লেটার ফ্রম এ ডটার/ *তিথীডোর

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২০/১১/২০০৯ - ১১:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাবা, তোমাকে নিয়ে লিখবো প্রায়ই ভাবি... কলমে কিংবা কিবোর্ডে, ভেবে পাইনা কি করে শব্দগুলো সাজিয়ে নেওয়া যায়! জানি, "অন্ধকারে সিগারেট" অথবা "আব্বুকে মনে পড়ে"-- অমন মায়াজাগানিয়া পোস্ট লেখা আমার সাধ্যের বাইরে, কিন্তু হিজিবিজি হলেও কিছু লিখতে ভীষণ মন চাইছে যে.... মেয়েরা নাকি বাপঘেঁষা হয়, আমিও হয়তো হতাম-- সবাই তো বলে আমাদের মুখের আদল এক, স্বভাবেও হয়েছি অনেকখানি একই... তবু পুরোপুরি তোমার মেয়ে হয়ে উঠিনি কেন বাবা? "আয় খুকু আয়.." ; এমন মনভেজা মুহুর্ত কেন কড়ে আঙ্গুলে গোনা?? মনে আছে; ছোট্টটি খাকতে একদিন চাচ্চুর নুতন আপিসে নিয়ে গিয়েছিলে... এয়ারপোর্টের হাজারো মানুষের ভীড়ে শক্ত করে আমি তোমার ডানহাতটা আঁকড়ে ধরে ছিলাম হারিয়ে যাবার ভয়ে, ট্যুর থেকে ফেরার পথে ভীষণ কিউট একটা গোলাপী টিউনিক এনেছিলে... ওই জামাটা পরনে একটা ছবি এ্যলবামেও এখনো আছে বোধহয়| এরপর আস্তে আস্তে আমাদের দূরে সরে যাওয়া শুরু... জানি, আমি রাতুলের মত অমন লক্ষীসোনা ছিলাম না, ছিলাম জেদী.. দারুণ একগুঁয়ে, কোন শাসন মানতে চাইতাম না, পছন্দ নাহলে খুব ভালো টিউটরের কাছেও যেতে চাইতাম না আর তোমার আর মায়ের কাছ থেকে চাইতাম অনেক অনেক বেশী মনোযোগ! অফিস থেকে ফিরে তোমরা টায়ার্ড থাকতে, প্রশ্ন করতে না আমার সারাদিনটা কি করে কেটেছে.. বরং ড্রয়িং খাতায় আঁকিবুকি কাটতে দেখলেই তুমি রেগে যেতে! তোমার পৃথিবী জুড়ে তখন কেবল রাতুল আর রাতুল!! টেস্টে কম মার্কস পাওয়ায় আমাকে ঠাস করে চড় কষালে অথচ ওকে কিচ্ছুটি বললে না... ওই রাত থেকে বাপসোহাগী মেয়েটা নিজেকে গুটিয়ে নিলো, দিনরাত পড়তাম... গভীররাতে, মা টেবিলের ওপর আলতো করে হরলিক্সের মগটা রাখলে চমকে উঠতাম...নাহ, তুমি কখনো এসে কপাল ছুঁয়ে বলোনি-- অনেকরাত হয়েছে মামনি, শুয়ে পড়! অনেকটা তোমার ওপর জেদ থেকেই আমার দেশের বাইরে আসা.. এতো পড়া আর কাজের চাপ, দম নেয়ার ফুসরত পাই না! শুধু রাতবিরেতে একা ঘরে হাহাকার করে উঠি... গত কমাসে তুমি একবারও ফোন করে আমার খোঁজ নাওনি!! বাবাগো, আমি অবাধ্য ছিলাম... কিন্তু ছিলাম তোমারই মেয়ে| অমন শাসনের স্বরে দূরে ঠেলে না দিয়ে যদি এট্টুশখানি আদর দিয়ে কাছে রাখতে তবে, আজ...এভাবে তোমায় লিখতে হতো না! আমার মেয়েকে যেন কক্ষনো এমন চিঠি লিখতে না হয়..... ভালবাসা নিও--- তোমার হারিয়ে যাওয়া মামনি, "রিদিতা"


মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

লেখা ভাল্লাগছে। চলুক

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অতিথি লেখক এর ছবি

বিনম্র ধন্যবাদ মুর্শেদ ভাই!!!

