কদিন অফিস ছুটির পর বই মেলায় শুদ্ধস্বর স্টলে বসেছি, আমার একটা ছোটখাট বই বের হয়েছে এই সুবাদে। বসার আরো একটা কারণ অবশ্য আছে, মেলায় আসা সচল বন্ধুরা মিলে আড্ডা দেই সামনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আর যখন কেউ থাকেনা তখন ভাললাগা সচলদের বইগুলি পড়া যায় একদম ফ্রীতে( পুরাটাই ফ্রি !!! হি হি হি )।
স্টলে ক্রেতাদের বেশ ভীড়, সমানে বিক্রি হচ্ছে। আমি বই পড়ার ফাঁকে মাঝে মাঝে মাথা ঊচিয়ে দেখি, কে কি কিনছে। বিভ...
থাকি প্রবাসে, দেশের বিশেষ দিনগুলি নিয়ে উৎসাহ তাই একটু বেশিই। বিলাতের হীম হাওয়ায় বসে দেশের পয়লা ফাল্গুন নিয়ে বসন্তের গান গাই, হলুদ শাড়ি পড়ি। ২১ ফেব্রুয়ারি-তে মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনায় উজ্জিবিত হই, চার শহীদের নামে ঢোকে ঢোকে পানি খাই, সুর করে গাই ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি...’ আরে ভোলা কী সম্ভব, ‘একুশের চেতনা’ বলে কথা!
কিন্তু যখন বাঙ্গালি নি...
"ওরে নীল দরিয়া, আমায় দে রে দে ছাড়িয়া, বন্দী হইয়া মনোয়া পাখি হায়রে..." - ৬ নম্বর বাসে "তিল ঠাঁই আর নাহিরে"- পরিমাণ ভিড়ের মধ্যে এমন কর্কশ আওয়াজের মধুর সংগীত আপনার নজর কাড়বেই। আমারও কেড়েছে। উৎসের দিকে না তাকিয়েই বলে দিতে পারি নকিয়া-১১০০ গোত্রের মুঠোফোন নিঃসৃত এ ধ্বনি।
- হ্যালো, স্লামালিকুম।
মিহি সুর শুনে আন্দাজ করা যায় - উনি তরুণী না হলেও মধ্যবয়স্ক হবেন না। একই সুরে আবার -
- ওয়ালাইকুম সাল...
আমি অনেকটা অবচেতন ভাবেই লেখকদের ভাগ করে ফেলি। একটা জনপ্রিয় ধারার লেখকেরা আমার বিচারে রুহ-আফসা স্পেশালিস্ট। তাঁদের লেখা দুদ্দাড় করে গিলে ফেলে ভুলে যাওয়া যায়। একভাগ লেখক যারা খুব কঠিন ভাষায় লেখেন। তার লেখায় হয়তো কোন ধোঁয়াশা থাকে না। তবে শব্দে শব্দে সে লেখার আঙিনা পেরিয়ে আসতে পাহাড় ডিঙানোর পরিশ্রম করতে হয়। কেউ কেউ আবার অমসৃণ পাথরে বিমূর্ত মূর্তির মতো গল্পের অবয়ব বানান। সে গল্প ...
আজ বাসায় উৎসবের রোদ। কিন্তু তুলির মুখে একরাশ কালো মেঘের ছায়া। তার বাড়ির ধারাই হচ্ছে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ব্যপক হইচই করা।
আরে হানিফ ভাই অফিস থেকে ফিরলেন নাকি?
হুম, কি অবস্থা?
আরে বাসায় ঢুকেন, দ্যাখেন কি করসি।
আরে বাহ! লাগায় ফালাইসেন! রংটা একটু হালকা হয়া গ্যাসে।
আমার এই রংটাই পছন্দ।
আব্বুর আদিখ্যেতার বিরক্তিকে ফাঁকি দিয়ে তুলি অনেক ভাবনার ভীড়ে গা ঢাকা দেয়। উঁকি দেয় সময়ের সেই সব গলি...
