বুয়েটের মর্যাদা রক্ষায় এগিয়ে আসুন

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: সোম, ২২/১২/২০০৮ - ১১:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনেক দিন ধরেই চেষ্টা চলছিল বুয়েটে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তান ও পোষ্যদের জন্য ভর্তি কোটা চালু করার। নানা মহলের বিশেষতঃ শিক্ষার্থীদের প্রবল আপত্তি থাকায় বিষয়টি হালে পানি পায়নি। এবার শিক্ষকদের একাংশ (ক্ষুদ্র কিন্তু শক্তিশালী অংশ) এনিয়ে বেশ আঁট-ঘাট বেঁধে নেমেছেন। বুয়েটের শিক্ষকদের সংগঠণ “বুয়েট শিক্ষক সমিতি” এব্যাপারে একটা কর্মপত্র তৈরী করেছেন খোদ উপাচার্য মহোদয়ের সহযোগিতায়। এনিয়ে তারা বুয়েটে একটা সেমিনারও করেছেন গত ১৭ই ডিসেম্বর, ২০০৮-এ। বিষয়টি এখন প্রায় চুড়ান্ত। শুধু অনুমোদনের অপেক্ষা। বুয়েটে যেহেতু ১৯৭৩-এর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ-এর অধীন নয় তাই এ’ব্যাপারে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আবার শিক্ষক সমিতির সদস্যরাই যেহেতু অ্যাকাডেমক কাউন্সিলের সদস্য, তাই বিষয়টি অনুমোদন পেতে কোন ঝামেলায় পরার কথা না। দেশ যেহেতু অচিরেই একটা বড় ধরণের রাজনৈতিক পরিবর্তনের দিকে যাচ্ছে তখন এই-ই সুযোগ ডামাডোলের ভেতর এসব বিষয় সেরে নেয়া।

কী আছে কর্মপত্রটিতে?

কর্মপত্রটিতে এব্যাপারে একটা সার্ভে করা হয়েছে। সার্ভেতে দেখা গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, MIST, AFMC সহ বহু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সন্তান/পোষ্যদের জন্য এমন ভর্তি কোটা পদ্ধতি আছে। সুতরাং শিক্ষক সমিতির দাবী বুয়েটেও এমন কোটা থাকা উচিত।

কোটা কিভাবে ভাগ-জোক হবে তার সম্পর্কে কর্মপত্রটিতে বলা হয়েছেঃ

১। কোটার জন্য মোট ইনটেকের দুই শতাংশ রাখা হবে। এখনকার মোট ইনটেক ৮৭০ জন সুতরাং কোটা পদ্ধতিতে ১৭ জন নেয়া হবে (সিভিল-৩, ইলেকট্রিক্যাল-৩, মেকানিক্যাল-২, কম্পিউটার-২, আইপিই-১, ওয়াটার রিসোর্স-১, মেটালার্জী-১, কেমিক্যাল-১, নেভাল-১, ইউআরপি-১, আর্কিটেকচার-১)। নূন্যতম দশ বৎসরের সক্রিয় কর্মকাল আছে এমন একজন শিক্ষক তাঁর গোটা জীবনে সর্বোচ্চ দুই জন সন্তান/পোষ্যর জন্য এই কোটা পাবার অধিকারী হবেন (মাত্র দু’জন সন্তান! আহা ত্যাগের কী উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত)।

২। ভর্তি শেষে সীট খালি পাওয়া গেলে নূন্যতম পনের বৎসরের সক্রিয় কর্মকাল আছে এমন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা (তাদের সন্তান/পোষ্যরা) এধরণের সুযোগ পাবেন (বাবা/মা কর্মকর্তা/কর্মচারী হলে তার মেধাবী সন্তান/পোষ্যও অচ্ছ্যুতই থেকে গেল)।

৩। কোটার চেয়ে শিক্ষকদের আবেদনকারী সন্তান/পোষ্যদের সংখ্যা বেশি হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বয়স, কর্মকাল, শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি পয়েন্ট পদ্ধতিতে বিবেচনা করে আবেদন গ্রহণ করা হবে। যেমন পিএইচডি=৩, এমএস=২, বিএসসি=১ ইত্যাদি (ভর্তির জন্য বাবা/মায়ের অ্যাকাডেমিক যোগ্যতা/কর্ম অভিজ্ঞতাই যথেষ্ঠ, ভর্তিচ্ছুর যোগ্যতা নয়)।

৪। কোটার আওতায় ভর্তিকৃতদের প্রতি ক্রেডিটের (কোর্স ক্রেডিট) জন্য পাঁচশত টাকা করে চার্জ করা হবে। ঐ টাকা স্নাতক পর্যায়ের টপ পাঁচ শতাংশ শিক্ষার্থীকে ফ্যাকাল্টি স্কলারশীপ হিসেবে দেয়া হবে (গরু মেরে জুতা দান)।

এই সিদ্ধান্তের সম্ভাব্য ইমপ্যাক্ট সম্পর্কে কর্মপত্রটিতে বলা হয়েছে অতীতে ইনটেক যখন ৫৫০ জন ছিল তখন সশস্ত্র বাহিনীর ২০ জন সদস্যকে নেয়া হত, এবং তা কোন সমস্যা সৃষ্টি করত না। আর এখন বুয়েটে প্রতি ব্যাচে মোট প্রায় ১৭টি সেকশন থাকায় এই নতুন ১৭ জন গোটা ব্যাচের পড়া-শোনায় কোন প্রভাব ফেলবে না।

কর্মপত্রটির উপসংহারে বলা হয়েছে এই ধরণের কোটার জন্য শিক্ষকদের দীর্ঘদিন ধরে জোর দাবী ছিল কিন্তু এখনও পর্যন্ত এব্যাপারে কোন উন্নতি হয়নি। শিক্ষকগণ তাদের পোষ্যদের জন্য এই ধরণের কোটা ডিজার্ভ করেন (দুঃখিত, জুতসই বাংলা করতে পারলাম না)। শিক্ষকগণ গ্রীষ্মকালীন বা শীতকালীন অবকাশ গ্রহণ না করে নিরলস ভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। সুতরাং এখন সময় এসেছে আর বিলম্ব না করে কোটা পদ্ধতি বাস্তবায়ণ করার।

উপসংহারের পর কৃতজ্ঞতা স্বীকার পর্বে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক এ, এম, এম, শফিউল্লাহ কে তাঁর আগ্রহ ও উৎসাহ প্রদাণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে।

তাহলে অসুবিধাটা কোথায়?

আমার জানা মতে বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যে দু’টি প্রতিষ্ঠাণে কোন ধরণের কোটা সিস্টেম নাই সে দু’টো হচ্ছে বুয়েট আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ। অবশ্য বুয়েটে পশ্চাতপদ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীদের জন্য অল্প কিছু কোটা আছে তবে তাতেও ভর্তির জন্য নুণ্যতম যোগ্যতা থাকতে হয়। এই দু’টি প্রতিষ্ঠাণই বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বাংলাদেশের সবচে’ মর্যাদাশীল শিক্ষায়তণ বলে পরিচিত। এই পরিচিতির অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে এদের ইনটেকের গুণগত মান এবং ইনটেকে কোন ধরণের দুর্নীতি অথবা নেপোটিজমের প্রশ্রয় না দেয়া। এখন বুয়েটের এই ইনটেকেই যদি কোটা পদ্ধতি ঢুকে যায় তাহলে গর্বের আর থাকলো কী?

ভবিষ্যতে এই কোটার দোহাই দিয়ে আরো নানা রকম কোটার দাবী যে উঠবে না তার নিশ্চয়তা কে দেবে? একই ক্লাশে একজন মেধার যোগ্যতায় আর আরেকজন অভিভাবকের যোগ্যতায় ভর্তি হলে তাদের মধ্যে যে মানসিক বৈষম্য ও দ্বন্দ্ব তৈরী হবে তার দায় কে নেবে। কোটা সিস্টেমের শিক্ষার্থীরা বোধগম্য কারণেই নিজেদের প্রিভিলেজড ভাববে। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর ছড়ি ঘোরানোর বা দেখে নেয়ার প্রবণতা তৈরী হবে। তার দায়ই বা কে নেবে। এসব কারণে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে ঐসব শিক্ষকদের দ্বারা গঠিত ডিসিপ্লিনারী কমিটিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কী ন্যায়বিচার পাবার আশা করতে পারে?

অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দোহাই দেয়া হলেও সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরণের কোটা থাকার ইমপ্যাক্ট কী হচ্ছে তা কিন্তু কর্মপত্রটিতে বিবেচনা করা হয়নি। এ ধরণের কোটা থাকার ইমপ্যাক্ট কী তা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একটু খোঁজ-খবর করলেই জানা যাবে। সাধারণতঃ এসব ক্ষেত্রে দেখা যায় শিক্ষকদের সন্তানরা তাদের অভিভাবক বা অভিভাবকের প্রিয়জনের (শিক্ষক) বিভাগেই ভর্তি হয়। তারপর তারা ঐ বিভাগে প্রথম/দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে, এবং তারাও শিক্ষক হয়। এভাবে আজ থেকে বিশ/ত্রিশ বৎসর পর দেখা যাবে ঐ সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ দুই বা তিন প্রজন্ম ধরে সেখানে শিক্ষকের পদ অলঙ্কৃত করে আছেন। মাঝখানে কী অন্যায় এবং দুর্নীতি চলবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

কর্মপত্রটিতে যে কথা একেবারেই উচ্চারণ করা হয়নি তা হচ্ছে শিক্ষকদের সন্তান/পোষ্যদের ভর্তির যোগ্যতা কী হতে হবে। কিছু না বলার মানে হচ্ছে ভর্তির জন্য তাদের শিক্ষকদের সন্তান/পোষ্য হওয়াই যথেষ্ঠ। পূর্ববর্তী পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে তাদের ফলাফল কী তা এখানে বিবেচ্য বিষয় নয়।

সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ব্যাপারে যে উদাহরণ টানা হয়েছে তা একে বারেই অপ্রাসঙ্গিক। কেন? প্রথমতঃ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিযোগিতামূলক পাবলিক পরীক্ষা দিয়েই সংশ্লিষ্ট বাহিনীতে ঢোকার সুযোগ পান, কোন কোটার আওতায় নয়। দ্বিতীয়তঃ সশস্ত্র বাহিনীতে ঢুকলেই যে কেঊ বুয়েটে পড়ার সুযোগ পেতেন না, তার জন্যও নিজ বিভাগে যোগ্যতা প্রমাণ করতে হত। তৃতীয়তঃ সশস্ত্র বাহিনী একটি সরকারী সংস্থা যার সদস্যরা দেশের প্রয়োজনে বিভিন্ন পাবলিক শিক্ষায়তণে নানা ধরনের ট্রেনিং/কোর্সের জন্য প্রেরিত হতেন, শিক্ষকদের সন্তানেরা এই বিবেচনায় আসে না। চতুর্থতঃ নৌবাহিনীর কোন সদস্য বুয়েটে একই ক্লাশে পর পর দুই বার ফেল করলে অথবা চার বৎসরের মধ্যে মোট চারবার ফেল করলে বুয়েট এবং নৌবাহিনী উভয় প্রতিষ্ঠাণ হতে বহিষ্কৃত হতেন, শিক্ষ্কদের সন্তানদের জন্য এমন কোন বিধাণের কথা কর্মপত্রটিতে বলা হয়নি।

কোন শিক্ষকের সন্তান না থাকলে অথবা সন্তান বুয়েটে পড়তে ইচ্ছুক না হলে তার পাওনা কোটায় অন্য কেঊ টাকার বিনিময়ে পোষ্য পরিচয় দিয়ে যে ঢুকে পরবে না সে নিশ্চয়তা কিন্তু নেই। এমন কী এই কোটার পরিমাণ ভবিষ্যতে দুই থেকে বেড়ে বিশ শতাংশ যে হবে না তারও নিশ্চয়তা কিন্তু নেই। সুতরাং অচিরেই বুয়েটে কোটা পদ্ধতিতে ভর্তি একটি লাভজনক বাণিজ্যে পরিণত হতে পারে।

এখানেই শেষ নয়!

বুয়েটের শিক্ষক সমিতির ঝোলায় আরো একটি ভয়ঙ্কর প্রস্তাব আছে। বিস্তারিত তথ্য এখনো পাইনি। তবে মোটের উপর যা জেনেছি তা হচ্ছে বুয়েটে স্নাতক পর্যায়ে (প্রথমে পাঁচটি বিভাগ দিয়ে শুরু) সান্ধ্যকালীন শিফট চালু করা। এই শিফটে অর্থের বিনিময়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এতে বুয়েটের বাজেটের একটা অংশের না কী সংস্থাণ হবে। জয়তু বুয়েট শিক্ষক সমিতি!! শুধু শিক্ষকদের ছানা-পোনারাই নয় পয়সাওয়ালাদের গাধা-গরু সন্তানদের জন্যও এবার বুয়েটের দ্বার অবারিত হতে যাচ্ছে!

বুয়েটের একটি প্রতিষ্ঠাণ হচ্ছে ব্যুরো অভ রিসার্চ, টেস্টিং এণ্ড কনসালটেশন (বিআরটিসি)। এখানে বুয়েটের ভৌত ও অবকাঠামোগত সুবিধা ব্যবহার করে শিক্ষকগণ বাইরের কাজ করে থাকেন। আপাত দৃষ্টিতে ব্যাপারটিতে দোষের কিছু না থাকলেও এতে আসলে গভীর আপত্তির বিষয় আছে। আপত্তির বিষয়টি হচ্ছে শোনা যায় বিআরটিসি’র পুরো আয়ই সংশ্লিষ্ট শিক্ষকগণ নিজেদের মধ্য ভাগ-জোক করে নেন, বুয়েটের ফাণ্ডে না কী কিছুই যায় না। যদি বুয়েটের আয় বাড়াতেই হয় তাহলে বিআরটিসি’র আয় থেকে বুয়েটের বাজেটে কেন বরাদ্দ দেয়া হয়না? সরকারের কাছেও কেন বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য জোরালো এবং যৌক্তিক দাবী উত্থাপণ করা হয় না?

আমরা কী করতে পারি?

যেহেতু ব্যাপারটি এখনো অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে তাই এখনই সময় প্রতিবাদ করার, প্রতিরোধ গড়ে তোলার। আমরা পারি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা এবং বিভিন্ন ব্লগে এ’নিয়ে লিখতে। আমরা পারি ফেসবুক, ইয়াহু মেইল গ্রুপ প্রভৃতি গ্রুপগুলোতে এব্যাপারে জনমত গড়ে তুলতে। আমরা পারি বুয়েট অ্যালমনাই অ্যাসোসিয়েশন, আইইবি, প্রকৃচি প্রভৃতি ফোরামে এব্যাপারে জনমত গড়ে তুলতে। আমরা পারি বুয়েট কর্তৃপক্ষের কাছে এ’নিয়ে প্রতিবাদপত্র বা স্মারকলিপি দিতে। আমরা পারি প্রতিবাদ মিছিল-সমাবেশ করতে। আমরা পারি অনশণ করতে। আমরা পারি ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে এ’নিয়ে অনুষ্ঠাণ করতে।

কারো একার পক্ষে এর সব করা সম্ভব নয়। তবে বুয়েটের বর্তমান আর প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা দেশের বাকী সবার সাথে মিলে চাইলে অনেক কিছুই করতে পারেন। দেশের বাইরে যারা আছেন তারাও তাদের প্রতিবাদ জানাতে পারেন, জনসংযোগ করতে পারেন।

বুয়েট আমাদের Alma Mater, বুয়েট আমাদের পরিচয়ের গর্বিত অংশ, বুয়েট আমাদের দেশের গর্ব। আসুন আমরা আমাদের এই গর্বের প্রতিষ্ঠাণের মর্যাদা রক্ষায় এগিয়ে আসি।

তথ্যসূত্রঃ

বুয়েট শিক্ষক সমিতির কর্মপত্রটির সার-সংক্ষেপ দেখুন এই লিঙ্কগুলোতেঃ

http://www.esnips.com/web/BUETquota

http://tinyurl.com/buetquota


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

বুয়েটের ছাত্র না হলেও এই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে শ্রদ্ধাবোধ আছে। যদিও বুয়েটে সবাই সেরা নয়, বেশ কিছু গরু গাধাও বর্তমান প্রক্রিয়ায় ঢুকে যায়, যোগ্যতা ছাড়াই পোষ্যদের সুযোগ দিলে এর ভবিষ্যত ফলাফল কী হবে সেটা চিন্তার বিষয়। তদুপরি এই সামান্য অংশ কতটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারবে সে বিষয়ে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা কঠিন।

তবে শিক্ষকদের এই উদ্যোগে সামষ্টিকভাবে পজিটিভ কিছু দেখছিনা।

এনকিদু এর ছবি

আগে একটা দুইটা গরু ঢুকত, কোটা করা হলে বছরে এক ঝাঁক করে ঢুকবে ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

হিমু এর ছবি

বুয়েটের একজন প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে এই কোটা পদ্ধতির বিপক্ষে জোরালো মত দিচ্ছি।


হাঁটুপানির জলদস্যু

ফাহিম এর ছবি

তীব্র প্রতিবাদ।

তবে ঘটনাটা কি জানেন পান্ডবদা? কোন লাভ নাই। আমরা যতই চিল্লাফাল্লা করি না কেন, বুয়েটের টিচারদের ছাত্রদের ব্যপারে কিসুই আসে যায় না। তারা যেটা ডিসিশান নিবে, সেটা করেই ছাড়বে। ৬ বছর এদেরকে তো কম দেখি নাই, বাংলাদেশের আর কোন ইউনিভার্সিটির টিচার এদের মত নাক উচু আর অহংকারী না। তাই বলি কোন লাভ নাই।

বরং চলেন দুই রাকাত নফল নামাজ পইড়া শোকর করি যে মাত্র ১৭ সিটেই উনারা আপাতত খুশি। ১৭ না কইরা ১৭০টা নিলেও আপনার আমার কিসুই করার থাকত না।

কেউ পার্সোনালী নিয়েন না ভাইয়েরা, বহুত দুঃখে দুইটা কথা বাইর হইয়া গেসে...

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

প্রিয় ফাহিম, বুয়েট প্রশাসনের ব্যাপারে আপনার বক্তব্য হয়তো আংশিক সত্য। আমি দেখেছি কোন ব্যাপারে বুয়েট প্রশাসন যদি রাজী না থাকে বা তাদের ইচ্ছা সাধারণের (বিশেষতঃ শিক্ষার্থীদের) ইচ্ছার ব্যতিক্রম হয়, তাহলে প্রয়োজনের চেয়ে অনেক অনেক বেশি রিসোর্স ব্যয় করলে (শ্রম, মেধা, কথা, উদ্যোগ, ধরাধরি, উপরের চাপ ইত্যাদি) বুয়েট প্রশাসনকে যৌক্তিক ব্যাপারটা বুঝানো বা মানানো যায়। ততক্ষণে অবশ্য অনেক দেরী হয়ে যায়, অনেকের অনেক ক্ষতি হয়ে যায়।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

বিপ্রতীপ এর ছবি
ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

বিষয়টা ভাবার মত। নীতি, আভিজাত্য, আর অর্থের সংঘাত। ভেবে মিলাতা পারি কিনা দেখি!

