আবঝাব-১
শিরোনামটা হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা জাতীয় কিছু দিতে ইচ্ছে হচ্ছিলো, কিন্তু পাবলিকের গণপিটুনির ভয়ে সেই পথ আর মাড়ালাম না। একবার এই দুঃসাহস করছিলাম বছর কয়েক আগে। অবস্থানগত কারণে একবার এমএসেএনের স্ট্যাটাসে দিছিলাম লাগায়ে। ব্যস শুরু হয়ে গেলো, জায়গা বেজায়গা থেকে টোকা, কেউ জিগায় 'কাহিনী কী!' কেউ জিজ্ঞেস করে 'ঘটনা কী!' কেউ শুধায় 'হৈ মিয়া বাঁশী বাজাও নাকি?' কেউ হাঁকায়, 'হালার পো কদম্ব...
জ্যোতিবসু এবারের নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি।
অসুস্থ ছিলেন এমনিতেই। ভোটের দিন ভোরে বাথরুমে হোঁচট খেয়ে অবস্থা আরো গুরুতর। স্বাধীনতার পর এই প্রথম নাকি জ্যোতিবাবু ভোট দিতে পারলেননা।
জ্যোতিবাবুর হোঁচটে বামেদের অন্ততঃ একটা ভোট কম পড়েছিলো। কিন্তু জ্যোতিবাবু'র সাথে কি পশ্চিমবংগের ভোটারদের একটা বড় অংশ ও হোঁচট খেলেন যারা বছরের পর বছর বাম সমর্থক ছিলেন...
এই সিনেমাটা নিয়ে অনেকদিন থেকেই লেখার ইচ্ছে ছিলো, কিন্তু হয়ে উঠছিলো না। সেই জন্যই আজ আবার দেখে ফেললাম সিনেমাটা। এতো বিভিন্ন লেভেলে টাচড হয়েছি যে সবার সাথে ভাগ না করে পারা যাচ্ছে না।
আমার নিজের ধারণা জীবনটা আসলে খুব জটিল গল্প নয়। ফেলিনি বার্গম্যান ত্রুফো মাথায় থাকুন, কিন্তু জীবন চিনতে ওঁদের ছাড়াও চলে। আবার এতো জলবৎ তরলম কিছুও নয় যে শাহরুখ খান মার্কা ফর্মুলায় আঁটানো যা...
সেন্ট মার্টিন দ্বীপে যখন আমরা পা রাখলাম, ঘড়ি জানান দিচ্ছিল দুপুর বারোটা পেরিয়ে গেছে। মাথার উপর সূর্যটা তখন অক্লান্তভাবে মৃদু আঁচের আগুন ঢালছিল, তবে তার সাথে পাল্লা দেয়ার জন্য ছিল থেকে থেকে ভেসে আসা বেশ জোরালো বাতাস। বেড়ানোর জন্য নিঃসন্দেহে চমৎকার আবহাওয়া। কপালে হালকা ঘামের আভাস পেলেও তেমন একটা গরম অনুভব করছিলাম না, তবে পুলওভার পরে থাকারও কোন কারণ ছিল না। খুলে সেটা হাতে ন...
একসময় আমাদের বাড়ির একঘেয়ে টানাবারান্দা পেড়িয়ে কলপাড়ের ওপারে
বাড়ি ও বাহিরের মধ্যে একটা দেয়াল ছিল।
ইট-সুড়কির উঁচু দেয়াল, দিনের বেলা কোথায়ো হয়ত পলেস্তারা খসা
আর বৃদ্ধের আপাতঅর্থহীন জীবন নিয়ে শ্যাওলার সম্বল হয়ে থাকা প্রাচীর,
নিশুতি রাতে বাইরের শেয়ালেরা এসে গা ঘষতো সেই প্রাচীরে
কালোবিড়ালের রক্তমাখা সন্ধ্যার আকাশে উড়ে যাওয়া বাদুরের পাখায় ভর করা ভয়ে
পেলা দেয়া ব্রীজের মত লটকে ...
