জহরতি কারবার

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: সোম, ২১/০১/২০১৩ - ৭:২৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঢাকার নবাব শায়েস্তা খাঁর সাথে যখন আরাকানের রাজার সঙ্গে যুদ্ধ চলছিল তখন আমি ঢাকা যাই। শায়েস্তা খাঁ ছিলেন অতি চতুর ব্যক্তি, আরাকান রাজার অফিসারদের কোথায় কাকে কত টাকা ঘুষ দিতে হবে তা ছিল তার নখদর্পনে। এছাড়া আরাকানরাজের অধীনে কাজ করা পর্তুগীজদেরও তিনি ভাগিয়ে আনেন।

১৪ জানুয়ারি আমি নবাবকে সেলাম জানাতে তার প্রাসাদে যাই। তার জন্য ভেট নিয়েছিলাম সোনালি জরির কাজ করা রেশমি কাপড় আর বহুমূল্য একটি পান্না। সন্ধ্যায় আমি ওলন্দাজদের কুঠিতে ফেরত যাই, তাদের সাথেই আমি থাকছিলাম ঢাকায়। সেখানে নবাব পাঠালেন বেদানা, দুইটি পারস্যের তরমুজ আর তিন রকম আপেল।

পরদিন আমি তাকে আমার বিক্রয়ের মাল দেখালাম। তখন তার সাথে রাজপুত্র অর্থাৎ তার ছেলেও ছিল। আমি বিক্রির জন্য বের করলাম অন্যান্য জিনিসের সাথে একটা সোনার কেসওলা ঘড়ি, একজোড়া রূপার পাত বসানো পিস্তল আর একটা দূরবীণ। নবাব আর তার বছর দশেকের পুত্রের এসবই কিনে নিলেন, দাম পড়ল পাঁচ হাজার লিভে (Livre) এর মত।

১৬ তারিখ আমাকে উজির রসিদ লিখে দিলেন যেটা কাশিমবাজারে দেখালে আমি টাকা পেয়ে যাব। ঢাকার ওলন্দাজেরা আমাকে সাবধান করে দিল যে কাশিমবাজারের পথ মোটেই নিরাপদ না। সেখানে নদীপথে যেতে হয় কারণ স্থলপথ দুর্গম জঙ্গল আর জলকাদায় ভর্তি। পানিতে সমস্যা হল মাঝ দরিয়ায় ভারি বাতাস, আর ছোট নৌকা প্রায়ই ফট করে উল্টে যায়। মাঝেমধ্যে মাঝিরা যখন টের পায় যে প্যাসেঞ্জার ব্যাটা মালদার তখন ওরা নিজে থেকেই অনেক সময় নৌকা উল্টে দেয় পরে নদীর তল থেকে সোনারূপার পুঁটলি হাতিয়ে নেয়ার মতলবে।

আরো কয়টা দিন ওলন্দাজ, ইংরেজ আর পর্তুগীজদের সাথে দেখা করে আর কিছু মালসামান কিনে আমি ঢাকা ছাড়ি ২৯ তারিখ। ওলন্দাজ তাদের ছোট সশস্ত্র নৌকা দিয়ে আমাকে কিছুদূর এগিয়ে দিল। নদীতে কাটল ফেব্রুয়ারির ১১ তারিখ পর্যন্ত, তারপরে নৌকা একটা বড় গাঁয়ে ভিড়ল। সেখানে আমি একটা ঘোড়া কিনলাম নিজে চড়ার জন্য, কিন্তু মালপত্তরের জন্য আরেকটা ঘোড়া মিলল না। বাধ্য হয়ে ভাড়া করলাম দুইটি রমণীকে, তারা কাঁধে করে আমার মাল বইল। সন্ধ্যেবেলা পৌঁছালাম কাশিমবাজার।

ওলন্দাজ বড়কর্তা আর্নুল ফন ওয়াখটনডঙ্ক আমাকে ভারি আদরযত্ন করে তার বাড়িতে নিয়ে যান। পরদিনটা আমি তার সাথেই কাটাই, কারণ ১৪ তারিখ ওয়াখটনডঙ্কের তার হেড অফিস হুগলীতে ফিরত যাবার কথা। ১৫ তারিখ ওলন্দাজ আমাকে পাল্কি দেয় মুর্শিদাবাদ যাবার জন্য। মুর্শিদাবাদ বড় শহর, সেখানেই শায়েস্তা খাঁর রাজস্ব কর্মকর্তার অফিস। তাকে আমি আমার রসিদ দেখালাম। তিনি মনোযোগ দিয়ে পড়ে বললেন যে রসিদ ঠিক আছে এবং টাকাও প্রস্তুত, তবে কিনা ঠিক আগের দিন নবাব তাকে চিঠি লিখে পয়সা আটকে দেবার হুকুম দিয়েছেন। কোন কারণ বলা হয়নি।