বর্তমানে অবস্থায় কোটাব্যবস্থা চালু করার বিপক্ষে আমিও।

আলমগীর এর ছবি

কার যেন একটা লেখায় কোন একটা কমেন্টে বলেছিলাম।

কোটা প্রথার সবচেয়ে জঘণ্য অপপ্রয়োগ হয়েছে রাবিতে। কাগজে কলমে সন্তান/পোষ্য ঠিক আছে, তবে ভর্তির সময় সেটা যাচাই করা যায় না। ধরুন ভর্তির আগেই বলল, ও তারে তো পোষ্য নিমু। আত্মীয়-স্বজন, এমনকি অনেক সময় টাকার বিনিময়ে প্রাপ্য কোটা বিক্রির করার উদারহরণ আছে।

তবে, এসিতে যে কেবল শিক্ষকরাই তা না। সরকারের কর্মকর্তারা থাকেন, বিশিষ্টজনেরা থাকেন। তারচে বড়, সরকার নির্বাচিত উপাচার্য থাকেন। যে কোন সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত আচার্য/পিএম পর্যন্ত যায়। কোটার সিদ্ধান্ত কেবল এসিতেই পাস হলে মনে হয় না হবে। সিন্ডকেটের অনুমোদনের দরকার হতে পারে। কাজেই জনমত জানানোর বেশ কয়েকটা জায়গা আছে।

আমি কোটা প্রথার ঘোর বিরোধী। চমৎকার লেখা।

একটা তথ্যের সংশোধনী: কেবল বুয়েট, আইবিএ না,আরো অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা অনুপস্থিত (আদিবাসী কোটা আছে)। নিশ্চিত জানামতে শাবিতেই কোন পোষ্য কোটা নাই। (আন্দোলনও যে হয়নাই তা না চোখ টিপি

নেপালি ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য বিদেশী কোটা নামে একটা কিছু চালু করা হয়েছিল। তাতে আমাদের এক ডিন তার মেয়ে ভর্তি করিয়ে ফেলেন। তার আবার ব্রিটিশ পাসপোর্ট ছিল। পরে সমালোচনার মুখে বাতিল করা হয়।

দ্বিতীয়ত,
বুয়েটে সন্ধাকালীন কোর্স চালু করলে কী সমস্যা তা বুঝিয়ে বলুন। আপাতত মনে হচ্ছে তাতে আভিজাত্যে টান পড়বে, টাকাওয়ালারা বলতে পারবে বুয়েটে পড়ি। তাইতো?

আমি এটাকে ভাল দেখি। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই এ কাজটা করে। বিদেশে বড় বড় নামি দামি বিশ্ববিদ্যালয়ও করে। এডেলেইড বিশ্ববিদ্যালয় ভিসিই (ইয়ার-১২) এর কোচিং করায়! ইউএসতেও হয়।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

প্রিয় আলমগীর, আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হয়েছে কিছু বিষয় আরেকটু পরিষ্কার করা দরকার। প্রশ্ন উত্থাপণের জন্য ধন্যবাদ।

বুয়েট এবং দেশের আরো কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৭৩-এর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ কার্যকর না থাকায় শিক্ষকদের দ্বারা ডমিনেটেড এসিই সিদ্ধান্ত গ্রহণে মূল ভূমিকা পালন করে। সিণ্ডিকেটেও তাদের আধিপত্যই বেশি। তাই তাদের পছন্দের এজেণ্ডা পাশ করাতে বেগ পেতে হয় না। আর বিশেষতঃ উপাচার্য যেখানে বিষয়টির পক্ষে আছেন সেক্ষেত্রে বিষয়টি আরো সহজ হবে। এধরণের এজেণ্ডা বড় ধরণের হৈ-চৈ না হলে আচার্য পর্যন্ত যায় না। অনেক ফাইল হালাল করার জন্য তাঁর কাছে পাঠানো হয় সত্যি, তবে আচার্যের মত ব্যস্ত মানুষের পক্ষে সেসব খুঁটিয়ে দেখা সম্ভব হয়না।

ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য অল্প কিছু কোটা ছাড়া অন্যান্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্যদের জন্য কোটা না থাকার ব্যাপারে আপনার তথ্য সঠিক। এই সত্য আমিও জানি। তবে পুরোনো এবং বড় বড় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পোষ্য কোটা বিদ্যমান। বুয়েট শিক্ষক সমিতি খণ্ডিতভাবে সেই তথ্যটুকুই বলেছেন।

সান্ধ্যকালীন শিফট চালু করার ক্ষেত্রে সমস্যাটি আভিজাত্য সংক্রান্ত নয়। আমার আপত্তি এর টাকা ভাগাভাগি নিয়েও নয়। বরং গোটা দেশের উচ্চতর শিক্ষাকে বেসরকারীকরণ করার অপচেষ্টার শুরু এখানে আমি লক্ষ্য করছি। পয়সা নিয়ে (মেধা বিবেচিত নয়) বুয়েটের সান্ধ্যকালীন কোর্সে যারা ভর্তি হবে তারা স্বাভাবিকভাবেই কিছু অতিরিক্ত সুবিধা দাবী করবেন। এব্যাপারটিকে অন্য দেশের প্রেক্ষিতে নয় বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে দেখতে হবে। শোনা যায় পয়সা দিয়ে ভর্তি হওয়া যায় এমন কিছু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকগণকে শিক্ষার্থীদের ফেল না করানোর জন্য, খারাপ গ্রেড না দিয়ে ভালো গ্রেড দেবার জন্য কর্তৃপক্ষ অনুরোধ করেন। বুয়েটে যে এর ব্যতিক্রম হবে না এর নিশ্চয়তা কিন্তু কেউ দিতে পারবে না। ফলে দুই শিফটের বৈষম্য আরো বাড়বে। এরপর প্রস্তাব আসবে দিবাকালীন ছাত্রদের জন্যও কিছু ফী ধার্য্য করা হোক। এরপর দিনে দিনে দিবা শাখার ফী বাড়তে বাড়তে তা একসময় সন্ধ্যার সমান হয়ে যাবে। তখন অথবা তার আগেই বুয়েটের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও এধরণের ব্যবস্থা চালুর পাঁয়তারা চলবে।

যতদূর মনে পড়ে আমাদের সময় বুয়েটের একজন ছাত্রেও পিছনে রাষ্ট্রের মাসিক ব্যয় ছিল ১২৫ ডলারের মত। যা আমাদের অভিভাবকরা আমাদের জন্য যা ব্যয় করতেন তার অতিরিক্ত। তখন যদি আমার অভিভাবককে মাসে ঐ ১২৫ ডলার অতিরিক্ত ব্যয় করতে হত তাহলে আমার কোনদিনই স্নাতক হওয়া হত না। দেশে অধিকাংশ অভিভাবকের আর্থিক সঙ্গতি এখনো আমার অভিভাবকের ঐ সময়কার অবস্থার চেয়ে ভালো নয়। তাই আর্থিক সঙ্গতিহীন মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার পথ একটু একটু করে টাকার বাধা তুলে বন্ধ করার পরিকল্পনা কোনভাবেই মেনে নিতে পারি না।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

আলমগীর এর ছবি

এসি/সিন্ডকেটের ব্যাপারে আপনার পর্যবেক্ষণ ঠিক। উপাচার্য চাইলে যে কোন সিদ্ধান্ত বের করে আনতে পারেন। সিন্ডিকেটে কেউ তুমুল বিরোধিতা করলে ভিন্ন। আমার অতকথা বলার কারণ ছিল, যে প্রতিবাদটা এক স্তরে সফল না হলে, তার উপরে স্তরে নেয়া। সিন্ডিকেটে শিক্ষক/নন-শিক্ষক অনুপাত এসির চেয়ে কম থাকে। আমি প্রথমেই বলেছি, কোটার ঘোর বিরোধী। এটার উদ্দেশ্য অসাধু , অপপ্রয়োগের খুব বেশী সুযোগ।

প্রাইভেটাইজেশন: এটা আপনি আমি চাইলেও রোধ করতে পারব না। সরকারী পয়সায় চালিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যে এখন একটা অসম প্রতিযোগিতার সন্মুখীন প্রাইভেটগুলোর সাথে সেটা স্পষ্ট। যে ইউজিসি একসময় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গণনায় ধরত না, তারা এখন প্রথমেই তাদের স্বার্থ দেখে। টাকা ছাড়া এখানে আর কী বিষয় আছে আমি জানি না।

বুয়েটের সিএসইতে ড. কায়কোবাদ আর ড. চৌধুরি মফিজুর রহমানের সাথে আমার যোগাযোগ হতো (পেশার প্রয়োজনেই)। সিএসইর পাবলিকশেনে তাদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশী হবে বলেই আমার ধারণা। এমন দুজন মানুষকে যদি স্ট্যামফোর্ড বা এনএসইউ নিয়ে নেয় তা হলে পার্থক্যটা কোথায় হলো? বুয়েটের শিক্ষকদের নিয়ে নেয়া আর রাতের বেলা বিশেষ কোর্স চালু করা: দুটোর জোরই টাকা। (কায়কোবাদ স্যার ফিরেছেন জেনেছি, মফিজ সাহেব ফিরেননি)। এটা শুধু বুয়েট না, ঢাবির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। বেতনের যে বৈষম্য চালু আছে, এবং ভবিষ্যতে তা বাড়বে বলেই ধরে নেয়া যায়, তার জের কোথায় গিয়ে পড়বে?

আজ যদি বুয়েটের শিক্ষকরা প্রাইভেট পড়ানো শুরু করেন বা দাবী করেন, কী রকম হবে ব্যাপারটা, ভাবুন তো! বুয়েটের সুনাম ধরে রাখতে হলে মানটা/স্ট্যান্ডার্ডটা তো ধরে রাখতে হবে।

মেলবোর্ন ইউনি অস্ট্রেলিয়ার টপ একটা ইউনি। তাদের একটা কর্পোরেট এনটিটি হচ্ছে মেলবোর্ন ইউনি প্রাইভেট। এমআইটি, টেক্সাস এনএন্ডএম ও আরো কারা যেন মধ্যপ্রাচ্যে কী করছে শুনলাম। সেটা তো মূলত টাকার জন্যেই নাকি?

অনেক বড় মন্তব্য করে ফেললাম।

(কাউকে হেয় করার জন্য কিছু বলি নি, নিজের কর্মক্ষেত্রের অভিজ্ঞতাই বলতে চেয়েছি। কেউ আহত হয়ে থাকলে দুঃখিত। পাণ্ডবদা, চীনের কাহিনী পরের কিস্তির অপেক্ষায় আছি। )

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

প্রিয় আলমগীর, অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যর জন্য। অন্য যারা কষ্ট করে মন্তব্য করেছেন তাদেরকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি, যুধিষ্ঠির, শামীম বা আপনাদের মত যারা বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়িয়েছেন তাদের পর্যবেক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ। কারন আপনারা মুদ্রার অন্য পিঠটাও প্রত্যক্ষ করেছেন যা আমার মত অনেকের অভিজ্ঞতাতেই নেই। এই আলোচনায় ব্যক্তিগতভাবে দুঃখিত হবার কিছু আছে বলে মনে হয় না, তবে সামষ্টিকভাবে কোটার বিষয়টি হতাশাজনক। একটা বিষয়ে প্রায় সবাই একমত যে কাজটি শুভ হচ্ছে না। এনিয়ে আলোচনা দরকার আছে, তবে তার সাথে সাথে দরকার সবাইকে জানানো, সচেতন করা এবং আমাদের আপত্তির কথা যথাযথ স্থানে পৌঁছে দেয়া। এব্যাপারে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

আরেকটি বিষয়ে একটি পোস্ট দেয়া বাকী আছে। সেটা সারতে পারলেই চীন দর্শনের চতুর্থ পর্ব পোস্ট করতে পারবো।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

জিজ্ঞাসু এর ছবি

কোটা পদ্ধতি নতুন নতুন দুর্নীতির জন্ম দিবে এতে কোন সন্দেহ নাই। বুয়েটসহ দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারীদের কোটা পদ্ধতির প্রতিবাদ করছি এবং শিক্ষক, কর্মচারীদের প্রকাশ্য রাজনীতি করার বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

razib [অতিথি] এর ছবি

bipro, ami o tor sathe ekmot poshon korlem.

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ঢাবি'র কোটা পদ্ধতির অনেক দূর্নীতির গল্প নানাজনের মুখে শুনেছি। পোষ্য কোঠায় ভর্তি হওয়া কয়েকজন ছিল আমাদের সাথে ফিন্যান্সে। এদের দু'জন পড়া শেষই করতে পারেনি। একবার ড্রপ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়েছে। একজন অবশ্য বেশ ভালো করেছে।
বর্তমান অবস্থায় কোটাব্যবস্থা চালু করার বিপক্ষে আমিও।

পুরুজিত এর ছবি

আলমগীর লিখেছেন:

দ্বিতীয়ত,
বুয়েটে সন্ধাকালীন কোর্স চালু করলে কী সমস্যা তা বুঝিয়ে বলুন। আপাতত মনে হচ্ছে তাতে আভিজাত্যে টান পড়বে, টাকাওয়ালারা বলতে পারবে বুয়েটে পড়ি। তাইতো?

আমি এটাকে ভাল দেখি। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই এ কাজটা করে। বিদেশে বড় বড় নামি দামি বিশ্ববিদ্যালয়ও করে। এডেলেইড বিশ্ববিদ্যালয় ভিসিই (ইয়ার-১২) এর কোচিং করায়! ইউএসতেও হয়।

টাকাওয়ালারা এখনো বুয়েটে পড়তে পারে, শুধু সবার মত ভর্তি পরীক্ষা দিতে হয় এই যা। আপত্তির জায়গাটা বোধ করি, "শুধু" টাকাওয়ালাদেরি পড়তে পারা নিয়ে। অর্থের সংস্থানের আরো ভাল উদ্যোগ হতে পারে -
১। সবার জন্য টুইশন ফি ধার্য করা।
২। যারা টুইশন দিতে আপাতঃ অপারগ তাদের জন্য মেধা ও প্রয়োজনভিত্তিক বৃত্তি/ ছাত্র কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা। (এত ফুলটাইম কেরানীর কোন দরকার নাই)
৩। কম সুদে ঋণের ব্যবস্থা করে দেয়া। (এইটাই স্বল্পমেয়াদে সবচেয়ে ভাল ব্যবস্থা আমার মতে)

আলমগীর এর ছবি

অর্থের উৎসের কথা না বলে আপত্তির জায়গাটা খোলাসা করলেই ভাল হতো।

১. ঘরে-বাইরে ধুমসে সবাই বিপক্ষে যাবে। অতীতে বহু নজির আছে টিউশন ফি বাড়ানো নিয়ে।

২. ফুল-টাইম কেরানি বলতে কী বোঝাচ্ছেন? কেউ কেরানী হলেই বা কী সমস্যা? বুয়েটে পড়ে অনেকে বিএসএস দিয়ে আমলা হচ্ছে। আপনার এই পয়েন্টটা ঠিক বুঝলাম না।

৩. ছাত্রদের নিয়ে কথা হচ্ছে না। অর্থের কথাটা হচ্ছে শিক্ষকের বাড়তি পয়সা কোথা থেকে দেয়া যায় তা নিয়ে। সন্ধ্যার কোর্সের টাকাটা শিক্ষকরা পাবে- পাণ্ডবদার কথায় তাই বুঝেছি আমি।

পুরুজিত এর ছবি

১। আগের প্রচেষ্টাগুলোর মূল সমস্যা ছিল সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়াতে ছাত্রদের অংশগ্রহণ না থাকা। আমার মনে হয় এটা অতিক্রম করা সম্ভব। যদি লেখকের তথ্য সত্য হয় তাহলে ৪ বছরে একজন ছাত্রের পেছনে সরকারের খরচ ৫০০০ ডলার। আমার অধিকাংশ সহপাঠী এই খরচ বহন করতে পারত। তাই আমার মনে হয় বিপক্ষে প্রতিবাদ অনেকটাই চাপিয়ে দেয়া সিদ্ধান্তের কারণে।
২। দ্বিতীয় পয়েন্টটা বুয়েট ছাত্রদের কেরানী হয়ে যাওয়া নিয়ে ছিল না। বুয়েটে বর্তমানে নি্যুক্ত কেরানীদের কাজগুলো ছাত্রদের দিয়ে করানো প্রসঙ্গে ছিল।
৩। শিক্ষকদের বাড়তি পয়সা ছাত্রদের টুইশন বাড়িয়ে সেখান থেকেই দেয়া যায় (সান্ধ্যকালীন শিফট করার দরকার কি?) যেসব ছাত্র বর্তমানে টুইশন দিতে অপারগ তাদের জন্যই ঋণ।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি আপনার সাথে এক মত হতে পারলাম না।
টিউশন ফী বাড়ানো হলে আমার মত অনেকেই আছে যারা BSc শেষ করতে পারবে না।

tulip [অতিথি] এর ছবি

buet e ay baranor khub bhalo akta rasta ase, jeta buet tar pokkhe jototuku shombhob discourage kore. sheta holo bueter studentder kaje lagano. bueter onek student i nijer agrohe dept.er onek badha (lab.er equipments noshto hoye jabe ei bhoye lab use korte na dewa) otikrom kore project kore. ei projectgula discourage na kore commercially korle bueter ay onek barte parto.

অমি এর ছবি

কোটা পদ্বতির তীব্র নিন্দা জানাই।
একজন বুয়েটের ছাত্র হিসাবে আমি বলতে পারি, তাদের প্রথমে উচিত তাদের শিক্ষার মান বাড়ানো, কোটা পদ্বতি নয়। বুয়েটে এখন কি শিখানো হয়? ছেলেমেয়েরা কতিপয় চোথা মুখস্ত করে ভালো ফলাফল করে, এতে তাদের কিছু জানার ইচ্ছা ও কমে। শুধু তাই নয়, তাদের সাফল্য দেখে জানতে চায় এমন ছাত্রদের ও ইচ্ছায় ভাটা পরে।

শিক্ষকদের উচিত প্রথমে তাদের শিক্ষাদানের প্রথা পরিবর্ত করা......

