অভ্রকে পাইরেটেড বলার কারণ বিশ্লেষণ ও একটি দাবী

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১৮/০৪/২০১০ - ৮:৩৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

খুব গুরুতর একটা অভিযোগ করেছেন মোস্তফা জব্বার। তিনি বলেছেন, "অভ্র নামক একটি পাইরেটেড বাংলা সফটওয়্যারকে নির্বাচন কমিশনে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে ইউএনডিপির অবদান সবচেয়ে বেশি। ফলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন সেলের ওয়েবসাইট হ্যাক হলে তার দায় থেকেও ইউএনডিপিকে ছাড় দেয়া যায় না।" সামারাইজ করে বলা যায় এখানে তার পয়েন্ট হল:

১) সরকারী ওয়েবসাইট গঠনে পাইরেটেড সফটওয়ার ব্যবহার হয়েছে যা পুরো ব্যাপারটিকে করেছে প্রশ্নবিদ্ধ।
২) অভ্র একটি পাইরেটেড সফটওয়ার। সাম্প্রতিককালে সংগঠিত হ্যাকিং গুলিতে এইসব সফটওয়ারের ভূমিকা রয়েছে।
৩) যেখানে বিজয়ের মত একটি সফটওয়ার গর্ভমেন্ট টাকা দিয়ে কিনতে পারতো সেখানে অভ্রের মত ফ্রি একটা সফটওয়ার বেছে নিয়ে সরকার চরম নির্বুদ্ধিতা দেখিয়েছে।
৪) ইউএনডিপি'র মত প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতায় এরকম অবৈধ/পাইরেটেড জিনিসকে ব্যবহার করা ঠিক হয়নি।

মোটামুটি এই হল জব্বার কাগু'র পয়েন্ট। এখন আসুন ওর কথাকে বিশ্লেষণ করি এবং কোন একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হই। প্রথমেই জানতে হবে হ্যাকিং কি কি ভাবে হয়। সহজভাবে বলতে গেলে হ্যাকিং ২ভাবে হতে পারে: (১) কোড হ্যাক && (২) সার্ভার হ্যাক।
কোড হ্যাক হল কোন প্রোগ্রামের এমন একটি স্টেট আবিস্কার করে সেটাকে ব্যবহার করা যেই স্টেটটির উপস্থিতি কাঙ্ক্ষিত ছিল না। যেমন: আপনি একটি ব্যাংকিং সফটওয়ার এমনভাবে বানালেন যে যখন ব্যবহারকারী অনুরোধ করে x পরিমাণ টাকা তোলার জন্যে আপনি অ্যাকাউন্ট ব্যালান্স থেকে x পরিমাণ টাকা বিয়োগ করে দিবেন। অর্থাৎ সূত্রটি হল: নতুন ব্যালেন্স= পুরাতন ব্যালেন্স - x টাকা..........
কিন্তু কেউ আবিস্কার করে ফেললো ব্যবহারকারী যখন x এর ভ্যালু ইনপুট দিচ্ছেন তখন তিনি চাইলে নেগেটিভ ভ্যালু ইনপুট দিতে পারেন। ফলে সেক্ষেত্রে সূত্রটি হয়ে যাচ্ছে:
নতুন ব্যালেন্স= পুরাতন ব্যালেন্স - (-x) টাকা
অথবা, নতুন ব্যালেন্স= পুরাতন ব্যালেন্স + x টাকা (মানে টাকা কাটার বদলে উল্টো যোগ হয়ে যাচ্ছে)
এটা হল হ্যাকিং কারণ আপনি একটি সফটওয়ারের কোন ভুল বের করেছেন ও সেটার ব্যবহার করতে পেরেছেন।

সার্ভার হ্যাক হল যেই ওয়েব সার্ভারে কোন ওয়েব সাইটের ফাইলগুলি থাকে সেই ওয়েব সার্ভারে প্রবেশ করে সেই ফাইলগুলি পাল্টে দেয়া। মানে ধরুন, আপনার ভিসতা'য় পাসওয়ার্ড দেয়া থাকলেও আমি কোনভাবে আপনার মাই কম্পিউটার ওপেন করতে পারলাম............ সার্ভার হ্যাক অনেকটাই এরকম.........

পাইরেটেড সফটওয়ার মানে, কোন সফটওয়ার তার অরিজিনাল ভেন্ডর কিংবা স্বত্তাধিকারীর অনুমতি ব্যতীত ব্যবহার করা অথবা যেভাবে সেই সফটওয়ারটি ব্যবহার করার জন্যে সেটি ইনস্টল বা ক্রয়ের সময় আপনি ভেন্ডর কিংবা স্বত্তাধিকারীর সাথে চুক্তি করেছেন তা ব্যতীত অন্যভাবে ব্যবহার করা। সহজ একটা উদাহরণ হল: উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম......... কারণ এর লাইসেন্সে বলা আছে একটি সিডি শুধু একটি পিসিতেই ব্যবহার করা যাবে কিন্তু একটি সিডি বহুবার বহুজন ব্যবহার করেন ফলে সবগুলি কপি পাইরেটেড হয়ে যায়।

ব্যস, এবার কাগুর দাবীর ব্যবচ্ছেদ করা যাক।

»»»»»»»»»»»»»»

অভ্র যদি পাইরেটেড হয়ে থাকে তাহলে এর অরিজিনাল কোন ভেন্ডর কিংবা স্বত্তাধিকারী রয়েছেন। কিন্তু এর কোন অরিজিনাল ভেন্ডর কিংবা স্বত্তাধিকারী নেই। উদারহরণ স্বরূপ বলা যায় ফ্লক ব্রাউজারটির কথা। এটি ফায়ারফক্সের কোড ব্যবহার করে বানানো হয়েছে কিন্তু ফায়ারফক্সের যেসকল কোড ব্যবহার করা হয়েছে তার স্বত্তাধিকারী তারা দাবী করেনি। এখন তাহলে প্রশ্ন অভ্র কি তাহলে এমন কোন সফটওয়ার থেকে বানানো ??? উত্তর: না, এটি একদম ইউনিক, ফায়ারফক্সের মত। একেবারে যাকে বলে "বিল্ট ফ্রম স্ক্র‌্যাচ", আমাদের দেশের সফটওয়ার শিল্পের গর্ব এমন ইউনিক একটি সফটওয়ার।
সুতরাং এই লজিকে একে পাইরেটেড বলা নির্বোধ ও হীন মনের পরিচায়ক।

»»»»»»»»»»»»»»

এবার দেখা যাক অভ্রের লাইসেন্স কি বলছে এবং সেটি পাইরেটেড কিনা। অভ্রের লাইসেন্সের ক্লজ অনুসারে:
■ আপনি এটি ফ্রি-তে ব্যবহার করতে পারবেন
■ আপনি এটি যেকাউকে ডিস্ট্রিবিউট করতে পারবেন, মানে আপনার পিসি থেকে অভ্র একজিকিউটেবল ফাইলটা আরেকজন কপি করে নিয়ে যেতে পারবে এবং এক্ষেত্রে অভ্রের একজিকিউটেবল ফাইলটার যে ২টি কপি তৈরী হবে তার দু'টোই ভ্যালিড। আলাদা করে অনুমতির প্রয়োজন নেই কপি করার মাধ্যমে তৈরী হওয়া নতুন একজিকিউটেবলটার।
■ আপনি এই সফটওয়ারটি'র ক্রিয়েটরদের নাম পাল্টাতে পারবেন না।
■ সকল ক্ষেত্রে অভ্রের লাইসেন্স নোটিশটি অপরিবর্তিত রাখতে হবে।

ফলে নির্বাচন কমিশন যেখান থেকেই অভ্র সফটওয়ারটি পাক না কেন তারা সেটির ব্যবহার করলে সেটি কোনভাবেই অনুমতি ছাড়া ব্যবহৃত সফটওয়ার হয়নি কারণ তারা এটিকে নিজের বলে দাবী করেনি, অভ্র যেহেতু এর সকল একজিকিউটেবল ভার্সনকে ভ্যালিড বলে দিয়েছে সুতরাং নির্বাচন কমিশনের ব্যবহৃত সফটওয়ারটিও ভ্যালিড, অবশ্যই পাইরেটেড কপি নয়।

»»»»»»»»»»»»»»»»»»

বাকি থাকলো হ্যাকিং এর সাথে এর সংশ্লিষ্টতা। উপরে বলেছি কি কি ভাবে হ্যাকিং হতে পারে। হ্যাকিং সম্পূর্ণভাবে সফটওয়ার/ওয়েব সাইটের কোডিং ও ওয়েবসাইট যেখানে হোস্ট করা হয়েছে তার অ্যাডমিনদের উপর নির্ভর করে। অভ্র শুধু বাংলা লিখার জন্যে ব্যবহৃত হয়েছে, ওয়েবসাইটের কোডিং অথবা হোস্টিংয়ের সাথে এর কোন সম্পর্ক নাই, শুধু এটা হ্যাকিংয়ে সহায়তা করেছে এটা যে বলে তাকে কোরবানীর ঈদে গাবতলীর হাটের সকল গরু+ছাগলকে দিয়ে লাত্থি দেয়া উচিত (নিজেকে আইটি'র লোক দাবী করা কোন মানুষ এতটা বলদ হতে পারে আমার ধারণাতেও ছিল না)।
আরো সহজে বুঝাই, ধরুন আপনার কোন বন্ধু আপনার পিসি থেকে আপনার এম.এস. ওয়ার্ডে করা কোন ডকুমেন্ট বা অ্যাসাইনমেন্ট আপনাকে না বলে নিয়ে গেলো। এখন দোষটা কার ??? নিশ্চয়ই আপনার কারণ আপনি পিসি'র নিরাপত্তা ঠিক রাখতে পারেন নাই অথবা আপনার অপারেটিং সিস্টেমের কারণ সেটিতে পাসওয়ার্ড দেয়া থাকলেও হয়তোবা যেকোন ফাইল ওপেন করা যায়।( এটা একধরণের হ্যাকিং)................... এখন আমাকে বলেন, কোনভাবে কি এম.এস. ওয়ার্ড-কে দায়ী করা যায় এই হ্যাকিংয়ের জন্য ??? ওটা দিয়ে আপনি লিখেছেন, ফাইলের সুরক্ষা করা কি সেটার কাজ ??? অভ্র দিয়ে বাংগালীরা বাংলা লিখেন, এখন বাংলা ভাষার কোন সাইট হ্যাক হলে সেটার দোষ অভ্রের কেন হবে ??? কেন এটাকে পাইরেটেড হবে ???

