'বসন্ত'কাল!

ওডিন এর ছবি
লিখেছেন ওডিন (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৩/০২/২০১৪ - ১:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

'খুসখুসে কাশি ঘুসঘুসে জ্বর
ফুসফুসে ছ্যাঁদা বুড়ো তুই মর।'

এমনিতে আমার বেশি অসুখবিসুখ হয় না। কিন্তু অল্প যা কিছু হয় সেইটা বেশ ভালই ভোগায়। একটা সময় আমার সুতীব্র ডাস্ট এলার্জির সমস্যা ছিলো, নাকেমুখে মুখোশ এঁটে ঘর থেকে বের হতে হইতো। আজকাল ঢাকা শহরের বেশিরভাগ যানবাহনই সিএনজিতেও চলায় শহরের বাতাস মোটামুটি পরিষ্কার, তারপরেও বসন্তকালটা আমার কাছে সবসময়েই একটা আতঙ্ক নিয়ে এসে উপস্থিত হয়।

গত প্রায় দুই যুগ ধরে হিসেব করে দেখেছি- জানুয়ারির শেষে শীতটা কমতে শুরু করে, আর কেনো জানি স্বরস্বতী পূজোর ঠিক পর থেকেই আমার বাৎসরিক সর্দি কাশির ঝামেলাটা শুরু হয়। এমনিতে অবশ্য বিদ্যা, কলা ও সংগীতের দেবী সাথে আমার কখনোই তেমন ভাল রিলেশনশিপ ছিলো না, এখনো নাই। ধর্মকর্মেও মন নাই, তারপরে আবার একটা লৌকিক আচার আছে যে স্বরস্বতী পূজোর আগে নাকি কুল বড়ই খেতে নাই। আমার অবশ্য এই ফলটা বড়ই পছন্দ। এইসব নিয়মকানুনের ধার না ধেরে এইবারও পূজোর দিনকতক আগে বিটনুন আর গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে কেজিখানেক কুল খেয়ে ফেলেছিলাম। এইটাও একটা কারণ হইতে পারে বলে মনে হয়।

গত কয়েক দিন ধরেই সিজন চেঞ্জ হচ্ছে। এই তীব্র গরম আবার এই ঠান্ডা। আমিও বেশ কয়েকদিন ধুলোয় আচ্ছন্ন বইমেলায় গিয়ে বাৎসরিক ধুলোর ডোজ নিয়ে এসেছি। ফলাফল- গত কয়েকদিন ধরে একেবারে আটাত্তর বছর বয়সী বুড়োদের মতো খুক খুক করে কাশছি। গলা ভেঙ্গে এমন অবস্থা হয়েছে যে ফোনে লোকজন আমাকে চিনতে পারে না, যেকোনো স্ক্যান্ডিনেভিয়ান ডেথ মেটাল ব্যান্ড আমাকে প্লেনের টিকিটের পয়সা দিয়ে নিয়ে যাবে ওদের হয়ে 'গান' করার জন্য।

কয়েকটা দিন বিশ্রাম নিতে পারলে ভালো হইতো অবশ্যই- কিন্তু ঘটনা হলো যে আমি হপ্তাখানেক আগেই অসুস্থতার ভান করে কাজ থেকে দুইদিন ফাঁকি মেরে বইমেলা, বন্ধুর বিয়ে এইসবে সময় দিয়েছি, তাই এখন নিজের চালাকির মাশুল এক্সট্রা কাজ করে দিতে হচ্ছে। রেস্ট নেয়া তো হচ্ছেই না, কাজের চোটে গতকাল হিমু ভাইয়ের বইয়ের মোড়ক উন্মোচনে যেতে পারি নাই। দুর্দান্ত এক সচল সম্মিলন হইছে বলে শুনলাম। মন খারাপ