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

সময় পেলে কিছু আলাপ করার ইচ্ছে রইল। আপাতত সহমত পোষন করে যাই। অর্থাৎ কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছি।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

হাজি সেলিমকে নিয়ে একটা গল্প (নাকি সত্যি ঘটনা?) আছে। সে একবার বুয়েট ভিসিকে ফোন করে বলেছিলো, "স্যার, সব কলেজেই তো আমার ছেলেপেলে ভর্তি হয়। আপনার কলেজেও আমার কিছু ছেলেপেলে ভর্তি করতে হবে।" ভিসি তখন সম্ভবত ইকবাল মাহমুদ বা শাহজাহান স্যার। হাজি সেলিমকে নাকি বলা হয়েছিলো, "ওসব বুয়েটে হয় না।"

বুয়েটে কিছু শিক্ষক আছেন স্মার্ট এবং ছাত্রদের জন্য সত্য সত্যই চিন্তা করেন, ক্লাসে ভালো পড়াতে চেষ্টা করেন, কিছু শিক্ষক আছেন এর উলটা, আবার কিছু শিক্ষক আছেন ক্লাসে ভালো পড়ান; কিন্তু ভাবের উপরে চলেন, ছাত্রদের পাত্তা দিতে চান না। বুয়েটে শিক্ষক বনাম ছাত্র স্ট্যান্সের জন্য এই পরবর্তী দু দল অনেকাংশে দায়ী। পরীক্ষা পেছানোর ঘটনার সময় অবাক হয়ে লক্ষ্য করতাম সবকিছু একটা প্যাটার্নে চলছে। ১) এমনভাবে পরীক্ষার ইনিশিয়াল স্কেজিউল করা হয়, যাতে ঈদের ছুটি/ ক্রিকেট/ ফুটবল/ নির্বাচন ইত্যাদি কিছু না কিছু থাকবেই (এরকম করা যাবে না, তা বলছি না, তবে এরকম প্রায়ই সময় করা হতো), ২)ছাত্ররা পিএল ১ সপ্তাহ বাড়ানোর দাবী করবে, ভিসির কাছে গিয়ে কথা বলবে। ৩) ভিসি একেবারে অনড় থাকবেন, দুনিয়া উলটে গেলেও পরীক্ষার স্কেজিউল চেঞ্জ হবে না, ৪) ছাত্ররা আন্দোলন/ ভাঙচুর করবে, ৫) অনির্দিষ্টকালের জন্য পরীক্ষা পেছাবে। এরকম পরীক্ষা পেছানোর একমাত্র বেনিফিশিয়ারী হলো শিক্ষকরা। তখন তারা বাইরে কনসালটিং করতে পারে, প্রাইভেটে খ্যাপ মারতে পারে, সাথে বুয়েটের বেতন তো আর বন্ধ হচ্ছে না আর হল ভ্যাকেন্ট হলেও চীটার্স কোয়ার্টার খালি হচ্ছে না।

বুয়েটে শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতি অনেকটাই ফেয়ার। তবে এর মধ্যেও কৌশলে 'সিস্টেম' করার নজির আছে। যেমন, আমরা পাস করার ৩/৪ মাস আগে বিরাট সংখ্যক টীচার নেয়া হয় (ইইই)। এটা ছিলো আগের ব্যাচ থেকে দ্বিতীয় দফায় ইনটেক। ফলে ক্লাসে যার পজিশন ২৩/২৬ ছিলো, সম্ভবত সেও টীচার হয়। অন্যদিকে আমাদের ব্যাচ থেকে নেয়া হয় মাত্র ৫ জন। আগের ব্যাচে কোনো এক শিক্ষকের স্ত্রীকে নেয়ার জন্যই ওই ২৩/২৬ পর্যন্ত যাওয়া হয় বলে অভিযোগ আছে, সেই স্ত্রীটি ছিলেন লাস্ট পারসন এবং মজার ব্যাপার হলো তার সমান রেজাল্টের ৩ জন ছিলো, বাকি ২ জনকে নেয়া হয় না। আরেক ব্যাচে এক টীচারের ছেলেকে জানি, যার প্রথম দিকে রেজাল্ট একেবারেই মিডিওকার ছিলো, শেষের দিকে এসে ছক্কা পিটিয়ে টীচার হয়ে যায়। তার বাবা একই ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র শিক্ষক।

কোটা সিস্টেম সম্পর্কে আপনি পোস্টে যা বলেছেন, তার বাইরে তেমন কিছু বলার নেই। বুয়েট বাঁচে তার ছাত্রদের কোয়ালিটির জন্য। অন্য কোনো ইউনির প্রতি আমার কোনো নিচু ভাবার মানসিকতা নেই, যার যার ক্ষেত্রে সে ভালো, ইঞ্জিনিয়ারিং ফিলডে মেধার দিক দিয়ে সার্বিকভাবে বুয়েট এখনো বেস্ট। বুয়েট টীচারদের উচিত এটা ধরে রাখার চেষ্টা করা। এমনিতেই এখন পাবলিক পরীক্ষাগুলোয় মুড়িমুড়কি হরেদরে বিকায়। মিডিওকার বানানোর এই চেষ্টাকে বুয়েটও যদি রুখে দেয়ার পরিবর্তে এরকম কোটা সিস্টেমের মাধ্যমে এইড করে, তাহ´লে একজন প্রাক্তন বুয়েট ছাত্র হিসেবে আমার জন্যও লজ্জার।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

দুঃখের বিষয় বুয়েটে প্রথম দলের শিক্ষকের সংখ্যা অনেক কম।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

প্রিয় বলাই, বুয়েটের পরীক্ষা পেছানোর প্যাটার্ন নিয়ে আপনি যা বলেছেন তা আপনাদের সময় যেমন সত্য ছিল আমাদের সময়ও (আমি সম্ভবতঃ আপনার সাত/আট বৎসর আগে পড়েছি) তা সত্য ছিল। আমাদের দশ বৎসর আগেও তা সত্য ছিল। অর্থাৎ এতে এই ব্যাপারে যেই ব্যাখ্যা প্রচলিত আছে (আপনি অলরেডী বলেছেন) তা সত্য বলে প্রমাণিত হয়। সুখের বিষয় বুয়েটে এখন এই ব্যাপারটা অনেকটাই বন্ধ হয়েছে। বুয়েটে এখন টার্ম-ফাইনাল পরীক্ষাগুলো সপ্তাহে একটা করা হয়। তাতে পরীক্ষার মধ্যবর্তী গ্যাপ নিয়ে আর শিক্ষার্থীদের কথা বলার উপায় নেই। তবুও মাঝে মাঝে পরীক্ষা পেছানো নিয়ে আন্দোলন হয়।

শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে আপনি যে "সিস্টেম" করার কথা বললেন আমাদের সময় অতটা দেখতে পাইনি। তবে দু'একটা ঐতিহাসিক "সিস্টেম"-এর গল্প শুনেছি, সত্যতা জানতে পারিনি। এখন অন্য অনেক প্রতিষ্ঠাণের মত বুয়েটে এই "সিস্টেম" প্রবণতা বেড়ে গেলেই সর্বনাশ। আর সরাসরি "সিস্টেম" করতে না পেরে কোটায় পোষ্য ভর্তি করে তারা ফার্ষ্ট/সেকেণ্ড হয়ে সিস্টেমে ঢুকে গেলেতো সোনায় সোহাগা।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নাহিদ এর ছবি

বলাই,
আপনাকে ধন্যবাদ, এত চমতকার করে তথ্যগুলো তুলে ধরার জন্য। সহমত পোষণ করছি।

শামীম এর ছবি

হায়রে .... .... সেই রামও নাই সেই অযোধ্যাও নাই

রশিদ স্যারের সময়ও এরকম দাবী উঠেছিল বলে গল্প প্রচলিত আছে। স্যার সায় দিয়ে বললেন ... বটে! অবশ্যই। বুয়েটের শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছেলেমেয়ে/পোষ্যগণ যেহেতু বুয়েট এবং এর পড়ালেখার স্টাইল সম্পর্কে অন্য ছেলেমেয়েদের চেয়ে অনেক বেশি ধারণা রাখে তাই তাঁদের পরীক্ষা আরো কঠিন করা হউক। অর্থাৎ ভর্তি পরীক্ষা দেবে কিন্তু বেশি কঠিন সিচুয়েশনে - তারপর টিকলে কোটা ফলানো যাবে।

====
ছিঃ বলা ছাড়া আর কি কিছু করার আছে!

বুয়েটিয়ান ইয়াহু গ্রুপে কি জানানো হয়েছে? না হলে জানানো দরকার এখনি।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

রাগিব এর ছবি

বুয়েটিয়ান ইয়াহু গ্রুপে কি জানানো হয়েছে? না হলে জানানো দরকার এখনি।

এখন পর্যন্ত কেউ জানায়নি। এই পোস্টের লিংক দিয়ে সেখানে জানানো যেতে পারে। প্রায় ২০০০+ বুয়েটিয়ান ঐ গ্রুপের সদস্য।

----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
http://www.ragibhasan.com

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ইয়াহু গ্রুপ বুয়েটিয়ান আসলে একটা মোটামুটি মৃত গ্রুপ এখন। ওখানে পেপার চাই, ওমুক সিটিতে কে আছেন টাইপ ইমেইল ছাড়া অন্য মেইল তেমন একটা চোখে পড়ে না, আলোচনা জমে ওঠার মত ইমেইলগুলোকে মডারেট করা হয়। রাজনীতি নিয়ে কোন ইমেইল ছাড়া হয় না এবং এই অজুহাতে দেশের সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করতে গেলেও ইমেইল আটকে দেয়, বুয়েট টীচারদের ব্যাপার নিয়ে ইমেইল ছাড়বে কিনা সন্দেহ আছে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ফেইসবুকে একটা ক্যাম্পেইন করেন। আর ছোট বড় নানা গ্রুপে ছড়ায়ে দিতে থাকেন মেসেজটা।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আমি ফেসবুকে নেই। আপনারা কেউ (যারা কোটা সিস্টেম সমর্থন করেন না) কাজটি করে দিলে কৃতজ্ঞ থাকবো।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

Salam এর ছবি

Night shift in BUET will be very good. Remember, more students are passing in HSC (may be doubled in last 10 years). So, we will have more Engineers and at the same time some income for BUET.

Why not?

মুনির হাসান এর ছবি

ব্যাপারটা ভয়াবহ। অনেকদিন ধরে আশঙ্কা করছিলাম যে এমনটি হবে। মূল কাগজটা কীভাবে পেতে পারি?
তবে, পোস্টে একটা ভুল আছে, বিআরটিসির কাজের শেয়বর সম্পর্কে। বিআরটিসির মাধ্যমে যে কাজ হয় তার কিছু অংশ দিতে হয় বুয়েটের ফান্ডে-- যেমন‌

১. যে কাজ রিসোর্স রেইজড, সেখানে ৮০% পর্যন্ত। আমি যখণ বুয়েট আইআইসিটিতে ছিলাম তখন আমরা ডেসার বিল প্রসেস করতাম। এই কাজের বিলের ৭০% বুয়েট ফান্ডে জমা হতো।

২. সিভিলের রড/সিমেন্ট টেস্টিং কাজেরও বেশিরঅবগ বুয়েটের ফান্ডে জমা হয়।

৩. আবার যে কাজগুলোতে রিসোর্স কম লাগে সেখানে ৭০% যিনি করেন তিনি পেতে পারেন।

যাহোক, এই টাকা দিয়ে কী করা হয় তার্ও নিয়মকানুন আছে। যেমন বুয়েটের ফাইবার অপটিক ব্যাকবোন। এটা পুরোটায় বিআরটিসির কম্পিউটার ফান্ড দিয়ে হয়েছে।
কাজে এই সংক্রান্ত তথ্যগুলো ঠিক নয়।
আর আমার মনে হয়, কোটা আলোচনায় এই বিষয়টির দরকারও নেই। ফোকাস হারিয়ে যাবে।
এই পোস্টটিতো একটি প্রতিবাদ। কাজে নানা ফরমে প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে হবে।

একটি গুরুতআপূর্ণ বিষয় তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।

মুনির হাসান

anika sharin এর ছবি

it will be a shame for BUET.

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

প্রিয় মুনির হাসান, বিআরটিসি'র ফাণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন সিস্টেম নিয়ে আপনার ব্যাখ্যার জন্য ধন্যবাদ। এব্যাপারে আমার বক্তব্য ছিল অভিজ্ঞতা নির্ভর। আমাদের সময় বেশ কয়েকটি ছাত্র আন্দোলনের সময় এই প্রসঙ্গটি উঠেছিল। কিন্তু বুয়েট কর্তৃপক্ষ কখনো এব্যাপারে কোন ব্যাখ্যা দেবার প্রয়োজন মনে করেন নি। এমনকি কখনোই কোন শিক্ষকের কাছ থেকে আপনার দেয়া ব্যাখ্যাটি "অন রেকর্ড" বা "অফ রেকর্ড" জানতে পারিনি।

আপনি ঠিকই বলেছেন, এই পোস্ট বিআরটিসি'র ফাণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন সিস্টেম নিয়ে নয়। তাই এসংক্রান্ত আলোচনা আমরা ভবিষ্যতের জন্য তুলে রাখতে পারি।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

গীতিকবি এর ছবি

বুয়েটের একজন প্রাক্তন ছাত্র হয়ে সবসময় - বাংলাদেশের একমাত্র দুর্নীতিমুক্ত জায়গা হিসেবে বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষার কথা বড় গলায় বলি। এখন কোটা সিস্টেমের নামে অচিরেই এখানেও দুর্নীতির প্রবেশ ঘটবে - নিঃসন্দেহে।
____________________________
শেখ ফেরদৌস শামস ভাস্কর
"আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি।"

____________________________
শেখ ফেরদৌস শামস ভাস্কর
"আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি।"

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি এখন বুয়েটে পড়ি। আমি নিজেও বলি যে বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষায় দুর্নিতি হয় না।কিন্তু এখন!!!!!!!!!!!!!!!

লীন এর ছবি

আমি কথা হারিয়ে ফেলেছি। বুয়েট নিয়ে আমি খুবই হতাশ। আমার চার বছরের কোর্স করতে সাড়ে পাঁচ লাগতে চলেছে...
এখন কোন কিছুতেই অবাক হই না, তবু আজ এই খবর দেখে আমি কথা খুঁজে পাচ্ছিনা।
হায়রে বুয়েট... স্বপ্নঘেরা এক দোযখ... আরও কত কি দেখবো...

সাগর এর ছবি

বুয়েটের একজন বর্তমান ছাত্র হিসাবে কোটা প্রথা চালুর তীব্র নিন্দা জানাই। বুয়েটের প্রাক্তন-বর্তমান সবাই মিলে চেষ্টা করলে হয়ত এ ধরনের সিদ্ধান্ত থেকে ভবিষৎ বুয়েটকে রক্ষা করা যাবে। এক্ষেত্রে প্রাক্তনরা বিশাল ভুমিকা পালন করতে পারবেন বলে আশা রাখি।

শাহরিয়ার নির্জন এর ছবি

সুন্দর একটি প্রস্তাব। এটা নিয়ে কেন সবাই চিন্তিত আমি বুঝতে পারছিনা। বুয়েটের একজন প্রাক্তন শিক্ষক এবং একজন প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে আমি এটাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাই। এর সাথে আরও কিছু পয়েন্ট আমি একাডেমিক কাউন্সিলের পরবর্তি মিটিংয়ে পাশ করানোর সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি-

(১) শিক্ষকদের সন্তানদের সিজিপিএ ভিন্ন ফরমূলা দিয়ে নির্ণয় করা হবে। যেমনঃ সিজিপিএ = ফ্যক্টর * প্রাপ্ত সিজিপিএ। এখানে, ফ্যাক্টর নির্ধারিত হবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক পিতার সিনিয়রিটির ভিত্তিতে।

(২) শিক্ষকদের সন্তানদেরকে আলাদা বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও তাদেরকে পিতার বিআরটিসির পারসেন্টেজ অনুযায়ী মাসিক স্টাইপেন্ড দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

(৩) টার্ম ফাইনাল পরীক্ষায় প্রতি সেকশনে আলাদাভাবে অতিরিক্ত একটি চয়েস কোয়েশ্চেন দেয়া হবে। এটার নাম হবে- 'আমার বাবার কোয়েশ্চেন'। এটার সুবিধা শুধুমাত্র শিক্ষকদের সন্তানেরাই পাবে।

(৪) পাস করার পর টিচার নেবার সময় প্রতি একজন 'সাধারণ বাবার' পুত্রের বিপরীতে একজন করে 'বুয়েটের শিক্ষক বাবার' পুত্রকে নিয়োগ দিতে হবে।

(৫) এ প্রস্তাবের সাফল্যের পর, এর সাথে সংগতি রেখে পরবর্তিতে একই রকমভাবে বুয়েটে বিএনপি কোটা, আওয়ামী কোটা, জামাত কোটা, জাতীয়পার্টি কোটা ইত্যাদি করা হবে।

এ প্রস্তাবগুলি কেউ যদি আমার পক্ষ থেকে এ্যাকাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ে উত্থাপন করেন তবে আমার ভবিষ্যত সন্তান, তার সন্তান এবং তার সন্তান ... সবার জন্য যথেষ্ট সহায়ক হয়।

ধন্যবাদান্তে,
শাহরিয়ার নির্জন।
ইউনিভার্সিটি অফ ভার্জিনিয়া।
(সাবেক ছাত্র ও শিক্ষক, বুয়েট)

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এটা আমার দেখা বাংলা ব্লগের সেরা মন্তব্যগুলোর একটা।

টার্ম ফাইনাল পরীক্ষায় প্রতি সেকশনে আলাদাভাবে অতিরিক্ত একটি চয়েস কোয়েশ্চেন দেয়া হবে। এটার নাম হবে- 'আমার বাবার কোয়েশ্চেন'।
এই অংশটা সিম্পলি সুপার্ব।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

বিপ্রতীপ এর ছবি
রাগিব এর ছবি

কমেন্টে উত্তম জাঝা!

অফ টপিক - তুমি কি চাকরি ছেড়ে এসেছো নাকি পাকা করে এসেছো?

----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
http://www.ragibhasan.com

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

শাহরিয়ার নির্জন এর ছবি

রাগিব ভাই, ছেড়ে এসেছি। আমার কাহিনী না-হয় দেখা হলে সামনাসামনি শুনবেন।

রাগিব এর ছবি

হুম, আন্দাজ করতে পারছি। মন খারাপ

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুন লেখছেন ভাইয়া!!
------------------------------
উদ্ভ্রান্ত পথিক

riasat এর ছবি

sir nice proposal i agree with u..

সাফি এর ছবি

নির্জন ভাইয়ের মন্তব্যের তুলনা নেই। বুয়েট এমন নিয়ম করলে যেসব শিক্ষকদের সন্তানেরা মেধাবী তাদেরই আরও বেশী অবমূল্যায়ন হবে।

ভ্রান্ত পথিক [অতিথি] এর ছবি

আপনাকে চিনি। "সুন্দর একটি প্রস্তাব"-----এইটুকু পড়ে গালি দিব দিব করতেছিলাম। পরে হাসছি ।

helal [অতিথি] এর ছবি

এখন ই ঠেকাতে না পারলে বুয়েটের ভবিষ্যত খুব ই খারাপ হবে।আমি এর জোড়ালো প্রতিবাদ জানাচিছ।
‍হেলাল,৯৪ ব্যাচ

তানভীর এর ছবি

শিক্ষকদের পোষ্যদের জন্য কোটা পদ্ধতি চালুর নির্লজ্জ প্রস্তাবে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আশা করছি তাদের মধ্যে শুভ বুদ্ধির উদয় হবে।

তবে টিউশনের ভিত্তিতে সান্ধ্যকালীন শিফট চালু করার ক্ষেত্রে আমি কোন সমস্যা দেখি না। আলমগীর যেমন বলেছেন বিশ্বের অনেক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ই তাদের ব্রান্ড নেইমকে কাজে লাগিয়ে লাভের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন নতুন ক্যাম্পাস করে ছাত্র ভর্তি করছে। তবে এক্ষেত্রে তারা মানের দিক থেকে কোন ছাড় দেয় নি যা বুয়েটের ক্ষেত্রেও কাম্য নয়। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা প্রভৃতি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন ভর্তি পরীক্ষা না থাকলেও একটি নির্দিষ্ট বাছাই প্রক্রিয়া রয়েছে। বুয়েটের সান্ধ্যকালীন শিফট যদি চালু হয় তবে মান রক্ষার জন্য এ ধরণের বাছাই প্রক্রিয়া অবশ্যই থাকতে হবে। শুধু অর্থ, শিক্ষালাভ বা বঞ্চিত হবার কোন মাপকাঠি হতে পারে না। যেটা সহজেই করা যেতে পারে তা হল-

বুয়েটের রেগুলার ভর্তি পরীক্ষায় সাধারণত যত সিট আছে তার কয়েকগুণ ভর্তিচ্ছু পরীক্ষা দেয়। এসব পরীক্ষার্থীদের গণিত, পদার্থ, রসায়নের নম্বরের ভিত্তিতে বাছাই করা হয়। রেগুলার ভর্তি পরীক্ষার সময় এই বাছাইকৃত ভর্তিচ্ছুদের অপশন দেয়া যেতে পারে যে মূল পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে তারা সান্ধ্যকালীন শিফটে টিউশনের ভিত্তিতে পড়তে ইচ্ছুক কিনা। যারা এতে টিক দেবে তাদের মধ্য থেকেই শুধু সান্ধ্যকালীন শিফটে মূল ভর্তি পরীক্ষায় ফলাফলের ভিত্তিতে বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি করানো হবে। সাধারণত দেখা যায় বুয়েটে চান্স না পেয়ে এদের মধ্যে বেশিরভাগই বিআইটি বা দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভর্তি হয়ে ভালো ফলাফল করে। সান্ধ্যকালীন শিফটে এদের সুযোগ দিলে মানের কোন তারতম্য হবে বলে আমার মনে হয় না। তাছাড়া পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়েছে কিন্তু মূল শিফটে পছন্দের বিভাগ পায় নি এমন অনেকেই (যাদের সামর্থ্য আছে) হয়ত তখন দেখা যাবে পছন্দের বিভাগে পড়ার জন্য সান্ধ্যকালীন শিফটে আসছে। এ ধরনের কোন বাছাই প্রক্রিয়া রাখা হলে আমি টিউশনের ভিত্তিতে বুয়েটে সান্ধ্যকালীন শিফট চালু করা সমর্থন করি।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