মাথা চুলকাতে চুলকাতে আমি ঘরে ফিরে গেলাম। এটা কেমন হল! ১৬ তারিখে আমি নবাবকে পত্র দিলাম ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে। পত্রবাহক চলে গেলে আমি হুগলির পথ ধরলাম, সেখানে অনেক ওলন্দাজের বাস। তাদের সাথে চমৎকার দিন কাটে আমার, ইয়োরোপীয় বাগানের মতই প্রশস্ত বাগানে বসে আমরা নানাবিধ সালাদ খেলাম, খেলাম বাঁধাকপি, অ্যাসপেরাগাস, মটরশুঁটি আর সিম। সিমের বীজ সুদূর জাপান থেকে আনা। ওলন্দাজেরা এইসব সব্জি ভারতে সাফল্যের সাথে উৎপাদন করলেও আর্টিচোক তারা কোন কারণে ফলাতে পারেনি। হুগলি ছিলাম আমি মার্চের দুই তারিখ পর্যন্ত, তারপরে ৫ তারিখে ফের যাই কাশিমবাজার।

এরপর মুর্শিদাবাদে গিয়ে সেই খাজাঞ্চিকে গিয়ে ধরলাম আর জিজ্ঞেস করলাম ওহে নবাব আর কোন চিঠি দিয়েছে নাকি? তাকে বললাম যে আমি শায়েস্তা খাঁকে চিঠি আগেই পাঠিয়েছি আর তার উত্তরের অপেক্ষায় আছি। এছাড়া ওলন্দাজ কুঠিসর্দারও নবাবকে আলাদা চিঠি দিয়েছে এ ব্যাপারে। খাজাঞ্চি সায়েব কইলেন হ্যাঁ চিঠি এসেছে বটে, তাতে লিখা তোমার রসিদের টাকা থেকে বিশটি হাজার রূপি কম পাবে। টাকা নেবে কিনা বল? নিলে এস সইসাবুদ করে দিচ্ছি টাকা নাও, নইলে ঢাকা গিয়ে নবাবের কাছ থেকে মাল ফেরত নিয়ে এস।

আমি সবই বুঝলাম। নবাবের এই অদ্ভুত হুকুমের কারণ বুঝতে হলে ফিরে তাকাতে হবে মোগল দরবারের দিকে। বলি শুনুন।

তখন আওরঙ্গজেবের আমল। তার দরবারে তিন জহুরির ভারি দাপট। তাদের দুইজন পারস্যের আর একজন ভারতীয় সওদাগর। তারা করত কি মোগল দরবারে ইয়োরোপীয় বা বিদেশী যেকোন ব্যবসায়ী হীরেজহরত বেচতে এলে সম্রাটের আগে তারা সেটা পরীক্ষা করত। মাঝে মাঝে জোর করেও পাথর কেড়ে নিয়ে যাচাই করা হত। দুই পারস্যের জহুরির একজনের নাম ছিল নবাব আকিল খাঁ, সে মূল্যবান পাথর যাচাই করত। পারস্যের অন্যজনের নাম ছিল মির্জা মহসিন, সে পাথরের উপর খাজনা নির্ধারন করত। আর ভারতীয় সওদাগর নায়েলচান্দের কাজ ছিল পাথরে কোন খুঁত আছে কিনা বা পাথর ঝুটা কিনা তা পরীক্ষা করা।