একটু আগে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে বহুত কষ্টে জ্যাম ঠেলেঠুলে ভার্সিটির দিকে যাচ্ছি। আমি পোস্টগ্রাড কোর্সে ভর্তি হয়েছিলাম ঢাকা ভার্সিটির আন্ডারে, সেইটা মাইগ্রেশন করে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল ভার্সিটির আন্ডারে আসতে হয়েছিলো, সেইটারই কিছু কাগজপত্র ঠিক করার দরকার ছিলো। শাহবাগের আশেপাশেই দেখি হলুদ কাপড় পড়া লোকজন গিজগিজ করছে। ভুলেই গেছিলাম আজকে পয়লা ফাল্গুন। পয়লা ফাল্গুন, শফিক 'গুলাব' রেহমানের ভেলেন্টাইনস ডে বা একুশে ফেব্রুয়ারির দিনে ইচ্ছে করেই আমি ভার্সিটি এলাকা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি, আজকেও পলায়া আসতে বাধ্য হইলাম। একে তো শরীর খুব একটা ভালো না, কাশির ঝামেলাটাও আছে। বিকেলে আবার কাজে যেতে হবে। এরপরে এই গরম, ভিড় আর ধুলো র মধ্যে না গিয়ে ঘরে বসে ড্রিম থিয়েটার শুনতে শুনতে , ট্যাং খেতে খেতে ব্লগরব্লগর করাই ভালো। এমনিতেই বহুদ্দিন হইলো লিখিটিখি না। প্রাচীন শাদাকালো বাংলা ছবির ট্রাজিক নায়কেরা কাশতে কাশতে বিরহের গান গাইতো, (আর গানের শেষে গলায় রক্ত উঠে অক্কা পেতো), আমি নাহয় কাশতে কাশতেই ইট্টু ব্লগরব্লগর করলাম ।

যাই হোক, এই হাবিজাবি ব্লগরব্লগর শেষ করি ছোটবেলার একটা স্মৃতিচারণ দিয়ে।

আমি তখন বেশ ছোট, মাত্র পড়তে শিখেছি। ছোটবেলা থেকেই হামবড়া ভাব ধরার চেষ্টা করি বলেই আমার লেখাপড়ার শুরুটা হইছিলো পেপার পড়া দিয়ে। সকালবেলা বসে বানান করে করে সংবাদ পেপার পড়া ছিলো ওই বয়সে আমার একমাত্র গঠনমূলক কাজ। ঘটনা সাতাশির আগেই হবে, কারণ স্কুলে যেতাম না। আমি বাবর রোডের বাসার পেছনের উঠোনে বসে বানান করে পেপার পড়ছি, দূরে কাঠমিস্তিরি বসে বসে কাঠের কি জানি বানাচ্ছিলো, সেইটা মনে নাই, তবে মিস্তিরির নাম মনে আছে - নিরঞ্জন।

আমি বানান করে জোরে জোরে হেডলাইন পড়লাম- 'নগরে বসন্তের আগমন' ।

নিরঞ্জন চমকে গিয়ে মুখ তুলে জিজ্ঞেস করলো- "কি কও গো দাদা! বসন্ত শহরেও আইয়া পড়ছে!!!"

শুভ চিকেনপক্স দিবস সবাইকে। হাসি

_______________________________________________________________________

ফেব্রুয়ারী ১৩, দুপুর দেড়টা।


মন্তব্য

স্পর্শ এর ছবি

বসন্ত মনে হয় নিরঞ্জনের দজ্জাল বউ।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ওডিন এর ছবি

তুমার চিকেনপক্স হয় নাই কখনো? তাইলে বুঝতা। বেপারটা দজ্জাল বউ এর চে অনেক বেশিমাত্রায় খারাপ : ইয়ে, মানে...

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

মুরগীবসন্ত শরীরের কী ক্ষতি করে দিয়ে যায় সেটা বোঝা যায় গুটি ঝরে যাবার পর। মনে হয় আখ মাড়াই কলে ফেলে শরীর থেকে সব শক্তি, মন থেকে সব সাহস আর ইচ্ছা নিংড়ে নিয়েছে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এমনকি যখন বয়স কম ছিলো তখনও মনে হয়েছে পহেলা ফাল্গুন, ভ্যালেন্টাইনস ডে'র মতো দিনগুলো আমার জন্য না। কেন? খুব গুছিয়ে বলতে পারবো না। তবে কারণটা বোধকরি এই জন্য যে, লোকে এইদিনগুলো যেভাবে পালন করার কথা বলে সেভাবে পালন করার সুযোগ আমার কখনো হয়নি। এই জন্য এই দিনগুলোকে আমার মনে বিশেষ কোন প্রতিক্রিয়া ফেলে না। অনেকটা আঙুরফল টক-এর মতো। খুব ভালোভাবে মনে করলে উল্টোটা, অর্থাৎ এই দিনগুলো কেন্দ্রিক কিছু হৃদয়বিদারক ঘটনা মনে পড়ার খারাপ সম্ভাবনা আছে। যাকগে, ঘরের (মানে অফিসের) বাইরে বের হয়ে চোখে সর্ষেফুল দেখতে চাই না, হৃদয় খুঁড়ে বেদনাও জাগাতে চাই না।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ওডিন এর ছবি

সেটাই হাসি

নির্ঝর অলয় এর ছবি

অনেকদিন পর আপনার ব্লগর পড়ে ভালো লাগল।

বোধ করি গলার এই হুকোকাশি দশার জন্যই ফোন ধরেন নি।

ঢাকার বাতাস সি,এন,জির ব্যাপক প্রচলন সত্ত্বেও এখন দুনিয়ায় "নির্মলতম!" -এই অজুহাতেই এখনো দিব্যি সিগারেটটা চালিয়ে যাচ্ছি মৌজ করে!

