এতক্ষন পর্যন্ত আধো ঘুম, আধো জাগরনে প্রায় আচ্ছন্ন অবস্থাতেই শুয়েছিল জয়িতা। হঠাৎ ডোরবেলের একটানা চিঁ-হি-ই-ই আওয়াজটা যেন তার সমস্ত আচ্ছন্নতাকে খান খান করে দিল। সারা সপ্তাহ একটানা ঘড়ি ধরে সকাল ছ’টায় ঘুম থেকে ওঠা; আর তারপর থেকেই তার প্রাত্যহিক বাঁধা গতের রুটিন লাইফ। ঘর-দোর পরিষ্কার, রান্নাবান্না ইত্যাদি সারতে সারতেই একমাত্র মেয়ে রুম্পির স্কুলের সময় হয়ে যায়। তারপর তাকে তৈরী করে টিফ...
আমার সব কাজ কারবার যেন হুট করেই করে ফেলি, হঠাৎ করেই মাথায় আসল, ব্যস করে ফেললাম। এর জন্যে প্রজাপতির কাছে অনেক দাবড়ানি খেয়েছি, আরো কত খাবো কে জানে? তবে ক্যামেরা কেনার ব্যাপারটা অনেকদিন থেকে মাথায় ঘুরপাক খেলেও সাহস করে কিনতে পারিনি, একদিকে দাম, আরেকদিকে দাবড়ানির মাঝে পুরা মাইঙ্কা চিপা, আর সেই চিপায় পইড়া চ্যাপ্টা হলাম বেশ অনেকদিন। এভাবে চলতে থাকে দিনকাল, এরমাঝে প্রজাপতি ঢাকা...
"আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি?" - না ভুলতে পারিনি। তাইতো এই দিনটি এলেই শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি আমারা সেই অকুতোভয় ভাইদের, যারা তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে স্বাধীন করে গেছে আমাদের কথাকে, আমাদের লেখাকে, আমাদের গান, কবিতা, সুর, স্বপ্ন, আনন্দ, বেদনা, হাসি, কান্না ... সব ... সব ...সব! আমরা তাঁদের ভুলিনি - যারা প্রতিটি বাংলা অক্ষরকে করে গেছে তাঁদের তরে চির ঋণী।
আজ গিয়ে...
"তোমার দীর্ঘশ্বাসের নাম চন্ডীদাস
শতাব্দী কাঁপানো উল্লাসের নাম মধুসূদন
তোমার থরোথরো প্রেমের নাম রবীন্দ্রনাথ
বিজন অশ্রুবিন্দুর নাম জীবনানন্দ
তোমার বিদ্রোহের নাম নজরুল ইসলাম"
(হুমায়ূন আজাদ)
আমার প্রাণের ভাষা বাংলা। পৃথিবীতে প্রচলিত তিনহাজার ভাষাভাষীদের মধ্যে বাংলাভাষার স্থান পঞ্চম। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা রাজ্যের দাপ্তরিক ভাষা বাংলা। আফ্রিকার দে...
পরিস্থিতি তাড়া করে ফেরে মানুষকে।
লয়
সৃজন কিংবা রক্ষণ?
জীবন-আনন্দ কখনো বা নিক্ষিপ্ত ট্রামলাইনের
মৃত্যুহিম নীল খাদে।
কখনো বা আজকের সীজারের দুচোখে
চিরকালীন অজ্ঞতা ও বিস্ময়;
জগদ্দল পাথরের মতন- “ব্রুটাস, তুমিও?”
অমলের দুচোখের পাতায় কালো যবনিকা;
স্টিকিং প্লাস্টারের মতন।
পঙ্কিল ধূসরতায় আচ্ছন্ন হরিৎ।
ব্যতিক্রম কখন আসে
রসায়নের পদার্থশ্রেণীর মত।
দায়িত্ব নেয় সৃজন, লালনের।
মুক...