»»»»»»»»»»»»»»»»

সবশেষ পয়েন্ট হল, বুঝতেই পারছেন বিজয় ব্যবহার না করাতে জব্বার নাখোশ হয়ে এই মন্তব্যটি করেছেন। আমিও বুঝিনা মানুষ কেন বিজয় ব্যবহার করে ??? প্রিন্ট মিডিয়ায় যারা আছেন তারা চাইলে গিম্প দিয়েই ফটোশপের কাজগুলি করতে পারেন এমনটাই দেখছি এই লিংকে। যাইহোক, আমার মনে হয় কেউ যদি আগ্রহী হয়ে ফটোশপে ইউনিকোড সাপোর্টের প্লাগইন বানিয়ে ফেলতে পারেন তাহলেই হয়। এটা সম্ভব বলেই এই লিংকে দাবী করা হয়েছে, বিস্তারিত জানিনা জন্যে কমেন্ট করতে পারলাম না।

**********

অনেক বড় হয়ে গেল লিখাটা, ধৈর্যচ্যুতি ঘটিয়েছি অবশ্যই এবং সেজন্য ক্ষমাপ্রার্থী। আমি চেষ্টা করেছি জব্বার কাগু'র কথার ডিফেন্ড করতে। মেহেদী ভাইয়ার উচিত এই ব্যাটাকে উকিল নোটিশ পাঠানো এই কথা বলার জন্যে। কাগু এই কথাগুলি এমন সব জায়গায় বলে যেখানে উপস্থিত কেউই এই কথার মাধ্যমে বলা মিথ্যাটা ধরতে সক্ষম না কিন্তু এদিকে "জব্বার কাগু বলেছেন বলে" সেই কথাটাকে ছড়িয়ে দিতে পুরাই এক পায়ে খাঁড়া।

জব্বার কাগুর সাইটটা দেখেছেন ??? বিজয় ফন্টে বানানো তাই দেখতে পারিনাই। কবে যে সে ইউনিকোড কনসোর্টিয়ামকেও পাইরেটেড কনসোর্টিয়াম বলে বিজয় ফন্ট ব্যবহার না করাতে।

অনেকেই বলেছেন অভ্র'র জন্যে মেহেদী ভাইয়াকে একুশে পদক দেয়া হোক। আমিও এই দাবীর সাথে একাত্মতা জানিয়ে পোস্ট শেষ করলাম। আমি মনে করি "মেহেদী ভাইয়া, অমি ভাইয়া, একুশে টিম"- এনাদের কৃতজ্ঞতা জানানোর মত কোন শব্দই আমার কাছে নেই।


মন্তব্য

দ্রোহী এর ছবি

আগামী সপ্তাহে দৈনিক জনকণ্ঠে জব্বার কাগু যে লেখাটা লিখবেন তাতে তিনি বাঙালী জাতিকে "পাইরেটেড জাতি" হিসেবে ঘোষণা করবেন। কারণ এই জাতি তার বানানো কিবোর্ড লেআউটের ভাষায় কথা বলে।

সিউল এর ছবি

জব্বারের হাতে কিছু মিডিয়া বেজড চামচা রয়েছে যারা ওর হয়ে ওর মিথ্যাগুলি প্রচার করে। আমাদের সংঘবদ্ধভাবে এইসব অপপ্রচারণা'র বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। ওর প্রতিটা ভন্ডামী সবার সামনে উন্মোচন করতে হবে। আমাদের প্রমাণ করতে হবে এই বর্ণ বেঁচে খাওয়া লোকের ফুটো পয়সা দাম দেইনা আমরা, কি বলেন ??

মাহমুদ ফয়সাল [অতিথি] এর ছবি

ঐ কাগুকে আমার বরাবর খারাপ লাগে।
বিজয় নিয়ে সে অতিরিক্ত ফালাফালি করে। সারাবিশ্ব যখন গেছে ইউনিকোডে তখন সে বিজয় নিয়া নাটক করতেছে

লেখার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া

অনেকেই বলেছেন অভ্র'র জন্যে মেহেদী ভাইয়াকে একুশে পদক দেয়া হোক। আমিও এই দাবীর সাথে একাত্মতা জানিয়ে পোস্ট শেষ করলাম। আমি মনে করি "মেহেদী ভাইয়া, অমি ভাইয়া, একুশে টিম"- এনাদের কৃতজ্ঞতা জানানোর মত কোন শব্দই আমার কাছে নেই।

সিউল  এর ছবি

আসলে ওর ফালাফালি'র মূলে হল ফটোশপ কিংবা ইলাস্ট্রেটর টাইপের সফটওয়ারগুলিতে ইউনিকোড সাপোর্ট সেভাবে না থাকা। এটাতে ইউনিকোড সাপোর্ট থাকলেও ইনডিক থিম বা উপমহাদেশীয় দেশগুলিতে অ্যাডোবি'র ভ্যালিড কাস্টোমার ইউরোপ বা আমেরিকার মত অত বেশী নয় জন্যে ওরা এই অঞ্চলের মানুষকে অতটা সাপোর্ট দেয়নি।

কিন্তু সময় পাল্টাচ্ছে, আর কিছুদিনের মাঝেই বোধহয় ইউনিকোড সাপোর্ট চলে আসবে বোধ হয় হাসি তখন কাগুকে থালা নিয়ে ফুটপাতে বসতে হবে।

অভ্রনীল এর ছবি

লেখকের নামখানা জানা হলনা যে? যাই হোক... খুব চমৎকার বিশ্লেষণ হয়েছে। চলুক

প্রিন্ট মিডিয়ায় যারা আছেন তারা চাইলে গিম্প দিয়েই ফটোশপের কাজগুলি করতে পারেন এমনটাই দেখছি এই লিংকে। যাইহোক, আমার মনে হয় কেউ যদি আগ্রহী হয়ে ফটোশপে ইউনিকোড সাপোর্টের প্লাগইন বানিয়ে ফেলতে পারেন তাহলেই হয়।

আমি ফটোশপে ইউনিকোড সাপোর্টের প্লাগইন বানাবার চেয়ে গিম্প নিয়ে কাজ করাতেই বেশি সুবিধা দেখি (পাইরেসির কারণে)। যে কারণে গিম্প প্রিন্ট মিডিয়াবান্ধব হচ্ছেনা তার মূল কারণ হচ্ছে এর অফিসিয়ালি CMYK সাপোর্ট না থাকা, যদিও আলাদা প্লাগিন ব্যবহার করে সেটা সমাধান করা সম্ভব। তাই প্রিন্ট মিডিয়ায় যারা আছেন তারা যদি গিম্প নিয়ে একটু পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন তাহলে একটা না একটা উপায় বের হবেই।
_______________

::: উবুন্টু ও মিন্টকে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে! :::

হিমু এর ছবি

প্রিন্ট মিডিয়ায় যেসব প্রফেশন্যালরা আছেন, তারা একটা নির্দিষ্ট সিস্টেমে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। ওর চেয়ে বেটার কোনো কিছু না পেলে তারা সেটা থেকে সরবেন না।

কোনো ইনোভেশন যদি আসতে হয়, আগ্রহী ইনোভেটরদের কাছ থেকেই আসতে হবে। গিম্প আর ইঙ্কস্কেপের রান-রেডি সংস্করণ থাকতে হবে প্রফেশন্যালদের জন্যে।

সিএস৫ যদি ইউনিকোড সাপোর্ট যোগ করে, তাহলে আমাদের সামনে কয়েকটা ভালো ফন্ট বানানোর হার্ডলটাই বাকি থাকে শুধু।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

কাগু নাকি সামনে পাইরেসী নিয়া লেখা দিবেন, কারে যেন ব্যাখ্যা পাঠাইসে... দেহি কী কয়।

আপনার বিশ্লেষনের জন্যে ধন্যবাদ।

_________________________________________

সেরিওজা

সিউল এর ছবি

আমি আসলে এই ব্লগের লেখক নই জন্যে অতিথি লেখক হয়ে লেখার সময় "কে লিখছেন" ব্যাপারটা বাদ পড়ে যাচ্ছে খেয়াল করিনি। আশা করি সামনে থেকে ভুল হবে না।

আমার পরিচয় হল আমি সিউল, সামহোয়ারইনের ব্লগার। আমি বাংলা ভাষা নিয়ে কাজ করছি, সামনেও করার ইচ্ছা রাখি। কিবোর্ড নিয়েও কাজ করছি আমি। "রোকেয়া কিবোর্ড লেআউট ও প্রোগ্রাম" আমার করা হাসি ওখানে আমি একটি ফিক্সড+এফিসিয়েন্ট লেআউট ও সেটার প্রোগ্রাম তৈরীর চেষ্টা করছি।

ভাঙ্গা পেন্সিল [অতিথি] এর ছবি

হাইকু ছড়া নামে একটা জিনিস আছে; এটার কোন অর্থ নাই। হাইকু ছড়া জেনারেট করার প্রোগ্রামও আছে। কতোগুলা শব্দ ঐটাতে ইনপুট দিলে প্রোগ্রামটা শব্দগুলো উল্টায় পাল্টায় একটা ছন্দবদ্ধ ছড়া আউটপুট দেয়, যেটার কোন অর্থ নাই।

মোস্তফা জব্বারের মাথায় এরকম একটা হাইকু-টেকি জেনারেটর আছে। হ্যাকিং-পাইরেটেড-হ্যাকার সহ আরো কিছু টেকিশব্দ ঐটায় ইনপুট দিলে এরকম একটা প্রতিবেদন আউটপুট আসে

সাবিহ ওমর এর ছবি

অফটপিকঃ হাইকুর অর্থ নাই এটা একটা ভুল ধারণা। হাইকু জেনারেটর হাইকুর ছন্দ-প্রকরণটাকে কপি করে শুধু। আসল হাইকু লেখা অনেএএএক কঠিন...

নিঃসঙ্গ গ্রহচারী [অতিথি] এর ছবি

অফটপিকঃ এইটা কী বললেন বস!

সময় থাকলে এই লেখাগুলো পড়ে দেখতে পারেন... হাসি

স্পর্শ এর ছবি

চলুক


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অন্য একটি লেখার প্রতিবাদে কাগু বলেছেন আমরা নাকি তার সম্পর্কে কিছুই জানি না। উনি নাকি টাকার পিছে দৌড়ান না কখনো। টাকার পেছনে দৌড়ালে তিনি নাকি অন্যরকম একজন মানুষ হতেন... গড়াগড়ি দিয়া হাসি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তারশি এর ছবি

চমত্কার বিশ্লেষণ ... লেখক এর অনুমতি পেলে খোমাখাতায় শেয়ার করতে চাই......

