আপনি নিশ্চয়ই শুনেছেন ধূমপানে ক্যান্সার হয়? আরো এটাসেটা কী কী জানি হয়! ডাঁহা মিথ্যে কথা। কিচ্ছু হয়না। একেবারেই কিছু না! এই লেখাটিতে সেই বিষয়ে বলছি। মহাপণ্ডিত গবেষকরা যে তামাককে ক্যান্সারের কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তার পেছনে বিরাট রাজনীতি আছে। মূল বিষয়টা অন্যরকম। যুগ বদলেছে, এখন আর তেলমশলা গুলিয়ে খাইয়ে দিলেই কি আর মানুষ ভুল বুঝে বসে থাকে? থাকেনা। সত্য সবার কাছে পৌঁছবেই। আপনার কাছেও পৌঁছবে। কিন্তু সত্য পৌঁছনোর আগে তামাকের প্রাথমিক এটাসেটা সম্পর্কে একটুখানি বলে নেই।
[justify]সম্প্রতি পিএনএএস জার্নালের একটি আর্টিকেলে ভাইরাসের ডুয়েল রোল এর কথা প্রকাশিত হয়েছে। পড়ার পর অনেক আগের একটি কথা মনে পড়ল। আমার ব্লগিং এর শুরুর কথা। সময়টা ২০০৭ এর শুরুর দিকে। ফেইসবুক চিনিনি তখনো। সবে মাত্র একটু একটু করে চিনছি ব্লগ। বেশ উৎসাহ নিয়ে ব্লগস্পটে একটি একাউন্ট করে ফেললাম। বিজ্ঞান বিষয়ক ব্লগ। প্রতিদিনই
পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের নখ ভেঙে যাওয়ায় ডাক্তার দেখাবার প্রয়োজন দেখা দিল। নখটা তুলে ফেলতে হবে। অভিজ্ঞ জনেরা বললো নখ তুলে ফেললে সেখানে আবার নতুন নখ গজায়। তাই দৌড় দিলাম মেডিকেল এ। কোন কাজ আমি সাধারনত একাই করি। এক্ষেত্রেও আমি একাই মেডিকেল এ গেলাম। সরকারী মেডিকেল গুলোতে খরচ অনেক কম তাই মানুষও প্রচুর। আমি ১০টাকা দিয়ে জেনারেল সার্জারীর একটি টিকেট কাটলাম। টিকেটটাই প্রেসক্রিপশন। জেনারেল সার্জারীতে তুলানা মূলক
ঘটনাটা ঘটে ১৯৬২ সালে তানজানিয়ায় । শুরুটা একেবারেই নির্দোষ এক কৌতুক দিয়ে । ছাত্রী হোষ্টেলে এক ছাত্রী তার রুমমেটকে এক কৌতুক শোনায় । Jokes এর শুরু, পাত্রপাত্রী, পরিবেশনা যাই হোক- punch লাইনে গিয়ে হাসির একটা ব্যাপার থাকবে সেটাই স্বাভাবিক । কিন্ত এ কৌতুক জন্ম দিল অন্য আরেক কৌতুকের । যে শ্রোতা সেতো হাসলোই, অদ্ভূত ভাবে লক্ষ্য করা গেল দূরের একজন যে কিছু শোনেনি সেও বেঘোরে হাসতে লাগলো । এ দেখে হাসি শুর
পত্রিকার পাতায়, ফেসবুকের দেয়ালে কিংবা মানুষের মনে এখন ভিটামিন এ ব্যাপারটি নিয়ে দারুন কৌতুহল। এই সংঘাতময় রাজনীতির দিনে সবথেকে বেশী খারাপ লাগে যখন দেখি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কোন ব্যাপারে মানুষ দুইভাগে ভাগ হয়ে যায়। কারো কাছে মনে হচ্ছে সরকার যা করছে তা চরমভাবে অগ্রহণযোগ্য কোন কাজ আবার একদল মনে করছে যা হচ্ছে সবই জামাতী-ছাগু কিংবা বিএনপি-র অপপ্রচার। ভিটামিন এ এর ক্ষেত্রেও তাই হল। ফেসবুকে দুইদল ভাগ হ
