বিচ্ছিন্ন থাকাটা আমার জন্মগত অসুখ । ছোটবেলা থেকেই আমি প্রায়ই বাইরে খেলা বাদ দিয়ে ঘরে বসে একা একা কথা বলতাম, একা একা খেলতাম। আমার বাবা মা আত্মীয়স্বজন বন্ধুদের অনেক প্রচেষ্টার পরও এই রোগ থেকে আমি মুক্ত হইনি, এখন আর কেউ চেষ্টাও করে না আমাকে ঠিক করার। শুধুমাত্র বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে আমি অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত হই, অনেক বন্ধুদের হারিয়ে ফেলি,অনেক প্রিয় মানুষদের কষ্ট দেই, অনেক সুন্দর সুন্দর দিন একা একা
১৯৭১ এ বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বা ৭১ এর মার্চ থেকে যে সব বাঙালী পশ্চিম পাকিস্তানে ছিলেন অথবা এভাবে বললে, ৭১ এর মার্চ থকে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের পর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের আগ পর্যন্ত পাকিস্তানে আটকে পড়া বাঙালীরা কেমন ছিলেন ?
হিসাবে বলে দশ মাস দশ দিন। সাত আট মাসেও হয়ে যায়। আব্দুর রহমানের একটু বেশি লেগেছিল। গোনায় ভুল হতে পারে, কিন্তু খানিকটা বেশি সময় তার লেগেছিলো এ বিষয়ে খুব একটা সন্দেহ নেই। সেই থেকে শুরু।
গত কদিন ধরে মন বড্ড খারাপ হয়ে আছে, চোখ বুজলেই খবরের কাগজের একটি ছবি বার বার মনের পর্দায় ভেসে উঠছে, একটি লাশ, ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে দড়ি দিয়ে বাঁশের সঙ্গে, মুখ থেঁতলানো, আঘাতের পর আঘাতে দাঁত বিকৃত হয়ে বেরিয়ে পড়েছে, খুব খেয়াল করে দেখলে হয়ত সেখান থেকে টপ টপ ঝরে পড়া রক্তবিন্দুও দেখতে পেতাম।
অর্থগ্রাফি শব্দটায় বাংলা নাই। গ্রিক অর্থস মানে শুদ্ধ। শুদ্ধ লিখার তন্ত্র হয় অর্থগ্রাফি। গ্রিক অর্থের সাথে বাংলা অর্থের যোগ দেয়া বিপজ্জনক নাও হতে পারে। যা কিছু তন্ত্র মোতাবেক শুদ্ধ না তা কিছুই অর্থহীন এমন প্রচারে এক দল লোক সকল সমাজেই মজুদ। তারা 'বাংলা' অর্থগ্রাফি করে কি?
শ্রীযুক্ত ফারুখ আহমেদের সমস্যা লেখ্যচরিত্রের না। তিনি একটি নিরীহ ফুলের নাম কেন বাংলায় নাই এই আক্ষেপসমেত অন্যথায় চমৎকার একটা ঘুলঘুলি রচনা করেছেন দৈনিক প্রথম আলোয়। ঘুলঘুলি দিয়ে বসন্তকাল চোখে পড়ে।
মিথ্যে কথা বলব না। স্বীকার করছি আমিও একসময় নিজেকে হিন্দু মনে করতাম! এবং হিন্দুধর্মাচার পালনও করতাম! সেই সময়ের কথা বলছি যখন আমি সদ্য কিশোর। এগুলি পরিবারতন্ত্রের দ্বারাই আমাদের মাঝে গেঁথে দেওয়া হয়। আজ জীবনের কিছু বছর পেছনে ফেলে এসে একটা জিনিষ বারবার ধাক্কা দেয় – যে সংস্কৃতি নিজের আচরণে সভ্যতাকে পর্যন্ত কলঙ্কিত করতে পারে তাকে ধারণ করা কী অমানবিকতার নামান্তর নয়?
একজন প্রবীন সংবিধান বিশেষজ্ঞ হিসেবে বাংলাদেশে আপনি সন্মান পান। আপনি একজন আইন প্রণেতা, আইন জানেন, কিন্তু কতটুকু মানেন তা নিয়ে আমার সংশয় দেখা দিচ্ছে। কয়েক মিনিট আগে বিটিভি-তে দেখলাম বিদেশী লিবারেশন ফ্রেন্ডদের সন্মাননা জানাতে বাংলাদেশ লিবারেশন এ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত চলাকালে আপনি যেভাবে হাতাকাটা কোটের পকেটে দুইহাতের কব্জী পর্যন্ত ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তাতে করে আপনার দৃষ্টি আ
[বিরক্তি চেপে সহ্য করে থাকা ভদ্রলোকের একটা গুন। আমি ভদ্রলোক নই বলেই এই গুনটা আমার নেই। তাই প্রচন্ড বিরক্তির সাথেই নাগরিক বিরক্তিমূলক লেখাটা লিখছি।]
পরীক্ষা দিতে বসে একটা শব্দ কিছুতেই মনে করতে পারছিলাম না। কতক্ষণ কলম পেন্সিল কামড়ে লাভ না হতে পাশের বান্ধবীকে গুঁতোলাম-
-এই, ঐ শব্দটা যেন কি রে ?
- কোনটা ?
- ওই যে শুকনো করে লম্বামত...
- ??!
- আরে, ওই...যেটা বেশ সরু সরু... গাছের ডালে পাওয়া যায়...
- !!!
- আহ্..., ওই যেটা দিয়ে পুলিশরা মারে... ওই যে...