১. সকাল টা বলে বারেবার
ওই সূর্য আমার
দুপুরটা হেসে একাকার
এই রোদ্দুর আমার
বিকেল টা ম্লান করে মুখ
এই গোধুলি আমার
আমি শুধু বলি উত্সুক
এই 'তুমি' টা আমার
বাদশা মিয়ার হাঁপানির টান উঠেছে।
নিঃশ্বাস নিতে গেলে জীবন বেরিয়ে যাওয়ার মত কষ্ট হচ্ছে তার। চারিদিকে বাতাসের ছড়াছড়ি, কিন্তু তার মধ্যে একটু বাতাসও বাদশা মিয়ার জন্যে না। বেঁচে থাকার জন্য যা কিছু দরকার, তার সবটুকুই যুদ্ধ করে আদায় করতে হয়। নিঃশ্বাস নেওয়ার লড়াই করে বাদশা মিয়ার সেটা বুঝে নিতে হচ্ছে। সে প্রানপণে শ্বাস টানে। তার বুক হাপরের মত ওঠা নামা করে। তাতে তেমন কোন লাভ হয় না। বায়ু শূন্য বুকে বাদশা মিয়া কিছুক্ষণের জন্য হাল ছেড়ে দেয়; পরক্ষণে আবার যুদ্ধ শুরু করে।
১৮ই জানুয়ারী। রোজ বুধবার। বেলা বারোটা।
পাঠক নিশ্চয়ই খানিকটা নড়েচড়ে বসেছেন। ভাবছেন, এইদিন এই সময়ে বুঝি লেখকের জীবনে খুব উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটে গেছে। প্রিয় পাঠককে হতাশ করে বলতে হচ্ছে, অধমের জীবনে এ্যাডভাঞ্চারাস বা থ্রিলিং কিছু সচরাচর ঘটে না। কুয়োর ব্যাঙ হলে যা হয় আর কি।
ঘণ্টাখানেক পর পাত্র দেখতে যাচ্ছি।
আকবর বাদশার বিয়ের বাতিক ছিল, তার বউয়ের সংখ্যা কোন বইয়ে ৩৬ কোন বইয়ে ৩০০ দেখতে পাই। বউ ছাড়াও হেরেমে ঢলাঢলি করার জন্য দুনিয়া চষে হাজার পাঁচেক মেয়ে মজুত ছিল তার। বীর্য বিলিয়ে বেড়াতে আকবর তুলনাহীন ছিলেন, সব জাতের সব ধর্মের মেয়ে চেখে দেখার স্বভাব ছিল তার। মিরিয়াম ছিল আকবরের খ্রিস্টান বউ। গোয়ার পর্তুগীজ যাজক সম্প্রদায়ের লোকের চোখ চকচক করে ওঠে আকবর মিরিয়ামের বিবাহে, মোগল বাদশাকে খ্রিস্টান কর
সংবিধিবদ্ধ সর্তকীকরণঃ বিশা-আ-আ-আল পোষ্ট। নষ্ট করার মত প্রচুর সময় থাকলে, নিজ দায়িত্বে অগ্রসর হউন।
<><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><>
দু'সপ্তাহের বেশি হতে চলল এই নতুন বছরের।
গতবছর তিউনিসিয়া থেকে বাহরাইন পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়া আরব সমাজে রাজনৈতিক অস্থিরতাকে ভালোবেসে আরব বসন্ত নাম দিয়েছে পশ্চিমা মিডিয়া। ঋতু বসন্তের চেয়ে রোগ বসন্তের সাথেই এর সাদৃশ্য বেশি। তিউনিসিয়ায় এক ক্ষুব্ধ অপমানিত ফলবিক্রেতা নিজের গায়ে তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যা করেন, আর সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে সুদূর বাহরাইন পর্যন্ত। সুদীর্ঘ সময় ধরে চলে আসা স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আরব সমাজ গর্জে উঠেছে তিউনিসিয়া,
“...কেউ বলছে কিছু বলছে কেউ বলব বলব করছে
কেউ বলতে না পারা যন্ত্রনা নিয়ে গুমড়ে গুমড়ে মরছে...।“
ডেস্কটপের স্ক্রিনে নানান রঙের ঢেউ ভেসে বেড়াতে থাকে মিডিয়া প্লেয়ারের জানালায়, আর শ্রীকান্ত গাইতেই থাকেন, অবিরাম। কী-বোর্ডে হাত দিয়ে বসে থাকি কেবল- লেখার খোলা পাতা সাদাই থাকে, মাঝে মাঝে একটা দুটো শব্দ উঁকি দেয় আবার কিসের পিছুটানে ফিরে যায়, হয়ত সঙ্গী শব্দদের খুঁজে আনবে বলে।
মাসখানিক আগে ছোটভাইয়ের কল্যানে একটা কিন্ডল হাতে আসায় পড়ার নেশাটা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। গত কয়েকদিন ধরে তাই অবসর সময়ে নিউক্লিয়ার অস্ত্র দিয়ে শহরজনপদ ধ্বংস করার আর ওয়াশিংটন ডিসিতে বায়োলজিকাল হামলার কাজ মুলতবি রেখে শুধুই পড়ছি। সিরিয়াস কিছু না, কমফোর্ট রিডিং যাকে বলে। পুরোনো সব সাইন্স ফিকশান আর ভূতের গপ্পো। তো এই গল্পটা পড়তে পড়তে মনে হলো এইটাকে কনটেমপরারি সময়ে ঢাকার পটভূমিতে এনে ফেলতে পারলে
সময়গুলো উড়ে যাচ্ছে। পেছনে ফেলে স্মৃতির পালক। বছরের শেষদিনে অস্তগামী সূর্যটার দিকে তাকাতেই মন কেমন যেন করে ওঠে! ওই সূর্যটার সাথে সাথে যেন বছরের সব হাসি-কান্না-আনন্দ-বেদনা ডুব দিচ্ছে। মনে হয়, হারিয়ে যাচ্ছে, ফুরিয়ে যাচ্ছে সব। এভাবেই তো যায়...। সুখ যায়...। দুঃখ যায়...। হারায় কতকিছু। আবার পাওয়া হয় নতুন কিছু। প্রাপ্তির কথা তেমনভাবে গেঁথে থাকে না মনে, যেমন ভাবে গেঁথে থাকে অপ্রাপ্তির বেদনা।