১।
হাতের কাছে কোনো বাংলা ব্যাকরণ বই নেই। তবে ছোটবেলায় বাংলা ব্যাকরণের যে সংজ্ঞা মুখস্থ করতে হয়েছিলো তা হয়তো সবার এখনো মনে আছে-
যে পুস্তক পাঠ করিলে বাংলা ভাষা শুদ্ধরূপে লিখিতে, পড়িতে ও বলিতে পারা যায় তাহাকে বাংলা ব্যাকরণ বলে।
খেয়াল করে দেখুন- শুধু বাংলায় লেখা-পড়া নয়; যে বই পড়ার ফলে আমরা শুদ্ধরূপে আমাদের ভাষায় কথাও বলতে পারি তাকে বাংলা ব্যাকরণ বলে।
সেদিন সকালে নাশতার টেবিলে বসে দেখি পেপার নাই। হকার দিতে ভুলে গিয়েছে। প্রিয় দুই বড় ভাইয়ের কালের কণ্ঠের ক্রীড়া পাতায় সাংবাদিক হিসেবে থাকার সুবাদে প্রথম থেকেই আমাদের বাসায় কালু পত্রিকা চলে আলুকে বাদ দিয়ে। যাই হোক, সকালে উঠে আমি কালের কণ্ঠ পত্রিকা না পেয়ে মন খ্রাপ করলাম, আমার মনে হলো সকালে পেপার না পড়লে দিন শুরু করলে সেটাকে দিন না বলে অন্যকিছু বলা উচিত।
কাব্যের মলিন পাতা খুঁজতে খুঁজতে জীবনের একটা করে অধ্যায় পার হয়ে যায়। চারিদিকে কত কোলাহল। কত তুচ্ছ বিষয় নিয়েই না মেতে আছি কতকাল। কতদিন হল শুভ্রের বন্দনা করিনা, খেয়োখেয়িতে বিষ কামড় বসিয়েই ডাস্টবিনে লড়ে যাচ্ছি অবিরাম। মন্দিরে মসজিদে চার্চে গুরুদোয়ারায় গিয়ে মাথা ঠেকায় ধর্মপ্রাণ মানুষ। কিন্তু সেই নিষ্প্রাণের জন্যই আবার অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আরে এটাই তো সময় - আসেন আমরা সবাই পশু হই!!!
এক
গত তিনমাসে আমি একটা পুরো অমানুষ হয়ে গেছি। গাধার মতো খাটতে খাটতে আর ঘোড়ার মতো দৌড়াতে দৌড়াতে আমি যে একটা মানুষ সেটাই ভুলে গেছি। সচল খুলেছি এক-আধবার, একটু চোখ বুলিয়ে সটকে পড়েছি। কতো প্রিয় লেখকের কতো লেখা পড়া হয়নি। তিনমাস ধরে একটা লাইন ও লিখিনি অফিসের মেইল বা মীটিং মাইনুটস ছাড়া...
একটা আস্ত শীতকাল চলে গেলো, একদিন ও লেপের ভেতর ঢুকে গল্পের বই পড়িনি।
সচল সাবরিনা সুলতানা খুবই অসুস্থ। তার মাসকিউলার ডিসথ্রপি আগে থেকেই ছিল। আজ দুপুরে নিউমোনিয়া পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। শ্বাসযন্ত্রের পেশিগুলো ঠিকমতো কাজ করছে না। এ জন্যে বিকেলের দিকে আইসিইউতে নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
[justify]এককালে বাসার বুজুর্গদের বুলি শুনতে শুনতে প্রায় বলি হয়ে গিয়েছিলাম, “লেখাপড়া করে যে, গাড়ি-ঘোড়া চড়ে সে। তাই গাড়ি-ঘোড়া চড়তে বেশি বেশি পড়ালেখা করো”। আমি মানি না, মানতাম না। কারণ জলজ্যান্ত চোখের সামনে দেখতাম, আব্বু তো কোনো পড়ালেখাই করে না। তাও দেখি দিব্যি রোজ ভুটভুট করে মটোরসাইকেল গাড়িতে করে অফিসে যায় আর আসে। আর বাসায় এসে শুধু আমার পিঠের চামড়া তোলার পাঁয়তারা খোজে। অবশ্য আব্বুকে কখনও ঘোড়ায় চড়তে দেখিনি আমি। তবে আমাকে মাঝে মাঝেই পড়ার সময় ঘোড়ার ডিম বলতে দেখেছি। তাই তখন মনে হতো আমার সাথে ঘোড়ার ডিম এর কোনো যোগসূত্র আছে বা থাকতে পারে। আর সেই ডিমটা ফুটে বাচ্চা হলেই আব্বু সে বাচ্চা ঘোড়ার পিঠে চড়ে বসবে।
২০১০ এর বাংলাদেশ ট্যুরের গল্প গুচ্ছ [এখানে]
টুকরো ঘটনা [এক]
স্থানঃ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর
আগুন ঝরানো ফাগুন দিন পেরিয়ে আজ নাকি ভালোবাসা দিবস!! প্রিয়জনের সাথে ফুল প্রেম মিষ্টি উপহার বিনিময়ের মধুর সময়!! শুধু কি মধু? তেতো কিছু নেই? আছে। সেই তেতো কথা বলি। ১৯৮৩ সালের এই দিনে লেজেহোমো এরশাদের টিয়ার গ্যাস-রাইফেল-বন্দুকের ভালোবাসায় রক্তাক্ত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ। বলি হয়েছিল কমসে এক ডজন প্রাণ।
০।
ক্যাম্পাসে এই নিয়ে ছয় বছর হয়ে গেল। এই ছয় বছরের আগের আঠার বছর, তের ফেব্রুয়ারি মানে ছিল বছরের আরেকটা দিন। তাই ফার্স্ট ইয়ারের তের ফেব্রুয়ারি সকাল নয়টার ক্লাসে এসে যখন দেখলাম প্রায় সব মেয়েই রঙ্গিন সব শাড়ি পড়ে ক্লাসে বসে আছে