সচলে প্রাক্তন বুয়েটিয়ানের সংখ্যা যত ভেবেছিলাম ততটা মন্তব্য এখনো মনে হয় আসেনি। বুয়েটের স্বার্থেই কোটা পদ্ধতির প্রচলন হওয়া উচিত হবেনা। তবে সীমিত আকারে সান্ধ্যশিফট চালু করার যেতে পারে। সমস্যা হবে তখনই যখন বাংলাদেশের অন্য সবকিছুর মত সেটা যদি সুঁই হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বেরোয় তাহলে। সু ও সর্বজনআদৃত পরিকল্পনা করে এগুলে সান্ধ্যকালীন শিফট বুয়েটে বাড়তি অর্থসংস্থান করবে সন্দেহ নেই। সে টাকা দিয়ে মূলধারার ছাত্রদের এ্যাসিসট্যান্টশীপ দেয়া যেতে পারে। এই প্রস্তাব দিলে ছাত্রদের সমর্থন পাওয়া হয়তো সহজ হবে।

পোষ্য বিষয়ক একটা উদাহরণ দেই। মেমোরিয়াল ইউনিভার্সিটি অব নিউফাউন্ডল্যান্ড-- কানাডার আটলান্টিক প্রদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে ফ্যাকাল্টি পজিশনে আবেদন করলে সাথে বউও (বা স্বামী) আবেদন করতে পারে। মজার বিষয় হলো আবেদন সফল হলে বউও (বা স্বামী) তার যোগ্যতা অনুযায়ী একটা পদ পেতে পারে (অন্য ডিপার্টমেন্ট বা একই ডিপার্টমেন্টে)।

পোষ্য সম্পর্কে ঢাবি'র বিষয়টা আমি যতটা জানি তা হলো পোষ্য হলেই ভর্তি হওয়া যাবে এমন নয়। পোষ্যকে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে এমনটাই জানি। তবে পছন্দসই বিষয় নির্বাচনে পোষ্যরা সম্ভবত সুবিধা পেয়ে থাকে। তবে সেটাও সার্বজনীন নয়। সবার পোষ্যই কম্পিউটার বা জনপ্রিয় বিষয়ে বোধহয় পড়তে পারেনা। পোষ্য নিয়ে দূর্নীতির কোন অভিযোগ আমার স্বল্পকালীন অভিজ্ঞতায় শুনিনি (বিজ্ঞান অনুষদের কথা বলছি)। অপ্রাসঙ্গিক হলেও বলে রাখি, আমার জানা মতে ঢাবিতে ভর্তি প্রকৃয়ায় একজন শিক্ষকের ভূমিকা নেই, অর্থাৎ কোন শিক্ষকের পক্ষে দুই নম্বরি করে ভর্তি করানোর সুযোগ নেই। কিছু জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছিল যেগুলোর কারণ এই মুহূর্তে মনে নেই, তবে তাদের ভর্তি ২/৩ বছর পরেও বাতিল করা হয়েছিল। সে সময়কার পত্রপত্রিকায় বিষয়টা বেশ ফলাও করে প্রচারিত হয়েছিল।

সাংবাদিক কোন সচল যদি এটা পড়ে থাকেন তাহলে পুরা লেখাটা মন্তব্যগুলোসহ একটা সামারি করে প্রকাশ করার ব্যবস্থা করুন। পত্রিকায় আসলে বিষয়টা হয়তো আরো বেশী নজরে আসবে, জোড় পাবে। ব্লগে লিখলে প্রচার শুধুমাত্র ব্লগারদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে যাবে।

রাগিব এর ছবি

সবার পোষ্যই কম্পিউটার বা জনপ্রিয় বিষয়ে বোধহয় পড়তে পারেনা।

ছাত্রাবস্থায় আমি প্রোগ্রামিং শেখাতাম। আমার এরকম এক ব্যাচে ঢাবি'র কম্পিউটার বিজ্ঞানের জনা আটেক ছাত্র ছিলো, (প্রায়) সবাই শিক্ষক কোটায় ভর্তি হওয়া। উপরে কে যেন বলেছিলেন, কোটা পদ্ধতি পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীর জন্য প্রযোজ্য - এ কথাটি প্রচন্ড রকম সত্যি। বুয়েটের নামজাদা যে অধ্যাপক আমার শিক্ষাগুরু, তাঁর জ্যেষ্ঠ্য সন্তানটি বুয়েটে সুযোগ পায়নি, আমার আত্মীয়দের একজন ঢাকা মেডিকেলের একটি বিভাগের প্রধান হওয়া সত্ত্বেও তাঁর সন্তানেরা কেউ মেডিকেলে পড়তে সুযোগ পায়নি। এখন যদি কোটার জোরে এরকম ছাত্রছাত্রীদের ঢোকানোর চেষ্টা শুরু হয়, তাহলে সেটা হবে বাংলাদেশের মন্ত্রী মিনিস্টারদের সুপারিশে চাকুরি পাওয়ার সমতূল্য।

শিক্ষকেরা শীত গ্রীষ্মের ছুটিতেও পড়ান সেই যুক্তি একেবারেই খাটেনা এই জন্য, তাঁরা ঐ সময়ে বেতনও পান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমার অধ্যাপক বছরে ৯ মাস রেগুলার সেমিস্টার চলাকালে বেতন পান, বাকি ৩ মাস বিভিন্ন প্রজেক্টে বা কনসালটেন্সিতে বেতন আসে। সেতুলনায় বুয়েটে "শীত গ্রীষ্মে" কেউ দয়া করে ক্লাস নিয়ে বিশাল উপকার করছেন তা নয়, বছর ঘুরে সব সময়ে বেতনও দেয়া হচ্ছে।

আমার সহপাঠীদের মধ্যে বুয়েটের শিক্ষকদের সন্তানেরা অনেকে ছিল, তারা প্রত্যেকে তাদের নিজেদের যোগ্যতা বলেই সুযোগ পেয়েছে। তাদের কোনো অতিরিক্ত পরীক্ষা দিয়ে আসতে হয়নি। কাজেই কোনভাবে শিক্ষকদের সন্তানেরা পশ্চাদপদ তা আমার বোধগম্য নয়। বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে অন্য সবার যা অধিকার, শিক্ষক কর্মচারীদের সন্তানদের অধিকার তার চেয়ে বেশি নয়।

সমস্যা হবে তখনই যখন বাংলাদেশের অন্য সবকিছুর মত সেটা যদি সুঁই হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বেরোয় তাহলে।

সমস্যাটা ঠিক এখানেই।

--------

সান্ধ্য শিফটের কথা দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা প্রায়ই তুলে থাকেন। এর একটা কারণ হলো শিক্ষকদের বেতনের স্বল্পতা (ফুল প্রফেসর সম্ভবত ২০,০০০ টাকার স্কেলে আছেন বা এর কাছা কাছি, লেকচারারেরা ১০-১২,০০০ টাকার স্কেলে। ৫ বছর আগে আমি ৪৩০০ টাকার স্কেলে ঢুকেছিলাম।)

এখানেও অনেক "কিন্তু" আছে। কেননা (অনুমতি নিয়ে বা না নিয়ে) বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিয়ে ইতিমধ্যেই অনেক শিক্ষক বেতনের স্বল্পতা কাটাতে পারছেন। তাহলে তার সাথে সান্ধ্য ক্লাসের পার্থক্য কী? পার্থক্যটা হলো, ডিগ্রির। বুয়েটের selective ভর্তি প্রক্রিয়া, প্রায় সব পরীক্ষাতে কঠোর নিরপেক্ষতা - এসবের কারণে এবং ভালো ছাত্র-ছাত্রীরা ঢোকার জন্যেই বুয়েট - বুয়েট হয়েছে, খ্যাতি পেয়েছে। তো, তানভীর ভাই উপরে যেমন বলেছেন, সেভাবে ওয়েটিং লিস্টে থাকাদের না হয় সন্ধ্যা বেলাতে মোটা টাকার বিনিময়ে ঢোকানো হলো, কিন্তু তারা কি আলাদা ডিগ্রী পাবে? তারা যদি একই ডিগ্রি পায়, তাহলে মূল সমস্যা, অর্থাৎ টাকার বিনিময়ে বুয়েটের সার্টিফিকেট বেচার কথাটা সত্যি হয়ে যায়। আর তারা যদি একই সার্টিফিকেট না পায়, তাহলে ২য় শ্রেণীর সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য লাখ কয়েক টাকা কেউ ঢালবে কি না সন্দেহ।

ব্লগে লিখলে প্রচার শুধুমাত্র ব্লগারদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে যাবে।

পোস্টটির হিট দেখুন। বিভিন্ন স্থান থেকে ভিজিটরেরা এখানে আসায় আজ ১২ ঘণ্টাতে প্রায় ২০০+ ইউনিক ভিজিটর এসেছে এখানে। আমাদের রশীদ হলের মেইলিং লিস্টে একজন দেখলাম এই লিংকটা পোস্ট করেছে। সবাই পোস্টের সাথে পুরোই একমত।

--

আশা করি সবার সুমতি হবে।

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ঢাবি'র কম্পিউটারের ব্যাপারটা জানা ছিলনা। এটা পোষ্য কোটার ব্যাপক অপব্যবহার। পোষ্য চালু হলে একই ঘটনা বুয়েটেও হবে, সন্দেহ নাই।

পোস্টের সাথে কোন দ্বিমত নেই। তবে প্রচারণার জন্য পত্রিকাতেও আসা দরকার।

তানভীর এর ছবি

তো, তানভীর ভাই উপরে যেমন বলেছেন, সেভাবে ওয়েটিং লিস্টে থাকাদের না হয় সন্ধ্যা বেলাতে মোটা টাকার বিনিময়ে ঢোকানো হলো, কিন্তু তারা কি আলাদা ডিগ্রী পাবে?

সান্ধ্যকালীন ছাত্ররা যদি বুয়েটের সব নিয়ম-কানুন মেনে সব সেমিস্টার পাশ করে, তবে তাদের একই ডিগ্রী দিতে বাধা কোথায়?

রাগিব এর ছবি

সান্ধ্যকালীন ছাত্ররা যদি বুয়েটের সব নিয়ম-কানুন মেনে সব সেমিস্টার পাশ করে, তবে তাদের একই ডিগ্রী দিতে বাধা কোথায়?

(ষষ্ঠ পাণ্ডবের অনুরোধে এই দিকে আর আলোচনা করবোনা, তবে একটু পরিষ্কার করতে চাই) সমস্যাটা এখানেই, ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট বা কালো টাকার মালিক চৌধুরী সাহেবের ছেলের যোগ্যতা কম থাকা সত্ত্বেও কেবল টাকা ঢালার সুবাদে একই ডিগ্রি পাবে। অর্থাৎ বুয়েটের ডিগ্রি দুভাবে পাওয়া যাবে, ১) মেধা দিয়ে, ২) টাকা ঢেলে।

যাদের বাপের টাকা আছে, তাদের আর ভর্তি পরীক্ষায় কষ্ট করা লাগবে না। যেনো তেনো ভাবে ওয়েটিং লিস্টের কোথাও থাকলেই চলবে। কারণ টাকা দিয়ে তো সিট কেনা যাবে!

যে ডিগ্রি পেতে যোগ্যতা বেশি দরকার নেই, বাপের টাকা থাকলেই চলে, সেই ডিগ্রির দাম আদৌ থাকবেনা, ভবিষ্যত বাণী করে দিতে পারি। ফার্মগেটের গাব-বিশ্ববিদ্যালয়ে সেটা চলতে পারে, কিন্তু বুয়েটের ডিগ্রি বা সার্টিফিকেট সেভাবে বিক্রি করাটা আমি মানতে পারি না।

পাবলিকের টাকায় প্রতিষ্ঠিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ওয়েটিং লিস্টে থাকা সমান মেধার দুইজন ছাত্র, একজন পড়তে পারবে কেবল টাকা দিয়ে, আরেকজন পারবেনা টাকা নাই বলে -- এটা জনবিরোধী একটা ব্যাপার। ছাত্র বেতনের এই টাকাগুলো দিয়ে শিক্ষকদের উপরি বেতন হতে পারে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো পাবলিকের টাকায়ই গড়া, কাজেই সেখানে দুজনের সাথে দুরকম আচরণ করা চলে না। টাকার বিনিময়ে পড়তে যাওয়া কেউ তো আর গাছতলায় পড়বেনা, পাবলিকের টাকায় তৈরী ভবনেই পড়তে যাবে।

যাহোক, এটা অফ টপিক হয়ে যাচ্ছে, পোস্ট দাতার অনুরোধে আসুন মূল বিষয়, অর্থাৎ কোটা পদ্ধতির দিকেই আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখি।

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

তানভীর এর ছবি

রাগিব এর ছবি

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

হিমু এর ছবি

জর্জ ওয়াকার বুশ নিজের মেধার জোরে জীবনে কোন পরীক্ষা পাশ করেছে, এই কথা কেউ গরম গুয়ে হাত দিয়ে বললেও আমি বিশ্বাস করবো না। হি রিপ্রেজেন্টস দ্য আলটিমেট ইডিয়সি।


হাঁটুপানির জলদস্যু

অমিত আহমেদ এর ছবি

বাংলাদেশের প্রক্ষাপটে বুয়েটে শিক্ষক-পোষ্য কোটা সমর্থন করি না। সবার মতো আমারও মনে হয় এতে বুয়েটের মান ক্ষুণ্ণ ও অন্য শিক্ষার্থীদের সাথে অবিচার করা হবে। তবে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীদের জন্য আলাদা কোটা আমি পূর্ণ সমর্থন করি।

আলাদা বেতনে সান্ধ্যকালীন শিফট চালু করা নিয়ে কোনো সমস্যা দেখিনা। বুয়েট যদি এতে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হয় তাতে সমস্যা কী? অনুদান মুখাপেক্ষী হয়ে বসে থাকাটা কোনো ভালো কথা নয়। তবে সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা বাছাই প্রক্রিয়া থাকতে হবে। আর নীতিমালা-নিয়ম সাধারণ শির্ক্ষার্থীদের মতোই হতে হবে। আলাদা কোনো সুবিধা দেয়া যাবে না।

বুয়েট বাংলাদেশের সেরা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি। এই প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা বাঁচিয়ে রাখতেই হবে।

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

শামীম এর ছবি

১.
কোটার বিপক্ষে সবসময়। আর যদি সান্ধ্যকালীন কোর্স-ই চালু করে তাহলে কোটার দরকার কী?!! পোষ্যদেরকে টিউশন ওয়েইভার দিয়ে সান্ধ্যকালীন কোর্সে ভর্তি করলেই তো হয়!

২.
এমনিতেই কনসালটেন্সী নিয়ে ব্যস্ততায় কোর্স স্কেজ্যুল ঠিক রাখার পক্ষে কোন চেষ্টা করে না। বরং কোন ছুতায় নাতায় বুয়েট বন্ধ হলে কোন কোন শিক্ষক বেশ খুশি-ই হন।

এখন যদি বাইরে খ্যাপে পড়ানোর বদলে কাজটা এখানেই করা যায়, তাহলে তাদের কোর্সের সময়সূচী কেমন হবে? ......... ........ বুয়েট খোলা থাকলে ছয়মাসে সেমিস্টার কিন্তু প্রাইভেট ভার্সিটিগুলোর মধ্যে বেশিরভাগেরই বছরে তিনটা ট্রাইমিস্টার (সেমিস্টার = বছরে দুইটা); আহসানউল্লাহ'র অবশ্য দুইটা সেমিস্টার। বুয়েটের সেশনজটের কথা সকলে জানেন বোধ হয় (আমাদের ব্যাচ ৬ বছর ১০ মাসে পাশ করেছিল) ... টাকা দিয়ে পড়লে এই ধরণের সেশনজট কাম্য নয়। তাহলে যদি কখনো কোনো ছুতায় বুয়েট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে ঐ কোর্সগুলো কি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির মত চলতে থাকবে না বুয়েটের সাথে বন্ধ থাকবে। অর্থনৈতীক কারণেই প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি এভাবে বন্ধ রাখা সম্ভব নয় - আর এজন্য কোর্স যথাসময়েই শেষ হয় যেটা পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে সচরাচর দেখা যায় না।

এই জিনিষ সত্যই চালু হলে বুয়েট কি বেশি বেশি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হবে নাকি উল্টা যথাসময়ে সবার ডিগ্রী শেষ হবে?

