বাংলাদেশে দুর্ভাগ্যজনকভাবে জাহাজ ভাঙাকে শিল্প বলা হয়, যদিও ভাঙচুর ব্যাপারটাকে আদৌ শিল্প বলা যায় কিনা আমি নিশ্চিত নই। পৃথিবীতে পাকিস্তান, ভারত (শুধু গুজরাট), চীন, বাংলাদেশ এরকম হাতে গোণা কয়েকটি দেশে শুধু জাহাজ ভাঙা হয়। পরিবেশ দূষণের কারণে উন্নত বিশ্বসহ পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই জাহাজ ভাঙা নিষিদ্ধ। চীন অবশ্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে আবদ্ধ প্রক্রিয়ায় জাহাজ ভাঙে। আর আমরা ভাঙি খোলা সমুদ্র সৈকতে হাতুড়ি,
লুজান থেকে জেনেভা আসার ট্রেন আসতে দুই মিনিট ২০ সেকেন্ড সময় আছে এরই মাঝে টিকিট কাটতে হবে। থিউডোরাকে বললাম তুমি দাড়াও আমি দৌড়ে গিয়ে ঠিকই এই সময়ে টিকিট কেটে চলে আসব। থিউডোরা আমাকে থামিয়ে দিয়ে বলে আমার সাথে যেতে তোমার টিকিট লাগবেনা। আমি বললাম আরে না না গরিব দেশের লোক হতে পারি অন্তত টিকিট কাটার টাকা আছে আমার, বলতে বলতে টিকিট কাউন্টারের দিকে ছুটে যাব এমন সময় থিউডোরাগোলা উঁচু করে বলে [I am tellin
গাল ফুলিয়ে আমার রুমে ঢুকলো ওশিন। একটু আগে তার মা তাকে বকেছে। মৃদু মারও দিয়েছে। পাঁচ বছরের একটি শিশু মুখকে যতটা গম্ভীর করতে পারে, তার চেয়ে দ্বিগুন গম্ভীর মুখে ওশিন আমাকে বললো, জানো ফুফু, মা আর দাদু দোষ করেছে।
আমি বললাম, কী দোষ করেছে?
-- মা আমাকে বকেছে, মেরেছেও! আর দাদু মায়ের বিচারটাই করলো না!
[justify]সেদিন সংস্কৃতিকর্মী ও দেশে বিদেশের প্রধান সম্পাদক নজরুল মিন্টোর ‘ভাষার বিকৃতিরোধ আবশ্যক’ পড়ার চেষ্টা করছিলাম বিডিনিউজ২৪ এর মতামত বিশ্লেষণে। এটা ভালো লেগেছে যে বিডিনিউজ২৪ সবদিকের মতামত প্রকাশের চেষ্টা করছে। নজরুল মিন্টোকে তার মতামত প্রকাশের জন্যে ধন্যবাদ জানাই। ওনার মাধ্যমে অনেক ভাবনা সম্পর্কে আমরা অবগত হই। ওনার লেখাটি একটি বদ্ধ ঘরের খোলা জানালা হয়ে ঘরের ভেতরটা আমাদের দেখতে সাহায্য করেছে। আমি বেশ কয়েকবার পড়ার চেষ্টা করেছি। এখনো করছি। ওনার লেখার একটি পূর্ণাঙ্গ সমালোচনা কখনোই সম্ভব হয়ে উঠবে বলে মনে করি না। আমি সমালোচনার চেষ্টাতেও যাবো না। বরং ওনার লেখাটার একটা-দুটো বিষয়ের পুনর্পাঠ করি।
চার মাস। পাক্কা চার মাস এই শহরে। দীর্ঘ পনেরো বছর পর এতটা সময় আমার এই শহরে। আজন্ম শৈশব এখানে কেটেছে আমার। তারপর সদ্য কৈশোর পেরিয়েই এই শহর থেকে অনেক দূরে। কখনো কোন নিরালা বসন্তের ছুটিতে খুব বেশী হলে এক সপ্তাহ কিংবা কখনো আরও দিন কতেক বেশী, বড় জোড় দিন পনেরো- এর চেয়ে বেশী গত দেড় দশকে কাটেনি এই শহরে একটানা।
থার্ড ইয়ারে পড়ার সময় বান্দরবান গিয়েছিলাম। ট্রেকিং। রুমা বাজার থেকে কেওকারাডং তাজিনডং হয়ে থানচি। এরপরে থানচি থেকে চান্দের গাড়িতে বান্দরবান শহর। রুমা বাজারে আর্মি কমান্ডার ছিলেন সেকেন্ড লেফটেনান্ট ইফতিখার। আমাদের এক ব্যাচ সিনিয়ার, ফৌজদারহাট ক্যাডেটের। চিনতামনা কিন্তু গিয়ে কথা বলার পরে মেলা পরিচিত লোক পাওয়া গেল। তার সাথে ঝিরি দেখতে গেলাম, সে এক কান্ড। ওখানে আর্মি সোলজারের নিরস্ত্র ঘুরাফিরা নিষেধ, তাই তিনি আর এক সৈন্য নৌকায় উঠলেন একে ফর্টি সেভেন বা ওইরকম কিছু সহ। নৌকায় উঠেই কমান্ডার ঠ্যাং ছড়িয়ে ঘুম, পাশে আমি যেমন বই নিয়ে ঘুমাই সেইরকম তার পাশে অটোমেটিক অস্ত্র।
[justify]
বিয়ের ঝোঁকে ছুটছে লোকে
মোটা এবং পাতলাতে
চুনোপুঁটি রাঘব বোয়াল
এবং রুইয়ে কাতলাতে।