রেশনুভা এর ছবি

"লেটার র্ফম এ ডটার"- র্ফম টা ফ্রম হবে বোধকরি।
প্যারা করেন বস। প্যারার মাঝে একটা ফাঁকা লাইন রাখেন। তাহলে সুন্দর পোস্টটা আরো সুন্দর লাগতো। আমার ভালো লেগেছে।
আর, আমি জানতাম আনিসুল হকের "হৃদিতা"; আজ দেখলাম আমাদের তিথীর "রিদিতা"। হাসি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

লেখাটা অনেকটা ঢাকার শীতের মতো জেঁকে বসার আগেই শেষ হয়ে গেল। আর লেখিকা একটু অস্থির টাইপের বোধহয়...মনেহয় লেখার পরে আরেকবার পড়ে দেখেনি... হাসি
ভাল্লাগলো....তবে....পরের লেখাটি আরো বড় করে লিখুন...আরেকটু সংসারী হয়ে.... হাসি খাইছে
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অতিথি লেখক এর ছবি

রেজওয়ান ভাই--পোটলা পুরে ধনেপাতা নেন, নেক্সট আবার লেখালেখির ভূত মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে খসড়া কপি আপনার হাতে ধরিয়ে দেবো...তবে "রিদিতা" বানানটা তিথী ইচ্ছে করেই এভাবে ব্যবহার করেছেন!

অতিথি লেখক এর ছবি

অনার্য্য : হুড়োহুড়ি, তিড়িং বিড়িং, ছটফটে--ভাইরে, আমার অভিধানে কেবলই এসব শব্দের ছড়াছড়ি... কি যে করি !! মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ !

ওডিন এর ছবি

বুদ্ধিশুদ্ধি হবার পরে যা দেখছি- বাবা আমার খোঁজখবর কমই রেখেছেন। সবসময় বাইরে বাইরে থাকতেন। পড়ালেখাও শুরু মা'র কাছে। কখনো বাবা মনে হয় আমাকে আদর করেন নি, আমিও যে খুব আদর্শ ছেলে তাও না- সবসময়ই তার সাথে ঘাড় উঁচিয়ে নানারকম ব্যপার নিয়ে তর্ক করেছি। যেমন একটু আগেও কিন্তু একদফা হয়ে গেছে।

একরকমের চকলেট আছে জানেন তো- বাইরে শক্ত খোলস, অনেকসময়ই তেতো ডার্ক চকলেটের, কিন্তু ভেতরে থাকে ক্যারামেল বা ক্রীম বা আরো স্বর্গীয় কিছুর ফিলিং?

যান, বাবাকে ফোন করেন। হাসি

---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা। চিন্তিত

অতিথি লেখক এর ছবি

হাঃহাঃহাঃ...আমিও কিন্তু দারুণ তর্কবাজ , চড়া গলায় যখন তখন চেঁচাই !! ওডিন, আপনার লেখা " ফেরা " ছিলো সচলে আমার প্রথম পঠিত পোষ্ট ,পুরো দুদিন ওটা আমার মাথায় ঘুরেছে...অনেক অনেক ধন্যবাদ!

অতিথি লেখক এর ছবি

দুপাশেই কি শুধু অভিমানের চাঁই জমছে,তাহলে ভাঙবে কে??

স্বপ্নদ্রোহ

অতিথি লেখক এর ছবি

মনে ভাবি, একদিন টুপ করে গলে যাবে নিজ থেকেই... অসংখ্য ধন্যবাদ স্বপ্নদ্রোহ!

অতিথি লেখক এর ছবি

মনে ভাবি, একদিন টুপ করে গলে যাবে নিজ থেকেই... অসংখ্য ধন্যবাদ স্বপ্নদ্রোহ!

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো কিন্তু লেখাটা আর ও বড়ো হলে ভাল হত।*্নক্ষত্র

অতিথি লেখক এর ছবি

যাক, "অতিথি লেখক" রুপে পরাণের সখীর প্রথম মন্তব্য পাওয়া গেলো...হাঃহাঃহাঃ,, শুকরিয়া !!