এই তিন সর্দার মিলে সম্রাটের পরোয়ানা বের করে আনে যে সকল পাথর সম্রাটের কাছে যাবার আগে তাদের হাতে পরীক্ষা হয়ে যাবে। এরা শপথ নিয়েছিল যে কখনোই কারো কাছ থেকে কিছু নেবেনা, তবে চান্সে এরা দুয়েকটা মণিমাণিক সরাতো ঠিকই। অথবা সরানোর বদলে মাঝে মাঝে দাম একবারে অর্ধেক কমিয়ে বলত যাতে সম্রাট আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। আওরঙ্গজেব বাদশা হীরেজহরত তেমন পছন্দও করতেন না, তার আগ্রহ ছিল সোনা আর রূপায়। বড় বড় উৎসবে মোগল বাদশাকে উপহার দেবার মত দামী পাথর না পেলে অনেক অভিজাত ব্যক্তি সোনার রূপি উপহার দিতেন। তবে সোনার রূপির চেয়ে মণিমুক্তা অধিকতর আভিজাত্যের প্রতীক ছিল। এইসব উৎসবের সময়েই সম্রাটের খাজাঞ্চিখানার মূল্যবান হীরে জহরত অভিজাতদের কাছে বিক্রয়ের জন্য খুলে দেয়া হত। সম্রাট জানতেন যে ঈদেচান্দে এই অভিজাতদের দল যখন বাদশাকে বাধ্যতামূলক ভেট দেবার জন্য পাথর তালাশ করবে তখন এগুলিই আবার উপহার হিসেবে বাদশার কাছে ফেরত আসবে। এভাবে টাকা আর পাথর দুইই বাদশার রইল।

তিন জহুরির সর্দারির আরেকটা খারাপ দিক ছিল। সম্রাট দেখে ফেরত দিলে অন্য কেউই সেই পাথর কেনার ঝুঁকি নিত না। এছাড়া তিন জহুরির অধীনে কাজ করত এক বিরাট জহুরি ব্যাটালিয়ন, তাদের কেউ হীরে জহুরি কেউ চুনি জহুরি কেউ পান্না জহুরি কেউ মোতি জহুরি। তারা মিলে বিরাট খাতায় পাথরের জাত ওজন আকার রং কাট সব নিখুঁতভাবে লিখে রাখত। পরে সেই পাথর যদি সওদাগর তিন জহুরিকে না দিয়ে অন্য কারো কাছে বেচতে নিয়ে যেত তখন এই জহুরির দল তাদের পাথরের সকল তথ্য দামসহ পাঠিয়ে দিত ক্রেতার ঠিকানায়। সেই কাগজে পাথরের নিখুঁত বর্ণনা থাকলেও দাম ইচ্ছে করে অর্ধেকের কম বলা হত। এইভাবে পাথরের মালিক ঠকতে বাধ্য হত। এই বেনিয়াদের ব্যবসা ইহুদিদের থেকেও হাজারগুনে খারাপ, বদবুদ্ধিতে এদের জুড়ি মেলা ভার। মানুষকে ঠকাতে এরা হেন কাজ নেই যা করতনা।

আমি যখন জাহানাবাদে যাই তখন এই তিনজনের একজন আমাকে এসে বলল সম্রাট নেই কিন্তু তারা পাথর পরীক্ষা করে দেখতে চায় সম্রাটের কাছে যাবার আগে। আমি রাজি হইনি। পরদিন তারা আবার আসে একে একে, আর তাদের চোখ নেচে ওঠে ষোল থেকে তিরিশ ক্যারেটের নয়টা মোতির একটা বড় কণ্ঠহার আর পঞ্চান্ন ক্যারেটের একটা বিরাট মোতি দেখে। আমি এই তিনজনকে কিছু বিক্রি করব না এইটা স্থির করেছি দেখে তিন জহুরি বাদশার আত্মীয় জাফর খাঁ কে খবর দেয় আর আমার মালগুলি জাফর খাঁ এর কাছে নিয়ে যাই দেখাতে। জাফর বড় মুক্তাটা দেখে অস্থির হয়ে পড়েন আর বলেন এটা তিনি উপযুক্ত দাম দিয়ে কিনে নেবেন আর এর কথা যেন সম্রাটের কানে না যায়। জাফর বলেন যে এটা তিনি সম্রাটকেই উপহার হিসেবে দেবেন।

যাই হোক জাফর খাঁ আরও বেশ কিছু মণিমাণিক আমার কাছ থেকে কিনে দেন আর আমার দামেই রাজি হন। কয়দিন পরে তিনি খবর পাঠান যে অন্যান্য কিছু ঠিক আছে কিন্তু মুক্তার জন্য তিনি দশ হাজার রূপি কম দেবেন। সেই তিন জহুরি তাকে বলেছে যে তারা আমার কাছ থেকে নাকি আরও আট/দশ হাজার রূপি কমেই কিনতে পারত, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। জাফর খাঁ বলে পাঠান যে ঐ দামই ফাইনাল, পছন্দ না হলে যেন আমি মোতি ফেরত নিয়ে যাই। আমি তাই করলাম, খামোখা কম দামে বিক্রি করার কোন অর্থ হয়না।

