মান জলপ্রপাতে একদিন ( আইভরি কোস্ট টুকিটাকি -২)
গতমাসের ২৭ তারিখ ৫দিনের জন্যে গিয়েছিলাম মালয়শিয়াতে। মেজ মামা পরিবারসহ যাবে, আমিও সাথে যাই। ২৬ তারিখের সন্ধ্যা ৭.১৫ এর বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে রওনা দেই, মালয়শিয়ার সিপাং এয়ারপোর্টে নামি স্থানীয় সময় রাত ১টায়। প্লেন থেকে নেমে এক ট্রেনে করে আসল এয়ারপোর্টে আসা লাগে। ৩০মিনিট এর মধ্যে লাগেজ নিয়ে প্রায় ৫ঘন্টা এয়ারপোর্ট বসে থাকা লাগলো। কারণ ট্যাক্সি ভাড়া অনেক আর বাস ভোর ৬টার আগে ছাড়ে না। তো ৫ঘন্টা ধরে ওদের এয়ারপোর্ট ঘুরলাম। সে এক এলাহি এয়ারপোর্ট! পুরাই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ছবি তুলার খুব ইচ্ছা ছিল কিন্তু ভয়ে তুলি নাই পাছে ক্যামেরা নিয়ে যায় :-<
[justify]ইউরোপে গেলে অনেক কিছুই দেখে আসতে মন চায়, তবু সময়ের সীমাবদ্ধতার জন্য প্রায় সবকিছুই না দেখে ফিরতে হয়, কেবলমাত্র অল্প কিছু জায়গা ছাড়া। তাই যতটুকু সময় পাওয়া যায় ওইটুকুর সর্বোচ্চ ব্যবহার করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টায় কোন কমতি দিইনা। এবার ও সেরম করেই প্ল্যান দাঁড় করিয়েছিলাম। অনেকদিনের বাসনা ছিল ব্লাকফরেস্ট দেখবো। তো কিভাবে সেটা করা যায় এজন্য গুগল করা শুরু করলাম। জার্মানির ব্লাকফরেস্ট
পুরী’তে গিয়ে জগন্নাথ দর্শন না করা যেমন নাকি মহাপাপ, তেমনই মনোভাব আমার বাগানের বিষয়ে। লন্ডনে গতবার অল্পদিনের জন্য এসেও কিউ বোটানিকাল গার্ডেনে ঢুঁ মেরে গিয়েছিলাম, কিন্তু তখন ছিল মার্চ মাসের শুরু, গাছপালা ন্যাড়া ন্যাড়া, গাইড ভদ্রমহিলা আমাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন এপ্রিল-মে মাসে যখন বসন্তের জোয়ার আসে তখন আসতে। সেবছর তো উপায় ছিল না, এবার এসে বাড়িটাড়ি খুঁজে গুছিয়ে বসে’পরেই মে-র মাঝামাঝি নতুন ডিএসএলআর’খানা নিয়ে হানা দিলাম ওই বাগানে।