আজকে গ্র্যাজুয়েশন এর শেষ পরীক্ষা ছিলো। স্বাভাবিক ভাবেই আজকের দিনটা অন্যরকম। আমার নরক থেকে মুক্তি পাওয়ার আনন্দবার্তা। বিকেলে একটা পার্টিতে যাওয়া হলো, রাতে ফিরলাম হোস্টেলে প্রায় ১২টা বাজে তখন। সবকিছু ঠিক ছিলো, রাত ১টার দিকে জল ভরতে এক তলায় গিয়েছি, হঠাৎ দেখি দৌড়ে আসছে এক ব্যাচমেট। কি হয়েছে জিজ্ঞেস করতেই বললো, একজন জুনিয়র আত্মহত্যা করার জন্য ছাদে দাড়িয়ে আছে। শোনার সাথে সাথে আমার প্রথম বছরের প্রথম দি
‘বিতংস’ ও ‘চ-এ চুরি, ছ-এ ছবি, জ-এ জব্দ’ লেখকের কলম থেকে......
(১)
-"শেষে বাইপাসের ধারের একটা পাতি রেস্টুরেন্টে আমাদের ফার্স্ট অ্যানিভার্সারির ডিনারটা করাবে তুমি আমায়? এরকম জানলে আমি জাস্ট আসতাম না!” মউএর গলায় একরাশ বিরক্তি।
জানের দোস্তোকে বলছিলাম দোস্তো আমার কেমন কেমন লাগতেছে। এর আগের বার যখন ফেরিতে উঠছিলাম, তখন ফেরি ঘুরে ঘাটের বা’দিকে যেয়ে তারপর নদী পার হয়ে ওইপাশে গেলেই যায়গামত পৌঁছে গেছিলো। কিন্তু এই ফেরিতো সোজা চলা শুরু করলো? যদি আমরা ভুল ফেরিতে উঠে থাকি?
কয়েকদিন ধরে মনটা খুব অস্থির হয়ে আছে। কেন অস্থির হয়ে আছে সেটা বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে বোঝার চেষ্টা করে যাচ্ছি। যতই দিন যাচ্ছে মনে হচ্ছে ততোই জীবনটা একটু একটু করে জটিল হচ্ছে। আজকাল একটা প্রবাদ সবসময় মনে পড়ে, যায় দিন ভালো আসে দিন খারাপ। ব্যাপারটা সবার জন্য হয়ত না। তবে মনে হয় জীবনের একটা পর্যায়ে গিয়ে সবারই এরকমটা মনে হয়। আজকাল শৈশব কৈশরের কথা মনে করে ভীষন হিংসা হয়। সেই উদ্দাম দুরন্ত দিনগুলোকে ফিরে পেতে মন

কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন ও রবীন্দ্রনাথ—৫
আমি তাকে বিকেল থেকে চিনতাম, সেই তখন থেকে, যখন আলো ছিলো অনেক বেশি। মাঠের সবুজ জ্বলজ্বল করছিলো, তার উপর দিয়ে গড়িয়ে যাচ্ছিলো আমাদের কাকজোড়া খেলা। মাথার উপরে উপুড় হওয়া আকাশে নীলের সঙ্গে ভাব করে উড়ছিলো সাদা, সবুজ, লাল গোলাপী ঘুড়ি- ঘুড়ির পাশে ঘুড়ি।
১। ধান ভানতে শিবের গীত
ওয়েভার স্ট্রিট ধরে হেঁটে যাচ্ছি, ফুটপাথে দেখি এক প্ল্যাকার্ড, বলছে "vote against amendment 1"। কদিন ধরে নর্থ ক্যারোলাইনার যেখানেই যাই একই ঘটনা। ফেসবুক থেকে মাস দুয়েকের ছুটি নেয়ায় একটা ভালো ব্যাপার হয়েছে, বই পড়া, ডকুমেন্টারী দেখা ইত্যাদি "ভালো" অভ্যাসগুলো ফিরে এসেছে। নোভার "জাজমেন্ট ডেঃ ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন ইন ট্রায়াল" দেখছিলাম। বায়োলজি ক্লাসে বিবর্তনের অলটারনেটিভ হিসেবে "ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন" নামে সৃষ্টিতত্ত্ব পড়ানোর পায়তাড়া করছিলো স্কুলবোর্ড। অ্যামেন্ডমেন্ট ১ এর ভায়োলেশন হচ্ছে এই দাবী করে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করে দেয় এক অভিভাবক।
এই রক্ত ক্ষরণের দিনে
বলার শক্তিও রুদ্ধ হয়ে আসে
চোখের দৃষ্টি সবার মতো আমারও ঝাপসা এখন
যখন ষ্পষ্ট ছিলো তখনও
তোমাকে দেখতে শুয়োরের চেয়ে বেশি সুন্দর লাগেনি
তুমি দারুণ বাক ভঙ্গিমায় যখন
বেশ্যাকে মায়ের কাতারে তোলো
কী দারুণ শব্দমালা!
এবং মাকে যখন বেশ্যার কাতারে নামাও?
তোমার দক্ষতা সর্বত্র সমান!
তুমি আমাদের পথের দিশারী
শব্দের আতসবাজিতে জনসভা পুড়িয়ে করো খাক
আমাদের চোখে ঠুলি পরাও
[justify]
বার্ধক্যের সাথে নিজের বয়সের যোগসূত্র আছে কোথাও। সেদিন এক আড্ডায় বলে বসলাম...আরে ঝন্টু ভাই, উনিতো ইয়াং লোক আমাদের কয়েক বছরের সিনিয়ার, বয়স মাত্র ৪৬। সোভিয়েত রাশিয়ার পলিটব্যুরোর তরুণ নেতাদের বয়সই হতো ষাট। সাতচল্লিশ বেশ তরুণই বলা চলে। বন্ধুরাও সবাই একমত হলো তাতে। আমাদের বয়স যতই বাড়ছে, তারুণ্যের সিলিং ততই বেড়ে যাচ্ছে। চল্লিশ পার হওয়ার পরে মনে হয় ষাট পর্যন্ত মানুষ ছোকরা থেকে যায়। আর ত্রিশ বছর বেচে থাকলে হয়ত আশিকেও যুবক যুবক লাগবে। মনে মনে কেউ নিজেকে বুড়ো ভাবে না বোধহয়।