(পোস্টের সাথে সংযুক্ত ভিডিও গুলো ছাড়া আমার আবজাব লেখার কিছুই বোঝা যাবে না। যারা আগ্রহ নিয়ে পড়বেন, তাদেরকে অনুরোধ করবো ভিডিওগুলো দেখতে।)
৮ম সেমিস্টারের অটোমোবিল (Automobile) ক্লাসের কথা মনে পড়ছে। আমরা সবাই বয়লার ল্যাবে বসে আছি আর সিরাজুল করিম চৌধুরী (SKC) ক্লাস নিচ্ছেন। ক্লাস রুমের তুলনায় ছোট খাট একটা ব্লাক বোর্ডে প্রাণান্তক চেষ্টা করছেন একটা ছবি আঁকার। ছবিটা হল ডিফারেন্সিয়াল গিয়ারের (Differential gear)। অনেক সময় নিয়ে তিনি ছবিটা আঁকা শেষ করলেন। এরপর অনেক কষ্ট করে ডিফারেন্সিয়াল গিয়ারের কার্যপদ্ধতি বোঝানোর চেষ্টা করলেন। ক্লাসে আর কে কি বুঝেছিল জানি না, তবে আমি কিছুই বুঝিনি।
পরে রুমে ফিরে এটা নিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ করলাম। পেলাম এই ভিডিও টা।
মানুষের সবচে দারুণ শত্রু হতে পারে তার নিকটতম জন। তার মানে কোনো মূর্খ যদি 'জানরে' 'পাখিরে' বলে কারো জন্য প্রাণোৎসর্গ করে তাহলে যাকে প্রাণোৎসর্গ করা হলো সেই সৌভাগ্যবান অথবা সৌভাগ্যবতী হতে পারে ওই অপদার্থটির সর্বনাশ করার জন্য সবচে উপযুক্ত প্রাণি। গরল উঠে আসে অমৃতের সন্ধানেই। প্রেম বিষয়ক লেখা লিখতে বসিনি অবশ্য। ও লোকে ঢের জানে। ঢের মানে, খায়। আমি প্রাণের নিকটতম বিষের কথা বলি। মার্চের বিষ আজকে। প্রাণ এবং প্রাণের ভেতরে থাকা বিষ নিয়ে কথোপকথনের এরচে চমৎকার উপলক্ষ্য আর হয়না!
চাণক্য
চাণক্যের প্রধান পরিচয় অতিপ্রসিদ্ধ একজন প্রাচীন ভারতীয় কূটনীতিজ্ঞ হিসেবে। মানবজীবনের প্রায় সকল কর্তব্যাকর্তব্য বিষয়ে তাঁর শ্লোকসমূহ শিক্ষিত অশিক্ষিত প্রায় সকলের কাছেই অল্পবিস্তর পরিচিত। ভারতীয় বিভিন্ন প্রাচীন শাস্ত্রগ্রন্থে এযাবৎ যতজন পণ্ডিত-রত্নের কথা আমরা জানি, তাঁদের মধ্যে চাণক্যকেই সবচাইতে প্রতিভাবান ও বাস্তববাদী বলে মনে হয়। বিখ্যাত ‘অর্থশাস্ত্র’-প্রণেতা কৌটিল্য আর ‘চাণক্যশ্লোক’ নামে প্রসিদ্ধ শ্লোকসমূহের রচয়িতা একই ব্যক্তি কিনা তা নিয়ে মতবিরোধ থাকলেও চাণক্যের একাধিক নামের মধ্যে কৌটিল্যও অন্যতম।
তাঁর একাধিক নাম বিষয়ে হেমচন্দ্রের ‘অভিধান-চিন্তামণি’ গ্রন্থে বলা হয়েছে-
‘বাৎস্যায়নো মল্লনাগঃ কৌটিল্যশ্চ ণকাত্মজঃ।
দ্রামিলঃ পক্ষিলস্বামী বিষ্ণুগুপ্তোহঙ্গুলশ্চ সঃ।।’
যা ভারতের পরম চাওয়া ছিল
সেইখানি তো পাওয়া হয়েই গেছে,
এবার নাহয় আমরা পেলাম কিছু
সব ভাল নয় হয়েই যাবে মিছে।
আজ বিধাতা দিক আমাদের হাতে
অনেক চাওয়ার একটা জয়ের মালা,
ভারত নাহয় আর কোনদিন পাবে
আজ হয়ে থাক বাংলাদেশের পালা!
আমার সাদাসিধে জীবনে এই টার্মটা খুব একটা আসে না। মাঝে মধ্যে কিছু আনন্দের ঘটনা ঘটে, আনন্দিত হই, হাসি, তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলি। কিন্তু আনন্দে চক্ষে পানি নেমে আসা? হয় না খুব একটা।
১৯৯৭ সালের একবার খুশিতে চোখ ভিজে গিয়েছিল, মনে আছে। তখন বিকেল ছিল কী? ঐ যে এক বলে এক রান যখন দরকার ছিল। ঐ যে, ক্রিকেট বলটা প্যাডে কি ব্যাটে লাগিয়ে হাসিবুল হোসেন শান্ত দৌড় দিল পিচের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। ঐ যে, আমরা কোটি কোটি মানুষ হাসিবুল হোসেন শান্তর সেই ঐতিহাসিক দৌড়ের সাথে সাথে পৃথিবীর দিকে গর্বিত পায়ে দৌড়াতে শুরু করলাম! বললাম, "দাঁড়াও! আমরা আসছি।"
এটা সচলে আমার প্রথম লেখা। বুকটা একটু ধুকপুক করছে। নীড়পাতায় জায়গা পাবে তো? তার ওপর একটা সেনসিটিভ বিষয় নিয়ে নাড়াচাড়া। একটু চাপা টেনশন হচ্ছে। প্রথমেই একটু গৌরচন্দ্রিকা সেরে নেই। "পালকি" ব'লে একটা অনলাইন ম্যাগাজিনে মাহবুব আজাদের একটা সাক্ষাৎকারে প্রথম জানতে পারি সচলায়তনের কথা। তারপর থেকেই সচলের সঙ্গে আমার প্রেম। এবং গুগুল ক্রোমে হোমপেজীকরণ।
বেশ কিছুদিন হলো বেশ দৌড়ের উপরে আছি, এদিকে একটা কবিতা জানার খুব দরকার হয়ে পড়েছে। কবিতাটা জীবনানন্দ দাশের লেখা সেটা ছায়া ছা্য়া মালুম দেয় কিন্তু কবিতার নাম মনে নেই। কবিতার মধ্যে এই দারুণ পংক্তিমালা আছে-
"নিখিলের শাদা চাতকের মত প্রাণ
তোমার আমার হৃদয়ে করে কি গান
-------
অপার অসীম সূর্যশালিনী মহাপৃথিবীর অনুরাগে"
কি দিয়ে পরিচয়টা শুরু করব। গায়ক, গীতিকার, নাকি অভিনেতা, নাকি বেতার সাংবাদিক, নাকি গদ্যকার, নাকি একজন সাংসদ? মনে হয় প্রথম দুটি বাদ দিয়ে তিনি নিজেকে আর কিছুই বলতে পছন্দ করেন না। আর এই দুটি মিলে নিজেকে তিনি গানের কারিগর বলতে পছন্দ করেন কিংবা বলেন-‘আমি গান বাজনার লোক’ কিংবা ‘নাগরিক কবিয়াল’ কিংবা ‘সঙ্গীতের গোলাম’ যিনি শুধু ‘গানের ধর্ম’ পালন করেন।