ব্লগ

আশুলিয় আগুন। একজন সচেতন ব্যক্তির সাক্ষাতকার।

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২৭/১১/২০১২ - ৯:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সাভারের আশুলিয়ায় আগুনের ঘটনা শুনেছেন?

-কী বলেন আপনি! শুনবোনা কেন? আমি ভাই সচেতন মানুষ। দেশ দুনিয়ার খবরাখবর রাখার চেষ্টা করি সবসময় । আহ! কী হৃদয় বিদারক ঘটনা। আমি কিছুতেই মানতে পারিনা এটা নিছ্ক দুর্ঘটনা । এটা শ্রেফ হত্যাকন্ড। কোনো সভ্য মানুষের পক্ষে এটা সহ্যকরা সম্ভবনা।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আপনি কী কী করেছেন?


বারবিকিউ

মূর্তালা রামাত এর ছবি
লিখেছেন মূর্তালা রামাত (তারিখ: মঙ্গল, ২৭/১১/২০১২ - ১২:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(এই গল্পের প্রতিটি চরিত্র কাল্পনিক, জীবিত বা মৃত কারো সাথে চরিত্রগুলোর মিল খুঁজে পেলে তা নেহাতই কাকতালীয় ব্যাপার)

মাঝরাতে ফোনটা এলো। থাই সুন্দরীর মোম গলে পড়া স্তনের মাখন থেকে মাথা তুলে কলটা রিসিভ করলেন মাহমুদ হাসান। মুখের একটা পেশিও না নড়িয়ে ওপাশের বক্তব্য নিরবে মনোযোগ দিয়ে শুনলেন। তারপর ঠিক আছে, আমি দেখছি বলে ফোনটা রেখে একটা সিগারেট ধরালেন।


গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রিতে আগুন, মৃত্যু।।

নৈষাদ এর ছবি
লিখেছেন নৈষাদ (তারিখ: মঙ্গল, ২৭/১১/২০১২ - ১২:১৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যুক্তরাষ্ট্রের লুসিয়ানা অঙ্গরাজ্যের উপকুলে (গালফ অভ মেক্সিকো) ডিপওয়াটার হরাইজন নামের অফশোর ওয়েল-রিগে বিস্ফোরণ হয় ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে। বিস্ফোরণে মারা যায় ১১ জন, তেল নিঃসরণে দেখা দেয় মারত্মক পরিবেশ বিপর্যয়। অপারেটর হিসাবে সেখানে তখন কাজ করছিল যুক্তরাজ্যের তেল কোম্পানি ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম (বিপি)। কিছুদিন আগে ইউএস জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট বিপিকে ৪.৫ বিলিয়ন ডলার জরিমানা করে - ফৌজদারি অপরাধে (criminal offense) - যার সাথে ১১ জনের ‘হত্যার’ সম্পর্ক আছে। খেয়াল করুন, ফৌজদারি অপরাধে - পরিবেশ সম্পর্কিত অন্যান্য দেওয়ানি মামলা (civil proceedings) এখনও চলছে।


খোয়াবনামা

আশালতা এর ছবি
লিখেছেন আশালতা (তারিখ: সোম, ২৬/১১/২০১২ - ১২:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ব্যাচেলরদের ঘরগুলো কেন যেন একই রকম হয়। হাজার গোছানো থাকলেও কেমন একটা ছেলে ছেলে গন্ধওলা লক্ষ্মীহীন হাবভাব ছড়ানো থাকে। সেরকম একটা ঘরে বসে থাকতে থাকতে খেয়াল করে দেখলাম আমার বয়েসখানা যেন অনেকটা কমে গেছে। কিশোরী কিশোরী চেহারায় লাল চেলি পড়ে সেজেগুজে লজ্জা লজ্জা মুখ করে বসে আছি সে বাড়ির বাড়িউলির সামনে। ইনফরমেশন আছে মহিলা ভয়ানক দজ্জাল, কথাবার্তা সাবধানে বলতে হবে।