সেই তিন জহুরি পরে যখন খবর পায় যে আমি বাংলায় যাচ্ছি তারা শায়েস্তা খাঁকে লিখে পাঠায় হুঁশিয়ার সাবধান, এই ফরাসী এক মোতি নিয়ে আসছে যার দাম সে যা হাঁকছে তার হাজার দশেক রূপি কম। এই মোতি জাফর খাঁকে সে বেচার চেষ্টা করেছিল বেশী দামে কিন্তু হালে পানি পায়নি, এবার তোমাকে সেই মুক্তা বেচতে আসছে।

চিঠিতে আমার অন্যান্য পাথরের দামও কমিয়ে বলা হয়েছিল। সেই চিঠি শায়েস্তা খাঁর হাতে যায় আমাকে রসিদ লিখে দেবার পরে। সেইজন্য শায়েস্তা খাঁ রসিদের উপর স্টপ পেমেন্ট করে খাজাঞ্চিকে চিঠি পাঠান আর বলেন যে বিশ হাজার রূপি কম দেয়া হবে, নিলে নাও নইলে ভাগো।

উপায়ন্তর না দেখে আমি রফা করে দশ হাজার রূপিতে কমিয়ে আনি আর নবাবের খাজাঞ্চি আমাকে টাকা বুঝিয়ে দেন।

….....................................................................
জঁ ব্যাপ্তিস্ত তাভের্নিয়ে রচিত “Travels in India” বইয়ের কিছু অংশের ভাবানুবাদ।

পাদটীকা

  • ১. ফরাসী পর্যটক ও জহরতওয়ালা জঁ ব্যাপ্তিস্ত তাভের্নিয়ে
  • ২. মুর্শিদাবাদের বড় শহর কাশিমবাজার, কোলকাতা গঠনের আগে এই শহরের শক্ত বাণিজ্যিক গুরুত্ব ছিল

মন্তব্য

ফাহিম হাসান এর ছবি

অতি উত্তম চলুক

সত্যপীর এর ছবি

বেচারা বৈদেশি দশ হাজার রূপি লস খাইল আর আপনে বলেন উত্তম। ইন্সাফ্নাই।

..................................................................
#Banshibir.

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

পীর সাহেব, রাত হয়ে গেছে । আগামী কাল হল সপ্তাহের “পিছা মারা” দিন, কেরানীর কাজে যেতে হবে । কাজেই এই বাদশাহী তেজারতের লেখায় হাত দিচ্ছি না ।

তবে, বেঁচে বর্তে থাকলে ইনশাল্লাহ আগামী কাল । ইতোমধ্যে তো এক অর্থনীতিবিদের লেখার আরেক অর্থনীতিবিদ মন্তব্য করেই ফেলেছেন, দেখছি দেঁতো হাসি

বেশী বেশী অর্থনীতিবিদ এক সঙ্গে হলে বিপদের আশংকা । কথায় আছে, এক বিষয়ে দুই অর্থনীতি মিনিমাম তিনটি মত পোষন করেন । আর তো “অন দা আদার হ্যান্ড” আছেই চোখ টিপি

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

ফাহিম হাসান এর ছবি

এক বিষয়ে দুই অর্থনীতি মিনিমাম তিনটি মত পোষন করেন । আর তো “অন দা আদার হ্যান্ড” আছেই।

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

সত্যপীর এর ছবি

আগামী কাল হল সপ্তাহের “পিছা মারা” দিন, কেরানীর কাজে যেতে হবে ।

এত কাজ করে হইব কি কন দেখি জোহরাপা? বাদ্দেন। আসেন গপসপ করি।

এক বিষয়ে দুই অর্থনীতি মিনিমাম তিনটি মত পোষন করেন । আর তো “অন দা আদার হ্যান্ড” আছেই

হো হো হো অনেক দিন পরে শুনলাম আদার হ্যান্ড জোকস।

..................................................................
#Banshibir.

