বিবর্তন বেশ মজার একটা বিষয়। আমি বিবর্তন নিয়ে পড়তে ভালো পাই, নানা বই, তথ্য কিংবা তথ্যচিত্র যখনই হাতের কাছে পাই সংগ্রহে রাখি। তাই সচলের প্রথম দিকে সাহস করে লিখেই ফেলেছিলাম "বিবর্তন সম্পর্কে ১০টি প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা এবং তার উত্তর" লেখাটি। এরপরে কিছু হাউকাউ এর পরে ভাবলাম, এই বিষয়ে একটা ধারাবাহিক লেখা নামানো যাক। কিন্ত মানুষ যা ভাবে তা কি আর হয়!
নতুন পড়া বইটা শেষ করে কিছুক্ষণ থম ধরে বসে ভাবছিলাম,
এই ছোট লেখাটাকেও লোকে বই বলে!
বইয়ের নাম ‘Plato and a Platypus walk into a bar.’
নিবিড় জলের তলে নিবিড় চাঁদের ছায়া; নেমে যাই, হয়তো গিয়েছিও-বহুকাল আগে
জলে কি নেমেছিলাম, কতটুকু নেমেছিলাম?
ঢেউ কি এসে আমার পায়ের পাতা ছুঁয়েছিল-কতটা তাকে বুঝেছিলাম আমি-
আর এখন কি আমি সেই জলের মধ্যেকার নৌকাটির কথা মনে করে বিষন্ন হয়ে বসে থাকি--
কতটা বিষন্ন হই-
জীবন থেকে সেই অস্থির নৌকা কতটা তরল মুছে নেয়?
আমি তো এসব প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আসার জন্যে কারো অপেক্ষা আর করিনা আজকাল!
এক।
বলুন তো, মানুষের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ কোনটি? সমাজ বিজ্ঞানীরা মানুষের মৌলিক অধিকারের তালিকা যা দিয়ে থাকেন, তা এই রকমঃ "খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, বিনোদন, ..."! ছোট বেলায় সমাজ-বিজ্ঞান বইতে আর বিভিন্ন রচনায় এইসব মুখস্থ করে উগড়ে দিয়েছি। কখনও ভেবে দেখিনি আসলে মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো কী রকম! আবার, কবিদের কাছে যানঃ "জোটে যদি মোটে একটি পয়সা, খাদ্য কিনিও ক্ষুধার লাগি। দু'টি যদি জোটে, তবে অর্ধেকে, ফুল কিনে নিও হে অনুরাগী"! কবিদের কথা মোটেও বিশ্বাস করবেন না। তারা সবসময় সব আজেবাজে জিনিস ঢেকে রাখেন; রোমান্টিকতার জোশে তারা তিলকে মিল্কি ওয়ে বানিয়ে ফেলেন। যুগে যুগে কবিরা মানবসমাজের মেক-আপ কিংবা ফটোশপ হিসেবে কাজ করেনঃ মেক-আপ বা ফটোশপ আবিষ্কারের আগে, তারাই ছিলেন আমাদের সৌন্দর্যের তৃষ্ণার একমাত্র সাপ্লায়ার। বনলতা সেনকে নিয়ে যতই রোমান্টিসিজম করুন, বাস্তব জীবনে উনাকে সামনে পেলে আপনি দ্বিতীয়বার ফিরে না ও তাকাতে পারেন। আর তাছাড়া বাস্তবে ঐ এক পয়সা দিয়ে আপনি একটি ধুলিকণাও কিনতে পারবেন না, খাদ্য তো দূরের কথা! এক পয়সা এখন এন্টিক জিনিস; জাদুঘরের সামগ্রী হিসেবে বিক্রি করলে হয়তো একটি ধূলিকণা জুটলেও জুটতে পারে। সেইজন্যই আমার বাস্তববাদী সুকান্তকে খুব পছন্দ, "পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি!"
