আত্মজীবনী

আগের পর্ব : শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় - বন্ধুত্বের দিনগুলো : পর্ব ১

আমরা তখন “সঙ্গম” নিয়ে মেতে উঠলাম।প্রথম সংখ্যা বের করতে হবে। লেখা জোগাড় হচ্ছে। লেখা আসছে। আমরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছি। দীনভাই কবিতা দিলেন। শেখভাই গল্প। পলাশ, ঋতো, জাহিদ, সুমন লিখলো। পলাশের একটা বড়োকবিতার খন্ডাংশ চারপাতাজুড়ে সেখানে গিয়েছিলো। পুরোকবিতাটা পরে তার বইয়ে এসেছিলো। সাদিক একটা প্রবন্ধ দিয়েছিলো। খুবই বাজে টাইপ...

১৯৯৮ সালের গোড়ার দিকের কথা। শিকড় থেকে অরণির প্রথম সংখ্যাটা আমরা সবে বের করেছি। আমিই সম্পাদনা করেছিলাম এবং মাসুল হিসাবে নিজের পকেটের বেশ কয়েক হাজারও ঢেলেছিলাম। তখন বইপত্রের একাট লক্ষ্যণীয় পরিবর্তন এসেছিলো। সম্ভবত মালিকানা পরিবর্তনের ফল ছিলো সেটা। তারো আগে কে একজন যেন চালাতেন। তখন কবি মোস্তাক আহমাদ দীন এবং কবি শুভেন্দু ইমাম যৌথভাবে চালাচ্ছেন। প্রচুর নতুন বই এসেছিলো। বেশীর ...

গোলাপ আমি আনতে গিয়ে
পেলাম শুধু কাঁটা
রোদেলা দুপুর চেয়েও
বৃস্টি ভরা দিন হল পাওয়া
জোয়ার আমি আনতে গিয়ে
পেলাম শুধু ভাটা
স্বপ্ন গুলো খুঁজতে গিয়ে
পেলাম শুধু বাস্তবতা
আলোকে খুঁজতে গিয়ে
পেলাম শুধু আঁধার
সাগরের নীল খুঁজতে গিয়ে
পেলাম শুধু বেদনা
আকাশকে চাইতে গিয়ে
পেলাম শুধু হাওয়া
সুখ পাখিটাকে খুঁজতে
কস্ট হল পাওয়া

--- ইফতেখার --

কিছু নির্দোষ কথা বার্তা

১.

গাড়ি যাচ্ছে তড়তড়িয়ে একে বেকে কুমিল্লা শহরের বুক কেটে। গাড়িতে বসা মা মেয়ে আশে পাশের দৃশ্য দেখছে আর টুকটাক গল্প করছে। অনেকদিন পর বাংলাদেশের আলো হাওয়া উপভোগ করছে। কুমিল্লা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় মা চোখ বড় বড় করে মেয়েকে একটা দুর্লভ দৃশ্য দেখাচ্ছে। “মেঘ” দেখো দেখো, এই স্কুলে না আব্বু পড়েছে। তিন বছর বয়সী সদ্য প্রিস্কুলগামী মে...

জীবন থেকে নেয়া

গল্প বলার অনুশীলন

বহুদিন ধরেই নানা কারনে লেখালেখি একদম শিকেয় তুলে রাখা। সময় তার প্রধান ফ্যাক্টর। তবে মোটামুটি প্রতিদিন মনে মনে একটা ব্লগ লিখি আর মুছি। আবার কোন কিছু নিয়ে মেজাজটা খাট্টা হলে লেখা চলে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে। আর দৈনন্দিন জীবনে মেজাজ খাট্টা হওয়ার মতো উপাদানেরতো আর খামতি নেই।
অনেকেই তাদের জীবনের প্রতি নিয়ত ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোকে ডায়...

এখানে আমার আসা হয়না বেশ অ-নে-ক দিন।
আসা যদিবা হয়, লগ-ইন করা হয় না।
আবছা চোখ বুলিয়ে চলে যাই।
কত লোক, কত হাসি,কত দুঃখ,কত গান......
'কত জন কত জেল্লা কত জমক'......
নাহ, কোনো কিছুই ভাল লাগে না।কিছুই না।

ডিসেম্বর 'ঘনিয়ে' আসছে। আমার মন খারাপের গতি ডিসেম্বরের এগিয়ে আসার সাথে সমানুপাতিক হারে বাড়ে। ডিসেম্বরকে কেন এত ভয় আমার?

ছেলেবেলা ডিসেম্বরে ফাইনাল পরীক্ষার রেজাল্ট বেরুতো। কাজেই ভয়ের একটা কারন ছ...

নদীপথ পেরিয়ে ধীরে ধীরে নাইজরিয়ার ওয়ারী বন্দরের জেটিতে ভিড়লো আমাদের জাহাজ। বন্দরের ব্যস্ততা দূর থেকেই টের পাওয়া গেলো। আমরা যেখানে জাহাজ ভিড়ালাম, তার কাছাকাছিই ঠিক একই মুহুর্তে ছেড়ে যাচ্ছে আরেকটি জাহাজ বন্দর ছেড়ে। জাহাজটির নাম দেখে কেঁপে উঠলো বুকের ভেতরটি। 'এলপিদা' ! আমাদের পথসঙ্গী, চার বন্ধুর একজন, স্কুলজীবনের সবচেয়ে ঘনিষ্ট শাজাহান তো কাজ নিয়েছ...

লিপি তখন ক্লাস নাইনে পড়ে, সম্পর্কে খালা। ছোট চাচার শালী। চেহারা-সুরত ভালো। গায়ের রঙ ফর্সা। উঠতি বয়স। লম্বা। গ্রামের মাইয়া। তবু শুদ্ধ কইরা কথা কয়। আমি তখ...

আমার এই ছোট্ট প্রেমকাহিনীর নায়ক ধুসর গোধূলি।
প্রায় এক বছর আগে সচলায়তনের সাথে পরিচয় কিংকং এর লেখার মধ্যে দিয়ে।
কিংকং এর লেখা পড়তে পড়তে মন্তব্যে দেখা পা...

পেরিয়াসে সপ্তাখানেক কাটলো জাহাজে ছোটখাট মেরামতের কাজে। এবার আমাদের যাত্রা বেশ দুরে। নাইজেরিয়ার ওয়ারি পোর্টে। কোন এক সক...