সাইফ তাহসিন এর ছবি

সবাইতো দেখি আজকে ডটাডটি করে ছেড়াবেড়া করে ফেলতেছে হো হো হো হো হো হো

কিছু লেখা আছে, যেটা ছোট হলেও কোন অভিযোগ থাকে না, এই লেখাটা তেমন, তবে প্যারা হলে ভালো হত। 'গোলাপী টিউনিকে' প্রথম প্যারা, আর 'খোঁজ নাওনি' তে ২য় প্যারা শেষ হলে চোখে আরাম হত অনেক। মান অভিমানে ভরা লেখাটা খুব ছুঁয়ে গেল। তবে নিজের বাবা-মার উপরে অভিমান করে যদি বসে থাকো, তাহলে পরে নিজেই পস্তাবে, কাজেই প্রতিটা সুযোগ কাজে লাগাও। ভালোবাসা আদায় করে নাও।

বিদেশে এসে বুঝতে শিখেছি "দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা নেই" এর মানে। সেভাবে আর কেউ শিখুক, তা আমি আরেকজনের জন্যে চাই না।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতিথি লেখক এর ছবি

আহ্ ,থ্যাংকু থ্যাংকু সাইফ ভাইয়া ! এইবেলা বলে নি ,যা জাস্টিফাই করার দরকার ছিলো প্রথমেই... আমি দেশেই আছি এবং হোটেল ডি পাপাতেই !! শেষ অংশটি একেবারেই ফ্যান্টাসি... সত্যি সত্যি যখন দেশ ছেড়ে যাবো , তখন কেমন শিক্ষে হবে ওটা ভেবে লেখা...

অতিথি লেখক এর ছবি

শিরোনামের ভয়াবহ বানানটি মডুরা দয়া করিয়া শুধরাইয়া দিবেন কি?? কৃপাপ্রার্থী *তিথীডোর

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

লেখাটা খুব ভালো লাগল। বিষয়বস্তুর কারণেও, লেখনীর কারণেও। তবে ফরম্যাটিং এবং বানান নিয়ে আরও যত্নবান হোন। নিয়মিত লিখুন। বেশি করে লিখুন। হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ধনেপাতা >লেটুসপাতা > আমপাতা --সব দিয়ে দিলাম অপ্র ভাইজান... " বানান আর ফরম্যাটিং " ত্রুটি নিয়ে বড়ই দুঃখে আছি, দোয়া করবেন !

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

সব পাতাই সানন্দে গ্রহণ করলাম। লেগে থাকুন, ঠিক হয়ে যাবে দেখবেন। হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

মন ছুঁয়ে যাওয়া লেখা। তবে ... এর ব্যাবহারটা কমাবেন।

স্পার্টাকাস

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ স্পার্টাকাস! চেষ্টা থাকবে

অতিথি লেখক এর ছবি

নাহ্ , ভারি মুশকিল ! নিক টা বদলে "ডটিডোর" করে নেবো নাকি...অনেক ধন্যবাদ রাহিন ভাই, মন্তব্যের জন্যে!

রাহিন হায়দার এর ছবি

টেস্টে কম মার্কস পাওয়ায় আমাকে ঠাস করে চড় কষালে অথচ ওকে কিচ্ছুটি বললে না

আপনার ওপর আশার জায়গাটা কেমন তাহলেই বুঝুন!

লেখা ভালো লেগেছে। ডটের ব্যবহার কমালে আরো ভালো লাগবে। লিখুন আরো।

...........................................
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা

ভণ্ড_মানব এর ছবি

ভুল বোঝাবুঝি যার কারণেই হোক 'রিদিতা'রা এভাবে বাবাকে মিস করুক তা কখনোই কাম্য নয়। ভালো থাকবেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আরমান!

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ইয়ে, পোস্টের বিষয়বস্তুটা ভালোই ছিলো- কিন্তু প্যারা না থাকায় পড়ে কেনো জানি আরাম পাওয়া যায় নাই...
"..." নিয়ে কিছু বলা ঠিক হবে না- এটা একটা বৈচিত্র্য আনে মনে হয় লেখকের- আমিও বেশ অকৃপণভাবে এটা ব্যবহার করি। তবে- ইংরেজী শব্দের একটু বেশিই ব্যবহার হয়ে গেছে...

