ইস্তাম্বুলের বাজারে

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: শনি, ১০/১২/২০১১ - ৭:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

IMG_8100

ইস্তাম্বুল, আমাদের মানবজাতির নির্মিত একমাত্র শহর যা দুই মহাদেশের মাঝে বিস্তৃত, এশিয়া ও ইউরোপের সন্ধিক্ষণ। এককালে শতাব্দীর পর শতাব্দী মসুলমান অটোম্যান সম্রাটদের দখলে থাকা তিলোত্তমা রাজধানী শহর ইস্তাম্বুলের মহাকালের বুকে জয়যাত্রা শুরু কিন্তু আবার প্যাগান রোমান সভ্যতার রাজধানী রোম থেকে স্থানান্তর করে ইস্তাম্বুলে (তখন তার নাম হয়েছিল কনস্ট্যান্টিনোপল) নেওয়া হয়েছিল তখন থেকেই।

পূর্ব-পশ্চিমের এই মহানগরী অসংখ্য কারণে যেমন ইতিহাসের সন্ধিক্ষণগুলো দখল করে আছে তেমনি পর্যটকদের কাছে ইস্তাম্বুলের অমোঘ আকর্ষণ নানাবিধ কারণে, যার অন্যতম এখানে অবস্থিত মধ্যযুগের সপ্তাশ্চর্যের একটি হাজিয়া সোফিয়া, নয়নকাড়া মসজিদের মিছিল, বসফরাসের নোনা বাতাস এবং এর অতি বিখ্যাত প্রাচীন বাজারগুলো, আমাদের যাত্রা আজ ইতিহাসময় জনমুখর বাজারগুলোর দিকেই।

খেমোখাতায় পরিচয় হয়েছিল তুর্কি তরুণী ফুলিয়া আনলিরের সাথে, ডিসেম্বরে দিনকতকের ছুটি পেয়ে হন্যে হয়ে নতুন গন্তব্যের সন্ধানে ছিলাম, সে আমন্ত্রণ জানালো ইস্তাম্বুল ঘুরে যাবার। বলল- আমাদের বাড়ীতেই থেকো, সেই সাথে গাইড হয়ে আমরাই পুরো শহর তোমাকে ঘুরিয়ে দেখাব। এতো মেঘ না চাইতেই শতাব্দীর বন্যা। ভবঘুরে মনের জন্য আর কি চাই! সোজা যেয়ে নামলাম ইস্তাম্বুলে। সে তো আর এলেবেলে শহর নয়, ইংরেজিতে বলে কসমোপলিটন, কোটি দুয়েক বাসিন্দা তার।

দিন দুয়েক নানা উল্লেখযোগ্য স্থাপত্য পর্যবেক্ষণের ( নয়নাভিরাম মসজিদ থেকে শুরু করে অটোম্যান টোপকাপি প্রাসাদ, সুলতানের হারেম কিছুই বাদ পড়ে নি) পর এক বিকেলে যাওয়া হল এখানকার সবচেয়ে বড় বাজার পরিদর্শনে যা গ্র্যান্ডবাজার নামে ভুবননন্দিত।

IMG_8066

চোখ মটকে ফুলিয়ার ভাই ফাতিহ জানালো আজ বুঝবে মানুষের মেলা কাহাকে বলে! আরে ব্যাটা, তরুণ তুর্কি, আমি হলাম বাঙ্গালমুলুকের বাসিন্দা, প্যাঁচে পড়ে ঢাকাতেও ছিলাম কিছু দিন, আমাকে তুমি মানুষের ভিড় দেখিয়ে চমকাতে চাও! ঘুঘু দেখেছ হে ফাঁদ দেখ নি!

IMG_8091

কিন্তু বড় বাজারে মানুষের যাঁতাকলে পড়ে নিজে ফাঁদ তো দেখলুমই, সেই সাথে ফাও হলদে সর্ষেফুল দেখেই ফেলেছিলাম প্রায়! জনসমুদ্র কাহাকে বলে, এক ঢাকার বঙ্গবাজার আর দিল্লীর চাঁদনী চক ছাড়া এমন গিজগিজে চলমান জনস্রোতের অস্তিত্ব থাকতে পারে তা কল্পনাও করি নি। তিল পরিমাণ জায়গা নেই সেই বিস্তীর্ণ গলিগুলোতে, এক সমুদ্র থেকে আরেক সমুদ্র পর্যন্ত কেবলমাত্র মানুষ আর মানুষ, এর মাঝেই সবাই যে যার কাজে ব্যস্ত। পরে জানলাম বিশ্বের সর্ববৃহৎ এবং পুরাতন বাজারগুলোর মধ্যে অন্যতম এই তীর্থে প্রতিদিন আড়াই লক্ষ থেকে পাঁচ লক্ষ লোকের জনসমাগম ঘটে থাকে!

IMG_8045

IMG_8043

১৪৫৫ সালে সুলতান মেহমেদের নির্দেশে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়, শেষ হয় মাত্র ছয় বছরের মাথায় ১৪৬১ সালে। এখনো এখানে ছাদ আবৃত ৫৮টি গলি আছে, যার আনাচে কানাচে ঠাই পেয়েছে হাজার চারেক দোকান, হরেক দেশের হরেক পণ্যের। মনে হল সোনামুখী সুচ থেকে শুরু করে ইন্দ্রের ঐরাবত কোনকিছুর সন্ধান মেলা অসম্ভব হবে না এখানে,

