মিথলজি শব্দটির আকর্ষন যেনো অনতিক্রম্য। ছোট থেকে বড়, বাচ্চা থেকে বয়স্ক সবার মধ্যেই মিথলজির প্রতি এক দুর্নিবার আকর্ষন আছে। মিথলজি মানে কি?
ভ্রমণকাহিনী আর কাহিনীলেখক দুইটাই আমি খুবই অপছন্দ করি। কারণ আর কিছুই নাঃ আদি অকৃত্রিম ঈর্ষা। এইযে তারেক অণুর জন্য শতকরা ৯৯ ভাগ পাঠক হীনমন্যতায় ভুগি সেইটা কি কোন ভালো জিনিস? ভ্রমণের ব্লগগুলো আমি চটজলদি চোখ বুলাই, ছবি দেখে মনে মনে ভাবি আমিও যাবো। বেশিরভাগ সময় আমি হিংসায় পড়ে শেষ করতে পারি না। তাহলে আমি কেন ভ্রমণকাহিনী লিখছি? আবার কেন, প্রতিশোধের আশায়। জীবনে বহু সময় সচলায়তনে পার করেছি, করতেছি। সেইসব সময়ের দাম আছে না? এই লেখা পড়ার জন্য মডুদের সময় নষ্ট হবে। লেখা ছাপানোর যোগ্য হলে কথাই নেই! শিরোনাম পড়তে গড়ে তিরিশ সেকেন্ড লাগলেও হাজার লক্ষ পাঠকের সময়ের হিসাব করেই কেমন জানি দাঁতগুলো আপনিই বিকশিত হয়ে যাচ্ছে।
গমনপথ সংক্রান্ত
শীর্ষেন্দুর উপন্যাস 'গয়নার বাক্স'। সেই গল্প নিয়ে সম্প্রতি সিনেমা বানিয়েছেন অপর্ণা সেন।
মূলত একটি গয়নার বাক্সকে কেন্দ্র করে গল্প। অদ্ভুতুরে গল্প।
সেই গল্প নিয়ে, সাম্প্রতিক সিনেমায় ভূতের আছড় নিয়ে, শিল্পী নির্বাচন নিয়ে, অভিনয় নিয়ে, সিনেমার নির্মাণ নিয়ে এবং আরো অনেক অনেক প্রসঙ্গ নিয়েই আলাপ করা যেতো, নাহয় বলা যেতো চারটে ভালো আর দু'টো মন্দ কথা। সিনেমাটা ভালো মন্দ মিলিয়ে আগাচ্ছিলো বেশ।
বেশ ভালই দিন চলে যাচ্ছিল। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাবাকে নিয়ে বাজারে যাই, বাবাকে চায়ের দোকানে বসায় রেখে আমার ঘুরাঘুরি শুরু হয়ে যায়। ৩০/৪০ মিনিট পর পর এসে দেখে যাই বাবা অন্য কোথাও যাবে কি না অথবা কোন কিছু লাগবে কি না?
দিনে আমরা কতটুকু সময় বই পড়ার পেছনে দিই?
অথবা, সপ্তাহে একটা বইয়ের কতটুকু পড়ি? কিংবা, মাসে ক'টা বই পড়ি? বছরে?
ক’দিন ধরেই পাখিকে মনে পড়ছে খুব। পাখি। মিষ্টি একটা মেয়ে। আমাদের ওয়ারির বাড়িতে ভাড়াটে ছিলো। ওর মা আমাদের চলচ্চিত্রের একজন অভিনেত্রী ছিলেন। খুব রূপসী মহিলা। ধবধবে ফর্সা। হাস্যোজ্জ্বল চেহারা। কথা বলেন বরিশাইল্যা একসেন্টে। আমাকে খুবই পছন্দ করতেন তিনি। আদর করে আমাকে সম্বোধন করতেন—‘জামাই’।
[আম্মুটা পঁচা। এক্কেবারে পঁচা। কিচ্ছু বোঝে না। কালকে আমি লিখছি আম্মু আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। বলল- কী করিস? আমি বললাম- লিখি। আম্মু বলল- কী লিখিস? আমি বললাম- খাতা লিখি। এরপর আম্মু বলল দেখি তো! এরপর আম্মু খাতা হাতে নিল আর চোখ বড় বড় করল। আম্মু যখন ভয় পায় তখন চোখ বড় বড় হয়। আম্মু বলল লেখা কই? আমি বললাম খাতায়। আম্মু বলল কই? আম্মু লেখাও চেনে না! আবার আমাকে শেখায়- আ তে আকাশ। আমি খাতা খুলে দেখিয়ে দিলাম- এত এত লেখা। আম্মু বলল- তুই তো দেখি শুধু অ আ লিখেছিস। দুই- পাতা। আমি বললাম- এটা লেখা তো। অ আ না তো। আম্মু বলল কোথায় লেখা সব অ আ। আম্মু পড়তে পারে না। আমার খাতায় সব লেখা। সবার কথা লেখা। নানার কথা লেখা। আব্বুর কথা লেখা। খালামনির কথা লেখা। নানুর কথা লেখা। আম্মু পড়তে পারে না। আম্মু শুধু অ আ পড়তে পারে। আম্মু পঁচা। আম্মুর কথা আর লিখব না। আম্মু কিচ্ছু বোঝে না। ]
(১)
সম্প্রতি পড়া বইগুলোর মধ্যে সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের “ভ্রমণ সমগ্র” বইটা নানা কারণেই ভালো লাগল। প্রথমত, সঞ্জীবের স্নিগ্ধ ও কখনো তীর্যক হাস্যরসাত্মক গদ্যশৈলী এবং দ্বিতীয়ত, সবুজ দ্বীপ আন্দামানের প্রকৃতি, জীবনসংগ্রাম এবং ইতিহাসের সাবলীল বর্ণনা। সংকলনটিতে রয়েছে দুটি গ্রন্থ, ১। আন্দামান। ভারতের শেষ ভূখণ্ড এবং ২। দানব ও দেবতা। আমার কাছে দুটো ভ্রমণকাহিনীই ভালো লেগেছে, তবে দ্বিতীয়টিকে একটু মেদবহুল বলে মনে হয়েছে। আক্ষেপের বিষয় আলোচিত কোন স্থানেই যাবার সুযোগ আমার ঘটেনি। বাংলাদেশের আর দশটা তরুণ পেশাজীবির মতোই আমার অর্থ এবং সময় দুটোরই ভীষণ টানাটানি। ভ্রমণের ক্ষেত্রে অর্থ একমাত্র শর্ত না হলেও অন্যতম তো বটেই। কাজেই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর জন্য ভ্রমণ কাহিনী পাঠ এবং মানস-ভ্রমণ, বিলকুল বিনে পয়সায়!