আমাদের শান্ত বিয়ে করে ফেললো। সচলে মাঝে মাঝে কমেন্ট করে, একটা দুটো পোস্টও আছে অতিথি হিসেবে। সচলে বড়ো নিষ্ঠ সে, তারও বেশি নাটকে। আমার কাছের ভাই ও বন্ধুদের একজন। ডাক্তারের বাড়ি ছিলাম মা'কে নিয়ে, তাই বিয়েতে যাওয়া হয় নি। বৌ-ভাতে উলুম্বুসের মতো হাজির হলে বাবু, অতনুরা হায় হায় করে দৌড়ে আসে। তারা অপুভাইকে আরেকটু স্মার্টভাবে চেয়েছিলো! আমার দাড়ির জঙ্গল, রঙ উঠে যাওয়া শার্টে তাদের মন খারাপ হয়...
জমির বুকে গরু ও চাষা একই ভঙ্গিতে মাথা মাটির দিকে ঝুঁকে চাষ করে যায়। কেবল দুর্যোগ ও বিপদের সময় তার মাথা উঁচু হয়, সে আকাশের দিকে তাকায় আরশের দিকে তাকায়। বাংলার কৃষক সর্বদাই এক অবনত চরিত্র। কেবল বিদ্রোহ কিংবা গলায় ফাঁস নিলে তার মাথা উদ্ধত হয়। দুইশ বছর আগে বঙ্কিমচন্দ্র লিখেছিলেন, 'কৃষক স্বার্থের রক্ষক নাই'। তখনও যেমন আজো তাই।
*** লেখাটার সঙ্গে একটা ছবি ছিল। এটি তারই ক্যাপশন মাত্র। স...
১।
এবার রেজিনায় দীর্ঘ শীতকাল। মার্চের শুরুতেও রীতিমতো ভয়াবহ ঠান্ডা। মাঝে একদিন সকালে যখন ইউনিভার্সিটিতে যাই, তখন উইন্ড চিল সহ তাপমাত্রা মাইনাস সাতচল্লিশ ডিগ্রী সেলসিয়াস। ইউনিভার্সিটিতে যাবার পথে বরফে আছাড় খেলাম, তবে ভাগ্য ভালো ব্যাথ্যা তেমন পাইনি। ওয়ালমার্ট থেকে সস্তায় কেনা স্নো-বুট এক শীতেই কাবু। সেদিন সন্ধ্যায় দেশে এক মামার কাছে ফোন দিলাম। কথাপ্রসঙ্গে ঠান্ডা, বরফে আছা...
আজ সচলায়তনের প্রথম পাতায় পশুর মেলা বসেছে। নিচে তাকিয়ে দেখা যাক:
উটটা ভারী উটকো, লিখেছেন মৃদুল আহমেদ
পাখি, লিখেছেন মুশফিকা মুমু
গুবরে পোঁকার রঙের গরিমা , কুমির কথন, কুকুরের ঘ্রাণশক্তি!, লিখেছেন নুরুজ্জামান মানিক (একসাথে কতগুলো রে বাবা!)
অ্যানাকোন্ডা, লিখেছেন কীর্তিনাশা
[url=http://www.sachalayatan.com/ishtiaqrouf/22524]বিছা[/url...
পশুর মেলায় আমি বাদ যাই কেন। আমি আসলাম অ্যানকোন্ডা নিয়া......
--------------------------------------------------------------
একটা অ্যানাকোন্ডা আমাজনের জঙ্গলে ঘুরে ঘুরে ডাঙ্গায় বান্দর আর পানিতে পিরানহা মাছ খাইতে খাইতে অতিষ্ট হয়ে গেল। এক সময় এমন হলো যে ঘুমের ঘোরে সে দুঃস্বপ্ন দেখা শুরু করলো - ঝাঁকে ঝাঁকে পিরানহা আর বান্দর তাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে আর চোখ মুখ গোল গোল করে দেঁতো হাসি মেরে বলছে - ও রে আমারে খা রে...... !! অ...