চালিয়ে যান।

______________________________________________________

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

অতিথি লেখক এর ছবি

ইয়ে...আমি বড্ড বেশি কথা বলি, আপাতত একবাক্যে বলছি-- "পড়েছেন, তাই ধন্যবাদ !"

হিমু এর ছবি

বাবাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ, এমন লেখাগুলি সযত্নে এড়িয়ে যাই। আপনার লেখাটা পড়লাম।

আপনার বাবা ভালো আছেন তো? শীতের সন্ধ্যায় গরম চা পাচ্ছেন তো ঠিকঠাক? রাতে মাঝে মাঝে প্রেশার বেড়ে যায় না তো? ভোরের আগে ঘুম ভেঙে অকারণে পায়চারি করেন কি? রক্তে চিনির মাত্রা ঠিক আছে তো? একা একা বাজার করতে গিয়ে ফিরে আসছেন তো সুস্থ দেহে? ফোন করে খোঁজ নিন। সেই সুযোগ আপনার এখনও আছে। সবার তা-ও থাকে না।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

অতিথি লেখক এর ছবি

একি...এই তুচ্ছ বালিকার লেখায় মহারথীর পদধূলো !!! আমার বাবা এখনো দারুণ তরুণ, শরীর =মন দু-দিক থেকেই,, ইষ্টিকুটুম বা গোল্লাছুটে ছড়া কাটার বয়স থেকেই ইচ্ছে ছিলো বাবাকে নিয়ে লেখার... ইশশ্ , আপনার মত যদি লিখতে পারতাম.. অনেক ধন্যবাদ হিমুদা!

সংসপ্তক এর ছবি

বাবাকে নিয়ে লেখা, একটু স্বতঃস্ফূর্ত হবেই। প্যারা, ডটের ঝামেলায় গেলে হয়তো আবেগ মিস হয়ে যেতো। খুব ভালো লেগেছে।
.........
আমাদের দূর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

অতিথি লেখক এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ সংসপ্তক! আমি দারুণরকম কাঠখোট্টা মানুষ ..তবে এই পোষ্টটা ভেজা চোখেই লেখা ! বানান ও অসহনীয় ফরম্যাটিং এর কারনে করজোড়ে মার্জনা চাইছি...

মনজুর এলাহী [অতিথি] এর ছবি

মেঘ থেকে যেওনা দূরে
মেঘ যে দেবে ছায়া,
শেষ বিকেলে জড়িয়ে দেবে
আবির রঙের মায়া।

বাবারা মেঘ হয়গো বোকা পাখি... গর্জন করে, তবে ছায়া দিয়ে আগলে রাখে প্রতিটি মুহুর্তে। স্নেহের বৃষ্টিতে ভেজায় অকৃপনভাবে।

শুভেচ্ছায়,

মনজুর এলাহী

অতিথি লেখক এর ছবি

অসাধারণ এই মন্তব্যটির জন্য আপনাকে অনেককক ধন্যবাদ ভাই!

অতিথি লেখক এর ছবি

এই মেয়েটাকে নিয়ে ভারি মুশকিল!! বয়সে আমি তাকে হারাই ,ভাষায় সে আমাকে... মউ; ২২কেজি ধনেপাতা আর ০.৫০ কেজি "ফেরেনচ ফেরাই" -- ঠিক হ্যায় ?

জুয়েইরিযাহ মউ এর ছবি

উদাস মনে একে দিলে বিষন্নতার ছবি।
ভালো হয়েছে লেখাটি.......
তবে রিদিতা হারালেও রিফাতসোনা থাকুক বাবার আদরের ছায়াতলে,
জানতো, বাবাদের আদরটুকু এক অদৃশ্য আবরণে ঢাকা থাকে আপুনি হাসি

--------------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....