সিউল এর ছবি

হ্যা, আপনারা চাইলে অবশ্যই এটা শেয়ার করতে পারেন হাসি আমিও চাই সবাই জব্বারের এই পরিকল্পিত মিথ্যাচার সম্পর্কে জানুক ও বিজয় থেকে দূরে থাকুক।

আমি কল্পনাও করতে পারিনা আমাকে বাংলা লিখার জন্যে কাউকে টাকা দিয়ে তার কাছ থেকে সফটওয়ার কিনে তা ব্যবহার করতে হবে। লিখায় এই জিনিসটা বাদ গেলেও পরে একসময় তুলে ধরবো আশা করি

লীন এর ছবি

ভালো বিশ্লেষণ, লেখককে ধন্যবাদ।
নিজ নামটা মন্তব্যে দিয়ে দিবেন আশা করি। হাসি
______________________________________
লিনলিপি

______________________________________
লীন

সাইফ তাহসিন এর ছবি

লেখা ভালো হয়েছে, শেয়ার দিলাম

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

হ্যাকিং বলতে আমি বুঝি, কোন কিছু কীভাবে কাজ করছে সেটা বের করা, সে বিষয়ে কোনরকম জ্ঞান ছাড়াই, শুধুমাত্র আন্দাজ আর বিশ্লেষণের মাধ্যমে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

বিজয় নামে কোন কিছুই অভ্রতে রাখা উচিত নয়। কারণ কার মন্তব্য যেন দেখলাম ইউনিবিজয় নামে একটা কিছু অভ্রতে আছে। সেটা নিয়েই মনে হয় জব্বার সাহেবের যত হাউকাউ।

হিমু এর ছবি

বিজয় শব্দটার ওপর কাগুর একার দখল থাকলেও, বিজয় যদি কোনো নামের অংশ হয়, সেটাতে কি কাগুর নাখোশ হবার কোনো আইনগত ভিত্তি আছে? একটা লেআউটের নাম ইউনিবিজয় আলফাবিজয় দিগ্বিজয় বিবিজয় কবিজয় হাবিজয় যা-খুশি-তা-বিজয় হতে পারে, ওনার লেআউটের সাথে না মিললেই তো হলো!



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

(বাংলাদেশের) "আইনগত বিষয়" তো আইন দিয়ে চলেনা, চলে ব্যক্তি দিয়ে। একই আইন একেক ব্যক্তির জন্য একেক রকম।

কথা হচ্ছে লে-আউটের কপিরাইট হয় কিনা সেটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কাগু যেহেতু তার বিজয়ের পেটেন্ট বানিয়েছে (নাকি কপিরাইট করেছেন) সেহেতু তার ব্যক্তিগত প্রভাব এবং আওয়ামী লীগের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে অভ্র বা অমিক্রনল্যাবকে যে আইনের নামে হয়রানি করবেনা সেটা বলা যায়না। আমার ধারণা উনি সেই দিকেই আগাচ্ছেন।

অভ্র যদি সেদিক থেকে সঠিক অবস্থানে থেকে থাকে, তাহলে আনন্দিত হবো। কিন্তু এ নিয়ে যদি তাদের হেনস্তা হতে হয় সেটা খুবই কষ্টকর একটা ব্যাপার হবে।

সিউল এর ছবি

কিবোর্ডের লেআউটের পেটেন্ট করা সম্ভব যদি না সেটা পাবলিক ডোমেইনে থাকে। যেমন: ইংরেজী ভাষায় আমরা যেই লেআউট ব্যবহার করি সেটা হল qwerty কিবোর্ড। এটি এসেছে টাইপরাইটারে ব্যবহৃত লেআউট থেকে। কিন্তু এটি এত বেশী বহুল ব্যবহৃত যে এটি পাবলিক ডোমেইনে চলে গিয়েছে অর্থাৎ চাইলেই কেউ এর মালিকানা দাবী করতে পারবে না।

এখন কেউ চাইলে নতুন কোন লেআউট বানিয়ে সেটার পেটেন্ট নিতে পারে।তবে সেটির সাথে qwerty কিবোর্ড লেআউটের অন্ততঃপক্ষে ১টি পার্থক্য থাকতে হবে। যেমন: ডিভোরাক অথবা টাইপরাইটার লেআউটের ২টি পেটেন্ট (এটা এবং এটা) রয়েছে। এগুলি কেন পেটেন্ট পেয়েছে ??? কারণ এখানে প্রচলিত qwerty কিবোর্ডের চেয়ে আলাদাভাবে অন্যভাবে ইংরেজী লিখা যায় এটা দেখানো হয়েছে।

তাহলে এখানে সম্পূরক প্রশ্ন চলে আসে:
■ ইংরেজী ভাষার জন্যে কতগুলি এমন লেআউট করা সম্ভব ??
■ কতগুলোইবা পেটেন্ট পাবে ??
■ কেন পেটেন্ট পাবে ???
»» এর উত্তর: ৫২! (মানে ১ থেকে ৫২ পর্যন্ত গুণ করলে যত হয় অতটি, কয়েক কোটি........কোটি........কোটি........কোটি.......কোটি সংখ্যক :| ২০ এর ফ্যাক্টোরিয়ালেই টোটাল ডিজিট চলে আসে প্রায় ২০টার মত, তাই ৫২ ফ্যাক্টোরিয়ালে কত হবে আল্লাহই জানে) সংখ্যক পেটেন্ট হতে পারে। সবগুলিই পেটেন্ট পাবে। এর কারণ প্রতিটাই ইউনিক।

এরফলে জব্বারের বিজয় লেআউট-কে ইউনিজয় লেআউট বানানোর চেষ্টা এখানেই রুল আউট হয়ে যায় কারণ যেকোন একটি কি-এর পজিশন আলাদা হলেই সেটি সম্পূর্ণ আলাদা কিবোর্ড। ফলে ইউনিজয় লেআউটকে অভ্রতে যোগ করে বিজয় লেআউটকে মোটেও যোগ করা হয়নি। বরং পুরো আলাদা ও নতুন একটি লেআউট যোগ করা হয়েছে। ফলে জব্বার এমনটা দাবী করলে সেটা হবে "আমার ঘর ইট দিয়ে বানানো,অমুকের ঘরও ইট দিয়ে বানানো অতএব অমুক কপিরাইট ভেঙ্গেছে" টাইপের দাবী।

সুতরাং অভ্রকে হেনস্থা হতে হবে এমন কোনই সম্ভাবনা নাই। হাসি উল্টো জব্বার যদি দাবী করে ওর লেআউটের ধারেকাছেও কিছু আসতে পারবে না তাহলেই ভাল। অনেকদিন প্রাণখুলে পাগলের প্রলাপ শুনে হাসা হয়না (রাজনৈতিক দলগুলির কথা বাদ দিলে)

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

আমি আপনার সাথে একমত। বিজয় লেআউটের উপর ওনার একচ্ছত্র অধিকার থাকতে পারে, কিন্তু একটা কি স্ট্রোকের পার্থক্য একটা নতুন লেআউটের জন্ম দেয়। এখানে উনি আংশিক মিলের কারণে পেটেন্ট লংঘন দাবী করতে পারেন না, কারণ উনি ওনার লেআউটের প্রতিটি সাবসেট পেটেন্ট করেন নি।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

জেনে আশ্বস্ত হলাম। আমি আশা করবো উনিও এই ব্যাপারটা জানেন। যেহেতু ইউনিজয়ের কী-বিন্যাস একটা হলেও আলাদা, সেহেতু এটা আর বিজয় বলা যায়না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বিষয়টা লিপিবদ্ধ করার জন্য।

পল্লব এর ছবি

হয় সে জানে (এই লোকটাকে আর "তিনি" সম্বোধন করার রুচি হচ্ছে না), এবং জেনেও নিজের সুবিধার জন্য বলছে, "ওরা আমার লেআউট মাইরা দিসে!" আর নাহলে কি-লেআউট কী জিনিস, সেটা বোঝার মত যথেষ্ট মগজ তার মাথায় নাই। তার আজকের খোমাখাতার স্ট্যাটাস দেখেছেন?

"Mustafa Jabbar is surprised to see that many people including UNDP, Election Commission and AVRO does not feel that inclusion of Bijoy Kayboard layout in AVRO is not piracy. May we know what is called a piracy?"

গড়াগড়ি দিয়া হাসি কঠিন বিনোদন!

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

রাব্বানী এর ছবি

জব্বার এর প্রথম বাক্যে ২ বার "not" ইউস করাতে অটা মিনিং বদলে গেসে!!

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

আমি আশা করবো উনিও এই ব্যাপারটা জানেন।

আমার ধারনা উনি ব্যাপারটা ভালোই জানেন, সেজন্যই আইনের কাছে না গিয়ে প্রচারণায় নেমেছেন।

চিন্তা করুন, ৫ কোটি টাকার (যেটার প্রায় পুরোটাই লাভ) বিজনেস হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে, ওমিক্রনল্যাবের তুলনায় তাঁর উপর মহলে চলাচল অনেক বেশী মানে প্রভাব বেশী (আপনার সাথে একমত যে বাংলাদেশে আইন চলে প্রভাবে) ... এমন অবস্থায় কোর্টে যাবেনা কে? ... কিন্তু ভদ্রলোক যান নি ... এটা আমাকে যে ইম্প্রেশন দিচ্ছে তা হলো উনার বিজয় লেআউটের পেটেন্ট ডকুমেন্টে যে ক্লেইমগুলো আছে ওগুলো অত শক্তিশালী না

আমার খুব ইচ্ছে বিজয় লেআউটের যে পেটেন্টের দাবী উনি করছেন, ওটার ডকুমেন্টটা দেখার ...

বেশ কিছু প্রশ্ন থেকে যায়
যেমন, প্রথমতঃ উনি কি এটা শুধু বাংলাদেশে করেছেন, না ওয়ার্ল্ড লেভেলে
কারণটা হলো, তিনি যখন একটা লেআউট পেটেন্ট করবেন, তখন সেই লেআউট ডিজাইনের পেছনে তিনি কি ধরনের প্রযুক্তিগত কারণ ব্যবহার করেছেন (যেমন কোয়ের্টি লেআউটের পেছনের লজিকগুলো, সম্ভবতঃ, লেখার সময় অক্ষরের ফ্রিকোয়েন্সী, বাঁহাত ডান হাতের আঙুলের অবস্থান ) সেটা জানা জরুরী।
ধরা যাক তিনি এরকম পাঁচটা প্যারামিটার ক্লেইম করেছেন, তাহলে দেখতে হবে ওগুলো অলরেডী ওয়ার্ল্ডওয়াইড স্টান্ডার্ড প্যারামিটার কিনা, কারণ তাহলে তার পেটেন্টের ক্লেইমই বাতিল হয়ে যেতে পারে।
যদি তাঁর ক্লেইমগুলো একেবারে ইউনিক হয়, তখন যদি দেখানো যায় যে ওসব ক্লেইম ব্যবহার না করেও স্টান্ডার্ড লেআউট ডিজাইনের প্যারামিটারগুলো ব্যবহার করেই কাছাকাছি রকমের কী-বোর্ড ডিজাইন করা যায়, তাহলে উনার ক্লেইমগুলো ভ্যালিড থাকবে, তবে সেগুলোর বাস্তবিক মূল্য শূন্য হয়ে যাবে। ঐ ক্লেইম দিয়ে তিনি কারো ডিজাইনকে নাকচ করতে পারবেননা।
তৃতীয় আরেকটা ব্যাপার আছে, টেকনিকাল পেটেন্টের স্থায়িত্ব খুব স্বল্পস্থায়ী হয়; উনি কবে পেটেন্ট অধিকার অর্জন করেছেন, সেটার মেয়াদ এখনও আছে কিনা এসবও চেক করে দেখা যায়।

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ভালো পয়েন্ট।

শামীম এর ছবি

প্যাটেন্টের জন্য আবেদন করেছেন ২০০৪ সালের ২৯ জুলাই। এর আগে আরেকবার ব্যর্থ আবেদন করেছিলেন: ১৯৯২ সালে - এমনই দাবী করেছেন।