গার্মেন্টস শিল্পে শ্রমিক নিরাপত্তাঃ একটি সমন্বয় সমস্যা (Coordination Problem)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ২৬/১১/২০১২ - ৬:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে এত বড় দুর্ঘটনাটা আর সবার মত নাড়িয়ে দিয়ে গেছে আমাকেও। মনে হচ্ছে এত দূর থেকে হাহুতাশ করা ছাড়া কিছুই মনে হয় করার নাই। কিন্তু আমরা হতাশ হয়ে, শোক দিবস পালন করে, গার্মেন্টস মালিক কিংবা পোষাক ক্রেতাদের গালি দিয়ে একজন শ্রমিককেও যেমন ফিরিয়ে আনতে পারব না, ভবিষ্যত মৃত্যুর মিছিল ঠেকাতেও কিছু করতে পারব বলে মনে হয় না। বরং কিছুদিন পর আমরা সবই ভুলে যাব, আবার আগুন লাগবে কো


চমৎকার! মারা যাক দু-একটা ইঁদুর এবার!!

পথিক পরাণ এর ছবি
লিখেছেন পথিক পরাণ [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২৬/১১/২০১২ - ৪:৩৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]মনোসন্তোষপুর নামটি অতি মনোরম। নিশ্চিন্তপুরের মনোসন্তোষপুরে আমরা সবাই অতি নিশ্চিন্তে মনে সন্তোষ নিয়েই ছিলাম। সকাল বিকাল নিশ্চিন্তপুরের রাস্তায় ছোট ছোট ময়লা পায়ে পুরনো ছেড়া স্যান্ডেলের ঘর্ষণে মৃদু ধুলোময় পথে রেহানারা ছুটে চলে। আমরা আমাদের পোর্শে সিডানের চৌকশ চালকের পেছনের সীটে আয়েশে হেলান দিয়ে গাড়ির কালো মোটা কাঁচের ওপার থেকে পথ চলার নিয়ম না জানা ওদের ভীরু পায়ে এগিয়ে চলা দেখি। ওদের আমরাই জী


এক বিশাআআআআআআল সচল সমাবেশ......এডমন্টনে

গৃহবাসী বাউল এর ছবি
লিখেছেন গৃহবাসী বাউল [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২৫/১১/২০১২ - ১০:৩৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সে এক বিরাট ইতিহাস। একদিন সচল জাহিদ মিয়ার ঘরে ছিলনা কেরসি। তার বউ খুন্তি হাতে নিয়া কইল, “"ও গেদার বাপ, ঘরে তো কেরসি নাই"”। জাহিদ মিয়া কেরসি ছাড়াই রাইগা আগুন হইয়া কইল, “"কি কইলা? গেল মাসে আধা ছটাক কেরসি আনলাম, আর তুমি আইজই কও যে কেরসি নাই?


ইন্ডাস্ট্রি

স্পর্শ এর ছবি
লিখেছেন স্পর্শ (তারিখ: রবি, ২৫/১১/২০১২ - ৭:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

না না, আপনারা বিচলিত হবেন না। আপনারা বসুন। আপনারা শান্ত হোন। আপনাদের কাপড়ের দাম বেড়ে যাবে না। শুধু লাল রংগুলো খানিকটা ক্রিমসন হয়ে যেতে পারে কিছু দিন। পুড়লে যা হয় আরকি। ওসব আমরা সামলে নেব ঠিক। ক’টাই তো মোটে মানুষ মরেছে। এখনো অ-নেক উদ্ধৃত আছে।


ভেঙ্গে পড়া বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের নীচে থেতলানো লাশ: মৃত্যুও কি আমাদের টনক নড়াতে পারবে?

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: রবি, ২৫/১১/২০১২ - ৮:৫২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"মানুষটা তখনো বেঁচে ছিল। বুক আর মাথা বাদে বাকী অংশ ফ্লাইওভারের ভেঙ্গে পড়া ১০০ টনের গার্ডারের নীচে থেতলে গেছে। মানুষটার উর্ধাঙ্গ তীব্র চিৎকার করছে বাঁচার আকুতিতে। শত শত মানুষ অসহায় তাকিয়ে আছে চোখে জল নিয়ে। টান দিয়ে বের করার ব্যর্থ চেষ্টা করছে। কিন্তু এত বড় গার্ডার সরাবার মতো শক্তিমান যন্ত্র এখানে নেই। কেটে বের করার মতো দুঃসাহস কারো নেই। অনেক চোখের সামনেই নিথর হয়ে গিয়েছিল হয়তো দেহটা। আরো অনেক মানুষে