৩.
বুয়েটের মাস্টার্স কোর্স ইতিমধ্যেই সান্ধ্যকালীন, কারণ ছাত্ররা বেশিরভাগ চাকুরীজীবি। এরকম প্রাইভেট কোর্স চালু করলে সেটা মাস্টার্সকে ক্ষতিগ্রস্থ করবে কি না সেটাও চিন্তার বিষয়।

৪.
প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির মত কি এখানেও ছাত্র কর্তৃক শিক্ষক ইভালুয়েশনের ব্যবস্থা থাকবে ..... ... হইলে ব্যাপারটা বেশ ইন্টারেস্টিং হবে নিশ্চয়ই।

৫.
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার অভিজ্ঞতায় বুঝি যে, ক্লাস দিনে বা রাতে যখনই নেয়া হউক না কেন, এডমিনিস্ট্রেটিভ কাজ এবং ক্লাস নেয়ার সংশ্লিষ্ট প্রস্তুতির জন্য পুরা কর্মঘন্টাই ব্যয় করতে হয়। একটা এক ঘন্টার ক্লাস ঠিকভাবে নিতে চাইলে এর আগে যথাযথ প্রস্তুতি নিতে হয় + পরে পরীক্ষার খাতা দেখতে হয় ইত্যাদি।

ফলে, বুয়েটে তখন শিক্ষক ও কর্মচারীদেরকে ডবল শিফট কাজ করতে হবে। পারফর্মেন্সের গ্রাফটা নিচের দিকে নামতে থাকবে। কারণ রাত দশটা পর্যন্ত ক্লাস/পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে পরদিন সকাল ৮ টায় স্বাভাবিক ক্লাস ধরা এক কথায় অসম্ভব এবং অমানবিক।

আমি নিজে বেশির ভাগ ক্লাস সান্ধ্যকালীন শিফটে নেই ... অফিসে যাই ৩টায় আসি রাত ১০টা-১১টায়। সাধারণের মতই ৮ ঘন্টাই কিন্তু লাগে।

যখন বুয়েটের একজন শিক্ষক পার্ট-টাইম শিক্ষক হিসেবে কোন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে ক্লাস নেয় তখন সেখানকার এডমিনিস্ট্রেটিভ ব্যাপারগুলো তাঁদের দেখতে হয় না। ফলে স্ট্রেস তুলনামূলকভাবে অনেক কম হয়।

৬.
বাইরের নামকরা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনেক রিসার্চ ল্যাব বিভিন্ন কোম্পানীর টাকায় চলে। সান্ধ্যকালীন কোর্স চালু করার চাইতে যদি ইন্ডাস্ট্রি থেকে রিসার্চের জন্য আরো বেশি করে ফান্ড আনতে পারতো সেটা আরো পজেটিভ হতো বলে মনে করি। দেশের প্রকৌশল শিক্ষার সাথে ইন্ডাস্ট্রির সংযোগ বাড়তো তাহলে .... শিল্পের/বাজারের চাহিদা অনুযায়ী কোর্স অফার করতে পারতো তাহলে।

৭.
শুনেছিলাম পাকিস্থানে ব্রেন ড্রেইন ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন আকাশচুম্বী ... আর এতে কাজও হয়েছে (প্রফেসর নাকি মাসে এক লাখ রুপি বেতন পায়)। বুয়েটের বার্ষিক বাজেটের তুলনায় এ ধরণের উদ্যোগে খরচ তেমন বৃদ্ধি পাবে না বলে মনে হয় ... ... আর ভালো শিক্ষকগণও থেকে যাবেন/ফেরত আসবেন।

তবে, এটা করতে গেলে শিক্ষকদের পারফর্মেন্স ইভালুয়েশন সিস্টেম করা উচিত। এখন যেটা শুধু প্রমোশনের ক্ষেত্রেই করা হয় ... তাই একজন কোন রকমে প্রফেসর হয়ে গেলেই গা-ছাড়া দিয়ে দিতে পারেন ... বর্তমানে যেটা প্রকট। বেটার সুবিধা পেতে হলে প্রফেসরকে সেইরকম ভাবে কন্ট্রিবিউট করতে হবে ... বছরে/দুই বছরে একটা/তিনটা ইন্টারন্যাশনাল পাবলিকেশন করতে হবে ... ইত্যাদি সিস্টেম করতে হবে। আর সেই স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখতে না পারলে বেতন ভাতার সুবিধাও কমে যাবে।

শিক্ষকগণের বেতন-ভাতা বাড়ানো উচিত। না হলে শিক্ষকের মর্যাদার শুকনা বুলি ধুয়ে তো কেউ পানি খাবে না। ফান্ড বৃদ্ধির জন্য সান্ধ্যকালীন শিফট চালু করলে টাকা বাড়বে হয়তো, কিন্তু সামগ্রীকভাবে মান বাড়বে না বরং কমার সম্ভাবনাই বেশি।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

প্রিয় তানভীর, রাগিব, অমিত, শামীম এবং আরো যারা সান্ধ্যকালীন শিফট নিয়ে লিখেছেন সবাইকে ধন্যবাদ। এব্যাপারে আপনাদের গভীর ও সংবেদণশীল চিন্তার প্রকাশ প্রমাণ করে এখনো আমাদের কাছে "বুয়েট" কী।

সান্ধ্যকালীন শিফট নিয়ে বুয়েট শিক্ষক সমিতির পরিকল্পনা সংক্রান্ত কর্মপত্রটি পেলে এ ব্যাপারে পোস্ট দেবার চেষ্টা করব। তখন সান্ধ্যকালীন শিফট সংক্রান্ত ব্যাপারে কী হতে যাচ্ছে তা আমাদের কাছে পরিষ্কার হবে। আপাততঃ আমাদের আলোচনা "কোটা" বিষয়ে সীমাবদ্ধ রাখি যাতে মূল আলোচনা ভিন্ন ট্র্যাকে চলে না যায়।

আবারো আপনাদের সবার কাছে সনির্বন্ধ অনুরোধ করছি, দয়া করে আপনারা পত্র-পত্রিকায় এনিয়ে লিখুন, অন্য ব্লগগুলোতে লিখুন, গ্রুপগুলোতে জানান। আমাদের উচিত আমাদের প্রতিবাদ যথাযথ স্থানে পৌঁছে দেয়া।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

Mizan Majumder এর ছবি

This is totally unacceptable. This is another proof of growing moral degradation of our society.

I remember that during our time in BUET the daughters of the then
Vice-Chancellor and Registrar both failed in the entrance
qualification and was not given any favour. Few years back when Sheik
Hasina wanted to interfere in the admission process in BUET all
teachers including the VC threatened to resign. What is happening now?

Any teacher favouring this stupid step should be identified and rejected by all student and community members. Their classes should not be attended by the students in protest.

Mizan Majumder, PEng
NAME; Batch of 1980 passing year

জি.এম.তানিম এর ছবি

কোটা পদ্ধতি কেবল সুবিধা বঞ্ছিতদের জন্যেই হওয়া উচিৎ। আমার পরিচিত বেশ ক'জন শিক্ষকসন্তান নিজের যোগ্যতায়ই বুয়েটে তাদের স্থান করে নিয়েছেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণতন্ত্রের জায়গায় আত্মীয়তন্ত্রের ছাপ দেখলাম অতীতে, বুয়েটেও সেটা দেখতে হবে ভাবিনি...ভবিষ্যতে দেখতেও চাই না। আমাদের স্বপ্নের জায়গাগুলো এভাবেই চুরি হয়ে যায়।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

মুহাম্মদ লুৎফুল হাই এর ছবি

প্রচন্ড ভাবে এর প্রতিবাদ জানাই।

আমি সবার রেস্পন্স পরে শেষ করতে পারিনি এখনও, তবে কয়েকজনের সাথে আমি এক মত প্রকাশ করে বলছিঃ
১. কোটা পদ্ধতি কেবল সুবিধা বঞ্ছিতদের জন্যেই হওয়া উচিৎ।
২. আরেক জনের সাথে এক মত হয়ে আমার ও মনে হয় কোনো লাভ হবে না। কারন তারা বুয়েট শিক্ষক, সর্বদার মত তারা যা চায় তাই করতে পারে।

অনুগ্রহ করে যাদের ক্ষমতা আছে, এই বিষয়ে মিডিয়ার মাধ্যমে কিছু করার চেস্টা করুন।

রাগিব এর ছবি

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার একজন বন্ধুকে এই ঘটনার কথা জানালাম...সে university of toronto তে পড়ে।সে তো অবাক!!
''এই ধরনের আবার কোটা আছে নাকি!!''
-------------
উদ্ভ্রান্ত পথিক

Garfield  এর ছবি

i think , Bangladesh has no system in any sector,so it's not necessary to have a system in BUET at all....so my point is let them (anyone) do anything they want to do unless and until the system is changed...

হিমু এর ছবি

কন্ট্রোল + অল্ট + পি চাপলে ফোনেটিক কীবোর্ডে বাংলা লেখা যাবে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

শিশির এর ছবি

কোথাও চাণ্স পাই নাই BUET এ ভর্তি হবো

রিয়াজ এর ছবি

এই গুরুত্বপুর্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা একটি ভালো পদক্ষেপ। তবে এই আলোচনায় আরো মৌলিক কিছু বিষয় স্থান পাওয়া বোধহয় জরুরী।
১। বুয়েটের সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়ায় গনতান্ত্রিক চর্চার প্রয়োগ হচ্ছেনা বলেই মনে হচ্ছে। এটার পরিবর্তন না হলে খুটিনাটি বিষয় সব ক্ষেত্রে ব্লগ ব গ্রুপে আলোচনা করা কতোটা কার্যকর তা ভাববার বিষয়।
২। দেখা যাচ্ছে বিষয়টি উপস্থাপনের পর প্রায় সবাই এর বিরোধিতা করছে তাহলে প্রশ্ন বুয়েটের ভেতরে এর বিরুদ্ধে সবাই সোচ্চার হতে পারছে না কেন?
আমার মনে হচ্ছে বুয়েটের প্রাতিষ্ঠানিক এই দুর্বলতা দূর করা না গেলে এই ধরনের প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসবে।

শিমন এর ছবি

নিজেকে বুয়েট এর ছাত্র হিসেবে পরিচয় দিতে লজ্জা করছে...

বুয়েট এর মানে বাংলাদেশের কাছে একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে কোনো ধরনের partiality (মাফ করবেন, উপযুক্ত বাংলা পাচ্ছিলাম না...) এর স্থান নেই।
আমার মনে হয় না এর পর বুয়েট এর ছাত্ররা গর্বের সাথে “নিজেকে বুয়েট এর ছাত্র” হিসেবে পরিচয় দিতে পারবে। কারন আমরা জানি আমরা প্রত্তেকে নিজেদেরকে প্রমান করে এই প্রতিষ্টানে প্রবেশ করেছি। আর আমাদের সাথে অনেক সহপাঠী এরকম আছে যারা শিক্ষক সন্তান। কিন্তু তারা নিজেদের কে প্রমান করে এসেছে। এইকারনে, তাদের সাথে, তাদের অন্যান্য সহপাঠী দের কোনো পার্থক্য নেই। এবং তারা নিজেদেরকে প্রমান করে যাচ্ছে, নিজেদের যোগ্যতার ভিত্তিতে।
বুয়েট নিয়ে প্রতিটি ছাত্র গর্ব বোধ করে তার কারন বুয়েট এ যোগ্যতার মর্যাদা দেয়া হয়।
আর তারা আজকে পিতার পরিচয়ে (!!!!) একটি ছাত্রের যোগ্যতার মূল্যায়ন করবে...
আপনারা কেউ কি বুঝতে পারছেন না , এই পদক্ষেপে বুয়েট এর মান কি পরিমান নেমে যাবে?

sopan এর ছবি

আজব. BUET ও গেল !
BUET theke pass korsi boley j gorbo chhilo, ta r thaklo na.
@Nirjon vai, as usual, apnar comment ta oshadharon hoise..

evening shift kortley koruk, but shekhetrey certificate e likha thakte hobe j eraa evening shift er lok, jaate identify kora jay j kar orgin kee.
Upojaateera Bangladesh er shubidha bonchito manushm tader jonno kotha thakle choley, but Buet er teacher der polapanra to shubidhabonchito na, borong highly shubidha prapto goshthee, teacher der ki nijeder shontander niye ektu o confidence nai ! Jader baap/maa emon gyani(!) tader to genetically ee urbor mostishker odhikary hobar kotha ( baap/ma er ekjon medhabi hoilei naki shontaner medhabi howar chance 75% baira jay, biology class e shikhsilam), tader to reserved seat e vortir dorkar thakaree kotha na . nijera eto professor hoiyao jodi chhele meyeder properly shikkhito korte na parey, taile to shei teacher er personal berthota eita..so purra jinish ta j takar lobhey kora hoitese ta to porishkar ..

মুনির হাসান এর ছবি

বুয়েটের পরবর্তী একাডেমিক কাউন্সিল সভা কবে,জানালে খুশী হবো। আর কোটা প্রস্তাব কি শিক্ষক সমিতির সভায় অনুমুদিত হয়েছে? মানে কারো কাছে কী সভার মিনিটস আছে?
আর আন্দোলন বা কোন কিছু করার আগে একটা বিষয় মাথা রাখতে হবে সেটা হলো এখন বুয়েটের লংগেস্ট সেমিস্টার চলছে। এই সেমিস্টারের পরীক্ষা এতোদিনে শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু নানা প্যাচে পড়ে এখন মনে হচ্ছে মিড ফেব্রুয়ারিতে ঠেকবে। নতুন করে কোন কিছু হলে সেটা আরো পিছিয়ে পড়তে পারে।
যেহেতু এই শেষনে এই কোটা প্রয়োগ করা যাবে না, কাজে আপাতত আমাদের লক্ষ্য হওয়া দরকার খবরটা যেন সব মহলে পৌছে।

মুনির হাসান,ঢাকা

Nazmul Hasan এর ছবি

I think BUET teachers should not draw the example of DU etc to raise an excuse to serve their mean purposes. They should rather raise voice to remove such "cota system" for admission from anywhere else in the country.If BUET teachers succeed in their proposal (very likely, because politians will also make their way out) then why should we need BCS exam for job? Only sons & daughters of service holders can get the jobs without any examination.

আসাদ [অতিথি] এর ছবি

ইশতিয়াক রউফ লিখেছেন:
বিষয়টা ভাবার মত। নীতি, আভিজাত্য, আর অর্থের সংঘাত। ভেবে মিলাতে পারি কিনা দেখি!

ব্যাপারটা অনেকটা তাই-- দুই কূলের কৌলিন্যের সংঘাত -- এক কূল হল এই কূলীন প্রতিষ্ঠানের ছাত্র এবং এলামনাই, আরেক কূল হল এই প্রতিষ্ঠানের প্রশাসক কাম শিক্ষক গণ। তবে সংঘাত হোক না --- সংঘাতেই তো সভ্যতার প্রগতি।
(ঘটনাক্রমে আমি এই দুই কূলেরই সদস্য ছিলাম এককালে)

বুয়েটের সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়ায় গনতান্ত্রিক চর্চার প্রয়োগ হচ্ছেনা বলেই মনে হচ্ছে। এটার পরিবর্তন না হলে খুটিনাটি বিষয় সব ক্ষেত্রে ব্লগ ব গ্রুপে আলোচনা করা কতোটা কার্যকর তা ভাববার বিষয়।

সেটা হবে কিভাবে? বুয়েটের প্রশাসনিক কাঠামো পূরোটাই আমলাতান্ত্রিক (বা শিক্ষক-তান্ত্রিক)। যে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের প্রভাব শিক্ষক, ছাত্র, কর্মচারী, এলামনাই, এমনকি দেশের নাগরিক -- সবার উপরে পড়ে, সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় শিক্ষক (আরো সূক্ষ্নভাবে বললে জ্যেষ্ঠ শিক্ষক) ছাড়া আর কারো প্রতিনিধিত্ব নেই।

তবে আপাতত, কোটা ইস্যু নিয়েই কথা হোক। প্রতিবাদ হোক। কোটা যদি সুবিধাবঞ্চিত কোন গোষ্ঠীর জন্য হত, তাতে আপত্তি ছিল না। কিন্তু প্রস্তাবটা ভালভাবে দেখলেই বোঝা যায় এখানে এই প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে সুবিধাভোগী গোষ্ঠীর জন্যই এখানে সুযোগ করা হয়েছে -- এবং সবচেয়ে ভয়ের কথা হল -- এটাকে জায়েজ করার জন্য সমাজের আরো সবিধাভোগী শ্রেণীকে সুযোগের ভাগ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে -- যাদের টাকা আছে তারও এই সুযোগের ভাগ পাবেন !!!

একটা সেবা প্রতিষ্ঠানের সেবার কিছু বাড়তি সুযোগ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের অনেক ক্ষেত্রেই দেয়া হয় -- সেটা যুক্তিসঙ্গত হয় যখন কর্মচারীদের বেতন এবং অন্যান্য সুবিধাদি প্রয়োজনের তুলনায় কম হয়। বুয়েটের শিক্ষক দের মনে হয় না সেই দলে ফেলা যায়।

যাহোক, আশাকরি, সব দিক ভেবেই এই প্রস্তাব বাতিল বা পূণর্বিবেচনা করা হোক।

মিঠু এর ছবি

এটা একটা কথা হল !
অধিক শোকে পাথর হয়ে গেছি !!

তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

zahid এর ছবি

ami kota poddhotir bipokkhe. eta kono vabei mene neya jai na.

পুতুল এর ছবি

হায়রে, আমাদের দেশে যদি সব গুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বুয়েটের মত মান সম্পন্ন হতো!
তাহলে এই নিয়ে আলোচনাটা হতো কী? কিন্তু সেটা সম্ভব না, অথবা আমরা অসম্ভব ভাবি!
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

Buetian এর ছবি

(Sorry to write English because I can't type Bengali)

If it is true that quota system is going to be started for the children of BUET teachers then I think it may be nothing but a conspiracy the intention of which is not to ensure the admission of every children of teachers but something else. The reason behind thinking in such a way is solely the size of quota (seventeen). From practical point of view, it is highly unlikely that in a single HSC batch the total number of children of teachers seeking admission in BUET will be as high as 17 (it can hardly exceed 10). Even if we assume that in an exceptional HSC batch the number may reach or exceed 17 it will remain impractical. Because they are children of meritorious people, most of them are highly likely to get admission through merit and without quota. Another fact may be that some of them will not be interested in studying engineering at all. At the end of the day, whatever the case, a larger fraction of the seventeen membered quota will be remained unused by the genuine children of the teachers. I think this fact of the part of quota being unused by children of teachers will be a lucrative source of unholy business on the part of a particular group of teachers who will exploit this opportunity.

Riad এর ছবি

kota system kora uchit na, eta shadharon chlepeler upor ottachar chara kisui na

Md. Ahsan এর ছবি

what to do to stop the seat grabbers? if u r a buet teacher don't think that u hav got the right to abuse the power. aren't u paid for ur job? aren't u given quarters? Getting free ticket to heaven is always sweet.

want free seats for ur children, huh!!! why not a dozen practice wives for being buet teachers?? Buet er techer der ami khub sroddha kortam. apnera jodi opportunist hon, oi je j lok amar titumir hall theke cycle churi korse tar dosh ki? shalar Bangladesh.....

Let's do whatever it takes to stop this.

ahmad এর ছবি

আমি kuet এর ছাত্র। আমি দেখেছি kuet এ এরকম কোনো system নাই। আমি kuet এ mechanical এ পড়ি। আমাদের তৎকালীন departmental head পর্যন্তও তার ছেলেকে ভর্তি করাতে পারে নাই।

নাহিদ এর ছবি

অছ্যুৎ বলাই লিখেছেন:
এটা আমার দেখা বাংলা ব্লগের সেরা মন্তব্যগুলোর একটা।
টার্ম ফাইনাল পরীক্ষায় প্রতি সেকশনে আলাদাভাবে অতিরিক্ত একটি চয়েস কোয়েশ্চেন দেয়া হবে। এটার নাম হবে- 'আমার বাবার কোয়েশ্চেন'।
এই অংশটা সিম্পলি সুপার্ব।

আসলেই সিম্পলি সুপার্ব।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

বুয়েট শিক্ষক সমিতির কর্মপত্রটির সার-সংক্ষেপ দেখুন এই লিঙ্কগুলোতেঃ

http://www.esnips.com/web/BUETquota

http://tinyurl.com/buetquota



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

আলমগীর এর ছবি

ভিসি মহোদয়কে তেল দিয়ে ক্যাতক্যাতা করে ফেলা হয়েছে। প্রথমটার বি পয়েন্ট, ইমপ্যাক্ট এনালিসিসটা জটিল হয়েছে; দ্বিতীয়টা সামারিটার মজার।

শামীম এর ছবি

হাসি দেখলাম আমিও।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

রাগিব এর ছবি

মেমোটি পড়ে স্তম্ভিত হয়ে যাওয়া ছাড়া আর কিছু বলার ভাষা নেই।

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

Hari এর ছবি

Cota protha mani na. manbo na. apnara sobai ar against a daran.
Tobe avabe sudhu net a publish korlei cholbe na, physically kisu kore
dekhate hobe.

asun agiey........

সাঝবাতির রুপকথা এর ছবি

বুয়েটের দিন মনে হয় ফুরাইল এইবার ...

swashotoshuvro এর ছবি

ragib vai...

u can take some steps... as u were a teacher of BUET..
pls do something

আসাদ [অতিথি] এর ছবি

ষষ্ঠ পাণ্ডব কে অশেষ ধন্যবাদ কর্মপত্র গুলো তুলে ধরার জন্য।

দুটো প্রস্তাবই চুড়ান্ত হঠকারী। প্রথম প্রস্তাবটি যদিও শুধু জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদেরকেই লাভবান করে, দ্বিতীয় প্রস্তাবটি করা হয়েছে সব শিক্ষককে লাভের ভাগ দেবার জন্যে, যাতে তারা প্রতিবাদ না করেন।

দুটি প্রস্তাবই বুয়েটের মান, নীতি, ইতিহাস সবকিছুর জন্য চরম অবমাননাকর।

বিশেষত দ্বিতীয় প্রস্তাবটি শুধু বুয়েট নয়, আমাদের সমগ্র পাবলিক শিক্ষাব্যবস্থার ঊপরে একটা চরম আঘাত।

আসুন সংগঠিত ভাবে এর চরম প্রতিবাদ জানাই।

বুয়েটের যারা বর্তমান ছাত্র, তারা আপনাদের প্রতিষ্ঠান টিকে বাঁচাতে দৃঢ় আন্দোলন করুন। অন্ততঃ কর্মপত্রটির কপি সবার হাতে পৌছে দিন।

সচেতন অভিভাবক রা প্রতিবাদ করুন।

রাগিবকে বলছি -- এলামনাই দের পক্ষ থেকে একটা শক্ত প্রতিবাদের ব্যবস্থা করি চলুন।
এলামনাইদের কিছুটা হলেও burgaining power আছে এখন। অন্ততঃ এই ব্লগ এর একটা কপি বুয়েটের প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে পৌছান। এবং অনলাইন একটা পিটিশন করুন।

আকাশ [অতিথি] এর ছবি

কত ভাল আইডিয়া ।সবাই যে কেন এর বিপক্ষে ।বুঝতে পারছি না ।

nurBahar yeasha এর ছবি

fajlami paise naki????????!!!!!!!!!!??????????