"স্বরস্বতী"- টাইপোটা ঠিক করুন।

বসন্তের অগ্নিভ শুভেচ্ছা! হাসি

ওডিন এর ছবি

সিগারেট খাওয়া ভালো। ডাক্তারদের পকেটে কিছু টেকাটুকা আসে চোখ টিপি

অতিথি লেখক এর ছবি

ও বাবা এখন্তো ভাবছি বসন্তের আবেগে গলা খুলে যদি গেয়ে উঠি, 'বসন্ত ছুঁয়েছে আমাকে, তবে তো লোকে ভয়েই পালাবে হাসি

ভালো মেয়ে
--------------------------------
আমি ভালো আমাকে মেরো না।

ওডিন এর ছবি

পলাইতেই পারে। বসন্ত কথাটা কয়দিন আগেও অন্যরকম অর্থ বহন করতো হাসি

স্বপ্নহারা এর ছবি

কত্তগুলান সুন্দরী নারী মিস কর্তাসি মন খারাপ

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

ওডিন এর ছবি

সামনের বার আইসা পড়েন। ফেব্রুয়ারি মাস এর দৃশ্যাবলী চোখের জন্য অতি উত্তম। দেঁতো হাসি

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

ব্লগর ব্লগর ভালু পাইলাম।
চিকেনপক্স দিবসের শুভেচ্ছা রইল হাসি
কাশি ভাল হয়ে জোরে একটা হাঁক ছাড়ুন দেখি ............... খাইছে

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

ওডিন এর ছবি

এখন মোটামুটি ভালোই আছি। দেঁতো হাসি

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আপনার জীবনে বসন্ত আসুক শয়তানী হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

ওডিন এর ছবি

ভাইরে, চিকেনপক্স হৈছিলো ৯৫ এ, সেই কথা মনে পড়লে এখনো শইলডা চাবায় :'(

অনিকেত এর ছবি

বহুদিন পর ডাগদর সা'ব!
বসন্তের শুভেচ্ছা তোমাকে--

ওডিন এর ছবি

আপনাকেও বসন্তের শুভেচ্ছা অনিকেত 'দা হাসি

নীলকমলিনী এর ছবি

আমাদের ডিপার্টমেন্ট এর উল্টো দিকে ছিল ভার্সিটির হাসপাতাল. আমরা যখন হাসপাতালের সামনে দিয়ে যেতাম তখন ছাত্র রুগীরা বারান্দায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখত. একবার বিচিত্রায় একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছিল একটি ছেলে. আমার নাম আর ডিপার্টমেন্ট লিখে লিখলো, বসন্তে পরিচয় এসো মিতালী করি. ছেলেটির বসন্ত হয়েছিলো বলে সে হল ছেড়ে ওই হাসপাতালে ছিল কিছুদিন.

ওডিন এর ছবি

আহারে মন খারাপ

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

ফাগুনের এই মোহময়ী দিনে বসন্ত বিলাপ?

ওডিন এর ছবি

সারাক্ষণ গলা ব্যথা ঘুষঘুষে জ্বর কাশি ইত্যাদি নিয়ে কি আর গান গাওয়া যায় মন খারাপ

সাফি এর ছবি

হুই মিয়া, আপনে আবার বাবর রোডে কই ছিলেন? কবে ছিলেন??

ওডিন এর ছবি

১৯৮৫-১৯২, ১৯৯৭-২০০০। ২/১৮ বাবর রোড। এখন যেইটা উত্তরা হার্ট সেন্টার করেছে, সেইখানে।

আর মিয়া, বাবর রোড তো আমার জন্মস্থান! অনুরাগ কমিউনিটি সেন্টার এর বাড়িটা আগে ছিলো প্রফেসর শাহলা খতুন এর ক্লিনিক, আমার জন্ম ওইখানে। মনে বড় আশা- কোন একদিন বিখ্যাত কেউ হবো, বাবর রোড মিরপুর রোডের ক্রসিং এ ওই বাড়ির সামনে নিজের একটা আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করবো। হাসি

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

হাড়-ভাঙ্গা-ঠ্যাঙ্গাড়ু ডাকতর সাবে বহুদিন বাদে কি-বোর্ড গুতাইলেন ... ভাল্লাগ্লু বহুত ...