IMG_8785

IMG_8033

IMG_8067

IMG_8145

IMG_8784

IMG_8109

IMG_8034

IMG_8783

IMG_8073

কিন্তু বরাবরের মতই সবার আগে গেলাম গুপ্তধনের খোঁজে, পুরনো বইয়ের দোকানে।

IMG_8052

কেন জানি মনে হয় বিশ্বের সব বইপড়ুয়ারা যেমন প্রাণের বন্ধু, আত্মার আত্মীয়, ঠিক তেমনি পুরনো বইয়ের দোকানদাররাও ঝিম মেরে সুযোগের জন্য ওঁত পেতে থাকা এক আবিশ্ববিস্তৃত মাফিয়া চক্রের সদস্য, যাদের কাজই বইপ্রেমীদের অকৃত্রিম উৎসাহ আর নিষ্পাপ আবেগের বহিঃপ্রকাশকে পুঁজি করে যতখানি সম্ভব তাদের পকেট হালকা করা। এর ব্যতিক্রম কোথায়! প্রিয় নীলক্ষেত, পল্টন থেকে শুরু করে দিল্লীর দরিয়াগঞ্জ, কেপটাউনের শহরতলী, হাভানার স্কয়ার, প্যারিসের গলি, অন্নপূর্ণার উপত্যকা? কোথাও না! তাই ইস্তাম্বুলেই বা এর ব্যতিক্রম হবে কেন!

IMG_8048

IMG_8047

তবে এখানের বইবাজারে সন্ধান মেলে অদ্বিতীয় সব সম্পদের, যেমন প্রাচীন পাণ্ডুলিপি, আরবি হরফে তুর্কি ভাষায় রচিত তুলোট কাগজে কাব্যসম্ভার, অদ্ভুতাকৃতির মানচিত্র, সেই সাথে অটোম্যান চিত্রকরদের আঁকা ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক আবহ ধরে রাখা পটচিত্র।

IMG_8060

IMG_8058

জালালুদ্দীন রুমির গোটা দুয়েক বইয়ের দাম করতে যেয়েই বুঝে গেলাম মাছি মারতে ব্যস্ত দোকানীরা আমাদের কণ্ঠস্বরের আবেগ ভরা ওঠানামা আর কলরবের ঠেলাতে বুঝে গেছে শিকার এসেছে আপনা থেকেই গুহাতে , এখন কেবল জাল গুটানোর পালা! দাম কমাবে না কিছুতেই! দলের সবচেয়ে যুদ্ধংদেহী সদস্য তুর্কি তরুণী জুলাল তার ভুবনমোহিনী হাসি দিয়ে ইজিয়ান সাগর তীরের বিকেলের সৌন্দর্য কয়েক গুণ বাড়িয়ে শেষ ব্রহ্মাস্ত্রটি প্রয়োগ করল – একজন অতিথিকে তুমি নিরাশ করছ, হে বড় বাজারের বই বিক্রেতা! এই সংলাপের পর আর কি কথা চলে, দোকানীও তো একজন নশ্বর মানুষমাত্র!

কিন্তু মুস্কিল হল, বই হাতে আসার আগেই দাম চুকিয়ে দিল স্থানীয় বন্ধুরাই! কি মুশকিল! এমন এক দোকানে তুরস্কের পুরনো কিছু ডাকটিকেট দেখে আবাল্য আগ্রহটা থলে থেকে বের করতেই দেখি পুরো ডাক টিকেটের খাতা একজন হনুমানের গন্ধমাদন পর্বত পরিবহণের মত তুলে এনে হাতে দিয়ে বলল- শুভেচ্ছা! বন্ধু, মনে রেখ আমাদের! এরপর থেকেই কোন কিছু পছন্দ করার আগে মহা সতর্ক হতেই হল, এত ভালবাসার অত্যাচার আবার অসহনীয় মনে হয় মাঝে মাঝে।

IMG_8072

বড় বাজারের কাছেই ইস্তাম্বুলের ২য় বৃহত্তম ছাদ আবৃত বাজার মশলা বাজারে যাওয়া হল, ১৫৯৭ সালে নির্মাণ কাজ শুরু হবার পর থেকেই এখানে আগমন শুরু হয় মিশরের নানা বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত সুগন্ধি মশলার, মশলা বাজার পরিণত হয় এক সাম্রাজ্যের মশলা সংগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে, তার সেই সুনাম আজও অটুট।

IMG_8113

কি সব বাহারি মশলা, কত তাদের নাম-ধাম, ইতিহাসের সুলুক সন্ধান, কি বিচিত্র তাদের জোগাড়ের কাহিনী। বিশ্বের সবচেয়ে দামি মশলা জাফরানের কদরও দেখলাম আলাদা মাপের।

IMG_8105

এর মধ্য আরও কয়েকজন বন্ধু দেখা করতে আসায় সবাই মিলে চা-চক্রে বসা হল, সুগন্ধি মশহুর চা এল কাঁচের পাত্রে আলগোছে, পরিবেশনের রীতিই আলাদা তুরস্কে।

IMG_8076

কেবলই অবাক হচ্ছিলাম, এই চা-খানাতেই পাঁচশ বছর আগেও এমন আড্ডায় জমায়েত হয়েছিল তামাম দুনিয়ার মানুষেরা, মেতে উঠেছিল নানান যুক্তি তক্কো গপ্পে, আজ তাদের আস্তানা কেবল ইতিহাসের ধূলি ধূসরিত পথে, আমরাও একদিন তাদের অনুগামী হব, ইস্তাম্বুলের বাজার ঠিকই রয়ে যাবে, ২৫১০ সালে হয়ত উঠবে চা কাপে ঝড়, জমবে কথার উৎসব।

IMG_8081

তুরস্ক ঠিক একটা দেশ নয়, সুদীর্ঘ ইতিহাসে নানান দেশের, নানান প্রান্তের মানুষের আগমনে ও শতাব্দী পরম্পরায় তাদের বংশধরদের মধ্যে পরিবার গঠনের মাধ্যমে তুরস্ক পরিণত হয়ে এক স্বতন্ত্র বিশ্বে, যেখানে আশ্রয় হয়েছে সব বর্ণের, সব জাতের মানুষের। কাজেই অন্য অনেক ভূখণ্ডের মত এখানে চট করে চোখ বুলিয়েই বলা সম্ভব নয় কে কোন দেশের নাগরিক! বিশ্বাস হল না, নিচের ছবিটি দেখে বলুন তো- সেখানে উপস্থিতগণ কোন কোন দেশের অধিবাসী।

