Archive - জুন 2015 - ব্লগ

ট্রাফিক আইনঃ না মানলে যা ঘটে...

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ৩০/০৬/২০১৫ - ৬:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অফিসে যাওয়া আসার জন্য প্রতিদিন আমাকে কয়েক ঘণ্টার মতো রাস্তায় সময় কাটাতে হয়। মানে রাস্তা কিংবা ফুটপাথ দিয়ে হাঁটতে হয়, রাস্তা পার হতে হয়, ওভারব্রিজে উঠতে হয়, বাসে বসে থাকতে হয়। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে সবসময় চেষ্টা করি, যেখানে ওভারব্রিজ আছে সেখানে ব্রিজ দিয়েই রাস্তা পার হতে; ব্রিজ না থাকলে ট্র্যাফিক পুলিশ গাড়ী থামানোর পর রাস্তা পার হতে। আর রাস্তায় নেমে অসচেতন নাগরিকদের কারণে অনেক সময়ই দেখেছি ভয়ংকর ক


June 30th

বাংলাদেশে এলজিবিটি পরিস্থিতি ও পরিবর্তন সম্ভাবনা

হাসিব এর ছবি
লিখেছেন হাসিব (তারিখ: মঙ্গল, ৩০/০৬/২০১৫ - ৫:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মার্কিন দেশের সর্বোচ্চ আদালত সমকামিদের বিয়ে বৈধ ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়াতে এই বিষয়ে ঝড় বয়ে গেছে। মার্কিন দেশের রায়ে বাংলাদেশের আদার ব্যাপারিদের কার্যত লাভ না থাকলেও এসব ইস্যুতে আলোচনা হয় এবং সেই আলোচনায় নিজেদের চেহারাটা আয়নায় আরেকবার দেখে নেবার সুযোগ ঘটে। বলাবাহুল্য আয়নায় দেখা চেহারাটা সুখকর অন্য অনেক ক্ষেত্রের মতোই সুখকর অভিজ্ঞতা হয়ে দাঁড়ায় না।


প্রত্যেক গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিফলক চাই

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর (তারিখ: সোম, ২৯/০৬/২০১৫ - ৬:৫৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]ডাংগুলি হাতে যে কিশোরটি এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গ্রাম, সে হয়তো জানে না আজ থেকে ৪৪ বছর আগে এখানে তার মতোই আরেক কিশোর অস্ত্র হাতে মরনপণ লড়াই করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। যে নদী সে সাঁতরে পার হয়ে যাচ্ছে অনায়াসে, জানে না ৭১ সালে তার মতো এক কিশোর দু ইঞ্চি মর্টারের গোলা মেরে ডুবিয়ে দিয়েছিলো পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গানবোট, বুকে গুলি বিঁধলে ক্ষতস্থান গামছা দিয়ে পেঁচিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে গেছে। যে কি


June 29th

স্বর্গের নিচে

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: সোম, ২৯/০৬/২০১৫ - ৪:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[সচলায়তনে লেখালেখির শুরুর দিকে ‘পাণ্ডবের চীন দর্শন’ নামে কয়েক পর্বের একটা সিরিজ লিখেছিলাম। সেই সিরিজটা গণচীন ভ্রমণ বিষয়ক হলেও সেখানে কোন ছবি ছিল না। ভ্রমণের গল্পও বিশেষ কিছু ছিল না। কিছু পাঠক কয়েক বার ‘ছবি দেন’ বা ‘ছবি নাই ক্যান’ জাতীয় কথা বলে বিরক্ত হয়ে চুপ করে গিয়েছিলেন। সিরিজটা ছবি আর গল্পবিহীন কেন সেই কথা বলতে বলতে এক সময় আমিও চুপ করে যাওয়াটা শ্রেয় মনে করলাম। এরপর থেকে পারতপক্ষে আর কোন ভ্রমণ বিষয়ক লেখা দেবার অপচেষ্টা করিনি। এই লেখাটা ঐ চীন দর্শন সিরিজটার মতো ছবি আর গল্পবিহীন। আসলে বেশ কিছু দিন ধরে গুইলিনের কথা খুব মনে পড়ে মনটা ভার হয়ে আছে। এখানে মনের বোঝা নামালাম মাত্র। ব্যক্তিস্বার্থে করা এই অপকর্মের জন্য পাঠকের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।]


কৌতুকের সংবেদনশীলতা অথবা সংবেদনশীলের কৌতুক

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি
লিখেছেন ত্রিমাত্রিক কবি (তারিখ: সোম, ২৯/০৬/২০১৫ - ৩:৪২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রসিক বা সেন্স অফ হিউমার সম্পন্ন লোক, যাঁরা মানুষকে হাসাতে পারেন বা হাসার দারুণ সব উপলক্ষ বের করতে পারেন তাঁরা সাধারণত অনেকের কাছেই হালকা মানুষ হিসেবে বিবেচিত হন। কিন্তু আমি তাদেরকে খুব সংবেদনশীল মানুষ মনে করি। কৌতুক বা হিউমার খুব সূক্ষ্ম একটা ব্যাপার। সেই সূক্ষ্মতার দিকে নজর না দিলে হিউমার খুব সহজেই হিউমিলিয়েশানে পরিণত হয়। সংবেদনশীল মানুষের আলাদাভাবে সেই দিকে নজর দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। রসিক বা সেন্


শিক্ষা যখন শুধুই অলংকার

আনু-আল হক এর ছবি
লিখেছেন আনু-আল হক [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২৮/০৬/২০১৫ - ৭:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শিক্ষিত হতে হবে নাক উঁচু করার জন্য, মুখ রক্ষার জন্য, চাকুরি পাবার জন্য, আর ডিগ্রির বোঝার আড়ালে মিথ্যার বেসাতির সুবিধার জন্য।


June 28th

বাড়ি বদলের গল্প ১: দখলদারি

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: রবি, ২৮/০৬/২০১৫ - ১:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দরজা খুলতেই এক সোনালি বোলতা ফরফর করে এসে স্বাগত জানাল আমাদের- এসো এসো। এতদিন এইখানে একলাই ছিলাম। বেশি বড়ো ঘরে একলা বসবাস বড়োই বিষণ্ন বিষয়। এসো এসো। ছাদের কোনায় ছোট একটা আলাদা ঘর বানিয়ে আমি থাকি ছানাপোনা নিয়ে। তোমরা তো আর ছাদে থাকো না তাই ঠেলাঠেলিরও কোনো আশঙ্কা নাই দুই পরিবারে। এসো...


