Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

ব্লগরব্লগর

আপনি কোথায় কোথায় যান গুগল আর অ্যাপল জানে

রেজওয়ান এর ছবি
লিখেছেন রেজওয়ান (তারিখ: মঙ্গল, ১৯/০৮/২০১৪ - ২:৩৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলাদেশের মোবাইল ফোন পেনিট্রেশন এখন ৭৫%, বিশ্বব্যাপী ৯৩.৫% । আমাদের মধ্যে অনেকেই এখন স্মার্টফোন ব্যবহার করি। দিনে দিনে এটি আরও সহজলভ্য হয়ে যাচ্ছে। স্মার্টফোনের নানা সেবা, নানা অ্যাপ, আমাদের জীবনে অনেক সুবিধা এনে দিচ্ছে। আমাদের ফোন এখন জীবনের মুহূর্তগুলো ভাগ করে নেবার, বিবিধমুখী যোগাযোগের মাধ্যম, পথ দেখানোর সাথী এবং নানা কিছু।

তবে আমরা এসব নানা প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার ভিড়ে নিজেকে উজাড় করে দেবার মধ্যে কিছু ব্যাপার ভুলে যাচ্ছি। আমাদের ব্যক্তিগত জীবনটা খুব উন্মুক্ত হয়ে যাচ্ছে আমাদের অজান্তেই। এসব স্মার্টফোন তাদের নানা সেবার জন্যে লোকেশন সেবা ব্যবহার করে যা আপনি কোথায় যাচ্ছেন তা রেকর্ড করে।


আজব চিকিৎসা

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি
লিখেছেন মোহছেনা ঝর্ণা [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১৮/০৮/২০১৪ - ১১:৫৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দূর সম্পর্কের এক আত্নীয়ের সাথে হঠাৎ দেখা।দূর সম্পর্কের হলেও একটা সময় বেশ যোগাযোগ ছিল।ব্যস্ততা আর সময়ের অভাবে এখন আর তেমন একটা যোগাযোগ হয় না। তাই সেদিন হঠাৎ দেখা হয়ে যাওয়াতে বেশ ভালোই লাগছিল।কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই সেই ভাল লাগা উবে গেল।তার বড় ছেলের ডিভোর্স হয়ে গেছে। ছোট একটা বাচ্চা রেখে বউ চলে গেছে।সমস্যা কি জানতে চাইলে তিনি বলবেন কি বলবেন না ভেবে কিছুক্ষণ ইতস্ত করছিলেন।পরে বললেন,আসলে আমার কপালটাই খার


একটা অন্যমনস্ক রাত

গান্ধর্বী এর ছবি
লিখেছেন গান্ধর্বী [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১৮/০৮/২০১৪ - ১১:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হেডফোনে চুপ বড়ে গোলাম। ঝিল্লিমুখর ঘুমন্ত পল্লীর পথ ধরে ছুটে চলেছে নাইটকোচ, যেমন অভিসারে ছুটে যায় গোপন প্রিয়া। ভেতরের ছায়ান্ধকার থেকে মুখ ফিরিয়ে চোখ রাখলাম বাইরের নিরেট আঁধারে। আকাশে নক্ষত্রের মোজাইক। দূরের খেড়োঘরে মাটির প্রদীপ জ্বলছে। কোন কুলবধূ রাত জাগছে, কল্পনায় দেখতে পাই যেন জোড়া বাতিঘরের মতন দৃষ্টিপ্রদীপ জ্বলছে তার। অশ্বিনী আর স্বাতীতারাদের আলোয় পথ দেখে ঘরে ফিরছে গৃহস্বামী, একাকিনী বধূ আর ঘুমন


চিরকুমারদের জন্য রান্নাবান্না ১০১

স্পর্শ এর ছবি
লিখেছেন স্পর্শ (তারিখ: সোম, ১৮/০৮/২০১৪ - ৪:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চিরকুমারদের বা চিরকুমারীদের যে হাতের কাজটি শিখতেই হয়, তা হচ্ছে রান্নাবান্না। এইটা না শিখলে, সুরাঁধুনী কেউ এসে আপনার কুমারত্ব বা কুমারীত্ব হরণ করে নিতে পারে। সেই পরিণতি এড়াতেই এই টিউটোরিয়াল।


শোক দিবসের আশাবাদঃ (অপঠিত) বঙ্গবন্ধুর পুনর্পাঠ হোক

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি
লিখেছেন সাক্ষী সত্যানন্দ [অতিথি] (তারিখ: শনি, ১৬/০৮/২০১৪ - ১:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[ শোকাবহ ১৫ আগস্ট তারিখটি আরও একবার চলে গেল। দিকে দিকে আজ বারো হাত কাঁকুড়ের তের হাত বিচির মতন বেখাপ্পা নকশার ডিজিটাল ব্যানারে ছেয়ে গেছে রাস্তা আর ভবনগুলো। সেইসঙ্গে ডেকচী ভরা তেহারি-খিচুরি-বিরিয়ানীর মচ্ছব চলেছে কোথাও কোথাও। হতে পারে, আপত্তি নেই। কিন্তু আপত্তি তখনই আসে যখন উপলক্ষ্য ছাড়িয়ে যায় লক্ষ্য কে। সেই বিরক্তি বোধ থেকেই আপাত বিচ্ছিন্ন কিছু চিন্তামালা ভাগ করে নিতে চাই সবার সাথে। ]


১৫ই অগাস্ট ও আমার বাবা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৫/০৮/২০১৪ - ৯:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

