Archive - জুন 28, 2015 - ব্লগ

শিক্ষা যখন শুধুই অলংকার

আনু-আল হক এর ছবি
লিখেছেন আনু-আল হক [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২৮/০৬/২০১৫ - ৭:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শিক্ষিত হতে হবে নাক উঁচু করার জন্য, মুখ রক্ষার জন্য, চাকুরি পাবার জন্য, আর ডিগ্রির বোঝার আড়ালে মিথ্যার বেসাতির সুবিধার জন্য।


বাড়ি বদলের গল্প ১: দখলদারি

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: রবি, ২৮/০৬/২০১৫ - ১:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দরজা খুলতেই এক সোনালি বোলতা ফরফর করে এসে স্বাগত জানাল আমাদের- এসো এসো। এতদিন এইখানে একলাই ছিলাম। বেশি বড়ো ঘরে একলা বসবাস বড়োই বিষণ্ন বিষয়। এসো এসো। ছাদের কোনায় ছোট একটা আলাদা ঘর বানিয়ে আমি থাকি ছানাপোনা নিয়ে। তোমরা তো আর ছাদে থাকো না তাই ঠেলাঠেলিরও কোনো আশঙ্কা নাই দুই পরিবারে। এসো...


দাসপার্টির খোঁজে # খসড়া পর্ব-৪

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: রবি, ২৮/০৬/২০১৫ - ১:৪৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
দাসপার্টি নিয়ে কাজ শুরু করার প্রথম থেকেই একটা মানুষকে খুঁজছি।
দাসপার্টি সংক্রান্ত প্রকাশনা ও আলাপচারীতা থেকে জেনেছি- জগতজ্যোতি দাসের সবচেয়ে আস্থাভাজন ও ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধা ছিলেন আঠারো/ উনিশ বছরের এক তরুন। নাম তার ইলিয়াস চৌধুরী। জ্যোতির সাথেই যুদ্ধের প্রশিক্ষন নিয়েছেন এবং প্রতিটি যুদ্ধে তার সাথে ছিলেন। শেষ যুদ্ধে ও শেষ পর্যন্ত ইলিয়াসই ছিলেন একমাত্র তার সাথে। ইলিয়াস নিজে ও গুলীবিদ্ধ হয়েছিলেন বুকে কিন্তু জ্যোতিকে একা ফেলে যাননি। তার কমাণ্ডার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলে পর, বিলের পানিতে কমাণ্ডারের মৃত শরীর ডুবিয়ে গুলী করতে করতে পিছিয়ে এসেছিলেন- তখনো তার নিজের বুক থেকে ও রক্ত ঝরছে।
সালেহ চৌধুরী বলছিলেন- ১৬ নভেম্বর জ্যোতির মৃত্যুর পর ইলিয়াসরা যখন কুঁড়ি-বলনপুরের ক্যাম্পে ফিরে আসেন তখন তার বুকের ক্ষত দেখতে পান। বাম পাশে গুলী লেগে বের হয়ে গেছে আর এক ইঞ্চি দূরে হলেই হৃদপিন্ড ছেদ করতো। সালেহ চৌধুরী তাকে টেকেরঘাট পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, সেখানে তখন অস্থায়ী হাসপাতাল গড়ে উঠেছে। এ ছাড়া প্রয়োজনে শিলং ও পাঠানো যেতো।
কিন্তু ইলিয়াস যেতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চান, দাদার খুনের প্রতিশোধ নিতে চান। চিকিৎসার জন্য আর কোথাও না গিয়ে স্থানীয়ভাবে ব্যান্ডেজ করেই ইলিয়াস যোগ দেন দাসপার্টির পরবর্তী একশনে এবং দেশ স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত পরবর্তী একমাস যুদ্ধ করতে থাকেন।