Archive - মে 6, 2015 - ব্লগ

নারীরে যখন কিলায় নারী

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: বুধ, ০৬/০৫/২০১৫ - ১০:৩৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বউ কি সেবা যত্ন করে?

আমার এক আত্মীয়া বিয়ের পরপরই ফোন দিয়ে আমাকে উৎকণ্ঠিত স্বরে জিজ্ঞেস করলেন, বউ কি সেবা যত্ন করে? আমি কাঁচুমাচু গলায় বললাম, বউ কি সেবা যত্ন করার জন্য? তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বললেন, নয়তো কি? আমার কত বয়স হয়েছে কিন্তু এখনও তোমার চাচাজিরে রান্না করে খাওয়াই প্রতিদিন। বউকে লাই দিবা তো বউ মাথায় উঠবে। তখন বাকি জীবন তোমার সেবা করে যেতে হবে। বিষয়টা নিয়ে ঠিকমতো চিন্তাভাবনা করার আগেই মনে হয় আমার বউ লাই পেয়ে মাথায় উঠে গেল। তাই একদিন সে চা বানালে পরদিন আমাকে বানাতে হয়। একদিন সে আমার সেবা করলে, আরেকদিন আমাকে তার সেবা করতে হয়। সে রান্না করলে, আমার বাসন কোসন ধোয়া থেকে থেকে শুরু করে কাটাকুটির সব কাজ করে স্যু শেফের দায়িত্ব পালন করতে হয়। সে মেইন কোর্স বানালে, ডেসার্টটা আমাকে বানাতে হয়। সে ঘর ঝাড়ু দিলে, আমাকে ঘর মুছতে হয়। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে উল্টাটা সত্যি হয় না। আমি রান্না করলে সে বাসন কোসন ধোয় না। আমি ঘর ঝাড়ু দিলে সে সোফায় শুয়ে ঠ্যাঙ নাচায়। আমি চা বানিয়ে এনে দিলে চোখ সরু করে বলে, চা দিলা বিস্কুট দিলানা এইডা কেমন ভদ্রতা? সে যাই হোক। কালে কালে বুঝতে পারলাম আত্মীয়ার কথামত প্রথম রাতে বিড়াল মারতে ব্যর্থ হবার কারণেই আমার এই করুণ পরিণতি।


আমরা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নই

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি
লিখেছেন সুলতানা সাদিয়া [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৬/০৫/২০১৫ - ৯:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
আমার মেয়েটা ফ্রকের ফিতে বাঁধতে পারে না, নিজে জামা পড়তেও পারে না। জামা পাল্টাবার সময় হলেই চিৎকার করে, ‘মা, জামা পাল্টে দাও।’ আমি ওকে বকতে বকতে বলি, ‘এত্ত বড় মেয়ে কিছুই পারে না! খালি এই করে দাও, ওই করে দাও।’ মেয়েও পাল্টা রাগ করে গলা উঁচু করে প্রতিউত্তর দেয়,‘ নিজেই বলে আমি বড় হই না, আবার নিজেই বলে আমি বড় হয়ে গেছি!’


সচলে অচলদের গল্প

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি
লিখেছেন প্রৌঢ় ভাবনা [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৬/০৫/২০১৫ - ৪:২৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অক্ষমের অপারগতার স্বীকারোক্তি:

এই লেখাটা ঠিক নারী সপ্তাহ কে উদ্দেশ করেই নয়। সচলে বাল্যবিবাহঃ বাবামায়েরা কি জানেন তারা কী করছেন? লেখাটি পড়ে মনে এলো, এই ধরণের ঘটনা যে সকল কিশোরীর জীবনে ঘটেছে অথচ যারা লিখতে-পড়তে জানেনা, এরকম কত-শত কিশোরী/বালিকার মনঃপীড়ার কথা আমরা কোনদিনই জানবোনা।

আমার দেখা/জানা এমনই এক কিশোরীর জীবনের কিছু কথা:


মানব পাচার, কিংবা যা কিছু বদলায় না কখনোই

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ০৬/০৫/২০১৫ - ৪:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রচন্ড গরম। হাতে নোটখাতা, প্রশ্নতালিকা অনবরত হাতড়াচ্ছি। সামনে উতসুক চেহারা নিয়ে বসে আট-দশজন মহিলা। অভিভাবকের ভঙ্গি নিয়ে বসে আছেন একজন পুরুষ, মহিলাদের কারো স্বামী হবেন। ইন্টার্ভিউ যদিও শুধুমাত্র মহিলাদেরই নেবার কথা ছিল, বেশিরভাগ উত্তর দেবার দায় স্বপ্রণোদিত হয়ে তিনিই নিচ্ছিলেন।


একটু দাঁড়াবেন, প্লিজ?

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ০৬/০৫/২০১৫ - ১:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম ঘটনাটা বেশ কয়েক বছর আগের। ২০০৮/৯ এর দিকে হবে। বাসে করে ক্লাসে যাচ্ছিলাম সকাল সকাল। পুরো বাস অফিসগামী মানুষ আর ক্লাসগামী ছাত্র দিয়ে বোঝাই। কোনমতে সামনের দিকে একটু জায়গা করে দাঁড়িয়ে খেয়াল করলাম মহিলা সিটে দুইজন ছেলে বসা। বাসে কোন মহিলা দাঁড়িয়ে নেই দেখে ভাবলাম থাকুক বসে। কেউ উঠলে নিশ্চয়ই সিট ছেড়ে দিবে।
ভুল ছিলাম আসলে।