‘বললাম তো যাবো না, তবু এত গুঁতানোর কী হল?’ বয়সভারে ন্যুব্জ বিছরুখের গরম জবাব। বিছনাজ তাই বলে ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী না। এই লেজভোঁতা সঙ্গীটার আস্ফালন দেখছে বহু বছর ধরে। বছরে কিছুদিন থাকে এমন। এই দিনগুলোয় বুড়োকে একা ছেড়ে দেওয়া যায় না। আকাজ করে বসে কিছু না কিছু একটা।
গেলবার এই দিনে রাগের মাথায় জামার বুকের কাছটা খেয়ে ফেলেছিল বিছরুখ। পাশের বাড়ির বিচ্ছুকে বিশেষ ভাবে খুশি করে সে-কেলেংকা...
স্ন্যাপিং টার্টলের বাচ্চা
গত কয়দিন ধরিয়াই বনে একটা যজ্ঞ লাগিয়াছে। বনের নতুন অধিপতি তাই বেজায় বিরক্ত। শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়া আসিয়াছে বটে, কিন্তু শান্তি কিছুতেই প্রতিষ্ঠা হইতেছেনা-- কি বনে, কি মনে। তাই বন দেখভাল করিবার দায়িত্ব শিম্পাঞ্জির হাতে ন্যস্ত করিয়া বনপতি ছুটিলেন ভূমধ্যসাগরে জলকেলীর উদ্দেশ্যে।
বনপতির এহেন কর্ম দেখিয়া প্রজাসক...
ছুতো পেলে গুঁতো মারে
নাকটাই শিং তার
চেহারাটা থলথলে
কিম্ভুত কিমাকার
যেন তার-
ইয়া বপু চলে না
গুঁতোলেও টলে না
চামড়াটা এতো পুরু
নাম তার গণ্ডার।
জু’তে গেলে দেখা মেলে
আফ্রিকা বাড়ি তার
হয়ে গেলে লুপ্ত
খুঁজে পাওয়া হবে ভার
তাই বুঝি-
স্বভাবটা ধরে রেখে
বহুরূপে রূপ ঢেকে
মানুষের ভীড়ে না কি
ইদানিং একাকার! #
জেবতিক ভাই অলরেডি লিখা ফেলসে, তাই আমার লেখাটা বিলাই টু নামে ছাড়লাম। সচলায়তনের এই পশু দিবসে কাহিনী দুইটা সবাইরে জানাইতে ইচ্ছা করল।
কাহিনী এক
------------
আমাগো মহল্লায় বিলাইয়ের কমতি নাই। সারাদিন তারা ছানাপোনা সহ এইখানে ঐখানে বাসাবাড়ি গাড়ে। একবার অনেক আল্লাদ কইরা এমন এক বিলাই মা আর তার কতিপয় সন্তানদের আশ্রয় দিছিলাম আমরা বাড়ীতে। সেই ফ্যামিলি কি জানি এক পোকাসহ আসছিল, ছোট ছোট পোকা। ঐগু...
মানিই বা না মানি
আমরা হলাম প্রাণী!
ভীষণ রকম আল্লাদী আর
ভীষণ অভিমানী!
আমরা নাকি আবার
সব প্রানীদের সেরা!
কেউ যদি এর দ্বিমত করে
চলবে কঠিন জেরা!
কার বা এমন সাহস
কিংবা গলায় জোর
সামনে এসে বলবে হেসে
তুই তো ব্যাটা চোর!
তাই দেখো সবখানে
আমরা কাজের কাজী
আমরা চালাই, ওরা চলে
লাগবা নাকি বাজি?!
তারপরও তো ভীষণ
চিন্তা আসে মাথায়
ক্যান যে এমন হয় যে ভাবি
মুখ জড়িয়ে কাঁথায়!
আমার পাশের বাসায়
লোকটা...