IMG_8080

এবার বলি, উপরের ছবিটিতে উপস্থিত অধম বঙ্গসন্তান বাদে সকলেই আদি ও অকৃত্রিম ইস্তাম্বুলের বাসিন্দা।

বাজার থেকেই বেরোতেই হৃষ্টপুষ্ট এক মোরগের মালিক ভাগ্যগণকের সাথে দেখা, মোরগ তার ইশারা পেলে সামনে রাখা অসংখ্য সুকথায় ভরা কাগজের পুরিয়া থেকে একটা বেছে নেবে আগ্রহীর জন্য, তার সামনে বয়ে ঘাস চিবোচ্ছে দুটি তুষার ধবল খরগোশ, শুনলাম তারাও ভাগ্যগুনতে সাহায্য করে! ঘাসের বদলে মাঝে মাঝে পছন্দসই কাগজের পুরিয়া তুলে নেই মুখে! ভাগ্য জানতে বয়েই গেছে আমার! কিন্তু এমন চিড়িয়ার দেখা পেলে স্মৃতি হিসেবে রাখতে খুব ইচ্ছে করে।

IMG_7724

এরপরের যাত্রা বসফরাসের নোনা বাতাস খেলানো মাছের বাজার, যে কোন দেশের মাছের বাজারের ছবি দৃশ্যপটে বন্দী করতে খুব ভাল লাগে আমার,হয়ত নানা ধরনের অতল জলের বাসিন্দাদের দেখা মেলে এই কারণেই, রঙধনুর সাত রঙে রাঙানো মাছ থেকে শুরু করে আট শুঁড়ের অক্টোপাস কি নেই সেখানে! সেই সাথে শামুক, ঝিনুক এন্তার।

IMG_7673

IMG_7669

IMG_7667

জানতাম প্রিয় লেখক ওরহান পামুকের আস্তানা এই মহানগরীর ট্যাক্সিম মহল্লায়, নিভৃতলোকের বাসিন্দা এই শব্দের জাদুকরের নির্জনতার মোহ ভঙ্গ করার কোন অভিপ্রায়ে নয়, স্রেফ তার কলমের খোঁচায় তৈরি জাদুনগরীর পরিবেশ অনুভবের জন্য যেয়ে বাড়তি পাওনা হল সেখানের ফুলের বাজার, যা খোলা থাকে মধ্যরাত পর্যন্ত।

IMG_8233

IMG_8229

এর পরপরই বন্ধুরা এক রকম জোর করেই নিয়ে চলল সাঝের বসফরাসের তীরে, এই ছিলাম এশিয়ায়, তো এখন ইউরোপে! অস্তগামী সূর্যের অন্ধকার বিস্তারের হুমকিকে অগ্রাহ্য করে মাছে শিকারে ব্যস্ত ও ন্যস্ত হাজার হাজার সৌখিন মৎস্য শিকারি,

IMG_8186

এর মধ্যে কিছু শিকার যেমন আলো করে ঘরের হেঁসেল, ঠিক তেমনি কিছু ঠাই পাই স্থানীয় রেস্তোরাঁয়। তেমনি এক ভাসমান জাদু রেস্তোরাঁয় ঠাই হল আমাদের দলের, টাটকা মাছ ভাজার লোভের সাথে সাথে ইস্তাম্বুল, এর অধিবাসী আর বাজারগুলোকে ভালো লেগে, ভালোবেসে।

IMG_8195

I am listening to Istanbul, intent, my eyes closed:

At first there is a gentle breeze

And the leaves on the trees

Softly sway;

Out there, far away,

The bells of water-carriers unceasingly ring;

I am listening to Istanbul, intent, my eyes closed.

I am listening to Istanbul, intent, my eyes closed;

Then suddenly birds fly by,

Flocks of birds, high up, with a hue and cry,

While the nets are drawn in the fishing grounds

And a woman’s feet begin to dabble in the water.

I am listening to Istanbul, intent, my eyes closed.

I am listening to Istanbul, intent, my eyes closed.

The Grand Bazaar’s serene and cool,

An uproar at the hub of the Market,

Mosque yards are full of pigeons.

While hammers bang and clang at the docks

Spirng winds bear the smell of sweat;

I am listening to Istanbul, intent, my eyes closed.

I am listening to Istanbul, intent, my eyes closed;

Still giddy from the revelries of the past,

A seaside mansion with dingy boathouses is fast asleep.

Amid the din and drone of southern winds, reposed,

I am listening to Istanbul, intent, my eyes closed.

I am listening to Istanbul, intent, my eyes closed.

A pretty girl walks by on the sidewalk:

Four-letter words, whistles and songs, rude remarks;

Something falls out of her hand -

It is a rose, I guess.

I am listening to Istanbul, intent, my eyes closed.

I am listening to Istanbul, intent, my eyes closed.

A bird flutters round your skirt;

On your brow, is there sweet? Or not ? I know.

Are your lips wet? Or not? I know.

A silver moon rises beyond the pine trees:

I can sense it all in your heart’s throbbing.