আসাদ [অতিথি] এর ছবি

সান্ধ্যকালীন দ্বিতীয় শিফট করার কথা যখন এলই, তখন বলি -

বুয়েটের অবকাঠামো যদি এতই ব্যাপক হয় যে তা দিয়ে দুই শিফট চালানো যায়,
তাহলে একই পদ্ধতির দুই শিফট হোক না কেন? একই বিষয় পড়ানো হোক! একই ডিগ্রী দেয়া হোক! ছাত্র বেতন একই হোক!

তাতে ডাবল শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হোক, বাধা নাই।
এতে দ্বিগুন ছাত্রের পড়ার জায়গা হবে, দ্বিগুন তরুণের কর্মসংস্থান হবে।

এটা না করে, শুধু লাভের জন্য দ্বিতীয় শিফট খোলা কেন?

নুভান [অতিথি] এর ছবি

বুঝলাম, আমার প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়টি এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাড়িয়ে আছে।।

Chandan এর ছবি

BUET এ পড়ার সময় ই এক ধরনের বিতৃষ্ঞা থেকে বন্ধুবান্ধব দের আড্ডায় প্রায় ই বলতাম - আমার ছেলে-মেয়ে কে কোনদিন বুয়েট এ পড়াবো না। অনেক বছর পরে অবস্থা না জানি এমন হয়, যে শুধু মহামান্য teacher দের সন্তান রাই বুয়েট এ পড়বে, তখন আর quota'র দরকার হবে না, কারন মানুষ তখন এমনিতেই ছেলেমেয়েকে বুয়েট এ পড়তে পাঠাবে না...

Chandan এর ছবি

এবং সান্ধ্য shift এর ব্যপারে কথা আর সবার মতই... তখন কেউ যদি বলে, বুয়েট এ পড়ি, তাকে আবার শুধাতে হবে, সকালে, নাকি বিকালে? পাবলিক Uni. এর সুযোগসুবিধা কমানো এবং পাবলিক-private এক পর্যায়ে নামিয়ে আনার সরকারি প্রচেষ্টার সাথে বুয়েট ও গা ভাসিয়ে দেবে এটা আশা করিনি। BUET Alumni হিসেবে এটা যে কারো জন্য খুব ই বেদনাদায়ক অবস্থা, যে কষ্টের কথা ভবিষ্যতে কাউকে বলা যাবে না।

অতিথি লেখক এর ছবি

সার্ভেতে MIST-এর ব্যাপারে তথ্যটা খুব ভুয়া।টীচারদের জন্য কোন ছাত্র কোটা এখানে নেই।MIST-এ সিভিল ছাত্র নেয়া হয় বাংলাদেশের অন্যান্য পাবলিক থেকে অনেক নিরাপদ পদ্ধতিতে.আমার শিক্ষাজীবনে আজ পর্যন্ত এমন উলটা-পালটা নিয়ম MIST তে দেখিনাই,আর হবেনা বলেই জানি।আমার কথায় কেউ কিছু মনে নিয়েন না।এমন দুইনাম্বারী তথ্যের সার্ভে দেখে মনের দুঃখে এমন বললাম।
BUET,MIST অথবা IUT এইসব জায়গায় এমন আজেবাজে নিয়ম থাকলে দেশ যাবে কই??আশা করি এমন কিছু হবেনা।

নীল-আকাশ এর ছবি

বুয়েট ছাত্র হবে তুমি? সহজ সমীকরণঃ
অভিভাবক টীচার হলেই করবে বুয়েট বরণ।
মেধার এখন থোড়াই কেয়ার, কেন এত কষ্ট?
ভর্তিযুদ্ধে যেই না পড়া, শুধুই জীবন নষ্ট।
চল খুঁজি বুয়েট টীচার, ডাকবো তাকে বাপ;
অভিভাবক পেলেই হলো, এমন কি আর পাপ?

অযাযিত এর ছবি

পোষ্যদের কোটা ব্যবস্থা সর্মথন করি না।এতে দূর্নীতির সুযোগ তৈরি হবে।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ আয় বাড়ানোর জন্য সী্মিত আকারে evening shift চালু করা যেতে পারে। এই বিশ্ব অর্থনৈ্তিক মন্দার যুগে রাষ্ট্রের পক্ষে একা বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ চালানো দিনে দিনে কঠিন হবে। আমাদের দেশে শিক্ষা ও গবেষণায় সরকারি বিনিয়োগও অনেক সীমি্ত। তাই, অভ্যন্তরীণ আয় বাড়া্নোর কোনো বি্কল্প নেই। সারা দুনিয়াতেই বিশ্ববিদ্যা্লয়গুলো তাদের আয় বাড়ানোর চেষ্টা করছে। আমেরিকার বড় বড় বিশ্ববিদ্যা্লয়গুলো মধ্যপ্রাচ্যে ওদের শাখা খুলছে, এই কারণেই।

যেহেতু এ ধরনের ব্যবস্থা আগে্ পরীক্ষা করা হয় নাই, তাই ছোটখাট সমস্যা হয়ত প্রথম দিকে থাকবে; কি না্মে ডিগ্রি দেওয়া হবে, আলাদা কোন ফ্যাকাল্টির অধীনে হবে কিনা, দুই ব্যবস্থার মধ্যে সমন্বয় কিভাবে করা হবে, দুই ব্যবস্থার ছাত্রদের মধ্যে সম্পর্কের কোনো টানা পোড়েন থাকবে কিনা, ইত্যাদি। এইসব ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ যত্নবান হলে, এগুলো সময়ে কাটিয়ে উঠা যাবে।

তবে সবকিছু করতে হবে, বুয়েটের বহু্দিনে গড়ে উঠা সুনামের সাথে কোনো প্রকার সমঝোতা না করে -- "সুনাম বহু্দিনে তৈরি হয়, কিন্তু ভেংগে পড়তে পারে মুর্হুতে"।
সবদিক বিবেচনায়, বর্তমান কাজটি যথেষ্ট ঝুকিপূর্ণও বটে। একজন প্রাক্তন ছাত্র হিসাবে আমিও চাই, বুয়েট পরি্বর্তনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাক, তার সুনাম অক্ষূন্য থাকুক।

এতোকিছুর পরেও আমরা্ বুয়ে্টকে ভালোবাসি, ভালোবাসবো, কারণ এটা আমাদের Alma Mater.

লীন [অতিথি] এর ছবি

দুই শিফ্‌ট মানি না।

Mohammad Rukunuzzaman এর ছবি

This is completely unexpected from BUET Teachers and unfair to all meritorious students!! This is totally unacceptable!

Completely new and up-to-date courses are designed for the proposed "evening shift" whether there is no change for the real and original BUET students. It is clear that this portion of the teachers wants to create another private university inside BUET to get less eligible students from the market and teach them most modern courses for money!

Not a single seat can be allowed for this purpose. Any single seat can be a great opportunity for a student from middle class family which can bring a great success to him/her and the family.

We Bangladeshi People are paying taxes to run this kind of University for the best students in the country and not for the children of "Meritorious and so called "moral" BUET Teachers!!!!

Sudeeep এর ছবি

এনকিদু লিখেছেন:
আগে একটা দুইটা গরু ঢুকত, কোটা করা হলে বছরে এক ঝাঁক করে ঢুকবে ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

একাকী নেকড়ে এর ছবি

BUET মানে "BABA-r University Of Engineering & Technology"...

Faisal এর ছবি

I had love and respect for buet. I lost the respect when they started including MCQ's as a part of the admission test. Now I think I am gonna lose the love also.

রানা মেহের এর ছবি

কোটা পদ্ধতির বিপক্ষে দাঁড়ালাম
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

লীন [অতিথি] এর ছবি

আমার মনে হয় সেটা তত খারাপ ছিলো না। এম-সি-কিউ তেও দক্ষতা প্রমাণ করা যায়।
কিন্তু এবারের নির্লজ্জ প্রয়াসে আমরা মর্মাহত।

Faisal লিখেছেন:
I had love and respect for buet. I lost the respect when they started including MCQ's as a part of the admission test. Now I think I am gonna lose the love also.

Dhoomketu এর ছবি

SUST e amar jana mote Teacher quota nai

Tanvir Rahman এর ছবি

বুয়েটে কোটা পদ্ধতি চালু করার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

নাহিদ পারভেজ এর ছবি

next academic council meeting will be held on 6 january. On that meeting teachers will propose this destructive steps to the academic council. Steps should be taken before that meeting. Already teachers are saying that this type of protest is an excuse to hold back the exam date. But a matter of hope that some junior teachers are strictly opposing this decision. On the contrary some non departmental teacher also said ,"dont cross the limit. Teachers can do what ever they think the best.". So my request to the alumni that they can presserize the BUET authority. To munir vai- plz inform the media as early as possible. SAVE BUET from corruption.

রাগিব এর ছবি

মডুদের প্রতি প্রশ্ন, এই পোস্টটি কি সচলের ইতিহাসে সর্বাধিক পঠিত পোস্ট?

বিভিন্ন মেইলিং লিস্ট এবং ফেইসবুকে দেখলাম সবাই এই পোস্টের রেফারেন্স দিচ্ছে।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য ষষ্ঠ পাণ্ডবকে ধন্যবাদ।

----

ফেইসবুকে দেখলাম একজন জানিয়েছে, ৬ই জানুয়ারি বুয়েটের একাডেমিক কাউন্সিলের পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই নাকি এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

জানিনা, পানি কোন দিকে গড়াচ্ছে। বুয়েটিয়ান গ্রুপের আলোচনাতে যেটা দেখা গেছে, কোটা পদ্ধতির বিপক্ষে প্রায় সবাই মত দিয়েছে। লক্ষ্যনীয় হলো, অন্য সব এধরণের আলোচনা সূত্রে অন্তত জুনিয়র শিক্ষকদের কিছু মতামত সেখানে আসে, কিন্তু এই ব্যাপারে সবার মুখে তালা। যে কারণেই হোক, কেউ মত দিতে নারাজ।

ফেইসবুকে ইতিমধ্যে একটি গ্রুপ গঠিত হয়েছে এই কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে, এবং এখন পর্যন্ত সেই গ্রুপের সদস্য ৯০৯ জন। দেখা যাক, ছাত্রদের এই সম্মিলিত প্রতিরোধ তাদের শিক্ষাক্রমকে বাধাগ্রস্ত না করে সংগঠিত হতে এবং এই নির্লজ্জ্ব প্রস্তাবটাকে ঠেকিয়ে দিতে পারে কি না।

----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
http://www.ragibhasan.com

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

আলমগীর এর ছবি

সচলের ইতিহাসে সর্বাধিক পঠিত পোস্ট কিনা তা ড্রুপাল/মডু লেভেল থেকে সম্ভবত বলা যাবে না।
ডিবিতে সরাসরি কুয়েরি করতে হবে। তবে >৩,৫০০ হিট তো দেখিনি কখনও!

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এটা তৃতীয় সর্বোচ্চ পঠিত পোস্ট। সর্বাধিক পঠিত পাঁচ:

১। http://www.sachalayatan.com/node/235 10366
২। http://www.sachalayatan.com/node/7867 7455
৩। http://www.sachalayatan.com/node/20633 3890
৪। http://www.sachalayatan.com/node/1508 3612
৫। http://www.sachalayatan.com/node/839 3525

অবশ্য পাঁচটার মধ্যে এইটাই সত্যিকারের "লেখা"। বাকিগুলি টিউটোরিয়াল, বিভিন্ন আপডেট এইসব।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

রাগিব এর ছবি

আরেকটা ব্যাপার এখানে দেখার মতো, আধুনিক এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে কোনো কিছুকে গোপন করে রাখা যায় না। বাংলাদেশের পত্রপত্রিকাগুলো নির্বাচনের ডামাডোলে পড়ে এই খবরটিকে পাশ কাটিয়ে গেছে। কিন্তু ইন্টারনেট এবং ফেইসবুকের কল্যাণে সবার সামনে দ্রুত খবরটি এসেছে। বছর দশেক আগে আমরা যখন বুয়েটে পড়তাম, তখন খবর ছড়াতো গুজবের মাধ্যমে, আর সেই গুজবে ডালপালা ফুল ফল সবই গজিয়ে যেতো।

ষষ্ঠ পাণ্ডবের এই পোস্টটি to-the-point তথ্য তুলে ধরেছে, আর সেই সাথে ইন্টারনেটে সেই কুখ্যাত মেমোটির পিডিএফ যিনি leak করে দিয়েছেন, তাঁর সুবাদে সবাই হাতে নাতে দেখতে পেরেছে আসল ঘটনা। ইন্টারনেট সৃষ্টির প্রথম থেকেই সেন্সরশীপ বিরোধী, আর ইন্টারনেটের প্রবক্তা যারা, তারা শুরু থেকেই সেন্সরশীপ ঠেকানোর নানা প্রযুক্তি তৈরীতে ভূমিকা রেখেছেন। আমাদের সময়ে হলে প্রকাশ্যে এই খবর/মেমো ফাঁস করে দেয়া ছাত্রটির বা শিক্ষকটির ভবিষ্যত ঝরঝরে হয়ে যেতো।

আশা করি বুয়েটের পরীক্ষা পেছাবেনা এই কারণে, আবার পরীক্ষার ডামাডোলে রাতের আঁধারে এই কু-প্রস্তাবটিও পাস হয়ে যাবে না।

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

আরিফ জেবতিক এর ছবি

সব কোটা কোটা কইরা ফালান ।
সারা বাংলাদেশ ভাগজোক কইরা নিয়া যান ।
যাদের বাপ মন্ত্রী ছিল তাদের পরিবারের দুইজন করে সদস্য এমপি করে নিন , তাতে করে নির্বাচনের ঝামেলা মিটবে অনেক আসনে ।

এস, এম, আবদুল্লাহ সাবের এর ছবি

তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় আমি বুয়েটে কাটিয়ে এসেছি। এইখানে একটি আসনের জন্য কতই না পরিশ্রম করতে হয়েছে। আর এই 'কোটা সিস্টেম' আমাদের সেই সকল প্রানান্তকর প্রচেষ্টার মুখে কালো কাপড় ঢেকে দিচ্ছে। বুয়েট আমাদের গর্ব, শুধু এই কারনে নয় যে তার আন্তর্জাতিক খ্যাতি আছে, এই কারনে যে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সত্যিকারের মেধাবীরাই তাদের মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে ঢুকতে পারে। আর এই নতুন প্রস্তাবিত সিস্টেমে সকল মেধাবীদের বুড়ো আঙ্গুল দেখানোর চেষ্টাটাই প্রকট হয়ে উঠছে।

এর বিপক্ষে সকল শিক্ষার্থীদেরই মত থাকা একান্ত প্রয়োজনীয়। কথিত 'কোটা সিস্টেম' চালু হয়ে গেলে আমাদের লজ্জা রাখারও কোন স্থান থাকবে না। এর প্রতি আমি আবারও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

প্রবাশী বাঙ্গালি [অতিথি] এর ছবি

সাম্প্রতিক সময়ে (সম্ভবতঃ '০৫ batch) এর ভর্তির সময়কার একটি দুর্নীতির ঘটনা এইরকমঃ

waiting list থেকে ভর্তি করার সময় নিয়মমাফিক সুযোগ পাবে এমন কয়েকজনকে টপকে list-এর পেছনের কয়েকজন ছাত্র কে ভর্তির চেস্টা করা হয়। জড়িত ছিলেন EEE'র একজন senior শিক্ষক এবং বিশেষ সুবিধা পেতে যওয়া ছাত্র রা ছিল শিবিরের পরিচালিত coaching center-এর ছাত্র। ঘটনা জানাজানি হবার পর, ছাত্রদের বাঁধায় আর চক্রান্ত সফল হয়নি এবং শাস্তি!! হিসেবে দায়ী শিক্ষককে পরিক্ষা committee থেকে বাদ দেয়া হয়।

আমার বক্তব্য হচ্ছে, এই একটা ঘটনা না হয় আমরা জানলাম আল্লাহই জানে এরকম আরও কত আকাম এরা তলেতলে ঘটাইছে। এখন legalize করে নিবে ২% আর সিস্টেম করবে আরো ১০%।

দুইটা প্রস্তাবেরই তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যথেষ্ট প্রতিবাদ, সচেতনতা সৃষ্টি করে এই হারামিপনা ঠেকানো সম্ভব কিন্তু খুবই দুষ্কর। সনি আন্দোলনের সময় পুলিশের ডান্ডার বাড়ি খেয়েছি কিন্তু কোনোই ফায়দা হয়নাই। দেখা যাক এবার কি হয়।

আবির এর ছবি

আপনারা সবাই টিচার দের নেগেটিভ দিক গুলো নিয়ে সমালচনা করছেন। বুয়েট দেশের এক নাম্বার বিশ্ববিদ্যালয় তার প্রধান একটি কারন বুয়েটের টিচারদের কোয়ালিফিকেশন। সরকারি বেতনে এই টিচারদের বেশী দিন রাখতে পারবেন না। এখন টিচারদের যদি কোনো ইনসেনটিভ না দেন তাহলে তারা থাকবেন কেন?