-----------------------------------------------------------------------------------------------------

" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি

ভ্রম এর ছবি

বাবার ওপর অভিমান বা রাগ করে থাকলে আপনার বাবা যত কষ্ট পাবেন তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি কষ্ট কিন্তু আপনি নিজ়ে পাবেন।
ফোন করে কথা বলেন...ভালো লাগবে হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ডগাতেই জানিয়ে দেয়া উচিত ছিলো , "অর্ধসত্য ঘটনার ছায়া অবলম্বনে "...আমি দুঃখিত! বাবাকে যতটুকু বন্ধুর মতো পেতে চেয়েছি , সেটা কখনোই হয়ে ওঠেনি বলেই অনেকখানি অভিমানে এই লেখা ! তবে বাবা তো বাবাই--তাই না ? অনেক ধন্যবাদ আপনাকে !

অতিথি লেখক এর ছবি

.......

নীড় সন্ধানী এর ছবি

বিদেশ যাবার আগে বাবাকে চিঠিটা পড়াবেন না ভুলেও। আপনাকে ইমিগ্রেশানেই আটকে দেবে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অতিথি লেখক এর ছবি

হাঃহাঃহাঃ , দারুণ মজা পেলাম... অনেক ধন্যবাদ !

পুচকুন এর ছবি

লেখাটা পড়ে অনেক ভাল লাগলো..... আবার দুঃখও হল.......রিদিতার জন্য.....

এদিক থেকে হয়তো আমি অনেকটাই লাকি...... কিন্তু বাবাকে অনেক মিস করি। আমি আমার জীবনে সব সময় যে একজনকে পাশে পেয়েছি সে হল আমার বাবা, আমার সব চেয়ে কাছের মানুষ। বাবা কখনো আমাকে বকুনি দিয়েছে এটা মনে পড়ে না....... ভুল করলে মা কিল, চর দিত কিন্তু বাবা পাশে বসিয়ে বুঝিয়ে বলতো...... ভুল্টাকে ধরিয়ে দিত।
বাবা এ কাজটা যে ছোট বেলাতে করতো তা নয়..... এখনো একই ভাবে ভুল্গুলোকে শুধরে দেয়। বাবাকে দেখে মাঝে মাঝে মনে হয়, বাবা এতটুকুও বদলায় নি.....সেই ছোট্ট বেলাতে যেমনটা দেখেছি, আজো ঠিক তেমনটাই দেখছি......
শ্রষ্টার কাছে শুধু একটা প্রার্থনাই করি..... আমি যেন বার বার এমন বাবার সন্তান হয়ে জন্মাতে পারি.....

এত সুন্দর একটা লেখার জন্য তোমাকে আবারো Thanx..... চালিয়ে যাও....

সুমন সুপান্থ এর ছবি

বাবাকে নিয়ে কিছু পড়া,আর তারপর মন্তব্য করা___ আমার জন্য অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে প্রায় এক যুগ । রিফাত, আপনার জন্যই পড়া হলো । দারুণ স্পর্শী এক লেখা । মৌলি(আজাদ)'র লেখাগুলোর কথা মনে পড়ে যাচ্ছিলো ।
আপনি যে নিছক পাঠক থাকবেন না, সে তো আগেই বলেছিলাম । ঠিকই বলেছিলাম মনে হয় ।

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

অতিথি লেখক এর ছবি

সুপান্থদা--যাদের লেখা পড়ার লোভে সচলায়তনে নাক গলানো ...তাঁদের মন্তব্যই যদি নিজের অখাদ্য পোষ্টে খুঁজে পাই, খুশিতে কি করতে ইচ্ছে হয় বলুন তো?? অনেক অনেক ধন্যবাদ!

অতিথি লেখক এর ছবি

@পুচকুন " শুভ "-- ১,০০০ মে.টন ধনেপাতা ভাইয়া , বলো কটা কিট-ক্যাট চাই ?

পুচকুন এর ছবি

হাঃ হাঃ হাঃ..... ভালই বলেছ....
কিট-ক্যাটের বেলায় কোন মাফ নাই.......ওটা কিন্তু আমার চাই-ই-চাই......হুমমমমম...