I am listening to Istanbul, intent, my eyes closed

ORHAN VELİ KANIK

IMG_8200

( কেবল ফিরেছি ভিঞ্চি নামের সেই বিখ্যাত জনপদ থেকে, হোটেলে ফিরে বিশ্রামের আকাঙ্ক্ষায় শরীর এলিয়ে দিতেই কেন জানি মনে হল, এখন আছি ফ্লোরেন্সের এক প্রান্তে, ঠিক এক বছর আগের ২০১০ এর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে কোথায় ছিলাম? নিছক কৌতূহল থেকেই পুরনো রোজনামচা ঘেঁটে দেখি ছিলাম ইস্তাম্বুলে, বন্ধুদের সাথে চায়ের আড্ডায়। কত ক্ষুদ্র আমাদের এই একমাত্র জীবন, তা আবার অন্যায় অন্যায্য ভাবে বয়ে চলে এত দ্রুতগতিতে! একটি বছর চলে গেছে মহাকালের অতল গর্ভে, টের পাবার আগেই। সেই হারিয়ে যাওয়া সময় আর আড্ডা নিয়েই কিছু লিখে ফেললাম।

সেই সাথে জানা গেল আজ আমাদের প্রিয় পড়ুয়া ও ব্লগার নজরুল ইসলাম নজু ভাইয়ের এই ভুবনে ২৫তম আগমনী দিবস, যদিও দুর্জনেরা বলে থাকে উনি বিগ ব্যাং ঘটতে দেখেছেন চোখের সামনে এবং ছোট বেলায় স্কুলের যাবার সময় প্রায়শই ডাইনোসরদের পাশ কাটিয়ে যেতেন! যদিও সুজনেরা তাকে আদর করে বইখোর পরিচয় দিতেই পছন্দ করে। শুভ জন্মদিন নজু ভাই, দূর থেকে এই স্মৃতিচারণটাই থাকল এযাত্রা অ্যাবসলিউট উপহার হিসেবে, আশা রাখি জীবন নদীর কোন এক বাঁকে আড্ডায় দেখা হবে আমাদের, ভালো থাকুন সবসময়।।)


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

ঈর্ষায় জ্বলেপুড়ে ছারখার হয়ে হোলস্টার থেকে বার করতে যাচ্ছিলাম আরেকটা উটপাখির ডিম। কিন্তু একটা লম্বা শ্বাস নিলাম। তারপর ডিমটা আবার হোলস্টারে ভরে রাখলাম। ওঁ মণিপদ্মে হুম। হুমম। হুমমম।

তারেক অণু এর ছবি

যাচ্চলে, তেজসৃপের ডিম উটপাখির ডিম হল কি করে !!
জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক (কেবলমাত্র নচ্ছার মানুষেরা নয়) ওঁ মণিপদ্মে হুম। হুমম

মুস্তাফিজ এর ছবি

মনে হলো আমিও ঘুরে এলাম ইস্তাম্বুলের বাজার থেকে।

নজুর ২৫তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা, বয়স যেনো আর না বাড়ে।

...........................
Every Picture Tells a Story

তারেক অণু এর ছবি

ভাল লাগল শুনে। নজু ভাইয়ের বয়স শুনলাম সামনে বছর থেকে ২৪ হবে ( শোনা কথায় কান দিতে নেই যদিও খাইছে )

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

তারেক অণু এর ছবি
তারাপ কোয়াস এর ছবি

গুল্লি

(অট: সামনের বছর আমারও বয়স ২৪ হবে। বেশী চাপাচাপি করলে ২৫, এরপর বোমা মারলেও এর উপর উঠতে অপারগ হাসি


love the life you live. live the life you love.

hawaimitai এর ছবি

উহা ২৪ এ স্তিমিত হউক। তারপর চির তরুন হয়ে পৃথিবীতে বিরাজ করুক । প্রতিতি বসন্ত বলুক এবার ও ২৪।

চির সবুজ হয়ে থাকুন। প্রান ঢালা সুভেসসা...............

তারেক অণু এর ছবি

হ, ভদ্রলোকের এক জবান!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমিও ঈর্ষায় জ্বলে পুড়ে ছাড়খাড় হয়ে যাচ্ছিলাম। তারপর দেখলাম এই পোস্ট আমার জন্যই হাসি
ধন্যবাদ অনু। আপনার কাধেঁই চড়িয়ে দিয়েছি আমাদের আজন্ম স্বপ্নগুলো। আপনিই আমাদের হয়ে পৃথিবীটা দেখে নিন। আমরা ঘরকুনো থাকি।
অবশ্যই দেখা হবে আমাদের হাসি
অশেষ ধন্যবাদ

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তারেক অণু এর ছবি

আসেন, একসাথেই দেখি ! আর আপনিই কিন্তু পৃথিবীটা আমাকে দিয়ে বললেন, যা ব্যাটা, ঘুরে দেখ !

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হ দিছি তো

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তারেক অণু এর ছবি

তয় লে আর কি ! চোখ টিপি

তিথীডোর এর ছবি

আগে লেখাগুলো পড়লে হিংসে হতো।
আরো অনেক কিছুর মতো এটাও অভ্যাসে এসে গেছে, ঘাটা পড়ে গেছে কাঁধে... পড়ি, ছবিতে চোখ বুলিয়ে যাই, গায়ে লাগে না আর। ইয়ে, মানে...
সবাই কি আর তারেক অণু হতে পারে, নাকি তেমন ভাগ্য নিয়ে জন্মায়!

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

আমি শিপলু এর ছবি

সহমত...আমাদের কাছে যে অনুর মতো দামাল এক ভাদাইম্মা আছে এই তো বেশি।

তারেক অণু এর ছবি

আরে না, ভাগ্যকে গুল্লি! বেশী ঝামেলা করলে ব্যাটাকে মোরগ দিয়ে ঠোকরাব!