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

এত কাজ করে হইব কি কন দেখি জোহরাপা? বাদ্দেন। আসেন গপসপ করি।

পীর সাহেব, গফসফের ইচ্ছা কি আর হয় না (দীর্ঘ শ্বাস) । কী আর করা...আমিতো এখনো সম্মানিত “গেস্ট” । একবার আফনের লাহান সচল হই, তারপরে “সচল ফান্ড”এর ভাগ পামু । হেই বেলা কেরানীর কামলাগিরি ছাইড়া মনের হাউস মিটাইয়া গফ সফ করুম ।
রেফারেন্সঃ সচল আড্ডা

দেখলেন, কেমন রেফারেন্স সহকারে দিয়া দিলাম ? ইকোনো-মিস্ট এর মত চোখ টিপি

অনেক দিন পরে শুনলাম আদার হ্যান্ড জোকস।

কন কী ? আমগো আর কাম কী, কন ? আম জনতারে সকল সময় মনে করাইতে হইব যে, তাদের দুই হাত আছে । “ইন দা ওয়ান হ্যান্ড” আর “অন দ্য আদার হ্যান্ড” এই দুই হাতের ধাঁধাঁয় না ফালাইলে আর “ইকোনো-মিস্ট” হইলো ক্যামতে ? আর মিস্ট মানেইতো “মিস্টিক”, মানে ধুঁয়াশা...

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

সত্যপীর এর ছবি

আর সচল হাচল হিসাব কইরা কি হইব, কইলামইতো বাদ্দেন। সুখদুখের গপ্সপ করি। প্রোফাইলে উঁকি দিয়া দেখলাম রাজধানী শহরে থাকেন, নিউ ইয়র্কে আইবেন তো গপসপ করতে?

..................................................................
#Banshibir.

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

পীরসাহেব, আপনারে আসল কথাই বলা হয় নাই । এই হীরা জহরতের গল্প ভালু পাইছি । এই মধ্যসত্ত্বভোগিরা সব আমলেই খ্রাপ ছিল ।

সেখানে নবাব পাঠালেন বেদানা, দুইটি পারস্যের তরমুজ আর তিন রকম আপেল।

তরমুজের আমদানী পারস্য থেকে কেন হয়েছিল ? এই অঞ্চলে তরমুজ ফলতো না তখন ?

নিউ ইয়র্কে আইবেন তো গপসপ করতে?

আইতে তো মনে টানে (দীর্ঘশ্বাস) । দেখি কপালে কী কয় মন খারাপ

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

সত্যপীর এর ছবি

পারস্যের জাত আর কি। ভারতীয় তরমুজের থেকে ওগুলি সাইজে বড় আর বেশী মিষ্টি ছিল মনে হয়।

আইতে তো মনে টানে (দীর্ঘশ্বাস)

আইসা পড়েন।

..................................................................
#Banshibir.

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

- কোন বছরের জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারীর কথা বলা হল? ১৬৬৬, তাই না?

- মালের দাম ৫,০০০ লিভে। এটা কি গোল্ড লিভে না কি সিলভার লিভে?

- গচ্চার পরিমাণ ১০,০০০ রূপী। ঐ শুয়োরের বাচ্চার টাকায় আট মণ চালের হিসাবে গচ্চার বর্তমান পরিমাণ ৮,৯৫,৬৮,০০০ বাংলাদেশী টাকা!!! এখানে চালের বর্তমান মূল্য ১ কেজি = ৩০ বাংলাদেশী টাকা ধরা হলো। গচ্চার পরিমান ৯ কোটি টাকা হলে মালের দাম কতো??

- ১৬৬৬ সালে লিভে'র বিপরীতে স্বর্ণ বা রূপীর দামটা পেলাম না। ১৬৬৬ সালের ১ পাউন্ড স্টার্লিং = ২০১৩ সালের ২,৪৫০ বাংলাদেশী টাকা। এখন লিভে ভার্সাস পাউন্ড স্টার্লিং-এর এক্সচেঞ্জ রেটটা জানতে পারলেই হতো। এক হিসাবে পেলাম, ১ পাউন্ড স্টার্লিং = ১৩ livres ৬ sols ৮ deniers। এটা মনে হয় রূপার লিভে'র হিসাব।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

তাভের্নিয়ে তো দেখা যাচ্ছে কয়েকশো টাকার রত্ন পাথর নিয়ে(এখনকার হিসেবে) ঘোরাফেরা করতো।

আব্দুল্লাহ এ.এম.

