এখানে যারা যারা প্রবাসি আছেন, হাত তুলেন দেখিঃ কার কার বাসায় সিদ্দিকা কবীরের “রান্না খাদ্য পুষ্টি” বইটা আছে? কোথায় যেন পড়েছিলাম (হয় তো জাফর ইকবালের লেখা) যে প্রবাসি বাংলাদেশিদের বাসায় কোরান শরীফ না থাকলেও একটা “রান্না খাদ্য পুষ্টি” আছে।
এই বইএর সাথে আমার পরিচ্য় বেশ ছোট বেলায়। আমার মার একটা কপি আছে, প্রথম দিক কার মুদ্রণ, গা...
নিঃশব্দ রাত্রি পতন, কারা ছিল সাক্ষী?
সীমাহীন আনন্দে ফেটে পড়া আমি এক পলাতক
যখন দেখি জোৎস্না মেঘের গায়ে হেলান দিয়ে ঘুমায়
আমারও ঘুমোবার সাধ হয়
ভোরের শিশির পতনই জানান দেয় আরেকটি
সুন্দর দিনের শুরু--
ভোরের সুচারু ঘাস মাড়িয়ে গেলে
মধ্যাহ্নকাঙক্ষা আমারও আসে।
সেই শিশির ভেজা ঘাস তাও জানে
ঘাসে-ঘাসে হাঁটি বেদনায় নীল হয়ে যাই
যখন দেখি দিনের প্রান্তিক সীমায় এসে সূর্যটা ধূসর হয়ে
রাত্রি...
মাসকয়েক আগে ম্যালকম গ্ল্যাডওয়েলের এক বক্তৃতায় প্রভাবিত হয়ে একটা লেখা লিখেছিলাম - 'যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই'। সম্প্রতি একটা বই, এরকম একটা টপিক নিয়েই লেখা, ব্যাপকভাবে খুঁজে বেড়াচ্ছি: 'স্টাম্বলিং অন হ্যাপিনেস'। বইটা এখনো ডাউনলোডাতে পারলাম না, খালি অডিওবুক পাই (সফট কপি কারো কাছে থাকলে মেইল করে দিয়েন প্লিজ; নাইলে অডিওবুকই নামান লাগবো)।
সংক...
অফিসে ব্যস্ত। হঠাৎ ল্যাপটপের ভেতর থেকে মাইরা ফালাইলো রে, কাইট্টা ফালাইলো রে রব উঠলো। তাকাইয়া দেখি জিম্বাবুয়ে ৩৯/৯, চোখ কচলাইলাম, মাথায় চাটি মারলাম, দেখি আসোলেই ত্রাহি ত্রাহি রবে আকাশ বাতাস ভরপুর করে দিসে একপাল বঙ্গ শার্দুলের সামনে অসহায় জিম্বাবুইয়ান ক্রিকেট দল। চার চার জন বা হাতি বিশ্বমানের স্পিনারের ঘূর্নিঝড়ের মায়াবী বিভ্রমে তারা কাটা কলাগাছের মতো পড়ে যাচ্ছে।
বঙ্গ ক্রিকে...
[justify]
গত পর্বে আমি চীনের পানিসম্...
বাল্যকাল থেকে বাংলা আর হিন্দি ছবি দেখতে দেখতে মনের মধ্যে সবসময় একটা সাধ জাগতো, কবে আমি মাকে দৌঁড়ে এসে জড়িয়ে ধরে বলবো-“মা মা আমি ফার্স্ট ক্লাস পেয়েছি”। এই “ফার্স্ট ক্লাস” হওয়ার পরে মায়েদের আর কোন চিন্তা থাকেনা- ছেলের আগে প্রেম না থাকলে প্রেম হয়, একটা ভাল চাকরি হয়, মা আর বোন মিলে বউ খোঁজা শুরু করে, গরীব থাকলে বড়লোক হয়ে যায়- আরো কত কি।
দিনে দিনে বেলা গড়ানোর পর এখন আমার বল...
আমার যখন দেড় বছর বয়স তখন একজন ভদ্রমহিলা তার ছ'বছরের মেয়ের হাত ধরে আমাদের মফস্বল শহরের টিনের-চালা বাংলো বাড়িতে কাজ করতে এলেন। গ্রামের গৃহস্থ বাড়ির বউ ছিলেন, বাচ্চা হবার সময় শহরে বাবার কাছে এসেছিলেন, তার স্বামী নিচ্ছি-নেব করে আর বাড়ি ফিরিয়ে নিলেন না। ছোটো মেয়েটাকে নিয়ে কাজ খুঁজতে খুঁজতে আমাদের জীবনে চলে এলেন। রাতারাতি 'আদরে বাঁদর' করার মতো দু'টা মানুষ পেয়ে গেলাম আমি! আমার যত আব্দার ...
স্কুলে 'সপ্তর্ষি' অর্থাত্ আমরা সাত বিচ্ছু ছিলাম অতি কুখ্যাত ! পড়াশুনোয় মন্দ ছিলাম না , এক থেকে দশেই আটকে থাকতো সবার রোল নাম্বার...সেকারনেই অনেকবার মরতে মরতেও বেঁচে গেছি | ক্লাস নাইনে তখন , সময়টা ২০০১...টিচাররাও মোটামুটি হাল ছেড়ে দিয়েছেন এই ভেবে --চলেই তো যাচ্ছে মেয়েগুলো ; আর তো মাত্র কটা দিন !! মাধ্যমিকে ঐচ্ছিক বিষয় ছিলো কম্পিউটার; জিনিষটার কিছুই বুঝি না তবু ফাঁক পেলেই ঘাঁটাঘাঁটি করি .....
পশ্চিম আফ্রিকায় পদার্পণের সাড়ে ৩ মাস পেরিয়ে গেল। দিন তারিখ দ্রুত বদলাচ্ছে । পঞ্জিকার পাতা ওল্টাতে মনে থাকে না। প্রতিদিন দিনপঞ্জিতে প্রবাসজীবনের টুকিটাকি নিয়ে অন্তত ২-১ লাইন লেখার পরিকল্পনা থাকলেও মাসে একবারও লেখা হয় কি হয় না। কোন কোন রাতে হঠাৎ আবিষ্কার করি আজ পূর্নিমা। টিক দিয়ে রাখা ওয়েবপেজে দ্বিতীয়বার ঢোকা হয় না। অন্তর্জালের অপব্যবহার করে নামিয়ে নেয়া গানগুলোও বেশিরভাগ সম...
এটা অ্যাজটেক উপকথা। মহান সর্পদেবতা কেট্জালকোয়াটল এর গল্প।
কেট্জালকোয়াটল ছিলো দেবতাদের নগরীর সর্বজনশ্রদ্ধেয় রাজা। বিশুদ্ধ, নিষ্পাপ ও পরম উত্তম। জাগতিক কামনাবাসনা তাকে তখনো স্পর্শ করতে পারে নি। কোনো কাজই তাঁর কাছে হীন কাজ ছিলো না, সে রাজা হয়েও অনায়াসে পথঘাট ঝাঁট দিতো মস্ত এক ঝাড়ু নিয়ে, যাতে বৃষ্টিদেবতারা তারপরে এসে ভালোভাবে বৃষ্টি দিতে পারেন।
কেট্জালকোয়াটল এর এক কু ...