বস্তুত পৃথিবীর সব প্রাচীন শাসকরাই ছিলেন নিষ্টুর, কসাই। অতীতে শাসকদের মধ্যে কে কত ধরনের নিষ্ঠুরতা দেখাতে পারে তার একটা প্রতিযোগীতা চলত। তবে তাদের মধ্যে সবচাইতে নিষ্ঠুর ছিল এই মোঙ্গল শাসক চেঙ্গিজ খান। কোন দেশ দখল করার পর তিনি পরাজিত সম্রাটের কাউকেই বাচিয়ে রাখতেন না। এমনকি শিশুদেরও। জ্যান্ত শিশুদের বুক চেরা দেখতে তিনি খুব ভালবাসতেন। আর ভালবাসতেন শিশুদের টকটকে কলিজা খাওয়াতে ত...
নিশিতে নিরজনে গোপনে উড়ো খাম আসে
ছায়া আসে মায়াজাল ভাসে
ঘরের বাতাসে
তুমি আসার আগেই সে আশা নিয়ে আসে
ফিরে গেলে মন্দিরা বাজে-
নিপাট ভদ্র
উপগ্রহরা কতোখানি প্রিয়
শব্দেরা
বাক্যহারা
বাকিরা চড়ে বসে
জলে-ঘাসে
ব্যস বারে পরিধির চারপাশে
অর্জুন মান্না
পোস্টার
আজ ২৯ মে, ২০০৯।
ঠিক এক মাস আগে ২৯ এপ্রিল তারিখে নজরুল ইসলামের পোষ্ট ডোমজীবন, সেই পোষ্টে দৃশার কমেন্ট এবং তার প্রেক্ষিতে মৃদুল আহমেদের জরুরী পোষ্ট- এভাবেই 'সচল উদ্যোগ' এর শুরু। হঠাৎ এবং হঠাৎ করেই...
মুক্তিযোদ্ধা এসএম খালেদের চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজন, অনেক টাকা। সচলায়তনের কোন কর্পোরেট শক্ত...
বাইরে এখন চমৎকার সামার, চাঁদিফাটা গরম পড়ে নি বলে উপভোগ্য সময়। এইরকমই একটা দিনে এই কবিতাটা লেখা হয়েছিলো, তখন অবশ্য শীতের মুলুকে থাকতাম, কাজেই সামার ব্যাপারটা আরো বেশি কাঙ্খিত ছিলো। ঘোর গরম শুরু হওয়ার আগেই তাই দিয়ে দিলাম এখানে, সাভানার আর্ট একদিন পরে হবে। মোটামুটি নিজের গল্প, অনুভূতি আর ছবি নিজেরই, তবে আশা করি গোটা ব্যাপারটা সার্বজনীনই হবে। যাঁরা কবিতার নিয়মিত পাঠক নন, তাঁদ...
আগেরটা খুবই ছোটো হওয়া বিধায় কম্পেনসেট করতে আরেকটা দিলাম। বিদেশের। গ্রীক উপকথা।
এখন একটু বেশী রাতে, এই সাড়ে দশ কি এগারোটায় বাইরে গিয়ে রাত আকাশের দিকে চেয়ে উত্তরের দিকে তাকালে দেখি সপ্তর্ষির জিজ্ঞাসা চিহ্ন ঢলে পড়েছে পশ্চিমে আর পুবের দিকে উঠে আসছে W এর মতন চেহারা নিয়ে ক্যাসিওপিয়া নক্ষত্রমন্ডল।
উপকথায় ইনি ছিলেন ইথিওপিয়ার রাণী, নীলোৎপলবর্ণা অপরূপা, রাজা সেফিউসের (সেফিউসের নাম ...
প্রাচীন ভারতীয় উপকথায় চন্দ্র আর সাতাশটি নক্ষত্র নিয়ে গল্প আছে। গল্পটা হলো এই: দক্ষের সাতাশজন কন্যার সঙ্গে চন্দ্রদেবের বিবাহ হলো। প্রজাপতি ব্রহ্মা স্বয়ং এই বিবাহ দিলেন আর চন্দ্রের কাছে প্রতিশ্রুতি আদায় করলেন যে সে প্রত্যেক স্ত্রীকেই সমান ভালোবাসবে, সমান সঙ্গ দেবে, সমান প্রীতি-উপহার ইত্যাদি দেবে। চন্দ্রদেব সম্মত হলেন। সম্মত না হয়ে করেন কি? আরে বুড়া দাদুর সামনে কিকরে বলেন আর অ ...
আমার সব ম্যাক্রো লেভেল দর্শনেই একটা না একটা ফাঁক রয়েই গেছে। একেবারে নিশ্ছিদ্র কোনটাই নেই। এটা তেমন অসুবিধার কিছু না, একদিক দিয়ে দেখলে 'কিপস লাইফ ইন্টারেস্টিং'। ধর্মচিন্তায় যেমন মনের সুখে সংশয়বাদী (বা এগনস্টিক) হয়ে বইসা ছিলাম, 'সায়েন্টিফিক মেথডে' আর 'রিজনে' এ্যাক্কেরে পূর্ন বিশ্বাস নিয়ে। হঠাৎ বাসায় আজগুবি কিছু ঘটনা ঘটলো (লেখাটা সচলের জন্যই দেয়া, কিন্তু স...
আসেন একটা গল্প বলি। আজ যেহেতু শুভ দিন তাই কঠিন কোন বাস্তবতার গল্পে তাইলে আজ আর না যাই। এই গল্পের নায়ক একজন দুখী বালক। গল্পের শুরু সেই এমন একটা সময়ে যখন সচলে চলছে নব্য প্রস্তর যুগ। ছাগু বিহীন এই সচলে তখন রমরমা অবস্থা। এইটা ঠিক সেই সময় যখন হিমু, ধূগো কিংবা দ্রোহী মেম্বার শালীর সন্ধানে যেকোন সিরিয়াস পোস্টও ছিনতাই করতে পারে, রেনেট কিংবা খেকশিয়াল দা যখনো অতিথি ঠিক সেই সময়, ঠিক সেই সময় এ...
ধর্মান্তরঃ একটি ফ্যাশন!
ওর নাম ছিলো আন্দ্রে, আন্দ্রে অমুক (পারিবারিক নামটা মনে নেই)। লম্বা ট্যাং ট্যাঙে ঢ্যাঙা ধরণের একটা পোলিশ অরিজিন ছেলে। তার সাথে ভালো করে পরিচিতি বেড়েছিলো ২০০৬ এর 'বিশ্বযুবদিবসে'-র সময়টাতে। সেসময় আমার ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করার কথা থাকলেও পরে আর করা হয়নি। কিন্ত আন্দ্রে করেছিলো।
গলায় লাল রঙের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ঝুলিয়ে আন্দ্রে ঘুরে বেরায় কোলন-বনের ব ...
ভূমিকাঃ
আমার একটা ডাইরী আছে যেখানে মরার আগে কি কি করে যেতে চাই তার একটা তালিকা বানানো আছে। ঐ খান থেকে ভালো কয়েকটা আপনাগোরে শুনাইঃ-
১। কয়েক লাখ গাছ লাগানো, যাতে মরার আগেই যে পরিমাণ অক্সিজেন বিনষ্ট করছি বাঁচার নামের তামাশায় তার কিছু হইলেও বদলা দিয়ে যেতে পারি
২। বুয়েনেস আইরেসে এস্তাদিও আলবার্তো জ়ে আর্মান্দোতে দিয়েগো মারাদোনার পাশে বসে বোকা জুনিয়রস...