শামীম এর ছবি

সামগ্রীকভাবে একমত নই।

বুয়েটের শিক্ষকগণ ছাত্র হিসেবে অনন্য ছিলেন, কিন্তু তাই বলে তাঁদের সবাই শিক্ষক বা মানুষ হিসেবে অনন্য - এমনটা ভাবার কোন কারণ নাই। আমি যেখানে পড়াই সেখানে বেশিরভাগ শিক্ষকই বুয়েটের শিক্ষকের চেয়ে ০.০১ থেকে ০.০৫ সিজিপি-এ কম পেয়ে ২য় বা ৩য় হয়েছিলেন .... ছাত্র হিসেবেও কিন্তু তাঁরা প্রথম স্থান দখল করা বুয়েট-শিক্ষকের সমতূল্য।

এক নম্বর বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পেছনে শিক্ষকদের চেয়ে ছাত্রদের ভূমিকাই বেশি। একই শিক্ষকদেরকে আমার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের পড়াতে দেন .... হাঁড়ে হাঁড়ে টের পাবে .. কত ধানে কত চাল।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

রাগিব এর ছবি

আর বুয়েটের শিক্ষকদের কোনো মূল্যায়নও নেই। জঘন্য পড়ালেও তাদের কিছু হয় না, ছাত্রদের কাছ থেকে কোনো ফীডব্যাক কখনোই নেয়া হয় না। ভালো ছাত্র হলেই ভালো শিক্ষক বা রিসার্চার হয় না।

আর শামীম ভাইয়ের কথাটা পুরোপুরি ঠিক, আমাদের ব্যাচেও প্রথম ৮ জন শিক্ষক হয়েছিল সিএসই-বিভাগে, প্রায় ১৫-১৬ তম পর্যন্ত ৩.৭৫ এর উপরে সিজিপিএ ছিলো। কাজেই এদের কারো চাইতে কারো মান বেশি ভালো, আর সেজন্য তাদের সন্তানদের কোটা দিতেই হবে, একথাটা একেবারেই ভুয়া।

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

ভ্রান্ত পথিক [অতিথি] এর ছবি

সেই মূল্যায়নের ফলাফল হাতে পেলে অনেকেই সুইসাইড খাইতো।

আশরাফ ফারুক (পালাশ) এর ছবি

"একই শিক্ষকদেরকে আমার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের পড়াতে দেন .... হাঁড়ে হাঁড়ে টের পাবে .. কত ধানে কত চাল।"

আপত্তিকর এবং অযৌক্তিক। আপনি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং আপনার ছাত্রদেরকেই হেয় করলেন। এটা শিক্ষক হিসেবে আপনারই ব্যার্থতা।

৪-৫ বছর আগেও CSE খুব জনপ্রিয় বিষয় ছিল। এরপর ছিল EEE,ME ইত্যাদি. তখন অনেককেই দেখেছি বুয়েট/ঢাবিতে চান্স পেয়েও প্রাইভেট-এ ভর্তি হয়েছে শুধুমাত্র পছন্দের বিষয়গুলো নিয়ে পরার জন্য।

এখন আমি যদি বলি বুয়েটে CIVIL, Chemical-এ (বেশিরভাগ ছাত্রই এহুলো প্রথম পছন্দ হিসেব নেইনা)যারা আছে তারা অন্যান্যদের তুলনায় কম মেধাবী এবং তাদেরকে পড়ালেও হাঁড়ে হাঁড়ে টের পাওয়া যাবে....এটা কি যৌক্তিক হবে?

আর তাছারা বিগত কয়েক বছর ধরে দেখছি কিছু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় (AIUB, NSU ইত্যদি)Programming contest -এ বেশ ভাল করছে। তারা নিয়মিত ভাবে ঢাবি, শাবি, CUET -এগুলোর উপরের দিকেও থাকছে, যদিও Champion হচ্ছে শেষ পর্যন্ত বুয়েটের কোন একটা টিম।

সুতরাং আমি মনে করি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলেো নিয়ে প্রচলিত ধারনাগুলো পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন।

সাহা এর ছবি

আমার মনে হয় আপনি বুঝেন নাই শামীম ভাইয়ের কমেন্ট।

ভ্রান্ত পথিক [অতিথি] এর ছবি

"একই শিক্ষকদেরকে আমার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের পড়াতে দেন .... হাঁড়ে হাঁড়ে টের পাবে .. কত ধানে কত চাল।"--------ঝাঝা।

ভ্রান্ত পথিক [অতিথি] এর ছবি

কি কোয়ালিফিকেশন? এই ধরনের কোটা চালু করার কোয়ালিফিকেশন? আপনার কাছে কি কোয়ালিফিকেশন মনে হইছে? যদি দয়া করে লিখতেন।

অর্ক [অতিথি] এর ছবি

উল্লেখ্য, কর্মপত্রের সার্ভেতে MIST এর প্রসংগটা সম্পুর্ন ভুয়া।MIST তে কখনো এহেন শিক্ষক কোটা ছিলনা।এভাবে অহেতুক ভুল তথ্য দিয়ে কর্মপত্র প্রকাশ করাটা দৃষ্টিকটু।

আসাদ [অতিথি] এর ছবি

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ আয় বাড়ানোর জন্য সী্মিত আকারে evening shift চালু করা যেতে পারে।

জনাব অযাচিত, আপনার এই বক্তব্যের উপরে buetian group এ কিছু বলেছি।
বুঝতে পারছি সবাই কোটার বিপক্ষে, আমি নিজেও। তবু কেন জানি পয়সার জন্য বুয়েটের শিক্ষাকে বানিজ্যিকীকরণ করার প্রস্তাবটিকে আমার আরো বেশী ভয়াবহ মনে হয়। মনে হয় এর প্রভাব আরো সুদুর প্রসারী, যেটা আপাততঃ চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে।

যেহেতু এ ধরনের ব্যবস্থা আগে পরীক্ষা করা হয় নাই, তাই ছোটখাট সমস্যা হয়ত প্রথম দিকে থাকবে; কি না্মে ডিগ্রি দেওয়া হবে, আলাদা কোন ফ্যাকাল্টির অধীনে হবে কিনা, দুই ব্যবস্থার মধ্যে সমন্বয় কিভাবে করা হবে, দুই ব্যবস্থার ছাত্রদের মধ্যে সম্পর্কের কোনো টানা পোড়েন থাকবে কিনা, ইত্যাদি। এইসব ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ যত্নবান হলে, এগুলো সময়ে কাটিয়ে উঠা যাবে।

"আগে পরীক্ষা করা হয় নাই" কথাটা ঠিক না। আজ থেকে ৮ বছর আগে ২০০০ সালে IICT নামে একটা বিভাগ খোলা হয় বুয়েটে, ঠিক একই ধরণের বাণিজ্যিক কোর্স পড়ানোর জন্য। এখনকার প্রস্তাবের মতোই সেখানে কোর্সলব্ধ অর্থের একটা মোটা অংশ কোর্স যিনি পড়াবেন তিনি পেতেন। একারনে ঐসব বানিজ্যিক কোর্সের ভাগ পাবার জন্য স্বাভাবিক ভাবেই অনেক শিক্ষক নোংরা প্রতিযোগিতা করেন। এর ফলে তাদের মূল দায়িত্ব যে সাধারণ অবানিজ্যিক ছাত্রদের পড়ানো এবং গবেষণা করা, সেটা স্বভাবতই বেশ খানিকটা ব্যহত হয়। (যেটা প্রাইভেট ভার্সিটিতে খন্ডকালীন পড়াতে গেলেও হয়)

সুতরাং ইতিহাসই বলে, যে বানিজ্যক কোর্স গুলো বুয়েটে মূল ধারার অবৈতনিক ছাত্রদের জন্য সুফল বয়ে আনবে না।

আরো একটা কথা, প্রস্তাব-২ তে বলা হয়েছে ঐসব বানিজ্যিক ছাত্রদেরকে হলের সিটের মত বুয়েটের রিসোর্স গুলোর সুযোগ দেয়া হবে না। যখন তারা বুয়েটের ছাত্রই হবে, তখন কোন যুক্তিতে আপনি তাদেরকে ঐ রিসোর্সের শেয়ার না দিয়ে পারবেন? উপরন্তু তারা যখন সংখ্যায় অনেক হবেন, তখন তারা যে ওসব দাবী নিয়ে আন্দোলন করবেন না তা কে
বলতে পারে? IICT র ক্ষেত্রে ঐ সমস্যাটা দেখা দেয়নি কারণ ওখানকার বানিজ্যিক কোর্সের ছাত্রসংখ্যা মূলধারা ছাত্রদের তুলনায় নগণ্য ছিল। প্রস্তাবিত সান্ধ্যকালীন কোর্সের ক্ষেত্রে সেটা থাকবে না। তখন তো দুই ধারার ছাত্রদের মধ্যে টানাপোড়ন না কেবল, রীতিমত সংঘাত হতে পারে।

সবদিক বিবেচনায় আমি বুয়েটের শিক্ষা বাণিজ্যিকীকরণের বিরোধী। তবে এ নিয়ে আলোচনা হোক।

কল্লোল  এর ছবি

ষষ্ঠ পাণ্ডব, আপনার লেখাটি আসলেই খুব ভালো হয়েছে। আপনাকে ধন্যবাদ। ৪ হাজারেরও বেশীবার পঠিত এবং এখন পর্যন্ত ১২১ টি মন্তব্য সম্বলিত এই পোষ্টটিতে নতুন করে বলার তেমন কিছু নেই। তবু একটি বিষয়ে একটু বলে রাখাটা জরুরী মনে করছি।

আমার কাছে এ বিষয়টি কেবল বুয়েটের মর্যাদা বা বুয়েটের শিক্ষার মানের প্রশ্ন নয়-- এর সাথে সারা দেশের এবং সব স্তরের শিক্ষার অধিকারের প্রসঙ্গটি যুক্ত। এদিক দিয়ে বিবেচনা করলে শিক্ষকদের পোষ্য কোটা চালু করা কিংবা সান্ধ্য কোর্স এর ব্যবস্থা করা মূলত একই উদ্যোগের দুটো দিক- দুটি ক্ষেত্রেই শিক্ষার সার্বজনীনতা কিংবা তার মৌলিক অধিকার হিসাবে ধর্ম,বর্ণ,শ্রেনী নির্বিশেষে সকল মানুষেরই এতে সমান অধিকার থাকার বিষয়টিকে অস্বীকার করা হয়। রাষ্ট্রকে আমরা ভ্যাট দেই, ট্যাক্স দেই এই উদ্দেশ্য থেকে যে খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান-শিক্ষা-চিকিতসা ইত্যাদি যে সব বিষয় আমাদের মৌলিক অধিকার, সেসব বিষয় যেন রাষ্ট্র আমাদেরকে যোগান দেয়-- আমাদের ধর্ম,বর্ণ,শ্রেনীগত অবস্থান নির্বিশেষে- যেন শুধুমাত্র কোন বিশেষ ধর্মের বা বর্ণের হওয়ার কারনে কিংবা শুধুমাত্র উত্তরাধিকার সূত্রে পর্যাপ্ত টাকা-পয়াসা না থাকার কারণে যেন কোন নাগরিক এই সব মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়।

কিন্তু নয়া উদার নৈতিক বাজার অর্থনীতির এই যুগে রাষ্ট্র ক্রমশ তার সেই দায়িত্ব অস্বীকার করে মৌলিক অধিকারের খাতগুলোকে বাজারের হাতে ছেড়ে দিচ্ছে অর্থাত মৌলিক অধিকারের খাতগুলোকে ক্রমশ আলু,পটলের মতো বাজারের আর দশটা পণ্যের পর্যায়ে নামিয়ে আনছে যেন এগুলো নিয়েও বাণিজ্য করা যায়।এর মূল কথা হলো টাকা থাকলে চিকিতসা পাবে, শিক্ষা পাবে না থাকলে দুরে গিয়ে মর। শিক্ষা ক্ষেত্রে রাষ্টের এই এজেন্ডা সে বিভিন্ন ভাবে বাস্তবায়নের চেষ্টা করে- কখনও ভর্তি ফি বাড়িয়ে, কখনো টিউশান ফি বাড়িয়ে। দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে এ এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। কখনও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফি বাড়ানোর চেষ্টার মাধ্যমে,কখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্য শিফ্ট চালুর মাধ্যমে। মোটামুটি প্রতিবারই ছাত্রদের প্রতিরোধের মুখে রাষ্ট্রকে পিছিয়ে যেতে হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় এবার শুরু হয়েছে বুয়েটে শিক্ষকদের সন্তানদের জন্য বিশেষ সুবিধায় প্রতি ক্রেডিট পাচশত টাকার বিনিময়ে শিক্ষা বিক্রয় কিংবা সান্ধ্য শিফ্ট এর নামে টাকার বিনিময়ে শিক্ষা বিক্রির মহান প্রকল্প। দুটো উদ্যোগই মূলগত ভাবে এক- কারণ উভয় ক্ষেত্রেই কোন বিশেষ শ্রেনীকে বিশেষ সুবিধা দেয়া হবে- কারো পিতা ধনকুবের হওয়ার কারনে সে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে আর কারো পিতা শিক্ষক হওয়ার কারণে সে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে। এরকম চলতে থাকলে একটি নির্দিষ্ট শ্রেনীর মানুষের হাতে শিক্ষা ক্রমশ কুক্ষিগত হতে থাকবে- ইতোমধ্যেই যার লক্ষণ এবং ফলাফল বেশ প্রকট।

যেকারণে আমি মনে করি শুধু বুয়েট নয় সারা দেশে যেখানেই এ ধরনের বৈষম্য মূলক ব্যবস্থা চালুকরার চেষ্টা হবে সেখানেই আমাদের সবাই মিলে আমাদের প্রতিবাদ করা উচিত।বুয়েটের পোষ্য কোটা কিংবা সান্ধ্য কালীন বাণিজ্যিক শিফ্ট চালুর প্রতিবাদের মধ্য দিয়েই চলুন আমাদের প্রতিরোধ পর্ব শুরু হউক।

আপনার চমতকার লেখাটির জন্য আবারও আপনাকে ধন্যবাদ।

আসাদ [অতিথি] এর ছবি

শুধু বুয়েট নয় সারা দেশে যেখানেই এ ধরনের বৈষম্য মূলক ব্যবস্থা চালুকরার চেষ্টা হবে সেখানেই আমাদের সবাই মিলে প্রতিবাদ করা উচিত। বুয়েটের পোষ্য কোটা কিংবা সান্ধ্য কালীন বাণিজ্যিক শিফ্ট চালুর প্রতিবাদের মধ্য দিয়েই চলুন আমাদের প্রতিরোধ পর্ব শুরু হউক।

সহমত। প্রতিরোধটা শুরু হওয়া দরকার। আর কিছু না হোক, রাষ্ট্রের সেবাগুলো বানিজ্যিকীকরণের বিরুদ্ধে জনমত তৈরীর জন্যই এটা দরকার।

উেম্ম আইয়ান এর ছবি

I am x BUET student & at present working as teacher here. I love BUET & proud to being a part of it. Many of my colleagues (both senior & junior) whose parent is/was teacher in BUET too, But all of them achieve their success through their own merit and intelligence. As far I found most of the siblings of BUET teachers are more or less studios and meritorious too. In BUET entrance exam many of them make brilliant result. So I couldn't find any justification for making quota for BUET teachers. I strongly oppose this proposal.

** I didn’t hear anything regarding evening shift. However, if it is true I will be against it…..

kibria এর ছবি

I am a x student of BUET. I am totally against the so called quota system. If someone can prove his or her quality good enough to be admitted in BUET then there should be no concern for that person. But imposing the quota system would effectively diminish the fair chance of some deserving qualified candidates to be able to become a BUET graduate. A teacher of BUET should be ashamed of him/herself of even thinking of such a proposal. It is his or her discredit that they need to have some quota to get their children admitted in an institution where they have become a teacher. In a way, they are accepting the fact that their children are not competent enough to take part in the competition of the admission test and also the teachers have not being able to take care of their children properly. Rather they are busy in doing consultancy and earning money.
As a whole, such proposal is a disgrace to BUET and its excellence in the field of engineering education. We should protest with all our means and every possible way.

প্রবাশী বাঙ্গালি [অতিথি] এর ছবি

আমার মনে হয় এই বিষয় নিয়ে মোটামুটি সবাই একমত যে দুটি প্রস্তাবই সামগ্রিক ভাবে বুএটের জন্য ক্ষতিকর। এখন ঘটনা টা থামানো যায় কিভাবে এই নিয়ে বরং গঠনমূলক আ্লচনা হওয়া দরকার। একজন BUET শিক্ষকের মন্তব্য দেখলাম (উম্মে আইয়ান)। আপনি কি বলতে পারেন, প্রস্তাব দুটি এখন কন পর্যায়ে আছে? আর বর্তমান ছাত্রদের মধ্য থেকে কেউ কি জানাতে পরে যে এই ব্যপারে BUET'র বর্তমান ছাত্রদের কি প্রতিক্রিয়া?

এনকিদু এর ছবি

facebook এ এই ব্যাপারে একটা গ্রুপ খোলা হয়েছে । সেখান থেকে আজকে মেইল করেছে যে কয়েকজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে যে অধিকাংশ শিক্ষকেরাই এই কোটার বিপক্ষে এবং আগামী একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং এ তারা এর বিরোধীতা করবেন । কাজেই প্রস্তাবটি পাস হবে না ।

সত্যতা সময় মত জানা যাবে ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

রাগিব এর ছবি

দেখা যাক। এই "আশ্বাস" দেয়াগুলো কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে সিস্টেম করার অংশ মাত্র হাসি

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

অপশন২ এর উপরে আলাদা পোস্ট দিলাম।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ। বিষয়টি জনগুরুত্বপূর্ণ। আর এটির গুরুত্ব বুঝে যত বেশি সংখ্যক সচেতন মানুষ নিজ উদ্যোগে এগিয়ে আসবেন ততই মঙ্গল।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

Ashraf এর ছবি

I joined AKTEL at the age of 26 after passing BSc from BUET and got a boss (Manager) who was one year Junior to me in HSC. What an Irony!

BUET should be more focused on finishing the courses in time( and should not start another shift) to keep prestige against Private Universities.

Teachers/Staffs should take more care of their children so that they get chance through existing addmission process.

Ovi এর ছবি

Ei prostab duti jeno pass na kore ta nishit korte hobe. er jonno alumnider help dorkar. e bepare ja sunechi, besh koekjon powerful teacher ei prostaber pokkhe. tai eta bondho kora kothin hobe. sobar sohojpgita chara ta somvob noi.
"JARA JARA EI PROSTABER POKKHE MOTAMOT DIECHEN TADER PROTI'-

oneke bolechen ete valo hobe. kintu somossa hoche ete BUET er man onek kharap hoe jabe. karon ekhon admission nijer joggotar bodle takar vittite hobe. onek better qualified student ei khoroch bohon korte parbe na.
r BUET ekta public varsity.Ekhane sobar soman odhikar. tahole keno ekjon night shifte medha thaka sotteo takar jonno porte parbe na?

r eta BUET e hobar pore onno public varsityteo eta suru hobe. ultimate result hobe sob varsity private e convert hoe jabe. amra nischoi emon kichu chai na.

BUET kintu engineering sector e amader deshe best tar studentder jonno. teacherder vumika khubi kom. BUET er ekjon student hisebe jani, olpo koekjon teacher achen jara class khub valo nen.r valo student chance pai admission test er maddhome. BUET er jodi resource thake tobe aro seat barate pare. Night shift er proyojon to nei. night shift sudhu takar jonno. ete kono honest uddesso nei.

asha kori ei khobor jeno paper e ase tar jonno proyojonio bebostha niben. sokoler sohojogita kamona korchi.

