আজ ঈদ। মদিনার ঘরে ঘরে আনন্দ। বাতাসে আতর গোলাপের সুগন্ধ। পথের ধারে দাঁড়িয়ে একটি নাস্তিক কাঁদছে। জিজ্ঞাসা করতেই সে বললো, ণূড়ায় কইছে আইজকা আমি রোস্ট খাইবার পারুম না।
ছোট বেলায় আব্বু আর আমি মিলে বাসার ছাদে ছোট্ট একটা সবজি বাগান করেছিলাম। তারপর আব্বু প্রবাসী হয়ে গেল তাই আমারও আর বাগান করা হল না। অনেক বছর পর আবার বাবা মেয়ে মিলে সুদূর প্রবাসে ছোট একটা সবজি বাগান করলাম।
১
রাহিল,এখনও ফোনে কথা বলছিস? কখন বলে গেলাম গোসল করে আয়,ভাত খাবো একসাথে!
দাঁড়াও আপু, এক মিনিট।ফোনের স্পিকারে হাত রেখে বলল রাহিল।
সেই একঘন্টা ধরেই ত এক মিনিট একমিনিট শুনে আসছি। তা তোদের এক মিনিট হতে কয়ঘন্টা লাগে?জার্নি করে এসেছে,গোসল করবে ,খাবে ,আমার সাথে গল্প করবে, আম্মু কী দিলো দেখাবে......
আমি এক রকম বিপাকে পরেই শেষ পর্যন্ত এখানে লিখতে আসলাম। জানি না আর কয়টা দিন টিকে থাকতে পারবো, মাথার উপরে যেভাবে করে একটু একটু করে আকাশ ভেঙ্গে পরার অবস্থা হচ্ছে বুঝতে পারছি আর বেশি দিন আয়ু নেই।
আমার দাদা ৯০ বছর বয়সে আবার বিয়ে করার পাঁয়তারা করছেন।
মানবতার হ্যাশট্যাগের জোরে মানবতা ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে । আমরা সবাই আজ মানবতার অপরুপ নিদর্শন দেখাচ্ছি । 'যদি, কিন্তু, তবে' মুক্ত আনকন্ডিশনাল মানবতা । মানবতার এই বিশাল পর্বতের দিকে আমি অবাক হয়ে চেয়ে রই আর মাথায় কেবল একটা প্রশ্নই ঘুরপাক খায় । হামাসের রকেট, চোরাগোপ্তা হামলার টানেল কিংবা আত্মঘাতী বোমা হামলা তো পারলো না মানবতার হ্যাশট্যাগের শেষে 'যদি, কিন্তু, তবে' যোগ করে দিতে । ৩০ লক্ষ বাঙালী, নিহত ব্লগার রাজীব কিংবা ধর্ষিত সংখ্যালঘু কেন বারে বারে 'যদি, কিন্তু, তবে'র জালে পড়ে যায় ?
ছোটকালে নিরপেক্ষতার ভূত আমার ও ছিলো। তারপর দেখলাম ছাত্রলীগ খুন করে দেখে ওরা শিবিরের রাজাকার রক্ষার হিংস্র তান্ডবকে নিরপেক্ষতার মুখোশ পরায়; শাহবাগ ৩০ লক্ষ হত্যার বিচার চায় দেখে ওরা হেফাজতের মত সুবিধাবাদী ধর্মান্ধদের জন্য চোখের জল ফেলে; আমি ২ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিচার এক্ষুনি চাই দেখে, স্বচ্ছ নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক গ্রহনযোগ্য সংস্থার দাবি তুলে।
ছবিব্লগ দিয়ে শিক্ষা হয়ে গেছে। এবারে ক্যাপশন ব্লগ, সাথে ছবি ফ্রি
ক্লাস এইটে বদলি হয়ে বড় শহর থেকে একজন এসে আমাদের স্কুলে ভর্তি হলো। চন্দ্রাণী চট্টরাজ। খুব নামডাক তার, পড়াশোনায় নাকি দারুণ সে। বড় শহরের পালিশ তার, সবাই বলতে লাগলো, আমাদের মতন গাঁ-মফস্বলের মেয়েদের সে তুড়ি মেরে হারিয়ে দেবে। আমাদের সেকশানে এসে বিশেষ করে আমাদের সেই ক্লাস ফাইভ থেকে ব্যতিক্রমহীন ভাবে ফার্স্ট হয়ে আসা অন্বেষাকে কায়দা করে শুনিয়ে যেতে লাগলো অন্য সেকশনের মেয়েরা। চন্দ্রাণী বদলি হয়ে ভর্তি হয়েছিল