মেয়ে এর ছবি

পড়লাম............মজার ব্যাপার আমার বাবা মা ও ছেলে ছেলে করে মুখে ফেনা তুলে ফেলে।ছেলে তো ওইদিকে উড়াল মারসে বিদেশে।যদি আর ফেরে তো আমি আমার নাম পাল্টায় ফেলবো।
আর এখন আমি চলে যাবার চেষ্টা করছি বলে কত কথা যে শুনতে হচ্ছে।

আমি আপনার মতো কোনো জেদি মেয়ে না।খুব লক্ষী একটা মেয়ে।তবুও।আসলে রাতুলদের জায়গা কোনোদিন ও আমরা replace করতে পারবো না।আপনি যেমন মেয়েই হন না কেনো।

আমি অবশ্য আপনার মত ইমোশনাল না।থাকো তোমাদের ছেলে নিয়ে।আমি ও পালাবো।

আমি অভিমানী না কিন্তু খুবই বিরক্ত।আপনার মত একটা পত্র লিখে যেতে হবে দেঁতো হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

মন্তব্যের জন্যে বিশেষভাবে ধন্যবাদ! লেখাটা " অর্ধেক সত্য আর অর্ধেক কল্পনা " --- পাত্রপাত্রীদের ওপর দরকারমতো রং চড়িয়েছি , হ্যাঁ.. পিঠাপিঠি একমাত্র ভাইয়ের জন্য আব্বু -আম্মুর অন্ধ আদর আমাকে সবসময়ই দারুণ পীড়িত করে...দেশের বাইরে গিয়ে ওদের মজা দেখানোর ভূত আমারো মাথায় ঘুরছে,হুমম... তবে মেয়ে ; চিঠিটা না লিখে যাওয়াই বোধহয় ভালো , ওনারা কষ্ট পাবেন...আপনিও !! ভালবাসা রইলো...

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

মূলত পাঠক,

আপনার ইঠিকানাটা একটু দরকার।

অতিথি লেখক এর ছবি

শুভাশীষদা --এ পোস্টে মূলত পাঠকের উপস্হিতি অবশ্যই অতীব স্বাভাবিক...ধন্যবাদ !

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

পাঠকদা আজকাল বানানকাকু হতে ভয় পান। চোখ টিপি আপনি লেখা চালিয়ে যান। নিজের মনে থেকে যা আসে তা লিখলে লেখা ভালো হবেই।

অতিথি লেখক এর ছবি

পড়ে আপনার জন্য কষ্ট পাইলাম ।

-একজন নীল ভুত।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ নীল ভূত !

অতিথি লেখক এর ছবি

কি আনন্দ, @ প্রবাসিনী পাখিকেও পাওয়া গেলো তাহলে...অনেক অনেক ধনেপাতা ! " সর্ম্পক " শব্দটাই কি ভীষণ স্পেশাল নয় ??

প্রবাসিনী এর ছবি

আপু, তোমার লেখা পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল। বাবার সাথে এক মেয়ের সম্পর্ক কিন্তু খুব স্পেশাল।
________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

প্রবাসিনী এর ছবি

আপু, তোমার লেখা পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল। বাবার সাথে মেয়ের সম্পর্ক কিন্তু খুব স্পেশাল।
________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এ সংক্রান্ত লেখাগুলো এড়িয়ে যাওয়াই নিয়ম, তাও কী করে পড়া হয়ে গেলো।

বাবার সাথে দিনকয়েক আগে কী একটা কারণে খুব কথা কাটাকাটি হলো। দুজনেই ঠাণ্ডা গলায় কথা শেষ করলাম। কিন্তু তারপরদিনই বাবা ফোন করলেন, আমি ধরতে পারলাম না কিংবা ইচ্ছে করেই ধরলাম না, ফিরতি ফোনও করলাম না। তারপরদিন আবার! এবার ধরলাম। বাবা কোনো ভূমিকা ছেড়েই জিজ্ঞেস করলেন সেদিনের ঘটনায় রাগ করে আছি কীনা! কিছু বললাম না। বাবা বলে গেলেন, 'ছোট বেলায় তুই আমাকে অফিসে যেতে দিতি না, পথ আগলে দাঁড়িয়ে থাকতি। আমার সাথে গল্প করতে চাইতি... এখনতো আমার হাতে অফুরন্ত সময় তোকে দেয়ার মতো... কিন্তু তুই নেই... তোর সাথে আড্ডা দেয়াটা মিস করি... চলে আয়...'