বুয়েটেরই একজন ছাত্র এর ছবি

আমি বুয়েটের একজন ছাত্র। আমি অত্যন্ত দুঃক্ষের সাথে জানাচ্ছি যে আপনাদের সাথে আমি একমত হতে পারছি না।

কোটা ব্যবস্থা ও সান্ধ্যকালীন শিফট উভয়েরই খারাপ দিক আছে, কিন্তু একই সাথে তাদের ভালো দিকটাও কাজে লাগানো যায়। বুয়েটের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও মেধাবী শিক্ষকরা ক্রমাগত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে ছুটছেন। তাদের নির্গমনের হার এতটা আসঙ্কাজনক যে আমরা বুয়েটের শিক্ষার মান হ্রাসের আসঙ্কা করি।

নাইট শিফট এ ভর্তি করা ছাত্রদের ডিগ্রী বুয়েটের নামে না দিয়ে বুয়েট অধিভুক্ত কোন কলেজ এর নামে দেওয়া যেতে পারে, তাতে বুয়েটের alumni রা তাদের যে মানহানির আশঙ্কা করছেন, তা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। নাইট শিফট এর প্রাপ্ত অর্খ দিয়ে শিক্ষকদের বেতন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকক্ষ করা যাবে। এবং সেই সাথে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেওয়া সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হবে। কোটার ক্ষেত্রেও নিয়মটা এমন করতে হবে যে কোনও শিক্ষক লিয়েনে ছুটি কাটালে তাঁর পোষ্য কোটা পাবে না। এবং কোটাতে ভর্তি হওয়া কোন ছাত্র কখনও বুয়েটের শিক্ষক পদে নিয়োগ পেতে পারবে না।

এই সংস্কার প্রস্তাব গুলো আমার একান্ত ব্যক্তিগত অভিমত। দয়া করে মন্তব্য করুন।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

বুয়েট শিক্ষকদেরকে ধরে রাখতে বুয়েটের আন্ডারে একটা প্রাইভেট ইউনি খোলার প্রস্তাব খুব হাস্যকর লাগে। নাইট শিফটের কারণ হিসেবে শিক্ষকরা নিজেরাই আসলে 'কম বেতন'এর অজুহাত তুলছেন না, বেতন বাড়ানোর জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা যেতে পারে, যদিও বুয়েটে জয়েন করার সময়ই একজন জানেন তিনি প্রাইভেট ইউনি থেকে কম বেতন পাবেন। কারো কাছ থেকে টাকা নিয়ে বুয়েটের আন্ডারে কলেজের ডিগ্রী দিলেও প্রবলেম। আর শুধু বুয়েটের আন্ডারে প্রাইভেট ইউনি/কলেজ খুলে বুয়েট শিক্ষকদের লাভবান করতে হলে অন্যান্য পাবলিক ইউনির টীচাররা কি দোষ করলেন?

http://www.sachalayatan.com/bolai/20848 পোস্টে ১১ নং মন্তব্য (রাগিবের) পড়তে অনুরোধ করছি।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

হিমু এর ছবি

বুয়েটের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও মেধাবী শিক্ষকরা ক্রমাগত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে ছুটছেন। তাদের নির্গমনের হার এতটা আসঙ্কাজনক যে আমরা বুয়েটের শিক্ষার মান হ্রাসের আসঙ্কা করি।

আপনি কি এ ব্যাপারে আরেকটু আলোকপাত করতে পারেন? নির্গমনের হারের ওপরে জোর দিতে পারেন। গত ছয়মাসে কতজন "জনপ্রিয় ও মেধাবী" শিক্ষক বুয়েট থেকে "নির্গত" হলেন হাসি ? (আমার ধারণা ছিলো বুয়েট শিক্ষক মাত্রেই মেধাবী, যদিও শিক্ষাদানে পারঙ্গমতা নিয়ে ঊনিশবিশ থাকতে পারে)

এবং সেই সাথে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেওয়া সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হবে।

এটা কি আপনার প্রত্যাশার কথা বললেন? আপনার ব্যক্তিগত প্রস্তাব? যে নীতিটি পাস হতে যাচ্ছে, সেখানে কোথাও এরকম কিছু কি বলা আছে? আমি যতদূর জানি এরকম কোন কিছু শিক্ষকমন্ডলীর আলোচিত প্রস্তাবে নেই।


হাঁটুপানির জলদস্যু

বুয়েটের একজন ছাত্র এর ছবি

অভিমতটি সম্পূর্ণ আমার নিজের, তবে আমার মতে প্রস্তাব দুটির ঘোর বিরোধিতা না করে ওগুলো সংস্কার করবার জন্য বুয়েটকে চাপ দেওয়া টা অধিকতর ফলপ্রসু হতে পারে।

প্রফেসর কায়কোবাদ এর কথা বলতে চাই। আমি ভুল করলে ক্ষমা করবেন, তবে আমার জানামতে তিনি নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছুদিন ছুটিতে অধ্যপনা করেছেন। আমার মতে, যদি আমার সংস্কার প্রস্তাব সম্মেত এই আলোচ্য বিধানদুটি থাকলে তিনি এরকম ছুটিতে যেতেন না।

অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা যারা বলছেন, ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের সান্ধ্যকালীন MBA কোর্স এর ব্যপারে অনুগ্রহপূর্বক খোঁজ নিন।

ভারতের আই আই টি গুলোতে অধ্যয়নের খরচ প্রায় বছরে ৯০,০০০ রুপির ও বেশি। সেখানে আমাদের বুয়েট বিনামূল্যে ইন্জিনিয়ারিং শিক্ষা দিচ্ছে। সেই বিনামূল্য শিক্ষা অব্যহত রেখে যদি তারা সান্ধ্যকালীন কোর্সে বারতি রোজহার করতে চায়, তাতে দোষ কোথায়?

রাগিব এর ছবি

সন্ধ্যা বেলা বুয়েটে paying ছাত্র পড়ানো, আর প্রাইভেটে খ্যাপ মারার মধ্যে বিশেষ পার্থক্য নেই।

আপনাকে প্রশ্ন করি, সরকারী ডাক্তারেরা যদি মেডিকাল কলেজের মধ্যেই তাদের ক্লিনিক খুলে বসেন, নইলে "চলে যাবো" বলে হুমকি দেন, তাকেও কি সমর্থন করবেন নাকি? সন্ধ্যা বেলা বুয়েটের শিক্ষকেরা যেখানে যা খুশি করুন, সমস্যা নাই, আপত্তি নাই, কিন্তু পাবলিক ইউনিভার্সিটিকে কমিউনিটি সেন্টার মনে করে আর বুয়েটের সার্টিফিকেট বেচাকে কোনো যুক্তিতেই সমর্থন করা চলে না। আর আইআইটির কথা যখন বললেন, ভারতের আইআইটির শিক্ষকেরা আইআইটির মধ্যে প্রাইভেট প্র্যাকটিস বা টাকার বিনিময়ে ছাত্র পড়ান না। কাজেই কুযুক্তি দিবেন না।

আর কায়কোবাদ স্যার তাঁর sabbatical ছুটির সময়টা প্রথমার্ধে কোরিয়াতে এবং পরে নর্থ সাউথে পড়িয়েছেন। এর সাথে তাঁর সন্তানদের শিক্ষার কোনো সম্পর্ক নাই বলেই জানি। আর প্রাইভেটে খ্যাপ মারার এবং টাকা কামানোর ব্যাপারে স্যারের কোনো আগ্রহ সেভাবে দেখিনি, স্যার আমার থিসিস অ্যাডভাইজর ছিলেন এবং গত প্রায় ৯ বছর ধরে তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। কাজেই তিনি নর্থ সাউথে গেছেন টাকার টানে, এরকম কথাটা হাস্যকর, মিথ্যা, এবং কুযুক্তির আর একটা উদাহরণ।

----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
http://www.ragibhasan.com

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

রাগিব এর ছবি

সেই বিনামূল্য শিক্ষা অব্যহত রেখে ...

একটা কোর্স পড়ানো কতটা চাপের, সেই সম্পর্কে আপনার ধারণা আছে কি? আমার স্বল্পকালীন শিক্ষা জীবনে একটা ৩ক্রেডিটের কোর্স (সপ্তাহে ৩ দিন ১ ঘন্টা করে ক্লাস), এবং ৫টা সেশনাল ক্লাস পড়াতে হয়েছিলো, সপ্তাহে কত ঘন্টা যেন পড়াতে হয় সেরকম নিয়ম আছে।

যাহোক, যদি না কেউ গৎবাঁধা ২০ বছরের পুরানো চোথা ক্লাসে রিডিং পড়তে থাকে, তাহলে ১টা কোর্স পড়ানোর জন্যই প্রতি সপ্তাহে অনেক সময় দেয়া লাগে। সেখানে বুয়েটের একজন শিক্ষক একাধিক কোর্স পড়ান একই সময়ে। আমি যখন পড়াতাম, সারাদিন কাজের শেষে সন্ধ্যা বেলাতে পরের দিনের ক্লাসের পেছনে অনেক সময় দিতে হতো। সিনিয়রদের হয়তো সেই সময়টা অনেক কম দেয়া লাগে, কিন্তু তাদের সংসার জীবন, সামাজিক জীবনের কাজও সেই ব্যাচেলর লেকচারারদের চাইতে অনেক বেশি। সেই অবস্থায় সন্ধ্যা বেলা ৩ ঘণ্টা খ্যাপ মেরে কেউ "শিক্ষা অব্যহত" রাখতে পারবে না, গ্যারান্টি দিতে পারি। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এভাবে বিনামূল্যে এবং নগদমূল্যে "শিক্ষা দান অব্যাহত" রাখা কাঁঠালের আমসত্ত্বের, সোনার পাথরবাটির মতোই অবাস্তব একটি জিনিষ।

----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
http://www.ragibhasan.com

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

Emran এর ছবি

It’s been a while, I’ve been thinking about this. I guess its one of those rare moments, where I can propose my proposal.
Could we really insert "teacher’s evaluation system" in BUET? This evaluation would be solely done by the students. And any teacher’s performance and responsibility would be evaluated by the served students in every semester. This would provide a balanced educational environment for both sides (teachers and students). This will make the teachers of our BELOVED BUET more accountable; which is completely missing for the last 46 years (well, they do have some accountability, but that’s within their own domain). In 21st century it’s absurd to imagine a school; with so many talented students; doesn’t have this “teacher’s evaluation system”. And also each teacher must swipe their “Punch Card” everyday. That would provide everyone an overview of the teacher’s engagement with the university.
I think, if we can ensure these two things to happen, then I’d assume there would be no problem with any quota/dayshift/nightshift or whatever. Coz, students would also have some trump cards in their hands to play with.
From my own experience at BUET, the environment is very monarchic. This is not synchronizing with the world’s other best universities!

Peace!

শামীম এর ছবি

অফটপিক:
হা হা .... শিক্ষকদের ইভালুয়েশন .... এই জিনিষ জীবনে বুয়েটে কি হবে!

সেই ইভালুয়েশনের ফলাফলের প্রয়োগটা কী হবে। শুধু শুধু ইভালুয়েশন নিয়ে তো লাভ নাই। ইভালুয়েশনের ভিত্তিতে যদি প্রতিবছর, খারাপ বলে রায় পাওয়া শিক্ষকদের ট্রেনিং দেয়া হয় আর ভালদের পরবর্তী একবছরে অতিরিক্ত বোনাস/ইনক্রিমেন্ট দেয়া হয় তবে কিছুটা অর্থবহ হবে।

পাঞ্চকার্ডের সমাধানের ব্যাপারে একমত নই। কোটার পোষ্যগণের পরীক্ষার ফলাফলে ফেভার পাওয়াকে ঠেকানো যাবে না এ দিয়ে --- কোটা বিষয়ে মূল আপত্তিটা কিন্তু ওখানেই।

এছাড়া, সান্ধ্যকালীন শিফটে অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে, পরদিন সকালে পাঞ্চকার্ড দিয়ে নিজ ক্যাম্পাসে ঢুকে, রূম বন্ধ করে সেখানে ঘুমালেও তো সান্ধ্যকালীন শিফটের কুফল রয়ে যাবে। একটা ক্লাস ঠিকমত নিতে কমপক্ষে একঘন্টার প্রস্তুতি লাগে। আর নতুন বিষয় হলে সেটা ৩ ঘন্টা ছাড়িয়ে যায়। শিক্ষকদের জন্য থাম্বরুল হচ্ছে ১ঘন্টার ক্লাস = ৩ ঘন্টার প্রস্তুতি (ক্যুইজ/টেস্টের খাতা দেখার ব্যাপারগুলো এতে অন্তর্ভুক্ত)।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

রাগিব এর ছবি

ঠিক এটাই।

সবাইকে বলি, সহজ প্রশ্ন করা যাক --

১ নং চাকুরিতে বেতন পান মাসে ১৫,০০০ টাকা।
২ নং চাকুরিতে বেতন মাসে ১ লাখ টাকা।

১ নং চাকুরিতে সময় দেয়ার কথা দিনে ৮ ঘণ্টা।
২ নং চাকুরিতে সময় দেয়ার কথা দিনে ৩ ঘণ্টা।

এখন দুনিয়ার যেকোনো ত্যাগী মহাপুরুষকেও যদি সময় দিতে বলা হয়, মূল সময় ও মনোযোগটা কোন চাকুরিটি পাবে?

কারো চাকুরির চাইতে উপরি যদি বেশি হয়ে যায়, তাতে মূল চাকুরিটিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বুয়েটে উচিত পাকিস্তানের মতো tenure track system করা, যাতে ৫ বছরে ১৫টি গবেষণা নিবন্ধ লিখতে পেরেছেন, এমন শিক্ষকেরা মাসে লাখ টাকা বেতন পাবেন। রাতারাতি বুয়েটে গবেষণার হিড়িক পড়ে যাবে, গ্যারান্টি দিয়ে দিতে পারি।

বেতন বাড়াবার কথা কেউ বলে না, উপরি বাড়াবার ব্যাপারে শিক্ষক (এবং apparently কিছু ছাত্রও!!) সরব। উল্টোরথের দেশে বাস করছি, এটা কি তারই প্রমাণ?

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

শামীম এর ছবি

ধন্যবাদ রাগিব, পাকিস্থানের সিস্টেমের ব্যাপারে (tenure track system) লিংক দেয়ার জন্য (বলাইয়ের পোস্টে)। এই ব্যাপারটাই আমি একটু অস্পষ্টভাবে জানতাম - যেটা ৫৯ নং কমেন্টে ৭নং পয়েন্টে জানানোর চেষ্টা করেছিলাম।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

Raf এর ছবি

I believe BUET current student will stop this ill motive. I am dead against it.

Emran এর ছবি

I strongly protest about those so called teacher's intention to introduce quota system even in BUET!

Potter এর ছবি

আলমগীর লিখেছেন:
কার যেন একটা লেখায় কোন একটা কমেন্টে বলেছিলাম।

কোটা প্রথার সবচেয়ে জঘণ্য অপপ্রয়োগ হয়েছে রাবিতে। কাগজে কলমে সন্তান/পোষ্য ঠিক আছে, তবে ভর্তির সময় সেটা যাচাই করা যায় না। ধরুন ভর্তির আগেই বলল, ও তারে তো পোষ্য নিমু। আত্মীয়-স্বজন, এমনকি অনেক সময় টাকার বিনিময়ে প্রাপ্য কোটা বিক্রির করার উদারহরণ আছে।

তবে, এসিতে যে কেবল শিক্ষকরাই তা না। সরকারের কর্মকর্তারা থাকেন, বিশিষ্টজনেরা থাকেন। তারচে বড়, সরকার নির্বাচিত উপাচার্য থাকেন। যে কোন সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত আচার্য/পিএম পর্যন্ত যায়। কোটার সিদ্ধান্ত কেবল এসিতেই পাস হলে মনে হয় না হবে। সিন্ডকেটের অনুমোদনের দরকার হতে পারে। কাজেই জনমত জানানোর বেশ কয়েকটা জায়গা আছে।

আমি কোটা প্রথার ঘোর বিরোধী। চমৎকার লেখা।

একটা তথ্যের সংশোধনী: কেবল বুয়েট, আইবিএ না,আরো অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা অনুপস্থিত (আদিবাসী কোটা আছে)। নিশ্চিত জানামতে শাবিতেই কোন পোষ্য কোটা নাই। (আন্দোলনও যে হয়নাই তা না চোখ টিপি

নেপালি ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য বিদেশী কোটা নামে একটা কিছু চালু করা হয়েছিল। তাতে আমাদের এক ডিন তার মেয়ে ভর্তি করিয়ে ফেলেন। তার আবার ব্রিটিশ পাসপোর্ট ছিল। পরে সমালোচনার মুখে বাতিল করা হয়।

দ্বিতীয়ত,
বুয়েটে সন্ধাকালীন কোর্স চালু করলে কী সমস্যা তা বুঝিয়ে বলুন। আপাতত মনে হচ্ছে তাতে আভিজাত্যে টান পড়বে, টাকাওয়ালারা বলতে পারবে বুয়েটে পড়ি। তাইতো?

আমি এটাকে ভাল দেখি। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই এ কাজটা করে। বিদেশে বড় বড় নামি দামি বিশ্ববিদ্যালয়ও করে। এডেলেইড বিশ্ববিদ্যালয় ভিসিই (ইয়ার-১২) এর কোচিং করায়! ইউএসতেও হয়।

কল্যাণ [অতিথি] এর ছবি

ষষ্ঠ পাণ্ডব ভাই, আপনার প্রথম দিকের একটা মন্তব্য পড়ে দুই লাইন লেখার ইচ্ছা হল। আপনি শিক্ষক কোটা সুবিধায় ভর্তী নিয়ে অনেক কিছু লিখলেন; একজন ছাত্রের পিছোনে সরকার এর ব্যায় বিষয়ে পুরো চিত্রটা কিন্তু বল্লেন্না। পাস করার পর যে অধিকাংশ বুয়েট এর ছাত্র স্থায়ী ভাবে বিদেশে চলে যাচ্ছে এবং তাতে লাভটা কি হোচ্ছে এই ১২৫ ডলার খরচ করে? দয়া করে সামগ্রীক অবস্থাটা তুলে ধরুননা, এতে আমরা সবাই সঠিক পথে চিন্তা করতে পারব।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

প্রিয় কল্যাণ, এই পোস্টটি বুয়েটের উপর সামগ্রিক আলোচনা করার জন্য নয়। একটি বিশেষ পরিকল্পনার পরিপ্রেক্ষিতে তার ইমপ্যাক্ট নিয়ে আলোচনা করার জন্য এই পোস্ট। বুয়েট বা বাংলাদেশে উচ্চতর শিক্ষার জন্য যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে সেগুলো এবং সেগুলোর সাথে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আপনার ভাবনা কিন্তু আপনি লিখে পোস্ট করতে পারেন। তাহলে সেখানে সবাই আলোচনা করার সুযোগ পাবেন। তাতে আপনি যেমনটা চাচ্ছেন অমন বিষয়গুলো কিন্তু চলে আসবে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

কল্যাণ [অতিথি] এর ছবি

প্রিয় ষষ্ঠ পাণ্ডব ভাই, ধন্যবাদ, আপনার সাথে আমি একমত। আসলে আপনার অনেক আগের করা এই ১২৫ ডলার বিষয়ক মন্ত্যব্য পড়ে অনেক কিছু চিন্তা একসাথে করে ফেলেছিলাম এবং বুঝতে পারছি মন্তব্যটা মনে হচ্ছে অপ্রাসংগিক করা হয়ে গেছে। কিন্তু বুয়েট এ যদি কোটায় বা সন্ধ্যাকালীন কোর্সে ছাত্র ভর্তী হয়, আর তাদের মান যদি তেমন না হয় - তাহলে কি তারা শেষ পর্যন্ত পাশ করে বের হতে পারবে? আবার কি অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য করে ফেল্লাম?

ইব্রাহীম আহমেদ এর ছবি

এই পোস্ট কি সরিয়ে নেবেন ? অন্তত এই বিষয়টির যে নিষ্পত্তি হয়েছে, সেটি কি পোস্টের শুরুতে জানাবেন দয়া করে ? এখন পর্যন্ত পোস্টটি বিভ্রান্তি ছড়িয়েই যাচ্ছে । কিছুদিন পরে পরেই ফেসবুকে এই পোস্টটি শেয়ার করা হচ্ছে, এবং আবারো বিষয়টি ঘটছে মনে করে সবাই বিভ্রান্ত হচ্ছে ।

হিমু এর ছবি

পোস্টের শিরোনামের নিচেই টাইমস্ট্যাম্প দেয়া আছে। যারা বিভ্রান্ত হচ্ছেন, তারা নিজেদের অমনোযোগের কারণেই বিভ্রান্ত হচ্ছেন সম্ভবত।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

হিরামকক্স এর ছবি

দুই পক্ষকে একটা TV debate করতে বলুন ছাত্রদের সামনে, জাতির সামনে।আমরা সবাই তখন ভুজতে পারব কে সটিক আর কে বেটিক। কোনো পক্ষরেই যথেষ্ট সাহস নেই সামনা সামনি বসার। কারণ দুই পক্ষই দূষিত। ছাত্রসমাজ আর BUET Alumni এর এই মহুর্তে উচিত শিক্ষকদের প্রেসার দিয়ে এই কাজটি করানো ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।