তুমি শালা একটা ফেইলিউর। পরীক্ষায় ফেইল না করলে কি হবে, পুরা জীবনটাই তোমার ফেইলে ভর্তি।
নিস্কর্মা শেইদুল্লাকে মনে আছে তো? সেই যে কোন কিছু না করেই স্রেফ বসে বসে ধনী হয়ে যেতে চেয়েছিল, আর অবলীলায় হাতের কাছে আসা ধন-রত্ন পায়ে ঠেলে চলে যাচ্ছিল শুধু সামান্য পরিশ্রমের ভয়ে! শেইদুল্লাকে আইডল বানাতে চেয়েও কখনো পারিনি। আলদার কোশে আর শিগাই বাইয়ের গুনগুলি রপ্ত করতেই যেন ছুটে চলেছি দিন-রাত। বোকা ইভানের মত চুল্লির উপর বসে ব্যাঙের ছাতা খাওয়ার সাধ আমার বহুদিনের। আর সবাই যখন ঘুমিয়ে যাবে তখন তেপান্তরের মাঠে গিয়ে চিৎকার করে ডাকবো সিভকা-বুর্কাকে। তার এককান দিয়ে ঢুকতে না পারলেও ক্ষতি নেই বিশেষ। জাদুকরী ভাসিলিসাকে পাওয়ার লোভে ব্যাঙের ঠোঁটে চুমু খাইনি কোনদিন। কি জানি, স্বপ্ন ভঙ্গের ভয়েই হয়তো।
এই বছর আমার বাচ্চাকাচ্চা চল্লিশটা। বছর ভালো যাবে না মন্দ যাবে, এটা অনেকাংশেই নির্ভর করে এদের কর্মকাণ্ডের ওপর। যদি এরা হয় লক্ষীসোনা টাইপ, তাহলে তো স্বস্তির নিশ্বাস, আর যদি হয় বাচ্চা ভয়ংকর, কাচ্চা ভয়ংকর, তো সারা বছর ফাইল নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে করতে জান শেষ। আমার ক্লাসে অবশ্য সব টাইপই আছে। বাচ্চারা তুলনামূলকভাবে ফরম টিচারের কাছে সুবোধ হয়ে থাকে। অন্য ক্লাসগুলোতে গেলে বোঝা যায় এদের আসল রঙ। তবে ভাল
[justify]সে বহুৎ পুরানা কাহিনী। বাংলা বোলগ জগতের অলিতে গলিতে তখন ছাগু আর ছাগাতুন্নেছা গিজগিজ করতেছে। কথায় কথায় গোলাম আজম-নিজামীগো মহান্নেতা কইয়া ন্যান্টা হইয়া নাচে। সেই কয়েকঝাঁক ছাগীর কাঁচুলি ছিঁড়া ঝুমুর ঝুমুর নাচের ঠ্যালায় যুক্তিটুক্তি কয়েকমাসের মধ্যে মাতায় উইঠা গেলগা। যুদ্ধবিজ্ঞানের খুব জরুরি শিক্ষা মনে পড়লো। শত্রু যে অস্ত্র চালাইতে পারে না সেই অস্ত্রে তারে ঘায়েল করো। খুব বেশী কিছু করা লাগলো না
স্রষ্টা বড়ই নিষ্ঠুর, মনে মনে ভাবি আমি। নয়ত আমার গতকাল কেনা ছোট্ট লাল গাড়িটা, চাপ দিলেই যেটা দৌড় দেয়, ইদুরের চেয়েও জোরে দৌড়াতে পারে সেটা, এত তাড়াতাড়ি হারায় কিভাবে? আর গেল কোথায় ওটা? খাট, ড্রেসিং টেবিল, শো-কেস কোন কিছুর নিচেই তো খোজা বাদ দেই নি!স্রষ্টা নামক না দেখা অস্তিত্বের প্রতি প্রবল একটা অভিমান জমা হয় আমার।
সবার নিজের ভেতরেই রয়েছে একটি নিজস্ব মানুষ। সে মানুষটি কখনো হয়ে যায় খুব কঠোর, কখনো কোমল। কখনো খুব যৌক্তিক, কখনো যুক্তিহীন শিশুর মত। যেন একের ভেতরে বহু। একজন ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব, আচরণ, ভাবনা ইত্যাদিতে প্রভাব ফেলে তার বাবা-মায়ের ব্যক্তিত্ব, আচরণ, ভাবনা, পরিবেশ, চারপাশের মানুষ। ব্যক্তি তার নিজের মধ্যে এর প্রত্যেকটিকে ধারণ করে। একটু সময় নিয়ে ভাবলেই নিজের মধ্যে খুঁজে পাবেন আপনার বাবা-মায়ের গুণগুলো বা দো
[justify]সাহিত্য লিখতে মঞ্চায়। সচল হইতে মঞ্চায়। কিন্তু ক্যাম্নে কি? একছুডো ভাইরে (বেয়াদ্দব কিন্তু আমার অতিপ্রিয়, লেখালেখির গুনবিশিষ্ট) প্রশ্ন করলাম-বলত কিভাবে লেখা শুরু করা যায়? ছোকরা কয় লিখুন, লিখে ফেলুন, যা মনে আসে লিখে ফেলুন। আমি প্রশ্ন করলাম তা কি নিয়ে লেখা যায় বলতো?
বড়দা বিয়ে করতে চায় না, কিন্তু সব চাচা-মামা-ফুপা-ফুপু-মামী-চাচী খালি বড়দা’র বিয়ে খেতে চায়। বেচারা বড়দা একা কয়টা বিয়ে করবে। এদিকে আমি আর পরিষ্কার সেই কবে থেকে দুচারটা বিয়ে করতে রাজি, কিন্তু আত্মীয়স্বজনদের কেউ আমাদের বিয়ে খেতে চায় না। অবশেষে বুঝলাম যে বাবুর্চি আর ভালো রেসিপি থাকলেই হয় না, মানুষজন খাওয়াতে হলে একটা ব্র্যান্ড ও থাকতে হয়। বড়দা সকালবিকাল অফিস-মিটিং-ট্যুর নিয়ে ব্যস্ত, তাই তাঁর বিয়ে খাওয়া হ