রু (অতিথি) এর ছবি

এতোদিন ভাবতাম অণু জাতেই ভবঘুরে। এখন দেখি দুনিয়া ঘুরে বেড়ানোর ইন্সেন্টিভ অন্যখানে। দারুণ একটা পোস্ট, খুব ঝলমলে।

নজরুল ভাইকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। ভালো থাকেন, আনন্দে থাকেন।

তারেক অণু এর ছবি

এখন দেখি দুনিয়া ঘুরে বেড়ানোর ইন্সেন্টিভ অন্যখানে চিন্তিত হুমম

নিশা এর ছবি

ওঁয়া ওঁয়া

তারেক অণু এর ছবি
হাসান এর ছবি

বাংলা ব্লগে যে অনেক চমৎকার লেখক আছেন যারা অনেক প্রতিষ্ঠিত, পেশাদার লেখকের চেয়ে বেশী শক্তিশালী। এই লেখা তার প্রমান। হুমায়ুন আহমেদের ইস্তাম্বুল ভ্রমনকাহিনী পড়লাম কিছুদিন আগে। ওটা আয়তনে এই লেখাটার দ্বিগুন এবং মানে অর্ধেকেরও কম।

তারেক অণু এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ। ইস্তাম্বুল দিয়ে আরো অন্তত ৩টি লেখা আসছে, কিন্তু একটু সময় লাগবে।

আমি শিপলু এর ছবি

অনুদা...এতো বাজারে ঘুরলেন আর আমার জন্য কিছুই কিনলেন না!! আপনি এতো নিষ্ঠুর কিভাবে হইতে পারলেন?..যান আপনের সাথে আর খেলুমনা রেগে টং
পোস্ট পইড়া বরাবরের মতই গা জ্বলা আনন্দ পাইছি। একটা লেখা দিছিলাম “অন্যরকম কয়েকটা দিন”। পারলে পইড়া দেইখেন আর জানায়েন শিস্য হইতে পারছি কিনা।

তারেক অণু এর ছবি

আরে ভাই, বেশী জিনিস কিনলে সেই ভারেই নড়া যায় না।
আপনার লেখাটা পড়েছি, তখন লগ ইনের সমস্যা থাকায় মন্তব্য করা হয় নি, চালায়্যা যান !

তাপস শর্মা এর ছবি

আর কই যাই। এতো ইস্তান হাতে বুল দেখুম। জয় অনুর জয় গুরু গুরু

নজু বাবু আরও বড় ভাইডি খাইছে , তয় শুনলাম আপনার নাকি আগামিতে ২৪ অইব। হায় হায় ডিমোশন কেনু?

তারেক অণু এর ছবি
শেহাব- এর ছবি

তারেক অণু কখনও বাল্টিমোরে আসলে জুতার তলায় চুইংগাম লাগিয়ে বলবো দেখি এইবার কেমনে ঘুরে বেড়াস!

তারেক অণু এর ছবি

আচ্ছা ! আসব! কিন্তু খালি পায়ে !

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আমার বলার কিছু নেই, চেয়ে চেয়ে দেখলাম।

তারেক অণু এর ছবি

না না, আপনি না বলবে হবে ! আপনের মন্তব্যগুলো খুব উৎসাহদায়ক, ভালো থাকুন।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

নজুভাই পঁচিশে পা দিল! অ্যাঁ অ্যাঁ
অবিশ্বাস্য গ্রীন একটা লুক খাইছে

হোজা নাসিরুদ্দিনের সমাধি নাকি তুরস্কে? ওদিকে যান নাই? মজার একটা সমাধি নাকি ওটা দেঁতো হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

তারেক অণু এর ছবি

ঐ শহরে যাওয়া হয় নি, তুরস্ক ভয়াবহ বড় একটা দেশ! হেরোডটাসের জন্ম স্থানে যেতে চেলাম, ট্রয় দেখতে চাইলাম, সেই সাথে অনেক অনেক স্থান, সে যাত্রা হয় নি ! দেখি, ওখানকার বন্ধুরা বলছে একমাস গাড়ীতে করে ঘুরলে কিছু কিছু জায়গা দেখা হতে পারে, সেই আশায় আছি।

চরম উদাস এর ছবি

জটিল বর্ণনা চলুক
নজু ভাইকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা

তারেক অণু এর ছবি

একখান তরল বর্ণনা দিয়ে পোস্ট দিব নাকি, মিয়াঁ ভাই !

বিলাস এর ছবি

ঝকঝকে ছবি আর চনমনে লেখায় অনুদাকে উত্তম জাঝা!

তারেক অণু এর ছবি

শুভেচ্ছা আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

hawaimitai এর ছবি

তারেক ভাই আপনি ত তুর্কী নাচন দেখিয়ে ছাড়লেন। কি দিব, ধইন্না পাতা তে হবে না আপনি বিশ্বের পথে প্রান্তরে উষ্ণ হৃদয়ের ভালবাসা নিয়ে চলুন।
আছছা তুর্কির মুদ্রার মূল্যমান কেমন।
দেশ টা তো ঝলমলে, আলোতে পরিপূর্ণ । যদি কখন ভ্রমন করি সাথে থাকবে আপনার এই লেখা।

আপনি বই লিখেন... আমরা অপেক্ষায় আছি।

তারেক অণু এর ছবি

আমি নিজেই তুর্কি নাচের শিকার! কি আর বলব !
আগের মুদ্রা এখন আর চালু নেই, বর্তমানের টা প্রতি ইউরোতে ২ করে, মানে ভালই দাম আছে।(আগের টা থেকে ৪ না ৫ টা শূন্য উঠিয়ে দিয়ে নতুন মুদ্রা চালু হয়েছে)
বিশ্বের পথে প্রান্তরে উষ্ণ হৃদয়ের ভালবাসা নিয়ে চলুন।-- খুব ভাল লাগল মন্তব্যটি।
বই প্রস্তুত, চাই প্রকাশক !