দাসপার্টির খোঁজে # খসড়া পর্ব-৪

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: রবি, ২৮/০৬/২০১৫ - ১:৪৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
দাসপার্টি নিয়ে কাজ শুরু করার প্রথম থেকেই একটা মানুষকে খুঁজছি।
দাসপার্টি সংক্রান্ত প্রকাশনা ও আলাপচারীতা থেকে জেনেছি- জগতজ্যোতি দাসের সবচেয়ে আস্থাভাজন ও ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধা ছিলেন আঠারো/ উনিশ বছরের এক তরুন। নাম তার ইলিয়াস চৌধুরী। জ্যোতির সাথেই যুদ্ধের প্রশিক্ষন নিয়েছেন এবং প্রতিটি যুদ্ধে তার সাথে ছিলেন। শেষ যুদ্ধে ও শেষ পর্যন্ত ইলিয়াসই ছিলেন একমাত্র তার সাথে। ইলিয়াস নিজে ও গুলীবিদ্ধ হয়েছিলেন বুকে কিন্তু জ্যোতিকে একা ফেলে যাননি। তার কমাণ্ডার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলে পর, বিলের পানিতে কমাণ্ডারের মৃত শরীর ডুবিয়ে গুলী করতে করতে পিছিয়ে এসেছিলেন- তখনো তার নিজের বুক থেকে ও রক্ত ঝরছে।
সালেহ চৌধুরী বলছিলেন- ১৬ নভেম্বর জ্যোতির মৃত্যুর পর ইলিয়াসরা যখন কুঁড়ি-বলনপুরের ক্যাম্পে ফিরে আসেন তখন তার বুকের ক্ষত দেখতে পান। বাম পাশে গুলী লেগে বের হয়ে গেছে আর এক ইঞ্চি দূরে হলেই হৃদপিন্ড ছেদ করতো। সালেহ চৌধুরী তাকে টেকেরঘাট পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, সেখানে তখন অস্থায়ী হাসপাতাল গড়ে উঠেছে। এ ছাড়া প্রয়োজনে শিলং ও পাঠানো যেতো।
কিন্তু ইলিয়াস যেতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চান, দাদার খুনের প্রতিশোধ নিতে চান। চিকিৎসার জন্য আর কোথাও না গিয়ে স্থানীয়ভাবে ব্যান্ডেজ করেই ইলিয়াস যোগ দেন দাসপার্টির পরবর্তী একশনে এবং দেশ স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত পরবর্তী একমাস যুদ্ধ করতে থাকেন।


ক্রিকেটে ভারত বধ এবং এলোমেলো কিছু প্রসঙ্গ

ঈয়াসীন এর ছবি
লিখেছেন ঈয়াসীন [অতিথি] (তারিখ: শনি, ২৭/০৬/২০১৫ - ৯:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলাদেশ ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম আন্তর্জাতিক একদিনের ম্যাচ খেলে ২৭ অক্টোবর, ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রামের মাঠে। ১৯৮৮, ক্রিকেট তখনও আমাদের দেশে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। তখনকার ক্রিকেটের উত্তেজনা মানেই ছিল বিদেশীদের খেলা নিয়ে উচ্ছ্বাস; বিশেষ করে ভারত আর পাকিস্তানের খেলা। যাইহোক ঐ সময়টায় খেলায় অংশগ্রহন করাটাই ছিল আমাদের জন্যে চরম সার্থকতা। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই অন্যান্যরা তাদের দ্বিতীয় সারির দলকে পাঠাতো আমাদের সঙ্গে খ


June 27th

বাংলার তরু লতা গুল্ম ৪৪ : পটপটি

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: শনি, ২৭/০৬/২০১৫ - ৫:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

DSC01852
কাঁচা ঝাল হিসেবে একটা জিনিসই ব্যবহার করতাম পটপটির ফল। যার ভালো নাম রুয়েলিয়া। রুয়েলিয়ার ফল নিয়ে ছিল বিরাট আগ্রহ। কাঁচা পাকা দুই রকম ফলেই আমাদের আগ্রহ। কাঁচা ফল দিয়ে বানাতাম কাঁচা মরিচ। তবে বলে রাখি, রুয়েলিয়র ফল কিন্তু মোটেও ঝাল নয়। তবু কল্পনার রঙে তাকে ঝাল বানাতে আপত্তি কোথায়!
রুয়েলিয়া বুনো গুল্ম, একেবারে দুষ্প্রাপ্য নয়। কিন্তু তবুও এর ফল সহজে পাওয়া যেত না। কারণ ওগুলো সাবাড় করার জন্য আমাদের মতো ছেলেমেয়ের অভাব ছিল না। ফল আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলেও ফুল নয়। ফুল দেখতে সাদামাটা। অবশ্য সেটা কিশোর চোখে। আজ চোখ বদলেছে। তাই রূপ বদলেছে রুয়েলিয়ার ফুলেরও। রীতিমতো মুগ্ধ করার মতো এক ফুল।