ম্যাঁও

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

ওডিন এর ছবি

থেঙ্কু ভাই। দেখি ইট্টু নিয়িমিত লেখালেখির চেষ্টা করবো হাসি

এক লহমা এর ছবি

লেখা ভাল লাগল। আম্রিকা আসার আগে এমন কোন বসন্ত ছিল না যখন আমি ঘুষঘুষে জ্বরে কাহিল না হয়ে কাটাতে পেরেছি।

আমার দেশে ফেরা মানে কলকাতায় ফেরা। গত দুটি যাত্রায় এক-ই পরিণতি হয়েছে, বিমানবন্দর থেকে বাড়ি পর্যন্ত যেতে যেতেই ধূলোর অ্যালার্জীতে কাত হয়ে গেছি। তারপর বাকী সময়টার বেশীরভাগটাই শুয়ে শুয়ে কেটে গেছে, খাড়া হয়ে আর দাঁড়াতে হয়নি। আর ভরসা করে দেশে যেতে পারি না। আপনার লেখা পড়ে দেখছি কলকাতায় না গিয়ে ঢাকায় গেলেও একই অবস্থা হবে! মন খারাপ

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

ওডিন এর ছবি

ঢাকা কলকাতা একই অবস্থা। তবে আমি যে দুয়েকবার অল্প সময়ের জন্য কলকাতায় গেছি, ঢাকার তুলনায় ধুলো বেশি মনে হয়েছে, আর পেট্রোল ডিজেল কয়লার পোড়া ধোঁয়া তো আছে। । কিন্তু অন্যদিকে কলকাতায় গাছ বেশি, খোলা জায়গা বেশি, বাতাস ও বেশি মনে হয়। তাই ওইদিক দিয়ে কলকাতা জিতে গেছে। ঢাকায় তো আজকাল শ্বাস নেয়ার ও জায়গা নেই। মন খারাপ

নিবিড় এর ছবি

বসন্ত আসছে ভুলে গিয়েছিলাম। ক্লাসে গিয়ে রং এর বাহার দেখে মনে পরল,বুড়ো হয়ে যাচ্ছি দেঁতো হাসি

ওডিন এর ছবি

প্রফেসর সাব, লেখালেখি করেন না তো বহুদ্দিন! বরিশাল গানস নিয়ে একটা লেখা দেন। কি কইতেছি বুঝতে না পারলে বুক ভিলায় বা সেঞ্চুরি কনফেকশনারীতে গিয়া জিগান বেপারটা নিয়া দেঁতো হাসি

সত্যপীর এর ছবি

সেই কবে মোগল আমলে কইছিলেন পুরান ঢাকার খানাদানা নিয়া পুস্ট দিবেন, কই?

আপনারেও বসন্তের একরাশ ভালুবাসা দিলাম!

..................................................................
#Banshibir.

ওডিন এর ছবি

বিশাল রিসার্চ করে কাজে নামতে চাই। কিন্তু সমস্যা হইলো রিসার্চ করতে গিয়ে তো খালি খাওয়াদাওয়াই হয়। আপনের মতো নিরস সাব্জেক্ট তো আর না, বেশ 'সরস' ইয়ে যাকে বলে চোখ টিপি

তারেক অণু এর ছবি

আজ মিস করলাম, ধুর

ওডিন এর ছবি

আজকে (২২ ফেব্রুয়ার) আসতেছি। দেখা হবে হাসি

আশালতা এর ছবি

বালাই ষাট! শেষ লাইন পড়েই আঁতকে উঠলাম। চিকেন পক্সে ভুগতে হয়নি বটে কিন্তু বাড়ি ভর্তি এই রুগি সামলাতে গিয়ে যে নাকানি চুবানি খেতে হয়েছে এরপর থেকে নাম শুনলেও ভয় লাগে। তয় ব্লগর ব্লগর ভাল্লাগসে। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

ওডিন এর ছবি

হেহেহেহেহে ইন দ্য ইয়ার নাইনটিন নাইনটি ফাইভে হইছিলো, তখন বরিশালে থাকতাম। সেরে ওঠার পর ইশকুলে যেইদিন প্রথম গেলাম, পন্ডিত সার নিমগাছের ডাল দিয়ে ইট্টু পিট্টিমতো দিয়েছিলেন, বসন্তের কুপ্রভাব দূর করার জন্য।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।