প্রবাস জীবন বেশ একার, তাই না? এখানে কত মানুষের সাথে পরিচয় হয়, কত মানুষের সাথে আলাপ হয়, কত জনের সাথে বন্ধুত্ব হয়… কিন্তু দিন শেষে আমরা কিন্তু একা। স্কাইপ, ফেসবুক, জিটক ইত্যাদির কারণে সারাদিনই গুঁতাগুতি বিভিন্ন বন্ধুর সাথে। একেক জন পৃথিবীর একেক প্রান্তে, একেক সময়ে। অনেকেই আমার মত প্রবাসী (দেশের মানুষগুলোকে খুব কমই দেখি আমাদের মত অন-লাইন হয়ে বসে থাকতে)। হয়তো আমি একটু বেশি মা-বাবা-ভাই ...
(ডিসক্লেইমারঃ কারোর-ই হয়তো ভালো লাগবে না এই পোস্ট)
শাপলা চত্বরকে পেছনে রেখে যখন অনেকগুলো গাড়ির জ্যামে পৌছালাম এবং জ্যামটাকে সুশৃঙ্খল জ্যাম-ই লাগছে, তখন বুঝলাম, নটরডেম পৌছে গেছি। হাল্কা লাইনে দাড়িয়ে আমন্ত্রনপত্র দেখিয়ে ঢুকতেই চোখে পড়লো
ষাটতম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন হলো আজ। ঠিক দশ বছর আগে, এ কলেজে প্রথম পা দিয়েছ...
যে ঝর্ণা আমার সুপ্ত সাগর তটে যৌবনের আনাগোনা
এঁকে দিল উচ্ছ্বল ফুটন্ত গোলাপ
রেনুর পাপড়িতে মাখামাখি হয় অজেয় নিষিক্ত
আমার গোপন বাগানে দখিনা পবন
ভূবন মোহনী বধু: সে-কি হিন্দুল, না যবন
যার মুখ দর্শনেই আমার সকল অবসাদ বিলুপ্ত
যার বাসর সাজাতেই আমার হৃদয় আকাশ উম্মুক্ত
যা দিয়ে ইন্দ্রধনু আঁকি...
আমার পাঁজরের হাড় দিয়েই তার অস্তিত্বরে সৃষ্টি
সে ধর্ম বর্ণ বিভাজিত নয়
সে আমার ভালোবাসা আমা...
আব্বু-ম্মু, এক আত্মা হলেও মানুষ তো দুইজন। একজনকে তো আরেকজনের চে' কম ভালবাসিনা। তাই দু'জনের একজন অডিটোরিয়াম-এ প্রবশাধিকার পাবে আরেকজন পাবে না, কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলাম না। কার্ড নেবার সময় জিজ্ঞেস করছিলাম, উপযুক্ত কোন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলে আরেকটা কার্ড পাবো? জানলাম এমন কোনো পক্ষের কথা কারও জানা নাই। হতাশ হলাম। ওদিকে সৃষ্টিকর্তা বোধহয় স্মিতহাস্যে মজা দেখছিলেন, আর বলেছি...
নেশা করতে নিষিদ্ধ্ব পানীয় লাগে তোমার?
কই আমার তো লাগে না
মাতাল হয়ে তোমার কথা শুনি
'হ্যালো' 'হ্যালো' বলছ কেন বার বার?
অঘোর নেশায় শুনছি তোমার কথা
এই যে তুমি রাগ কর,এই যে অভিমান কর,
এখনি হেসে দিলে,
এগুলো আমার নেশার স্তর।
আমি মাতাল নই,
শুধু যতন করে নেশা ধরে রাখি ......