সূত্র: কম্পিউটার জগত, অক্টোবর ২০০৭

এই খবরের পিডিএফ ভার্সনও পাবেন ওদের সাইটে

পেটেন্ট ক্লেইমটাও ওখানে তুলে দেয়া আছে খাইছে
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

শামীম এর ছবি

১টা কী এদিক ওদিক হলেই আলাদা লেআউট হবে - এটার সমর্থনে আইনের ধারা বা রেফারেন্সগুলো একটু দেন ... সামনে চটকনা মারতে কাজে লাগবে।

আর কাকুর পেটেন্টে কী লেখা আছে সেটা অমি আজাদ ভাইএর ব্লগ থেকে (মূল সূত্র: কম্পিউটার জগত, অক্টোবর ২০০৭) কপি করে দিলাম:

বাংলা স্ক্রিপ্ট ইন্টারফেস সিস্টেম -
1. A new Keyboard layout to write Bongolipi characters with a QWERTY based Keyboard in a computer or any other microprocessor based device has been invented and 55 Bangla characters are placed in a unique way so that all Bangla characters (Bongolipi) can be written without any hardware modification and to make it effective pairs of Bangla charactaers e.g অ+া (f), ি+ ী (d) , ু + ূ (s), ৃ +র্ (a), +ে ৈ(c), ও + ৗ (x), ক+খ (j), গ+ঘ (o), ং + ঙ (q), চ + ছ চলুক, জ + ঝ (u), ঞ + হ(i), ট + ঠ (t), ড + ঢ (e) , ন + ণ (b), ত+থ (k), দ + ধ (l), প+ফ (r), ব + ভ (h), ম + শ (m), য + য় (w), র + ল (v), স + ষ অফ যা, ্র+্য(z), ৎ + ঃ (),৭+ ঁ (7), ্‌্‌ + । (g),

has been created whereas Roman character (g) or Bangla character && (hasanta) has been defined as the link key to create vowels except A & I and almost all conjuncts.

2. A few special encoding has been done to implement the claim described in Claim 1.

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

শামীম এর ছবি

১টা কী এদিক ওদিক হলেই আলাদা লেআউট হবে - এটার সমর্থনে আইনের ধারা বা রেফারেন্সগুলো একটু দেন ... সামনে চটকনা মারতে কাজে লাগবে।

আর কাকুর পেটেন্টে কী লেখা আছে সেটা অমি আজাদ ভাইএর ব্লগ থেকে (মূল সূত্র: কম্পিউটার জগত, অক্টোবর ২০০৭) কপি করে দিলাম:

বাংলা স্ক্রিপ্ট ইন্টারফেস সিস্টেম -
1. A new Keyboard layout to write Bongolipi characters with a QWERTY based Keyboard in a computer or any other microprocessor based device has been invented and 55 Bangla characters are placed in a unique way so that all Bangla characters (Bongolipi) can be written without any hardware modification and to make it effective pairs of Bangla charactaers e.g অ+া (f), ি+ ী (d) , ু + ূ (s), ৃ +র্ (a), +ে ৈ(c), ও + ৗ (x), ক+খ (j), গ+ঘ (o), ং + ঙ (q), চ + ছ চলুক, জ + ঝ (u), ঞ + হ(i), ট + ঠ (t), ড + ঢ (e) , ন + ণ (b), ত+থ (k), দ + ধ (l), প+ফ (r), ব + ভ (h), ম + শ (m), য + য় (w), র + ল (v), স + ষ অফ যা, ্র+্য(z), ৎ + ঃ (),৭+ ঁ (7), ্‌্‌ + । (g),

has been created whereas Roman character (g) or Bangla character && (hasanta) has been defined as the link key to create vowels except A & I and almost all conjuncts.

2. A few special encoding has been done to implement the claim described in Claim 1.

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

তৌফিক হাসান [অতিথি] এর ছবি

চমৎকার বিশ্লেষনের জন্য ধন্যবাদ। খোমাখাতায় শেয়ার করলাম।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

চলুক

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

ভালো কিছু ফন্ট দরকার। আর প্রিন্টিং কাজে অভ্র ব্যবহারের জন্য কিছু নির্দেশনা।
৫হাজার টাকার একুশে কিনে ৫০টাকার বায়ান্নোর চেয়ে কিছু পাওয়া যায়নি।

সামনে শুধু অভ্রেরই দিন।

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আর প্রিন্টিং কাজে অভ্র ব্যবহারের জন্য কিছু নির্দেশনা।

একটু বিস্তারিত বলবেন? তাহলে হয়তো কারিগরী দিক থেকে আলোকপাত করতে পারতাম, ডেমো তৈরি করে দিতে পারতাম, ইত্যাদি।

মেলিতা [অতিথি] এর ছবি

ভাইয়া জব্বার সাহেবের ওয়েবসাইটের লিঙ্কটা একটু দেওয়া যাবে?
দেখতাম কি রকম হ্যাকিংপ্রুভ ওয়েবসাইট বানালো?

পল্লব এর ছবি

লেখক/লেখিকার নাম কই? নাম না জানলে গায়েবী ধন্যবাদ দিতে হচ্ছে যে! হাসি

অসাধারণ বিশ্লেষণ! লেখাটার দরকার ছিল। শেয়ার দিলাম।

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

জি.এম.তানিম এর ছবি

ওনার খেপে থাকার একটা কারণ জানা যায় এখান থেকে...auto

Mustafa Jabbar II

18 April at 20:00

Report

When you support a pirated product & when you use that who are you? Look at the law and define yourself. If you are hurt by mp3,
why I am not hurt by my patent? You know AVRO has killed my 50 million taka business of Election Commission. What I do to stop piracy is known to almost everybody who follows the track. Do not make comments on elders if you are not sure about his/her activities. I am not debating on AVRO-I am just asking you to read the laws of the land mentioned in my earlier mail

(সরাসরি কপি মারলাম, তাই ইংরেজিতে লিখতে হলো)
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

হিমু এর ছবি

দরিদ্র দেশের ৫ কোটি টাকা বাঁচিয়ে দিয়েছে মেহদী, এ কারণে কাগুর এত রাগ???

মেহদী হাসান খানকে একুশে পদক দিতে হবে!



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

অতিথি লেখক এর ছবি

সহমত

---- মনজুর এলাহী ----

পলাশ রঞ্জন সান্যাল [অতিথি] এর ছবি

বিশ্লেষণ থেকে অনেক কিছু শিখলাম। আমি মুখস্থ করতে অপছন্দ করি। বিজয়ের বড় সমস্যা কি বোর্ড মুখস্থ করতে হয়। যেদিন প্রথম আমি অভ্র নেই, সেদিন বিশ্বাস হচ্ছিল না!! এত সহজ হবে বাংলায় লেখা। এই মুহূর্তে আমি অভ্র দিয়ে লিখছি। এমএমসির এক বন্ধুর কাছে শুনেছি, মেহেদী ভাই অভ্র বানিয়েছেন এবং তিনি নাকি মেডিক্যালের ছাত্র। শুনে আরও অবাক হয়েছিলাম।
Avro has changed everything. It’s our national pride. পুরস্কারে কি এসে যায়। রাজাকারকে বাংলাদেশে প্রধান অতিথি করা হয় আবার পুরস্কার দেওয়া হয়। অভ্র যদি ঘরে ঘরে থাকে এবং সবাই ব্যবহার করে তাহলেই হবে সবচেয়ে বড় সার্থকতা।
আমি আমার বাবার বয়সিদের দেখি অভ্র ব্যবহার করতে। বা যারা একটু কম ইংরেজি জানে তাদেরকে দেখি বিজয় মুখস্থ করতে। অনেকে জানে না বিজয়ের মত ইউনিবিজয় ফিচারটি অভ্রতে আছে। আমার মতে (হয়ত ভুল) যেদিন দেখব নীলক্ষেতের সব দোকানে অভ্রতে লেখা হচ্ছে সেদিন বুঝতে হবে বিজয়ের দিন শেষ।

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

এই দেশে 'বাল-ছাল' জানা লোক-জনই বিজ্ঞের আসনে আসীন। সর্বক্ষেত্রে এই জিনিশটা দেখা যায়, যে যা না জানে, সে তারই বিশেষজ্ঞ।

কাগুর কথায়ই ধারা পড়ে এই লোক কতটা জ্ঞানী !!! আর সেই কিনা তথাকথিত ডিজিটাল বাংলাদেশের হর্তা-কর্তা, বাহ !! আমার জানা মতে (ভুলও হতে পারে), চর্যাপদ থেকে বাংলা ভাষার উৎপত্তি, তবে ওটাও কী 'পাইরেসি'র অন্তর্ভূক্ত??

হালায় একটা পুরাই আবাল ... !!!

===============================================
রাজাকার ইস্যুতে
'মানবতা' মুছে ফেলো
টয়লেট টিস্যুতে
(আকতার আহমেদ)

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

শামীম এর ছবি

১.
কীবোর্ড লে-আউট প্যাটেন্ট করেছে ... ... খুব ভাল কথা। যদি অন্য কীবোর্ডগুলো (যেমন জাতীয় কীবোর্ড) ওটার পাইরেটেড হত তাহলে কাকু এইসব ফালতু কথা না লিখে মামলা করে সেই রায় দেখাতেন। পেটেন্টের মত একটা জটিল বিষয়, এবং বাংলাদেশে প্রথম এই ধরণের পেটেন্ট পেয়েছেন আর সঠিক দাবীতে মামলা করলে জিতবেন না ... ... ... এটা অবিশ্বাস্য নয় কি! কাজেই এই সব আস্ফালন যে ভিত্তিহীন সেটা সহজবোধ্য।

২.
প্রোগ্রাম যেই করুক না কেন, কপিরাইট নিয়োগকারী ব্যবসায়ীর ... .... এতে কোনো সন্দেহ নাই। তাই প্রোগ্রামিং না জেনেও কপিরাইট পাইতে সমস্যা নাই। কিন্তু আই.টি. বিশেষজ্ঞ হইতে মাথায় আই.টি. বিষয়ক ভাল মাল থাকা উচিত -- সেটা যে নাই তা ওনার হ্যাকিং জনিত আবুলমার্কা কথায় বোঝা গেছে! ইংরেজিতে লেখা ওয়েবসাইটও হ্যাক হয় ... ... তবে বিশেষজ্ঞ জব্বর কাকুর যুক্তি অনুযায়ী ওগুলো কোন সফটওয়্যারের সমস্যার কারণে হয়?

৩.
আর ২১ নং কমেন্ট থেকেও বোঝা যাচ্ছে যে কোনো কী-বোর্ডই নকল হয়নি। বরং ওনার তথাকথিত কীবোর্ডটিও একটি রিসার্চ গ্রুপের ফলাফল অন্যায়ভাবে নিজের নামে মেরে দেয়ার অভিযোগ শোনা যায়। তাই একেই তো ধোপে টিকবে না তার উপর মামলা করলে যে কেঁচো খুড়তে গিয়ে সাপ বের হয়ে পড়তে পারে ... ... ... উল্টা নিজেকেই ড়্যাবের হাতে ধোলাই খেতে হতে পারে!!

