত্যুর দায়ভার কেউ নেবেনা। আমাদের মৃত্যু পৃথিবীকে মহৎ করেছে, মানুষকে করেনি।
মাটিতে খড় বিছিয়ে তার উপর চটের বস্তা পাতা একটা বিছানা। সেখানেই দুইটা মোটা ছেড়া ময়লা কাথাঁয় মাথামুড়ি দিয়ে ঘুমাচ্ছিল রইছুদ্দি। সাত-সকালে আচমকা চিৎকারে ঘুম ভাঙ্গে তার। ঘুম ভাঙ্গতেই ছেলে আর ছেলের বউয়ের তীক্ষ্ণ কন্ঠস্বর ভেসে এলো কানে--