চারদিক নিশ্চুপ, অন্ধকার, বাগানের ভেতরকার সবচাইতে উঁচু পাহাড়ের উপর বিশালকায় বাংলোর আশেপাশে ঝিঁ ঝিঁ পোকার একটানা বিরামহীন শীষ ছাড়া শোনা যায় রাত জাগা কাঠ ঠোকরার ঠক ঠক। হিম হিম ঠাণ্ডায় স্লিপিং ব্যাগের ভেতর শুয়ে শুয়ে নিদ্রাদেবীকে আকর্ষণের চেষ্টা সবেমাত্র সফল হতে যাচ্ছে তেমন সময় আদিবাসী গার্ডের ভাঙা গলা বেজে উঠে। নিশিপাওয়া মানুষের মতো বিছানা ছেড়ে উঠে আসি এক এক করে। হেঁটে হেঁটে বা...
ভাষা আন্দোলন কি কেবলমাত্র ৩০ মিনিটের এক তুচ্ছ ঘটনা? নাকি এর পেছনে রয়েছে প্রবঞ্চনার ইতিহাস? ৪৭-এ দেশভাগের পর পরই যথন পশ্চিম পাকিস্তানের সুর পাল্টে যায় তখন পূর্ব বাংলায়্ও “ইয়ে আজাদি ঝুটা হ্যায়” শ্লোগান ওঠে। সবচেয়ে বড় কথা হলো হুজুগে বাঙালি যখন বুঝতে পেরেছিল যে, পাকিস্তান আন্দোলনের পুরোধা হিসেবে কাজ করেও তারা স্বাধীনতা পায়নি, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা আর ভয়ঙ্কর রক্তপাতের ওপর দিয়ে হেঁ...
১।
গেলো সেপ্টেম্বরে মৃন্ময় যখন প্রথম স্কুলে গেলো, আমাদেরর দুজনেরই তখন অনেক উৎকন্ঠা। উৎকন্ঠার কারন একেবারে অমূলক নয়। আমরা আড়াইজন স্কটিশবর্ডারের যে ছোট্ট শহরে থাকি, সেখানে আমরা যে একমাত্র বাঙ্গালী তাই নয়, একমাত্র এশিয়ান, একমাত্র নন-ইউরোপিয়ান, একমাত্র নন-ইংলিশ স্পিকিং ইত্যাদি ইত্যাদি...
লন্ডন, বার্মিংহাম, ম্যানচেষ্টারের মতো ইমিগ্রেন্ট অধ্যুষিত নগরীগুলোতে এদিকে অনেক সু...
ছবিগুলো ২০০৭ তোলা। অটোয়া, কর্নওয়ালের দিকের কিছু জায়গায় তোলা। অটোয়াকে কেমন যেন নিরিবিলি শহর লাগে; অগোছালোভাবে গোছানো! কর্নওয়ালে যেখানে গিয়েছিলাম সেটা বনভোজনেরই জায়গা। ছোট্ট নদীর (লেক-ও বলা চলে) কিনারে গড়ে তোলা হয়েছে। ছোটখাট পাহাড়, তার উপরে ভাস্কর্য; দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে নিহত কানাডিয়ান সৈনিকদের স্মরাণার্থে নির্মিত কয়েকটি স্থাপনা। খুদে ট্রেন; গ্রামীণ সংস্কৃতি নির্ভর শপি...
১। সচলের সাথে ঠিক কবে পরিচয় তা আর দিনক্ষণ হিসাব করে বলতে পারবো না তবে আনুমানিক ২০০৭ এর শেষভাগ কিংবা ২০০৮ এর প্রথমদিকে । তখন 'অভ্র'র সহায্যে নতুন নতুন নেটে বাংলা লিখতে শিখেছি আর গুগুলে যেয়ে বিভিন্ন বাংলা 'কি ওয়ার্ড' দিয়ে সার্চ এর ফলাফল দেখছি, কিছুটা উত্তেজনা আছে ব্যাপারটায় কারণ তখন পর্যন্ত আমার সাত বছরে নেট ব্যাবহারের অভিজ্ঞতায় এটা(নেটে বাংলা লেখা) একেবারে নতুন সংযোজন । যাইহোক বা...