যে-রাখাল নিরস্ত্র তার ঘুমিয়ে থাকার সময়
পাহারা দেবে না কেউ;
পাড়া-বেপাড়ার শত্রু-মিত্র সব
তার খোলা গলায়
ছুরি শানাবে
ঘুমন্ত রাখাল
অবলীলায় ঘুমিয়েই যাবে
আমরণ;
ঘুমের ভেতর মরতেছে বলে রাখালের
আহা চেনাই হবে না শেষবেলায়
কে ছিলো মিত্র কে শত্রু।
খোলা মাঠ পেয়ে গেলে,
ঘুমিয়ে থাকো-
নিরস্ত্র রাখালের মতো॥
রং, মেঘ আর আলোর খেলা-২
রং, মেঘ আর আলোর খেলা-১
ছবি-১,২।
আগষ্ট ৩, ২০০৭। ময়মনসিংহের রসুলপুরে বাড়ী। ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল কিংবা ময়মনসিংহ দুদিক হয়েই যাওয়া যায়, সমান দূরত্ব, ১৬০কিমি। খুব কমই বাড়ী যাওয়া হয়, হয়তঃ মাসে একবার, এখন রাস্তা সুন্দর গাড়ী চালাতে আরাম, তবে বৃষ্টি শুরু হলে প্রতিবছর রাস্তা খারাপ হয়, বাড়ী যেতে অনেক সময় লাগে। সেদিন ছোট ভাই সহ ফিরছি। ময়মনসিংহ শহর ছেড়ে আসার সাথে সাথে ডানে ...
এই রাত, তার নগ্নতা। রতি ও শীৎকারে ভরপুর শহর,
এই শহরে আমি ভালো থাকি না।
তাহারা দয়ার্দ্র হয় না। মানবিক বেহিসাব নাই তাহাদের।
লীলাবতীরা নগ্ন রাতের মতোই।
যেন বা আমি খুব বেশি দাবী করি। যেন বা আমি
আশ্রয় খুজি রোজ রোজ, তারা পাত্তা দেয় না।
তারা বেজায় সাবধানী...
২.
একটা নদী আছে, জলে ধারণ করে নীলাকাশ।
আমি বেদনায় নীল মানুষ এক। নারী তুমি কি নদী হবে?
এইসব নীল বেদনা ও ব্যাকুলতায় আমার কেন তোমাকে...
মাজিদ মুনওয়ার ঘুম থেকে উঠলেন সকাল সাড়ে ছয়টায়। গরমের দিন । বেশ সকালই হয়েছে। তার মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল। ফজরের নামাজটা কাজা হয়ে গেছে এটা না যত বড় কারন তার চেয়ে বড় হল কারন আজকের বয়ানের পয়েন্টগুলো ভোরে লেখা হল না এটা। মফস্বল শহরে একটা মাহফিলে সন্ধ্যার পর বয়ান দেওয়ার কথা তার। মফস্বলের মাহফিল। স্বাভাবিকভাবে অনেক লোকজনই হবে। তার বয়ানটাও তাই ভাল হওয়া দরকার। এই বয়ানে কি কি বিষয় নিয়ে বলবে...
এবার ঢাকা এয়ারপোর্টে নেমেই টের পেলাম, পত্রিকায় লেখা 'গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত' শিরোনামটি মিথ্যে নয়। এ সময় এমন গরম পড়বে সেটা আগেই জানতাম। বাসায়ও বিদ্যুৎ নেই, ঘামে জবজব হয়ে বসে থাকি প্রথম দিন...
তবুও আমার প্রিয় শহর ঢাকা, কী এসে যায় গরমে?
জেট ল্যাগের জটিলতা কাটাতে না কাটাতে কাক্কুর ফোন।
'ভাতিজা, এইবারও দেখা না করে যাবা?'
আমি জবাবে বলি, ‘এই তো কাক্কু- কালকেই মধ্যেই আসবো, আপনি কি এখনো নয়া পল্...