রঙিন খামে সাদা কালো চিঠি
“দিল্লী কা লাড্ডু” না খেয়ে পস্তাতে ষোলোর উপর বত্রিশ আনা রাজী ছিলাম আমি। এখনো ঐ সময়ের ঐ সঠিক উপলব্ধির জন্য নিজেকে “বিশিষ্ট জ্ঞানী” মনে করি। চঞ্চল যৌবনেও আমি দিব্য চোখে আমার বিবাহিত ভবিষ্যৎ কিভাবে যে দেখতে পেতাম তা মহান বিধাতাই জানেন। জ্ঞানী-ই ছিলাম বটে (এখন রেজিসটারড বেকুব)। পড়াশোনার ঘেরাটোপ শেষ করে করে একটা বড় নামকরা কোম্পানিতে মোটামুটি বেতনের চাকরী আমাকে আরও অনেক যুবার মত “এবার শুভ কাজ টা করার
অফিসের কাজে দিনাজপুর গিয়েছিলাম গত মাসের ১৩ তারিখ। প্রথমদিন গিয়েই খোঁজ নিলাম লিচুবাগানের। অফিসের পিয়ন বলল কাছেই দীঘণ নামক জায়গায় বাগান আছে। পরদিন সে ঐ বাগান থেকে প্রতিশত ২০০ টাকা দরে লিচুও কিনে নিয়ে আসল আমাদের খাওয়ানোর জন্য। এবারতো আর তর সয়না। যেতেই হবে বাগানে। অফিস শেষে বিকালে গেলাম। বাগানে ঢুকেই কিছু বলার আগেই গপাগপ লিচু মুখে পুরেই চোখ বন্ধ। সৈয়দ মুজতবা আলীর "রসগোল্লা" গল্পের কথা মনে পড়ে গেল-"ঠিক
যাচ্ছিলাম আম কিনতে। খবর পেয়েছি ফরমালিন মুক্ত আম এসেছে এক জায়গায়। যেতে যেতে ভয় পাচ্ছিলাম এতদিন বিষযুক্ত আম খেয়েছি, এখন বিষমুক্ত আম খেলে বদ হজম হবে কিনা। কিন্তু গিয়ে আমের দাম শুনে মস্তিষ্কে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া হলো। বিবেকের কাছ থেকে সমাধান এলো ওই দামের বিষমুক্ত আম খাওয়ার চেয়ে খানিকটা বিষ সয়ে নেয়া ভালো। শরীরের নাম মহাশয়, যতটুকু সওয়ানো যায়, ততটাই .....।
আজকাল পত্রিকা খুললেই যে খবরগুলো সব থেকে বেশি চোখে পড়ে তা হচ্ছে বিভিন্ন মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার খবর। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের মৃত্যু ঘটছে দেশের বিভিন্ন সড়কগুলোতে। গত সোমবার এভাবেই ঢাকার ফার্মগেটে মিনিবাসের ধাক্কায়, চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারায় নটরডেম কলেজের বানিজ্য বিভাগের, দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র, জেসন জেভিয়ার গোমেজ (১৭)। পত্রিকার সংবাদের ভিত্তিতে এই দুর্ঘটনায় উদ্ধারকাজে পাশেই থাকা পুলিশ বক্সের দ
এটা হচ্ছে ডেসপারেট ব্লগ। মাথার ভিতর অজস্র আইডিয়া গিজগিজ করছে, শুধু লিখতে গেলেই মগজে লোড শেডিং শুরু হয়, পাশাপাশি দুইটা নিউরনের মাঝেও কোন বৈদ্যুতিক সিগনাল আদান প্রদান হয় না। ধান গাছের সাথে মানুষ প্রজাতির হৃদয়স্পর্শী প্রতারণা, শেষ নিয়ান্ডারথাল মানুষের মনের অবস্থা, সাইফাইএর সাথে মোগল ইতিহাসের ঘুটা দিয়ে রম্য, নতুন টেলিস্কোপ কিনে তার সাহায্যে মহাকাশের ধারাভাষ্য ইত্যাদি ইত্যাদি। ডিম্বাশয় পর্যন্ত পৌছাতে না পারা অজস্র শুক্রাণুর মতই আমার আইডিয়াগুলোর অকালমৃত্যু ঘটে চলেছে। তো কথা হচ্ছে, কোন রকমে ওয়ার্ডের দুইটা পৃষ্ঠা ভরাতে হবে। শুরু করা যাক।