এক,
রোদ ঝলমলে সকালে হোটেলের বারান্দায় বসে কাঠের রেলিঙে পা তোলে কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য দেখে চা খাচ্ছি, পাশের রুম থেকে বন্ধু এসে ঘোষণা দিল, ‘কপালের নাম গোপাল’। কনটেক্সটটা বুঝার ব্যর্থ চেষ্টা এবং পরবর্তীতে তার ‘বঙ্গে’ যাওয়ার সহযাত্রী ‘কপাল’ ইত্যাদি দর্শণ শোনার পর জানা গেল এই সাত সকালে দুই নেপালি মেয়ে এসে উপস্থিত, গায়ে দেয়ার চাদর বিক্রী করবে। কাশ্মীরি শাল, পাশমিনা, আরও কী কী জানি। বন্ধুটি অবশ্য বেশ রুঢ়ভাবে তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে, ‘কোঈ দরকার নেহি হ্যায়’।
কি অমায়িক তার ব্যবহার! কন্ঠ কতই মিষ্ট!
আম জনতা হইতো তাহার জ্ঞানের ভারে পিষ্ট!
শুনলে বয়ান ভাবতো লোকে- এই না হুজুর সাচ্চা!
কয়জনই বা জানতো কী চিজ এই শুয়োরের বাচ্চা!
কদিন আগেও তার নামেতে কইলে কিছু পস্ট
আমগো “বিশেষ অনুভূতি” পাইতো কতই কষ্ট!
এনটিভিতে পুছতো সওয়াল লাল দাঁড়িয়াল চাচ্চু
অনেকদিন ধরেই লিখব লিখব করেও লেখা হয়না। এবার ঠিক করলাম লিখেই ফেলি।
এক দশক আগে বান্দরবান ও রাঙামাটিতে ট্রেকিঙের সূত্রে বহু দুর্গম ও নয়নাভিরাম জায়গা দেখার সুযোগ আমার হয়েছে, কিন্তু সেসব অভিযান যথেষ্ট কষ্টসাধ্য ছিলো। ট্রেকিং বা হাইকিং বাংলাদেশে এখন মোটামুটি জনপ্রিয় হলেও পর্যটনের একটা ক্ষীণ ধারা হিসেবেই রয়ে গেছে। সিংহভাগ মানুষই চায় বেড়াতে গিয়ে কিছু আয়েশ করতে। বারো কেজি ব্যাকপ্যাক নিয়ে টানা ২১ ঘন্টা পায়ে হেঁটে ৬০-৭০ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ টপকে কোথাও যাওয়ার মতো তেল বেশিরভাগ পর্যটকেরই থাকে না। তবে এ কারণেই হয়তো পার্বত্য চট্টগ্রামের বেশ কিছু জায়গা এখনও ছবির মতোই সুন্দর রয়ে গেছে। কারণ বাঙালি পর্যটকরা কোথাও গেলে সেই জায়গাটা যথেচ্ছ নোংরা করে দিয়ে আসে।
গাছ ১০১
বিষয়টা সহজ নয়, তাই আগেই কিছু ব্যাকগ্রাউন্ড স্টাডি করে নেব। প্রথম বিষয় হচ্ছে গাছ বা ট্রি। কম্পিউটার সায়েন্স এবং ভূততত্ত্বে গাছের ভূমিকা অপরিসীম। কে না জানে মামদো ভূত থেকে শুরু করে কুলো ভূত সবাই কোন না কোন গাছে বসবাস করে। তবে ফ্যাশন সচেতন হওয়ায় মহিলা ভূত অর্থাৎ পেত্নীদের পছন্দের গাছ হচ্ছে শেওড়া গাছ। অন্য দিকে কম্পিউটার বিজ্ঞানীরা তাদের সহায় সম্বল অর্থাৎ তথ্য লুকানোর জন্য গাছ ব্যবহার করেন। তারা তথ্য রাখেন গাছের কান্ড যেখানেই ভাগ হয়ে নতুন শাখার জন্ম দিয়েছে সেখানে কিংবা গাছের পাতায়। ডালগুলোকে অবশ্য তারা তেমন ঘাটান না, মাঝে মাঝে রঙ করা ছাড়া।
এক টুকরো মেঘ ছুয়ে রোদ্দুরালোকিত হতে চেয়েছিলো মেয়েটি। আর দশজন মানুষের মতোন স্বাভাবিক একটি জীবন যাপন করতে চেয়েছিলো। কিন্তু সামাজিক প্রতিবন্ধকতাই যেনো তার জীবনের নির্মম অভিশাপ হয়ে দাড়ালো!
সবকিছু ভুলে যাবার পরে যেটুকু মনে থাকে তাই শিক্ষা। বসে বসে ভাবছিলাম কি কি মনে আছে। সেই ১৯** সাল থেকে শুরু। মনে পড়লো প্রতিক্লাসে খান কতক কবিতা পড়তে হত। ছোটক্লাস গুলোতে সেই কবিতার প্রথম ১০ বা ১২ লাইন মুখস্ত লিখতে হত। আমাদের স্কুলটা ভালো ছিলো, প্রথম ১০-১২ লাইন পারলেই কাজ চলত। আমার ভাইয়ের স্কুলটা তেমন সুবিধার না, ওদেরকে মাঝে মাঝে কবিতার শেষ ১২ লাইন লিখতে দিত।
[center]বনের পশু মুক্ত ক'রে দেখল রিটন বিপদ ভারি
হিংস্র ভয়াল পশুর সাথে জোট বেঁধেছে স্বৈরাচারী!
একাত্তরর ঘাতক দালাল মাথায় টুপি লম্বা দাড়ি
ওদের সাথে যোগ দিয়েছে নেংটি ইঁদুর এবং ধাড়ি
চোর বাটপার দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী নেতাও করল ধাওয়া
সম্মিলিত ধাওয়ার মুখে রিটন কোথায়? রিটন হাওয়া!
ছিল রুমাল, হয়ে গেলো টকটকে একটা বেড়াল। এমনটা কি হয়না ? দিব্যি হয়। সুকুমারের বইতে যেমন, এই সচয়ালতনেও তেমনি কি আর কম হয়! এই যেমন, আমি। ছিলাম নেহাত খাই দাই ঘুমাই টাইপ ঘোরতর এক সংসারী, হটাত হয়ে গেলাম সচলায়তনের আশালতা।
আজ চৈত্রের সতেরোয় কোথাও কিচ্ছু পাল্টে যায়নি তবু দিনটা খুব অন্যরকম হয়ে গেলো। আজ নিজের করে একটা নাম পেলাম। এমনিতে চেনা পৃথিবীতেও আমার একটা নাম আছে অবশ্য। কিন্তু আজকাল নিজেই সেটা ভুলতে বসেছি। সচলবন্ধুদের সে নাম বললেও ব্যাবহার হতে দেখিনা। সচলের কাছে তাই আশালতাই থেকে গেলাম। খুব অদ্ভুত এক যাত্রার শেষ হল আজ। অথবা শুরু।