সত্যপীর এর ছবি

-১৬৬৬ ই পাণ্ডবদা।

- গোল্ড সিলভার বলতে পারলাম না, তবে বইয়ের অ্যাপেনডিক্সে অন্য একটা হিসাবে দেখলাম ৭২০ লিভে = ৫৪ পাউন্ড স্টার্লিং। আপনের শেষ হিসাবের সাথে মিলে যায়, ১ পাউন্ড স্টার্লিং = ১৩.৩৩ লিভে।

..................................................................
#Banshibir.

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

আহারে! কত টাকা ক্ষতি হয়ে গেল!

সত্যপীর এর ছবি

শঠে শাঠ্যং!

..................................................................
#Banshibir.

আলতাইর এর ছবি

আহ! বহুত দিন পর আপ্নের লেখা!!
এইটা কোন তাভেরনিয়ে? ওইযে অভিশপ্ত হীরা ব্লু ডায়মন্ড না হোপ ডায়মন্ড কিনে ধরা খাইসিলো সেই লোক? আহা বেচারা ভারতে আইসা খালি ধরাই খাইলো!!

সত্যপীর এর ছবি

অভিশপ্ত হীরার কাহিনী গল্পই মনে হয়, তাভের্নিয়ের শেষ জীবন নিয়ে নানান কানকথা শুনা যায় শুঞ্ছি।

..................................................................
#Banshibir.

আলতাইর এর ছবি

ইতিহাসের বেশীরভাগই তো কানকথা। তবে লোভ আর হিংসা অভিশাপের গুজবকে সত্যি করে দেয়

সত্যপীর এর ছবি

চলুক

..................................................................
#Banshibir.

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

আইন শৃঙ্খলা এবং নীতিবোধ তো ভালই ছিল দেখা যায়। এত দামী পাথর নিয়ে এখানে সেখানে ঘোরাঘুরি করে, কোন ছিনতাই এর ঘটনা নাই।

দিগন্ত এর ছবি

ভয় তো দেখানো হয়েছিল, ঘটনা ঘটেনি সেইটা অন্য ব্যাপার।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

সত্যপীর এর ছবি

ওলন্দাজের প্রটেকশনে ঘুরঘুর করতো এইজন্যই, কখন কি হয়ে যায়। ফরাসী জহরতওয়ালা ইংরেজের কাছে তো আর যাইতে পারে না খাইছে

..................................................................
#Banshibir.

অরফিয়াস এর ছবি

অনুবাদ ভালো লেগেছে। হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সত্যপীর এর ছবি

চাল্লু

..................................................................
#Banshibir.

দিগন্ত এর ছবি

এই হীরে বিষয়ক কিছু ব্যবসা এখনও ভারতে আছে - হীরে ও পাথর কাটা হয় মূলত ভারতে কিন্তু ওই "তিন জহুরীর" কাজটা করে থাকে বেলজিয়ানরা। আগামী কয়েক দশকে বেলজিয়ানদের সরিয়ে ভারতীয়রা ওই জায়গাটা নিতে পারলে বেশ কিছু বাণিজ্যিক লাভ হবার সম্ভাবনা। তবে ভারতীয়দের ব্যবসায়িক সততার যা নমুণা দেখি তাতে ওই কাজে ইউরোপীয়দের সাথে পাল্লা দেওয়া শক্ত আছে।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

সত্যপীর এর ছবি

আচ্ছা। ইন্টারেস্টিং। এই কাজে এত মার্জিন যে অল্প লোকে ধরে রাখতে চাইবে তাতে আশ্চর্য কিছু নাই। সততা বজায় রাখলেও মনে হয় এই বিজনেস মেন্টেন করা কঠিন হবে।

..................................................................
#Banshibir.

দিগন্ত এর ছবি

গল্পটা আসলেই তেমন পুরোনো নয় দেখি, তাভের্নিয়ে বেলজিয়ান বংশোদ্ভূত। তাহলে সেই আমল থেকেই বেলজিয়াম-ভারত প্রতিযোগিতা হীরে নিয়ে।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

সত্যপীর এর ছবি

বাপ বেলজিয়ান এইটা লক্ষ্য করিনাই, বার্থপ্লেস প্যারিস দেখে ভাবসি ব্যাটা ফরাসীই।

..................................................................
#Banshibir.

রু এর ছবি

বাকির নাম ফাকি।

সত্যপীর এর ছবি

পুরাই।

..................................................................
#Banshibir.

