[justify]“গঙ্গারামকে পাত্র পেলে? জানতে চাও সে কেমন ছেলে?”-স্কুলের অ্যানুয়াল ফাংশনে লাল সাদা চেকের সেই ফ্রকটা পরে ঝুটি নেড়ে নেড়ে আবৃত্তি। ফ্রকটার কথা মনে আছে তোলা ছবি দেখে। এরপর বাসায় কেউ আসলেই বাবা বলতো- ঐ ছড়াটা বলে দাওতো, মা- “মন্দ নয় সে পাত্র ভাল, রঙ যদিও বেজায় কাল”- আদিবা বলতে চায় কী না চায় তা না শুনেই দাঁড় করিয়ে দিত টেবিলের ওপর। এখন যেমন যেতে চায় কী না চায় তা না শুনেই শুক্রবার বিকাল চার...
কুয়ালামপুরে বসে লিখছি। আমার এখনও বিশ্বাসই হচ্ছে না যে আমি সত্যি সত্যি দেশে যাচ্ছি!
এরকম হয়, যে ব্যাপারগুলো নিয়ে সবচেয়ে বেশি উতসাহ, আগ্রহ, প্রত্যাশা, অপেক্ষা বা এমন যেকোন ভালো লাগা বা কষ্টের অতি মানবীয় আবেগ জড়িয়ে থাকে, সেই ব্যাপারগুলো চোখের সামনে চলে এলে আমি ঠিক বিশ্বাস করে উঠতে পারি না। এয়ারপোর্টে তারুকে ফেলে যখন ইমিগ্রেশান পার হচ্ছিলাম, তখন আবার এটাও বিশ্বাস হচ্ছিলো না যে আমি ...
উৎপলকুমার বসু, জীবনানন্দ পরবর্তী মধ্য পঞ্চাশের কবি। হঠাৎ মজা করে লিখতে শুরু করা এই কবি এখন কবিদেরো কবি। নিজের একটা পাণ্ডুলিপি পুন:পাঠ করতে করতে মনে হলো, নতুনতো কিছুই এখানে নেই। আসলেই নেই। তবে আর কেন, এইসব পুনরাবৃত্তির প্রকাশ। তারচেয়ে উৎপলকুমার বসু থেকে কয়েকছত্র পাঠ করা যাক। এই কবি দুই বছর আগে নিজ দেশে পরদেশের নাগরিক হয়ে বেড়াতে এসেছিলেন।
সলমা-জরির কাজ
৭.
বন্ধু, তোমার হাতের উপর ...
৬৮.
ঘুম ভুলেছিলাম নিঝুম নিশিথে জেগে থেকে। তারপর জুলহাসের ডাকে চোখ খুল্লাম। খুলে দেখি লুসনিটা পন্ত জায়গামতো ঝুলছে। শুধু জুলহাসকে আর পাওয়া গেলো না। কিঞ্চিৎ জুলহাসপনা দেখা গেলো সহাস্য পলাতক পেলিক্যানের ঠোঁটে ...
৬৯.
এইসব বলে কোন লাভ নাই। ঠিক কোনসব বলে লাভ আছে সেটা আপাতত অস্পষ্ট হলেও একদিন্নাএকদিন স্পষ্ট হবে এরকম হরিহর মজমার চৌষট্টি ঘাটে একশত আঠাইশ বাড়ি স্পষ্টত: কোন কোন হাড়ি ফা...
এখানে আগের পর্ব
৬
কয়েকদিন কেটে গেছে, সত্যক আর রুবেন সারাদিন একসঙ্গে কাজ করে। কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেলে সত্যক নিজেই একসময় বলে," আর তো পারা যায় না, চলো চা আর ঝালমুড়ি খেয়ে আসি৷"
সন্ধ্যার চা-ঝালমুড়ির আড্ডা বেশ ভালো লাগে মনে হয় দুজনেরই, কোনো কোনোদিন এর সঙ্গে থাকে বড়ো বড়ো সিঙারা৷ কোনোদিন চায়ের সঙ্গে ঝালমুড়ি থাকে না, থাকে কচুরি আলুরদম৷ সত্যকের শেফ-র...
জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে ১৯৭১ সালের ৭ই ডিসেম্বরে একটি প্রস্তাবনাকে সামনে রেখে এক বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। প্রস্তাবনার বিষয়বস্তু: যুদ্ধবিরতি ও সেনা প্রত্যাহার। পাকি বাহিনী যখন মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সৈন্যদের কাছে পরাজয়ের মুখোমুখি, এমনি এক পরিস্থিতিতে এই বাস্তববিবর্জিত প্রস্তাবটি পেশ করা হয়। এটি পেশ করা হয় এমনি এক পক্ষ থেকে, যারা পাকিস্তানের অখন্ডত...
বিক্রি দিয়ে আসি তিন পাটি ঘুম: অবনী বাড়ি আছো?
==================================
মাঝরাত্রে ঘুম ভাঙলে আর সুখ লাগে না। মেঘ দেখা যায় না যে মেঘ খাবো! তারাগুলো ভীষণ নারীবাদি, কেবল নিজেদের মেলে ধরে। ওরা কি মেঘবালকের মাঠে যাবে না?
অনেকগুলো মেষ আছে, অনেকগুলো গাভী। ঘাসের, শিশিরের ওম নিয়ে তারা লাইনে দাঁড়ায়। খামারী লোকগুলো দুধ দুয়ে নেয়। দুধের রঙ মেঘসাদা।
হুঁশ, হুশ।
'একটু-ও যাবো না।'
'না গেলে সরে দাঁড়া।'
রাত কী আজ ...
ঢাকায় কদিন ধরে ভালোই শীত পরেছে। গায়ে চাদর জড়িয়ে কোনো টং দোকানের চা বা রাস্তার পাশের গরম গরম ভাপা পিঠার সাথে আড্ডাগুলোও জমে বেশ। আর মাশ্রুমাড্ডার বিখ্যাত মাশ্রুম তো আছেই। ইদানিং সন্ধ্যা গুলো কাটছে ভালোই এখানে-সেখানে আড্ডায়।
সেদিন গেলাম ছবির হাটে। আড্ডায় অনেকদিন পর ইশতির সাথে দেখা। ইশতি অনেকটা আমার ছোট ভাইয়ের মতই। পড়ে বুয়েটে, আর্কিটেকচারে। দারুণ ফটোগ্রাফি করে আর খুব ঘুরে বেড়...
বেশ কয়েক মাস হয়ে গেল জাকার্তা শহরে। ইন্দোনেশিয়াকে একটু একটু করে ভাল লাগতে শুরু করেছে। কারণ দেশটির মূল সৌন্দর্য রাজধানীর বাইরে এবং ইতিমধ্যে জাকার্তার আশে পাশে বেশ কয়েকটি সুন্দর জায়গায় যাওয়া হয়েছে। সেইসব সম্পর্কে লেখা ও ছবি পরবর্তী পর্বের জন্যে তোলা রইল। আজ আরেকটি বিষয় নিয়ে লিখছি।
আগেই বলেছিলাম যে জাকার্তার সাথে বাংলাদেশের অনেক মিল। তবে ইন্দোনেশিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা বাংল...
[প্রথম পাতায় এখনো আমার একটা পোস্ট বেয়াড়ার মত উঁকিঝুকি দিচ্ছে। মডুভাইএরা ইচ্ছে করলে সেটা সরিয়ে দিতে পারেন]
হোমওয়ার্ক জিনিসটা আমার খুব অপছন্দ। পিচ্চিকালে হোমওয়ার্ক দেখলেই পেটব্যথা শুরু হয়ে যেতো, আর করার সময় মাথায় নানারকম উচ্চমার্গীয় চিন্তাভাবনা খেলা করতো। এখন এই বুড়োবয়সে এসেও পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন হয় নি। রাগীব ভাই একগাদা হোমওয়ার্ক দিয়ে বসে আছেন- সেগুলো নিয়ে গুতোগু...