ঘাস ছিলো সবুজে মাখামাখি
উজ্জ্বল আলোর কিছু জোনাকি
বন্ধুরা ছিলো চারিদিক ঘিরে
বিস্ময়ের রাত্রি ঘুরেফিরে
[justify]
১
ইদানিং আবারো ডুবে আছি পিঙ্ক প্লয়েডে। মূলত High Hopes গানটিতে। উপরের লাইনগুলো গানটি থেকে অনুপ্রেরণায় লেখা। কেবলি স্মৃতিকাতুরে করে তুলছে। এর-ও আগের সপ্তাহসমূহে ডুবে ছিলাম জ্যাজ সংগীতে। মূলত জ্যাজ সিন্দাবাদের ভূতের মতো
গণ-আন্দোলন পৃথিবীতে কম হয়নি। সাধারণ মানুষের পিঠ যখন দেয়ালে ঠেকে গিয়েছে তখনই মানুষ রুখে দাড়িয়েছ। গণ-রোষ হয়েছে মিশরীয় সভ্যতায়, গ্রীক সভ্যতায়, মধ্য যুগে, রেঁনেসার যুগে, আধুনিক সময়ে, উত্তরাধুনিক সময়ে। কে জানে, হয়তো গণ-রোষ হয়েছিল আমাদের আদি মানব সভ্যতাগুলোতেও। কিন্তু প্রতিবারই সেই গণ-জাগরণের সুফল কেড়ে নিয়ে যায় মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ। ধর্মের নামে নিয়ে যায় ধর্মাবতারেরা, বিশুদ্ধ রক্তের নামে নিয়ে যায় রাজারা। সাম্যের নামে নিয়ে যায় সাম্যবাদীরা, বুদ্ধির নামে নিয়ে যায় বুদ্ধিজীবিরা। পুঁজির নামে নিয়ে যায় পুঁজিবাদীরা, আর গণতন্ত্রের নামে নিয়ে যায় নির্বাচিত প্রতিনিধিরা।
ইন্টারনেট জগতের বিপ্লব সাধনকারী ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগের এক পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে। ফেসবুকের কল্যাণে বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বন্ধু-বান্ধব, আত্নীয়-স্বজন আজ একসাথে।পারস্পরিক যোগাযোগ, মতামত বিনিময়, সম্পর্ক ও জনমত তৈরি, ব্যাবসার প্রসার প্রভৃতি ক্ষেত্রে ফেসবুকের অবদান অপরিসীম। ভার্চুয়াল জগতে আপনার পরিধি বৃদ্ধি করলেও বাস্তবিক অর্থে ফেসবুক ব্যাবহারে রয়েছে নানা পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া। এসব নিয়েই আজকের এই লেখা।
ইউএনডিপি'তে কাজ করতাম মুনির হাসান স্যারের সাথে, তিনি ছিলেন আমার রিপোর্টিং বস। যারা বিডিওএসএন, ম্যাথ অলিম্পিয়াডের খোজ-খবর রাখেন তারা মুনির হাসান স্যারকে ভালোভাবেই চিনবেন। সদা হাসিমুখ, কাচা-পাকা গোফ-চুলের মুনির স্যার দেশকে
১.
মোহাম্মদ আলী স্যারকে আমরা সার্কিটপাগল মানুষ হিসেবেই জানি। দীর্ঘদিন ধরে জটিল এবং ভয়ঙ্করদর্শন সব সার্কিটের নাড়িনক্ষত্র বের করা শেখানো এই আপাতগম্ভীর মানুষটিও যে বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে ভাবেন এবং ভাবতে ভালোবাসেন- তার পরিচয় আমরা পাই, বাংলাদেশ যেদিন ওয়েস্ট-ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৫৮ রানে অলআউট হয়, তার পরদিন। পাওয়ার ইলেক্ট্রনিক্স ক্লাসের স্বাভাবিক প্রথা ভেঙে স্যার নিজেই সেদিন আমাদের সাথে ক্রিকেট নিয়ে জম্পেশ আড্ডা দিতে শুরু করেন। স্যার সেদিন মজা করে বলছিলেন, বাংলাদেশের ছেলেদের ক্রিকেট খেলাই ঠিক নয়। ক্রিকেটের জন্য দরকার জার্মানদের মত ফিটনেস আর অসিদের মত কুলনেস, যার কোনোটাই বাংলাদেশি ছেলেদের নেই। বড় দুঃখ থেকে স্যার এই কথাগুলো বলেছিলেন-সন্দেহ নেই। আমরা অবাক হয়েছিলাম এই দেখে যে সারাজীবন সিংগেল থাকা এই মানুষটাও সাকিব, তামিম আর মুশফিকদের নিয়ে আমাদের চেয়ে এতোটুকু কম ভাবেন না।
পরিচয় করিয়ে দেই, এই হল আমাদের আঙ্কেল স্যাম (আমেরিকার সরকার)। তার খরচাপাতি অনেক। প্রতিবছর চার ট্রিলিয়ন ডলারের মত। কিন্তু আঙ্কেলের ইনকাম বছরে মাত্র দুই ট্রিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। এই ঘাটতি মেটানোর জন্য তিনি আমাদের মতই মানুষের কাছে ধার করেন। তার এই ধারের টাকার তিনি একটা লোভনীয় নাম দিয়েছেন – ‘বন্ড’। এই বন্ডগুলো ব্যাংক, বিনিয়োগকারী এমনকি বিদেশী সরকারও (যেমন চীন) কিনতে পারে। কিন্তু মানুষ কেন তার এই বন্ড কিনবে? কারণ এর সাথে তিনি এই বন্ডের ওপর প্রতিবছর একটা নির্দিষ্ট অঙ্কের সুদ দেবেন।
তারেক মাসুদ আর মিশুক মুনীরের মর্মান্তিক মৃত্যুতে এই দেশ কী হারালো তা প্রতিটি সচেতন মানুষ এক তীব্র আর দুঃসহ যন্ত্রণা নিয়ে আজ উপলব্ধি করছেন। কিন্তু প্রচন্ড দুঃখবোধের মধ্যে আমার বার বার মনে পড়ছে মাত্র ৭ দিন আগে একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রথম সংবাদটি যেখানে জানানো হয়েছে দক্ষতার পরীক্ষা ছাড়াই প্রায় সাড়ে ২৪ হাজার লোকক
“The world suffers a lot. Not because of the violence of bad people, but because of the silence of good people!”
- Napoleon
বলতে পারেন, পৃথিবীর কোন দেশে মানুষের জীবনের মূল্য সবচেয়ে কম?
বলতে পারেন, যুদ্ধকালীন বা সংকটগ্রস্থ অবস্থায় না থাকা সত্ত্বেও কোন দেশটিতে বসবাস করা একটি মাইনফিল্ডে বসবাসের চেয়েও ভয়ংকর?
মিলন নামের এই কিশোরটির দিকে যতোবার তাকাচ্ছি ততোবারই চোখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছি। এক ধরনের মস্ত অপরাধবোধে আমি তার চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারছি না।
"হ্যালো, সাকিব বলছেন?"
"স্লামালিকুম। আপনি কে ভাই?"
"আমাকে চিনবেন না। আমি অছ্যুৎ বলাই।"
"কি যে কন! আপনাকে না চেনার কি হলো উৎপাত ভাই! দেশের সবচেয়ে বড়ো ক্রীড়া সাংবাদিক আপনে, আর আপনেরে চিনুম না এইডা তো কবীরাহ গুনাহ হইবো রোজা-রমজানের মাস।"