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

যদি অনুমতি দেন তবে আমি দুয়েক জায়গায় ঢু দিয়ে দেখতে পারি। কিছু প্রকাশকদের সাথে কিঞ্চিৎ পরিমাণ সম্পর্ক বিদ্যামান থাকার কারনেই এই দুঃসাহস দেখাচ্ছি। অন্য কিছু নয়। তবে জানতে ইচ্ছে হয় যে আপনার লক্ষ্যমাত্রা কী? অর্থাৎ, কত ফর্মার বই কী ধরনের আকারে আপনি চিন্তা করেছেন? কিছু হবেই তা কথা দাওয়ার ক্ষমতা যে আমার নেই সেটা নমণীয় ভাবেই দেখবেন আশা রাখি।

বাজার ভাল লাগল; নজু ভাইকে জন্মদিন এর শুভেচ্ছা।

তারেক অণু এর ছবি

অবশ্যই! লক্ষ্যমাত্রা বলে কিছু নেই আসলে, কিন্তু প্রচুর আলোকচিত্র দিতে চাই প্রতি লেখার সাথে। এটাই মুশকিল, কারণ বাংলাদেশে সাধারণত ভ্রমণ কাহিনীর বইগুলোতে লেখা একদিকে আর সব ছবি মাত্র কয়েকপাতায় একসাথে ছাপায়! এইটা আমার পছন্দ হয় না।
প্রকাশক এই ব্যাপারে রাজি হলে বাকীগুলো এমন কিছু প্রধান নয়।

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

আচ্ছা, মাঠে নেমে পড়লাম। দোয়া রাইখেন।

তারেক অণু এর ছবি
অরফিয়াস এর ছবি

তারেক অনুর বিশ্বভ্রমণ নিয়ে "Round the world in 80 days" এর মতো উপন্যাস চাই ... দেঁতো হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তারেক অণু এর ছবি

৮০ বছর হলে কেমন হয় !

অরফিয়াস এর ছবি

আবার জিগায় ... দেঁতো হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তারেক অণু এর ছবি

অত দিন ব্যাট করতে পারলেই তো বই হয়ে গেল জীবন টা !

প্রতিক এর ছবি

আপনার লেখাগুলো পড়ে আর ছবিগুলো দেখে মনে হয় চাকরী বাকরি ছেড়ে যাযাবর হয়ে যাই। বিশ্বাস করেন, আপনার উস্কানিতে বেমালুম যাযাবর বনে যাবার অনেক প্ল্যান করে ফেলেছি। জানিনা কখনো তা সত্যি হবে কিনা। তবে স্বপ্নটা আপনিই দেখাচ্ছেন।

ধন্যবাদ লেখা আর ছবির জন্য।

তারেক অণু এর ছবি

কি আছে জীবনে !

Zakaria এর ছবি

তারেক অনু, বাল্টিমোর গেলে ১টু আওয়াজ দিয়েন। নিউ জার্সিতে নামাইয়া কপালটা ১টু ঘষাঘষি করমুনে ।

ফাটাফাটি হয়েছে। চালিয়ে জান ।

তারেক অণু এর ছবি

জানাবো ভাই !

সুমাদ্রি এর ছবি

আপনি এত যে ঘুরেন, পয়সা দেয় কে আপনাকে? সোফিয়া-র ছবি দিলেন না যে!

তারেক অণু এর ছবি

পয়সা কি আর কেউ দেয় ! নিজেকেই জোগাড় করতে হয়, জোগাড় হলেও খরচ করার জন্য অস্থির হয়ে উঠি!
সোফিয়া নিয়ে আলাদা পোস্ট দিব পরে।

শোয়েব মাহমুদ সোহাগ এর ছবি

কী এমন ঘুরেন, আমাগো বরিশাল লইয়া এহন পর্যন্ত এট্টা পোস্ট দিতে পারলেননা! হো হো হো । লেহা এম, এল, এ, ফাটা কেষ্ট গুল্লি । নজরুল ভাইকে জন্মদিনের শুভ কামনা।

তারেক অণু এর ছবি

মনো, গেছি তো বরিশাল, ধান নদী খালের দেশে। আসলে জীবনে প্রথম বাড়ীর বাইরে যখন ঘুরতে বেরোয় সেবারই গিয়েছিলাম বরিশাল, পিরোজপুর, খুলনা, বাগেরহাট। আরজ আলী মাতুব্বরের গ্রাম নিয়ে একটা লেখার ইচ্ছে আছে,

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

বর্ণনা অসাধারণ লাগলো। তানু পলো আমাদের নিরাশ করছে না।

তারেক অণু এর ছবি

তানু পলো ! হা হা দেঁতো হাসি

গৌতম এর ছবি

আপনার পেট ব্যাথা করে না?

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

তারেক অণু এর ছবি

আপনি কি টেনিদার প্যালারাম না কি !! খামোখা পেট ব্যাথার জন্য নজর দিয়েই যাচ্ছেন !! আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

নুভান এর ছবি

হিংসা হিংসা আর হিংসা...একরাশ হিংসা থাকলো আপনার প্রতি চোখ টিপি

তুর্কি ঝাড়-বাতি গুলো দেখে মনে পড়ে গেল, ফি বৎসর ঢাকায় যে আন্তর্জাতিক বানিজ্য মেলা হয় সেখানকার তুর্কি দোকানের কথা। দু-চারটে ছবিও তুলেছিলাম, শেয়ার করলামঃ

তারেক অণু এর ছবি

ভালো লাগল

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আচ্ছা!! আগে তো খেয়াল করিনি! বেশ তবে! নেক্সটটায় একটা টার্গেট থাকবে, পয়সা জমাই!

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

তারেক অণু এর ছবি
উজানগাঁ এর ছবি

আপ্নে একটা বদ লোক। চোখ টিপি

আপনার এই লেখাটা পড়ে অনেকদিন আগের পড়া তীরুদার যাযাবর দিনের গল্পের কথা মনে পড়ে গেল।

তারেক অণু এর ছবি

সবাই ভাল হলে চলবে !

উচ্ছলা এর ছবি

অণুর লেখা মানেই ম্যাজিক ! ... ছোট্ট একটি উপহার আমার প্রিয় ম্যাজিশিয়ানের জন্য:

তারেক অণু এর ছবি

আহা !, পুরাই পাঙ্খা !

