১৮টা প্যাকেট, একটু আগেই গুনে দেখেছি। সামনের টেবিলটাতে সুন্দর করে সাজানো আছে। একটার উপর একটা করে তিন সারিতে। পাশে দুটো গোলাপ আড়াআড়ি করে রাখা। নিখুত।
এক সময় এক দেশে ছিল দুই বন্ধু। তারা ছিল খুবই দরিদ্র, তাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। তাদের দেশেও খুব একটা কাজ ছিল না। ফলে যদিও তারা বেশ পরিশ্রমী ছিল, কিন্তু তবুও তারা সবসময় কাজ পেত না। অল্প যে সময় তারা কাজ পেত, মন দিয়ে সে কাজ করত। তাতে করে তারা ভালো পারিশ্রমিকও পেত। কিন্তু যেহেতু সবসময় কাজ থাকতো না, তাই তাদের উপার্জন খুব তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যেত। আবার কায়ক্লেশে চলতো তাদের দিন। এভাবে বছরের
দাঁড়িয়ে আছি একটা মস্ত ঘরের মধ্যে, হা হা করছে ফাঁকা ঘর, কোনো জানালা নেই, শুধু অদ্ভুত সবুজ রঙের দেওয়াল ঘরের চারিদিকে। ছাদ অনেক উঁচুতে। ছাদ থেকে ঝুলছে একটা সোনালি শিকলি, তার ডগায় একটা অদ্ভুত আকৃতির পলকাটা ঝাড়বাতির মতন জিনিস, কিন্তু আলো জ্বলছে না সেখানে। শুধু কোথা থেকে লুকানো আলো এসে ওটার উপরে পড়ে চিকমিক করছে।
এই ক্যাফের সুবিধা হলো, চেয়ারগুলোতে রীতিমত পদ্মাসনে বসা যায়। সেই লোভেই যাওয়া। না ধ্যান করতে নয়। গল্পেরবই-টই পড়ি আরকি। ফ্রী ভাউচার পাওয়া গেছে একটা। চা-কফির উচ্চমূল্য নিয়ে তাই আজ কোনো দুঃশ্চিন্তা নেই। ব্যাগের মধ্যে কয়েকটা গল্পের বই আছে, পেপারের ড্রাফ্ট আছে। আর আছে স্কেচবুক, ল্যাপটপ, হেডফোন, পানির বোতল আর পেনসিল। তার মানে এখানে তাবু খাটিয়ে রীতিমত বসবাস শুরু করে দেওয়া যাবে। স্টারবাকসের এইটাই
আগের পর্বে টিক কি, কিভাবে খায় এসব নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। আজ আলোচনা করবো তারা কিভাবে হোস্ট খুঁজে বের করে, এরা কেনই বা গুরুত্বপূর্ণ এবং বাংলাদেশে এদের অবস্থা কি তা নিয়ে।
হোস্ট খুঁজে বের করা (Host finding mechanism)
দুই দশক আগের কথা। বাসায় নিয়মিত রাখা হতো সাপ্তাহিক/পাক্ষিক বাংলা পত্রিকা। মেয়েদের জন্য আসতো সানন্দা। আমার রহস্য পত্রিকা আর বাবার বিচিত্রা পড়া শেষ হয়ে গেলে একটু চোখ বুলিয়ে নিতাম সানন্দার পাতায়। শেষ পৃষ্ঠায় থাকত কোনও বিশিষ্টজনের সাক্ষাৎকার গোছের এক নিয়মিত আয়োজন। এক লাইনের গৎবাঁধা প্রশ্নের মধ্যে একটির উত্তর খুব আগ্রহ নিয়ে পড়তাম; ‘কি ভালো লাগে?পাহাড় না সমুদ্র?’ উত্তরটা পাহাড় হলে ভালো করে আবার দেখতাম সেই বিশিষ্টজনের ছবি, বড্ড আপন মনে হতো তাকে। তখনও তো পাহাড় বা সমুদ্র কোনটিই স্বচক্ষে দেখেনি কিন্তু এক দুর্দান্ত আকর্ষণ অনুভব করতাম গগনভেদী পাহাড়-পর্বতের ছবি দেখলে।
পরীক্ষা নিয়ে আমি প্রায়ই দুঃস্বপ্ন দেখি। এটা যে আমার একার সমস্যা তা নয় বোধহয়, আমার জানামতে আরও অনেকেই দেখেন, ছাত্রজীবনের গণ্ডি তারাও বহু আগেই পেরিয়ে এসেছেন। অথচ আমার এরকম হবার কথা নয়। পরীক্ষার ভয়কে জয় করা শিখিয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশ রাইফেলস স্কুল ও কলেজের সম্মানিত শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ, অনেক আগেই। ক্লাস এইটের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবার আগের এগারো সপ্তাহে আমাদেরকে এগারোটি মূল্যায়ন পরীক্ষায
সাল ১৯৪৫, ৩রা মার্চ।
সুইস-জার্মান সীমান্তবর্তী ছোট্ট গ্রাম ব্রাগা। পশ্চিমদিকে ছড়ানো ছোট ছোট বাথানগুলো টুকরো টুকরো ছবির মতো দেখায়। পাশে খরখরে নীস নদী নীল রঙের নিশ্চল বিজ্ঞাপন হয়ে দর্শক আকর্ষনে ব্যর্থ।
আমি এ যুগের ব্যস্ত মানুষ; সামাজিক নিরাপত্তা ও মৌলিক চাহিদার দাবীর পিছনে ছুটে হয়রান হলে পরিবারে মাথা গুঁজি, বিশ্রাম নেই দু দন্ড; কখনো সমমনা মানুষগুলো সাথে হল্লা করে কৃতার্থ হই; একান্তই আপন ভূবনে আমার বিচরণ।
সেখানে, ভাবাবেগের চর্চা অর্থহীন হয়ে যায়, তবুও মাঝে-সাঁঝে অন্যভাবে জীবন-যাপনের চিন্তা করে নিজের মনেই উচ্ছ্বসিত হই।