উত্তল দর্পণ
জনাব মোল্লা ভাই অথবা আঁতেল ভাই,
মানতে না চাইলে না মানুন। কিন্তু দয়া করে বাংলা সিনেমার ডায়ালগ দিয়ে মানুষের মহত্ব জাহির করতে আইসেন না। প্রাচীনকালে মানুষ আগুন সম্পর্কে জানতনা। আগুনের অপার রহস্যময়তা'র জন্য তখন তাই আগুনকে পূজা'ও করা হয়েছে। আর এখন 'পুলাপানের' পকেট খুঁজলেই আগুনের বাক্স পাওয়া যায়। মহান অগ্নি দেবতাকে বাক্সে ভরে পকেটে নিয়ে ঘোরাঘুরি! তার 'ইয়ে' দিয়ে কান চুলকানো! এসব কথা বল...
[justify]
কথাটা প্রফেসরকে বলেই বুঝলাম একটু জুয়া খেলা হয়ে গেল। আমার অধ্যাপক সাহেবের বয়স খুব বেশী নয়। তাঁর সাথে আমার সম্পর্ক প্রথম দিককার জড়তা কাটিয়ে এখন বেশ বন্ধুর মতন। তিনি আমার কথাটা শোনামাত্রই একটা হাসি দিলেন। ঐ হাসিতেই বুঝলাম সম্ভাব্য বিপদ সামনে। উনি আমার কথায় সায় জানালেন। তখনই আমি বুঝলাম আমি চিরকাল ‘ভুদাই’ ই থেকে গেলাম। কী আর করা। গুলি তো বের হয়ে গেছে; ফিরিয়ে নেয়া যাবে না।
নিশ্...
১।
পাশে চলতে চলতে মেঘমানুষ জিজ্ঞেস করে, "তোমার কী ভালো লাগে, বাদামী মেয়ে?"
বাদামী মেয়ে বোঝা নামিয়ে একটু দাঁড়ায়, চুলে পরা লাল ফুলের মঞ্জরীতে হাত বোলায় নরম করে, তারপরে কোমল দৃষ্টি মেলে তাকায় মেঘমানুষের মুখের দিকে, বলে," ভালো লাগে তিরতির করে বয়ে যেতে থাকা জলের শব্দ---খুশী-খুশী সবুজ ঘাস আর রোদপোহানো পাথরের পাশ দিয়ে যা বয়ে যায়, ভালো লাগে শরতের উজল দিনে ফড়িং প্রজাপতিদের লীলা...
"সকাল থেকে লুকোচুরি খেলা শুরু করি, আমরা চোর আর সুর্য্য সিপাহি..." নাহ মানাচ্ছেনা পুরোপুরি, যদিও কয়েক দিন ধরে খেয়াল করেছি, সকালে ঘুম ভেঙেই এই গানটা ধরি বিড়বিড় করে।
আমরা চোরই, তবে সিপাহি এখানে অফিস টাইম, জ্যাম, বাহনের স্বল্পতা। দুটো মিনিট লেট হলে এমন ভাব দেখি, যেন গনহত্যার আসামি! ডিএসটির গুঁতোয় সকাল আটটা মানে যে আসলে সাতটা - মালিক পক্ষ ভুলেই গ্যাছে সেটা বেমালুম। অবশ্য তাদের অফিস টাইম য...
সকালটা খুব রোদে ঝকমকে। এরকম সকাল হলে অমিতের ঘুম আপনি ভেঙ্গে যায় আর শুয়ে থাকতেও ইচ্ছা করে না। ইচ্ছে করে ছাদে উঠে বসে থাকতে পুরনো দোলনাটাতে। পুরনো একটা ঝাঁঝরি আছে ছাদে পড়ে, মরচে ধরা। একসময় ছাদে কয়েকটা ফুলের গাছ লাগিয়েছিলেন অমিতের বাবা, তখন ওটাতে করে পানি দেয়া হতো গাছগুলোতে। মধ্যে একবার সবাই মিলে বেড়াতে গিয়েছিলো গ্রামের বাড়িতে, তখন গাছগুলোতে পানি দেয়ার কেউ ছিলো না দেখে মরে গিয়েছি...