নৈষাদ এর ছবি

আগেই পড়া হয়েছে, মন্তব্য করা হয়নি। চমৎকার বর্ণনা।

ছোটবেলা থেকেই পাঁচটি দ্রষ্টব্য স্থানের তালিকায় এই জায়গাটা আছে... (সেবা প্রকাশনীর প্রভাব হতে পারে)

তারেক অণু এর ছবি

হতে পারে! মাসুদ্রানা তো সুযোগ পেলেই ইস্তাম্বুলের সেতু দিয়ে এশিয়া- ইউরোপ করত !

saiful--joensuu এর ছবি

অণু ভাই, আমি সচলের নীরব পাঠ্ক হয়েই ছিলাম।আর নীরব থাক্তে পারলাম্না। ফাঠিয়ে দিচ্চেন ব্স এখানে ও।

তারেক অণু এর ছবি

মাঝে মাঝে সরব হন ! আপনি কোথায় এখন !

পথিক পরাণ এর ছবি

বঙ্গসন্তান হিসাবে বঙ্গবাজারে ঠ্যালা ধাক্কা খাইসি মেলা। দিল্লীর চাঁদনী চকের গলিতেও ঘাড় গুইজা জিনিশপত্তর দরদাম করা হইসে। দেইখেন, একদিন আমরাও---- (বসফরাসের তীরে যামু)

-----------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...

তারেক অণু এর ছবি

অবশ্যই, একদিন আমরাও

মন মাঝি এর ছবি

চমৎকার!

ইস্তাম্বুলের বাজার দেখিনি, তবে আপনার ছবি আর লেখা পড়ে আমার কায়রোর বিখ্যাত খান আল-খলিলি বাজারের কথা মনে পড়ে গেল। অনেকটা একই রকম হবে মনে হয়, কারন ওটাও আরেক প্রাচীণ মধ্যপ্রাচ্যীয় বাজার - প্রায় ৮০০ বছর আগে ১৩৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত। নানা রকম এ্যান্টিক, বাতি, ল্যাম্প, রাগ, কার্পেট, শীষা, মশলা, ইত্যাদির ছবি দেখে একটা চেনা গন্ধ আর আবহের আভাস পেলাম যেন।

আর হ্যাঁ, তুর্কি কাবাব খেয়েছেন? হাসি

****************************************

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ! আহ, কি সুস্বাদু সেই কাবাব, ইউরোপের আর কোন দেশে এই কাবাব মিলবে না ! কায়রোর বাজারে যেতে হবে মনে হচ্ছে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
তারেক অণু এর ছবি
ইস্কান্দর বরকন্দাজ এর ছবি

একদিন আমিও Gaucho

তারেক অণু এর ছবি

আহেন, একলগে

শাব্দিক এর ছবি

মাছ বাজারের ছবি দেখে মুগ্ধ, এত সুন্দর করে মাছ সাজানো।
৬ নম্বর ছবি টাও দারুন!পাগড়ি কিনতে মুঞ্চায়!

তারেক অণু এর ছবি

তা তো বটেই ! সাজানো কি দারুণ একটা শিল্প !

Guest_Writer Neelkomolinee এর ছবি

এত ঘুরাঘুরি করলে পড়ালেখা কখন করেন? আমেরিকা আসলে আমার বাসায় নেমন্তন্ন দিয়ে রাখলাম।আমি অনেকদিন হয় এই ব্লগটি পড়ি (আপনার সব লেখা),এত ভাল লাগে যে মন্তব্য না করে থাকতে পারছি না আর।

তারেক অণু এর ছবি

পড়ার ফাঁকে ঘুরি, ঘোরার ফাঁকে পড়ি। তবে এই কারণে প্রায়ই সেমিস্টার ড্রপ দিতে হয়, একবার তো গ্রাজুয়েশন পর্যন্ত ছেড়ে দিতে হল।
আমেরিকার কোথায় থাকেন, সপ্তাহ দুই পরে মেক্সিকো যাব, জানিয়েন,

Guest_ Writer neelkomolinee  এর ছবি

আপনার ইমেইল ঠিকানা কি? আমি পূর্ব কূলে থাকি।মেক্সিকোর লেখাটা দারুন হবে বুঝতে পারছি।

তারেক অণু এর ছবি

onu_bangladesh@hotmail.com
আশা রাখি, গোটা মেক্সিকো গাড়ী করে পাড়ি দিয়ে কানকুন থেকে বিমানে পেরু, জানাবো আশা রাখি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আগে বলেন ঐ তুর্কী ফেজ (Fez) আর নকশাদার হোজ্জার পাগড়ি একটা করে কিনেছিলেন কিনা? আচ্ছা সেটা না কিনেন, আমি যেন দিব্য চোখে দেখতে পেলাম ঐ খানদানি গড়গড়ার নল নিয়ে আপনি তাকিয়ায় ঠেস দিয়ে বসে তুর্কী নাচন দেখছেন!

অত রকমের ঐগুলি কী, চাল-ডাল? একটু করে কোন্‌টা কীসের ছবি লিখলে দারুণ হতো। সাইট্রাস আর বেদানার ছবিটা দারুণ। কী চমৎকার করে সাজিয়ে রেখেছে! আর টকটকে লাল সাইট্রাস! খেতে কেমন? আমাদের এখানে যে মাল্টা পাওয়া যায়, সেই রকমেরই কী? ঐ নকশাআঁকা ঝুলন্ত ল্যাম্পগুলো খুব পছন্দ হলো, কখনো সুযোগ পেলে এইরকম একটা আমার ঘরে ঝোলাবো।

জীবনে তো কিছু করতে পারলাম না... ভাবছি নিজের নামে একটা উপাধি দেয়া শুরু করবো, কিছু একটা করা হবে! এই অসাধারণ সম্মানপ্রাপ্তির প্রথম সৌভাগ্যবান ব্যাক্তি হবেন আপনি... ঠিকাছে কিনা? খাইছে

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

কেন জানি মনে হয় বিশ্বের সব বইপড়ুয়ারা যেমন প্রাণের বন্ধু, আত্মার আত্মীয়, ঠিক তেমনি পুরনো বইয়ের দোকানদাররাও ঝিম মেরে সুযোগের জন্য ওঁত পেতে থাকা এক আবিশ্ববিস্তৃত মাফিয়া চক্রের সদস্য, যাদের কাজই বইপ্রেমীদের অকৃত্রিম উৎসাহ আর নিষ্পাপ আবেগের বহিঃপ্রকাশকে পুঁজি করে যতখানি সম্ভব তাদের পকেট হালকা করা।