-রোল নাম্বার থার্টি টু।
-ইয়েস স্যার।
-কিরে গতকাল স্কুলে আসস্‌ নাই ক্যান?
-স্যার, বাবার মৃত্যুবার্ষিকী ছিল।
-ঐ হারামজাদা! শেখ মুজিব কবে তোর বাবা হইল! এদিকে আয়, ক কাইল কই আছিলি? সত্য বলবি নাইলে পিটাইয়্যা পিঠের ছাল তুইল্যা ফালামু।
-স্যার, সত্যি কাল আমার বাবার মৃত্যু বার্ষিকী ছিল, গতবছর এইদিনে উনি মারা গেছেন।
-আগে কবিতো, যা বস্‌, মন খারাপ করিস না, বাবা কারো চিরদিন বাইচা থাকেনা।


মন পবনের নাও ১৬

নিবিড় এর ছবি
লিখেছেন নিবিড় (তারিখ: শুক্র, ১৫/০৮/২০১৪ - ১২:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

০।
একটু আগে বৃষ্টি হচ্ছিল, আসলে সারা দিন ধরেই হচ্ছে। রুমের জানালায় একটু পর পরেই জোরে জোরে বৃষ্টির ফোটারা এসে পড়ে। বন্ধ রুমের ভিতর থেকে সেই শব্দ আর ভারী শোনায়। জানালায় কাঁচ দিয়ে বাইরে তাকালেই নিচের ঝাপসা হয়ে যাওয়া রাস্তাটার ব্যস্ততা চোখে পড়ে। পাশের মেডিকেল কোচিং থেকে ঘন্টায় ঘন্টায় ছাত্র ছাত্রীদের দল গুলো বের হয়ে আসে। পাশের রুমে সামশাদ বেগমের গান বাজে, ষাটের দশকের হিন্দি গান।


অন্যদের দেশে, অন্যদের সময়ে

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি
লিখেছেন ত্রিমাত্রিক কবি (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৪/০৮/২০১৪ - ১:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(১)

ঘর থেকে বের হয়ে আক্ষরিক অর্থেই দু’গলি পার হয়ে বাস স্টপের সামনে দাঁড়াতে প্রথমেই মনে হল নিশ্চয়ই বড়সড় কোন পুণ্য করে বেরিয়েছি। কিন্তু নিজেকে যতটুকু জানি, তাতে গত দু-চার বছরে তেমন কোন পূণ্য টুণ্য করার কথা না যাতে বাস স্টপেজে এসে দাঁড়াতেই দুজন সুন্দরী সামারিক (সামরিক নয়) পোষাক পরিহিত মেয়ে হাসিমুখে এগিয়ে এসে বলবে, “মে আই ঠক ঠু ইউ স্যার?”। পাঁচ ফিটের চেয়ে সামান্য বেশি উচ্চতা আর একশ ছুঁই ছুঁই ওজন নিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফেয়ার এন্ড হ্যান্ডসাম আর ফ্রেশ সাবান ব্যবহার করার পরেও, নিজের ব্যপারে যথেষ্ট উচ্চধারণা পোষন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা স্বত্ত্বেও নিজেকে ‘স্যার’ পর্যায়ে নিজেই কখনও উন্নীত করতে পারিনি, সেখানে মেঘ না চাইতেই জল তো বটেই একেবারে জমাট আইস্ক্রীমের মত দু’জন এসে কিনা বলছে, “মে আই ঠক ঠু ইউ স্যার, ফর আ সেকেন্ড?”


ভুলে যাবার অধিকার ও সোশ্যাল মিডিয়ার উপর খড়গ

রেজওয়ান এর ছবি
লিখেছেন রেজওয়ান (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৪/০৮/২০১৪ - ৮:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"বাক স্বাধীনতা আসলে আপেক্ষিক। আপনি কতোটা নির্ভয়ে বলবেন তা নির্ভর করে আপনার সামাজিক ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি, আপনার নিরাপত্তা, বা এটাকে ব্যবহার করে সিদ্ধি সাধনের জন্যে আপনার আকাঙ্ক্ষা কতদূর তার উপরে।"


বাই বাই সিংগাপুর, বাই বাই ভিভিয়ান

বন্দনা এর ছবি
লিখেছেন বন্দনা [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১১/০৮/২০১৪ - ৬:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]প্লেনের ছোট্ট জানালা গলে আসা রোদের ছটায় ঘুম ভেঙ্গে গেছে কিছুক্ষণ আগেই।এয়ারক্রুরা ট্রলিতে খাবার নিয়ে সকালের ব্রেকফাস্ট দিতে শুরু করে দিয়েছে ততক্ষণে।এলোমেলো ভাবে ঘুমানোতে ঘাড়, হাত পা কেমন যেন ধরে এসেছে, ঘুম ভেঙ্গে ভিভিয়ানের কথা মনে হতেই মন খারাপ হয়ে গেল। মেয়েটা এখন নিশ্চয় ফ্রাঙ্কফুর্টের ফ্লাইটে, একা একা না জানি কি করছে। যাচ্ছি আবুধাবি থেকে জার্মানির ডাশেলডর্ফ। এত লম্বা প্লেন জার্নি এর আগে করেছি বলে মনে পড়েনা, সব মিলিয়ে সাড়ে একত্রিশ ঘণ্টা। সস্তায় টিকেট কাটতে গিয়ে, সিঙ্গাপুর থেকে আবুধাবি আর ডাশেলডোর্ফ হয়ে নিউ ইউর্ক যেতে হচ্ছে। সীমার জন্য এই প্রথম এত বড় জার্নি, এশিয়া থেকে ইউরোপের উপর দিয়ে আমেরিকা মহাদেশের দিকে যাওয়া। একটু টেনশন লাগছিল টিকেট কেটে ফেলার পর, তবে ওর স্ট্যামিনা বেশ ভালো, সমস্যা হবে না বলেই ধরে নিয়েছিলাম।