সবার আগে যেটি প্রয়োজন সেটি হচ্ছে মানুষকে সতর্ক করা। আমি যেহেতু দেশে থাকিনা, তাই আমার স্পষ্ট জানা নেই আমাদের দেশের মানুষ এই ভাইরাসটির সংক্রমণ বিষয়ে কতটা সচেতন। পর্যাপ্ত সচেতন নয় বলেই জেনেছি। সেরকম হলে, সচেতন করা প্রয়োজন। দূর্ভাগ্যবশত এই লেখাটি গ্রামের সেইসব মানুষের কাছে পৌঁছবে না যাঁরা সরাসরি নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমনের ঝুঁকিতে রয়েছেন। কিন্তু আমি জানি, আপনারা যাঁরাই এই লেখাটি পড়ছেন সবাই কোন না কোনভাবে গ্রামের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন। আমি নিজে যা করেছি, সেটি আপনাদেরকেও অনুরোধ করি। গ্রামে স্বজনরা যাঁরা রয়েছেন তাঁদেরকে আজকেই একটি ফোন করে সতর্ক করুন। তাদেরকে বুঝিয়ে বলুন নিপাহ ভাইরাস কী এবং এটা কীভাবে ছড়ায়। তাঁদেরকে জানিয়ে দিন কীভাবে সতর্ক থাকতে হবে। স্বজনদের প্রতি এটুকু দায়বদ্ধতা বোধহয় আমাদের থাকা উচিত।
এবার আপনাকে ব্যাকটেরিয়াদের মহাশক্তির কথা বলি। মানুষের কোষ প্রয়োজন মত বদলে নেয়া যায় সে আমরা জানি মাত্র বছর ছয়েক আগে। আর মানুষের শরীরে বসে ব্যাকটেরিয়ারা এই কাজ করছে অন্তত চার হাজার বছর ধরে! এরা মানুষেরই কোষ নিজেদের মত করে বদলে নিতে পারে বলে এই সেদিন দেখালেন তোশিহিরো মাসাকি নামের একজন গবেষক। এরপর থেকে এই বিষয়টা মনে হলেই আমি হেসে ফেলছি! কীরকমভাবে মানুষেরা ব্যাকটেরিয়ার হাতের পুতুল!
পচে যাওয়ার জন্য মরে যাওয়া কোন প্রয়োজন নেই। পচে যাওয়ার জন্য কেবল জন্মানো প্রয়োজন। জন্মের পর থেকেই আপনি প্রতি মুহূর্তে পচে যাচ্ছেন। কীভাবে পচে যাচ্ছেন সেটি বোঝার আগে কীভাবে বেঁচে আছেন সেটি মোটাদাগে বুঝে নেয়া যেতে পারে। একটি কোষের বেঁচে থাকার বর্ণনা দিলেই একটি প্রাণির বেঁচে থাকার নিয়ম বুঝতে পারা যায়।
কোষ একটা আপাত স্বয়ংসম্পূর্ণ জৈবিক সত্ত্বা। অনেকগুলো প্রোিটন মিলে খানিকটা তেল জাতিয় পদার্থ আর শর্করার সঙ্গে একটা থলি বানিয়েছে। সেই থলির ভেতরে বেশিরভাগটাই পানির মধ্যে ডুবে আছে আরো এটাসেটা প্রোটিন, শর্করা, চর্বি, ছোট ছোট যৌগ এসব। আর আছে নানারকমের জটিল কলকব্জা। কলকব্জা তৈরি হয়েছে ওই প্রোটিন-চর্বি-শর্করা মিলিয়েই। এইসব কলকব্জা প্রতিমুহূর্তে ঘটঘট করে কাজ করছে। বেঁচে থাকতে তাদের বিরতি নেই, কেবল খাটনি আর খাটনি। তেল মশলায় চুবানো কলকব্জা ভর্তি প্রোটিন-শর্করার এই থলি হচ্ছে একটা কোষ।
আপনারা হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন চেকবইয়ের হিসাব-নিকাশ আর স্মৃতিচারণ দুটো একসাথে করা খুবই কঠিন। মস্তিষ্কের দুর্গম এবং দুর্বোধ্য একটি অঞ্চল থেকে পর্যাপ্ত সিগন্যাল সংগ্রহের পর এই সংঘাতের কারণ খুঁজে পেয়েছেন স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের কয়েকজন গবেষক।