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

হীরে-জহরতে আমার কোন কাম নাই, আমি সক্রেতিসরে ভালা পাই। চলুক

সত্যপীর এর ছবি

হীরা জহরতে মন নাই আপনে তো সাক্ষাৎ আওরঙ্গজেব খাইছে

..................................................................
#Banshibir.

ধুসর জলছবি এর ছবি

বেচারা ব্যাপ্তিস্ত তাভের্নিয়ে খাইছে

সত্যপীর এর ছবি

আরে রাখেন আপনের বেচারা। লস যেরম খাইসে লাভও করসে সেইরকম।

..................................................................
#Banshibir.

নীড় সন্ধানী এর ছবি

কমিশনবাজি দেখি নতুন ব্যবসা না। আবুল হোসেনরা শত শত বছর আগ থেকেই এখানে কাজ চালিয়ে গেছে।
ইতিহাসের ডায়েরী পড়তে খুব আরাম লাগলো।
এত দামী মনিমুক্তা নিয়ে বিদেশ বিভুঁইয়ে অবাধে ঘোরাফেরা করতো, ব্যাটার সাহস বেশী নাকি দেশের আইন শৃংখলা অতীব উত্তম ছিল বুঝতে পারলাম না।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সত্যপীর এর ছবি

হ জহরতের কমিশনবাজি ভয়ানক। খুনখারাবিও হইত শুঞ্ছি।

ধইন্যবাদ নীড়ুদা।

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

এই জহুরী গুলা দেখি ব্যাপক "জহুরী" ছিল!! পুরাই সিন্ডিকেট ব্যাবসা!! লেখা ভালু পাইলাম হে সত্যপীর।

ফারাসাত

সত্যপীর এর ছবি

ধইন্যবাদ হাসি

..................................................................
#Banshibir.

স্যাম এর ছবি

চলুক চলুক
পত্রবাহক, সংবাদবাহকরা চলাচল করত কিভাবে? তাভের্নিয়ের চেয়ে মেলা কম সময়ে ওরা আপ-এন্ড-ডাউন করেছিল।

সত্যপীর এর ছবি

ইমার্জেন্সি পত্রবাহকেরা ঘোড়ায় চড়ে অবিশ্বাস্য দ্রুততায় চলাচল করত। রেগুলার চিঠির জন্য ছিল পায়দল বাহক, রানার ছুটেছে ঝুমঝুম ঘন্টা বাজছে রাতে। সেই তুলনায় সায়েবসুবোরা অনেক ঢিমেতালে চলত, আর নবাব বা রাজা মহারাজা হলে তো কথাই নাই। এদের সাথে এত লোক আর মালপত্র থাকত যে দ্রুত চলার উপায় ছিল না। যুদ্ধ টাইপ রেড অ্যালার্ট না থাকলে রাজাগজারা আস্তেধীরেই এগোত।

..................................................................
#Banshibir.

হিমু এর ছবি

তাভের্নিয়ে-র ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে গেছে গিমে জাদুঘর।

দিগন্ত এর ছবি

উপরি শুদ্ধু।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

সত্যপীর এর ছবি

তাভের্নিয়ে সত্যই যে হাজার দশেক রূপি দাম বাড়ায় কয়নাই সেইটারও গ্যারান্টি নাই হিম্ভাই। দুই সাইডেই চোর।

..................................................................
#Banshibir.

চরম উদাস এর ছবি

জম্পেশ গল্প।
প্রথম লাইন পড়ে প্রথমে হেঁচকি উঠছিল,

ঢাকার নবাব শায়েস্তা খাঁর সাথে যখন আরাকানের রাজার সঙ্গে যুদ্ধ চলছিল তখন আমি ঢাকা যাই

পরে বুঝলাম, পীর কামেল মানুষের পক্ষে সবই সম্ভব।

সত্যপীর এর ছবি

ভাইবা দেখলাম একটু অদলবদল করে গল্পও লেখা যাইত চিন্তিত

(তবে আওরঙ্গজেবের আমলে আমার ঢাকা যাওয়া নিরাপদ না)

..................................................................
#Banshibir.

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ঘুষ নিয়া তাভের্নিয়ের পক্ষে লেখা শুরু করছেন! এইসব ফরাসি সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্ত আমরা বুঝি! চোখ টিপি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সত্যপীর এর ছবি

ঘুষ ছাড়াই ওর পক্ষে লেখতেসি। ঘুষ দিলে একটা আস্ত সিরিজই দিতাম মনোয়!

..................................................................
#Banshibir.