আমাদের ঘরের পাশেই 'মিষ্টি' আম গাছটা ছিল। পাশে না, পাশে না। ঘরের ভিতর। ঘরের ভিতরই তো! না হলে বারান্দাটা ঐ কোণে এসে বেঁকে গেল কেন? আমাদের বারান্দাটা গাছটাকে একদম দেখতে পারত না, আর আমাদের সবার প্রতি ভীষণ ক্ষোভ তার। গাছটার প্রতি আমাদের পক্ষপাতিত্বের কারণে বাড়ির ডিজাইনের মাঝে গাছটা এসে পড়লেও তা আর কাটা হয়নি, বরং ছেঁটে দেয়া হয়েছে হতভাগা বারান্দাকে। আর আমরা গাছটার প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট হব...
দুবাই বিমানবন্দরে বসে একা একা। একমাসের ঢাকা, বইমেলা, ভাইবোন, যানজট সবই হঠাৎ করে স্মৃতিসহ একটি পর্দার আড়ালে। এ সময়টি একা একা কাটানো বেশ কষ্টের। মরুভুমির মাঝে এই বিমানবন্দরের শীতল বিশালতার মাঝে সে কষ্ট আরো বেশী তীব্র হয়ে ধরা দেয়। সবচেয়ে ছোট বোনটি খুব আদরের। যতক্ষণ দেশে থাকি, প্রায় আকড়ে থাকে আমাকে। আমার এই বিষন্নতার একটি বিশাল অংশে ও জায়গা করে নিয়েছে।
এবারের বইমেলা যে ভাবে উপভোগ ...
[justify]
পুষ্প বৃক্ষ এবং বিহঙ্গপুরাণ। বইটা প্রথম পড়ি ২০০১ সালে। কেবল নাম দেখেই কিনেছিলাম। বইয়ের প্রচ্ছদ অদ্ভুত ছিল। কাঁধে পাখি নিয়ে ছফার একটা ছবিও ছিল প্রচ্ছদে। বাসায় গিয়ে পড়তে শুরু করি। আমার সামনে একটা নতুন জগৎ খুলে যায়। উপন্যাস আত্নজীবনী সব মিলে ছফা একটা ভিন্ন জগৎ তৈরি করেছেন। এক একটা পাতা পড়া শেষ হয় আর আমি ভাবতে থাকি এই সহজ কাহিনী একজন মানুষের পক্ষে লেখা কিভাবে সম্ভব...
অনেকখানি ঢং করে এই লেখাটা শুরু করতে যাচ্ছিলাম। তারপর হাসি পেল। যাকে নিয়ে লিখছি তাঁকে সচলরা আমার চাইতে ভাল চেনেন। হয়তো তাঁর সঙ্গে আমার অনেকটা পথ একসঙ্গে রিক্সায় টুকরো-টাকরা কথা বলতে বলতে আসা হয় প্রায়শই। কিন্তু সেটাতে তাঁর সবটা পরিচয় মেলেনা। তার সবটা পরিচয় মেলে তাঁর লেখায়। সেইখানে একজন মানুষের ভেতরে একজন ঈশ্বরকে দেখা যায়। সে ঈশ্বর কবিতার আর গল্পের। সে ঈশ্বর ভাষার।
সত্যি [url=http://ww...
ঝুম বৃষ্টি দরকার!
মিনমিনে-ফ্যাতফ্যাতে-ইলশে গুড়ি না,
কোনও কিছুকে তোয়াক্কা করেনা যে বৃষ্টি,
সেরকমটাই চাই!
এর কম কিছু না,
বরং পারলে আরও বেশি,
একটা ব্যক্তিগত কালবোশেখী চাই,
তছনছ চাই একটা,
তুমুল ধ্বংসযজ্ঞ!
একটু নাহয় বেহিসেবী হই,
গাছের সবক'টা আম নাহয় নাই বা পাকলো।
হাতের পাঁচটা আঙ্গুল সমান কি হয় কখনও?
নাহয় একটু উশৃংখল আমি,
একটু খেপাটে,
কান্ডজ্ঞানেরও নাহয় একটু বেশিই অভাব রইলো আমা...