আর কিছুক্ষন পরেই পুর্বাশার আলো ফুটতে শুরু করবে। একটু একটু করে পথে নামবে মানুষ। মেয়েরা শাড়ী পড়বে, ছেলেরা পড়বে পাঞ্জাবি পায়জামা। শিশুরা সুন্দর সুন্দর পোষাক পড়ে নির্মল আনন্দ নিয়ে পথে নামবে বড়দের সাথে। কেউ কেউ ফুলের মত নিষ্পাপ মুখখানায় জাতীয় পতাকা আঁকবে। অনেকের হাতেই থাকবে প্রিয় জাতীয় পতাকা।
অন্য দিনটার চেয়ে আজকের দিনটা বাঙালিদের কাছে আলাদা। আজকে আমাদের আবেগের দিন। আজকে আমাদ...
পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে।
আজ বিজয় দিবস। একটু আগে রাস্তা থেকে ভেসে আসা বিজয়োল্লাস শুনতে পেলাম। ব্যানার, ফেস্টুন, পতাকাশোভিত ঢাকা শহর আর লাল-সবুজে মোড়ানো ছেলেমেয়েদের দেখতে পাব ঘর থেকে বেরুলেই।
আজ বিজয়োৎসবের দিন। কিন্তু আমি আরো বিজয় চাই।
স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিগুলো আগে তাও দু'একদিনের জন্য হলেও নিজেদের নখরগুলো সযত্নে আড়াল করে রাখতো। ইদানীং এদের শ্বদন্তবিকশিত নির্লজ্জ হাসি ...
নানা ব্যস্ততা, দুশ্চিন্তা, আলোচনা আর তর্কে বিতর্কে সময়গুলো পার হয়ে যায়। অবশ্য তা না হয়ে উপায় নেই। পুরোনো শেয়াল শকুন আর তাদের ছানাপোনারা রাত বিরেতে চিৎকার জুড়ে দেয়। বাতি নিভলেই তেলাপোকাগুলো কোটর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে পড়ে। শরীরের দু'য়েকটা লোম কামড়ে ছিঁড়ে নেয় দু'য়েকটা সাহসী ছারপোকা। তাই সতর্ক থাকতেই হয়।
আমার ইচ্ছে থাকে সবসময় রোগ-জীবানুর কান্ডকারখানা নিয়ে লিখি। সেটাই একটু আধটু বুঝ...
প্রথম আলোর খবর যদি সত্য হয়, তাহলে বোঝা যাচ্ছে পুরনো আশঙ্কাই সত্য হতে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার নানান টালবাহানায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কেবলই পেছাতে চাচ্ছে। এই হচ্ছে হবে, প্রস্তুতি চলছে... এভাবেই কাটাতে থাকবে সময়।
অথচ এই সরকার ক্ষমতায় এসেছিলোই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার প্রতিশ্রুতির গুড় ছিটিয়ে।
পত্রিকা বলছে কৌশলগত কারণে সরকার এখনই যুদ্ধাপরাধের বিচার ...
ওরে নিজামী, ওরে মুজাহিদ, ওরে বারভাতারীর পোলা
সময় আছে এখনো, জান নিয়ে তোরা পালা!
বড় বড় কথা বলছিস এত,
বুঝিস কী!-খুঁচিয়ে দিচ্ছিস অনেক অনেক ক্ষত।
ওরে হারামজাদার দল,
ওরে পাকিস্তানী নেড়ি কুত্তার গু,
আসছি আমরা, জাগছি আমরা-
বুকে দিতে থাক ফুঁ!
মুখে মুখে সাহস দেখাস এত!
কলিজাটা জানি তোদের কত্ত ছোট,
ক্ষমা নাই, মাফ নাই- চাই রক্তের শোধ
তবু আঘাত করিস আমাদের স্বাধীনতার বোধ!
সব রাজাকারকে ঝুলাব রাস...
অ
লোকটি দাঁড়ির ফাঁকে রোদের লুকোচুরি নিয়ে সূর্যে এসে দাঁড়ায়। রোদে শরীর রাখে।
খালি গা থেকে উড়ে যায় কতকগুলো ঘামের চিল। একবার মেঘের শ্রীটা দেখে নিয়ে পা বাড়ায় সে- যেতে হবে ঝুপড়ি দোকানে; বেলা হয়ে আসছে- বারটার পরে কলিমমিস্ত্রি আর চা করে না। কলিমমিস্ত্রি চায়ের কারিগর, কাঠের না। অথচ তার দোকানের মন্দার কাঠের বেঞ্চিতে বসলে আরাম লাগে- গরমকালে স্রোতেলা জলে স্নান দিলে যেমন লাগে সেরকম। বসে ব...
৭১ সালে এসময় সবে পেরিয়ে দশে পড়েছি। থাকতাম ময়মনসিংহে। মুক্তিযুদ্ধের প্রায় পুরোটা সময় একজায়গা থেকে অন্যজায়গায় দৌড়াতে হয়েছে। পায়ে হেঁটে, রিকসায় কিংবা মাইক্রোতে। পাকিস্থানীদের আক্রমণ থেকে বাঁচতে মাইক্রোতে থাকতো পাকিস্থানী পতাকা আর ঘের দেয়া রিকসার সামনে কোরান শরীফ। মজা হতো আমাদের পোষা টিয়ে পাখিটাকে নিয়ে, ৭০এর সময়ই তাকে জয়বাংলা বলা শিখিয়েছিলাম, যখন তখন শীষদিয়ে উঠতো জয়বাংলা বল...
আমার বন্ধু রবার্ট হুবার। জর্মন দেশের লোক। পেশায়-নেশায় ফটুরে। হং কং এ পরিচয়, তারপর মেসেঞ্জার আর কালেভদ্রে দুয়েকটা ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা। এভাবেই চলছিল অনেকদিন। এখন আবার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, কোথাও খুঁজে পাচ্ছিনা। এই লেখাটা নাজিল করার প্ল্যান ছিল অক্টোবরে, আশায় ছিলাম রবার্টের হদিস পেলে রঙ-চঙে একটা সচিত্র পোস্ট দেবার। কিন্তু নিরুদ্দেশ বন্ধুর পাত্তা না মেলায় আপাতত এই সাদা...
না-কিছুই বলবো না। কথা বলার আগেই শুকিয়ে যাচ্ছে গলা। ওই যে আমি দাঁড়িয়ে প্রত্যক্ষ করছি সকলের হেঁটে যাওয়া, আলোছায়া। হেঁটে যাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে যতটুকু পথ আমাকে ছুঁতে পারেনি, ওই যে হেঁটে যাবাব পর আমি যা পেলাম সারি-সারি গাছের প্রেম, পাতাদের আসক্তি… চারপাশ নিয়ে উড়ছে যে বাতাস, গাছপালার শ্বাস তাকে কি আমরা ধরতে পেরেছি? আমাদের শত আর্তনাদ নীরব সাক্ষী। শুধু জেনেছি গাছের নিচে বসে গাছপাতার গান শু...
"১৯৭১ সালের এই দিনে, স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয়ের ঠিক প্রাক্কালে, বেছে বেছে বাংলাদেশের কয়েকজন শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবীকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল।"
বদ্দা'র (সুমন চৌধুরী) একটা লেখা থেকে সংগ্রামের সম্পাদকীয় পাতার লিঙ্কটি পেলাম। পাকজারজ অনেক কিছুই বলেছে। আমরা বোধহয় সভ্য হতে গিয়ে তাদের যা ইচ্ছা বলার অধিকার দিয়েছি। সবকি...