৪.
অভ্রর মধ্যে ওর ফোনেটিক কীবোর্ড ছাড়াও অন্য কী-বোর্ড অপশন আছে। সম্ভবত পুরাতন পদ্ধতি বলে একটা বিষয় আছে যেটা বিজয়ের মত করে লেখে ... ... এটা নিরীক্ষা করে যদি হুবহু বিজয়ের মত মনে হয় তবে ওটা বাদ দেয়াই ভাল হবে। কারণ আমার ধারণা, যারা অভ্র ব্যবহার করেন, তারা ফোনেটিক লে-আউটের জন্যই ব্যবহার করেন। বিজয়ের জন্য করেন না। পুরাতন যারা বিজয়ে টাইপ করেন, তাদের দরকার হলে বিজয় কিনে ব্যবহার করুক। স্বাভাবিক বুদ্ধিতেই বোঝা যায় কম্পিউটারে বাংলা লিখতে চাওয়া নতুনদের মধ্যে শতকরা ১ ভাগেরও ফোনেটিক বাদ দিয়ে বিজয়ের মত জটিল লেআউটে লিখতে চাওয়ার কথা না - অভ্র সংক্রান্ত বিভিন্ন পোস্টে গুণমুগ্ধ ব্যবহারকারীদের মন্তব্য দেখেও এমনই ধারণা হল।

৫.
প্রিন্ট মিডিয়ার বিষয়ে তেমন আইডিয়া না থাকলেও নিজের লেখা বাংলা ব্লগগুলোর একটা সংকলন করে প্রিন্ট নিয়েছিলাম ... .... ৭০ পাতার বেশি হবে ... সবই লিনাক্স মেশিন থেকে ... ... কিন্তু কোনো ঝামেলা পাই নাই। ছবি এডিটিং-এর তেমন কাজ করতে হয় না ... ... যা-ও করতে হয় তাতে গিম্প(GIMP) দিয়ে অনায়েসেই বাংলা লিখেছি।

==
বাই দা ওয়ে: টাইপিং শিখেছিলাম অনেক আগে ... বিজয় লেআউটে। কিন্তু এখন সেই লেখা ভুলে গেছি। লিখি ইউনিজয় লেআউটে। মাঝখানে কিছুদিন প্রভাত দিয়েও লিখতাম ...কারণ ২০০৬ সালে যখন প্রথম লিনাক্স ব্যবহার করা শুরু করি, তখন উবুন্টুতে ইউনিজয় ইনস্টলের নিয়ম শিখে উঠতে মাস ৩ সময় লেগেছিলো। বিজয় ব্যবহারের প্রশ্নই উঠেনা ... ... সন্দেহ করারও অবকাশ নাই ... ... কারণ আমি ৯৯% সময়ে লিনাক্স ব্যবহার করি (১% ছাড় দিলাম, কারণ মাঝে মাঝে অন্যের পিসি থেকে দুই একটা ক্লিক মারতে হয় -- যেমন প্রতি টার্ম শুরুতে কমন টার্মিনালে বসে ছাত্রদেরকে রেজিষ্ট্রেশন করানোর সময় -- সেই সংক্ষিপ্ত সময়ে বাংলা ব্যবহার করার কোনো সুযোগ নাই - সামনের টার্ম থেকে সেটাও করা লাগবে না মনে হচ্ছে)।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

দ্রোহী এর ছবি

শামীম ভাই,

আপনার ৪ নাম্বার পয়েন্টে কিছু কথা যোগ করতে চাই। অভ্রতে ফিক্সড কিবোর্ড লে-আউট হিসাবে যে ইউনিবিজয় লে-আউটটি রয়েছে তার সাথে বিজয়ের মিল রয়েছে। ডেভলপারের তথ্যানুসারে বিজয় কিবোর্ডকে সামান্য বদলে নিয়ে এই লে-আউটটি তৈরি করা হয়েছে। যেহেতু কয়েকটি কি-পজিশন আলাদা তাই ইউনিবিজয় লে-আউটটি আইনগতভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি লে-আউট হিসেবেই গণ্য হবে। এই লে-আউটটির মালিকানা কেবলমাত্র অমিক্রনল্যাবের। বরং অমিক্রমল্যাব কতৃপক্ষকে কাগুর ধন্যবাদ দেয়া উচিৎ বিজয় শব্দটিকে জায়গা দেবার জন্য।

কাগু আইনের ভয় দেখিয়ে কিছুই করতে পারবেন না। বরং কাগুর চাপে পড়ে নতুন ভার্সন থেকে লে-আউটটি সরিয়ে দিলে একটা অন্যায় আবদারের কাছে নতি স্বীকার করা হবে।

রণদীপম বসু এর ছবি

সহমত।
তাছাড়া মেহদীর এই ভাষা উন্মুক্ত হবেই পোস্ট থেকেই তো জানতে পারছি যে অভ্র'র অন্তত ৮টি কী'তে লেআউটগত পার্থক্য রয়েছে। যেখানে একটি পার্থক্য থাকলেই ভিন্ন রাইট দাবি করা যায়, সেখানে ৮ টি !
বদ্ধ উন্মাদ আর বলদ না হলে কেউ অভ্রকে পাইরেটেড দাবি করে এটা কি বিশ্বাসযোগ্য ?

প্রিন্টিং-বান্ধব ইউনিকোড প্রযুক্তি চালু হলেই বিজয়ের কবর রচনা হয়ে যাবে সেটা সময়ের ব্যাপার মাত্র। ইতিহাসে সময়ের সেরা ভাঁড় হিসেবে কারো নাম কি গিনেস রেকর্ডে স্থান পায় ? থাকলে কাগু তো অমর হয়ে যাবে ! বাধ্য হয়ে বিজয় ব্যবহার করতে হয় বলে কাগুকে কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি এটাও জানিয়ে রাখা জরুরি যে খলনায়কের ঘৃণাও তাঁর প্রাপ্য হয়ে গেছে তাঁর নিজস্ব বালখিল্যতা প্রদর্শনের হাস্যকর লাফালাফির কারণে।

ইশশশ্ ! কী লোকটারে দামরামিতে পাইলো ! চু চু চু !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

খেকশিয়াল এর ছবি

কাগু হেরে যাচ্ছে.. খ্যা খ্যা খ্যা খ্যা খ্যা.. (বিশ্রী হাসির ইমো)

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

rhine anam এর ছবি

http://www.facebook.com/pages/AVRO-IS-BTR-THAN-BIJOY-IN-MILLION-WAYS/119418438072679
ei pg ti ekn unavailable koraisen kakku report koira onar dosh je dora porse dakbar jonno!!

পল্লব এর ছবি

ফ্যান হইলাম দেঁতো হাসি

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

কাগু এবার তার নিজের ঘাটে অভ্র তার 'পেটেন্টেড' লেআউট ব্যবহার করছে দাবী করে কান্নাকাটি করছে। এই দাবী আর পাইরেটেড সফটয়্যার হবার দাবী যে এক না সেটা কাগু বোঝে?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- দারুণ বিশ্লেষণ। চলুক

আমার ধারণা, অভ্র যদি লে-আউটের নাম ইউনিহাদুমপাদুমও রাখতো মোস্তফা জব্বার তাতেই ঘেউ ঘেউ করে উঠতেন।

এই লোকের কপাল নেহায়েতই সুপ্রসন্ন। দেশটা বাংলাদেশ না হয়ে অন্য কোনো দেশ হলে তাকে প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তায় ফেলে চটকানো হতো। আর মেহদী হাসান খান— এর বদলে একজন ঘাড়ত্যারা কেউ হলেও হতো, মোস্তফা জব্বার তখন টের পেতো বিট নুনের ছিটা কী জিনিষ, আর সেটা নিজের কাটা ঘায়ে পড়লে কেমন লাগে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

[পুনরাবৃত্ত]

-----------
চর্যাপদ

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

তার ফেসবুক স্ট্যাটাসটা দেখেছেন? ভুলে দুইটি নেতিবাচক শব্দ ব্যবহারে তার মন্তব্য হয়ে গিয়েছে এমন--- "কেউ জানে না যে অভ্র পাইরেসী না" হাসি

Mustafa Jabbar is surprised to see that many people including UNDP. Election Commission and AVRO does not feel that inclusion of Bijoy Kayboard layout in AVRO is not piracy. May we know what is called a piracy?

আলোচনা তিনি এখন লেআউটের অনুমতিতে নামিয়ে এনেছেন... কেউ যদি এখন লে আউটের বিষয়টা তাকে বোঝাতো!

-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"

-----------
চর্যাপদ

পল্লব এর ছবি

ব্যাটা কিবোর্ডও বানান করতে পারে না, লেখসে kayboard! বলদ!

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

একটু অপ্রাসঙ্গিক হলেও এখানেই লিখি।
একটা তথ্য জানতে চাচ্ছি, অভ্রের যাত্রা কবে থেকে শুরু? মানে এটা কি প্রথম ফোনেটিক বেইসড বাংলা সফটওয়ার কিনা?
(২০০১/০২ এর দিকে বর্ণসফট নামে একটা ফোনেটিক বেইসড সফটে বাংলা লিখতাম, সম্ভবতঃ ওরা মার্কেটিং পলিসির কারণে তেমন প্রসার পায়নি। পুরোপুরি ফ্রিওয়্যার ছিলোনা, বেসিক ফ্রি ভার্সনে এক ফাইলে কয়েকশো শব্দের বেশী লেখা যেতোনা। তাও সেটাকেই সবেধন নীলমনি ভেবে ব্যবহার করতাম।
ওদের হোমপেজটা এখনও আছে, মানে হয়তো এখনও আপডেট করে।
www.bornosoft.com)

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

শামীম এর ছবি

মুছিতব্য মন্তব্য।
(ভুল জায়গায় করা হয়ে গিয়েছিলো)
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

রাগিব এর ছবি

তাসনীম ভাইয়ের কাছ থেকে জেনেছি, জব্বারের বহু আগেই ১৯৮৪-৮৫ সালে প্রকৌশলী সাইফুল শহীদ বাংলা কম্পিউটিং এর সূচনা করেন তার শহীদলিপি সিস্টেমের মাধ্যমে। এমনকি, বেক্সিমকো কম্পিউটারসের মাধ্যমে বাংলাদেশে সেটা বাজারজাতও করা হয়।

আমার এই নিয়ে লেখার প্ল্যান ছিলো, কিন্তু সময় পাইনি, আপাতত আগ্রহীরা এখানে দেখে নিতে পারেন

তুলে দিলাম ওখান থেকে শহীদলিপির কথা। মোস্তফা জব্বার ৮০র দশকের শেষের দিকে বিজয় বানাবার অর্থায়ন করলেও তার বহু আগেই এই কাজ তৈরী হয়ে ছিলো। সেই কথা এখন জব্বার স্বীকার করবে না, আর হয়তো সেই প্রভাবে মিডিয়াতেও ঐ ইতিহাস প্রকাশ পাবে না।

SHAHIDLIPI was the first Bangla (Bengali) implementation in computers that appeared in 1985 after its inventor, Saif Shahid, appeared in a BBC TV program to describe the application. This was followed by other BBC Radio and Bangladesh TV programs. Ittefaq, one of Bangladesh's national newspapers, ran a front page story on Saif Shahid's SHAHIDLIPI. According to Saif Shahid, the name SHAHIDLIPI was derived from the national language movement myrters (known also as SHAHID in Bangla). However, the similarity with the author's name could be more than just a coincidence.