আলতাইর এর ছবি

গুল্লি

মন মাঝি এর ছবি

ঢাকার নবাব শায়েস্তা খাঁর সাথে যখন আরাকানের রাজার সঙ্গে যুদ্ধ চলছিল তখন আমি১ ঢাকা যাই।

এই লাইনটা পড়ে প্রথমে আমারও জব্বর হেঁচকি উঠছিল। ভাবছিলাম পীরাকি সাধনার লাইনে আপনি অবশেষে সর্বোচ্চ স্তরে উঠেই গেলেন। ফানা-প্রাপ্ত হওয়ার ফলে এখন আর আপনার পক্ষে টাইম ট্রাভেল-ফাভেল কোন বিষয়ই না। বড়ই উল্লসিত হয়েছিলাম ভেবে যে - এখন থেকে আপনি বোধহয় ইব্রাহীম লোদীর শাসনামলে পানিপথে সশরীরে গিয়ে যুদ্ধ দেখে এসে আমাদের সেই কাহিনি শোনাবেন। একই ভাবে আলেক্সান্দারের সময় পার্শিয়া, ইন্ডিয়া, ফেরাউনদের সময় ইজিপ্ট, কিম্বা মোগলদের সময় তাদের হারেমগুলি সশরীরে সচক্ষে দেখে এসে সেই কাহিনিগুলি গরম গরম পরিবেশন করবেন। এরকম আরও কতকিছু! কিন্তু ফুটনোটটা পড়তে গিয়ে বড়ই হতাশ হলাম।

যাজ্ঞে। যা পেলাম তাও দারুন হয়েছে বলাই বাহুল্য। চলুক

****************************************

সত্যপীর এর ছবি

একই ভাবে আলেক্সান্দারের সময় পার্শিয়া, ইন্ডিয়া, ফেরাউনদের সময় ইজিপ্ট, কিম্বা মোগলদের সময় তাদের হারেমগুলি সশরীরে সচক্ষে দেখে এসে সেই কাহিনিগুলি গরম গরম পরিবেশন করবেন।

এইটা ভালো আইডিয়া বটে। পছন্দৈছে।

..................................................................
#Banshibir.

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

প্রথম লাইঙ্খানা দেইখা আমিও টাশ্লকি খাইছিলাম। শালার এই হীরা আর হারেম নিয়া লুইচ্চামি করতে করতেই তো রাজা মহারাজাদের দিন যাইত দেখি।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সত্যপীর এর ছবি

রাজাগজাদের দুষ্টামি ধর্তেনাই।

..................................................................
#Banshibir.

কৌস্তুভ এর ছবি

আমি'তে ফুটনোট না থাকলে তো আপনাকে বিরিঞ্চিবাবা'ই ঠাউরে নিতুম!

সত্যপীর এর ছবি

ফুটনোট আর দিমুনা ঠিক্কর্সি।

..................................................................
#Banshibir.

তুলিরেখা এর ছবি

আমিও ভাবলাম সে কী, সত্যপীর কি তাইলে সেই কিংবদন্তীর চাল কিনতো যা ছিলো টাকায় আট মণ ???? চিন্তিত
হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সত্যপীর এর ছবি

আজাইরা কথায় কান দিয়েন্না, ঐ আট মণ চাল কিনার জন্য টাকা বেশি লোকের ছিলনা।

এছাড়া আমি চাল কিনে খাইওনা, পীর মানুষ নানান লোকে কলামুলাচালআটা ভেট দেয় চাল্লু

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

রশিদের সফট কপি ল্যাপিতে নিয়া গেলে, আর গুগলে সার্চ দিলেই তো টাইম বাঁচতো, বাকী টাইমটা ঢ্যাচু ঢ্যাচু কইরা কাটানো যাইতো-----আর পুরা কথা কয় নাই, এনটারটেইনমেন্টটা খোঁকড়ে ছিপাইয়া রাখছে।।।।।।
পরথ্রমে বিড়াল সিমকার্ড খেয়ে ফেলেচে জাতীয় পরাবাস্তব লেখা ভাইবা আশা করছ্লাম, ট্যাকা উসুল না পাইয়া কোমর থেইকা একটা একে-৪৭ ব্রের করে ভোগলা করে দিব।।।।।।।
প্র বুঝ্লাম এইটা ইতিহাসস।।।
(স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিসট) লেখা -গুড়- হয়েছে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।