এইটুকুতে চলুক দিতে ভুলে গেছিলাম। আর এই লেখাটা দুর্দান্তরকমের ভালো হয়েছে, শুধু মনকাড়া ছবি আর স্বপ্নপুরীর লেখা বলে না, লেখার স্টাইলটাই দারুণ হয়েছে।

জালালুদ্দীন রুমির গোটা দুয়েক বইয়ের দাম করতে যেয়েই বুঝে গেলাম মাছি মারতে ব্যস্ত দোকানীরা আমাদের কণ্ঠস্বরের আবেগ ভরা ওঠানামা আর কলরবের ঠেলাতে বুঝে গেছে শিকার এসেছে আপনা থেকেই গুহাতে , এখন কেবল জাল গুটানোর পালা! দাম কমাবে না কিছুতেই! দলের সবচেয়ে যুদ্ধংদেহী সদস্য তুর্কি তরুণী জুলাল তার ভুবনমোহিনী হাসি দিয়ে ইজিয়ান সাগর তীরের বিকেলের সৌন্দর্য কয়েক গুণ বাড়িয়ে শেষ ব্রহ্মাস্ত্রটি প্রয়োগ করল – একজন অতিথিকে তুমি নিরাশ করছ, হে বড় বাজারের বই বিক্রেতা! এই সংলাপের পর আর কি কথা চলে, দোকানীও তো একজন নশ্বর মানুষমাত্র!

বর্ণনা আর 'গঠনা' দুইটাই ফাটাফাটি! হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

তারেক অণু এর ছবি

হাসি ফেজ কিনেছি, কিন্তু ছবি তোলা হয় নি !! হুক্কা খেতে ইচ্ছে হয় নি, যদিও সিসা পাবে যাওয়া হয়েছিল বন্ধুদের সাথে। ইস্তাম্বুলের আরো লেখা আসছে সামনে বছরে---

তারেক অণু এর ছবি

ইয়ে, টাইটেল টা কি হতে পারে !

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ক্যান? আমার নামটা তো কমেন্টের উপরে জ্বলজ্বল করছে!

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

তারেক অণু এর ছবি
খেকশিয়াল এর ছবি

মামুর ব্যাটা! তুই একটা অমানুষ!

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

তারেক অণু এর ছবি

জবের ভাব লিছ, মামুর বুটা! লিয়ে লিব গ্যারাজ করে, বুইঝলা ! চাল্লু

কৌস্তুভ এর ছবি

আহ, দুর্দান্ত! এমন বন্ধু আমাকেও যোগাড় করে দেন না কয়েকটা!

তারেক অণু এর ছবি

ইয়ে, মানে গুরু আইনস্টাইন বলেছেন-- The Secret of creativity is to hide your sources !

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

চলুক

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

তারেক অণু এর ছবি
শামীমা রিমা এর ছবি

বাপরে, কত্তো বড় লেখা ! তবে লেগেছে তো ভালো।

তারেক অণু এর ছবি

বড় হয়েছে নাকি ! আমার তো মনে হল কিছুই লিখতে পারলাম না, শুভেচ্ছা ।

কাশফুল এর ছবি

লেখা ছবি দুটাই দারুণ হয়েছে। চলুক
কেনাকাটা করতে মন চায় ভাইয়া। খাইছে

তারেক অণু এর ছবি

হুমম, কেনাকাটা বড়ই ভয়ংকর!

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

সাস্থগত কারনে আপনার পোস্টটি একটু দেরিতে পড়া হল। গতকাল বড়ভাই এসেছিলেন, আমায় দেখতে। বললেন, শোনহে পাঁচ বছরের মাল্টিপল ভিসা পেয়েছি আমেরিকার। দেদারছে ঘুরবো। এবারে ইচ্ছা আছে ইস্তাম্বুল যাবার। ঘোরাঘুরি তাঁর এক প্রচন্ড নেশা। গত বছর পুরো ইউরোপ ঘুরে এসেছেন। আর ভারত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরতো কবেই সেরেছেন। তো, ইস্তাম্বুলের কথার আমি তাঁকে আপনার 'ইস্তাম্বুলের বাজারে' পোস্টটি দেখালুম। সময়াভাবে পুরো পোষ্টটি তিনি পড়েননি, তবে সব ছবি গুলো সময় নিয়ে খুঁটিয়ে খুঁড়টিয়ে দেখে নিয়ে দুই আঙ্গুলে তুড়ি বাজিয়ে বললেন, ইস্তাম্বুল কিন্তু যাচ্ছিই। দেখো ছবিও তুলে আনবো।

আপনার পোস্টের বর্নণ ও ছবির বিষয়ে বলবো, ভদ্রলোকের এক কথা, আগে যা বলেছি তারতো রদবদল হবেনা।

তারেক অণু এর ছবি

দারুণ তো। শুনে খুব ভাল লাগল। উনাকে অনেক শুভেচ্ছা।

বিড়ি এর ছবি

আনন্দ পেলাম ।

তারেক অণু এর ছবি
বিড়ি এর ছবি

অক্টোপাস কারা খায় !!

তারেক অণু এর ছবি

আমার জানা মতে সবাই-ই খায়, যাদের ভাল লাগে। দারুণ খেতে কিন্তু, আমার খুব প্রিয়, কিন্তু স্কুইড আরো মজা।

কিরন শেখর এর ছবি

বরাবরের মতই অসাধারণ অণুদা। ছবির সাথে লেখনীর কাব্যকতা অনেক সুন্দর হয়েছে। হাততালি হাততালি

দিলরুবা সুলতানা এর ছবি

খুবই জীবন্ত লেখা,মনে হল আমিই ঘুরে এলাম ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।