The initial versions of SHAHIDLIPI ran on graphics-based Apple Macintosh computers. Later a Windows-based version was also released in the market. By 1988, most government and private organizations in Bangladesh were using SHAHIDLIPI in their Bangla computer applications.

From the preface in the SHAHIDLIPI manual, it is seen that Saif Shahid has taken a conscious decision not to follow the existing Bangla typewriter keyboard. Instead he decided to follow a new keyboard which had kept similarities with existing QWERTY keyboards, thus making it easy for people used to that keyboard to switch easily to the Bangla SHAHIDLIPI keyboard.

Saif Shahid and his development team in Beximco Computers Limited developed several TrueType and screen fonts—namely Jessore, Dhaka, Faridpur, Bhola, Lalmonirhat, Chittagong, Sylhet, etc. Many later fonts marketed by other competitors have shown resemblance with these original developments. Ashraf, Alam and Rashid are a few of the original graphic artists who worked with Saif Shahid.

Besides the Bangla fonts, the original SHAHIDLIPI also completely localized the operating system in Bangla with all the alert messages and menu items converted to Bangla. This conversion was done long before any localization kits were available in the market.

----------------
গণক মিস্তিরি
মায়ানগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | টুইটার

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

পল্লব এর ছবি

আরে! এইটা তো জানতাম না!
কাগু!! রেগে টং

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

রাগিব এর ছবি

শহীদলিপির ম্যানুয়ালটা খুব ইন্টারেস্টিং। ম্যাকের পুরো ইন্টারফেইসটাকেই বাংলা করে ফেলা হয়েছিলো, উইন্ডোজে বাংলা আসার সেই ২০ বছর আগেই।

আর বাংলাপিডিয়াতে একটা তালিকা আছে বাংলা কম্পিউটিং এর উপরে, লোড হচ্ছেনা, তবে তার কপি পেলাম এখানে।

http://groups.yahoo.com/group/pdfreaders/message/209

বিজয় ৪ নম্বর সিস্টেম মাত্র। এর আগেই শহীদলিপি ও মাইনুল লিপি সিস্টেম চালু হয়েছিলো। অথচ সর্বত্র সুকৌশলে এই কথা চেপে বিজয়কেই বাংলা টাইপিং এর অগ্রপথিক বলে অনায়াসে চালিয়ে দেয়া হয়!!

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ রাগিব বিষয়টা তুলে ধরার জন্য। সাইফুজ্জোহা শহীদকে চিনি পারিবারিক সূত্রে। আশির দশকে ম্যাক প্রিন্টিং শিল্পে বেশ জনপ্রিয় ছিল, মনে হয় এই জন্যই ইউজার ইন্টারফেস বাংলায় রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। বেশ ব্যাপক কাজ বলা যায় বাংলাদেশে সেই সময়ের প্রযুক্তির বাস্তবতায়।

মোস্তফা জব্বারের নাম শুনেছি অল্প কিছুদিন আগে, আমার ধারনা ছিল শহীদলিপির কথা মানুষজন জানে। পরে তোমার একটা লেখা পড়ে এই ভুলটা ভাংগে। শহীদলিপির জনক বর্তমানে আমেরিকাতে থাকেন, উনিও ব্লগ লিখেন, ক্যাডেট কলেজ ব্লগে।

আমি যেটুকু বুঝেছি তাতে মনে হয়েছে জব্বার সাহেবের সাফল্য বিজয়ের দীর্ঘদিন মনোপলিতে, অভ্র এবং ইউনিকোডের কল্যাণে সেটা থাকছে না আর। ওপেনসোর্স আসার পর অনেক মনোপলির দিনই শেষ হয়েছে, প্রায় সমস্ত পপুলার টুলেরই ওপেন সোর্স একটা ভার্সন আছে যেগুলো বেশ শক্তিশালী। প্রায় সব বড় কোম্পানি এই সত্যটা মেনে নিয়েছে, জব্বার সাহেবকেও মানতে হবে, উনি যতই বিরক্ত হন না কেন।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

রাগিব এর ছবি

বিজয় সফটওয়ার মোস্তফা জব্বারের প্রতিষ্ঠান থেকে তৈরী করা -- প্রথম সংক্সরণ ম্যাকের জন্য করা, সেটা তৈরী করে দিয়েছিলো অ্যাপলের ভারতীয় অফিসের প্রোগ্রামার দেবেন্দ্র জোশী। (এটা মোস্তফা জব্বার নিজেই স্বীকার করেছেন অনলাইনে)। মোস্তফা জব্বার যে দাবিটি করে থাকেন, তা হলো বিজয় লেআউট-টা তার ডিজাইন করা। এই ব্যাপারের আসল ঘটনা কী, তা আমি জানি না। বিজয়ের ফন্টের ক্ষেত্রে অনেক গুজব চালু আছে যে সেগুলো অন্য ফন্ট থেকে কপি করা -- তার ব্যাপারেও বিস্তারিত জানি না। সাফল্যের সাথে বাংলা ফন্ট ও কীবোর্ড ড্রাইভার বাজারজাত করতে আনন্দ কম্পিউটার বেশ ভূমিকা রেখেছে, তা বটে, কিন্তু ইতিহাসকে বিকৃত করে নিজেকে বাংলা কম্পিউটিং এর জনক বলে দাবী করাটা একেবারেই হাস্যকর ও দুঃখজনক।

----------------
গণক মিস্তিরি
মায়ানগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | টুইটার

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

তাসনীম এর ছবি

বিজয়ের সাফল্যটা অনেকাংশেই ব্যবসায়িক। একে ওকে দিয়ে তৈরি সফটওয়্যার বছরের পর বছর দিয়ে মার্কেটিং করা হয়েছে। মাঠ খালি থাকায় গোল দেওয়া সহজ হয়েছে। আর মোস্তফা জব্বার মোটামুটি কোন কোড না লেখেই আইটি বিশেষজ্ঞ হয়ে গিয়েছেন।

কিন্তু ইতিহাসকে বিকৃত করে নিজেকে বাংলা কম্পিউটিং এর জনক বলে দাবী করাটা একেবারেই হাস্যকর ও দুঃখজনক।

একদম সত্যি। শহীদলিপির ইতিহাসটা সামনে আসা উচিত।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

শরতশিশির এর ছবি

ক্যাডেট কলেজ ব্লগে সাইফুদ্দাহার শহীদ সাহেবের একটা লেখা পড়লাম মাত্র। সেখান থেকে কোট করছিঃ

" ... ... ... বিলেত থেকে ফিরে আমি বেক্সিমকো কম্পিউটার্স-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টরের দায়িত্ব নিলাম। ইতিমধ্যে কম্পিউটারে প্রথম বাংলা শব্দলিপি – ”শহীদলিপি” করার কৃতিত্বের জন্যে বিবিসি টেলিভিশন ও রেডিও-তে আমার সাক্ষাৎকার প্রকাশ হবার পর বাংলাদেশ টেলিভিশনও আমাকে নিয়ে একটি নিয়মিত অনুষ্ঠান প্রচার শুরু করে দিলো। এ সব কিছু আমার গর্ব আরও বাড়িয়ে দিলো। আমি বেক্সিমকো থেকে আলাদা হয়ে আমার নিজের কম্পিউটার কোম্পানী শুরু করলাম। পরের বছরগুলি আরও তাড়াতাড়ি যেতে লাগলো। ... ... ... "

তাসনীম ভাই, আপনি অনুরোধ করেন ওনাকে সচলে আসতে। আর, প্রাক্তন ক্যাডেট যারা আছেন এখানে, তারাও শহীদ সাহেবকে এখানে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন এসে কিছু বলার জন্যে - আমি নিশ্চিত সেই আখ্যান ভীষণ ইন্টারেস্টিং হবে। আমরা জানতে পারবো শহীদলিপির পরের সময়কার ইতিহাসও, যেখানে হয়তো অন্যদের বাংলা লেখার সফটওয়্যার তৈরীর ইতিহাসও উঠে আসবে। তখন আরও স্পষ্ট হবে মোস্তফা জব্বারের ব্যবসায়িক মনোবৃত্তির।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

জামাল উদ্দিন এর ছবি

দারুন সিউল ভাই ! এই লেখাটা বেশ কয়েকবার শেয়ার করেছি ফেসবুকে কিন্তু আসল লেখকের খোজ পেলাম এখন !
যাই হোক , খবরটা জানার পর থেকে শিওর হতে চাচ্ছিলাম ট্যাকনিক্যালী ইউনিজয়ের জন্য অভ্রের সমস্যাহতে পারে কিনা । এখন সিওর হয়ে গেলাম । মোজো প্রথমে বলেছে অভ্র পুরোটাই নাকি চুরি করা ( বেকুবের মত পাইরেটেড বললাম না ) , এখন ফালাফালা করছে ইউনিজয় নাকি বিজয় লে-আউট থেকে চুরি করা !
রাগিব ভাইকে ধন্যবাদ লিন্কটা দেবার জন্য , অনেক কিছু জানা গেলো । মোজো তো চরম জোচ্চোর ! নাইন-টেনের নিজের লেখা কম্পিউটার শিক্ষা ( অভ্রনীল ভাইয়ের ভাষায় " উইন্ডোস ও ভিজ্যুয়্যাল বেসিক শিক্ষা " ) বইয়ে বাংলার ক্রেডিট নিজেই নিজেকে দিয়েছে !

নিভৃত সহচর [অতিথি] এর ছবি

আজ আমার ক্ষোভ কাগুর জন্য, আমার ঘৃণা কাগুর জন্য...

নীড় সন্ধানী এর ছবি

এই প্রথম মোস্তফা জব্বারের ওয়েবসাইটটিতে ক্লিক করলাম। ঢুকেই আমার জবান বন্ধ হবার পথে! এই কি ওয়েব সাইট ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রণেতার!!!!!!! এটা কি কম্পিউটার জানা কোন ভদ্রলোকের বাড়ী নাকি রাস্তায় দাড়িয়ে স্বপ্নে পাওয়া যৌন রোগের ঔষধ বিক্রেতার লিফলেটের কপি!!

ছি মোস্তফা জব্বার ছি! আপনি নিজের সফটওয়ার দিয়ে একটা সুন্দর পাতা তৈরী করার যোগ্যতা রাখেন না, আপনার মুখে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা শুনতেও লজ্জা হয়।

আপনি লজ্জিত হোন, প্লীজ!!
http://www.bijoyekushe.net/

আপনার এই ওয়েবসাইট দেখে আমরা সবাই লজ্জিত!!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

কাগু'র ওয়েবসাইটের ফিচার...