পোড়া চোখ বড্ড জ্বালায় মাঝেমাঝে। কাজের দোহাই দিয়ে পালানো ছাড়া গতি থাকে না তখন!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতিথি লেখক এর ছবি

বিনম্র ধন্যবাদ ধূগোদা ! লিখতে গিয়ে আমার মন খারাপ হয়েছে , পড়তে গিয়ে গাদাখানেক ভুল বানান আর ভুল ফরম্যাটের বদৌলতে পাঠকদের...তবু যে এতো মন্তব্য সেটা শুধু লেখার বিষয়বস্তুর জন্যেই !! বাবা <>মা --জন্মসুত্রে অর্জিত এ সর্ম্পকগুলো নিয়ে আর কিছু বলার সাহস আমার নেই......*তিথীডোর

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

অভিমানের মেঘ তাড়াতাড়ি কেটে যাক।
...........................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

পান্থদা ,চটজলদি ধনেপাতা নেন !

মাজেদুল ইসলাম [অতিথি] এর ছবি

বাবা সম্পর্কে আমার অনুভুতিটাও কিছুটা এমনই ছিল। বাবার আচরনে মনে হত আমার প্রতি তাঁর মোটেও ভালোবাসা নেই। সবাই বলতো ভিতরে ঠিকই আছে উপরে প্রকাশ করেন না, তবে এ কথায় আমি সান্তনা খুঁজে পেতাম না নিজেকে অবাঞ্ছিত মনে হত। অনেক কথা মনে পড়ে গেলো, সেগুলো মেইল করে জানাব। তবে যারা ইতমধ্যে বাবা-মা হয়েছেন তাদের বলতে চাই ক্ষতি কি যদি আপনার সন্তানটা জানতে পারে যে আপনি তাকে ভালোবাসেন, তাকে আদর করেন? আমার পরামর্শঃ তাকে জানতে দিন যে সে আপনাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, এটি তার জীবনে সফলতার জন্য খুবই জরুরী।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ মাজেদ ভাই !

অতিথি লেখক এর ছবি

........

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

ভালো লাগলো হাসি
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ শাহেনশাহ !

অতিথি লেখক এর ছবি

.... !

অতিথি লেখক এর ছবি

.....

অতিথি লেখক এর ছবি

ধ্যততেরি , অপেরাতো দেখি জবাবগুলো ট্রিপল ফর্মে পাঠিয়েছে..

অতিথি লেখক এর ছবি

সহজ কথা যায় না বলা সহজ়ে। "বাবা তোমাকে খুব ভালবাসি", কথাটাও যেন এরকম।
লেখাটা ভালই।
-- শফকত মোর্শেদ

তিথীডোর এর ছবি

থেংকু আপনাকে ,মোর্শেদ! --------------------------------------------------
"সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে..."

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তুলিরেখা এর ছবি

পুরানোকালে রেডিওর নাটকগুলো দারুণ ভালো হোতো।
তো এক নাটকে একজন বলছে, "বলো তো পৃথিবীর সবচেয়ে আরামদায়ক, সবচেয়ে চমৎকার, সবচেয়ে খাসা হোটেল কোন্‌টা? "
উত্তরে আরেকজন বলছে, "কেন, বাপের হোটেল!" হাসি
বাবার হোটেল আর মায়ের রান্নাঘরের তুল্য জিনিস পৃথিবীতে খুব কমই আছে। হাসি

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তিথীডোর এর ছবি

সক্কাল থেকে মনটন খারাপ...
এক বালিকার সব পুরোনো লেখা খুঁজে খুঁজে পড়ছি, প্রিয় ব্লগারকে নিজের পোস্টে পেয়ে আপাতত তথৈবচ!

--------------------------------------------------
"সুন্দরের হাত থেকে ভিক্ষা নিতে বসেছে হৃদয়/
নদীতীরে, বৃক্ষমূলে, হেমন্তের পাতাঝরা ঘাসে..."

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।