১। "বায়ান্ন" রে লিক্সে "বায়ান্নো"...

২। মন্তব্য বক্সে গিয়ে মন্তব্য কর্তে "বিজয়" থাকা লাগবো...

৩। প্রতিটা মন্তব্যতেই ব্যবহারকারীরা মোটামুটি একইরকম কথা লিক্সে। "পয়সা দিয়ে বিজয় কিন্সি, এখন এই সমস্যা হইতেসে..."

_________________________________________

সেরিওজা

এক্সোডাস [অতিথি] এর ছবি

আমি technical আলোচনার মধ্যে যাচ্ছি না (কারণ technical বিশ্লেষ্ষণ এখানে এর মধ্যে বেশ কয়েক দফা হয়ে গেছে)। আমি খালি এটুকু বলতে চাই: Windows 95 বের হওয়ার পর থেকে বিজয়-এর যতগুলো সংস্করণ বের হয়েছে, তার প্রত্যেকটার splash screen-এ কাগুর চাঁদমুখ শোভা পাচ্ছে (যতদূর মনে পড়ে, তার একটিতে তিনি বগলে তাঁর পুত্রধনকেও ধারণ করে বসে ছিলেন)। খিক। এত নগ্নভাবে attention-seeking আমি মনে হয় না পৃথিবীর আর কোনো programmer-কে করতে দেখেছি। লজ্জাজনক।

এবং এই হামবড়া মহামানব যে তাঁর সাধের program-এর নাম রেখেছেন 'বিজয়', এই নামের মধ্যে দিয়ে দেশ অথবা মুক্তিযুদ্ধকে শ্রদ্ধা জানানো নিতান্তই একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। বিজয় নামটি originally তাঁর পুত্রধনের। পুত্রের নাম কে রেখেছিল আমার তা জানা নেই, তাই সেই তর্কে যাব না, কিন্তু আমি নিশ্চিত যে বাংলা লেখার এই জঘন্য software-এর নাম তিনি পুত্রের নামেই রেখেছিলেন, এবং রাখার পর আবিষ্কার করেন যে নামটা থেকে দেশপ্রেম এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা 'ফাইট্যা পড়তেসে'। এক ঢিলে দুই পাখি...খারাপ কী?

(দ্বিতীয় para-তে যে দাবিটি করেছি, তার কোনো concrete প্রমাণ আছে কি না আমার তা জানা নেই, কিন্তু কাগুর যে record আছে এতদিনের, তার ভিত্তিতে চিন্তা করলে এই কাজ তাঁর চরিত্রের সাথে পুরোপুরি মিলে যায়। আমার বিশ্বাস অনেকেই এই বিষয়ে একমত হবেন।)

এখানে একটু বলে রাখতে চাই: আমি মুহম্মদ জুবায়েরের একমাত্র ভাগিনেয়। আমার মামা বাংলায় type করা শুরু করেছিলেন বিজয় দিয়েই (সেই Windows 3.1-এর আমল থেকে), কিন্তু blogging-এর জগতে তাঁর পদার্পণ অভ্র না থাকলে সম্ভব হত না। আমার বিশ্বাস তিনি বেঁচে থাকলে কাগুর এই ভিত্তিহীন জ্ঞানপাপী আস্ফালন দেখে বিপুল আমোদ এবং ততোধিক বিরক্তি অনুভব করতেন। এবং কাগুর কপাল নিতান্তই খারাপ হলে blog-এ ধুয়ে দিতেও সম্ভবত ছাড়তেন না। যদিও চিকা মেরে হাত ময়লা করা তাঁর প্রিয় কাজ কখনই ছিল না।

মামার মৃত্যুবার্ষিকীর মিলাদে আমার সাথে মেহদী হাসান খানের দেখা হয়েছিল। কাগু নিজেকে যেরকম larger-than-life একজন চরিত্র হিসেবে জাহির করতে পছন্দ করেন, মেহদীর মধ্যে তার লেশমাত্রও আমি দেখি নি। অতি সাধারণ একজন মানুষ, দেখে ভুলেও মনেও হয় না তিনি এত বড় একটি বিপ্লবের জন্ম দিয়েছেন।

আমি পরে বেশ কয়েকজনকে বলেছিলাম যে আমার সাথে অভ্র-র স্রষ্টার দেখা হয়েছে, এবং তিনি ফাউ ভাব মারেন না। শুনে অনেকেই অবাক হয়েছে, কিন্তু অনেকেই হয় নি। কারণ এরকম অসাধারণ একটা program লিখে সেটা বিনামূল্যে বিশ্বের কাছে যিনি ছড়িয়ে দিতে পারেন, logically তিনি হামবড়া কেউ হতে পারেন না।

অভ্র-র design-এর মধ্যেও মেহদী হাসান খানের নির্লোভ এবং নির্মোহ চিন্তাধারার ছাপ আছে। অভ্র-র splash screen-এ খেতের মধ্যে এক গ্রাম্য বালকের ছবি, এবং আমার netbook-এ-ও এমনকি খুব বেশি হলে এক second-এর জন্য আমি সেটা দেখতে পাই (যেখানে বিজয় load করলে অন্তত পাঁচ second ধরে আমাকে কাগুর খোমার অপার সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে হত)। অভ্র-র developer-দের নাম বের করতে About-এ গিয়ে Credits-এর মধ্যে হাতড়াতে হয় (আর ছবি তো নেইই)।

কাগু হয়তো এটা দেখে বলবেন যে 'hacker' নিজের নাম splash screen-এ না দিয়ে চোরের মত ভেতরে লুকিয়ে রেখেছেন, এবং ভয়ে ছবি দেন নি। তাঁর মাথায় ঘুনাক্ষরেও আসবে না যে কোনো রুচিশীল মানুষ তাঁর সৃষ্টির প্রচ্ছদে নিজের তৈলচিক্কণ চেহারার প্রতিকৃতি সেঁটে রাখেন না।

এত বড় মন্তব্য লিখে সবাইকে ঘুম পাড়িয়ে দেয়ার জন্য দুঃখিত, কিন্তু আমার স্রেফ পিত্তি জ্বলে যাচ্ছিল, তাই আর থাকতে পারলাম না। হালা আস্ত খাডাইশ একটা।

আনিস মাহমুদ এর ছবি

ভালো লিখেছিস। সচলায়তনে স্বাগতম। আতিথ্য নিয়ে মন খারাপ করিস না। আর নিয়মিত লিখতে থাক।

.......................................................................................
Simply joking around...

.......................................................................................
Simply joking around...

অমিত এর ছবি

"এত নগ্নভাবে attention-seeking আমি মনে হয় না পৃথিবীর আর কোনো programmer-কে করতে দেখেছি।"

জব্বাকু প্রোগ্রামার না। বিজয়ের কোনও কোডিং তো মনে হয় উনি করেন নাই।

বিকল্প এর ছবি

সকল সরকারি ডকুমেন্টে ইউনিকোড বাংলা ব্যবহারের সুপারিশ করেছে জাতীয় তথ্য ব্যবস্থাপনা কমিটি। খবরের লিন্কটা দেখুন:

http://www.amadershomoy.com/content/2010/04/19/news0278.htm

আমাদের সময়ের খবর হলেউ এই বিষয়টা নিশ্চই গুজব নয়।

শামীম এর ছবি

সরকারী ওয়েবসাইটগুলোও তো ইউনিকোডে হয়েছে।

http://www.bangladesh.gov.bd দেখেন।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

রাইহান হাসনাইন রহমান এর ছবি

মনে পড়ে গেল ১৯৯৯ এর একটা ঘটনা। DHAKA CD নামে একটা সিডির দোকানের মালিক-কে জব্বার কাক্কু হাজতে পাঠিয়েছিলেন শুধু তার বিজয় সফট্‌ওয়্যারটি কপি করে বিক্রী করার জন্য।

তার কিছু আর্টিকেল পড়েছিলাম বাংলাদেশের কীবোর্ডের ইতিহাস নিয়ে। সেগুলা এখন শেয়ার করতে পারলে মজা হত!

Ovi এর ছবি

খুবই বেশি মজা পেলাম লেখাটি পড়ে তার কারণ আমি একজন ওয়েব সার্ভার এডমিন এবং জানি হাচ্কিং কি কি কারণে হয়.. সত্যেই কোরবানীর ঈদে গাবতলীর হাটের সকল গরু+ছাগলকে দিয়ে লাত্থি দেয়া উচিত জব্বার কাগুকে হাসি ধন্যবাদ লেখককে

অতিথি লেখক এর ছবি

হ্যাকিং এর সঙ্গে অভ্র-র কি সম্পর্ক থাকতে পারে বোধগম্য হল না। আর অভ্রকে পাইরেটেড সফটওয়ার বলার জন্য কাগুর বিরুদ্ধে মামলা করাই উচিত। নইলে মিথ্যা হামবড়াই দিন দিন বাড়তেই থাকবে।

কৌস্তুভ

মাসুদ রানা এর ছবি

অভ্র ফোনেটিক যদিও ক্যাজুয়াল ব্যবহারকারীদের মধ্যে খুব জনপ্রিয়, কিন্তু প্রফেশনাল কাজের জন্য বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই। এমনকি ইউনিজয় দিয়েও বিজয়ের মতো স্পীড আনা সম্ভব না। এজন্য আমি অভ্র ব্যবহার করলেও হুবহু বিজয় স্টাইলে টাইপিং করি। বিজয় কী-বোর্ড লেআউটটা যদি বাংলাদেশ সরকার জব্বার সাহেবের কাছ থেকে কিনে নিয়ে সবার ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেয় তাহলে সবচেয়ে ভালো হয়।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- টাইপিং স্পিডকে প্রফেশনাল কাজ হিসেবে ধরছেন? বেশ, আমি ফোনেটিকে টাইপ করি, আমি আপনার সাথে পাল্লা দিতে রাজী আছি। আপনি বিজয় লেআউটে টাইপ করবেন, আমি করবো ফোনেটিক-এ। আসুন দেখি কোনটা বেশি 'প্রফেশনাল'!

শুধুমাত্র 'স্পিড'-এর কারণে কেনো বাংলাদেশ সরকার পয়সা দিয়ে একটা লে-আউট কিনতে যাবে যেখানে ফ্রিতেই স্পিড সমস্যার সমাধান পাওয়া যাচ্ছে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

পল্লব এর ছবি

ভাই, আপনি কেবল স্পিডের জন্য অভ্রের থেকে বিজয়কে বেশি প্রফেশনাল ভাবলে ভুল ভাবছেন। টাইপিং স্পিড যার যার অভ্যাসের ব্যাপার। বিজয়ে আপনার টাইপিং স্পিড ভাল, ঠিক আছে। কিন্তু এই স্পিড তোলার আগে কতদিন ধরে আপনাকে একটা নতুন কিবোর্ড লেআউট মুখস্থ করা লেগেছে বলবেন? আমার অভ্র ফোনেটিকের বেলায় লেগেছে ০ দিন ০ মিনিট ০ সেকেন্ড। ইউনিকোড সাপোর্ট করে, এমন কোন সফটওয়্যার দিয়ে যদি কেউ প্রফেশনাল কাজ করতে বসে, এবং তার যদি ইংরেজি qwerty লেআউট জানা থাকে তাহলে, সে সরাসরি অভ্র দিয়ে মোটামুটি অভ্যস্ত ইংরেজি টাইপিংয়ের স্পিডেই টাইপিং শুরু করতে পারবে, এরপরে স্পিড তোলাটা অল্প কদিনের অভ্যাসের ব্যাপার।

আরেকটা ছোট্ট উদাহরণ দেই। বিজয় অনেকদিন ব্যবহার করিনা, কিন্তু যদ্দুর মনে পড়ে "কো" লিখতে বিজয়ে আগে লিখতে হয় "ে", তারপর "ক", তারপর "া", অভ্র ফোনেটিকে সে জায়গায় মাত্র দুইটা কিস্ট্রোক "k", "O" বা "shift+o"।

ধন্যবাদ।

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

লীন এর ছবি

পুরাই একমত।
খুব খিয়াল কইরা...
______________________________________
লিনলিপি

______________________________________
লীন

সিউল এর ছবি

জনাব মাসুদ রানা, "কুয়োর ব্যাং" প্রবাদটির সাথে কি আপনার পরিচয় আছে ??? আমার মনে হয় নেই কারণ আপনি ভাবছেন যেহেতু আপনি বিজয়ে তাড়াতাড়ি টাইপ করতে পারেন এবং বাকিগুলি পারেন না সুতরাং নিশ্চয়ই এটাই সবচেয়ে দ্রুত টাইপ করার নিশ্চয়তা দেয়।

আপনার জানা উচিত অভ্যাসের কারণে আপনি ওটায় ফাস্ট টাইপ করেন, আপনাকে যদি আজকে চাইনিজ কিবোর্ড ধরিয়ে দিয়ে বাংলা টাইপ করতে বলি ৬ মাস তাহলে আপনিও সেই একই স্পিডে টাইপ করবেন। আপনার কাছে কি কোন প্রমাণ আছে বিজয় সবচেয়ে দ্রুত টাইপিং নিশ্চিত করে ??? কিবো্র্ড স্পিডের মত কোন একটা ব্যাপারে ম্যাথমেটিক্যাল কিংবা স্ট্যাটিসটিক্যাল প্রুফ ছাড়া কিছু একটা দাবী করা হলে শুধু সেই দাবীর অসারতাই প্রমাণিত হয়, বুঝলেন ??

যাইহোক সবশেষে আমি বলব, আমি রোকেয়া লেআউটে টাইপ করি এবং আপনাকে চ্যালেঞ্জ করলাম স্পিডে। আর হ্যা, কেন আপনি সরকার আজাইরা টাকা খরচ করুক এটা চাইছেন ??? কেন সরকারকে একটা লেআউট টাকা দিয়ে কিনতে হবে ?? সরকারের কি এমন দায় পড়েছে ???? সরকারকে আমরা ট্যাক্স দেই, আমাদের টাকার কি কোন মূল্য নাই নাই নাকি ???

ভীষণ মেজাজ খারাপ হয়ে গিয়েছে আপনার লিখা পড়ে তাই অফ যাই। অনেক প্রশ্ন করলাম, পারলে জবাব দিবেন

টিপু এর ছবি

জ়ব্বার কাগুর বাবসা য় লাল বাতি জালার ভয়ে আবল তাবল বকছে,

সচল জাহিদ এর ছবি

সিউল
এই লেখাটি সংবাদপত্রেও দেয়া উচিৎ। স্যালুট লেখাটির জন্য।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

সিউল এর ছবি

অনেকে মন্তব্য করেছেন, সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি আমাদের সচেতনতা মোস্তফা জব্বারের ধান্ধাবাজীকে কোনদিনই সফল হতে দিবে না হাসি

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

বিজয়ের পেটেন্টখান খুঁজতেসি। পেটেন্টের দাবী গুলা কি? কোন দেশের পেটেন্ট? সফ্ট লেআউট পেটেন্টযোগ্য কিনা সেটা নিয়েও সন্দেহ আছে।

rhine anam এর ছবি

আমার এক বিদেশি বন্ধুকে যখন বললাম এই কী-বোর্ড লে-আউট এর ব্যাপার...সে তখন কাগু কে ডাইরেক্ট ইডিয়ট বলল:P

কেউটে সাপ এর ছবি

জব্বার কাগুকে মেইল করছিলাম ঘৃনা জানিয়ে। উত্তর পেলামঃ

I have not written a single word which is not true. if you have that courage why do not you challenge it in the legal process. Laws are there to protect truth.

2010/4/17 My Name

আপনি কিভাবে এত মিথ্যা বলেন? টাকার জন্য এভাবে মিথ্যা বলতে হয়?

ছিঃ

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

কাগুর ফেইসবুকের বন্ধুরা তার প্রতিবাদ করায় ডিলিট মারতেসেন। উনার প্রতিবাদকারীদের criminals who want to damage our dream of Digital Bangladesh. They are political workers of anti Digital Bangladesh forces অভিহিত করে হুংকার ছাড়তেসেন।

উনি বারবার দাবী করতেসেন, উনার কপিরাইট পেটেন্ট ইত্যাদি আছে ১৯৮৯ থেকে। এখন লে আউটে কপিরাইট হয় না নিশ্চিত, আর পেটেন্ট ২০ বছর পর পাবলিক ডোমেনে চলে যায়। ওনার দাবী মতে তো তাহলে বিজয় লে আউট এখন মুক্ত!

উনি এই হাউকাউটা না করে বরং ২০০৯ সালে "আজ থেকে বিজয় লে আউট মুক্ত" বলে একটা পার্ট নিতে পারতেন।

শাহীন এর ছবি

জব্বার কাগু আসলেই পাগল। তা না হলে তিনি এই কথা বলার আগে নিজের মান সম্মান নিয়ে ১ বার ভাবতেন। কারণ আমাদের দেশের সবাই অত বোকা না যে, তিনি যা বলবেন তা বিচার বিশ্লেষণ না করেই মেনে নেবে।

আসাদ ইকবাল এর ছবি

আচ্ছা ভাই, সবাই মিলে ফান্ড গঠন করে ওনার বিরুদ্ধে আইনগত কোনো ব্যাবস্থা নেয়া যায় না যেন ভবিষ্যতে আর ঝামেলা না পাকায়? কত্তো কাজ বাকি থেকে যায় প্রতিদিন আর উনি আছেন ওনার তালে। আর সবাই আছে খালি গালিগালাজ করে, আমার তো তা ও করতে রুচি হয় না। আপনারা যারা বড় ভাইরা আছেন সবাই মিলে একেবারে ওনার মূখ বন্ধ করে দেন না। পাগলের পাগলামি দেখতে আর কত ভালো লাগে, হোক সেটা যতই মজার।

তারাপ কোয়াস [অতিথি] এর ছবি

শামীম ভাইয়ের ৪নং পয়েণ্ট নিয়ে দ্বিমত পোষণ করছি । আমি ব্যক্তিগত ভাবে ইউনিজয় লেআউট ব্যবহারে অভ্যস্ত, ফোনেটিক টাইপিং জীবনে কখনো চেষ্টা করিনি। ইউনিজয় লেআউট অভ্র থেকে বাদ দেয়ার কোন কারণ নেই(দ্রোহীর মন্তব্য দ্রষ্টব্য)।
কাগুর জন্য মাকসুদের একটা গান প্রেসক্রাইব করছি: "দিন ফুরাইলো, আল্লা রসুল বলো, মানব জনম তো গেল বিফলেরে"

রঙ্গীলা এর ছবি

স্যালুট জানাই মেহদী হাসান খান আপনাকে । আপনার কারণেই আজ আমারা এত সুন্দর বাংলা লিখতে পারছি ।
জানবেন, আমরা আপনার পাশে আছি, থাকবো।

ওডিন এর ছবি

কেচো খুঁড়তে গিয়ে দেখি শুধু সাপ না- একেবারে ব্রন্টোসরাস বের হয়ে যাবার দশা! মহান ভাষাকাকুর ব্যপারে এতকিছু তো জানতাম না!
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

বিদ্রোহী [অতিথি] এর ছবি

নজরুল ইসলাম লিখেছেন:
অন্য একটি লেখার প্রতিবাদে কাগু বলেছেন আমরা নাকি তার সম্পর্কে কিছুই জানি না। উনি নাকি টাকার পিছে দৌড়ান না কখনো। টাকার পেছনে দৌড়ালে তিনি নাকি অন্যরকম একজন মানুষ হতেন... গড়াগড়ি দিয়া হাসি

উনি টাকার পিছনে দৌড়ান না কারন সেই যোগ্যতাই উনার নেই।আর যাই হোকনা কেন বিজয়ের মত জিনিষ বানিয়ে টাকা কামানর দিন শেষ হয়ে গেছে। এমনকি আমাকে যদি উনি বিজয় ফ্রী দেন এবং সাথে আরো টাকা ঘুষ দিতে চেয়ে বিজয় ব্যবহার করতে বলেন আমি তবু বিজয় ব্যাবহার করব না।

বিদ্রোহী [অতিথি] এর ছবি

মাসুদ রানা লিখেছেন:
অভ্র ফোনেটিক যদিও ক্যাজুয়াল ব্যবহারকারীদের মধ্যে খুব জনপ্রিয়, কিন্তু প্রফেশনাল কাজের জন্য বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই। এমনকি ইউনিজয় দিয়েও বিজয়ের মতো স্পীড আনা সম্ভব না। এজন্য আমি অভ্র ব্যবহার করলেও হুবহু বিজয় স্টাইলে টাইপিং করি। বিজয় কী-বোর্ড লেআউটটা যদি বাংলাদেশ সরকার জব্বার সাহেবের কাছ থেকে কিনে নিয়ে সবার ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেয় তাহলে সবচেয়ে ভালো হয়।

আপনার পোষ্ট পড়ে আমার মনে হয়েছে যে আপনি নাক উঁচু লোক যিনি কিনা পুরাতন কে নিয়ে পড়ে থেকে নিজেকে প্রচার করতে পছন্দ করেন ব্যতিক্রমী হিসাবে। আমার এক কাজিনও এই রোগে আক্রান্ত। সে আগে যে কম্পানীতে জব করত সেই কোম্পানির দেয়া হাই স্পীড ইন্টারনেট ইউস করত আর ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ইউস করত। আমি ফায়ার ফক্স ইউস করি তাই সে আমাকে বলত যে বলদ আর মফিজ রাই নাকি ফায়ার ফক্স ইউস করে। যাহোক সে এখন সরকারী চাকরি করে তাই ওই কোম্পানির দেয়া হাই স্পীড ইন্টারনেট পায় না তাই নিজেও ফায়ার ফক্স ইউস করে এবং কারন হিসাবে দেখায় যে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার স্লো। বিজয়ের ব্যাপারেও তার অবসেশন আছে আপনারি মত!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।